আমাদের সেই উমনো ঝুমনো ছেলেবেলায় শীত আসত রাজার মত|
চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়ে যেত দুর্গাপুজোর পর থেকেই| লক্ষ্মীপুজোর ভোগ রান্নার সময় একপ্রস্থ আলোচনা হত শীতের আগমন কিম্বা অনুপস্থিতির কারণে ফুলকপির স্বাদের তারতম্য নিয়ে| শীতের কপির স্বাদ যে না-শীতের কপির থেকে একেবারে আলাদা সে নিয়ে কারো কোন সন্দেহ ছিল না| ইস্কুলের পুজোর ছুটি খোলার আগেই বাগানে কোদাল পড়ে যেত| আশ্বিনমাসে ভাল রোদ্দুর পেলে বাগানের মাটি একেবারে সাদাটে রঙ ধরে থাকে| অ্যাই বড় বড় ফাট, তাতে সরু মোটা কালো কালো ইকড়ি মিকড়ি| ধাঁই ধপাধপ ধাঁই ধপাধপ সে মাটি কুপিয়ে, জল দিয়ে, খুরপি দিয়ে মিহি করে নিড়িয়ে শুকনো গোবরগুঁড়ো আর বর্ষাকাল থেকে বাগানে পচানো পাতা, তরকারির খোলা, কয়েকগাছি খড় মেশানো কম্পোস্ট সার মিশিয়ে এক সপ্তাহ ফেলে রাখা হবে| এক সপ্তাহ জমিটুকুনি রোদ্দুর খাবে, ভিজে ভাব আস্তে আস্তে শুকিয়ে কালচে মাটি ধুলোটে রঙ ধরবে তারপর তাতে সরু সরু ফাট ধরবে| এ ফাট কিন্তু আশ্বিনের রোদে জ্বলা মস্ত মস্ত ফাট নয়, এ হল মিহিমত ফাট, যেন বা সুনীতিপিসী চুল শুকাতে বসে হিলিকিলি করে বিলি কেটে এলিয়ে রেখেছে কাঁচাপাকা চুলের রাশি| এবারে সরু খুরপি দিয়ে নিড়িয়ে খোল পচানো জল দেওয়া হবে| আহা তার কি গন্ধ!! পুবের জানলা সবসময় বন্ধ রাখতে হয় প্রায়| দুদিন, তিনদিন দুবেলা করে খোল পচানো জল দেবার পর একদিন বিকেলের রোদ পশ্চিমে ঢললে এইটুকু টুকু ফুলকপি, ওলকপি, শালগম আর বেগুনের চারা বসানো হবে| কচি কচি চারাগুলো এক্দম ঘাড় নুইয়ে নেতিয়ে পড়ে থাকে, যেন আর বাঁচবেই না| এইবারে তাতে ঝাঁঝরি করে জল দিয়ে রাতের মত রেখে দেওয়া, এরমধ্যে খবরের কাগজের টুকরো আর ঝাঁটার কাঠি দিয়ে বানানো হয়েছে ছোট ছোট টোপর| পরদিন বেলা ন'টা বাজলেই সব চারাগাছে টোপর পরানো হয়ে যাবে, নাহলে অত কচিচারা সারাদিনের রোদ্দুরে শুকিয়েই মরে যাবে যে! বিকেল চারটেয় আবার তারা টোপর খুলে নেতিয়ে শুয়ে থাকবে,ঝাঁঝরিতে চান করবে| এই চলবে যতদিন না চারাগুলো একটু ডাঁটো হয়ে রোদ্দুরের সাথে খেলতে শিখে যায়|
ওদিকে আমাদের মর্নিং স্কুল আধঘন্টা পরে শুরু হয়৷ আর সক্কাল সাড়ে ছটার মধ্যে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পৌঁছাতে হয় না, সাতটা বাজার ৫-১০ মিনিট বাদে গেলেও দিদিমনিরা তেমন কিছু বলেন না৷ স্কুল ছুটি হয় কিন্তু সেই একই সময়, সাড়ে দশটা৷ ক্লাসের সময় এমনিভাবে কমে যাওয়াটা ভারী ভাল লাগত৷ যেন একটা মুক্তির স্বাদ, রুটিন পড়াশোনা থেকে খানিক আলগা হওয়া৷ আর সেসময় তো নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেই বার্ষিক পরীক্ষা হত৷ দিদিমনিরা যাতে খাতা দেখার জন্য বেশীদিন সময় পান, তাইজন্য নভেম্বরেই পরীক্ষা শেষ করার চেষ্টা থাকত স্কুলগুলোর৷ তাছাড়া ডিসেম্বরে আবার ক্লাস টেনের টেস্ট পরীক্ষাও হবে৷ সে ভারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার৷ তাই আমরা ছোটরা ডিসেম্বরটা বেশীরভাগ পুরোই ছুটি পেতাম৷ কিন্তু তার আগে নভেম্বরের মাঝামাঝি কোনও এক সময় থেকে প্রতি রবিবার ইতুপুজো হত৷ এই পুজোটা খালি আমার বড়মামীমা করত৷ সে নাকি টানা সতেরো বছর করতে হয়৷ ইতুপুজোর জন্য প্রতি শনিবারে টাটকা মুড়কি বানাত দিদা আর বড়মামীমা৷ রবিবারে তাই আসত প্রসাদ হয়ে, চালকলার সাথে মাখা হয়ে৷ ভাইয়ের জন্য আলাদা একটা বাটিতে করে আসত শুকনো মুড়কি, ও খুব ভালোবাসে তাই৷ আমিও খুব ভালোবাসতাম শুকনো মুড়কি, কিন্তু 'মেয়েদের আবার অত নোলা কি?' তাই আমার ছোটবেলার স্মৃতিতে 'শুকনো মুড়কি' একটা একটু হ্যাংলামত লোভের নাম হয়ে থেকে গেছে৷
নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে আরও পাওয়া যেত কাঁচা আমলকি৷ মামার বাড়ীতে ৫-৭ কিলো আমলকি কিনে কুচি কুচি করে কেটে সামান্য নুন মাখিয়ে বারান্দায় খবরের কাগজ বিছিয়ে তাতে শুকানো হত৷ দুপুরে যখন বড়রা সবাই ঘুমোয় কিম্বা গল্পের বই পড়ে তখন কয়েকটা তুলে এনে ছাদে বা উঠোনের কোণার দিকে বসে চুষে চুষে খাওয়া আর শেষ হলে একগ্লাস জল খেয়ে নেওয়া, একেবারে রোজের রুটিন৷ এদিকে বার্ষিক পরীক্ষার ফল বেরোবে সেই ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ৷ ততদিন মনের আনন্দে সারাদিন খেলা আর বই পড়া৷ মাঝেমধ্যে টুকটাক বেড়ানও হত৷ আর বেড়ান মানেই গরম জামা নাও রে, টুপি নাও রে, কারো অল্প ঠান্ডা লেগে থাকলে তার জন্য মাফলারও দরকার, যাতে উত্তুরে হাওয়ায় আরও বেশী ঠান্ডা না লাগে৷ হাতে বোনা সেসব সোয়েটার, মাফলার আবার বংশানুক্রমে বয়ে চলত, রিইজেবল ফাংশানের মত৷ আমার মামাতো দিদি, ছোটদির সরষে রঙের চওড়া বর্ডার দেওয়া অফ হোয়াইট সোয়েটারটা ছোটদির পর আমি পরেছি বছর চারেক, তারপর সেটা সেজমামার মেয়ে খুকু পরে বছর দুই, তারপর যথাক্রমে ছোটমামার দুই মেয়ে রনি, বনি এবং সবশেষে বনির মামাতো বোন মৌটুসী পরে৷ এদিকে গরমজামার এত রিইউজেবিলিটি থাকলে কি হবে, ওদিকে মা, মামী, পিসীরা পুজোর পরে পরেই দোকানে গিয়ে নানারকম উল কেনা শুরু করে দিত৷ আর ছিল প্যাটার্ন হান্ট৷ কারো গায়ে যদি এমন কোনও সোয়েটার দেখা গেল, যার গায়ের নকশা একদম নতুন, সেটার প্যাটার্ন উলকাঁটায় তুলতে না পারা পর্যন্ত এই মা-মামী-পিসী কুলের রাতের ঘুম চলে যেত প্রায়৷ এরমধ্যে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিল আমার ছোটপিসী, যাঁকে আমি সারাজীবন 'জিজি' বলে ডেকে এলাম৷ জিজি শিকারীর ক্ষিপ্রতায় গিয়ে পাকড়াও করত নতুন নকশাওলা সোয়েটার পরিধানকারি/কারিণীকে৷ তারপর নানারকম একথা, সেকথা আশকথা পাশকথায় ভুলিয়ে সোয়েটার খুলিয়ে সামনে পেছন ভাল করে দেখে নকশা মাথার মধ্যে গেঁথে নিয়ে বিজয়গর্বে ফিরে আসত৷ পরবর্ত্তী দুই তিনদিনের মধ্যে সেই নকএঅশা উলেকাঁটায় তুলে ফেলে তবে শান্তি৷ তারপর শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ সেই নকশাকরা সোয়েটার হয়ত পাবে দাদা কিম্বা আমি, নয়ত ছোড়দি এমনকি আমার পুঁচকে ভাইয়ের জন্যও হতে পারে তা৷
জিজি প্রতিবছর আট থেকে দশখানা সোয়েটার বুনত৷ মাঝেমধ্যে উলের চাদরও বুনে ফেলত একটা দুটো৷ এখন ভাবলে প্রায় অবিশ্বাস্য লাগে, জিজি ছোটবেলায় বার দুই গরমজলে পুড়ে গিয়েছিল, ফলে বাঁ হাতের আঙুলগুলো, বিশেষ করে বুড়ো আঙুল চামড়া দিয়ে জুড়ে গেছিল অন্য আঙুলগুলোর সাথে৷ তারজন্য বাঁ হাতের কাঁটা ধরত মুঠো করে; ঐ প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এত অজস্র অজস্র গরমজামাকাপড় বুনত প্রতিবছর৷ আর সেসব কি ডিজাইন! এখনকার মন্টি কার্লো ইত্যাদির অমন ডিজাইন কিনতে গেলে মানিব্যাগে ম্যানহোল তৈরী হয়ে যাবে৷ আমাকে একটা আকাশী নীল রঙের ছয় কাটের উলের ফ্রক বানিয়ে দিয়েছিল, তাতে সাদা কুরুশের কাজ করা ঝালর, ফুলপাতা বসানো, সাদা ক্রচেট সুতো দিয়ে বোনা আড়াই ইঞ্চি চওড়া বেল্ট৷ সঙ্গে একই কম্বিনেশানের টুপি৷ আরেকবার, আমি গোলাপী রঙ ভালোবাসি বলে আমাকে টানা দুইমাস ধরে জিজি লোভ দেখাচ্ছে যে আমার জন্য নাকি একটা দারুউণ দুন্দর গোলাপী সোয়েটার বানানো হচ্ছে৷ এত দেরী হওয়ার কারণ সেই অসাধারণ সোয়েটারের নকশার উপযুক্ত ম্যাচিং উল পাওয়া যাচ্ছিল না৷ শেষে সরস্বতী পুজোর আগের দিন জিজি এল সেই সোয়েটার নিয়ে৷ বার করে আস্তে আস্তে খুলে ধরল আমার সামনে৷ শকিং পিঙ্ক পুলওভার বুকের কাছে চার আঙুল চওড়া ধপধপে সাদা অংশে তুঁতে, উজ্জ্বল সোনালী হলুদ আর সেই শকিঙ পিঙ্ক দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জ্যামিতিক নকশা৷ খুব কাছ থেকে হাতে নিয়ে না দেখলে বোঝা যায় না মেশিনে না হাতে বোনা৷ কিন্তু হায় অত শকিং রঙ তখন আমার একটুও পছন্দ হল না, আমার মুখের ভাব দেখে জিজি কতকিছু বলল৷ কিন্তু ছোটরা বড় নির্মম হয়, তাই আমি অবলীলায় বলে দিলাম 'এটা একটা বিশ্রি জামা৷ অত ক্যাঁটক্যাঁটে রঙ আমি কক্ষণো পরব না'৷ বেচারী কত আশা করে নিজের স্বপ্ন আর ভালবাসা মিলিয়ে মিশিয়ে বুনেছিল সেই গরমজামাখানা৷ সেই জামা আমি বড় হয়ে কলেজে পড়ার সময় অনেক পরেছি৷ যে দেখত সেই প্রশংসা করত, আমারও শকিঙ পিঙ্ক আর তখন মোটেই খারাপ লাগত না৷ কিন্তু জিজিকে সেকথা কেন যেন কখনও সেরকম করে জানানো হয় নি৷ আজ যখন এটা জানিয়ে দেওয়ার আর কোনওই উপায় নেই, তখন জিজির সেই কেমন একটা হতাশ দু:খীমত তাকিয়ে থাকাটা আজকাল আমাকে বড্ড কষ্ট দেয়৷
ঐ যা: সেই কপি বেগুন গাছগুলোকে সেই কচিচারা অবস্থায় ফেলে রেখে এসেছি৷ থাক আরেকদিন হবে নাহয় ওদের গল্প৷
মন্তব্য
অর্ধেক পড়ার পরে আর সহ্য হইল না। আগে শীতের বাংলায় ফিরি। বাংলার শীত!
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খুব বেশি সুন্দর।
ধন্যবাদ রু
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এক শীতে ভাইয়া আমাদের উঠোনে শখ করে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। তাতে আমার উৎসাহের সীমা ছিলো না। ভোরবেলা পানি দিতে হবে বিধায় রাতের ঘুম হারাম। ছোটবেলার শীতগুলো বেশ আনন্দের ছিলো। সবচেয়ে আনন্দের ছিলো স্কুল না থাকাটা... আহ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শীতের মরসুমে বাড়ীর ফুলকপি এই ১০-১২ বছর আগেও খেয়েছি| আমি নিজেও কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে কুপিয়ে গাছটাছ বসিয়েছি|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ছোটবেলায় আমিও হাতে বোনা শোয়েটার পরেছি। কিন্তু সে তো অনেক আগের দিনের কথা। আর কপির চারার কথায় চোখের সামনে ভেসে উঠলো কাঠি পুতে ঠোঙ্গা দিয়ে ঢেকে রাখা চারার ছবি।
খুব আনন্দ হল পড়তে গিয়ে।
ধন্যবাদ|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খুব বেশী নস্টালজিক! রাত দুপুরে এমন উতল করা লেখা পড়ায়েন না দমুদি, ভেতরে খা খা করে ওঠে।
facebook
ধন্যবাদ|
আপনি যেমন আজ ল্যাপল্যান্ড কাল থাইল্যান্ড করে জ্বালিয়ে দেন
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শীতের কুয়াশাটা নস্টালজিক করে দেয় খুব।
এমনিতেই আমি স্মৃতি আঁকড়ে থাকা মানুষ...
লেখা ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বিস্তারিত মন্তব্য লিখতে গেলে আরেকটা পোস্ট হয়ে যাবে। বিষয়গুলো বরং সামনের জন্য রেখে দেই। একটা বিষয়ে একটু বলি।
উল বোনা, ক্রুশের কাজ, সেলাই-এ ডিজাইন তোলা এগুলো অন্তত বাংলাদেশে আমাদের মায়েদের প্রজন্ম যাবার সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে। এটা ঠিক কি ভুল সেই বিতর্কে যাবো না। তবে আমাদের চোখের সামনে এভাবে একটা হস্তশিল্পের ঐতিহ্য শেষ হয়ে যেতে দেখলাম। ব্যাপারটা হজম করা কষ্টকর।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হুঁ সেটা ঠিক৷
তবে উলবোনা বা অন্যান্য সেলাইফোঁড়াই রীতিমত একটা জীবিকা হয়ে গিয়ে একদিকে বেশ ভাল হয়েছে৷ অনেককে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করেছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সত্যি বলছি একদম শীতের কপির মতই স্বাদু হয়েছে লেখাটা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হাতে বোনা সোয়েটারের মত একটা নিখাদ ওম পুরো লেখাটায়...কতকিছু মনে পড়ে গেল...
দময়ন্তী ছোটবেলায় বায়স্কোপ বলে একটা জিনিস দেখতাম আমরা। একটা টিনের বাক্সে চোখ লাগিয়ে দেখতে হতো। বাক্সের ভেতর ছবিগুলি এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে যেত, আর কথক ধারা বিবরণী দিয়ে যেতো। শীত শীতালি পড়তে বসে অনেকদিন পর আমার ঠিক সেই অনুভূতিটা হলো। আপনি চোখের সামনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমার পুরো ছেলে বেলাটা দেখিয়ে দিলেন। এতো নিখুঁত! এতো পরিষ্কার! আমার ছেলে বেলার সাথে
আপনার ছেলে বেলার এতোটা মিল হবার কথা নয়। হয়ত শুধু সময়টাই বদলায়, বাকী সব একই থাকে।
--------------------------------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন