শিরোনাম পড়ে ভড়কে যাবেন না যেন। এই মোল্লা কাঠমোল্লা নহে। মোল্লা আমার স্কুল জীবনের প্রাণের বন্ধু, একদম ছোট্টবেলার বন্ধু। ওর ডাক নাম মল্লিকা, মল্লিকা থেকে মোল্লা। স্কুলে আমরা পাশাপাশি বসতাম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। মোল্লা ছিল আমার ‘শেষ ভরসা’ যাকে বলে। তার বাবা বেশ কড়া ছিলেন পড়াশুনার ব্যাপারে। সেটা আমার জন্য বেশ ভাল ছিল। কেমন করে? কারণ উনার কড়াকড়ির বদৌলতে স্কুলের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার আগেই মোল্লার দ্বিতীয় সাময়িকের সিলেবাস প্রায় শেষ হয়ে যেত বললেই চলে। অন্যদিকে আমার পড়াশুনা নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামাতো না, আর আমার নিজের তো প্রশ্নই ওঠে না। তবে পরীক্ষা নিকটে আসতে থাকলে একটু আকটু টেনশন হতো বৈ কী! তখনই আমি শেষ ভরসা মোল্লার খাতার দিকে সমস্ত মনোযোগ ঢেলে দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পায়তারা করতাম। ভাগ্যিস মোল্লা আমাকে সব দেখাতো! পাজি মেয়েগুলোর মতন প্লাস্টিকের পেন্সিল বক্স দিয়ে খাতার লেখা অংশটুকু ঢেকে রাখতো না।
ক্লাস সিক্সে আমরা স্কুলের নতুন বিল্ডিং এ গেলাম। কী সুন্দর আমাদের নতুন স্কুল বিল্ডিং! রোজ স্কুলে যেতে ইচ্ছে করতো তখন। তখনো ক্লাস তেমন শুরু হয় নি, শুরুর দিকের স্পোর্টস চলছে, এরই মাঝে এক দিন দুঃসংবাদ পেলাম, মোল্লা ভিকারুন্নেসা স্কুলে চলে যাচ্ছে। বান্ধবী হারানোর ব্যথার চাইতেও বুকের মধ্যে টনটন করে উঠলো এখন আমার ইংরেজি ‘essay’ লেখার কী হবে? কারটা দেখবো আমি?
যাইহোক, সেটা আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা। মোল্লা চলে গেল, আমার আর ঘাড়ে হাত দিয়ে মাঠময় ঘুরে বেড়ানোর কোন বন্ধু হলো না সারা স্কুল লাইফ। মাঝে মাঝে মোল্লাকে মনে পড়তো। কিন্তু আগের মতন ফোন দেওয়া হতো না, আস্তে আস্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। আমাদের বন্ধুত্বটা তুমি থেকে তুই এ নামার আগেই আমাদের বিচ্ছেদ ঘটে গেল! দোষ আমারই ছিল। আমি সহজ হতে পারতাম না, পারতাম না ফট করে ‘তুই’ বলতে। এখন অবশ্য উল্টা, সবাইকেই পারলে তুই করে বলি
এরপর কেটে গেল এতোগুলো বছর। গেল বছর মোল্লা আমাকে খুঁজে পেয়ে ফেইসবুকে অ্যাড করলো। এতোদিন পর ওকে পেয়ে কী যে ভালো লাগলো। টুকটাক কথা হতো, দেখা করবো করবো করেও সময় কুলাচ্ছিল না। এদিকে আমার অনার্স শেষ করতে না করতেই হল্যান্ড চলে আসা হলো। আসার কিছুদিন আগে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম এই বিষয়ে। এরপর পরই মল্লিকা আমাকে নক করে বললো, ‘তুই কী ইরাস্মাস নিয়ে হল্যান্ড যাচ্ছিস?’ আমি সায় দিতেই সেও লাফিয়ে উঠলো, আরে আমিও তো ইরাস্মাস এক্সচেইঞ্জ স্কলারশিপে ইটালী যাচ্ছি! প্রায় একই সময়ে, ১০/১৫ দিন এদিক ওদিক।
এরপর আমি হল্যান্ডে এসে আমার অপ্রিয় কাজ পড়াশুনা নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে গেলাম যে হল্যান্ডটাই দেখা হলো না ঘুরে ফিরে। খুব মন খারাপ করে ফেইসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। একটা ছুটি পেয়েছি ক্রিসমাসের, যেমন করেই হোক এটা কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসতে হবে কোথাও থেকে। একা একা ঘুরতে ইচ্ছে করে না। তখনি শুনলাম মল্লিকা আর তার ২ বন্ধু ইউরেইল পাস নিয়ে কয়েকটা দেশ ঘুরতে বেরুচ্ছে। আমি বললাম আমিও জয়েন করবো। এরপর নানা হিসেব নিকেশ করে দিনক্ষণ ঠিকঠাক করে টিকিট কাটতে নিলাম এই মর্মে যে ২৬ তারিখে জার্মানির মিউনিখে ওদের সাথে যোগ দেব। সেখান থেকে জার্মানীর কয়েকটা শহর ঘুরে প্যারিস হয়ে রটারডাম। ২২শে ডিসেম্বর এই প্ল্যান করে আনন্দে দাঁত কেলিয়ে ক্লিক করে করে যাচ্ছি ইউরেইল পাস এর ওয়েব সাইটে। বুকিং দিতে গিয়ে দেখি বিধিবাম! ২৯ তারিখের আগে কোন ডেলিভারি নেই। কী বিপদ। আমার তো এই দিকে ১ তারিখে ফিরতে হবে। দুঃখে বুক ফেটে কান্না এলো। তারপর এমন অসংখ্য ঝামেলা পেরিয়ে ঠিক করলাম শুধু প্যারিস যাবো। তাও ট্রেনে না, বাসে। রটারডাম থেকে বাসে গেলে ৬ ঘন্টার মতন লাগে, টিকিটের দামও চলনসই, যাওয়া আসার টিকিট মোট ৭৭ ইউরো। ২৮ তারিখ রাত ১১টায় বাস। পৌঁছাবো ভোর ৬ টায়। প্যারিসে থাকবো মল্লিকার এক বন্ধু প্রিয়াঙ্কা আপুর বন্ধুর বাসার। এরই মধ্যে আমার রিসার্চ প্রপোজাল লিখে শেষ করতে হবে। প্রেমের প্রপোজাল হলে একটা কথা ছিল, হিতম বিতম করে একটা কিছু লিখে দিতাম। আদা জল খেয়ে লেগে গেলাম প্রোপজ করার কাজে। টাইম মিলাতে হিমশিম খেতে খেতে যেদিন সন্ধ্যা ১১টায় বাস সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় লিখে শেষ করলাম। তারপর দৌঁড়ে কিছু কাজ সেরে ব্যাগ গোছানোর কাজে লেগে গেলাম। যারা বলে মেয়েদের রেডি হতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাগে আর ব্যাগ গোছাতে কয়েক দিন তাদের মুখে ঝাঁটা মেরে আমি ১ ঘন্টায় সব রেডি করে নিজেও রেডি হয়ে গেলাম। খুব ভয় লাগছিল। রটারডাম থেকেই অন্য শহরে আমি একা কখনো যাই নি। এইখানে এক বাঙালী ভাইয়া আছেন, তারেক নাম। (তারেক পরমাণু না আবার ) সব সময় উনার সাথেই যাওয়া আসা করেছি, তাও আমার অনেক কঠিন মনে হতো এই সব ট্রাম, মেট্রো, বাস, ট্রেন ধরে কারো বাসায় যাওয়া। সারাক্ষণ মনে হতো এই বুঝি হারিয়ে গেলাম। তারেক ভাই প্রায়শই আমার ছোট খাটো টেস্ট নিতেন রাস্তা চেনার ব্যপারে। বলা বাহুল্য, প্রতিবারই টেনে তুনে পাশ মার্ক তুলে বেঁচে যেতাম। তো যা বলছিলাম, একা একা এতো দূর যাওয়াই না কেবল, তারপর আবার আমার বন্ধুদেরকে খুঁজে বের করা! যাওয়ার আগে শুনলাম প্যারিস অনেক বড় একটা শহর, প্যারিসে ফ্রেঞ্চ ছাড়া কেউ ইংরেজি বলে না। কয়েকটা ফ্রেঞ্চ ওয়ার্ড শিখে নিলাম যাওয়ার আগ মুহূর্তে। বন্ধু ইনান আর রাহিন সাহস দিল এই বলে যে, অনেক সোজা প্যারিসের মেট্রো, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই নাকি ঠিকঠাক মতন পৌঁছে যাবো। আর ইংরেজি যে একদম বলে না তা কিন্তু না। অনেকেই বলে। যাই হোক, এদের দু’জনকে এতো প্রশ্নবানে জর্জরিত করেছিলাম যে শেষ পর্যন্ত তারা বলতে বাধ্য হলোঃ “তারু, তোর যাওয়ারই দরকার নাই। ঘরে বসে টেনশন কর। সেইটাই ভালো হবে। আরাম করে টেনশন করতে পারবি”। রাগে দুঃখে আমি জবাব দিলাম, “আমাকে এইভাবে অপমান করলি! এর জবাব আমি দিবই দিব!”
দুরুদুরু বুকে ঘরের লাইট নিভিয়ে দিয়ে দরজা লক করে ট্রলি ব্যাগ টানতে টানতে রাস্তায় নেমে এলাম। প্রচণ্ড বাতাস, তবে ঠাণ্ডা তেমন নেই। ট্রাম আসতেই উঠে বসলাম। আগের দিন তারেক ভাই এর সাথে গিয়ে দেখে এসেছি বাস কোন জায়গা থেকে ছাড়বে। সেইখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। বাস এলো যথা সময়ে। উঠে বসলাম একদম সামনের সারিতে। আর কোন জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। কত জল্পনা কল্পনা ছিল, একটা এলো চুলের ডাচ ছেলে এসে পাশে বসবে! আর তারপর ...
কিন্তু কোথায় কী?! এক মেয়ে এসে বসলো! ধুর! সে মুখ ঢেকে নাক ডেকে ঘুম দিল। আমার আর ঘুম হলো না। আমি চলন্ত গাড়িতে ঘুমাতে পারি না। এইখানে সব রাস্তা একমুখো। তাই অতো টেনশন হয় না যেমনটা হয় বাংলাদেশের হাই ওয়েতে জার্নি করার সময়। কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘড়ি দেখছি, আর কতক্ষণ? মাঝে একাধিক যাত্রা বিরতিতে বাস থামলো। বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে গেল, কতবার মিয়ামি কিংবা নূরজাহানে আমাদের যাত্রা বিরতি হতো দেশের বাড়ি যাওয়ার সময়। একটা যাত্রা বিরতিতে বাস দেখি আর নড়ে চড়ে না। বসতে বসতে বিরক্তি ধরে গেল। কী হচ্ছে কিছু বুজছি না। কী কী সব ডাচ ভাষায় বলে গেল কিছুই বুঝলাম না। প্রায় দেড় ঘন্টা পর বুঝতে পারলাম এই ড্রাইভার আর চালাবে না। আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম অবশ্য, কেমন যেন ঝিমাচ্ছিলো চালানোর সময়। অতঃপর নতুন ড্রাইভার আসতেই পুনরায় যাত্রা শুরু হলো। আমি মনে মনে বেশ বিরক্ত হলাম, ৬টায় পৌঁছানোর কথা, এই দিকে এইখানে এতোটা সময় নষ্ট করলো ব্যাটারা! কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম ঘড়ির কাটা ৬ ছুঁই ছুঁই করছে, ভোর হচ্ছে প্যারিসের আকাশে আর বাস এসে থামলো প্যারিসের গালিয়েনি স্টেশনে। বাহ, তাহলে এইসব আগেই হিসেব করা ছিল! বাস থেকে নেমে ব্যাগটা বের করে নিয়ে মেট্রোর উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলাম। সবাই যেই দিকে যাচ্ছে সেই দিকে চলা শুরু করলাম। ম্যাপে দেখে নিলাম ক’টা স্টেশন পর আমাকে নামতে হবে। আমাকে যেতে হবে সন্তিয়ের স্টেশনে যেখানে আমার ছোট্টবেলার বান্ধবী আমাকে নিতে আসবে। ওকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম, ও আমাকে জানালো ও বেরিয়ে পড়েছে। তবে ও যেখান থেকে আসবে সেটা অনেক দূরে, তাই বেশি সময় লাগবে। যাই হোক, দেয়ালে দেয়ালে নির্দেশনা দেয়া আছে কোন দিকে গেলে কোন মেট্রো পাওয়া যাবে। আমি জানি আমি ঠিক দিকের লাইনেই দাঁড়িয়ে আছি, তবুও উঠার আগে একজনকে জিজ্ঞেস করে নিলাম। নিশ্চিত হয়ে উঠে পড়লাম। সন্তিয়েরে নেমেই একটা ভুল করলাম। স্টেশন থেকে বের হয়ে আসলাম। সাথে সাথে প্যারিসের ঠান্ডা কনকনে হাওয়া আমার হাড় কাঁপিয়ে সুস্বাগতম জানিয়ে গেল। সাথে করে কিছু খাবার নিয়ে এসেছিলাম, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সেইটা দিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। তারপর বান্ধবীর জন্য অপেক্ষা। এই অপেক্ষার আর যেন শেষ নেই...
মন্তব্য
প্যারিস পৌঁছার আগেই পর্ব শেষ? মোল্লাও তো এখনো আসলো না। পাঠককে এ কোথায় ফেলে লেখক ভেগে গেল, এ্যাঁ?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভাগি নাই তো আবার আসিবো জ্বালাইতে !
পারিতে আসার আগেই পর্ব শেষ একারণেই এই পর্ব শূন্য পর্ব!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপ্নে বেঁচে আছেন দেখে ভালো লাগলো! আপনারে আর রাহিন ভাইরে সচলায়তন থেকে চাঁদা তুলে ফাঁসি দেয়ার মতলব করছিলাম! আপনি বেঁচে গেলেন!
জার্মানি না আসায় ধিক্কার রইল! অবশ্য ভালো হৃদয়ের লোকেরা ছাড়া জার্মানি ভ্রমনের ভাগ্য সবার হয়না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রাহিন্রে ছেঁড়ে দিয়েন না কইলাম, তাইলে আপ্নেরে আমি ফাঁসিত ঝুলামু!
আর যেমনে ফাঁসির ব্যবস্থা করতেসেন তাতে তো বুঝতেই পারতেসি কী হিটলারী হৃদয় নিয়ে মানুষ জার্মানীতে যায় !
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
আগ্রহে ভাটা পড়ে যাবে চিন্তা নাই ভাইয়া!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কেমনে কি
গুল্লি?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
বাকিটা কই?
বাকিটা আমার আঙ্গুলের ডগায়!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ওই, এত জ্ঞান দিলাম, আমারে তো বেমালুম ভুলে গেলি!!
ইয়ে মানে আপনি যেন কে? ঠিক চিনতে পারছি না যে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ইনি প্যারিসে পৌঁছালে কেউ আমাকে খবর দিও।
ফুন লম্বর দিলেন, জানায় দিবোনে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সুপার লাইক ...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তাত্তারি পরের পর্ব নিয়ে আসেন প্লীজ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আইচ্চা!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
বাহ্! বাহ্! বিহ্! বিহ্! (এইভাবে আমাদের এক সিনিয়র আপু বলতো, কোন কিছু খুব বেশি পছন্দ হলে) আমি কাজে ব্যস্ত থাকায় 'লাইক' একটু কম পরে গেছিলো, কিন্তু ভাবছিলাম যে তোমাকে জিজ্ঞেস করি বিস্তারিত অভিজ্ঞতা নিয়ে আর ভাবতে না ভাবতেই দেখি লেখাই চলে এসেছে! বাহ্! বাহ্! বিহ্! বিহ্!
আইফেল খাম্বার ছবিটবি দিবে তো নাকি? ছবি ছাড়া ভ্রমণ পোস্ট পড়ে আরাম লাগে না।
তবে তুমি যে খুব দ্রুত রেডি হয়ে উপস্থিত হতে পারো তা বৃষ্টির সকালে লালবাগ কেল্লা ভ্রমণায়োজনেই টের পেয়েছি, সবার আগে ত্রানা হাজির! এর ব্যাপারে আমি নিজে স্বাক্ষ্য দেবো যদি কোনদিন কেউ অভিযোগ করে,
বাসের ব্যাপারটা মজার না? ম্যানচেস্টার থেকে লন্ডন যেতে বড়জোর ঘন্টা চারেক লাগতো, তাও মাঝে বাস ড্রাইভার বদল হতো, এটা দেখে হাসি পেত, আচ্ছা! আমাদের এখানে যে একই ড্রাইভার সারা রাত উভয়দিকের গাড়ি সামলে ঢাকা থেকে রাজশাহী এসেই আবার এক ঘন্টার মাঝে ধরো রাজশাহী থেকে ঢাকা রওনা দেয়, এরা কী পরিমাণ ট্যালেন্টেড ভেবেছ!
বাকিটা তাত্তাড়ি দিও! তোমার লেখা দেখে আমার নিজেরও একটু বেড়ানো কুড়ানো নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করছে অনেকদিন পরে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হেহেহে!
এখনো পর্যন্ত যা যা লিখসি তার কি কোন ছবি দেওয়া পসিবল? আপ্নেই কন? মোটে তো প্যারিস এ পৌঁছালাম। এরপরের পর্বে দিবোনে। দুঃখের ব্যাপার হলো আমার ক্যামেরায় সব ছবি কাঁপাকাঁপা আসছে।
সাজগোজ কম করলে রেডি হইতে বেশি টাইম লাগে না! আর আমার তো চুল আঁচড়ানো বা না আঁচড়ানো দুইটাই একই রকম দেখায়, তাই চুল আঁচড়ানোর ঝামেলাতেও যাইতে হয় না!
বাংলাদেশের এক একটা বাস ড্রাইভার এক একটা ! আমি ঢাকার বাইরে গেলে পাশে যেই দুই জন বসে তাদের অবস্থা খারাপ করে দেই!
আপনি যে লাইকি আফু এইটা তো আমি পরথম বুঝতেই পারলাম না। আপনার লাইক অনেক মিস করসি। আমি তো ভাবতেসিলাম আপ্নারে মেসেজ দিব লাইকান না কেনু? রাগ করসেন নাকি আমার উপরে?
আর তাড়াতাড়ি নিজের লেখা দ্যান!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কী কও! আমি হলে তো যাত্রাপথের ছবি দিয়েই ভরায়ে ফেলতাম! (আরে, ছবি দিলে লেখা কম লাগে, বোঝ না... হে হে হে )
তুমি কী ক্যামেরা ব্যবহার করো জানি না, তবে মনে হয় কোন পয়েন্ট এন্ড শুট? সনির অটো মোডেই ভালো ছবি উঠে মনে হয়েছে আমার। আর ক্যাননের কিছু ট্রিক বের করেছি, ম্যানুয়াল মোডে না তুলে, বরং ওদের প্রিসেট মোডগুলো ভালো কাজে দেয়। রাতের আর ঝিলমিল আলোর ছবি হলে 'নাইটমোড' ভালো, (কয়দিন আগের একটা ছবি আছে ফেসবুকে দেখো), স্বল্প আলোতে 'ইনডোর' মোডে খুব ভালো ছবি পাওয়া যায়। তবে ফ্ল্যাশ অফ রাখলে আরও ভালো হয়, কিন্তু হাত খুব স্টেডি থাকতে হবে (তুমি রাতের আর ঝিলমিল আলোকসজ্জার ছবিও তুলতে পারো এই মোডে, হাত স্টেডি না থাকলে ভারি মজার এফেক্ট পাবে তাতে করে। )
আমার কোঁকড়া চুল ভারি ভালো লাগে। আর আসলে আরাম না? কিছুই করা লাগে না, সব সময়েই হিট!
অটঃ আমার এহেন নামকরণের তীব্র পেতিবাদ জানাই বাই দ্য ওয়ে! (আর কেনু? তুমি ঝান্তা না নাকি আসলেই? ) আমি রাক্কর্ব ক্যান? বেস্তু ছিলাম, আছি। বলেছিলাম না, একদিন আমার লাইক মিস্কর্বা? খ্রাও, এখনো তো কান্নার দিন আসে নাই, আসবে, আসবে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চলুক।
মল্লিকাকে মোল্লা বানানোটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়া উচিত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি দেই নাই তো এই নাম। আমাদের আরেক স্কুল ফ্রেন্ড বর্ষা এই নাম দিসে। আমি মল্লিকাই ডাকি
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
১) ছোটবেলায় আমি তুই বা আপনি কোনোটাই বলতে পারতাম না। সবাইকে তুমি। এখন আপনি বলতে শিখেছি। তুই বলে এখনো আরাম পাই না।
২) ১ ঘণ্টার নোটিশে দূরপাল্লার টোটো করতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমারো আছে।
৩) মিয়ামি কোনখানে?
৪) তোমার ঘুরাঘুরির বৃত্তান্ত পড়ে হিংসা করলাম অনেক। লিখতে থাকো। কী আর করা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১। আমি পুরা স্কুল লাইফে কাউকে তুই করে বলতে পারি নি। হলিক্রস কলেজে গিয়ে কয়েক জনকে বলা শুরু করি। এরপর তুই বলাটা অনেক ইজি হয়ে যায়। এখন কোন স্কুল ফ্রেন্ডের সাথে কথা হলেই তুই করে বলি। তবে সবাইকে না। যাদের সাথে বলতে বলতে ভালো লাগে!
২। এই অভ্যেস থাকা খুবই ভালো। আমার ১ মিনিটে রেডি হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সবাই নানু বাড়ি যাচ্ছিল। আমি যাবো না। সবাই রেডি হয়ে গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর আমি যখন গেইটে দাঁড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছিলাম ঠিক ঐ মুহূর্তে আমার মনে হলো একা একা বাসায় থাকতে একটুও ভালো লাগবে না। গাড়ি ছেঁড়ে দিচ্ছে দিচ্ছে এমন সময় আমি বললাম আমিও যাইতে চাই। সবাই চোখ কটমট করে তাকাতেই আমি বললাম ১ মিনিট জাস্ট! আসলেই ১ মিনিটে রেডি হয়ে গাড়িতে উঠে গেসিলাম!
৩। মিয়ামি কুমিল্লায়। আর্মি এরিয়ার একদম কাছে। খাদির দোকান আছে আর একটা রেস্টুরেন্ট আছে।
৪। আগামী সপ্তাহে আমার রেজাল্ট দিবে যার উপর আমার মাস্টার্স কন্টিনিউ করা ডিপেন্ড করছে। আসলে অতোটা মজায় নাই যতটা মনে হচ্ছে। খুব টেনশনে আছি। পুরা ট্যুর এ এই একটা টেনশন করে বেড়াইসি! হিংসা কইরেন না, তাইলে ফেইল করবো!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মল্লিকা আসিবার পূর্বে প্রথম পর্ব শেষ হইয়া গেল!
চায়ের মগ হাতে নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকিলাম।
চা ঠান্ডা হয়ে গেলো। স্যরি!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অপেক্ষার প্রহর বড়ই দীর্ঘ।
ভাল লেগেছে।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তুই ইনান ভাইয়ার সাথে এখনও দেখা করিস নাই?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইনাইন্না তো থাকে চুইডেন! ওর সাথে কেম্নে দেখা করবো?
পোলাটা বদ! তার সাথে এই ডিসেম্বরে একটা প্ল্যান করসিলাম। কিছুটা আমার কারণে আর কিছুটা তার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয় নাই। তবে পুরা দোষ ইনান এর
যদি পরীক্ষায় পাশ করি আর এপ্রিলে একটা ছুটি নিতে পারি ল্যাব থেকে তাইলে গাধাটার সাথে দেখা করবো হয়তো!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সবাই কতো মজায় আছে,খালি ঘুরে বেড়ায়।আমার কবে যে এইদিন আসবে!খালি খালি হা-পিত্যেশ করতে হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহে আমার রেজাল্ট দিবে যার উপর আমার মাস্টার্স কন্টিনিউ করা ডিপেন্ড করছে। আসলে অতোটা মজায় নাই যতটা মনে হচ্ছে। খুব টেনশনে আছি। পুরা ট্যুর এ এই একটা টেনশন করে বেড়াইসি! মন খারাপ হিংসা কইরেন না, তাইলে ফেইল করবো! ওঁয়া ওঁয়া
আর আপনার দিন ও আসবে। আমারো এমন মনে হতো। কিপ রোগী!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এই সিরিজের নাম হওয়া উচিত ছিলঃ 'প্যাঁচাল পারি'
অফটপিকঃ মুচমুচে হইসে।
খানাদানা ছাড়া দেখি কিছু বুঝস না! মুচমুচে হইসে নাহ?
এম্নেই পুরাটা লেখা নিয়ে অনেক জ্বালাইসিস... এখন নামকরণ নিয়া পক পক করলে অনায্য ভাইরে নিয়া দড়ি খুঁজতে বাহির হমু কইয়া দিলাম!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সিটবেল্ট বাঁধলাম কইলাম!!!
দারুন হচ্ছে...
"তুই" বলায় মজা আছে, বেশি আন্তরিক লাগে।
// সবাই কত্ত কত্ত ঘুরে বেড়ায়!
--
বিবর্ন সময়
আগামী সপ্তাহে আমার রেজাল্ট দিবে যার উপর আমার মাস্টার্স কন্টিনিউ করা ডিপেন্ড করছে। আসলে অতোটা মজায় নাই যতটা মনে হচ্ছে। খুব টেনশনে আছি। পুরা ট্যুর এ এই একটা টেনশন করে বেড়াইসি! মন খারাপ হিংসা কইরেন না, তাইলে ফেইল করবো!
সিট বেল্ট খুলে বসেন, এতো তাড়া কিসের?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আরে কী যে বলেন, হিংসা করে আপনাকে ফেল করায়ে সারাজীবন আপনার অভিশাপ বয়ে বেড়াবো নাকি!! তবে, এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। বহাল তবিয়তেই নিশ্চয়ই মাস্টার্স কন্টিনিউ করছেন!
একটু ঝামেলায় থাকার কারনে আপনার পরের পর্বটা দেখতে পারিনি, মাত্র দেখলাম পোষ্ট। পড়ব। অবশ্য আপনার কথামত সিটবেল্ট খুলে ফেলার কারনেও হতে পারে!!!
ভালো থাকবেন!
জ্বী, পাশ করেছি
তবে উইন্টার কোর্স এক্সাম সামনে। শান্তি নাই আমার ! আপনার অভিশাপের সাইড ইফেক্ট কাজ করছে
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনি চমৎকার লেখেন। চলুক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
। পরের পর্ব কবে আসবে !
দাঁড়ান, আসিতেছে হল্যান্ডে, নাম নিয়ে মস্করা করার জন্য সব জাদুঘরের টিকিট আপনাকে দিয়ে কেনাব।
facebook
তো আপনি বলতে চাচ্ছেন যদ্দিন আপনি হল্যান্ড না ল্যান্ড করছেন তদ্দিন আমি 'দাঁড়ায়' থাকবো?
আর হল্যান্ড আসলে আমার টিকিটের টাকা সাথে করে নিয়ে আইসেন। আমি নিজেও হল্যান্ড দেখি নাই। ভাবতেসি আপনার টাকায় হল্যান্ড দেখলে হল্যান্ডের একটা অন্য রকম সৌন্দর্য চোক্ষে পড়বে! আপনার কী মত?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সমবয়সী সচলাদের মধ্যে ত্রানাকে আমি সবচেয়ে বেশি হিংসাই!
সিরিজ চলুক। সঙ্গে ছবিও চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগামী সপ্তাহে আমার রেজাল্ট দিবে যার উপর আমার মাস্টার্স কন্টিনিউ করা ডিপেন্ড করছে। আসলে অতোটা মজায় নাই যতটা মনে হচ্ছে। খুব টেনশনে আছি। পুরা ট্যুর এ এই একটা টেনশন করে বেড়াইসি! মন খারাপ হিংসা কইরো না, তাইলে ফেইল করবো!
ছবি সব কাঁপসে। তুমার মতন তো এতো ভালু ফটুগ্রাফার না আমি !
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
প্রথম পর্বটা ভাল লাগল।
তাসনীমের সাথে একমত, মল্লিকাকে মোল্লা বানানোটা শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পরে।
তয় এইটা প্রথম পর্ব না! এইটা শূণ্য পর্ব! প্রথম পর্ব এর পর!
মোল্লা নাম আমি দেই নাই তো!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনে রসিক আছেন।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
চ্রম। পরের পর্ব ছাড়তে কিপটামি কইরেন না
ডাকঘর | ছবিঘর
আইচ্ছা
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
পড়তে বেশ মজা হয়েছে। আমার এরকম স্কুলের একটা বান্ধবী ছিলো। কোথায় যে হারিয়ে গেলো। ক্লাস ফোরে পড়তাম একসাথে। নাম মনে আছে কিন্তু চেহারা ভুলে গেছি। ফেসবুকে সার্চ করে পাই না।
অনেকদিন পর পড়লাম তাও পরের পর্বটা দিলে না আপু! রেজাল্ট কি দিয়েছে? কেমন হলো?
রেজাল্ট দেয় নাই! টেনশনে হাতপা কাঁপ্তেসে!
অনেকদিন পর?
এই সেইদিনই তো দিলাম লেখাটা!!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সারাজীবন বাসে পাশে কোন মেয়ে বসলনা, আর আপনার পাশে ফট করে বসে গেল সেই নিয়ে কিনা আবার আপসোস?
আমি তু আর সাফী না, অন্য কোন ছেলেও না, আবার ইয়ে ও না! তাইতু আপচুস!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মোল্লা'র সাথে এখনও দেখা হয় নাই?
...........................
Every Picture Tells a Story
পরের পর্বেই দেখা হইয়ে দিবো নে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
দারুন! মোললা ো হিট হয়ে গেলো দোসতো। পরের টুকরা পডতে চাই জলদি
লিঙ্ক ধরে পরে ফেললাম।
ভালো লেগেছে।
অনেক ভালো থাকবেন তারানা।
শুভকামনা।
-----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন