রুদমিলার মা-বাবা এখন তুমুল ঝগড়ায় ব্যস্ত। ঝগড়ায় বাবার ভূমিকা ক্ষীণ। চ্যাঁচামেচি যা করার মা একাই করেন। মা যে কেন এমন ঝগড়াটে- এটা ভাবতে ভাবতে রুদমিলা রীমোট এর ‘মিউট’ বাটন এ হালকা চাপ দিল। চারিদিকে সুনসান নীরবতা নেমে এলো। ঝগড়ার এমন হৈ-হুল্লোর থেকে এমন নীরবতা যেন চেপে ধরে, কানে কেমন যেন একটা অদ্ভুত শব্দহীন অনুভূতি দেয়।
রুদমিলারা ‘ত্রিযা’ গোত্রের তেরোতম মাত্রার অধিবাসী। আর আট মাস পরেই তারা বারোতম মাত্রায় উপনীত হবে। তখন তারা ‘এলজি’ কোম্পানির রীমোট কেনার অনুমতি পাবে। এখন ‘কেনকা’ কোম্পানীর রীমোট দিয়েই চলতে হচ্ছে। কেনকার কোন পন্য সামগ্রিই রুদমিলার ভালো লাগে না। প্রথমত, এই নামটাই তার পছন্দ না। তার তিন বছরের ছোট ভাই হৃধিক প্রায়ই তার পলি-ইথিলিনের প্যান্টটা খুলে নেংটু হয়ে ঘুরে বেড়ায় আর সবাইকে দেখাতে থাকে, “এইযে, দেখো দেখো, আমার কেনকা।” শুধু কী তাই? এই যে এখন মা কে চুপ করানোর জন্য তাকে আশেপাশের সব শব্দ তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে হলো! এগুলো নিম্নমানের কোম্পানী, তাই সব ধরনের শব্দ তরঙ্গ আলাদা করতে পারে না। তাই আশে পাশের সব শব্দ বন্ধ হয়ে একটা ভয়ংকর কানে তালা লাগা ভাব এর সৃষ্টি হয়। প্রথমবার হৃধিককে চুপ করানোর সময়তো রুদমিলার আতঙ্কে প্রায় দম বন্ধ অবস্থা হয়েছিল। ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও রুদমিলার কাছে এই শব্দহীন কানে তালা লাগা পরিস্থিতি কিছুতেই ভালো লাগে না।
ত্রিযা গোত্রের আরো হরেক রকম নিয়মনীতি আছে। এই সব নিয়মনীতিও রুদমিলার ভালো লাগে না। নিয়মনীতি গুলো এতো পুরোনো আর জটিল যে রুদমিলার মাঝে মাঝে দুঃখ হয়। প্রতি বুধবার রাতে দীর্ঘ ২ ঘন্টার আলোচনা সভা হয়। কোলের শিশু থেকে শুরু করে কবরে ঠ্যাং চলে গেছে এমন বৃদ্ধকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে হয়। বাধ্যতামূলক। বৃদ্ধ কিংবা শিশুর ওইখানে থাকার কী দরকার এটা রুদমিলার মাথায় ঢুকে না।
ত্রিযা গোত্রের রাজার নাম কুকুম্ভু। রাজাদের বিয়ে করার নিয়ম নেই। তাই কোন রানী নেই। কোন রাজার বয়স হয়ে গেলে তার মস্তিষ্কের ‘এনসেফালন’ টুকু খুলে পরবর্তী কোন কম বয়সী যুবকের মাথায় অপারেশন করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর যথারীতি তার নাম ও পরিবর্তন হয়ে কুকুম্ভ্ হয়। এই কারণে বছরের পর বছর ত্রিযা গোত্রে একই রাজার একই রকম নিয়ম কানুন পালিত হয়ে আসছে!
আজ ছিল রাজা কুকুম্ভের ১১৭ তম জন্মদিন। সঠিক করে বললে, রাজা কুকুম্ভের মস্তিষ্কের ১১৭ তম জন্মদিন। জন্মদিনে সবাই যেতে পারে না। নিয়ম নেই। শুধু মাত্র প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় মাত্রার বিবাহিত অধিবাসীরা নিমন্ত্রণ পায়। রুদমিলা মা-বাবা তেরোতম মাত্রার অধিবাসী হয়েও নিমন্ত্রণ পেয়েছে। রুদমিলার বাবা একজন ডাক্তার। গত বছর রাজা কুকুম্ভের অপারেশনটা বিফল হতে গিয়েও রুদমিলার বাবার শেষ চেষ্টাতেই সফল হয়েছিল। সে আরেক ইতিহাস। আর তারই ফলস্বরূপ এই নিমন্ত্রণ।
রুদমিলার মা-বাবার ঝগড়ার উৎপত্তি এই জন্মদিনে যাওয়া নিয়েই। তেরোতম মাত্রার অধিবাসী হয়েও রাজা কুকুম্ভের জন্মদিন এ নিমন্ত্রণ পেয়েছেন-এ কি কম কথা? জন্মদিন উপলক্ষে তাই রুদমিলার মা একটা ইলেকট্রিক ফেইস প্যাক মুখে দিয়ে বসে ছিলেন। ইলেকট্রিক ফেইস প্যাক এর অনেক দাম। কোন বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এতোটা ব্যয় করা রুদমিলাদের সাজে না। তাও মা এর অতি উচ্ছ্বাস দেখে বাবা কী করে যেন ম্যানাজ করলেন। আর এই ফেইস প্যাক নিয়ে বাবা একটু রসিকতা করতেই মা খেপে গেলেন। বাবা তেমন কিছু বলেন নি। শুধু একটু ভারি গলায় বলছিলেন, “আজ কাহার লগে করিবে ইলেকট্রনিক প্রেম?” আর সাথে সাথে মা চিল চিৎকার! এর ও আগে একদিন মা এমন একটা ফেইস প্যাক মুখে লাগানোর সময় পাশের বাসার রনযল আঙ্কেল বাসায় এলেন। মার খেয়াল ছিল না যে তিনি ইলেক্ট্রনিক ফেইস প্যাক লাগানো অবস্থায় আছেন। মা দরজা খুলতেই রনযল আঙ্কেল ই ই ই ই ই করে কাঁপতে কাঁপতে দশ হাত দূরে ছিঁটকে পড়লেন! ভাগ্যিস হৃধিক তখন শুকনা কাঠ দিয়ে মাকে একটা বাড়ি দিতে পেরেছিল। না হলে কী যে হয়ে যেত সেদিন! মা যে কেন এইগুলা লাগায়, রুদমিলার মাথায় ধরে না। কী যে তান্ডবলীলা ঘটতে থাকে ঘরের মধ্যে যখন মা এই সব লাগায়!
রুদমিলার এতো ঝগড়া-শব্দ-তরঙ্গ ভালো লাগে না। তাই সে মা কে মিউট করে করে দিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। জানালার পাশে বসে দেওয়ালের স্ক্রীণে লিখলো ‘ঘন নীল আকাশ, চাঁদ আর রিদি’। সাথে সাথে জানার বাইরে ঘন নীল আকাশে এক ফালি চাঁদ ভেসে উঠলো। আর বেজে উঠলো ‘রিদি’। আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে রুদমিলা ভাবতে লাগলো তার মা কেন এতো অস্থির। বাবা একটু না হয় দুষ্টুমিই করেছে, তাই বলে এমন কর্কশ গলায় কথা বলতে হবে? প্রায়ই তারা এমন করেন। ভাবতে ভাবতে রুদমিলা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সাথে সাথে একটা কর্কশ এলার্ম ভেজে উঠে। রুদমিলা কানে হাত চেপে ধরলো। তার মা-বাবা দৌড়ে এলেন। ভয়াল দৃষ্টিতে তারা একবার রুদমিলার দিকে তাকিয়ে পরক্ষণেই গোপন স্ক্রীণ এর লাল বাতিটায় চাপ দিলেন। সাথে সাথে ভেসে উঠলো, ‘তেরোতম গোত্রের যে মেয়েটি অষ্টম প্রহরের মধ্যভাগে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে তাকে অতি শীগ্রই রাজা কুকুম্ভের সাথে দেখা করতে অনুরোধ করা হলো’।
তার ও একটু নিচে লেখা, ‘ডেড লাইন- এই এলার্ম বেজে উঠার ১ দিন এর মধ্যে’।
রুদমিলা আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে গিয়ে নিঃশ্বাস চেপে ধরলো! বিরস মুখে ভাবতে লাগলো, এই ত্রিযা জাতির কিছুই হবে না কোন কালে। যে জাতি তার জনগনকে একটু শান্তি মতন দীর্ঘশ্বাসই ফেলতে দেয় না, তার উন্নতি হবেই বা কী করে? কী এক অদ্ভুত নিয়ম। কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেললেই তার শব্দ-কম্পন রেকর্ড হয়ে যায়। আর তাকে নিয়ে আলোচনা সভা বসে রাজার। অসহ্য!
রুদমিলা বিরস মুখে ‘টিটিটি-5’ (*)এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। একটু পরই তাকে যেতে হবে। রাজা কুকুম্ভের সাথে কথা বলার কোন আগ্রহ তার নেই। কিন্তু এই নির্দেশ অমান্য করার কোন ক্ষমতাও তার নেই। তাকে তো যেতেই হবে।
তারও প্রায় কুঁড়ি মিনিট পর দেখা গেল রুদমিলার জন্যে ‘টিটিটি-5’ তাদের বাসার সামনে এসে হাজির। সাথে ‘টিটি-125’ ও অপেক্ষমান। ওটায় করে রুদমিলার মা-বাবা নিমন্ত্রণ এ যাবেন- এটা বুঝতে পেরে সে ‘মা’ বলে ডাক দিল।
--------------------------------------------------------
*(যে সব যানবাহন পানিতে চলে সেগুলোকে বলে ‘টি’, সেগুলো মাটিতে সেগুলো ‘টিটি’ আর আকাশপথের গুলো ‘টিটিটি’।)
--------------------------------------------------------
( চলবে, তবে চালাইলেই চলিবে, না চালাইলে কী করিয়া চলিবে? )
মন্তব্য
ভাই, আর কিসু ঠিক করেন না করেন - হেডলাইনটা একটু ঠিক করেন! বৈজ্ঞানিক হবে...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধন্যবাদ ভাইয়া- ভুল দেখিয়ে দেওয়ার জন্যে। বাংলা না লিখতে না লিখেতে একদম সব ভুলে বসে আছি!!
মডারেটর কে ধন্যবাদ।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ভালো হচ্ছে। বেশ ঝরঝরে লেখা। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
বেশি ঝরঝর করলে চালুনির ফাঁক দিয়ে পড়ে যাইতে পারে! তাই তফাত যা!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এখানেও ঝগড়া !
হাঃ হাঃ হাঃ
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
অনেক ভাল লেগেছে । আমার ও একটা রিমোট থাকত যদি .... , কেনকা তেও আপত্তি নেই ।
রাজার বয়স এত কম কেন ? এরশাদ দাদুর বয়স আশি , আর (দুঃখের কথা...) একবার ও মরেন নি ।
আরি এতো রীতিমত উপন্যাস হয়ে বেরুবে বলে মনে হচ্ছে...অবশ্যই চালিয়ে যান!
আমি এই লেখা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ...
'কেনকা' রিমোট
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আচ্ছা, রুদমিলারা সাইবর্গ না তো?
ত্রিযা গোত্রের রাজা বিয়োগের পদ্ধতি দেখে দলাই লামার কথা মনে পড়ে গেলো।
গল্প চলতে থাকুক। মজা লেগেছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- দালাই লামা'র কথায় আমার মনে পড়ে গেলো সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট-এর একটা ডায়ালগ—
"দালাই লামা ফটো... গুড প্রটেকশন"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চলবে মানে! দৌড়াবে
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মচৎকার! চলুক চলুক!
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সুপার্ব, তারানা! একদম চোখের সামনে সব ভেসে উঠলো। ভাল লেখেছে খুব। তোমার কি মনে আছে 'গার্ল ফ্রম টুমোরো'র কথা (তখন আমি ক্লাস টেনে - তোমরা আরো ছোট ছিলে, ১৯৯৩ সালের কথা)? সেরকম মনে হলো। আফসোস, আমাদের দেশি চ্যানেল্গুলোর সেরকম প্রডাকশান ক্ষমতা থাকলে, তোমার এই গল্প দিয়েই একটা সাই-ফাই সিরিজ হয়ে যেতে পারতো!
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
'গার্ল ফ্রম টুমোরো'র কথা মনে আছে আপু...একটা ব্যান্ড পরতো কপালে...আমি ও ওই রকম পরতাম ...হিহিহিহি
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পরের পর্ব পড়তে চাই...কবে আসছে?
-স্নিগ্ধা করবী
শেষ হলে পড়বো
বাঃ বাঃ খাসা গপ্প । চলুক।
-------------------------------------------
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
পড়তে চাই আর মন্তব্য করতে চাই, মন্তব্য করাটা প্রাকটিশ করছি।
আপনার লেখাটা এখনো পড়া হয়নি, আবার আসব।
আবারো এসেছি , যা বলেছিলাম আমাকে আসতেই হলো কারণ লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে "রাজার ১১৭তম জন্মদিন মানে হলো রাজার মস্তিস্কের ১১৬ তম প্রতিস্থাপন " ঠিক হলো কিনা, যদি ঠিক হয় "টেল মি' "বন্ধু" ।
রাজার জন্মের এক বছর পর থেকে প্রতি বছর যদি মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সঠিক। কিন্তু সেটা ঠিক গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না আমার কাছে। বরং লেখিকা যা লিখেছেন তাই ঠিক আছে মনে হচ্ছে। রাজার মস্তিষ্ক কতবার প্রতিস্থাপিত হয়েছে সেই তথ্য এখানে দেওয়া নেই, দরকারও নেই। যেহেতু রাজার দেহ পরিবর্তিত হয়েছে, মস্তিষ্ক না, তাই রাজার মস্তিষ্কের ১১৭তম জন্মদিনই ঠিক।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ভাল লাগছে...অপেক্ষায় নাজির...তাড়াতাড়ি ছাড়েন পরের পর্ব!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আশপাশ চুপ করায় দেয়ার ধারমা পসন্দ হইল
ক্যাটেগরী তে তো লিখেই দেওয়া ছিল - আজাইরা চিন্তাভাবনা। লজিকাল কিছু লিখিনি...এখন আমি নিজেই নিজের ৩/৪ টা ভুল ধরতে পারি ইচ্ছা করলে ...কিন্তু এটা যেহেতু আজাইরা চিন্তাভাবনা...তাই ধরলাম না...
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে...পরবর্তী পর্ব লেখা হলেই দিয়ে দিব।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
নতুন মন্তব্য করুন