টিক টক --- টিক টক

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০২/২০১০ - ১১:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সহ্যাদ্রি পর্বতমালার কোলে কোলে বেড়ে ওঠা এই শহরটা মাত্র কয় বছর আগেও ছিল ছোট্ট একটা ঘুমুঘুমু শহর৷ ছিমছাম দোতলা চারতলা বাড়ী, শহরের অনেকটা জুড়ে ক্যান্টনমেন্ট, রাস্তার দুদিক থেকে উঠে যাওয়া মস্ত মস্ত গাছের ডাল জুড়ে রাস্তার ওপরে তৈরী আর্চ আর নীচে আলোছায়ার আঁকিবুকি, হঠাত্ হঠাত্ চড়াই উতরাই হয়ে যাওয়া রাস্তাওয়ালা এই শহরের দোকানদারেরা দুপুরবেলা মফস্বলের মত দোকান বন্ধ করে বাড়ী যেত৷ খেয়ে ঘুমিয়ে এসে আবার দোকান খুলত বিকেলবেলা৷ অমুক তমুক 'মিত্রমণ্ডলী'র ব্যবস্থাপনায় নাটক কিম্বা গানবাজনার অনুষ্ঠানও নিয়মিতই হত৷আর পুণে ইউনিভার্সিটি, ফার্গুসন কলেজ, সিমবায়োসিস কিম্বা ফিল্ম ইনস্টিটুটের ছাত্রছাত্রীদের প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর হয়ে থাকে তো আজও, এই ঘটমান বর্তমানেও৷

তারপর বোম্বে যখন মুম্বাই হয়ে গেল, তার খানিক পর থেকেই পুণে শহরটা গায়েগতরে বাড়তে শুরু করে, অনেকটাই তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের হাত ধরে ধরে৷ প্রথমে খেলার মাঠ, পার্ক আর আগাছাভরা জমিগুলোতে আটতলা, দশতলা বাড়ী উঠল৷ আস্তে আস্তে সেসব ফাঁকাজমি শেষ হয়ে আসতেই পাহাড় কেটে কেটে ছোট ছোট গাঁও উচ্ছেদ করে করে ঘরবাড়ী, আফিস কাছারি গড়ে উঠল৷ ইনফোসিস, উইপ্রো কিম্বা কগনিজেন্টের বিশাল বিশাল একাধিক কমপ্লেক্স; আর তারই সহায়কহিসাবে একাধিক ছোটখাট টাউনশিপ নিয়ে পুণে এখন রীতিমত 'মেগাসিটি' হওয়ার জন্য দৌড়োচ্ছে৷ তবু এ শহর এখনও শান্তশিষ্টই৷ ২০০৮ এর নভেম্বরে মুম্বাই যখন বোমায় বন্দুকে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, তখনও এ শহর ছিল প্রায় নির্বিকার৷ ভাবটা এমন যেন "ওসব তো বড় শহরের বড় ব্যপার'৷ অথচ পুণে-মুম্বাই নিত্যযাত্রীর সংখ্যা নেহাত্ কম নয়৷ তবু ঐ কর্মক্লান্ত দিনের শেষে মুম্বাই থেকে পুণেতে না ফিরলে হয় না বেশ কয়েক হাজার লোকের৷

গত শনিবার মানে ১৩ তারিখ সন্ধ্যেবেলায় এই শহরের হোটেল, রেস্তোরাঁ, পাবগুলোতে যখন প্রি-ভ্যালেন্টাইনস পার্টি জমজমিয়ে চলছে, তখন হঠাত্ই আমার ছাদে বসে মনে হল রাস্তায় দু চাকা চারচাকার ভীড়টা যেন বড্ডই বেশী৷ আমি থাকি মুম্বাই-ব্যাঙ্গালোর হাইওয়ের পাশটিতে৷ শনিবার রাতে সে রাস্তায় সাধারণত অল্প কিছু ট্রাকের আনাগোনা দেখা যায়৷ ভাবলাম সবই সন্তবাবাজীর জন্য হয়ত বা৷ ঘন্টাখানেকের মধ্যে কল্লোলদার ফোন 'কিরে তুই কোথায়???' আমি দারুণ অবাক এ আবার কেমন প্রশ্ন! কেন বাড়ীতে --- বলতে বলতেই শুনি কোরেগাঁও পার্কে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, ৯ জন মৃত৷ আমার বাড়ীতে টিভি নাই, অগত্যা নেট খুলে বসলাম৷ দেখতে দেখতেই হাইওয়ে দিয়ে প্রবল ভেঁপু বাজিয়ে কটা পুলিশের গাড়ী আর মিলিটারি জিপ দৌড়ে গেল৷ এরপর তো উদ্বিগ্ন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের ফোনের পর ফোন -- রবিবার বিকেল অবধি চলল৷ বিস্ফোরণ হয়েছে জার্মান বেকারিতে৷ এই কোরেগাঁও পার্ক এলাকাটি পুণের মধ্যে বেশ অভিজাত অঞ্চল৷ সেখানকার সাথে মানানসই এই বেকা রি৷ মালিক বছরের অধিকাংশ সময় জার্মানিতে থাকেন৷জার্মান বেকারি তার নামের সাথে মানানসইভাবেই ইউরোপিয়ান সজ্জায় সজ্জিত৷ এদের কিছুকিছু বেকারি আইটেমের স্বাদ সত্যিই উত্কৃষ্ট৷ পারিপার্শ্বিক, সজ্জা ও খাবারের গুণগত মানের জন্য বহুলোকের প্রিয় এটি৷ ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ওশো আশ্রম আর ইহুদিদের শাবাদ (উচ্চারণটা কি ঠিক হল?) ৷ ফলে প্রচুর বিদেশী, বিদেশিনীর আনাগোনাও লেগেই থাকে৷ মোটকথা জার্মান বেকারি যাকে বলে বেশ 'হেপ' জায়গা৷ তো, দেখেশুনেই সেখানে বোমা রাখা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে৷ রবিবার সকালেই খবর পেয়ে যাই আমাদের অফিসের ৫ জন আহত৷ ৩ জনকে ফার্স্ট এইড দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাকী দুজনের আঘাত গুরুতর৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একজন সম্ভবত: তার শ্রবণশক্তি হারাতে চলেছে চিরতরে৷

রবিবার থেকে সর্বত্র লোকের মধ্যে একটা ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া ভাব৷ আর যথারীতি নানারকম গুজব একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে ছোটে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশীবার শুনলাম যে এর পরের টার্গেট কলকাতা৷ সোমবার অফিস যাওয়ার সময় রাস্তাঘাটে দেখি একটু অতিরিক্ত সতর্কতা৷ অফিসে তো সাংঘাতিক কড়াকড়ি৷ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পুণে৷ আর যতই স্বাভাবিক হচ্ছে ততই ক্রমশ: ক্ষেপে উঠছে লোক৷ এমনিতেই পুণেতে বাল (ঠ্যাকারে) ও তার বাচ্চাদের 'মারাঠি অস্মিতা'র প্রকোপ একটু বেশী৷ এইবারে সেটা আরও ফুঁসে উঠেছে৷ বেশ বড় একটা অংশের বক্তব্য হল পাকিস্তানের সাথে যাবতীয় কথাবার্তা বন্ধ করে সোজা ফৌজ পাঠাও৷ সামরিকবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা কাগজে কাগজে বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন ভারতের কেন এবং কীভাবে ইজরায়েলের মত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা উচিত্৷

ইতিমধ্যে জেনে গেছি কলকাতার সল্ট লেক এলাকার দুইভাইবোন আর তাদের বন্ধু ঐ বিশেষ টেবিলে বসেছিল, যার নীচে বিস্ফোরকপূর্ণ ব্যাগটি ছিল৷ তাদের দেশ এতটা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছে যে তা আর কলকাতায় আনা যায় নি, কোনরকমে কাপড়ে জড়িয়ে পুণেতেই নদীর তীরে নিয়ে পুড়িয়ে দিতে হয়েছে৷ জেনে গেছি সেই অটোরিকশাওয়ালার কথা, যিনি ঐ বেকারির সামনে দিয়ে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, বিস্ফোরণের ধাক্কায় চলন্ত অটোরিকশা থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন, মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা যান৷ জেনে গেছি পুণে অ্যামডকসের সেই প্রোগ্রামার মেয়েটির কথা, যার আসলে মুম্বাইতে বাড়ী, সপ্তাহান্তে সেখানেই ফিরেছিল সে; কিন্তু বন্ধুদের অনুরোধে তাদের পার্টিতে যোগদানের জন্য শনিবারেই আবার চলে আসে এবং প্রাণ হারায়৷ জেনে গেছি সেই ওয়েটারটির কথা, যে ব্যাগটিকে টেনে বের করতে গিয়ে প্রাণ হারায়৷ এরা সবাই যখন ওখানে ঢুকেছিল, বসেছিল বা সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনই সেই ঘড়িটা চলতে শুরু করেছি, টিক টক --- টিক টক --- টিক টক৷ এবার সুরক্ষাচক্র আরও আঁটোসাঁটো হয়ে উঠবে, মলিন পোশাকপরা অতিথি দেখলেই দরজার সুরক্ষাকর্মীর চোখ চকচকে হয়ে উঠবে শিকার ধরার আনন্দে৷ কাশ্মিরী শালওয়ালা কিম্বা ইরানী ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই ভুঁরু কুঁচকে উঠবে অনেকের৷ বেড়ে যাবে মেটাল ডিটেক্টারের বিক্রী ও ব্যবহার৷ হয়তবা, হয়তবা বাড়বে আরও কিছু চাকরীর সুযোগ, বিভিন্ন স্তরের সুরক্ষাকর্মী পদের জন্য৷

কিন্তু এতকিছু করেও কি আমরা নিরাপদে বেঁচেবর্তে থাকতে পারব? কিরকম যেন মনে হচ্ছে কোথায়ও একটা ঘড়ি চালু হয়ে গেছে 'টিক টক ---- টিক টক ----- টিক টক'৷ শুধু বিস্ফোরণের মুহূর্তটির অপেক্ষা৷ হতে পারে তা কালকেই অফিসে কিম্বা কফিশপে, হতে পারে আগামী সপ্তাহে হাওড়া স্টেশানের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে, হতে পারে আগামী মাসে সল্ট লেকের ওপিয়ামে বন্ধুর যে নেমন্তন্নটা আছে সেইখানে, কিম্বা অন্য কোথায়ও৷ দুদিন ধরে অফিস ব্লগে অনবরত তর্ক করে করে ক্লান্ত আমি, জানি না আর কতদিন এতটা জোরের সাথে যুদ্ধের বিরুদ্ধে, অহেতুক সন্দেহের বিরুদ্ধে, গড়পড়তা সাধারণীকরণের বিরুদ্ধে তর্ক করে যেতে পারব৷ কে জানে হয়ত আর একটা বিস্ফোরণের অপেক্ষা --- তারপরই আমিও আঙুল তুলে ধরব প্রতিটা অচেনা লোকের দিকে৷

এই আশঙ্কাটাই নিজে বা নিজের কাছের কোন আত্মীয়বন্ধুর ছিন্নভিন্ন হওয়ার আশঙ্কার চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে আজ৷ নিজেকেই বারবার বিড়বিড় করে শোনাচ্ছি 'আত্মদীপো ভব আত্মশরণো ভব'


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

ভেতরে একটা অসহায় ক্ষয় অনুভব করি প্রতিবার। মনে হয় লাশের স্তুপে একটি দেহ আমার অথবা আমার কোন প্রিয়জনের হওয়া কি খুব অসম্ভব কিছু? এভাবে আর কতদিন? আর কতবার? আর কতদূর?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দময়ন্তী এর ছবি

ঠিক তাই৷ প্রতিবারই মনে হয়, হতেই পারতাম আমি, জাস্ট বেঁচে গেছি ...
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

রক্ত দেখার এখনো অনেকদূর বাকি।
আরো রক্ত আমাদের না দেখিয়ে ছাড়বে না এরা।
জানি। কিন্তু মেনে নেয়া তো কঠিন।
প্রিয়জনের মৃত্যু না হোক, সেই কামনা করি। বরং আমার লাশ পড়ে থাকুক।
এতদিনের ভালোবাসার, অনেক স্মৃতিময় স্পর্শের শরীর পড়ে থাকবে ময়লা ন্যাকড়ার মতো।
কিন্তু মরার আগে একবার অন্তত গলা ফাটিয়ে বলে গেলাম, তোদের ঘৃণা করি শুয়োরের বাচ্চারা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

দময়ন্তী এর ছবি

মুশকিল হল, কিছু না জেনে বুঝেই বিস্ফোরণের শিকার হতে হয়৷ মন খারাপ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দময়ন্তী এর ছবি

হুঁ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

দময়ন্তী, প্রথমে অনেক বড় একটা মন্তব্য লিখেছিলাম। লেখা শেষে বুঝতে পারলাম এতো কথা বলার আসলে কিছুই নেই। আর, এইসব অর্থহীন কথা বলা খুব ক্লান্তিকরও। বলাও, শোনাও। কিসেই বা কী আসে যায়? ভালো লাগে না ...

দময়ন্তী এর ছবি

অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে স্নিগ্ধা, যে নিজেকেই মাঝে মাঝে ভয় হয়৷ কিজানি! যা ভাবি, সবই বোধহয় ভুল, আসলে বোধহয় মারামারি কাটাকাটিই করা উচিত্৷ মন খারাপ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হিমু এর ছবি

খবরটা শুনেছি রেডিওতে। জার্মান বেকারি বলেই হয়তো ক্লাসিকরাডিওর খবরের হ্রস্বপাল্লায় চলে এসেছে এই দুঃসংবাদ।

সুবিনয় মুস্তফী একটি ব্যানার চেয়েছিলেন জীবনানন্দের জন্যে। ব্যানারে দেখুন কবি কী লিখে গিয়েছিলেন। আমরা হয়তো একচুলও এগোতে পারিনি তাঁর রচনাকালের পর থেকে। প্রেতের মতো উল্টোদিকে ডাবল মার্চ করে চলছি সকলে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দময়ন্তী এর ছবি

ঐ শেষ দুটো লাইন আমারও বারেবারেই মনে হয়েছে হিমু৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রাহিন হায়দার এর ছবি

মন খারাপ
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

দময়ন্তী এর ছবি

মন খারাপ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এখনো সব মানুষ মানুষ নয়।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

দময়ন্তী এর ছবি

না: বরং বেশী করেই মানুষ৷ মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীই বা অকারণে হত্যা করে!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

বড্ড অসহায় লাগে!
"আর কতোকাল ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়...??"

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

আমি, আপনি, যারা এই প্রশ্নটা খুঁজছি, তাদের কাছে কোনই উত্তর নেই৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অসুখ বেড়ে চলছে। আফসোস।

দময়ন্তী এর ছবি

দীর্ঘশ্বাস!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

নির্বাক থাকা ছাড়া আছে কী করার

দময়ন্তী এর ছবি

সেটাই ................
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাসনীম এর ছবি

খবরটা আপনার ব্লগ থেকেই জানলাম। কি আর বলার আছে। এই লাইনগুলো ঘুরে ঘুরে মনে আসছে...

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয়
মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দময়ন্তী এর ছবি

দীর্ঘশ্বাস!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মন খারাপ
...
মন খারাপ

'আত্মদীপো ভব আত্মশরণো ভব' কথাটার মানে কী দিদি?

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দময়ন্তী এর ছবি

মন খারাপ

নিজের অন্তরে বাত্তি জ্বালাইয়া সেই আলো দিয়া রাস্তায় হাঁটেন৷
নিজেই নিজের বডিগার্ড হন, এইসব আর কি!
(মনমেজাজ বহুত খারপ৷ তাও একটু ফাজলামি করার লোভ সামলাতে পারলাম না৷)
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুউম। মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দুর্দান্ত এর ছবি

কিছু বলার নেই।

দময়ন্তী এর ছবি

সেটাই
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

শেষ কোথায়.....

-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়

দময়ন্তী এর ছবি

যদি জানতাম আনন্দী ..............
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

মৃদুলদার কথাটাই মাথায় ঘুরছে। অন্তত এতটুকুতো করতেই পারি আমরা। তাই না! তাই কী!

---- মনজুর এলাহী ----

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।