বুয়া

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৪/২০০৮ - ১১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাজের বুয়া খুজছে অনেকদিন ধরেই। তাবুও এমন বুয়া রাখবে, তা ভাবতেই পারে নি সুমি। বিকট চেহারা, বাজখাই গলার আওয়াজ, গায়ের রং আষাঢ়ের মেঘের মতো কালো। কাজের বুয়াকে সুন্দরী হতে হবে, এমন উৎকট দাবী কে করে? কিন্তু একটা তো একটা সীমা থাকা চাই। বাচ্চারাই যদি বুয়ার ভয়ে তটস্থ হয়, সেই বুয়া কি বাড়ীতে রাখা যায়? তাছাড়া শরীরের বহর দেখে তো খাওয়াদাওয়ার পরিমান বুঝতেও দেরী হয়না। এই দুর্মল্যের বাজারে এমন একজনকে পেট ভরে খাওয়ানোও সহজ কথা নয়।

তাই অফিসের এক কলিগের যোগাযোগে শাহেদ যখন একে নিয়ে বাসায় এলো, গম্ভীর হয়ে উঠলো সুমীর মুখ। দু’জনেই অনেকদিন ধরে একে ওকে বলে বলে একজন বুয়া খুঁজে খুঁজে হদ্দ। পাওয়াই যায়না, সবাই তো গার্মন্টসএ কাজ করতেই আগ্রহী বেশী। আর পেলেও তাদের যা খাই, কেরানীর মাইনেতে সে খাই কি মেটানো সম্ভব? কিন্তু এই বুয়াকে দেখেই আষাঢ়ের মেঘের মতো চেহারা হলো সুমির। তাকে রান্না ঘরের সামনে দাঁড় করিয়ে টেনে শাহেদকে নিয়ে গেল শোবার ঘরে।

- তোমার কি কোন কান্ডজ্ঞান নেই? একে নিয়ে এসেছ! আমার তো দেখলেই ভয় হয়। এমনকি বাচ্চারাও ভয় পাবে। আমাদের তিন্নিকে দেখনা, ফকির দেখলেই ভয় পায়!
শাহেদ সুমির কথাকে একেবারেই পাত্তা না দিয়ে হেসে উঠলো। ওর যেন কোনকিছুতেই কোন ভাবনাচিন্তা নেই।
- কি যে বলো! ভয় হতে যাবে কেন? ও তো আমাদের মতোই মানুষ!
এবার তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো সুমি। এমনিতেই গরমে মেজাজ খারাপ ছিল তার। এর মাঝে মাছওয়ালা প্রায় দ্বিগুন দাম চেয়ে আরো গরম করে দিয়েছে মাথাটা।
- ছাড় তোমার মারফতি কথা! আমি ভয় না পেলেও ছেলমেয়েরা তো ভয় পাবে। একে আমি রাখবো না।
তোমার যা মর্জি! তবে সংসারের ঘানি টানতে টানতে শেষ হয়ে যাচ্ছ, একথা আর বলতে পারবে না! বলে এবারও এবারও হাসলো শাহেদ।
- ওমা, এমন কথা আমি কবে বলেছি?
- বলনি! তবে রাতের বেলা একটু আদর করতে গেলেই তো ছ্যাত করে ওঠো। তারপরই ঘুম!
শাহেদের কথা শুনে এবার হেসে উঠলো সুমি নিজেই। চেহারাতেও লালিমা ছড়ালো বেশ।
- ঠিক আছে গো। আর ছ্যাত করবো না, সারারাত প্রেমই করবো। তারপর দেখবো পরদিন কি করে অফিসে যাও তুমি!

দুজনেই হেসে উঠলো একসাথে। কিন্তু ঘরের বাইরে এসে অবাক হলো দু’জনেই। রান্নাঘরের দাওয়ার বুয়ার কোলে বসে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে তিন্নি। আর বুয়া হেসে গড়িয়ে পড়ছে। ওদের দিকে নজরই করলো না কেউ। আবার শোবার ঘরে ফিরে গেল দু’জন। নতুন করে আলোচনা চললো। ফলাফলে সকাল বিকেল বুয়ার চাকুরী হলো এবাড়ীতেই।

কিন্তু প্রথমদিনই বিরক্ত হলো সুমি। চেহারার সাথে সাথে কথা বলার ভঙ্গীও ভাল নয় বুয়ার। সকাল বেলা মাত্র ঘুম থেকে উঠেওনি, তখনই দরজায় ধুম ধুম ধাক্কা। ঘুম ঘুম চোখে গিয়ে দরজা খুলল সুমী। খুলেই দেখে বুয়া দাঁড়িয়ে বাইরে।
- খাইছে! আম্মা! রইদ উইঠ্যা গেছে, অহনও ঘুমাইতাছেন!
- এটা আবার কোন ধরণের কথা! আমার সামনে খাইছে খাইছে করবে না।
- ঠিক আছে আম্মা, কমুনা।
- আম্মাও বলবে না।
- খাইছে! আপনেরে তাইলে কি কমু আম্মা।
- খালা বলবে।
- ঠিক আছে আম্মা, আপনেরে খালাই ডাকমু।

বুয়ার রান্না ভাল। খেয়ে শাহেদ তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ঘরবাড়ীও বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। খাওয়ার পরিমানও বিরাট কিছু নয়। তবে বুয়া হিসেবে অধিকারের সীমাবদ্ধতা থাকে, তা জানেনা একেবারেই। তিন্নিকে পড়াশোনা, বা দুষ্টুমির কারণে সামান্য বকাবকি করলেও গলা বাড়িয়ে ঝগড়া করে সুমির সাথে। মুদ্রাদোষের কথা বার বার বলেও ছাড়ানো যায়নি। এমনকি তিন্নিও মাঝে মাঝে “খাইছে” বলে ফেলে। তারপর মায়ের বকা খেয়ে আবার বুয়ার পেছনে গিয়েই দাঁড়ায়। তাতে সুমির বিরক্তি বেড়েই চলে।

সুমির পিড়িপিড়িতে এরই শাহেদ অন্য বুয়াও খুঁজেছে গোপনে। কথা বলে পছন্দ হলেও বেতনের দাবী শুনে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। কয়েক বার বুয়া ছাড়া নিজের হাতেই কাজকর্ম চালিয়ে দেবে বলে ভেবেছিল সুমি। কিন্তু তার শরীরের কথা ভেবে শাহেদই সায় দিতে চাইল না। নতুন শিশুর আগমনি বার্তায় শরীরও ভারী, যখন তখনই দুর্বলতা এসে ভর করে। তাছাড়া প্রসবের পরও তিন্নিকে দেখাশোনার জন্যে হলেও কাউকে দরকার।

কিন্তু হঠাৎ অশুভ ঘনঘটায় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে লাগল হুহু করে। পঁচিশ টাকা চালের দাম এক লাফে গিয়ে উঠলো পয়তাল্লিশের ঘরে। অন্যান্য খাবার দাবারও চালের দামের সাথে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে উপরে উঠলো। এমনি অবস্থা যে, নিজেদের খাবার জোগাড়ই প্রায় অসাধ্য হয়ে দাঁড়ালো। সুমির অপছন্দের কারণে না হলেও এই অভাবের কারণেই একদিন বুয়াকে বিদায় নিতে হলো। তিন্নিকে কোলে তুলে আদর করে ও শাহেদ আর সুমির পায়ে সালাম করে বুয়া তার সেদিনকার ভাত-তরকারী নিয়ে চলে গেল এবাড়ী ছেড়ে।

কিনতু তাতে যতটুকু খাবার বাঁচলো, তাতে শুন্যস্থানটি পূরণ হবার নয়। তাই শাহেদের বার বার নিষেধ সত্বেও একদিন খুব ভোরে ন্যায্যমুল্যের দোকানে চালের জন্যে লাইন দিল সুমি। শ’য়ে শ’য়ে ক্ষুধার্ত মানুষ চাল কেনার আশায় ভীড় জমিয়েছে। সবারই অপেক্ষায়, কখন খুলবে দোকান। এরই মাঝে কিছু কিছু লোক দেখা গেল, যারা গায়ের জোরে ঠেলে পেছন থেকে সামনে আসবে। একজন আরেকজনকে চিৎকার করে যেভাবে কথা বলছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট ভাবেই প্রকাশ পেলো।

দোকানের খোলার সাথে সাথে দেখা গেল সেই আলামত। পেছন থেকে ধাক্কাধাক্কি আর হই হই রব। পাহাড়াদার পুলিশের দল কি এক অজানা কারনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে। পেছনের হঠাৎ ধাক্কায় সামনে ছিটকে পড়ে যাচ্ছিল সুমি। মাথাটাও ঘুরে উঠেছিল। মনে হলো পেটের ভেতরে শিশু যেন মা মা বলে চেচিয়ে উঠলো। শেষ মুহুর্তে কেউ একজন ধরলো পেছন থেকে শক্ত হাতে। সুমী মুখ ফিরিয়ে বুয়াকে দেখার আগেই শুনতে পেল,
- খাইছে! আম্মাগো আম্মা, আপনেও এইহানে? আমি আপনের পিছেই আছি। দেহি কোন হালায় আপনেরে ধাক্কা দেয়। কইলজা ছিড়্যা লমু না!


মন্তব্য

উত্তীও এর ছবি

ছোটগল্প হিসেবে চমৎকার।
তবে হঠাৎ করেই যেন উপসংহার টেনে ফেললেন।
আরও অনেক গলি উপগলি পেরিয়ে সুমিকে লাইনে দাঁড় করানো যেত।

তবে অভিনন্দন চমৎকার গল্পের জন্য

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন। ধৈর্যের পরীক্ষায় অনেক সময় পেরে উঠি না।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

সেদিন দেখলাম এক রিক্সাওয়ালা একটা ডিম পাঁচ টাকায় দেয়ার জন্য দোকানদারের পায়ে পরা বাকি রাখছে কিন্তু উনি অপারগ সাড়ে পাঁচ টাকার কমে দিবেই না।মানুষ যে কিভাবে বেঁচে আছে!!

লিখাটা পড়ে ভালো লাগল...।।
-নিরিবিলি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গল্পটাতে অত তাড়াহুড়ো করলেন কেন?
এটা বোধহয় আরো কিছু বিস্তৃতি দাবি করে

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! এখন নিজেরও তাই মনে হচ্ছে। দেখি, সামনে আরেকটু সময় নেব। এটাই বিস্তারিত করবো।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহীন হাসান এর ছবি

এ সময়ের চিত্রকল্প :
বাজার ব্যবস্থা
জীবনযাত্রা ....
দক্ষতার সাথে ফুটে উঠেছে গল্পটিতে।

ভালো লাগলো। তীরন্দাজ!

....................................

বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍দুর্দান্ত!
আপনার গল্পের ভক্ত হয়ে উঠেছি এরই মধ্যে।

দুই অনাত্মীয় মানুষের পরস্পরের প্রতি স্বার্থহীন আকর্ষণের (কাবুলিওয়ালা আর মিনির যেমন) দুর্বোধ্য রসায়ন আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে সব সময়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে... হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নিঝুম এর ছবি

মিছিলের মানুষ গুলোর হাত পা সমান থাকে না।সবাই অন্যরকম।আর এখন তো দুঃখের মিছিল চলছে।কষ্ট আমাদের সবাইকে এক করে দেয় সব সময়ই।
আমার কাছে গল্পের শেষটা যথাযথই লাগলো। ছোট গল্পের এই রকম আকষ্মিক বিদায় বুকে লেগে থাকে। এইখানেই তো তার সফলতা।

ভালো লেখা হয়েছে।তীরন্দাজ ভাই।আবারো তীর যথাস্থানে...
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আরিফ জেবতিক এর ছবি

তীর বিধেঁছে । ঠককককক ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অনাত্মীয় সম্পর্ক, স্বার্থহীন আকর্ষণের জটিল রসায়ন সংক্রান্ত বিষয়টায় অভ্যস্ত।
লেখাটা তীরুদা বর্ধিত করে আমাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন, আশাবাদ ব্যক্ত করি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অনাত্মীয় সম্পর্ক, স্বার্থহীন আকর্ষণের জটিল রসায়ন সংক্রান্ত বিষয়টায় অভ্যস্ত।

আমিও জীবনে বহুবার দেখেছি, শুনেছি এই ব্যাপারটা। তবে আমার মুগ্ধতা - আমার পরম সৌভাগ্য - এতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে... হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অভ্যস্ত শব্দটা ব্যবহার করা বোধহয় সিদ্ধ হয়নি এখানে। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম আমি দেখেছি খুব কাছ থেকে। আমার এক বোনের ছেলে আর তাদের বাসার বুয়া। বুয়া এসেছে বোনের ছেলে সেই কথা না বলতে শেখা বয়স থেকে। শেষমেশ যখন তারা কানাডা চলে যায়, তখন পুচকের বয়স ৫-৭। দুজনকে দেখে সহ্য হওয়ার মতো অবস্থা কারোরই ছিলো না!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

তীরন্দাজ এর ছবি

গল্প সংকলন প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে। আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

অন্তরে অতৃপ্তি রবে
সাঙ করি মনে হবে
শেষ হয়েও হইলো না শেষ

--- রেশ থেকে গেলো

সৌরভ এর ছবি

হুমম।
তীর জায়গামতোন বিঁধছে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অসামান্য - যেকোনও হিসেবেই।
আপনাকে (বিপ্লব)

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

তীরন্দাজ এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে!

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

চমৎকার লাগলো। গল্পের অবয়ব নিয়ে অন্যদের মন্তব্যের সাথে একমত নই। অবয়ব এবং ঘটনার বর্ণনা পাঠক হিসেবে তৃপ্তি দিয়েছে। লেখার সময় কলমের সাথে সাথে লেখক যদি হাঁটতে পারেন, তাহলে আবেগ এবং বক্তব্যের উপস্থাপন যথার্থ বলে মনে হয়। এদিক দিয়ে গল্পটি লেটার মার্কস পাবে।
অবশ্য অনেকে হয়তো কলমকেই বশীভূত করে ফেলতে পারেন। সেটা তাদের কৃতিত্ব। তবে ভাষার মারপ্যাঁচে ঘটনার বর্ণনাকে টেনে লম্বা করতে গেলে একটু মেকি মনে হওয়ার চান্স থাকেই যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

গল্পটিকে টেনে অবশ্যই লম্বা করা যেতো। কিন্তু টানার চেয়ে বুননে বাড়িয়ে তোলা ঠিক পথ বলে আমার মনে হয়।

বুননের পরিকল্পনা ও বিস্তার এটুকুই ছিল। এর বেশী কিছু বলার ছিল না আমার। তবে আরেকটু সাবধান হলে হয়তো ভাল হতো।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

- খাইছে! আম্মাগো আম্মা, আপনেও এইহানে?
চমৎকার!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অমিত আহমেদ এর ছবি

পড়েছি, ভালো লেগেছে।
লেখাটা আরো ব্যপ্তি পেলে মন্দ হতো না। ব্যক্তিগত ভাবে ছোট গল্পে তাড়াহুড়ার ভাবটা কেমন কেমন জানি লাগে।

আপনার বইটা ঢাকা-টরান্টোর ফ্লাইটে আমার সঙ্গী ছিলো। আপনার পরবর্তি বইয়ের জন্য শুভ কামনা। একই প্রকাশক?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অদ্ভূত রকম ভালো লাগল।

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।