নিজেও প্রবাসী, আর তাই প্রবাস সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন অনেক সময়েই নড়াচাড়া করে ভেতরে। প্রবাসে পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয়তা কি? কাগজে কলমে অনেকেই বৃটিশ, কেউ কেউ আমেরিকান, কেউবা জার্মান। আবার কেউ কেউ বাংলাদেশীই রয়ে গিয়েছেন। কাগজে কলমে কার কি জাতীয়তা আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নয়। আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে, এরা মনে, শিক্ষায়, মননে কোন জাতীয়তাবোধ নিয়ে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছেন পৃথিবীতে।
রাষ্ট্রের, সমাজের, মানুষের বিবর্তন পৃথিবী পরিবর্তনশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে আপন গতিতেই ঘটে যাচ্ছে। আমরা কেউ কেউ গা এলিয়ে দিই তাতে - কখনো নির্ভাবনায়, কখনো চারিদিকে তীর্যক নজর রেখেই , কেউ কেউ আপ্রাণ চেষ্টা করি সেই বিবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখতে। কেউ কেউ নিরাপদ দুর থেকে দেখে মুচকি হাসেন অবহেলায়। বিবর্তিত হচ্ছে সমাজ, বিবর্তিত হচ্ছে ভাষা, নতুন আচারে সাজানো হচ্ছে রূচিবোধের পেয়ালা। গতকাল যা অসহনীয়, অসুন্দর ছিল, আজ তা বাদ দিলেই চলে না। এখনকার ভাষায় এই মুহুর্তে যা গ্রহনযোগ্য, তা হচ্ছে 'ইন', আর তার উল্টোটা হচ্ছে 'আউট'। এই ইন আর আউটের জোরেই চলছে সব, কাল যা ভাল ছিল, আধুনিক ছিল, এই ইনআউটের কল্যানেই আজ পঁচা নর্দমাকে আরো বেশী দুর্গন্ধে ভরাচ্ছে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, এমন একটি ভারিক্কি প্রসঙ্গের অবতারনার পর তীরন্দাজ আবার ইনআউটে মাতলো কেন? এই ইনআউটের জোরে ভেসে যাচ্ছে সমাজ, সংসার সব, তীরন্দাজ তো কোন ছাড়! এ সত্যটাকেই তুলে ধরলাম এভাবে। তারপর দেখা যাক না, কোথাকার জল কদ্দুর গড়ায়।
আমাদের অনেকেই নিজ দেশে যতো না, প্রবাসে আরো বেশী আমাদের দেশীয় ও জাতীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই। এই ধরে রাখার প্রকাশ একেকজনের বেলায় একেক রকম। দেশে থাকতে যে সব লোকগীতি একেবারেই শুনতে চাইতাম না, এখন ঘর অন্ধকার করে সে সব লোকগীতিতে ডুবে গিয়ে নিজের আত্মা ও মানসকে তৃপ্ত করি। দেশে শুটকী পছন্দ করতাম না, এখন কারো কাছে পেলে কনুই ডুবিয়ে খাই। এমনি ভবেই বিভিন্ন প্রবাসী বিভিন্ন পথে দেশের সাথে তাদের সংযোগ। কেউ আকড়ে ধরেন ধর্ম, কেউ সংস্কৃতি, কেউ খাবার দাবার, কেউ কেউ ভাষা।
আমাদের কথা বললাম, ইনআউটের কথা বললাম, প্রবাসী প্রসঙ্গও আনা হলো, এবার এই পটভুমিকাতেই টেনে আনতে চাইছি আমাদের উত্তরসুরীদের কথা। এদের উপর অনেকগুলো প্রভাব। আমরা যতগুলো প্রভাবের আওতায় পড়ি, তারচেয়ে অনেক অনেক বেশী ও তা ক্রমশ: বেড়েই চলেছে।
ক) যেহেতু এদের জন্ম দেশের বাইরে, বাংলাদেশ তাদের পিতৃ-মাতৃভুমি হলেও জন্মভুমি নয়। এরা এই প্রশ্নে এদের অনুভুতিকে দু’টি ভাগে ভাগ করতে বাধ্য হন। অনেকটা না ঘরকা না ঘাটকা পরিস্থিতি।
খ) অনেক বাবা মায়েরা দেশী ঐতিহ্য ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে থাকেন। এর মাঝে ছেলেমেয়ে ও বাবা মায়ের মাঝে আদান প্রদান যতো না বেশী, তার চেয়ে বেশী চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা। তাতে দুই জেনারেশনের মাঝে এক ফাঁক সৃষ্টি হয়, যা পরে ভাঙ্গনকে পচভাবিত করে।
গ) এরা তাদের বয়েসের কারণেই ‘ইন-আউটের’ প্রভাবে অনেক বেশী প্রভাবিত হতে পারেন। আর্থিক সচ্ছলতা এই প্রভাবকে আরো বেশী শক্তিশালী করে। আর্থিক অসচ্ছলতা হতাশার জাগান দেয়। এই হতাশার পরিপূরণের জন্যে কাছের মানুষ থাকেনা বললেই চলে।
ঘ) এদের ঘরে বাইরে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি। এই দুইএর ভেতর যতো কম আদান প্রদান, ততো বেশী দ্বৈত সত্বার প্রভাব পড়ে এদের উপর। সাধারণত বাবা-মায়েরা এই আদানপ্রদান থেকে দুরে থাকেন।
ঙ) ঘরে বাইরে আলাদা আলাদা ধর্ম হলে, তারা প্রভাবাহ্নিত হন অনেক সময় ধর্মবিশ্বাসী প্রভাবের চেয়ে সামাজিক প্রভাব অনেক বেশী শক্তিশালী। তাতে সমাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে মানুষ।
আরো অনেক প্রভাব থাকতে পারে। বাবা মায়ের নিজেদের শিক্ষা, প্রবাসী সমাজে তাদের নিজস্ব অবস্থান, সে সমাজের সাথে তাদের আদানপ্রদান, এ সবগুলো বিষয় তাদের ছেলেমেয়েরকেও প্রভাবাহ্নিত করে ।
লন্ডনে এটা স্বাভাবিক যে, ধার্মিক পরিবারের ছেলে মেয়েরা সকাল বেলা বাড়ী থেকে বের হবার সময় দেশীয় ও ইসলামী পোষাক পড়ে নেন যাতে বাবা মায়ের সাথে কোন দন্ধ তৈরী না হয়। পথে কোথাও কোন বন্ধুর বাড়ীতে তা পাল্টে ইউরোপীয় পোষাক পড়ে নেন, যাতে স্কুলে বা কলেজে স্থানীয় সহপাঠিদের কোন কটাক্ষ না শুনতে হয়। বাবা মায়ের চাওয়া ও সহপাঠিদের কটাক্ষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই মেনে নিয়ে নিজের সত্বাকে দ্বিখন্ডিত করতে হয় তাদের। এই দ্বিখন্ডিত সত্বাকে সারাজীবন বয়ে বেড়ানো খুব সহজ কথা নয়। পরিনামে হতাশা আসে, নিজেদেরকেই নিজেদর কাছে অচেনা মনে হয়।
জার্মানীতে দেখেছি, স্বামী সারাদিন রেষ্টুরেন্টে কাজ করেন, আর ধার্মিক স্ত্রী সারাদিন হিজাব পড়ে বাড়ীতে। বাড়ীতে সারাদিন টিভি-ভিডিও চলছে, চলছে বলিউড ছবির রগরগে নাচ। ছোট শিশুরা এরই মাঝে বড় হচ্ছে। কোন আবদার করলেই বসিয়ে দেয়া হচ্ছে টিভির সামনে। এই শিশুগুলোর ভবিষ্যত কি? বড় হয়ে এরা কোথায় নিজেদের স্থান খুজে নেবে? বাংলাদেশে? কতটুকো সম্ভব? দেশের বাইরে বড় হয়ে ক’জনইবা বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায়? যেখানে বড় হচ্ছে, সেখানে? তাদের ছোটবেলার অশিক্ষার কারনে ওদের চেয়ে মননে, চিন্তায় এ আত্মিক অনেক এগিয়ে তাদের সমবয়েসীরা। বাস্তবিক কারণেই তাই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়েই চালিয়ে যেতে হবে তাদের জীবন। আমরা এভাবে অনেক অনেক দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক তৈরী করে যাচ্ছি পৃথিবীর বুকে। এদেরকে আত্মিক নিভর্রতার পথ দেখানো ছাড়া এর কোন বিকল্প নেই।
কোন এক ভাষা ও বিবর্তন গবেষক বলেছিলেন দু’শো বছর পর বৃটিশ আর আমেরিকান ইংরেজী বিবর্তিত হতে হতে দু’টো আলাদা ভাষাই হয়ে যাবে। আজকাল দেশ বা বিদেশ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বাংগালীদের মুখে যা বাংলা শুনি, তা ভাবলে এই বিবর্তন আরো স্পষ্ট হয় । প্রথমত প্রচুর বিদেশী শব্দের মিশ্রণ, তারপর উচ্চারণের এমনি এক অদ্ভুত ভঙ্গী, মনে হয় ঠোট আর ধনির বৈরীতা চলছে সারাক্ষণ। আমার কাছে হাস্যকর বো পীড়াদায়ক মনে হলেও মেনে নিতে হবে একদিন। একদিন দু’দিন হয়তো প্রতিবাদ করবেন আরো কেউ কেউ, তারপর এটাই বাংলা ভাষা হয়ে দাঁড়াবে। “বাংলা বললে শুধু বাংলাই বলুন”, এখনকার পৃথিবীতে এ বক্তব্য আপাতত: ‘আউট’!
বিবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখার সাধ্য আমাদের কারোরই নেই। চোঙ্গা প্যান্টের ফ্যশান পাল্টে যখন ঢোলা প্যন্ট পড়ার ফ্যাসান প্রতিষ্ঠিত হলো, তখন সে ফ্যসানের প্রতি বৈরীতা প্রকাশের জন্যে যারা সাধারণভাবেই ঢোলা প্যন্ট পড়তেন, তারা চোঙ্গা পড়া শুরু কললেন। যারা ফ্যসান বিরোধী তারা তাদের বিরোধীতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে হলেও পরোক্ষ ভাবে ফ্যসান প্রতিযোগীতায় যোগ দিতে বাধ্য হলেন। বিবর্তন তাই বহমান নদীর মতো। কিন্তু এই বহমান নদীকে থামানো নয়, সঠিক পথে প্রবাহিত করা সামাজিক চিন্তার একটি দরকারী দিক। আমরা যেনো সবাই এ পথটি খুজে পাই, যাতে আমাদের উত্তরসুরীদের অপরিচিতির অন্ধকারের মুখোমুখি না হতে হয়।
মন্তব্য
আপনার প্রত্যেকটা বক্তব্য এতো সত্যি আর এতো ভয়াবহ যে আমি মাঝে মাঝেই ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই আমার দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে, ভাবি একটু বড় হলেই দেশে চলে যাবো । কিন্ত এটাও সত্যি কথা কোথায় নিয়ে যাবো ?
আমাদের কি কোথাও যাবার জায়গা আছে ? বুকে হাত দিয়ে কি কেউ বলতে পারি দেশে আমরা ভালো ছিলাম, ভালো থাকবো। আমাদের ছেলে, মেয়েরা ভালো থাকবে,
আপনার কথাই মনে হছে ঠিক, "বিবর্তনকে ঠেকিয়ে রাখার সাধ্য আমাদের কারোরই নেই"
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ব্যাপারটি এরকম না। আমাদের ঠিকানা আমাদের দেশ। নিজের স্বত্বা না বদলিয়ে একে কেউ মুছতে পারবে না। সেজন্যেই আমরা ভালো থাকলেও বা না থাকলেও ভবিষ্যতের জন্যে আমাদের দেশকে বাসযোগ্য করতে হবে আমাদের প্রয়োজনেই।
তীরন্দাজের সাথে সর্বাংশে একমত। নিজের চোখে না দেখলে, বা অনেকদিন বিদেশে না থাকলে অনেকে হয়ত বিশ্বাস করবেন না তীরন্দাজের কথাগুলো কতটা সত্যি।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ভাই, আমি হয়তো আমার মন্তব্য বা মনের কথা ভালো করে প্রকাশ করতে পারিনি বা আপনি বোধহয় আমার মন্তব্য ভালো করে পড়েননি । আমি কিন্ত একবারো বলিনি তীরন্দাজের সাথে আমি একমত নই, আমি তীরন্দাজের সাথে পুরোপুরি একমত বলেই বলেছি যে,
" আমি মাঝে মাঝেই ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই আমার দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে, ভাবি একটু বড় হলেই দেশে চলে যাবো "
বিশ্বাস করুন আপনার পাশের দেশ লণ্ডনে বসে রোজ ভাবি কবে আমার দেশে ফিরে যাবো আর কবে আমার ছেলেকে বলবো এটা তোমার দেশ।
আপনার একটা বক্তব্য আমার ভালো লেগেছে
"আমরা ভালো থাকলেও বা না থাকলেও ভবিষ্যতের জন্যে আমাদের দেশকে বাসযোগ্য করতে হবে আমাদের প্রয়োজনেই"
এটা আমিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আর আপনাকে আমি সাধুবাদ জানাই আমাকে এটা স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ।
সত্যিই জীবনের এক মারাত্মক সন্ধিক্ষনে বো্ধহয় অবস্থান করছি।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
দেবোত্তম, ছেলেকে নিয়ে এতোটা চিন্তিত হবার কারণ আমি দেখি না। আপনি নিজে যদি এ নিয়ে ভাবেন, এবং নিজের ভাবনাগুলো ছেলের উপর না চাপিয়ে দিয়ে, তাকে সতর্ক ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে কোন সমসা হবার কারণ দেখি না আমি।
এখানে দু'টো বিষয় কাজ করছে,
১) আপনার ছেলের ভালো থাকা
২) দেশের ভালো করা।
আপনার ছেলে দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন, ভাল থাকলেই প্রথম শর্তটি পুরণ হয়। অন্ততপক্ষে নিজের ছেলের বেলায় আমি এমনভাবেই দেখি। তারপরও নিজের দেশের আবহ, নিজস্ব সংস্কৃতির কথা ভেবে বুকের ভেতরে খঁচখঁচ করে সবারই। সেটা সবসময়েই হবে। প্রবাসী জীবন বেছে নেবার সময়েই তা মেনে নিতে হয়েছে।
দুই নম্বর বিষয়টির জন্যে ছেলের প্রতি আমার কোন দাবী নেই। এধরণের দাবী আমি একমাত্র আমার নিজের উপরই করতে পারি বলে মনে করি আমি। আমি তাকে দরকারী শিক্ষার পথ সুগম করবো, তাতে একটি আশা থাকতে পারে, তবে দাবী নয়। তারপর সে তার নিজের জীবন নিজে বইবে, এর পাশাপাশি যা করার করবে বা করবে না। আমরা নিজেরাও কি আমাদের সাধ্যমতো করি?
আমি মাল্টিকালচারে বিশ্বাস করি। তবে সেখানে পরস্পরবিরোধী উপাদানও যথেষ্ট রয়েছে। সেখানে সাবধান থাকতে হবে। সচেতন বাবামায়েরা সে সাবধানতা নেবার ক্ষমতা রাখেন, আপনারও তা রয়েছে, ও তা থাকতে হবে দেশে বা প্রবাসে, সর্বত্রই। আপনাকে ধন্যবাদ ও ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পুরো একমত! তবে দ্বায়িত্ব একান্তভাবেই আমাদের নিজেদের। আমাদের ছেলেমেয়েদের নয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
Related - Muslim French minister criticizes burqa.
Quote-
"The Moroccan woman, Faiza M, was told that her practice of "radical" Islam was not compatible with French values.
The 32-year-old, who has lived in France since 2000 with her husband - a French national - and their three French-born children, said she had never challenged the country's fundamental values.
Social services reports said the burqa-wearing Faiza M lived in "total submission to her male relatives".
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ফাইজার ছেলেমেয়েরা যে দ্বৈতভুমিকার ভেতর দিয়ে বড় হচ্ছে, তা তাদের ভবিষ্যত জীবনের পথকে সুগম না দূর্গম করবে, সেটা নিয়েই আমার আলোচনা। আপানার দেয়া উদাহরণের জন্যে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এসব প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জীবন খুব জটিল!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
দারূন লেখা, আসলে আমরা না দেশী, না বিদেশী লোকে বলে প্রবাসী।
-----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
সুন্দরভাবে বাস্তবকে তুলে এনেছেন। অনেকদিন থেকে ভাবছি, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে তাদের কালচারের 'খারাপ' বা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বেশি গ্রহণ করি কেন? সমানুবর্তিতা বা সততার মত জিনিসগুলো অনেক কম প্রোপাগেট করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এটা নির্ভর করে পুরোপুরিভাবে আমাদের আত্মিক গঠন ও সামজিক শিক্ষার উপর।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার লেখা।
তবে বাংলাদেশ ছেড়ে আসা একটা প্রজন্মের অংশ হিসেবে আমরা কি কোন সমন্বিত চিন্তা করতে পারি?
অর্থ্যাৎ, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বড় করে তুলতে তাদের কি কি দেয়ার আছে,
কি ভাবে সেগুলি তাদের দেয়া যায়।
কি কি আনুষাঙ্গিক উপকরন প্রস্তুত এবং ব্যাবহার করা যায় তাদের ভেতরে সঞ্চারনের উদ্যেশ্যে।
আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কিভাবে দেখতে চাই।
পারিপার্শিক কি কি উপাদান তাদের প্রভাবিত করে, এগুলিকে কিভাবে মোকাবেলা/সমন্বয় করা উচিত...
আমাদের মতোই অন্যান্য পকেট সংস্কৃতিগুলি কিভাবে কাছাকাছি রকম 'সমস্যা'গুলি সমাধান করছে...জানা প্রয়োজন!
সহজ ভাবে কঠিল বাস্তবতা।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
নতুন মন্তব্য করুন