পাগলই হয়ে গেল ডোনা ম্যাডোনা। ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারে নি কেউ। এই বস্তিতে থেকেও নানা ঘটনাপ্রবাহে এতেটা সুচারু নজর যার, অন্যের সমস্যা সমাধানে যার এতোটা ধৈর্য, সে মানুষটি এতো সহজে পাগল হয়ে যাবে, তা সহজে মেনে নিতে পারলো না বস্তির লোকজন। কেমন যেন এক হতাশার হাওয়া বইলেও, আশার সামান্য একটু অংশ খড়কুটোর মতো লেগেই রইলো সে হতাশার শরীরে। হয়তো খুব তাড়াতাড়িই আবার সুস্থ হয়ে উঠবে ডোনা ম্যাডোনা।
এর কারণও রয়েছে অনেক। বস্তির বাসিন্দাদের জন্যে কম করেছে নাকি ডোনা ম্যাডোনা! ইচ্ছে করলেই ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। রিকার্ডোর ছেলেটা যখন কলেরায় পড়লো, ভয়ে ত্রিসীমানাও মাড়ায়নি কেউ। রিকার্ডো আর তার রক্তশূন্যতায় ভোগা বউ দাওয়ায় বসে হাঁউ হাঁউ কান্না ছাড়া আর কিছুই করতে পারে নি। একমাত্র ডোনা ম্যাডোনাই ছুটলো শহরে। ফিরে এলো স্যালাইনের বহর নিয়ে। নাওয়া খাওয়া শিকেয় রেখে ছেলেটির পাশে ঠায় হয়ে বসে রইল স্যালাইনের মগ হাতে। তিনদিন পর ওঠে দাঁড়ালো ছেলেটি। এখন তো দিব্যি তাগড়া জোয়ান। পাসেকোর মেজো মেয়েটিকে নাকি বগলদাবা করে ঘুরে বেড়ায় এদিক সেদিক।
জিকো মাতাল হয়ে বাড়ী ফিরে পিটিয়ে বৌকে মেরেই ফেলছিল প্রায়। যে রকম দশাসই চেহারা তার, কার সাধ্যি বাঁধা দেয়! একমাত্র ডোনা ম্যাডোনাই এগিয়ে গেল। সার্টের পেছনের কলার ধরে ঠেলে ঘরের বাইরে এনে বসিয়ে দিল। জিকো একটি বারও ডোনা ম্যাডোনার চোখের দিকে তাকাতেও সাহস পেলো না।
তার তিনকুলে কেউ আছে, নাকি নেই, সে কথা জানা নেই কারো। এই বস্তির জন্মলগ্ন থেকেই এখানে তার বাস। আর এখন তো ষাট পেরিয়ে বয়েস! বিশাল পাহাড়ের মতো শরীর, অথচ চেহারায় শিশুর সারল্য। ধর্মগুরু সেইন্ট ক্রিষ্টোফারের প্রতি অপার বিশ্বাস! বস্তির নানা ঝঞ্ঝাটের মাঝে সময় পেলেই ধর্মগুরুর প্রতি প্রর্থনায় ডুবে যায়। সব ধরনের বিপদ আপদে তার এই ধর্মগুরুই নাকি রক্ষা করেন তাকে।
এরকম একটি মানুষ সহজে পাগল হয়ে যাবে, তা কি সহজে মেনে নেয়া যায়? বিশেষ এই কঠিন বিপদের মুখোমুখি যার উপর ভরসা সবার, সে ই যদি পাগল হয়ে যায়, তাহলে চলবে কি করে? কিন্তু পরিস্থিতি অনেক কিছুই মেনে নিতে বাধ্য করে। ডোনা ম্যাডোনার পাগল হওয়া মেনে নিতে বাধ্য হলো সবাই। এতোদিনের এই বস্তি ছেড়ে যে অন্য কোথাও যেতে হবে, তাও মেনে নিতে হবে একদিন। অথচ সরকারপক্ষীয় লোকজন তো অন্য কথাই বলে এসেছে বারবার। বলেছে, নামমাত্র ভাড়ার বিনিময়ে সরকার তাদেরকে স্থায়ীভাবেই থাকার অনুমতি দেবে। ছোট ছোট পাকা বাসা, পানি আর গ্যসের বন্দোবস্ত, সবই নাকি করা হবে। এমনকি ভাড়ার অংক নিয়েও হিসেব নিকেষ করা শুরু হয়েছিল। অবশ্য ভোটের আগে এ ধরনের কথা অনেকেই বলে।
কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেলো সব। বস্তির পাশে বড় ডোবাটি পেরিয়েই বিশাল ধুধু মাঠ। মরুভূমির মতো শুকনো। কিছু কিছু চাষী সেখানে গম চাষ করতো। ডোনা ম্যাডোনাদের বস্তিকে প্রায় মাড়িয়ে একদিন গোটা বিশেক ট্রাক্টর রওয়ানা হলো সেদিকে। মাটি চাষ করা হলো, চার কিলোমিটার দূরের নদীতে পাইপ বসিয়ে পানি এনে ভরাট করা হলো ডোবাটি। সেই পানি ব্যাবহার হলো সেচের জন্যে। বড়োবড়ো আখের চারায় সবুজ হয়ে উঠলো পুরো মাঠটি। এত চিনি কে খাবে, এ নিয়ে উতাল পাতাল ভাবনা শুরু হরার আগেই আসল কারণটি জানতে পেলো সবাই। চিনির বদলে নাকি তেল বের করা হবে আখ থেকে। আর তেল বিক্রির পয়সায় ধনী হবে ব্রাজিল আর গাড়ী চলবে ইউরোপ, আমেরিকার রাস্তায়।
প্রথমে খুশীই হয়েছিল বস্তির লোকজন। কিছু লোক সেখানে কাজও পেলো। বুড়ো বয়েসে কাজ না পেলেও একটি কারণে ডোনা ম্যাডোনাও ধন্যবাদ জানালো সেইন্ট ক্রিষ্টোফারকে। আগে যে ডোবাটি বছরের বেশীরভাগ সময়েই শুকিয়ে শীর্ণ হয়ে থাকতো, তলানীতে কালো নোংরা পানি, সেটি এখন সর্বক্ষণই ভরাট। খাওয়া, গোসল করার, কাপড় ধোয়ার সমস্যা এখন তো আর নেই বললেই চলে। সেইন্ট ক্রিষ্টোফারের কৃপা ছাড়া কার কপাল এত চওড়া হতে পারে?
আখ মাড়াইএর কারখানা হবে, বস্তি এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হবে ওদেরকে, এটা যখন প্রথমবার গুজবের মতো ছড়ালো, তেমন একটা পাত্তা দিল না ডোনা ম্যাডোনা। সেইন্ট ক্রিষ্টোফার যেখানে দয়ার হাত তুলেছেন ওদের উপর, সেখানে এসব গুজব কতোটাই বা শক্তিশালী হতে পারে? তারপর যখন গুজবটি একটু পাকাপোক্ত আর সূত্রগুলো আরো নির্ভরযোগ্য হতে শুরু করলো, তখন কিছুটা চিন্তা হলো তার। কিছুদিন পর একজন দু’জন সাংবাদিক এসে প্রশ্নও করলো, কোথায় যাবে, কি করবে, ইত্যাদি। এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েও ডোনা ম্যাডোনা সেইন্ট ক্রিষ্টোফারের উপর ভরসার কথা বলে অটল হয়ে রইল। এই ভরসার প্রভাব বস্তির লোকদেরকেও ইতিবাচক হয়ে সান্ত্বনা দিতে লাগলো।
কিন্তু একদিন সেই সরকারপক্ষের লোকদের সাথে করেই আরো গাট্টাগোট্টা কয়েকজন এলো বস্তিতে। জানিয়ে গেলো, একমাসের মাঝে বস্তি ছেড়ে যেতে হবে ওদেরকে। তখনও ডোনা ম্যাডোনার অপার ভরসা সেইন্ট ক্রিষ্টোফারের উপর! বস্তির লোকদের নিয়ে সভা করলো, মিছিল করলো শহরে, কিছু মাঝারি ছোট রাজনীতিবিদ আর আমলার সাথে দেনদরবারও হলো । কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হলো না। পৃথিবীব্যাপী পরিবেশদূষণকে কমিয়ে আনা, আর সেই সুযোগে নিজেদের ব্রাজিলকে ধনী করে তোলার পাশাপাশি কয়েকজন বস্তিবাসীর আর্জি ধর্তব্যের মাঝেও আনলোনা কেউ।
একমাস সময়ের কুড়িদিন পেরোনোর পরই সেই গাট্টাগোট্টা লোকগুলো এলো আবার। সরকার পক্ষের লোকগুলোর বদলে এবার গুন্ডাগোছের আরো কিছু লোক এলো সাথে। তাদের সর্দারের সাথে কিছু তর্কাতর্কি হলো ডোনা ম্যাডোনার। সর্দার তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে তার ঘরের সামনে লাগানো সিমগাছকে মাড়িয়ে এগিয়ে যায়। ডোনা ম্যাডোনা পেছন থেকে কেঁদে কেঁদে বললো,
- ধাক্কা দিলে তুমি! পবিত্র ক্রিষ্টোফার বিচার করবেন তোমার এই অভদ্রতার।
সর্দার চলে যাচ্ছিল। ডোনা ম্যাডোনার দিকে পেছন ফিরে তাকিয়ে বললো,
- তোমার ক্রিষ্টোফার আবার কি বিচার করবে আমার? ওকে তো পাছার ভেতরে লুকিয়ে রাখি আমি!
বলেই নিজের বিশাল নিতম্বে একটি চাপড় মেরে দেখিয়ে দিল। তখনই নাকি সর্দারের পাছায় সেইন্ট ক্রিষ্টোফারকে দেখে আধপাগল হয়ে যায় সে। যারা সেইন্ট ক্রিষ্টোফারকে পাছার ভেতরে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তারা কতো ক্ষমতাধর হতে পারে, তা ভেবেই প্রথম ধাক্কাটি খেলো। আবোল তাবোল বকতে শুরু করলে একজন এসে নিয়ে যায় তার ডেরায়। সেখানে একটি পুরোনো খবরের কাগজে জর্জ বুশের পাছার ভেতরে দেখে যীশুকে। টেলিভিশনে বিন লাদেনের একটি ভিডিও চলার সময় তার পাছায় দেখে মুসলমানদের মুহম্মদকে। এভাবে বিভিন্ন মনীষী মহামনীষীদের নানা প্রভাবশালী লোকের পাছার ভেতরে দেখে দেখে এখন বদ্ধ পাগল ডোনা ম্যাডোনা। সারাক্ষণ বিড়বিড় করে আর নিজের মাথার চুল ছেড়ে।
বস্তির লোকরা বেশ বিপদেই পড়েছে। একদিকে বস্তি ছেড়ে দেয়ার এই ভয়াবহ বিপদ, অন্যদিকে ডোনা ম্যাডোনার পাগল হয়ে যাওয়া। ডোনা ম্যাডোনাকে ওরা ভালোবাসতো, ওর উপর ভরসাও করতো। এখন এই পাগলীকে নিয়ে কোথায় যাবে, কি করবে, ভেবে কূলকিনারা পায়না কেউ। আশায় আছে, একদিন পাছায় অন্য কোন মনীষী নিয়ে কেউ একজন সদয় হবে ডোনা ম্যাডোনার প্রতি, বস্তিবাসীর প্রতি।
মন্তব্য
পড়ে মনে হলো কোনও বিদেশী গল্পানুবাদ পড়লাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলে কিন্তু এটা অনুবাদ নয়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ একটা গল্প। আমি ঠিক মতো কমেন্ট করতে পারিনা। পারলে আরও কিছু সুন্দর সুন্দর কথা বলতাম।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
এরচেয়ে সুন্দর কমেন্ট আর কি হতে পারে?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যথারীতি অপুর্ব! বিশেষ করে লেখার ধরণ 'বাংলা গল্প'র ষ্টাইলকে অতিক্রম করে কিরকম একটু ল্যাটিন এমেরিকান সাহিত্যের আভাস এনে দিয়েছে।
খালি শেষটা কেমন যেন মনে হচ্ছে অন্যরকম হলে আরও ভালো হতো - যদিও কেমন তা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবো না
গল্পটি গতকাল টিভিতে একটি রিপোর্ট দেখার পর মাথায় ঢুকেছে। জ্বালানী তেলের জন্যে আখ ক্ষেত করা হচ্ছে ও উঠিয়ে দেয়া বস্তি। এক মহিলার ইন্টারভিউ ছিল, আমি যাকে ডোনা ম্যাডোনা নাম দিয়েছি। সেইন্ট ক্রিষ্টোফারের প্রতি সেই মহিলার ভক্তিও সত্যি। আমি ক্ষোভে বউকে বল্লাম, "সেইন্ট ক্রিষ্টোফার আর কি করবে? ওরা তো তাঁকে পশ্চাতদেশে নিয়েই ঘোরে!" সেই থেকে এই গল্পের সৃষ্টি।
তারপর সারারাত জেগে গল্প শেষ করা!
শেষটা নিয়ে হয়তো ভাববো আরো। ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
......
সেইন্ট ক্রিষ্টোফারকে পাছার ভেতরে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তারা কতো ক্ষমতাধর হতে পারে, তা ভেবেই প্রথম ধাক্কাটি খেলো। আবোল তাবোল বকতে শুরু করলে একজন এসে নিয়ে যায় তার ডেরায়। সেখানে একটি পুরোনো খবরের কাগজে জর্জ বুশের পাছার ভেতরে দেখে যীশুকে। টেলিভিশনে বিন লাদেনের একটি ভিডিও চলার সময় তার পাছায় দেখে মুসলমানদের মুহম্মদকে। এভাবে বিভিন্ন মনীষী মহামনীষীদের নানা প্রভাবশালী লোকের পাছার ভেতরে দেখে দেখে এখন বদ্ধ পাগল ডোনা ম্যাডোনা।
হ্যাঁ, বুশের যুদ্ধ শব্দটির সাথে খ্রিস্টীয়ছাপ
লাদেনের জেহাদ শব্দটির সাথে মুহাম্মদীয়ছাপ
-তো আছেই, ছিলও? ভালো লিখেছেন তীরন্দাজ!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহীন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খুব চমতকার গল্প।
শুধু ভাবছি
"টেলিভিশনে বিন লাদেনের একটি ভিডিও চলার সময় তার পাছায় দেখে মুসলমানদের মুহম্মদকে।"
কথাটা মোহাম্মদ প্রথম আলোতে আসলে কেমন হতো।
তীরন্দাজ
আপনি যখন অনেক লিখতে শুরু করলেন।
আমি বিরক্ত হয়ে ভেবেছিলাম
দিলতো বারোটা বাজিয়ে।
কোয়ানটিটি বাড়াতে গিয়ে কোয়ালিটির শ্রাদ্ধ হবে।
এখন খুব ল্জ্জা হচ্ছে নিজের ভাবনার ওপর।
আপনি অনায়াসে দুহাতে মানসম্মত লেখা লিখে যেতে পারেন।
অনেক অনেক অভিনন্দন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম আলোতে এলে কি হতো জানিনা। কিন্তু এটা তো এক পাগলীর দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখা হয়েছে।
বাকী মন্তব্যের জন্যে বলছি, মনে হয় লেখার ব্যাপারে আরো সাবধান হবার সত্যিই দরকার রয়েছে, যাতে মান ভাল থাকে। হয়তো কিছুটা কমানোই দরকার। কিন্তু আমি আমার আপাত: ভালো সময়টি ব্যাবহারের চেষ্টা করছি।
আপনার এতবড় প্রশংসার যোগ্য নিজেকে ভাবিনা এখনও। তারপরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অতীব কুশলী তীরন্দাজ! লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না কখনও।
স্নিগ্ধা তাঁর মন্তব্যে যা যা লিখেছেন, ঠিক সেই কথাগুলোই আমি বলতে চেয়েছিলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অনেক ধন্যবাদ সন্যাসী ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগল খুব।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ওরে খাইছে!!! মারাত্মক হইছে!
ausgezeichnet!!!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
vielen vielen herzlichen Dank!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আশায় আছে, একদিন পাছায় অন্য কোন মনীষী নিয়ে কেউ একজন সদয় হবে ডোনা ম্যাডোনার প্রতি, বস্তিবাসীর প্রতি।
হা হা...দারুন হইসে। চমত্কার গল্প।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ধন্যবাদ নিঝুম! ভাল থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পাঠকের পছন্দ অপশনটা ধরে এসে ভালো একটা লেখা পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ তীরুদা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার একটা গল্প পড়লাম।
আচ্ছা তীরুদা - পাছায় আলু লুকিয়ে রাখা কেউ কি বাংলাদেশে চালের দাম কমাতে পারবে? বলতে পারবেন? যে চাল একুশ টাকা কেজি দরে কিনতে হত, আজ সেই চাল চুয়াল্লিশ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। চালের দাম বেড়েছে কিন্তু বাবার বেতনতো বাড়েনি!
কি মাঝি? ডরাইলা?
আপনি কি মনে করেন ডোনা ম্যাডোনা ভাল হয়ে গিয়েছিল আর বস্তিবাসীরা উচ্ছেদ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিল? মনে হয় না।
আমাদের মেশের বেলাতেও তা হবে না!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- অনন্যসাধারণ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব ভালো লাগলো গল্পটা...। চমতকার লিখেন আপনি।
-নিরিবিলি
একদিন পাছায় অন্য কোন মনীষী নিয়ে কেউ একজন সদয় হবে ডোনা ম্যাডোনার প্রতি, বস্তিবাসীর প্রতি।
যদি সত্যিই হতো!
আসাধারণ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক অনেক ধন্যবাদ পুতুল!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ ভাই (বিপ্লব)
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
......................
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন