এখন বোধহয় ফুল ছড়ানোর পালা - ১

তারানা_শব্দ এর ছবি
লিখেছেন তারানা_শব্দ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৭/০২/২০১০ - ২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

***

প্রায়ই আমাকে দেখা যায় কম্পিউটার এর সামনে বসে আগেপিছে- ডাইনে বামে নড়াচড়া করছি। কোন এক অদ্ভুত কারণে হাসতে গেলে আমার পেটে খিল ধরে যায় এবং কোন শব্দ বের হয় না। অধিক শোকে পাথর এর মত অধিক আনন্দেও আমি পাথর হয়ে যাই। আমার নানু জিজ্ঞেস করেন, “ কোন ছেলের সাথে এতো হাসাহাসি করস ?” নানুর ধারণা তাঁর নাতনি এতো বড় হয়ে গেছে যে সে ছেলেদের কথা ছাড়া নিজের মুক্তোগুলো ঝরাতেই চায় না! তবে কথাটা ভুল। আমি ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার সাথে অনলাইনে আড্ডা দেই। তবে মেয়ের সংখ্যা কম, এইটাই স্বাভাবিক। চোখ টিপি কথা বলে মজা পাই এমন কারো সাথে কথা বলতে আমার কোনই আপত্তি নাই। আবার প্রায়ই আমাকে দেখা যায় রাস্তায় পেট চেপে বসে আছি। আশপাশ থেকে বন্ধুরা কিংবা পরিচিতরা টেনে উঠাচ্ছে। কারণ একটাই। হাসতে হাসতে আমার পেট এ খিল ধরে যায়। এক অদ্ভুত শব্দহীন ঝকঝকে তকতকে হাসি!

একদিন খালাতো ভাই এর সাথে ম্যাথ কোচিং থেকে বাসায় ফিরছি। আসার পথে এক বয়স্ক ভিকারিনীকে দেখলাম হেঁটে আসছেন আমাদের বিপরীত দিক থেকে। আমার ভাইয়ের দয়াল মন। আমাকে বলতে বলতে এগুচ্ছে “এই মহিলাটাকে ভিক্ষা দিব, বেচারি এই বয়সে ভিক্ষা করতেসে”। আমি বললাম, “দে, মানা কে করসে?” ভিক্ষা না চাইতেই সেই মহিলা কাছাকাছি আসতেই আমার ভাই (অনি) পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে তাকে ১০ টাকা দিল। মহিলা আমার ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বললো, “ ওই ছ্যাম্রা, দশ টেকা দি্লি কী বুজে? ১০০টাকা দে!” আমি তো তাজ্জব! ১০টাকা ভিক্ষায় দেওয়া খুবই রেয়ার কেইস। তার উপর না চাইতেই ১০টাকা দেওয়া হইসে। তার বিনিময়ে একী কথা! অনির মেজাজ গেল খারাপ হয়ে। সে ১০টাকা টান দিয়ে নিয়ে বলে “ যান ভাগেন, বেং বেং বেং করেন আগের মত!” -এই বেং বেং বেং যে কি জিনিস আমি বুঝি নাই। ততক্ষণে আমি হাসতে হাসতে পেট চেপে রাস্তায়।

যাইহোক, তাও আমি মধ্যে মাঝে কিশোরীর ন্যায় খিল খিল শব্দ করে হাসার চেষ্টা চালাই, কেন যেন পেত্নীর হাসির মত শব্দ বের হয়! একদিন এক আত্মীয়া ফোন দিয়ে বললেন, “তুমি কি ছোটজন না মেঝজন?” বলা বাহুল্য, বড়পুর বিয়ে হয়ে গেছে, তাই টিএনটি ফোনটি আমরা দু’জন ছাড়া আর কেউ ধরতেই পারি না- এমন একটা ভাবসাব। আমি যতটা সম্ভব গুরুগম্ভীর গলায় বলি, “জ্বী, আমি ছোটজন।” আর তারপর যেই বাক্যটি শুনতে হয় তা শুনতে শুনতে আমার কান তো পঁচে গেছেই, ততদিন এ হাত ও পঁচার অপেক্ষায়। কারণ হাত দিয়েই ফোনটা ধরি। যাইহোক, বানী চিরন্তনীতে এই বানী শোভা পাবে, আমি শিওর। বানীটি হলো “তোমাদের তিন বোন এর গলা একদম এক রকম, বুঝিই না কে যে ফোনটা ধরো।” বড়পু ততদিনে এক বিলাই এর মা, আর আমি পড়ি ক্লাস এইট এ, ক্যাম্নে কী????

এর কিছুদিন পর আমার মেজ বোন তার এক ফ্রেন্ড এর বাসা থেকে আমাদের বাসায় ফোন দিলো এই বিধায় আম্মুকে অবগত করতে যে তার আসতে একটু দেরী হবে...ব্লাব্লাব্লা...যথারীতি তীব্র বিরক্তি নিয়ে ফোনটা আমাকেই রিসিভ করতে হলো। কেন যেন আমি সুন্দর করে হ্যালো বলতে পারি না। ফোন ধরেই একটা খেই মারি “হাল ও” । ওপাশ থেকে আপু বললো, “ ওই, আম্মুকে দে তো ফোনটা” আমি বুঝি নি যে ওটা আমার আপু। আমি বললাম “আপনি কে?”...আপু তারস্বরে চেঁচাতে লাগলো, “আমি কে মানে, ফোন দে আম্মুকে, ফাজিলের ফাজিল।” আমি তো আরো ক্ষেপে যাই, এমন বিশ্রি গলায় কোন বদমাইস আমাকে ফাজিল বললো! একটু পর বুঝতে পারি আমার আপু এইটা। তখন তাকে কান্না কান্না স্বরে বললাম “আপু , ফোনে তোর গলা এতো বিশ্রি কেন??” আপু বললো, “তাতে তোর কী? দে ফোন আম্মুকে!” ( আপুর গলা বাস্তবে সুন্দর ) আমি মন খারাপ করে বললাম, “ আমার গলাও তো তাইলে তোর মত সবাই বলে, তার মানে অনেক বিশ্রি” অতঃপর বুঝলাম কেন আমার সাথে ফোনে কেউ কথা বলতে চায় না! 

একদিন টিএনটিতে একটা ফোন আসে, একটা উটকো ছেলে। আমি ফোন ধরে আবারো খেইই মেরে বললাম-

- হাল ও!
- জ্বী, কে?
- জ্বী কে মানে ?? ফোনটা কে দিসে?? আমি না আপনি? ( অবশ্যই রাগত স্বরে)
- জ্বী, আমি ই দিয়েছি।
- কী চাই ? ( রাগত স্বর বজায় রেখে )
- আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
- মামার বাড়ির আবদার? সাহস কত! আপনি আমাকে চিনেন? ফ্রেন্ডশিপ এত ফালতু নাকি??
এই বলে ফোন রেখে দেই। ( যথারীতি ঠাস করে শব্দ করেই)

আমি আসলে এর আগে কোন অপরিচিত ছেলের সাথে কথা বলিনি। এমনকী আমার কোন ছেলেবন্ধুও ছিল না ( এখন অবশ্য অনেক খাইছে )

যাই হোক, একটু পর আবার রিং বেজে উঠলো।

- হাল ও। ( আগের চাইতেও তীব্র রাগভরা কন্ঠ)
- জ্বী, কেমন আছেন?
- আবার ফোন দিসেন? ( চি\কার )
( ঠাস )
আবার রিং বাজে। আমি কিছু বলে উঠার আগেই ওপাশ থেকে ছেলেটা বলে উঠে

- এইযে তারানা, আপনাকে একটা কথা বলি, প্লিয আমাকে বলতে দেন। ফ্রেন্ডশিপ করবেন না ভালো কথা, একটু ভদ্রভাবে কথা বলতে শিখেন নাই?? এই ভাবে কেউ কথা বলে?? এতো চি\কার করে কথা বলেন ক্যান? ফালতুর ফালতু! এরপর থেকে একটু ভদ্র ভাবে কথা বলবেন, বুজছেন? যত্তসব।

বলেই ফোন রেখে দিলো। আমি তো পুরাই থ! ও বাবা, দোষ তাইলে সব আমারই। অ্যাঁ যাইহোক, আমি একটু পর বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে হাসলাম, এমন একটা ভাব, আমি বিরাট মজা পাইসি। মজা ঠিকই পাইসি, তবে একটু দেরীতে। তখন নিদারুণ মন খ্রাপ হয়েছিল। আমার গলা তাইলে আসলেই এতো বাজে। রাস্তার একটা ছেমরা আমাকে এইভাবে ঝাড়ি দিল!

তবে কন্ঠ যেমনি হোক, টিএনটি ফোন এ শয়তানি করার যে কী মজা, সেইটা যে করে নাই সে বুঝবে না। যখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি আমাদের বাসায় প্রথম কর্ডলেস আনা হয়। এই জিনিস এর কাবিলতি দেখে আমরা তো পুরাই থ। আমরা মানে আমি ও আমার সঙ্গীসাথী। সঙ্গীসাথী বলতে তখন ছিল ---অনি
[ আমার ১৮ দিনের ছোট খালাতো ভাই, এক সাথে বড় হইসি আমরা। এর সাথে ২ মাস পর পর বিশাল কথা কাটাকাটি হয়ে কথা বন্ধ করে দিতাম, এখন অবশ্য এমনটা আর হয়না, বড় হয়ে গেসি! একটা উদাহরণ দেই ঃ ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় এক সন্ধ্যায় সে আমাকে জিজ্ঞেস করে- সেক্স মানে কী? তখন মাত্র আমি এই ব্যাপারে একটু আকটু অবগত হই। ওকে চোখ পাকিয়ে বললাম, চুপ থাক! এইসব বাজে কথা তোকে কে বলসে? ফাজিলের ফাজিল!তখন সে আমাকে উল্টা চোখ পাকিয়ে যা বললো তা হলো... আমি যদি তাকে এর মানে ঠিকমত না বুঝাই তাহলে সে তার ফুপার কাছে গিয়ে “সেক্স, ফুপা সেক্স” এই বলে অবিরত চি\কার করবে। কত্তবড় বদ! বলাবাহুল্য, তার ফুপা ছেলে-মেয়েদের মেলামেশা পছন্দ করেন না। এই কথা শুনলে সে যে কী প্যাদানী খাবে তার কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু অনির কোন বিশ্বাস নাই। তাই আমি তখন নিরুপায় হয়ে ইংলিশ-টু-বেঙ্গলী ডিকশনারী ঘেঁটে মানে দেখালাম। এমন বদ, তাও সে বুঝে না! তারপর আমি মেজাজ খ্রাপ করে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই। ],
রনি-নিতু
[ ৪ তলার ভাড়াটিয়ার ছেলেমেয়ে, রনি খেলায় হেরে গেলে রাগ করে বাসায় চলে যাইতো, ওকে আবার বুঝায় বলা হতো যে সেই আসলে জিতছে!],
বাপ্পা
[ আমার চাচাতো ভাই, আমাদের বাসায় থেকে পড়াশুনা করে, একে দিয়ে আমাদের দলের সব বিপদজনক কাজ করানো হইতো, যদিও এখন চাল্লু হয়ে গেসে!]।

একদিন এদের কেউ নাই। আমারও কাজ করার কিছু নাই। কী কারণে কর্ডলেস হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠা\ বাসার সামনে দিয়ে একটা ফেড-এক্স এর গাড়ি গেল। গাড়ির বডিতে তাদের অফিসিয়াল ফোন নাম্বার। আমার কী মনে হলো নাম্বারটাতে ডায়াল করে ফেললাম। ৩/৪টা রিং হতেই এক লোক ধরলেন। আমি তো ভাবি নাই সত্যি ই কেউ ফোন ধরে ফেলবে। ওপাশ থেকে বললো-
- হ্যালো
- (আমি চুপ, কী বলবো বুঝতে পারছিলাম না।)
- হ্যালো? কে বলছেন প্লিয?
- আ আ আ আ (আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম )
- আরে কে আপনি ??
- খালুরে ডাইকা দ্যান ( ই ই ই কান্না)
- খালুরে ডাইকা দ্যান মানে?? এইটা কোন খালুর নাম্বার না।
- ওরে খালু রে , আমার বস্তিতে আগুল লাগসে রে, আমার সব পুইরা গেসে রে ( ই ই ই কান্না )
- আরে, বললাম না এইটা আপনার খালুর নাম্বার না!

( ঠাস )
ততক্ষনে আমি মজা পেয়ে গেসি। রিডায়াল বাটনে চাপ দিলাম। দেঁতো হাসি

- হ্যালো
- খালুরে ডাইকা দ্যান...আফনেগো উফরের তলায় আমার খালু থাকে গো বাইজান, আমার সব পুইরা গেসে গো ভাইজান, ডাইকা দ্যান...( ই ই ই সে কী হেঁচকি তুলে কান্না)
- দেখেন, এইটা একটা অফিস, কারো বাসা না। আপনার খালুর নাম্বার না এটা।
- উনি তো উফরের তলায় থাকে, ডাইকা দ্যান, আপনার পায়ে পড়ি, আমার সব পুইড়া ছারখার।
( এই সময় ঘটনাস্থলে অনি এসে উপস্থিত ) আমি ওর দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে ফোনটা রেখে দিলাম। এরপর ওকে বুঝিয়ে বললাম আসলে কী ঘটনা ঘটাইসি আমি। অনি বললো, আবার ফোন লাগা। আমি আবার রিডায়াল এ প্রেস করলাম। এর পর আমাদের দুই ভাই-বোন এর সে কী কান্না।দুই জন চি\কার করে বাসা মাথায় তুলে ফেলে কান্নাকাটি -

- খালুরে ডাইকা দ্যান গো সাআর......সব পুইরা গেসে...ডাইকা দ্যান...

যখন দেখলাম আর কান্নাকাটি করা যাচ্ছে না, ফোন রেখে দিলাম। আর আমাদের সে কী আনন্দ!

এটা অনেক আগের ঘটনা, তখন মোবাইল ফোনের তেমন একটা চল ছিল না। আর কলার আইডি ও ছিল না। তাই সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম। শুধু বেঁচেই গেলাম না। দ্বিগুন উ\সাহে আরেকটা উল্টাপাল্টা নাম্বারে ডায়াল করলাম। ব্যাপারটা যে একদমই ঠিক কাজ হচ্ছে না- এটা বোঝার মত বোধ-বুদ্ধি তখনো আমাদের আসে নি। কিছুক্ষণ রিং বাজার পর এক মহিলা ঘুম জড়ানো গলায় ফোন ধরলেন। মহিলা খুব সম্ভবত সারাদিন কাজ করে বিকেলে একটু ভাত ঘুমে তলিয়েছিলেন।
-হেলোও
-আপনি কে? কী নাম আপনার? ( আমি, খুবই ভদ্র ভাষায়)
-কারে চান ?
-এই, আপনার সাথে একটু কথা বলি?
-কারে চান আফনি ?
-এমনি, কাউকে না। উল্টাপাল্টা নাম্বারে কল দিলাম একটা।
-ঐ মাইয়্যা, থাপ্পর মাইরা তোর গালের চাপার দাঁত যদি আমি না ফেলসি...
- ( খিক খিক খিক), চাপার দাঁত মানে কী?
( ঠাস )
আর আমরা ততক্ষণে মহানন্দে...হেহেহেহে...

ইদানিং টিএনটি ফোনের কোন ব্যবহারই দেখি না বাসায়। কতদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কর্ডলেস তো আরো অনেক আগেই মরে গেছে। এখন হয়তো সেইসব দুষ্টুমির বয়স নেই আর।( থাকলেও অবশ্য মন্দ হয় না চোখ টিপি )

***

পুরোনো দিনের কথা ভেবেই এই লেখা লিখেছি। তাই এই গান এর সাথে মানানসই মনে হচ্ছে!
সেই সব হাসি-ঠাট্টার দিনগুলি তো এক সময় যত্নে- অযত্নে মনের ডালাতে ভরেছি, এখন সেগুলো ছড়ানোর পালা...

সচলবাসির জন্য ছড়িয়ে দিলাম...আর আমার প্রিয় গানটি শেয়ার করলাম...

***

http://www.esnips.com/doc/ab1f8826-c6af-4fbc-a6a7-56917661ba05/Phul-Choranor-Pala

এখন বোধহয় ফুল ছড়ানোর পালা...
এতো দিনে ভুল কুঁড়িয়ে ভরলো মনের ডালা...


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমিও পেট চেপে হিহি করে হাসলাম অনেক, ধন্যবাদ এমন একটা লেখা উপহার দেবার জন্যে। খুব প্রাণবন্ত একটা লেখা চলুক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তারানা_শব্দ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার লেখাও আমার খুব ভালো লাগে। দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

(প্রকাশ করার আগে বোধহয় আরেকবার পড়ে দেখেননি মন খারাপ )

এমনিতে লেখাটা ভাল লেগেছে। আপনার বিশেষ ধরণের হাসি কিরকম হয় কল্পনা করে নিজেই হাসছি হো হো হো

____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারানা_শব্দ এর ছবি

ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো ভাইয়া। মন খারাপ
তবে আমি প্রকাশ করার আগে পড়েছি। দেঁতো হাসি আমি রিভিশন দিয়ে পরীক্ষার হলেও কোন ভুল পাই না, এখানেও পাইনি। হিহিহিহি...

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন!!!
ফোনে আমার গলাও ভয়ানক!! আমার আর আমার মেজ ভাইএর গলা কেউ আলাদা করতে পারে না, এমনকি আমার বড় ভাই/আব্বা/ মাঝে মাঝে আম্মাও বুঝে না যে কে কথা কয়!! আর গলাতো মাশাল্লাহ একখান!!

যাই হোক খুব মজা দিলেন! তবে ইকটু পর তিথীডোর আপু এসে তার ভয়াণক গলাটা ঢুকায়ে দিয়ে আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বলবেন,"এই পিচকি, সব পড়া ভালো না"!!! (আমি কিন্তু সবটা পড়ি নাই!! মাইরি বলচি!! এট্টু এট্টু পড়চি!! দেঁতো হাসি )

আমিই তানভী |

তিথীডোর এর ছবি

তানভী, আমজনতার সামনে বড়বোনকে পঁচাচ্ছো রেগে টং
দাঁড়া, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারানা_শব্দ এর ছবি

ছোটদের বকা দেওয়া একটি মানবতা গর্হিত কাজ আপু। মন খারাপ( ই ই ই ই
বকা দিয়েন না, হু? দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

তারানা_শব্দ এর ছবি

হিহিহিহিহি... পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

তিথী আপুকে বলে দিচ্ছি, বকা দিবে না। দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এইরাম বদমায়েশী আমিও কম করিনাইরে! হাসি

একবার এক উলটাপালটা নাম্বারে ফোন দিসি, এক মহিলা ধরে সুমুধুর কন্ঠে বলেছেন, 'হ্যালা'। আমি হাসি চেপে ততধিক মধুর স্বরে তাকে বললাম, 'আন্টি, আসসালামালাইকুম, ভালো আছেন?' উনি বললেন, 'হ্যা, মা, ভালো আছি, তুমি কে বলছো?' বললাম, 'আন্টি আমি কে তা মোটেও ইম্পর্ট্যান্ট না, ভেবে ন্যান আমি ঈশ্বরের প্রেরিত দূতনী, আপ্নারে উচ্চারন শিখাইতে আওয়াজ দিসি।' উনি বললেন, 'মানে?' বললাম, 'আন্টি, সময় নষ্ট না করে আমার সাথে বলেন, হ্যালো, আসলে আন্টি হ্যালা বলেতো কোনও শব্দ নাই, খুব জোর আপনি হ্যালু বলতারেন, হ্যালা না! বলেন আন্টি, হ্যালোওওওওও, তিনবার বলেন দেখি আমার সাথে!' ততক্ষনে উনার গালিবাজী ইশটার্ট!

আমাদের আবার বাবার সরকারী চাকরীর সুবাদে টিএনটি ফ্রি ছিলো। তো বুঝতেই পারতেসিস এরকম কান্ডের কোনও সীমা পরিসীমা নাই, আমার নিজের রুমে ফোন থাকার কারনে ফোন করার সময়েরও কোনও ঠিক ঠিকানা থাকতো না! খাইছে

লেখা মজার হইসেরে মেয়ে! আজ আসলে মজা পাইতি!
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তারানা_শব্দ এর ছবি

আমার আব্বু বেসরকারী চাকরী করতেন...তাই সেই সুযোগ একদমই ছিল না।
আর টেলিফোনের এই বান্দরামী এই খানেই পরিসমাপ্তি পেয়েছিল। আমার আবার কোন কিছুতেই বেশিদিন আকর্ষণ থাকে না! চোখ টিপি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমারে মাঝে মাঝে কে জানি টেলিফোনে 'ডিশটার্ব' করতো। রাত বিরেতে ফোন করে 'কু-প্রস্তাব' দিতো। এখন বোধহয় আন্দাজ করতেছি সে কে ! চোখ টিপি দেঁতো হাসি খাইছে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এখনও যদি সুযোগ পান তাহইলে কি ঐ রকম বান্দরামী করবেন?
-অবশ্য জীবনে এক আধটু বান্দরামী না করলে ঠিক মানুষ হওয়ার আমেজটা পাওয়া যায় না। কি বলেন?

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তারানা_শব্দ এর ছবি

নাহ...ওমন দুষ্টুমি ওই বয়সেই মানিয়েছিল। এখন বড় বড় দুষ্টুমি করবো...হেহেহেহে...বড় হয়ে যাচ্ছি না ? খাইছে

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

তিথীডোর এর ছবি

বাব্বাহ্ চোখ টিপি দুষ্টুমির লিস্ট তো দেখছি বেজায় লম্বা...
আমাদের পাশের বাড়ির পুচকা একবার টেলিফোন গাইড ঘেঁটে লোকাল থানায় ফোন দিয়েছিলো দেঁতো হাসি

এই গানটা দিনে অন্তত একবার শোনা হয়!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রাহিন হায়দার এর ছবি

হেহে! মজা প্লাম!! তবে একটা প্রশ্ন, মাস শেষে বিল কত আসত টিএন্ডটি-তে?
গানটা বড়ই সৌন্দর্য্য।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

তারানা_শব্দ এর ছবি

ওটা একদিনের ঘটনা ছিল। এরপর আর এমন করার ইচ্ছা জাগেনি। আমার আবার সব কিছুতেই আকর্ষণ ক্ষণস্থায়ী কী না। চোখ টিপি

তাই টি এন টি ফোন এর বিল তেমন একটা বেশি আসে নাই। আর তখন প্রথম ৫ মিনিট এর পরের ১ ঘন্টা ১ কল এর টাকা কাটতো। খিক খিক!!!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার ছিমছাম লেখা।
খুব ভাল লেগেছে।
আরো আসুক এমন---

শুভেচ্ছা

তারানা_শব্দ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

নাশতারান এর ছবি

ফাযিল মেয়ে একটা ! হো হো হো

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তারানা_শব্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফোনে আমার একটা কাহিনী আছে। সেই ঘটনা নিয়া একটা দেদারসে ব্যাডসেক্টরের পর্ব হয়ে যায়। ছেলেবেলার ডিলিটেড সিনেই ঢুকতো, কিন্তু ঘটনাটা কলেজ পাশ দেয়ার পর পর ঘটার কারণে আর ঐটাকে ছেলেবেলা বলা যাচ্ছে না। ঘটনার হোতাও একজন বালিকা ছিলো। অগ্রনী স্কুলে তৎকালীন নবম শ্রেনী পড়ুয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তারানা_শব্দ এর ছবি

ঘটনা শুনিতে মঞ্চায় দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফেডএক্সটাতে বেশি মজা পাইলাম!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

বাউলিয়ানা এর ছবি

চমতকার ঝরঝরে লেখা।
ভাল লেগেছে। এরকম অভিজ্ঞতা আরও লিখুন।
আর গানের জন্য চলুক

তারানা_শব্দ এর ছবি

ধইন্যা পাতা দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হাসির দৃশ্যটা কল্পনা করলাম, এরকম কয়েকজনকে চিনি! সুতারাং, আমার-ও দন্ত বিকশিত! দেঁতো হাসি

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

টিএনটি ফোনই ছিল আসল ফোন হাসি

মোবাইল ফোনটা কেমন খেলনা খেলনা মনে হয়।

-----------------------------------------------
আকাশে তোর তেমনি আছে ছুটি
অলস যেন না রয় ডানা দুটি

অতিথি লেখক এর ছবি

তুমার লেখা পড়লে আমি ওষূদের (বানান ঠিক লিখছি তো চোখ টিপি ) গন্ধ পাই । এইটায় পাই নাই । বিয়াপক মজা পাইলাম ।

তুমি একটা বদের বদ!!
বুঝলা?!!

বোহেমিয়ান

গতিহীন [অতিথি] এর ছবি

আপু, আমি নিশ্চিত আপনি মিরাক্কেলে গেলে ২০০০০ টাকা পাবেন,
পড়ে আমি ও মঝা খাইছি...খেক খেক...
[রাহাত]

Hosna Ferdous Sumi এর ছবি

অনি কে জিগ্গাশ করতে হবে এই 'বেং বেং' টা কি?? হাহাহাহাহ।।।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।