ছোটগল্প: দেশলাইএর কাঠি

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৪/২০০৮ - ৩:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অদ্ভুত এক মহড়া চলছে সময়ের। সকাল বেলা কপালে মোনালিসা রোদের চুমু। তার সামান্য পরেই সবুজাভ ছায়া শহরের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে। সে ছায়ায় রোদের তাপ যেন আরো বেশী, তাজা সর্ষের মতো ঝাঁঝালো ছায়ার মুখ। বাতাসের তালে তালে রোদ যেন উড়নচন্ডী উর্বর্শী ভালবাসা হয়ে চৈতালী মাতাল মানব সে ছায়ায় নেচে নেচে।

দুপুরে ভ্যাপসা গরমে রতিক্লান্ত সময় আর ঘর। মোনালিসা রোদ আর উড়নচন্ডী উর্বর্শী ভালবাসা এরই মাঝে শুকনো আর খটখটে। শরীরের ভাজে ভাজে চ্যাপটে যাওয়া চিটচিটে ঘাম আর বুদবুদের ছোবল। তার একটু পরেই চামড়া ছেড়া বুড়ো কুকুরের মতো আসে অপরাহ্ন। সামান্য শ্বাসের আশায় কুকুরের মতো জিব বের করে। বিকেলটা একটু শান্তি, রাতের চোখে তাকিয়ে খোলা বাতাসের রং। সে রাত আবার সকাল, দুপুর আর বিকেলকে ভাবিয়ে টানাপোড়ন অস্থির।

এধরণের সময়গুলো কখনো সখনো ভাল হলেও বড্ড বেশী চড়বড়ে। একেবারেই ভরসা রাখা যায়না। কখন কি হাওয়া বইবে, সামান্য আভাসও পাওয়া যায়না। মাঝে মাঝে মনে হয়, জিলিপীর মিষ্টি আবরণের মাঝে কাচালংকার উগ্র ঝাল। সহসাই মেজাজ খারাপ হয়, মুখের ভেতরে একমুহুর্তেই তেতো স্বাদ।

কয়েকটি দিনের এমনি সময়কে ছুঁয়ে ছুঁয়ে সকাল হল। বাজার শেষে বউয়ের কাছে রান্নাঘরে চটের থলেটি রেখে গোসলটি সেরেছি মাত্র। এর মাঝেই বাইরের মোনালিসা রোদ চুমুর বদলে ছোবল মারছে যত্রতত্র। বউএর সাথে ভালবাসার পর যে কাব্যিক মেজাজ নিয়ে গল্প শুরু করেছিলাম, তার সমাধি আর সহমরণ বাজারে যাবার আগেই ঘটে গিয়েছে। গোসলখানা ছেড়ে শোবার ঘরে ঢুকে বাইরের পোষাক পড়া শুরু করতেই বসার ঘরের দরজার ঠক্ ঠক্ টোকার আওয়াজ শুনতে পেলাম। টাওয়েলটাকে বিরক্তির মতোই গায়ে জড়িয়ে কর্কশ গলায় ‘কে’বলে কোন উত্তরে অপেক্ষা না করেই দরজা খুলে প্রশ্নবিদ্ধ চোখে দাঁড়ালাম। দেখি একজন দাঁড়িয়ে আছে বাইরে।

- কে আপনি? আপনাকে তো চিনতে পারলাম না! এই ভর সকালে কি করতে পারি আপনার জন্যে?
- আমার নাম রাজনীতি, আমাকে তো আপনাদের ভাল করেই চেনার কথা। প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ে তো আমাকেই ভাজেন আপনারা।
- ভাজি বটে! সর্বত্রই ভাজি। কিন্তু এখন আমার সময় নেই। অফিসে যেতে হবে। তাড়াতাড়ি বিদেয় হোন।
- না, আমাকে একটু সময় দিতে হবে।

রাজনীতির সাথে দহরম মহরম আমার কখনোই ছিলনা। কিন্তু ছা’পোশা কেরানী আমি, তার সাথে বিবাদে যেতেও সাহস হলনা। তাই দরজা থেকে একটু সরে তাকে বসার ঘরে ঢোকার জায়গা করে দিলাম। ভীতু কেরানী স্বত্বার ভেতরেও একটু সাহস জোগাড় করে বললাম,

- ঠিক বাছে, যা বলার, তাড়াতাড়ি বলুন।
- আমি বিপন্ন।
- তাই? কিন্তু বিপন্ন তো আপনি সর্বদা, সবখানেই, সব দেশেই। এটা আবার নতুন কি হলো?
- কিন্তু এবারের অবস্থা আরো বেশী খারাপ, দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। আমার সাহায্য দরকার।
- সাধারণ নিম্নবিত্ত কেরানী আমি, আপনাকে কি সাহায্য করবো? আমার বাড়ীওয়ালার কাছে যান। খুব গুনী মানুষ। সকালকে বিকেল করতে পারেন, বিকেলকে রাত। ওনার অনেক ক্ষমতা।
- আমি আপনার কাছে এসেছি। আপনার সাহায্যই আমার দরকার।

নাছোড়বান্দার মতো জানালো রাজনীতি। মেজাজ খারাপ হলো আমার। এই শালার রাজনীতি যদি তার হর্তাকর্তাদের কাছে এতটা নাছোড়বান্দা হতো, তাহলে তাকে নিয়ে পুতুলের মতো নাচতো না কেউ। এখন তার যতো ঝাঁঝ আমার মতো ছন্নছাড়া এই কেরানীর কাছে। কিনতু কেরানীদের ভেতরে যা ভাবনা, বাইরে তা বলার সাহস কি আছে কখনো? তাই বললাম,

- বলুন কি সাহায্য করতে পারি।
- খুবই ছোট ব্যপার!
- ঠিক আছে, ভনিতা না করে বলুন দ্রুত।
- এটা রেখে দিন আপনার কাছে। যখন সময় আসবে জ্বালাবেন।

বলেই একটা দেশলাইএর কাঠি এগিয়ে দিল হাতে। অবাক হয়ে সন্মোহিতের মতো হাতে নিলাম কাঠিটি। খুব সাধারণ এক দেশলাইএর কাঠি। বারুদের কালো রঙ কাঠের কাঠিটার একদিকে জড়িয়ে। তার একটি দিক একটু ভাঙ্গা হলেও মনে হচ্ছে জ্বলবে। কাঠের রং ঘোলাটে সাদা। উপরের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই দেখলাম, কিছু না বলেই বিদায় নিয়েছে রাজনীতি। দরজা বন্ধ করে কাঠিটির কথা ভাবতে ভাবতেই ফিরে গেলাম আবার শোবার ঘরে।

কিছুটা বিমোহিতের মতো প্যান্ট শার্ট পড়ে জুতোটি পড়তে গিয়েই আবার একটু ফিরে এলাম বাস্তব পৃথিবীতে। ডান পায়েরটি একটু ছিড়ে আছে বাঁ’দিকে। এই টানাটানির দিনে আবার নতুন জুতো কিনতে হবে ভেবে খিঁচড়ে উঠলো মেজাজ। সামনে আবার ঈদ। বউ এর শাড়ী, ছেলের পোষাকআসাক কিনতেই প্রানান্ত, এর মাঝে আবার জুতো! কাঠির কথা ভুলে কিছুটা হাতাশ কবি স্বত্বার বাড়তি প্রভাবে সুকান্তের কথাই মনে পড়লো। “আহা! ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়!” ছেড়া জায়গাটিতে হাত বুলিয়ে জুতোটি পায়ে গলাতেই আবার দরজায় টোকা। ফিতে না বেঁধেই তিরিক্ষি মেজাজে দরজা খুললাম বসার ঘরের।

- আপনি কে? কি চাই?
- আমার নাম ধর্ম। আপনার কাছে সাহায্য চাই।
- একটু আগে রাজনীতি এসেছিল। আবার আপনি?
- তাই নাকি। তো ভাল যে, আমি একটু পরে এসেছি।
- কেন দু’জনে একসাথে এলে কি ক্ষতি হতো? সকালে অফিসে যাবার তাড়ার মাঝে আমাকে দু’বার দরজা খুলতে হতো না।
- দু’জনে একসাথে চলার মাঝে অনেক সমস্যা আছে। আপনারা তা বুঝতে চান না বলেই এত সমস্যা।
- বুঝি, তারপরও সক্কাল সক্কাল ধর্ম রাজনীতির তাত্বিক আলোচনার মেজাজ আর সময় আমার নেই। যা বলার তাড়াতাড়ি বলে বিদায় হোন তাড়াতাড়ি।
- আমি বিপন্ন। আমি ধর্ষিত।

দেখলাম, সত্যিই বেশ বিপর্যস্ত ধর্মের চেহারা। পোষাক আসাক ছিড়ে একাকার। চেহারায় আচড়ের গভীর চিহ্ন। নিজে ততোটা বিশ্বাসী না হলেও বেশ মায়া হলো তার এই চেহারায়। তাই জানতে চাইলাম,

- এদেশের প্রায় সবাই তো আপনারই অনুসারী। আপনাকে ধর্ষন করার কার এতো সাহস, বলুন তো!
- এখানেই তো সমস্যা। আমার তথাকথিত অনুসারীরাই আমার ধর্ষক।
- তাহলে আমি কি করতে পারি?

কোন উত্তর না দিয়ে আরেকটি দেশলাইএর কাঠি রেখে বিদায় হলো ধর্ম। একই ধরণের কাঠি। শুধুমাত্র কাঠের রঙটি আরো একটু কালচে ধরণের। ওটা কে রাজনীতির দেয়া কাঠিটির পাশে রেখে বেরিয়ে পড়লাম অফিসে। শহরে হরতাল, ধর্মঘট। ছেড়া জুতো পড়েই হাটতে হবে এতটি পথ! সকালের মোনালিসা রোদ তার কমনীয়তা বিসর্জন দিয়ে বিষদাঁত বের কেরছে অনেক আগেই।

অফিসে পৌঁছে দেখি একই আলোচনা। সবার মুখে মুখে একই কথা। আমাদের বড়সাহেবের বাড়ীতে এসেছিল মানবতা আর যোগাযোগ। তার এসিস্ট্যান্ট এর বাড়ীতে ন্যায়বিচার আর শিক্ষা। লিঁয়াজো অফিসার তার শশুরবাড়ীতে ঘরজামাই থাকেন। তার কাছে এসেছিল স্বাধীনতা। অর্থনীতি আর ধর্ম গিয়েছিল আমাদের পিওনের কুড়েঘরে। খেলাধুলা আর রাজনীতি আমাদের বড় কেরানীর বাড়ীতে। কালও নাকি অনেকের বাড়ীতে যাওয়াআসা হবে। সবাই এত বেশী উত্তেজিত যে, কাজেই মন বসালো গেল না। গুরুগম্ভীর বড়সাহেবও সবাইকে ডেকে ডেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইলেন সব। কারা কারা এসেছিল, ক’টা করে দেশলাইএর কাঠি কে কে পেয়েছি, ইত্যাদি।

বিকেলে বাড়ী ফিরে পেটরোগা ছেলেকে নিয়ে গেলাম এক ডাক্তারের চেম্বারে। আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্তের সেখানে যাওয়া কিছুতেই সাজে না। তারপরও এক বন্ধুর পরিচয়ে কিছুটা খাতির করেন এই ডাক্তার। সেজন্যই সম্ভব। তারপরও গরীবের ঘোড়ারোগের মতোই অনেকটা। সেখানেও একই আলোচনা। তার কাছে নাকি অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই হাজির হয়েছিল সাস্থ্য। তার একটু পরই এসেছিল স্বাধীনতা। ডাক্তারের টেবিলে ছুরি কাচির পাশাপাশি দু’টো দেশলাইএর কাঠিও দেখতে পেলাম।

বেশ ক’দিন ধরেই চলছে এমন। সারা শহরে দেশলাইএর কাঠিকে ঘিরে বেশ একটি বারুদ বারুদ ভাব। আমাদের পাড়ার ক্লাবঘরের আড্ডার টেবিলের উপর স্তুপীকৃত দেশলাইএর কাঠি। নাপিতের চুলকাটা কাঁচি আর ক্ষুরের পাশাপাশি জমানো দেশলাইএর কাঠি। কশাইএর দোকানের কাঠের গুড়ির পাশে দেশলাইএর কাঠি। স্কুলের শিক্ষকের টেবিলে বই, চক, ডাস্টারের পাশে দেশলাইএর কাঠি। চারিদিকে কেমন যেন বারুদের গন্ধ ঘিরে ধরেছে আমাদের।

আমি প্রতিদিন হরতাল, মিছিলকে পাশে ফেলে হেঁটে হেঁটে অফিসে যাই। ফেরার সময় সামান্য রাত হলে সন্ত্রাসীর ভয়ে রক্ত হিম হয়ে যায় বুকের ভেতরে। বাড়তি বাড়ীভাড়া দিইনা বলে বাড়ীওয়ালার ছেলে যখন মস্তান নিয়ে আমাকে ভয় দেখায়, তখন কাঁপতে থাকে শরীর। আমাদের একসময়ের স্বাধীনতা বিরোধী মন্ত্রী মহোদয়ের বিশাল বাড়ীর সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে অফিসে যাওয়ার সময় সে কাঁপুনি বেড়ে যায় আরো বেশী। টিভিতে, পত্রিকায় আমাদের ক্ষমতাশীন নেতাদের কলুষিত চেহারা দেখে মনে হয়, ভয়ে বুকের ভেতরে কাঁপুনিতে হৃদপিন্ডই বেরিয়ে আসবে শরীর ছিড়ে। রাস্তায় জননেতাদের পোষা মাস্তানের আক্রমণে ধর্ষিত হয় তরুনী, মৌলবাদী কুকুরের ক্ষুরে কাটে ছাত্রের গলা। আর আমরা প্রতিদিন কেঁপে কেঁপে মরি।

এর মাঝে আমাদের বাসার বসার ঘরের টেবিলে দেশলাইএর কাঠির স্তুপ ধীরে ধীরে আরো বেশী বড় হয়েছে। সেগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ধীরে ধীরে সাহস পাই। হাত পায়ে শক্তি ফিরে আসে। উধাও হয় শঙ্কা, উধাও হয় ভয়। আরো বেশী সংকল্পবদ্ধ চোয়াল, দাউদাউ অপেক্ষা নিশিদিন, কখন সময় আর শমন আসবে, কখন জ্বলাবো এই কাঠির স্তুপ!


মন্তব্য

গৌরীশ রায় এর ছবি

আমি জ্বালব না , মোর বাতায়নে
.......... আমি শুনব বসে।

স্যার , ভাল লেগেছে।

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

রাজনীতির জীবন, জীবনের রাজনীতি নিয়ে খন্ডচিত্রটি ভালো লাগলো খুব।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জ্বালায়ে দেন... যা থাকে কপালে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

কি করবেন এত্ত কাঠি দিয়ে?
-নিরিবিলি

তীরন্দাজ এর ছবি

জালাবো....!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খুবই ভাল লেগেছে লেখাটি। উপমাগুলো মারকাটারি। "মোনালিসা রোদ'। আহা!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

শেখ জলিল এর ছবি

রূপকধর্মী চরিত্রগুলোর যথাযথ উপস্থাপনা ভালো লেগেছে।
...সাম্প্রতিক অবস্থার এক জ্বলজ্যান্ত চিত্রকল্প।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা আপনার গল্পগুলো অসাধারণ হচ্ছে।

শুধু

বউএর সাথে ভালবাসার পর যে কাব্যিক মেজাজ নিয়ে গল্প শুরু করেছিলাম, তার সমাধি আর সহমরণ বাজারে যাবার আগেই ঘটে গিয়েছে।

সহমহরণ শব্দটির ব্যবহার বুঝতে পারিনি মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে... হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

বোঝাতে চেয়েছিলাম গল্প আর মেজাজের মরণ (সহমরণ!)! সত্যি কথা বলতে কি, খুব সুন্দর একটি প্রেমর গল্প লেখার পরিকল্পনাতেই প্রথম অনুচ্ছেদটি শুরু করেছিলাম। তারপর যে গল্পটি এরকম মোড় নেবে, নিজেও ভাবিনি। তারই অনেকটা অসচেতন প্রকাশ ঘটেছে এই লাইন এ। আপনি বলার পর এখন নিজের কাছেই একটু কেমন কেমন ঠেকছে।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দেন জ্বালিয়ে দেন
আর কিছু না পারলে নিজের শরীরেই আগুন লাগান
আর মরতে মরতে বলেন কাউকে না কাউকে জ্বলে মরতেই হবে
কেউ যখন মরবে না তখন আমিই মরি

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনি আমার উপর রেগে গেলন?

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাহবুব লীলেন এর ছবি

না স্যার
রাগবো কেন
আসোলে আমরা এমন ম্যান্দা মেরে গেছি যে জ্বালানো তো দূরে থাক
জ্বালানোর কথা বলার সাহসটাও হারিয়ে ফেলেছি

তাই আপনি যখন বললেন জ্বালানোর কথা
তখন চিতার খড়ি হিসেবে আপনাকেই উৎসর্গ করলাম

পরিবর্তনশীল এর ছবি

মাথার মধ্যে শুধু 'মোনালিসা রোদ' শব্দটাই ঘুরছে...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তীরন্দাজ এর ছবি

মাথায় বা কানে এমন কিছু ঘোরাকে জার্মানরা জলে "ওয়র ভুরম", অর্থ হচ্ছে "কানের ভেতরের কেচো"

সাবধান ভাই, বড় কঠিন রোগ!

*********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তীরন্দাজ এর ছবি

তাহলে বাঁচলাম!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মুখে আমার উশখুশ করছে বারুদ,
বুকে আমার জ্বলে উঠার দূরন্ত উচ্ছ্বাস।

- সুকান্ত
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

শাহীন হাসান এর ছবি

সুলিখিত।
বারুদস্তুপের গন্ধ, মনস্তাত্ত্বিক আগুন পাওয়া যায়
সমাজ ওরাষ্ট্র-চিন্তার সুধীর উপস্থাপনায় ...
খুব ভালো লেখা।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এক কথায় দূর্দান্ত !!!

রানা মেহের এর ছবি

তীরন্দাজ
এতো জটিল বিষয়
এতো সহজ ভাবে তুলে এনেছেন।
ভালো লাগলো পড়ে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তীরন্দাজ এর ছবি

আপানকে ধন্যবাদ!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

বুকের জমা বারুদ গুলো এবার জ্বলে উঠুক।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।