তীরন্দাজ এর ব্লগ
রামপাল প্রকল্পের নেপথ্যে দেশী-বিদেশী সংযোগ
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: রবি, ১০/০৯/২০১৭ - ১:২৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আপাতদৃষ্টিতে জার্মানির স্টুটগার্টের ব্যাবসায়িক সংস্থা (Fichtner Group)কে মানুষ ও পরিবেশের মঙ্গলের কাজেই নিবেদিত বলেই মনে হবে। তাদের সুদক্ষ প্রকৌশলীরা ইকুয়েডরের রাজধানী কিওটোর এলোপাথাড়ি নদীপ্রবাহকে পরিকল্পিত পথে পরিচালনার কাজে ন্যস্ত। প্যালেষ্টাইনের গাজায় সমুদ্রের জল শোধন করে সুপেয় করায় নিয়োজিত তারা, যাতে যুদ্ধবিপন্ন গাজাবাসীরা পরিষ্কার সূপেয় জলে তৃষ্ণা মেটাতে পারে। মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে ১৬০ মেগাওয়া
ডিজিম্যানিয়া
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শুক্র, ১১/০৪/২০১৪ - ৪:১৬পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
গরমের দিনের সকালটা বিচ্ছিরি, নোংরা, ছয়দিনের ঘামে ভেজা গামছার মতো। মোটর সাইকেলের ভটভট, ফেরিওয়ালার চেঁচামেচি, চায়ের স্টলে মমতাজের গান, রিকশাওয়ালার ঝগড়া, রেডিওতে সরকারের গুণকীর্তন, সবকিছু মিলে মিশে বিকট এক বোম্বেটে মাছি হয়ে কানের কাছে অবিরত ভনভন করে। সেই সাথে বাকী দিনটির কথা ভাবতে গেলে বুকের ভেতরে হাজারো গরিলার প্রলয় নাচন শুরু হয়ে যায়। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়তেই থাকে গরিলাদের নর্তন কুন্দন। রাতে ফ্যান
জেনেটিক তৈলচিত্র
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: রবি, ০৬/০৪/২০১৪ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
দিনের আলো ধরে রাখতে ঘড়ির সময় পাল্টানোর দরকারই পড়ে না আর। শহরের ভূমি থেকে দশ কিলোমিটার উঁচুতে এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বাতি সাজানো। সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে প্রতি রাতে জলে ওঠে বাতিগুলো। তাতেই আলোকিত হয় পুরো শহর। শহরের মেয়র বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিক নিয়ে এক কমিটি গঠন করেছেন। তারাই এই বাতিগুলো জ্বালানো বা নিভানোর সময় নির্ধারণ করে শহরের দিন-রাত ঠিক করেন। খুব আরামে আছে শহরের বাসিন্দারা। ছাতা-ব
জিন পরিবর্তিত খাদ্য অনুমোদন কি খাল কেটে কুমীর আনা নয়?
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৩/২০১৪ - ২:২২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
কেন জিএম-খাবারকে (genetically modified food) না বলতে চাই, তার কারণ দেখিয়ে ছিল আমার আগের লেখা। বিপক্ষে মতামতই বেশী পড়েছে। আমাদের দেশের মতো গরীব একটি দেশে যদি খাদ্য-সংকট সমাধানের ধুয়ো তুলে জিএম প্রযুক্তির মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়, তাতে মতামত বিপক্ষেই থাকা স্বাভাবিক। এতে মনসানটো বা এই জাতীয় বিশাল বাণিজ্য সংস্থার বীজবানিজ্যিক নয়া-উপনিবেশিক রাক্ষসের ছোবলের সামনে ভারতের দুই লক্ষ গরীব তুলাচাষী কেন আত্মহত্যা ক
বাংলাদেশে "জিটি" বেগুন- “জিটি” খাবারকে না বলুন!
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:৩৯অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ব্রিটেনের বৈজ্ঞানিক মহলে খাদ্য-বিষয়ক গবেষণায় খুব নামডাক ড: আরপাদ পুজতাই এর। ছোট্ট একটি সাক্ষাতকার দিলেন ব্রিটিশ টেলিভিশনে। বললেন, “জিটি-খাদ্যের কার্যকরীতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমার। কিন্তু এটি বৈধ করার আগে অবশ্যই সুদূরপ্রসারী পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার। বর্তমান এই অবস্থায় এই প্রযুক্তির কোনো ধরণের খাদ্য গ্রহণ করতে রাজি নই আমি”। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে নিজের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরলেন তিনি। কয়েকট
কাদের মোল্লার ফাঁসি কি বন্ধ্যা এক খাসি?
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ১৬/১২/২০১৩ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অবশ্যই খুশি হয়েছি। কিন্তু সে খুশি সাথে সাথেই উবে যায়, যখন দেখি কারো ভাই অফিস থেকে ফেরাপথে জামাতের চোরাগোপ্তা হামলার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। আরও উবে যায়, যখন দেখি, কারো বোন ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে শিবিরের তাড়ায় আলি-গলি দৌড়ে বাড়ি ফেরে। ঘরের ভেতরে কোনো মায়ের ভীতসন্ত্রস্ত শুকনো মুখ দেখে আমারও মুখ শুকনো হয়ে যায়। পাশের বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা যখন জামাত-শিবিরের প
চার দেয়ালের অন্ধকারে লুকিয়ে যে ধন
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শনি, ১৪/১২/২০১৩ - ৩:০১পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
শোষণ দমন রাষ্ট্রশাসন
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শুক্র, ০৬/১২/২০১৩ - ৫:৫০অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
শহরে কয়েকটি বাসে আগুন দেবার পর সহিংস অবরোধকারীদের ধরতে গেল পুলিশ। তাদেরকে না পেয়ে বাজারের তরকারী বিক্রেতা সালামকেই পিটাতে পিটাতে ধরে নিয়ে এলো থানায়। পুলিশ বলল, এই অরাজকতার জন্য জনগণই দায়ী। তাই জনগণের অংশ হিসেবে তুমিও দায়ী। আমরা পুলিশ হলেও মানুষ। তাই একটি সুযোগ দিচ্ছি। দৌড় দিতে হবে তোমাকে। যদি দ্রুত দৌড়াও, তাহলে সীমানার দেয়াল অবধি পৌঁছাতে পারবে। যদি খুব বেশী দ্রুত দৌড়াও তাহলে লাফিয়ে দেয়াল পেরিয়ে রা
ষোলো আনা রাজনীতিবিদ
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/১২/২০১৩ - ৩:৩৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মিসেস হ আর মিসেস খ, এরা কখনো কোনো প্রশ্নেই একমত হতে পারেন না। এর কারণ কী, সেটি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার ষোলো আনা সারমর্ম একের পর এক তুলে দেয়া হলো।
১) দুজনে দুই রকম সুগন্ধী ব্যাবহার করে থাকেন।
২) দুজনে দুই রকম দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকেন।
৩) দুজনেই একই কবির ভক্ত হলেও সেটি প্রকাশ করতে চান না।
শিম্পাঞ্জি কিংকং ও মর্তমান কলা
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ২০/১১/২০১৩ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে একমাত্র শিম্পাঞ্জি কিংকং যখন শেষরাতে খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে যায়, টের পায়নি কেউ। টের পাবার কথাও নয়, এই সময়ে পাহারাদারেরাও ঘুমিয়ে পড়ে। দিনের বেলা যে লোকটি খাবার দিতে এসেছিল, তার সাথে কিংকঙের কী চুক্তি হয়েছিল, সে খাঁচায় একটি কলার বদলে এক কাঁদি কলা রেখে দরজাটিও বন্ধ করতে ভুলে গেল, এসব খবরাদি জানতে হলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ডাকতে হয়। চিড়িয়াখানার পরিচালকদের এতো কিছু জানার আগ্রহও নেই, ট