ছোটগল্প: এক্কা দোক্কা, ঠুস!

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শনি, ১২/০৪/২০০৮ - ১:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আস্তে আস্তে বন্দুকটি বের করলো কামরুদ্দীন। পলিথিনের মোড়কের ভেতরে সামান্য মরচে পড়লেও জিনিসটি ভালই আছে বলে মনে হলো। এটাকে আবার ঠিকঠাক করার সিদ্ধান্ত নিল সে। নিজের সুসময়ের এই সাক্ষীকে এভাবে মাটির নীচের অন্ধকারে! কেমন যেন এক পাপবোধ হলো মনে। কাঠের মসৃন অংশটির গায়ে হাত বুলিয়ে অপার্থিব এক আরাম বোধ করায় সে পাপবোধ কমে গেল সহসা। এই রাইফেল না থাকলে তাকে পাত্তা দিত নাকি কেউ! কালো, রোগাপটকা চেহারা, লেখাপড়ায় গন্ডমুর্খ, এক দুই ক্লাশ মক্তবের বিদ্যায় আর কতটুকু মান! কিন্তু এটা হাতে পাবার পর পরই ভোল পাল্টে গেল। সবাই খাতির করা শুরু করলো। কামরুদ্দীন মনে মনে সালাম দিল মেজর জহর বাটকে। এই বাট সাহেবই হাতে অস্ত্র দিয়ে বুকে সাহস দিয়েছেন।

অন্দর মহল থেকে সকিনার আর্তনাদ ভেসে এলো। সেই সাথে দাইএর খনখনে গলা। সকিনার জন্যে বেশ মায়া হলো কামরুদ্দীনের। এক একটি জন্মের জন্যে এত কষ্ট! দশ মাস পেটে বয়ে বেড়ানো, তারপর ঘন্টার পর ঘন্টা এতো কঠিন যন্ত্রণা! সে তুলনায় মৃত্যুকে কতো সহজ! এই রাইফেলেরই একটা গুলি জায়গামতো। ঠুস্! একমুহুর্তের মাঝেই জীবন থেকে মরনে পা। অনেকটা এক্কা দোক্কা খেলার মতো। হঠাৎ ছোটবেলার পাতানো দোস্ত ফরিদের কথা মনে এলো। এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতেই একসাথে বড় হয়েছে দু’জনে। ফরিদ ছাড়া গ্রামের আর কারো কাছেই তো পাত্তা না পেতো না। যখন রাজাকারে যোগ দেবে বললো, তখনও ফরিদ দিনে দুপুরে সাথে সাথেই ছিল। কতো অনুনয় বিনয় করলো,

- দোস্ত, তুই যাইস না রাজাকারের দলে! যারা আমাগো মানুষ মারতাছে, হেগো দলে যাওন ঠিক অইব না দোস্ত।
- এইডা কি কস ফরিদ্যা? আমাগো মুসলমানের দেশ পাকিস্তান। এইডারে শত্রুরা দখল করব, আর আমি ঘরে বইয়া থাকমু! তুইও লগে চল! মুসলমান তুই, মুসলমানের কাম কর!
- তারপরও হেরা বিদেশী। দেশী অইলে এমন কইরা আমাগো মারতো হেরা? দেশ স্বাধীন অইলে হেরা ভাগব। তহন তুই কই যাবি?
- স্বাধীন দেশের আবার স্বাধীনতা কি রে ফরিদ্যা। আর হেরা মানুষ মারে নাই, মারছে কাফির আর গাদ্দার! হেরারে বিদেশী কস! হেরাই অইল আসল দেশী। সব মুসলমান দেশী। হগলেই ভাই ভাই। আমাগো মসজিদের মৌলবিসাব জুম্মার দিন কি কইল, শুনস নাই?

কোন যুক্তিতেই বোঝাতে না পেরে তখন হাল ছেড়ে দিয়েছিল ফরিদ। কিন্তু মনে মনে যে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবার পরিকল্পনা করেছে, সেটা জানতো কামরুদ্দীন। মৌলভী সাহেবের পরামর্শেই একদিন কামরুদ্দীন গিয়ে হাজির হলো পাকিস্তানীদের ক্যাম্পে। সৈন্যদের দেখে খুবই আনন্দ হলো তার। কি জোয়ান জোয়ান একেকটা মানুষ আর কি জেল্লাই তাদের চেহারা! অস্ত্রসস্ত্রের কি বহর! এদের সাথে পাল্লা দেবে হাভাতে মুক্তিবাহিনীর দল! এদের জোর কোথায়? এমনকি ধর্মের জোরও নেই। শালারা চলে তো ইন্ডিয়ার হিন্দুদের কথাতে। বেইমানী করে দেশটা ওদের কাছে বেঁচে দিতে চায়, আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আমাসী মুজিবের কথায় ওঠে বসে।

দুই মাস চললো ট্রেনিং। দলের বেশীরভাগই মাদ্রাসার ছাত্র। ট্রেনিং শেষে ডাক পড়ল মেজর জহর বাটের অফিসে। এক সৈন্য নিয়ে গেল তার কাছে। লম্বা এক সালাম ঠুকে মেজরের ঘরে ঢুকলো কামরুদ্দীন। মেজর তার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আপাদমস্তক চিনে নিল একসাথে। তারপর উর্দুতে জিজ্ঞেস করলো,
- নাম কি?
- আমার নাম কামরুদ্দীন স্যার। মোহাম্মদ কামরুদ্দীন খান।
- খান! তোমার মতো কালা আদমীর নাম খান কি করে হয়?
প্রশ্ন শুনেই ভয় পেলো কামরুদ্দীন। খান অংশটি যে বানানো, টের পেয়ে গেল নাকি মেজর? তাই হাত কচলানো ছাড়া আর কিছু বলার সাহস পেলো না সে।
- তুমি হিন্দু?
এবার জিব কাটলো কামরুল্লাহ। মাথার গোলটুপিটা হাতড়ে দেখলো, যথাস্থানে আছে কি না।
- আমি মুসলমান হুজুর, আমার বাপও মুসলমান।
- তোমার বাপ আছে, বাঙ্গালী আদমীদের বাপ থাকে? এটা কেমন কথা। বাপ থাকলে তোমরা মুসলিম ভাইদের সাথে যুদ্ধ করতে, ষড়যন্ত্র করতে?
- আপনে ঠিকই কইছেন। যারা যুদ্ধ করে, তাদের বাপ নাই জনাব, ওরা বেশ্যার পোলা। আমার বাপ আছে।
- মুক্তিবাহিনী কোথায় পালিয়ে আছে জান?
- মুক্তিবাহিনী আবার কারে কয় হুজুর। হেরা তো হিন্দু শয়তানের দল। একজন দুইজন থাকলেও চিনিনা, তবে খুইজ্যা বাইর করতে পারমু।
- খুজে বের কর এই হারামীদের। এরা দেশের শত্রু, মুসলমানদের শত্রু, আমাদের শত্রু।
খান নামের বিপদ থেকে আপাতত: মুক্তি পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচল কামরুদ্দীন।
- ইমানে কইতাছি, ওদের একটারেও বাচতে দিমুনা হজুর!
- হ্যা, বাঙ্গালীর আবার ইমান। যাও! ভাগো! আমার জুতাগুলো ভাল করে পরিস্কার করে রেখো। দরকার পড়লে জিব দিয়েও চাটবে!

আবার আরেকটা লম্বা সালাম ঠুকে মেজর সাহেবে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো কামরুল্লাহ। নিজেকে অনেক লম্বা মনে হলো। কত বড় কামেল মানুষের সেবায় সে, লম্বা মনে হবারই কথা। ধর্মের প্রতি কি ভক্তি মেজরের! ধর্মকে বাঁচানোর জন্যে কত দুর পথ পাড়ি দিয়েছে। দেশের দ্বায়িত্ব এদের হাতে না থাকলে, থাকবে কাদের হাতে?

মেজর সাহেবের সেবা করতে খুব ভাল লাগতো তার। এমন মানুষের সেবা করা তো সোয়াবের কাজ। সাহেবের পা টিপতে টিপতে স্বর্গসুখের অনুভুতি পেতো। একদিন মেজরের ডান পায়ের তলায় বড় একটি কাল দাগ দেখে ভয় পেলো কামরুদ্দীন। হয়তো কোন ক্ষত, কোন যুদ্ধের চিহ্ণ! কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলো না সে। কিন্তু তার দু:শ্চিন্তা টের পেলো মেজর। এটা যে জন্মদাগ সেটা শোনার পর অনেকটা শান্তি হলো তার। প্রথমে কিছুটা অবিশ্বাস হলেও বারকয়েক খুটিয়ে দেখার পর নিশ্চিত গলো সে। পায়ের এই দাগটায় মালিশ করতে তার খুব ভাল লাগতো, আর মেজর সাহেবও যেন বেশী আরাম পেতো।

ধর্মের সামনে ভাই, বোন, দোস্তের হিসেব নেই। তাই মেজর সাহেব, আর আরো কিছু সৈন্য নিয়ে হাজির হলো কামরুদ্দীন একদিন ফরিদের বাড়ীতে। ফরিদ তাকে দেখে এতোই হতচকিত হলো যে, পালানোরও চেষ্টা করলো না। বোবা অবিশ্বাস আর আতংক চোখে তাকিয়ে রইল শুধু। পিস্তলের গুলির নাকি দাম বেশী, তাই তার এই বন্দুক নিয়েই মেজর সাহেব ফরিদের কপালে গুলি করলেন। ঠুস! ফরিদ জীবন থেকে এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে মরণে ঘরে পা রাখলো। জন্ম যত কঠিন, মরণ তার থেকে অনেক অনেক সহজ। শত্রুর মাল গনিমতের মাল। সে মাল ভোগ করা মুসলমানদের কর্তব্যের মাঝে পড়ে। ফরিদের বউও গনিমতের মাল। তাই সবার আগে মেজর, তারপর বাকী সৈন্যদের একজন একজন করে ভোগ করল ফরিদের বৌকে। কিন্তু কামরুদ্দীনের পালা আসার আগেই তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে মরে গেল বৌটি। সেই দৃষ্টির কথা মনে হলে এখনও গা শিরশিরিয়ে ওঠে তার।

যাতে গ্রামের লোকজনের কাছে সন্মান বাড়ে, সেজন্যে নিজের বাড়ীতেও নিয়ে গিয়েছিল মেজর সাহেবকে। মেজর সকিনাকে ‘বহিন’ ডেকেছেন। সকিনার হাতের রান্না খেয়ে খুব ভাল লেগেছিল তার। তাই বেশ কয়েকবারই গিয়েছেন তাদের বাড়ীতে। বলতেন, যুদ্ধ শেষ হলে ওদেরকে নাকি পাকিস্তানে নিয়ে যাবেন। সকিনা মাঝে মাঝে বিরক্ত হতো। কিন্তু মেয়েমানুষের কথায় বেশী পাত্তা দিলে কি চলে?

কিন্তু কি ভাবে কি হলো, বোঝা গেলো না। ডিসেম্বরের এক রাতে হঠাৎ আক্রমন হলো ক্যাম্পে। চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো মুক্তিবাহিনী। সে রাত সকিনার কাছে বাড়ীতেই ছিল কামরুদ্দীন। নিজের বন্দুকটি বাড়ীর পেছনে এক গর্তে পলিথিনে মুড়ে লুকিয়ে পালিয়ে বাঁচলো সে। সকিনাকে পাঠালো পাশের গ্রামে তার বাবামায়ের কাছে। আগুন জললো ক্যাম্পে। মেজর সাহেবে লাশ পাওয়া গেল ক্যাম্পের পুকুরের পাড়ে। একমাস এদিক সেদিক ভোল পাল্টে কাটিয়ে কামরুদ্দীন মুক্তিবাহিনী সেজে ওদের সাথেই ঢুকলো এসে গ্রামে। তারপর তাকে কেউ কিছু বলে, এই সাধ্য কার!

এসব ভাবতে ভাবতে বন্দুকটা পরিস্কার করার জন্যে একটি পুরোনো কাপড়ের জন্যে এদিক এদিক তাকালো সে। তক্ষুনি দাই হাসিমুখে বেরিয়ে এলো আতুড় ঘরের বাইরে। তার ছেলের জন্মের কথা শুনে অযু করে খুশীতে আজান দিল কামরুদ্দীন। তারপর ঢুকলো আতুর ঘরে। বউ সকিনা ক্লান্ত শরীরে এলিয়ে আছে বিছানায়। তারপরও উজ্জল চেহারায় ইশারা করলো পাশে শোয়া ছেলের দিকে। সাবধানে ছেলেকে কোলে নিল কামরুদ্দীন। আদরে হাত বোলালো মাথায়, গালে, শরীরে। ধুপ জালানো হয়েছে ঘরে। তারই সুগন্ধ যেন আরো গভীর হয়ে লেগে আছে ছেলের শরীরে। হাতের গন্ধ, পায়ের গন্ধ নাকে লাগিয়ে শুকলো। ছোট্ট ছোট্ট মোলায়েম হাত আর পা। ছুয়েই আরাম বোধ হয় শরীরে। প্রথম বা’পাটি নাকের কাছে নিয়ে শুকলো। তারপর ডান পা। মায়ের পেট থেকে বাইরের আলো বাতাসে আসার ক্লান্তিতে একটু যেন কুচকে আছে। পায়ের তলায় তাকিয়ে চমকে উঠলো কামরুদ্দীন। কালশিটের মতো কালো দাগ একটা। ভয় পেলো, জন্মের কোথাও কোন জখম হলো কি? তারপরই চট করে মনে হলো, কতোটা পরিচিত এই দাগ নিজের কাছে। একই চেহারার একটি দাগে কতোবার মালিশ করেছে সে। রক্তশুন্য চেহারায় বিধ্বস্ত কামরুদ্দীন কোন কথা না বলে ছেলেকে মায়ের কাছে রেখে দ্রুত বেরিয়ে এলো বাইরে।

কিছুটা সময় চুপচাপ বসে থাকার পর একটু শান্ত মনে হলো নিজেকে। তার চেহারায় রক্ত ফিরে এলো আবার। এবার মনে মনে ধন্যবাদ জানালো অপার করুনাময় আল্লাহকে। আল্লাহর ঈশারাতেই তার সন্তানের রূপ ধরে এই কামেল মানুষটি ফিরে এসেছে ঘরে। দেশে ইসলাম রক্ষার জন্যে এসব মানুষেরই দরকার। কিন্তু সকিনার কথা ভেবে যুক্তিহীন উন্মাদের ঘৃণা জমলো ভেতরে। এই বউকে নিয়ে কি করে জীবন কাটাবে সে? এসব ভাবতে ভাবতে বন্দুকটি নিয়ে উঠে দাঁড়ালো কামরুদ্দীন।


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

একটা মানুষ এত খারাপ ক্যাম্নে হয়... না মানুষ না। কামরুদ্দীনের মত যারা আছে... তাদেরকে মানুষ বললে পাপ হয়।

অসাধারণ লিখেছেন। এক কথায় অসাধারণ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

দুর্দান্ত!!

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ভাল ছোটগল্পের কেইচকা মাইরটা থাকে একদম শেষে। আপনার গল্পের হাতে মার খেতে বড় সুখ। ফ্যান্টাসটিক! আপনার কলম দীর্ঘজীবি হোক!

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রায়হান আবীর এর ছবি

ফাটাফাটি একটা গল্প। সেই রকম থিম...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

চমৎকার । মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার।

শাহীন হাসান এর ছবি

গল্পটি ভালো-লাগলো।
নামটি নিয়ে একটু ভাবলে ভালো হতো বোধ হয়;
সবিনয়ে ...
শুভেচ্ছা সহ

....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তীরন্দাজ এর ছবি

নাম নিয়ে আপনার সমালোচনার জন্যে অকুন্ঠ ধন্যবাদ। নিজেরও মনে হচ্ছে, আসলেই ভেবে দেখা দরকার।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পরম্পরা ।
ভালো লাগলো ।
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনিও কামেল মানুষ!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এখনও দেশে রয়েছে অজস্র কামরুদ্দীন, যারা সোত্সাহে পাকিদের শুধু জুতো চাটা নয়, অঙ্গলেহনেও সদাপ্রস্তুত।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিজেকে জয় করার অর্থ বিজয় না পরাজয়? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একমত। এদের বংশবিস্তার বেড়েই চলেছে ।

-

লেখায় (বিপ্লব)

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশি জোস গল্প !

- খেকশিয়াল

থার্ড আই এর ছবি

থিমে বেশ নতুনত্ব ছিলো। আপনার হাতে ‍কি ভাই যাদু আছে..??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যাদু তীরুদার হাতে নেই, যাদু আছে কামারু কামাক্ষার হাতে।
হ্যাঁ, কামারু কামাক্ষা তো আমারই পশ্চাৎদেশ দিয়ে ভুমিষ্ঠ, বলেন মেজর গো আ।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

তীরন্দাজ এর ছবি

না ভাই, যাদু নেই। তবে বুকের ভেতর উচ্ছাস আছে। তারই প্রভাবে লিখি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শেখ জলিল এর ছবি

অসাধারণ! এক নিশ্বাসে পড়লাম।
কাহিনীর পরিণতিতে নতুনত্ব ভালো লাগলো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

পুতুল এর ছবি

অসাধারণ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।