অবশেষে বাবামায়ের বাসা ছেড়ে নতুন এপার্টমেন্টেই উঠলো সু’শিন। দু’জনেই মন খারাপ করলো খুব, মা কান্নাকাটি করে অস্থির। বাবা বাসার সামনের বাগানে কাজ করছিল প্রতিদিনের মতোই। এত দুর থেকে স্ত্রী আর মেয়ের কথা শুনতে না পেলেও মাঝে মাঝে পাতা কাটার কাঁচিটা হাতে নিয়ে কাজ থামিয়ে তাকিয়ে রইলো। কিছু বললো না বটে, তবে চেহারায় বয়েসের আঁকিবুকির সাথেও আরো অনেক কথাই আঁকা হয়ে রইল।
- এ বাড়ীতে অনেক জায়গা। তোর আলাদা ঘরও আছে। তুই কেন আলাদা বাসা নিতে যাবি?
- বন্ধুরা আসে যায় মা, কলিগরাও! আমার কিছুটা বেশী জায়গা দরকার। স্বাবলম্বী হয়ে স্বাধীনভাবে চলতে চাই।
- আমাদের বসার ঘরটিও তো আছে। বন্ধুদের তো সেখানেই বসাতে পারিস!
- সে তুমি বুঝবে না মা! আর বাঁধাও দিওনা। আমি একা থাকতে চাই, একাই থাকবো। প্রতি সপ্তাশেষেই তোমাদের কাছে আসবো।
আর কোন কথা বললো না মা। শুধু রুমাল দিয়ে নিজের চোখদু’টো মুছলো। সেদিকে তাকিয়ে নিজেও কিছুটা মন খারাপ করলো সু’শীন। কিন্তু যা করার, তা করতে গেলে এসব ভাবনা পেরিয়েই যেতে হয়। নিজেরও কষ্ট হবে। নিজেকেই তো সামলাতে হবে সব! কিন্তু স্বাধীনভাবে চলতে পারাও কম জরুরী নয়! একটি ভাল চাকুরী পেয়েছে, উপার্জনও নেহায়েত মন্দ নয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাওয়া লেগেছে চীনে। তার সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক অবয়বে যে স্বাধীনতার ছোঁয়াচ লেগেছে, তার সুফল ভোগ না করলে লাভ কি এই উন্নয়নে?
উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে চাংচুন শহরের একটি সওদাগরী অফিসে চাকুরীর পেয়ে এই স্বাধীনতা ভোগার সুযোগ এসেছে তার। যে এপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছে, তা শহরকেন্দ্র থেকে বেশী দুরে নয়। বাবামাও খুব দুরে থাকে না। তার এখান থেকে শহরের বাইরের দিকে চল্লিশ মিনিটের মাঝেই সেখানে চলে যাওয়া যায়। প্রতি সপ্তাহেই একবার যাবে বললেও, তা দুই সপ্তাহ করতে বাধ্য হয়েছে। নতুন প্রেমিক এসেছে জীবনে, তার জন্যেও যথেষ্ট সময় দরকার। নিকোমীর কথা ভেবে একটি মৃদু সুখের হাসি খেলে গেলো সু’শিনের মুখে। অদ্ভুত প্রেমিক এই নিকোমী। একটি জাপানী মোবাইল ফ্যাক্টরীতে ইন্জিনীয়র। সপ্তাহের তিনচারটি দিন একসাথেই কাটায় ওরা। তার শরীর নিয়ে কতো খেলাই না খেলে প্রতিবার এই জাপানী প্রেমিক। বাবা মায়ের এখানে থাকলে তাদের চোখ এড়িয়ে এতটা সম্ভব কিছুতেই হতো না। একমাস হয়ে গেলো, এখনো ওকে বাবামায়ের সাথে পরিচয়ই করানো হয়নি।
আপাতত: বেশ ভালো করেই সাজানো হয়েছে ঘর। জিনিসপত্র বাবা মায়ের কাছ থেকে খুব সামান্যই এনেছে। এত পুরোনো আমলের জিনিস ভাল লাগে কি? আসবাব পত্র, আলমারী খাট সবই নতুন কিনেছে। আরেকটি কাজ করেছে সে। একা সময়ের জন্যে মাঝারি আকারের একটি কুকুরও পোষা শুরু করেছে। কুকুরের আলাদা বাজার বসে শহরের এক প্রান্তে। আগে সেখানে জবাই করে মাংস বিক্রী করা হতো, এখন তা চলে লুকিয়ে চুরিয়ে। পাশাপাশি আরেকটি অংশে পোষা কুকুর জন্যে বিক্রি করা হয়। তুষার সাদা ঝাকড়া পশমের এই কুকুরটি দেখেই পছন্দ হয়ে যায় তার। বিক্রেতা পছন্দ টের পেয়ে দাম বাড়িয়ে দিলেও কিনে নিয়েছে সু’শিন। কুকুরের সেলুনে গায়ের পশম সুন্দর মাপে কাটা হয়েছে। এখন তার প্রতিদিনের সন্ধ্যার সঙ্গী এই কুকুর আর কোন কোন দিন নিকোমী। বাইরে কোথাও গেলে কখনো কখনো সানচিকে নিয়ে যায় সাথে, কখনো রেখে যায় পাশের বাড়ীর বুড়ির কাছে। কিছু খরচ হয় তাতে, তবে তারপরও এতোটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।
বাবাকে নিয়ে খুব ভাবনা তার। জাপানী প্রেমিকের কথা জেনে কি প্রতিক্রিয়া হবে তার কে জানে! বিকেলে সামান্য পর এলো নিকোমী। জানলা থেকেই ওকে দেখে বোতাম টিপে দরজা খুলে দিল সু’শীন। ঘরে ঢুকতেই ঘেউ ঘেউ করতে করতে লাফিয়ে উঠে নিকোমীর হাত চেটে দিল কুকুরটি। সেটাকে সামান্য আদর করে সরিয়ে দিয়ে ঘরে ঢুকেই জড়িয়ে ধরে আগ্রাসী চুমু খেল সু’শীনের ঠোঁটে নিকোমী ।
- আজ দেরী করলে যে? চুমু খাওয়া ঠোঁটটিই ফুলিয়ে অনুযোগ জানালো সু’শিন।
- কোথায়? মাত্র দশ মিনিট বেশী সময় নিলাম ডার্লিং। সামনে বড় রাস্তার মোড়ে জ্যাম জমেছিল খুব। তাতে একটু দেরী হলো।
- তুমি প্রতিদিনই দেরী করো! মনে হয় একেবারেই ভালবাসো না আমাকে। অফিসের সুন্দরী রিসেপশনিষ্টকেই বেশী ভালবাস। বলেই আহলাদ করলো সু’শীন।
- কি যে বলো। কনফুসিয়াসের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমার চেয়ে বেশী সুন্দরী এই চাংচুন শহরে আর একটি আছে নাকি?
নিকোমীর কথা শুনে আনন্দে গলে জল হয়ে গেল সু’শীন। আরো একটি উন্মত্ব উতাল বিকেল কাটলো ওদের। কুকুরটি সোফার উপরে বসে ঈর্ষামেশানো চোখে ওদের দিকেই তাকিয়ে রইলো। রাতের খাবার খেতে বাইরে যাবার জন্যে আবার পোষাক আসাক পরে তৈরী হলো ওরা। কুকুরটিও ঘেউ ঘেউ করতে করতে ওদের সাথে বাইরে যাবার জন্যে লাফালাফি শুরু করলো।
- সানচিকে ওই প্রতিবেশীর কাছে রেখে গেলে হয়না? জানতে চাইল নিকোমী।
- কেন?
- তোমার সাথে একা থাকতে ইচ্ছে করে আমার।
- আজ আর হবে না ডার্লিং। ওরা আজ বাড়ীতেই নেই। একদিন বাবামায়ের কাছে সানচিকে রেখে সারাদিন তোমার সাথে কাটাবো। বিকেলে একসাথে গিয়ে নিয়ে আসব ওকে। এই সুযোগে বাবামায়ের সাথেও পরিচয় হবে তোমার।
আর কোন কথা বললো না নিকোমী। একটু দুরেই একটি রেস্তেরা, ‘পিকিং ডাক’ এর জন্যে বেশ নামডাক। সেদিকেই রওয়ানা হলো ওরা। চীনা রাশিতত্বের হিসেবে “কুকুরের বছরে” পোষা কুকুর রাখা এক হুজুগে পরিনত হয়েছে। আজকাল অনেক লোককেই নানা ধরণের কুকুর নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সাজসজ্জার পেছনেও ব্যায় করা হয় অনেক। পশম কাটার সেলুনে নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গীতে কাটা হয়, রংও লাগানো হয়। অনেক সময় কুকুর প্রেমিকরা একসাথে হয়, নিজেদের কুকুরের স্বভাব নিয়ে নানা আলোচনা করে। কুকুরগুলো কখনো কখনো নিজেদের মাঝে খেলা, কখনো কখনো নিজেদের মাঝে ঝগড়া বাঁধায়। তখন একটাকে ছেড়ে আরেকটা সামলাতে হিমশিম খায় কুকুরের মালিকরা। কিন্তু একটি মাত্র সন্তান রাখার যে নিয়ম চীনে, তার পরিনতিতে অনেক বুড়োবুড়িই ছেলেমেয়ে বড় হয়ে যাবার পর একা। পোষা প্রাণীই তখন একাকী সময়ের একমাত্র সঙ্গী। এর সাথে যোগ হয়েছে বাকীদের মাঝেও অর্ধনৈতিক উন্নয়নের প্রভাবে প্রাণী পোষা হুজুগের মতো। সানচি এমনি একটি দলের পাশ দিয়ে যাবার সময় ঘেউ ঘেউ করতে সেদিকেই ছুটে যাবার চেষ্টা করলো। অনেক কষ্টে সামলালো সু’শীন।
রাতের খাওয়া শেষ করে ফিরে এলো ওরা এপার্টমেন্টে। ‘পিকিং ডাক’ এর যতোটা নামডাক, ততোটা ভাল লাগলোনা। আগের বার ভাল ছিল বেশ। নিকোমী রাতে রয়ে গেল। এই স্বাধীনতা বাবামায়ের কাছে কি পেতো?
নিকোমীকে বাবামায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা অনেকদিন ধরেই ভাবছে সে। তবে বাবার কথা ভেবেই ভয় হয় বেশী। জাপানীদের একেবারেই দেখতে পারে না। বাবার এক ভাইকে নাকি বেশ কষ্ট দিয়েই হত্যা করেছে জাপানী সৈন্যের দল। পুরো চীনেই জাপানী সামুরাই ও সৈন্যদের অত্যাচার, খুন ও ধর্ষন এখনও বিভৎস কাহিনীর মতো হয়ে আছে। এমনকি স্কুলের বইয়েও জাপানীদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে তুলে ধরা হয়। এর বাইরে, মনে প্রাণে এখনও পুরোনো কমরেডই রয়ে গিয়েছে বাবা।
কোন এক ছুটির দিনে সানচিকে মায়ের কাছে রেখে এলো সু’শীন। বিকেলে প্রেমিককে নিয়ে আসবে, তা জানিয়ে দিলো ওদেরকে। নিকোমীর পরিচয় বাবাকে জানাতে সাহস পেলো না। বাবা তেমন কিছু জিজ্ঞেসও করলো না।
খুব আনন্দঘন সুন্দর একটি দিন কাটালো ওরা। শহরের কিছুটা বাইরে একটি সুন্দর লেক। সেখানে সাঁতার কাটলো। লেকের পাশেই একটি রেস্তেরায় দুপুরের খাবার সেরে নিকোমীর নতুন গাড়ীতে চড়ে ঘুরে বেড়ালো ইতস্তত:। আবহাওয়াও প্রাণ ঢেলে কোমল রোদের উত্তাপ ছড়িয়ে দিল ওদের শরীরে ও মনে। এত আনন্দের মাঝেও সু’শিন এর ভেতরে বাবার সাথে নিকোমীর আসন্ন পরিচয়কে ঘিরে শঙ্কা রয়ে গেল।
দুরুদুরু বুকে নিকোমীকে নিয়ে তাদের পুরোনো বাড়ীতে ঢুকলো সু’শীন। বাবা মা এগিয়ে এসে সম্ভাষন জানালো। জাপানী রীতিতেই মাথা নীচু করে অভিবাদন করলো নিকোমী। বাবা ওদেরকে সাদরে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলো।
এত উত্তেজনার মাঝে সানচির কথা ভুলেই গিয়েছিল সু’শীন। সানচির তো এখন ঘেউঘেউ করে পাড়া মাথায় তোলার কথা! বাবার হাসিমুখের দিকে চেয়ে এবার কুকুরটির কথা জিজ্ঞেস করার সাহস পেলো সে। কিন্তু উত্তর দিলো মা। হাসিমুখে ধুমায়িত বড় এক পেয়ালা মাংসের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলো। সানকিকে অতি আদরে মেয়ে আর মেয়ের প্রেমিকার জন্যে রান্না করে রেখেছেন মা।
(শেষ)
নিজের কিছু কথা:
ক’দিন আগে মিউনিখে আন্তর্জাতিক ডকুমেন্টারী ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়ে গেল। সেখানে একটি প্রামান্য চিত্রে বর্তমান চীনে অর্থনৈতিক উন্নতির প্রভাবে অর্জিত স্বাধীনতা, পশ্চিমা ধনী সমাজের অন্ধ অনুকরনে কুকুর পোষার যে হুজুগ, তা তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি চীনে খাবার টেবিলে কুকুরের মাংস কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। “২০০৮ সালের কুকুরের বছরে” একদিকে পোষা কুকুর নিয়ে হুজুগ ও অন্যদিকে পুরোনো খাদ্যভ্যাস হিসেবে খাবার টেবিলে একই প্রাণীর মাংস যে বিপরীধর্মী সংঘাত সৃষ্টি করে সমাজে, এই গল্পটি তার নির্যাস থেকেই অণুপ্রানিত।
মন্তব্য
মানুষের বদলে ককুর, সমাজের বদলে বাজার এই নাহলে কীসের আধুনিকতা কীসের প্রগতি; তাই না?
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মনে হলো লেখার শেষ ছত্রটি তেমন চোখে পড়ে নি। সত্যি কি তাই? হয়তো আমারই বোঝার ভুল।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমি তো সেটা দেখেই আরো প্রাণিত বোধ করেই লিখলাম। কী জানি এই বাস্তবতাকে পরিহাস করতে গিয়ে সেমসাইড হয়ে গেল বোধহয়। গল্পটি আমাকে অনেকভাবে জানতে সাহায্য করলো, আজকের চীনের উন্নতির জটিল দিকগুলো।
যাই হোক, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি ঘটে গেছে। আপনার আরেকবার পড়েও যদি একই কথা মনে হয়, তাহালে পাল্টে দেব। দুঃখিত।
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
তাহলে নিজেরই বোঝার ভুল! সেমসাইড কেন হবে? কথা বলার পর তো সবই ঠিক! ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুধর্ষ লাগলো !
জাঝা আপনাকে
------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তিথি আপু দেখলে হোহোহো !!
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুব ভাল-লিখেছেন তীরন্দাজ ...। বর্তমান সময়ের চিত্র ...।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
আধুনিক চীনের শহুরে চিত্র, ধারণা করি, এরকমই।
সুপাঠ্য গল্প।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চমৎকার গল্প ! একেবারে এক রকম বলা যাবে না কিন্তু আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার Best In Show নামের এক mocumentary'র কথা মনে পড়লো। কুকুর (বা যে কোন পোষ্য, বা যে কোন possessionই হতে পারে সেটা) নিয়ে চরম আদিখ্যেতা'র ওপর বানানো।
নিজেও একটি ডকুমেন্টারী দেখে অণুপ্রানিত হয়েছি, তবে আপনারটি নয়।... অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খুব ভালো লিখেছেন। গল্পের সমাপ্তিটাও বেশ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ জলিল ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- বাহবা তীরুদা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুন্দর গল্প!!
কবে যে আমাদেরো কুকুর পালার দিন আসবে !!
---
স্পর্শ
আমাদের অবস্থা আরো অনেক ভাল হওয়া জরুরী হলেও কুকুর পালার দিন এভাবে না এলেই ভাল। ওদেরকে অনেকটাই অসুস্থ মনে হয়েছে।
আমরা যে এখনও মানুষ আছি, ওই তো একটাই গর্ব আমাদের! এটাকে এভাবে ঝেড়ে ফেলতে চাইনা সহজে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমার চায়নীজ দোস্তদের মতে, কুকুর খাদ্য হিসেবে তেমন উৎকৃষ্ট না। কুকুরখাদক হিসেবে ওদেরকে বরং কিছুটা লজ্জিত মনে হয়েছে। আগে নাকি তারা কুকুর খেতো না, কুকুর যথারীতি শিকারের কাজেই ব্যবহৃত হতো। একবার চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ায় মানুষ অনন্যোপায় হয়ে শিকার সহযোগী কুকুর খায়। দুর্ভিক্ষ দূর হলেও এরপর থেকে সেই ধারা আর পালটায় নি।
চাইনিজ রাশিচক্র নিয়ে কিছু বলি। এদেরও রাশি ১২ টা, তবে রাশির হিসেব মাসে হয় না, হয় বছরে। অর্থাৎ, প্রতি ১ বছরে (জানুআরির ৩১ তারিখ থেকে সম্ভবত বছর শুরু হিসেবে ধরা হয়) এক এক প্রাণীর নামে এক একটা রাশি। প্রাণীগুলো কুকুর, খরগোশ, ইঁদুর, বাঁদর, ড্রাগন, সাপ, বাঘ - এরকম। প্রত্যেক রাশির আবার ৫টা করে ভাগ আছে। কাঠ, আগুন, মাটি, ধাতু, পানি। চাইনিজরা এসব রাশি নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি করে। তবে মূল কারণ বোধ হয় অর্থনৈতিক।
গল্প ভালো লেগেছে। তবে আয়রনি হলো, ওরা জেনেশুনেই কুকুর খায় আর আমাদেরকে না জানিয়েই শিয়াল খাওয়ানো হয়।
আর একসন্তান নীতির আমি বিরাট ফ্যান। ১৯৮০ সালে সম্ভবত আইন হয়, ১টার বেশি সন্তান নেয়া যাবে না টাইপ। কেউ বেশি নিলে প্রচুর ঝামেলা আছে। জার্মানিতে যেখানে সন্তান নিলে বেতন বেশি দেয়, ওদের ঠিক উলটা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এরকম কিছু আইন থাকলে খারাপ হতো না। সামাজিক পরিবেশ, বন্ধন - এসব কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সার্বিকভাবে ভালোই হতো বলে মনে হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কঠিন!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন