দুপুরে আরামের পর সন্ধ্যার একটু আগে ঘুম ভেঙ্গে হিজামী দেখল, লাঙ্গল ভিজে গেছে তার। বউ হুরমতুন্নেসার সামনে পড়ে খুব যে লজ্জা পেল হিজামী, এ কথা বলা যাবে না। তার লাজশরম এমনিতেই বেশ কম। বরং হুরমতুন্নেসা নিজেই লজ্জায় পড়ে গেল নেকাবের আড়াল থেকেই। আর সেই সাথে খুব ঘেন্না পাওয়ায় তড়াক করে বিছানা ছেড়ে নেমে গেল সে।
- ঘুমাইলেই লাঙ্গল ভিজান, বিছনা ভিজান ! আপনের কি বুড়িবয়েসে সপ্নদোষ অয় ?
- সপ্নদোষ না গো বিবি। বহুত ডর করে !
- গেরামের মাতবর আপনে, আপনের কতায় হগলে বয়, আপনে কইলেই ওঠে, আপনের আবার ডর কিসের ?
- ডর আছে গো বিবি, ডর আছে! কাউলকা শহীদ মিনারে গেছিলাম, হেই কতা মনে পইরা ডরাইয়া গেছিলাম।
- তাইলে পরশু ভিজাইছিলেন কেন ?
- পরের দিন যাওন লাগব, হেই কতা মনে অইছিল।
হুরমতুন্নেসা আর কিছু না বলে গজগজ করতে করতে চাকর বাকর ডাকতে গেল। হিজামীর মনে পড়লো মাগরেব নামাজের কথা। মাগরেব নামাজের আগে শালিশী বৈঠক তো তারচেয়েও বেশী জরুরী। পান্জাবীটা গায়ে চড়িয়েই মসজিদের দিকে ছুটলো। ভেজা লাঙ্গলের কথা আর মনে পড়লো না।
মসজিদের সামনে হিজামীর চেলা চামুন্ডারা তারই অপেক্ষায় ছিল। গতকাল তো সবাই একসাথে মিলেই শহীদ মিনারে গিয়েছিল।
আনসারী তার বউকে ঘুমের মধ্যে সপ্নে তিন তালাক দিয়ে আবার সংসার করতে চায়। শালিশের মধ্যে একটা হেনস্থা করা জরুরী। এরই মাঝে একটু ঠান্ডা বাতাস বওয়ায়, টের পেলো হিজামী, যে তার তহবন ভেজা। এদিক সেদিক তাকিয়ে পান্জাবী দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করে দেখে তার সাঙ্গপাঙ্গ সবারই তহবনের একই অবস্থা। এতে একটু স্বস্তি পেলো সে, আর লুকানোর দরকার হরো না তার।
ফতোয়া দেওয়া শেষ হল। আনসারীর বিবিকে বিয়ে করবে হিজামী এক রাতের জন্যে। সুন্দরীর সাথে একরাত সহবাসের আনন্দে বিভোর হয়ে হিজামী ভেজা তহবন নিয়েই অজু সেরে মাগরেবের নামাজ পড়তে দাড়ালো।
(এই লেখাটি অন্য ব্লগে দিয়েছিলাম। কেউ কেউ হয়তো পড়েছেন। যারা পড়েননি, তাদের জন্যে এখানে দিলাম।)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন