আমাদের বাসায় ২টা বেড়াল ছানা আছে!! যদিও ২টাই মানুষের ছানা, তাও আমার কাছে বেড়ালের ছানাই মনে হয়!বড়টা আস্তে আস্তে মানুষের ছানা হয়ে যাচ্ছে...তবে পিচ্চিটা এখনো গুব্লা গুব্লা বিল্লি ছানাই রয়ে গেছে!
বড়টার নাম হাসিব,ছোট্টটা সাহিক। আমার আপু অফিসের কাজে পুরা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ায় আর মিটিং করে!!! তাই এই পিচ্চি দুইটা আমার আম্মুর কাছেই বড় হচ্ছে বলা চলে!
বড়টা যখন ছোট ছিল, বেশ শান্ত ছিল, মজার মজার কথা বলতো, তবে কাউকে জ্বালাতন করতো না- যাকে বলে লক্ষী আব্বুটা!
ছোটটা ঠিক তার বিপরীত।হেন দুষ্টামী নেই যেটা সে করে না!!আর মার্কামারা ডায়ালগ সারাদিন দিতেই থাকে!শিশুদের জন্য “হ্যাঁ” বলুন --মনে হয় ওকে দেখেই প্রথম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো!! তার কোন আবদারে কিছুতেই না উচ্চারণ করা যাবে না!
যদি বলি, “মাটিতে ঠাণ্ডা, বসো না”-- সে হাত পা ছড়িয়ে মাটিতেই বসবে...আর কেউ বাঁধা দিলে ফ্লোরে মাথা ঠুকা শুরু করে দেয়! (কী ভয়ংকর) পারতপক্ষে কেউ তাকে আর ঘাটায় না!
ইদানিং সে আরেকটু চালাক হয়েছে! যাই পায় হাতের কাছে বারান্দা দিয়ে ফেলে দেয় আর সুন্দর করে আমার আম্মুকে এসে বলে “ ‘অমুক জিনিস’ হালায় দিসি”
এমনিতে সে খুব সুন্দর করে কথা বলে!!পরিষ্কার শুদ্ধ ভাষায়! শুধুমাত্র কিছু ফেলে দিলে বলে “হালায় দিসি ”
এই নিয়ে অনেক কিছুই ফেলে দিয়েছে!!যতটুকু মনে পড়ে তার লিস্ট এ আছে ঃ
তার নিজের ৪ জোড়া জুতো, এর মধ্যে ৩ জোড়া উদ্ধার করা গেলেও বাকি এক জোড়ার আর কোন হদিস নাই!
আমার একটা খুব প্রিয় পুতুল!
চাবির গোছা ( ২বার তার মায়ের আলমারির আর ২ বার আমাদের মেইন গেইট এর চাবি)
নিজের অসংখ্য জামা
খুব সুন্দর একটা শো পিস
আমার টাওয়াল...
ইত্যাদি।
যাইহোক, ইদানিং সে নতুন উৎপাত শুরু করেছে!সবাইকে কাকা বলে ডাকে!!!
এই যেমন সেদিন রাতে আম্মু আমাকে দায়িত্ব দিলেন এই ২টা কে ঘুম পাড়াতে!আমি ঘুমে উল্টে যাচ্ছিলাম, কিন্তু দুই জনের খেজুরে আলাপ কিছুতেই শেষ হয় না!!
বড়জনঃ তুমি কি করো?
ছোটজনঃ আমি কাজ করি...আর হচ্ছে আর হচ্ছে...(চুপ)
বঃ কী কাজ করো?
ছোঃ লেখালেখি করি ( কী জিনিয়াস!!! লেখা পড়া করে না...সে এখন থেকেই লেখালেখি করে!!)
বঃ কোথায় লেখালেখি করো?
ছোঃ কেনো?ইশকুলে?
বঃ কোন স্কুলে?
ছোঃ টাইনি টটস! ( পুরাই বানানো কথা!তার জন্মের পর পর ই তার বড় ভাই এই স্কুল থেকে “সানিডেল” এ শিফট করে! কাউকে হয়তো শুনেছিলো ভাইয়ের আগের স্কুলের নাম বলতে!! )
বঃ টাইনি টটস কই?
ছোঃ স্কুলে !
বঃ স্কুল কই?
ছোঃ টাইনি টটস এ
বঃ স্কুলে কে পড়ায়?
ছোঃ মেডাম ( ম্যাডাম না কিন্তু)
বঃ ম্যাডাম এর নাম কী?
ছোঃ মেডাম কাকা! ( এই পর্যায়ে এসে আমি আর বড়জন খিক খিক করে হেসে ফেলি!! আমাদের হাসি শুনে ছোটজন চিৎকার করে বলতে থাকে “ মেডাম কাকা...মেডাম কাকা...মেডাম কাকা...)
ইদানিং প্রায় সব কথাতেই সে কাকা নিয়ে আসে!
আম্মুকে ডাকে “নানুকাকা” খালামুনিকে ডাকে “ ছোট আপু কাকা”
নিজের ভাইকে ডাকে “ ভাইয়া কাকা”, বাবা আর মাকে “বাবাকাকা আর মাকাকা”...
আর সত্যিকারের কাকা “ জসিম কাকা” কে সে এখন ডাকে “ জসিম ফুপি”
কেমন ফাজিল!!!
তার সব অদ্ভুত প্রশ্ন !! সেইদিন আমাদের বাসায় এক মেহমান এলেন! উনি নামাযের ওযু করতে বাথরুমে ঢুকতেই সে দরজা ধরে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো “এখন কী তুমি ইমারজেন্সী করবা??”
খুবই ভদ্র বাচ্চা!!তাই "হা* করা" কে সে ইমারজেন্সী বলে!
ছোট বাচ্চারা নাকি অনেক প্রশ্ন করে ! কিন্তু তাই বলে এতো প্রশ্ন?
মাঝে মাঝেই দেখা যায় ছোটজন একা একা গুন গুন করে গান গাইছে “ বসে আছি একা আমিইইইইই...” ---মিনার এর গান মনে হয়!
কিংবা “ আমি চিৎকার করে কাঁদিতে গিয়েও করিতে পারিনি চিৎকার !!! কতটুকু অশ্রু গড়ালে তাকে তুমি ...”
আমার নিজের ও মনে নাই!!এটা হচ্ছে হায়দার হোসেন এর গাওয়া কোন একটা গান!
আমার যখন খুব মন খারাপ হয়, তখন এই পিচ্চিটা হচ্ছে আমার মন ভালো করার টনিক! ওকে দেখলে আর কিছুতেই মন খারাপ করে থাকা যায় না!! একটা গুব্লা আমার!!
ছোট বাচ্চারা এত্তো কিউট কেনো হয় কেউ কী বলতে পারেন ??
মন্তব্য
দু'জন-ই আপনার কথা অনুযায়ী "এত্তো কিউট"।
ডেঞ্জারাস পিচ্চি দেখি! সাংঘাতিক কিউট!
এই জিনিস পত্র ফেলে দেয়া ফেইজটা মনে হয় কমবেশি সব পিচ্চিরই আসে। আমার চাচাতো ভাইটা যখন অনেক ছোট, কি এক কারনে তার পৃথিবীর সব আলু আর পেয়াজের সাথে শত্রুতা দেখা দিল। যতই আলু আর পেয়াজ কেনা হোক গায়েব হয়ে যেত! পরে দেখা গেলো সে জানালার পাশে দাঁড়ালেই পাশের বাড়ির ছাদে আলু পেয়াজের বন্যা বয়ে যায়!
আমার ভাগ্নি তো টার্গেট করে মানুষের মাথায় পেঁয়াজ ছোঁড়ে!
হিহিহিহিহিহ...আপনাদের পাশের বাসায় থাকা উচিৎ !! তাহলে আর আমাদের আলু পিঁয়াজ নিয়ে টেনশন ই করতে হতো না!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
পিচ্চির কার্যকলাপ পড়ে নির্মল আনন্দ উপভোগ করলাম! প্যারাগ্রাফিং ঠিকঠাক হলে আরো সুখপাঠ্য হবে লেখা। আপনার মজারু লেখা অব্যাহত থাকুক।
(হাগু শব্দটায় '*' ব্যবহারের দরকার ছিল না।)
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
খবিশদের দরকার এর সাথে তারানার দরকারের মিল নাইক্কা!!!
আপনি এই ব্যাপারে আমাকে গিয়াইন দেন কী বুঝে ?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আহারে রাহিন পুলাটা তোকে গঠনমূলক পরামর্শ দিতাসে তুই রাগ করস ক্যান ?
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ব্যাপক মজা পাইলাম আপনের লেখা পইড়া। আসলে বিলাইদের কার্যকলাপ পইড়া।
আমার ঘরে একটা আছে, এটার কাণ্ডকারখানা লেখলেও দুয়েকটা ব্লগ ভরায়ে ফেলা যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিলাই সবজায়গায় একই রকম। অনেক আগে আমাদের বাসার প্রথম বিলাইটা একটু বড় হলে একই কান্ড করতো। আমরা যে বিল্ডিং এ থাকতাম তা বেগুনবাড়ি ঝিলের উপর ঝুলে ছিলো। সরকারী বাসা, যতটুকু লম্বা তার পুরোটাই বারান্দা, সুতরাং বুঝতেই পারেন বিলাইয়ের আধিপত্য। সেই বিলাই এখন কানাডা থাকে, আপনার লেখাটা পড়ে ওকে নেটে যখন জানালাম বলে- “যাহ্ কাকু, আমি অরকম করতাম নাকি?”
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
হাহাহা...সে এখন কত বড়?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
বাচ্চা ভয়ংকর...কাচ্চা ভয়ংকর!!!!
অনেক আদর রইলো....
*তিথীডোর
সবাইকে কাকা বললে তো মুশকিলের কথা। তবে পিচ্চিরা এ বয়েসে এমই হয়। চিন্তার কিছু নেই।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
সাবলীল লেখা।
পিচ্চির মল সংক্রান্ত প্রশ্নে নির্মল আনন্দ পেলাম
--------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
হাসিব নামের সবাইই মুটামুটি ভালু লুক হয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ!
আহেম!!!
তয় কথা সুত্যু!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
বিল্লিগুলারে আমি ভীষণ ভয় পাই।
একেবারে পিচ্চি বিল্লিগুলা অনেক ফাজিল। কোলে উইঠ্যা খালি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপালন করে।
আরেকটু বড় হইলে শুরু হয় অন্য অনেক ধরনের বিল্লিমি। আপ্নের উল্লেখ করা অনেক বিল্লিমির একটা খুবই মারাত্মক- প্রশ্নগুলা। সেইদিন একভাগ্নি জিজ্ঞেস করে, 'মামা তোমার গার্লফ্রেন্ড নাই কেন? নানু কী তোমায় পকেটমানি কম দেয়?'
বুঝেন অবস্থা...
মনটা অনেক খারাপ হয়েছিলো... বিল্লিগুলার কাহিনী পইড়া মনটা ভাল হইয়া গেলো।
---- মনজুর এলাহী ----
জটিল প্রশ্ন।
এখনকার বিল্লি গুলা বড়ই মারাত্মক। আমার মবিল (মোবাইল আর কি) ঘাইট্যা আমার আর আমার ইয়ে কতো গুলো ছবি বাইর কইরা তাদের নানু ভাইকে দেখায় দিছে...কন দেহি মেজাজটা কেমন লাগে ?
---নীল ভূত।
হ!! একদম উচিৎ কাজ করসে সে!!আমার হয়ে ওরে ২ টা উম্মা দিয়া দে!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
"জসিম ফুপি" , ঝাক্কাস টাইপের লেখা হয়েছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার বড় ভাগ্নি পিচ্চিকালে আক্ষরিক অর্থেই বেড়ালছানার মতো ছিলো। মাঝে মাঝে বেড়ালের মতো মেঝেতে চিৎপাত হয়ে শুয়ে হাত পা নাড়তো। দেখতেও বেড়ালের মতো ছিলো। কিন্তু ও অনেক অনেক শার্প ছিলো ছোটকালে, যেমন সে পড়তেও জানে না গুণতেও জানে না, কিন্তু টুকে রাখা ফোন নাম্বারের সাথে ডায়ালে ডিজিটের ছবি মিলিয়ে ফোন করা শিখে গিয়েছিলো দেড় বছর বয়সেই। তারও অনেক আগে, এক বছর হয়েছে কি হয়নি, সে তখনই পটপট করে কথা বলে, যখন আমাদের নাম শেখানো হচ্ছে, তখন আমাকে দেখিয়ে বলা হলো, এটা হিমুমামা। সে-ও তোতাপাখির মতো বলে উঠলো, হিমুমামা! আমার মেজভাইকে দেখিয়ে বলা হলো, এটা মামাবাবু। সে-ও শিখে ফেললো, মামাবাবু! বড় ভাইয়াকে দেখিয়ে যখন বলা হলো, এটা বড়মামা, তখন বড় ভাইয়া আপত্তি করে বললো, আরে বড়মামা আবার কী? এইসব বড়টড় ডাকার দরকার নাই, শুধু মামা বললেই চলবে। ভাগ্নি ডেকে উঠলো, শুধুমামা! সেই থেকে চলছে, আরো ভাগ্নেভাগ্নি হলো আমাদের, সবাই বড় ভাইয়াকে শুধুমামা ডাকে । এমনকি আম্মাও ওদের সামনে ভাইয়াকে "অ্যাই শুধুউউউ" বলে ডাকে।
আমার বিল্লিটাও অনেক শার্প!!! ইদানিং সে তেলাপোকার সায়েন্টিফিক নেইম বলতে পারে!!!
কালকে এসে আমকে জিজ্ঞেস করে "নানুমুনি সংসার কেমনে করে? " কই যাই বলেন তো দেখি! ওকে কেমনে আমি এখন সংসার করা বুঝাই ???
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
শুধুমামা !!!
মজা পাইছি।
______________________________________
লীনলিপি
______________________________________
লীন
নিজের বিল্লি হওয়ার আগে কিছুই বলা যাইতেসে না ... কোলনপি।
_________________________________________
সেরিওজা
দারুণ মজা পেলাম সাহিক কাকার বৃত্তান্ত শুনে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমাদের বাসার তিন বছুরে ছোট বিল্লীটার কিছুদিন হয় গানের বাতিক হয়েছে। সবার সামনে না, তার প্রিয় খেলার জায়গা, মানে ডাইনিং টেবিলের তলার নিরালায় তিনি যখন লেগো নিয়ে খেলেন তখনই তার কাঁপানো গলায় 'ও রে নীল দরিআআআআ' অথবা ওলন্দাজ কোন ছড়াগান শুরু করে দেন। বেশীরভাগ বাংলাগানেরই এক লাইনের বেশী তিনি জানেন না, তাই এই একলাইনই চলতে থাকে নানান সুরে।
সেদিন শুনি ডাইনিং টেবিলের তলা থেকে ভাবগম্ভীর সুরে ভেসে আসছে, 'গাসিলে কোরার কতা দেহাই মাসমানে'।
ভিডিও পুস্টান জলদি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আর বইলেন না!! এই বিল্লিটার থেকে আমি ২ টা নতুন ভাটিয়ালি গান জীবনে প্রথম শুনেছি!!!
কী কী কঠিন কঠিন গান!!!! শুনে তো আমি পুরাই
কী টান দেয়!! ভিডিও করতে নিলেই চুপ!! এমন রাগ লাগে!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আমার মেয়ে নিধির কথা বলে শেষ করা যাবেনা।।তার এরম ফেলে দেয়ার বাতিক ছিল।নিউইইয়ক থেকে আগত নতুন এল্জি মোবাইল খানা সে ৯তালা থেকে ফেলে দিয়েছিল।সেটা আর পরে খুজে পাইনি।ইদানিং এই বাতিক কমসে।।কিন্তু নিত্তনতুন বাতিক আমদানি হচ্ছে।
ওহ!! এই মাত্র মনে পড়লো!! কিছু দিন আগে আপুর শখের ড্রেসিং টেবিলের পুরা লম্বা এর গ্লাসের দরজা ধরে সে এমন জোরে একটা বাড়ি মারসে যে পুরাটা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে তার পায়ের কাছে পড়ে ছিল!সে বেশ নির্ভয় ছিল ঐ মুহূর্তে! তবে তার হাত-পা কিছু কাটে নাই,এইটাই অনেক শোকর!
তার কিছুদিন পর ভাইয়া জাপান থেকে একটা বেশ ভাল ক্যামেরা এনেছিল, সেইটা আছড়ায় ভেঙ্গে ফেলসে!! ভেঙ্গে ফেলে সে খুবি খুশি!!! সুন্দর করে আপুকে বলতেসিল " মা, আমি ভেঙ্গে ফেলসি!! " তারপর দাঁত কেলানো হাসি আর থামে না!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মজা লাগল
বিল্লি গুলিরে নিয়া সমস্যা হলো, এগুলো জেগে থাকলে ভয় লাগে কি করলো, ঘুমোলে মায়া লাগতে থাকে আহা একটু দুষ্টামিই না হয় করেছিল, আমি কেনো আর একটু ধৈর্য্য ধরলাম না। অফিসে গেলেই মিস করতে থাকবো আবার বাসায় এলেই মনে হবে অফিসই ভালো ছিল
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অসাধারণ লেখা। বিল্লিগুলো দেখতে চাই।
______________________________________
লীনলিপি
______________________________________
লীন
তারানা কাকা, আপনার বিড়ালদের কথা পড়ে মজা পাইলাম। আবারো লিখবেন এদের নিয়ে। আমাদের বাসায় বিড়াল এবং শাখামৃগের মাঝামাঝি প্রজাতির একটা আছে, সেইটাকে এখন আমার পিঠে নিয়েই মন্তব্য লিখতেসি ...
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
(জয়িতা)
ei lekha ta to ami age dekhi nai!! amar cheleder niye lekha......jaihok, apatoto update holo: borota aro shanto hoise, chotota aro dui degree bicchu hoise...se ekhon tar dada ke buddhi dey daat fele na diye tar kache dite, se super glue diye lagaye dite parbe...
আপনাকে বিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, সচলায়তনে রোমান হরফে লেখা মন্তব্য সচরাচর প্রকাশ করা হয়না। বাংলা কিভাবে লিখতে হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে।
আপ্নাকে ধন্নবাদ। আগে বুঝ্তে পারি নাই।আর হবে না। ঃ-P
আমার মন্তব্য স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। সচলায়তনে স্বাগতম।
নতুন মন্তব্য করুন