অরূপ তোমার ভাগাড়!

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: রবি, ১৩/১১/২০১১ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৪ই নভেম্বর শিশুদিবস, ইংরিজি মিডিয়ামের বাচ্চাদের 'চিলড্রেনস ডে'৷ এইদিনে কোনও কোনও সাংবাদিকের মনে পড়ে চায়ের দোকানের শিশুশ্রমিকদের কথা, কারও মনে হয় বাজির কারখানার শিশুশ্রমিকদের কথা, কেউ বা আবার কলকাতার পথশিশুদের মনে করেন এবং আমরা কাগজে দু চারটে লাগসই প্রবন্ধ পাই৷ আমি সাংবাদিক নই৷ আমার চারপাশে তাকালে আজকাল প্রায় বেশীরভাগ শিশুকে দেখলেই বড় অস্বস্তি হয়৷

তিনক্লাস থেকে দশক্লাস অবধি যে স্কুলটায় আমি পড়েছি, তার ঠিক পাশেই ছিল একটা ভাগাড়৷ জায়গাটা টিনের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা, আশেপাশের গাছগুলোতে বসে থাকত অজস্র শকুন৷ একটা বসতবাড়ীও ছিল কাছেই৷ দু চারটে শকুন সেই বাড়ীটার বারান্দায় বা ছাদেও বসত আর আমরা অবাক হয়ে বলাবলি করতাম ঐ বাড়ীর লোকেরা থাকে কেমন করে ওখানে? আর কীভাবেই বা ওরকম একটা জায়গায় জমি কিনে বাড়ী বানাবার কথা ভাবতে পারল!! কোন্নগর, আমাদের ছোট্ট মফস্বলে তখনও কিছু বাড়ীতে খাটা পায়খানা ছিল, আর পৌরসভা সেইসব বাড়ী থেকে টিনের ট্যাঙ্কার ধরণের গাড়ি করে পুরীষ সংগ্রহ করে এনে ঐ ভাগাড়ে ফেলত৷ এছাড়াও সারা কোন্নগরের যত মৃত জন্তুজানোয়ারও ফেলা হত ওখানে৷ আমাদের ছিল মর্নিং স্কুল৷ সাড়ে দশটায় যখন স্কুল ছুটি হত, তখনই বর্জ্য সংগ্রহ করে গাড়িগুলো ফেরত আসত৷ তাদের কারো কারো আবার ঢাকনি ভেঙে যাওয়ায় মুখটা খোলা৷ হরিদ্রাবর্ণের বিভিন্ন শেড ও বিভিন্ন ঘনত্বের তরল, অর্ধতরল গড়িয়ে আসার দৃশ্য খুবই সুলভ ছিল৷ প্রথমদিন ঐ স্কুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা ভয়ংকর৷ আকাশ বাতাস আমোদিত করা সেই গন্ধের থাপ্পড় যে না খেয়েছে, সে বুঝবে না সে কি বীভত্স! এরকম গন্ধকেই নিশ্চয়ই শাস্ত্রে টাস্ত্রে পুতিগন্ধ বলে৷ এক দেড়মাস পর থেকে অবশ্য উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া না দিলে গন্ধ আর তেমন করে টের পেতাম না৷ স্কুলের এক শিক্ষিকা প্রায়ই বলতেন স্বর্গে তাঁর জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা হচ্ছে --- স্রেফ মরার অপেক্ষা৷ কারণ এতদীর্ঘ নরকবাসের পর স্বর্গ ছাড়া আর কোথায়ওই তিনি যেতে পারেন না৷

ঐ ভাগাড়ের গন্ধটা আজও ছাড়তে চায় না আমাকে৷ মাঝে মাঝেই নাকে ফিরে আসে৷ কি যেন একটা অসুখ আছে না হঠাত্ হঠাত্ নাকে কোনও একটা গন্ধ এসে লাগে, যেটা হয়ত তখন সেখানে পাওয়ার কথাই না৷ কথা হল স্কুল কর্তৃপক্ষ ঐখানেই বা স্কুলটা স্থাপন করেছিলেন কেন কে জানে! ঐ ভাগাড় উঠিয়ে দেওয়ার জন্যও তাঁরা বিশেষ চেষ্টা করেন নি কখনওই৷ একই স্কুল বাড়ীতে সকালে একটি মেয়েদের ও একটি ছেলেদের প্রাইমারি স্কুল, মেয়ে দের একটি জুনিয়র হাই স্কুল (অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত) ও একটি হাই স্কুল হত৷ দুপুরে ছেলেদের একটি হাই স্কুল হত৷ তো এই এতগুলি স্কুল মিলিয়ে প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসংখ্যা কখনওই ৭০০ থেকে ৭৫০ র কম হত না৷ এই ৭০০-৭৫০ ছেলেমেয়ে প্রতিদিন বিদ্যালাভের সাথে সাথে গন্ধ সম্পর্কে সহনশীল হতেও শিখত৷ এই স্কুলগুলি অবশ্য কোন্নগরের ভাল স্কুলগুলির তালিকায় ছিল না৷ বিশেষত সকালের স্কুলগুলিতে প্রচুর প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের পড়ুয়া থাকত৷ স্কুল ড্রপ-আউটের সংখ্যাও যথেষ্ট৷ তবে ড্রপ-আউটের ফলেও ছাত্রীসংখ্যা খুব একটা কমত না, কারণ অন্যান্য ভাল স্কুলগুলিতে একই ক্লাসে একাধিকবার অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রীরা প্রায়ই এসে ক্লাস ভরিয়ে তুলত৷ তার ফলে কোন্নগরের সাধারণ লোকের এই স্কুলগুলি সম্পর্কে একটা তাচ্ছিল্যের মনোভাবই ছিল৷ শুধু বাইরের লোক নয়, শিক্ষক, শিক্ষিকারাও একইরকম তাচ্ছিল্যের মনোভাব দেখাতেন৷ সম্ভবত: এইজন্যই ভাগাড় ওঠানোর চেষ্টা তেমনভাবে করা হয় নি৷ বরং স্কুলটি আরও ভালভাবে 'ভাগাড়পাড়ার স্কুল' নামে পরিচিতি লাভ করেছে৷

যাগ্গে আমার স্কুলের গল্প বলার জন্য এই লেখা ফেঁদে বসিনি৷ দু চার কথা বলতে চাইছি ঐ তাচ্ছিল্য আর অবহেলার মনোভাব নিয়ে৷ শিশুদের জন্য কোনওকিছু ভেবেচিন্তে করার অভ্যেস আমাদের তেমন নেই৷ স্কুল বানাতে হবে, বানিয়ে দাও যেখানে খুশী৷ হোক তা কোনও চরম নোংরা জায়গায় বা অসম্ভব হইহট্টগোলভরা রাস্তার ঠিক পাশটিতে৷ বাচ্চাদের দিনের পর দিন ওখানে যেতে, বসতে কেমন লাগবে, কে তার কেয়ার করে৷ বাচ্চা ছেলেমেয়ে হবে বাধ্য সভ্য, বড়রা যা বলবে, তাই মাথানীচু করে মেনে নেবে -- এই হল আমাদের সমাজের প্রত্যাশা৷ অন্তত আমার ছোটবেলা অবধি তাইই ছিল৷ এখনও কি আর খুব একটা বদলেছে? বেশ কিছু ক্ষেত্রেই দেখি বাবা মায়েদের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে ছেলে মেয়েগুলো দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যাচ্ছে৷ বছর দুই আগে মস্ত হইচই হয়েছিল এক টেবিলটেনিস খেলুড়ে বাচ্চার মৃত্যু নিয়ে৷ তার বাবা অমানুষিক প্র্যাকটিস করাত আর কোথাও হারলেই টিটি ব্যাট দিয়ে পেটাত৷ এরকমই একদিন কোনও এক খেলায় হেরে আসার পর ওপরের ঘরে প্র্যাকটিস করাতে নিয়ে গিয়ে, না টিটি ব্যাট নয় সম্ভবত: ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটায়৷ ছেলেটি মারা যায়৷ ছেলেটির মা থানায় গিয়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করান৷ মা ও বোনের সাক্ষীর ফলে বাবার জেল হয়, কিন্তু কোর্টে কেস এখনও চলছে৷

'আমি পারি নি, ওকে পারতেই হবে' এই কথাটা কারো মুখে শুনলেই আমার মনে হয় কেন বাপু 'ও' কি তোমার গাধা? তোমার স্বপ্নের মোট বইবে? ও কি তোমায় কেঁদেককিয়ে বলেছিল 'দয়া করে আমায় পৃথিবীতে আনো আমি সারাজীবন তোমার স্বপ্নের বোঝা বয়ে চলব'? আমার এক দিদি তার বড় ছেলের জন্ম ইস্তক তাকে শুনিয়ে গেল ত্তোমায় কিন্তু কানপুর আই আই টিতে পড়তেই হবে আর বোর্ডের পরীক্ষায় দশজনের মধ্যে নাম থাকতে হবে৷ কেন কানপুর আইআইটিই কেন? কারণ ঐ দিদির মামাতো দাদা কানপুরে পড়ত, দিদি পারে নি৷ পারা দূরে থাক ধারেকাছেই আসে নি৷ তাই তার ছেলেকে তা পারতে হবে৷ আমার দিদির ঐ দাদা স্কুল লিভিং পরীক্ষায় আই সি এস ই'তে পঞ্চম হয়েছিলেন, তাই দিদির ছেলেকে অন্তত দশের মধ্যে থাকতে হবে৷ আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম ও যদি আই আইটিতে পড়তে না চায়? অন্য কিছু নিয়ে পড়তে চায়? দিদি একেবারে উড়িয়ে দিল৷ সেই ছেলের ক্লাস নাইনে গিয়ে সেই যে নার্ভাস ব্রেকডাউন হল, সে আর কোনওদিনই সেভাবে মূলস্রোতে ফিরতে পারল না৷ পাঁচবছর নষ্ট করে মাস্টার্স অবধি করেছে৷ এখনও নিয়মিত অসুধ খেতে, কাউন্সেলিং করাতে হয়, অথচ এইবারে দিদি জোর করে কোথায় একটা এম বি এ'তে ভর্তি করে দিয়েছে৷ ঐ ছেলে কিকরে সেই চাপ সামলাবে জানি না৷ আমার এত্ত অবাক লাগে, নিজেরই তো ছেলে, দেখছে পারছে না, দেখছে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাও চাপ দিয়েই যাচ্ছে, দিয়েই যাচ্ছে!! জীবনের কি অসীম অপচয়!

আর গত বছর চার পাঁচ ধরে শুরু হয়েছে কিছু কিম্ভুত 'ট্যালেন্ট হান্ট' প্রতিযোগীতা৷ এইটুকু টুকু কুট্টি কুট্টি ছেলেমেয়ে বড়দের মত চোখ মুখ ঘুরিয়ে ভঙ্গীতে লাস্য ফুটিয়ে নাচছে, গাইছে৷ দশ বছরের যে মেয়েটি সারা শরীরে হিল্লোল তুলে চোখেমুখে লাস্য ফুটিয়ে গাইছে 'দিল ভিল, পেয়ায় ভ্যেয়ার ম্যাঁয় কেয়া জানু রে-এ' তার বাবা মা তাকে ঠিক কোন স্বপ্ন পূরণ করতে ঠেলে দিয়েছেন? বাচ্চারা অনেকসময়ই অবিকল নকল করতে পারে অন্যের কন্ঠস্বর, গায়নভঙ্গী ইত্যাদি৷ তাই যে শিশুটি গাইতে ভালবাসে সে অবলীলায় গলায় তুলে নিচ্ছে ঐ সুর, গায়কী৷ কিন্তু ঐ লাস্য তো চোখেমুখে তার স্বাভাবিকভাবে আসার কথা নয় তখনই৷ তার মানে সে বুঝেছে যে ওটি তার নিজেকে বেচতে, নিজের গান বেচতে দরকার৷ অথচ আশা ভোঁসলে বা লতা মঙ্গেশকারের কোনওদিন দরকার হয় নি নিজেকে লাস্যময়ী দেখানোর৷ এটা কি ঐ শিশুগুলি জানে? ওদের কেউ বলেছে কখনও? যে বাচ্চাটা হেরে যাচ্ছে, সেও ভ্যাঁ করে কেঁদে না ফেলে প্রাণপণে চোখ্মুখ স্বাভাবিক করে 'থ্যাঙ্ক ইয়ু' বলছে৷ ঝট করে ধুকে পড়ছে বড়দের কৃত্রিম ভদ্রতার পৃথিবীটায়৷

এমনিতে এত এত প্রতিযোগীতা হয়ে একটা ভাল হয়েছে যে সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে, অনেকে সত্যিই প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে উঠে আসছে৷ কলকাতা কেন্দ্রিক ব্যপারটা একটু হলেও কমেছে৷ যেমন দীপান্বিতা কুন্ডু ওরফে পান্তাভাত৷ দীপান্বিতার মা নাচ শিখতেন, গ্রামে বিয়ে হওয়ার পর নাচ ছাড়তে হয়৷ তিনি শুধু চেয়েছিলেন তাঁর একটি মেয়ে হোক যাকে তিনি নাচ শেখাবেন৷ মেয়েটি আড়াইবছর থেকে নাচ শেখে, সাড়ে তিনবছরে ওকে এক টিভি চ্যানেলের নাচের অডিশানে নিয়ে গিয়েছিলেন ওর মা৷ সেখানে মিঠুন চক্রবর্ত্তী ওর নাচ দেখে অবাক হয়ে যান৷ আদর করে নাম দেন পান্তাভাত৷ মেয়েটি যে কোন নাচ দেখেই হুবহু তুলে নিতে পারে৷ এখন বয়স তার পাঁচ৷ আপাতত সে তারকা৷ এরকমই আরো কিছু গল্প আছে৷ কিন্তু চিন্তার বিষয় হল যারা পারছে না, কয়েক রাউন্ডের পর ছিটকে যাচ্ছে, তাদের কী হবে বা হচ্ছে? আমরা যারা টিভিতে অনুষ্ঠানগুলো দেখি, তার জানতেও পারছি না হেরে যাওয়া বচ্চাগুলো সর্বোপরি তাদের বাবা মা'রা পরাজয় ব্যপারটা ঠিকভাবে নিচ্ছে তো? এত বেশী প্রতিযোগীতা দেখে আজকাল একটা আশঙ্কা হয় যে এতে করে আরও বেশী করে বাচ্চাদের 'তুমি অসফল' বলে দাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে৷ ঐ যেমন ভাগাড়পাড়ার স্কুলে তারাই যেত যারা আর্থিক বা সামাজিক, কোনও না কোনওভাবে অসফল৷ তেমনি রিয়ালিটি শোয়ে তেমন কিছু করতে পারে নি, তাই নাচে, গানে, সাধারণ জ্ঞানে এদেরও 'কিস্যু হবার নয়' এই মনোভাব এই বাচ্চাগুলোর পেছনে তাড়া করে বেড়ায় হয়ত৷ অথচ আমার এক ইউ কে ফেরত বন্ধুর কাছে শুনেছি ওখানে বাচ্চাদের মনে প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব জন্মাতে না দেওয়া গুড পেরেন্টিং প্র্যাকটিস হিসাবে শেখানো হয়৷ আর আমরা বোধহয় গোটা রাজ্য, গোটা দেশের সমস্ত শিশুকেই একে অঅপ্রের বিরুদ্ধে প্রতিযোগীতায় নামিয়ে দিতে চাই৷

বলছিলাম না ভাগাড়ের গন্ধটা মাঝে মাঝেই আমার নাকে এসে ধাক্কা মারে৷


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

উত্তম জাঝা! কি বলব দমুদি, সব আপনে বলেই দিলেন। তবে গন্ধের ব্যপারটাই দোমিনিক ল্যাপিয়েরের সিটি অফ জয় বইটির কথা মনে পড়ল।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ অণু৷
দোমিনিক দাদার ওটা মনে হচ্ছে একটু অন্য কনটেক্সটে৷ তবে আমি সেই ছোট্টবেলায় পড়েছিলাম, স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করতেই পারে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক । আরও বলুন এদের নিয়ে। প্রয়োজনে একটা সিরিজ লিখুন। দরকার আছে ভীষণ ভাবে।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷
ইচ্ছে তো হয় অনেক লিখতে, কিন্তু সময়? তার যে দেখাই পাই না৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কল্যাণF এর ছবি

চলুক

দময়ন্তী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রু (অতিথি) এর ছবি

প্রতিটা বিষয়ে সহমত। আপনি অনেক কম লিখেন, এটা উচিত না।

দময়ন্তী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আরে সময় পাই না যে৷ নাহলে লিখতে তো আমারও ভাল্লাগে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নিটোল এর ছবি

গুরু গুরু

_________________
[খোমাখাতা]

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ লেখা

যে বাচ্চাটা হেরে যাচ্ছে, সেও ভ্যাঁ করে কেঁদে না ফেলে প্রাণপণে চোখ্মুখ স্বাভাবিক করে 'থ্যাঙ্ক ইয়ু' বলছে৷ ঝট করে ধুকে পড়ছে বড়দের কৃত্রিম ভদ্রতার পৃথিবীটায়৷

লাখ টাকার পুরষ্কারের বিণিময়ে এদের বাল্যকাল কেড়ে নিচ্ছে কর্পোরেট পূজিঁ... এদের রেহাই কে দেবে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দময়ন্তী এর ছবি

এহেহে একগাদা বানান ভুল আছে৷ মন খারাপ
আমরা কেন কর্পোরেটকে কাড়তে দিচ্ছি নজরুল? যে বাচ্চাগুলো আসে, তারা কেউ খুব অভাবী নয়৷ আমাদের উদগ্র লোভই বাচ্চাগুলোর জীবন বদলে দিচ্ছে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বাউণ্ডুলে এর ছবি

উত্তম জাঝা!

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নৈষাদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আলোচনা। চলুক

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷ হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লাজওয়াব দিদি! গুরু গুরু । ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দময়ন্তী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কিন্তু লেখাটা অগোছালো হয়েছে পান্ডব৷ তাড়াহুড়ো করে একটানে লেখা৷ মন খারাপ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কালো কাক এর ছবি

ছোট বাচ্চাদের এই বড়পনাভাব কারো ভাল লাগে বলে তো শুনিনা। তবু কেন এমন চলছে বুঝে পাইনা ! বড়দের গান, বড়দের ভাবে নাচ, অঙ্গভঙ্গি কুৎসিত লাগে দেখতে।

কালো কাক এর ছবি

ছোট বাচ্চাদের এই বড়পনাভাব কারো ভাল লাগে বলে তো শুনিনা। তবু কেন এমন চলছে বুঝে পাইনা ! বড়দের গান, বড়দের ভাবে নাচ, অঙ্গভঙ্গি কুৎসিত লাগে দেখতে।

দময়ন্তী এর ছবি

সেটাই কথা৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

"চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ" এর অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিইয়ে কেউ কিছু লিখুন। অনুগ্রহ করে।

দময়ন্তী এর ছবি

এইরে! এইটা তো দেখি নাই৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার লেখা! চলুক

'চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ' চূড়ান্ত পর্বটা শুধু দেখেছিলাম গতবার। অঙ্গভঙ্গি, সাজপোশাক যাচ্ছেতাই লেগেছিল! ৫ বছরের কচি চোখেমুখে কাজল পমেটম মাখার দরকার নেই তো। অ্যাঁ
শিশুদের কাছ থেকে শৈশব কেড়ে নেয়ার এই কর্পোরেট নোংরামো থামানো দরকার, যে ভাবেই হোক।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

হুঁ সেটাই কথা৷
কিন্তু কর্পোরেটকে আমি পুরো দোষ দিতে পারি না৷ বরং অনেক বেশী দোষ অভিভাবকদের৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

যুধিষ্ঠির এর ছবি

সুমনের গান মনে হয়ে গেলো:
চৌকস তো হচ্ছে মেয়ে সকাল সন্ধেবেলা, হয় না এখন আপন মনে এক্কাদোক্কা খেলা।

ভালো লেগেছে লেখা।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির৷ হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

shafi.m এর ছবি

জীবনে খুব কম প্রতিযোগিতা করেছি, হেরেছি তারও বেশি (মাধ্যমিক পর্যন্ত কেদেঁছিও অনেক, এখন অবশ্য কান্না-কাটি ফালতু নাটক মনে হয়)। এখনো হারি, তবে দাঁত বের করে চলে চলেছি (মুভ অন করতে জানি)। পুচকাগুলার জন্যে খারাপ লাগছে।

শাফি।

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশালতা এর ছবি

দমুদির প্রকাশ ভঙ্গির আমি বড় পাঙ্খা। কিন্তু ঐযে একটা উপন্যাস ছিল সেইটা কই গেল ? সবাই হিমুর মত চা খেতে শুরু করলে আমরা পাঠকরা কই যাই ? চিন্তিত

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দময়ন্তী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

ওটা বাড়ছে আস্তে ধীরে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানিম এহসান এর ছবি

খুবই প্রয়োজনীয় পোস্ট। আপনাকে সাধুবাদ। দিদি, সেইযে উপন্যাস খানি শুরু হয়েছিলো কিশোরগঞ্জ শহরের বুকে তার অপেক্ষায় রয়ে গেছি মন খারাপ

দময়ন্তী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

ওটা বাড়ছে আস্তে ধীরে৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।