লারনাকা থেকে রওয়ানা হলাম গ্রীসের আরেক সমুদ্র বন্দর স্যালোনিকিতে। ফেরার পথে সমুদ্র অনেকটা শান্ত। তাছাড়া লারনাকার সিমেন্টে ভরাট জাহাজের পেট, দোলুনী কম, তাই ভুমধ্যসাগরের জল কেটে কেটে ধীর গতিতে এগিয়ে চললাম। আবহাওয়া পরিস্কার, সুন্দর রোদ, চারিদিকে একটু চোখ মেলে তাকানোর সুযোগ পেলাম বলে মনে হলো। আমাদের চলার সঙ্গী শ'খানেক ডলফিন আর উড়ন্ত মাছের দল। তবে এদেরকে উড়ন্ত বলা যায় কি না, এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকতে পারে। দশ থেকে কুড়ি মিটারের মতো উড়ে আবার ঝাপিয়ে পড়ছে সমুদ্রে। খুব বড় নয়, ছয় থেকে দশ ইঞ্চির মতো লম্বা।
মাঝে মাঝে মনে হতো ধীরে ধীরেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছি প্রতিদিনই একটি একটি করে। চারিদিকে সমুদ্রের অফুরন্ত নীল জল, উপরের বিশাল আকাশ, আর এই দৃশ্যের সাক্ষী আমাদের মতো গুটিকয়েক সাধারণ মানুষ, একপ্রান্ত থেকে ছুটে চলেছি আরেক প্রান্তে। মাঝে মাঝে ভাবতাম আমাদের সৌভাগ্য তুলনাহীন, পরক্ষনেই নিজেদেরকে মানব সভ্যতার বাইরে কোন অচেনা জীবের মতো মনে হতো। আর প্রতিবারই স্পষ্ট হয়ে উঠতো আমাদের ক্ষুদ্রতা জল আর আকাশের এই অবিরাম খেলায়। অনেক সময় অকারণেই জল আসতো চেখে।
কিন্তু অবসর সময়গুলো সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। জাহাজে বিনোদনের কিছুই ছিলনা, এমনকি কথা বলারও ছিলনি কেউ। বেশীরভাগই অফিসার ও নাবিক ভালো ইংরেজী জানতো না। একটা অন্তরঙ্গ আলাপও তাই জমে ওঠা সম্ভব হলো না। কিছুটা বলে, কিছুটা আকার ইঙ্গিতে জাহাজের লেদ মেশিনের ব্যাবহার শিখিয়ে দিল এক অভিজ্ঞ নাবিক। একটি কাঠের ডান্ডা কেটে সেই মেশিনে দাবার গুটি বানালাম নিজ হাতে। কাগজ কেটে ছক তৈরী করা হলো।
একজন ভাল দাবা খেলোয়াড়ও পাওয়া গেল, জাহাজের সোমালিয়ার রেডিও অফিসার। তার নাম জানা নেই। সবাই ডাকত মার্কনী বলে, পরে জানলাম গ্রীক জাহাজে রেডিও অপারেটরদের এই নামেই ডাকা হয়। অবসর সময়টুকু দাবা খেলেই কাটিয়ে দিলাম।তবে রোদের নীচে বাইরে বসে খেলতে ভাল লাগলেও সমস্যাও হলো। অনেকসময় বাতাসে উল্টে যেতো দাবার গুটি, জীবনের মতোই হঠাৎ। আমার এই দাবার ছক অফিসার্স মেসেও পৌছালো। একদিন ক্যাপ্টেনকে হারিয়ে দিলাম দাবায়।
একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র ছিল জাহাজের কুক। সবাই তাকে মায়রা বলে ডাকত। দৈর্ঘে প্রস্থে বিশাল কলেবর তার। এই বিশাল শরীর নিয়েও জাহাজের দোলুনির সাথে নিজেও দুলে দুলে রান্না চালিয়ে যেতে কোন সমস্যা হতো না তার। ঢেউ বা ঝড়ের সময় সামান্য উৎকন্ঠার ছাপও দেখা যেতনা তার চোখে মুখে। অথচ জাহাজ থেকে ওঠা নামার সময় দু'তিনজনকে দু'পাশ থেকে ধরে থাকতে হতো তাকে। ভয়ে কাঁপতো তখন তার শরীর। যারা ধরে থাকতো, তাদেরকেও গালি দিতে দিতে একটা একটা করে পা ফেলতো সে। তার সবচেয়ে বেশী বিরক্তি ছিল হয়তো মানুষেরই উপর। সারাক্ষন গজগজ আর গালাগালি চলিয়ে যেতো সবাইকে লক্ষ করে। কেউ পছন্দ করতো না তাকে, তবে তাকে ঘাটানোর সাহস ছিলনা কারো। জাহাজের মালিকপক্ষের সাথে নাকি তার ভালো দহরম মহরম রয়েছে।
গ্রীকরা ভাল ইংরেজী জানতো না। তাই তাদের ইংরেজীর একটা নমুনা দিচ্ছি এখানে। আমকে উপর থেকে ক্যাপ্টেন ফোন করে জানতে চাইলেন, থার্ড ইনজিনিয়ার নীচে আছেন কি না। প্রশ্নটা ছিল 'হ্যাভ থ্রিত্ ইনজিনিয়ার ডাউন' ? আমকেও সেভাবেই উত্তর করতে হলো 'থ্রিত ইনজিনিয়ার নো হ্যাভ ডাউন'। তবে অল্প ক'দিনের মঝে আমরাও কিছুটা গ্রীক শিখে নিলাম। পরে গ্রীক আর ইংরেজীর জগাখিচুড়ীতেই চলল আমাদের কথোপকথন। তবে আমার গ্রীক জ্ঞানের নমুনা না দিয়েও পারছি না।গ্রীক ভাষায় „টিকানিস“ এর অর্থ হচ্ছে,
তুমি কেমন আছ ।নিজের নাম আনিস, তাই আমি সে বাক্যকে ‚টিকা আনিস’ ধরে নিলাম।একবার প্রথম অফিসারকে সকালে দেখে প্রশ্ন করে বসলাম ‚টিকা নেফথারিওস’, কারণ এই গ্রীক ভদ্রলোকের নাম নেফথারিওস। এ অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।পরে কারণ বুঝতে পেরে হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরলো।
একসময় গ্রীক কফিও ভাল লাগতে শুরু করলো। তবে আমাদের খাবারের ক্ষীণ পরিমাণ দেখে এই হৃদয়হীন মায়রাও (পাচক) আতিপাতি খুঁজে একটা লঙ্কাগুড়োর শিশি বের করলো ।আমরা মহানন্দে যখন সে গুড়ো আমাদের প্লেটের উপর ছড়িয়ে দিলাম, সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আমাদের দিকে। তাদের এই অবাক দৃষ্টিতে প্রভাবাহ্নিত না হয়ে আমাদের খাবারের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে গেল।তারপরও অলিভ অয়েলের গন্ধে প্রতি অরুচি রয়েই গেল আমার এবং এত বছর পর এখনও রয়েছে।
স্যালোনিকিতে এসে পৌছলাম। মাল খালাসের পরও দিন পাঁচেকের মতো থাকতে হবে আমাদের এই বন্দরেই, মেশিনের ছোটখাট মেরামতির জন্যে। তার অর্থ হচ্ছে মেশিনরুমে, তেল কালির জঙ্গলে আরো বেড়ে গেল আমার কাজ। বাইরের খালাসীদের কাজও নেহায়েৎ কম নয়। নোনা ধরা পুরোনে রং উঠিয়ে আবার নতুন রংএ সাজানো হলো বাক্কিসকে। খালাসীরা যে ভাবে দড়িতে ঝুলে ঝুলে জাহাজের বাইরের অংশের পুরোনো রং ঘষে ঘষে তুলে নতুন রংএর প্রলেপ নাগালো, তা দেখে এই ভীরু বাঙ্গালীর হৃদয়ে জাহাজের খোলের নীচের অংশের মেশিনরুমকে স্বর্গপূরীর মতোই মনে হলো।দু’দিন পরেই জানতে পেলাম আমাদের পরবর্তী যাত্রা এবারও খুব দুরে নয়। সিসিলি দ্বীপে। তবে এই সিসিলির যাত্রাই আমাদের ভুগিয়েছে সবচে' বেশী।
বন্দর থেকে সামান্য দূরেই শহর। গত কয়েক মাসে আনন্দ কাকে বলে, তা নিয়ে ভেবে দেখিনি একবারও। জীবন যুদ্ধের বিভিন্ন পদক্ষেপে প্রতিটি সাফল্যের ক্ষেত্রে আনন্দ পেলেও সে আনন্দ কখনোই প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করিনি। কোন এক ঘোরের মাঝে ছিল প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ। সে আনন্দ বুকের ভেতর জমে বুকের ভেতরেই বিলীন হয়ে গিয়েছে সে ঘোরের প্রভাবে। চোখের সামনে কখনো দেখতে পাইনি। এ ব্যাপারে আমার বন্ধুটি ছিলেন আরো বেশী কট্টর। কোন বিশেষ প্রাপ্তিতে উল্লসিত হলেই অজানা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে সে উল্লাসকে স্তিমিত করে দিতেন। তাতে হয়তো ভালই হয়েছিল। বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার আমার প্রতিদিনের যে প্রয়াস, তাকে স্তিমিত করা ছিল সে সময়ের বিচারে অবশ্যই এক দরকারী পদক্ষেপ।
আনন্দ করার জন্যেই তাই একদিন এক সিনেমা হলে ঢুকলাম। ছবির নাম কি, কোন ভাষা, এসব নিয়ে ভাবার কোন অবকাশ ছিল না। টিকিট কেটেই ঢুকে পড়লাম। গ্রীক ভাষায় ডাবিং করা। জাহাজে থেকে থেকে একটা দু’টো গ্রীক বাক্য শিখে গেলেও একটি ছবি দেখে তার ভাষা বোঝার বিদ্যে থেকে আমরা „দিল্লী দুরস্তর” এর মতোই দূরে। কিন্তু সামান্য পরেই টের পেলাম, এ ছবির ভাষা বোঝাটা একেবারেই জরুরী কিছু নয়। এই „সফট পর্ণো” ছবিতে ভাষার দরকার পড়ে না। কিন্তু এই দুই লাজুক বাঙ্গালী চরিত্রের জন্যে, যার মাঝে একজন আরেকজনের বন্ধুর বড়ভাই, এই “সফট পর্ণো“ হজম করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ালো।একজন আরেকজনের মুখের দিকে লাজুকভাবে তাকাতে তাকাতে তাই বিরতিতে বেরিয়ে এলাম সিনেমা হল ছেড়ে। বাইরে তখন স্যালোনিকির আনন্দ সন্ধ্যায় উত্তাল শত শত মেয়েপুরুষ।
চলবে.......।
মন্তব্য
একেবারে চোখের উপর দেখতে পাচ্ছি পুরোটা
দুর্দান্ত
মন্তব্যে খুশী হলাম খুব। ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুন । চমতকার হয়েছে লেখাটা যেন চোখের সামনে ভাসছে সব -মায়রা, দাবার গুটি ।
নিবিড়
হুমম আর্কিমিডিসের সিসিলি, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ইউরেকা ইউরেকা করার জন্য।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সিসিলি যাত্রা যে কতোটা ভয়ংকর, তার পরের পর্বে জানাবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এ পর্বটা অসাধারণ হয়েছে ! চলুক।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চলবে! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সুন্দর, খুবই সুন্দর। এটার কিন্তু একটা বই বের করতেই হবে তীরু ভাই। সেই বইটার প্রচ্ছদও আমি দেখতে পারছি। সন্ধ্যায় আপনারা সমুদ্রের মধ্যে জাহাজের ডেকে। সেখান থেকে বেশ দূরে তীর দেখা যাচ্ছে দিগন্তে। সূর্যটা আস্তে আস্তে অস্ত যাচ্ছ এমন নাটকীয় একটা প্রচ্ছদ। হা হা হা...
সেরকম একটি ছবি তাহলে নতুন করে সাজাতে হবে, বা কাউকে দিয়ে আঁকিয়ে নিতে হবে। বহু- বহুদিন আগের কথা ভাই।
বই বের করার চেষ্টা করবো অবশ্যই। ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, অসাধারণ বললে কম বলা হবে তবুও বলবো।
প্রশ্নটা ব্যক্তিগত হলেও আপনার এই ঘটনাগুলো কোন দশকের এটা বলা যাবে কি, তাহলে লেখাটা পড়ে ধারণা করতে আরো সুবিধা হয়
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
গত পর্বে আমার একই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন এসব ঘটনা প্রায় তিরিশ বছর আগের।
ভাল লাগছে বলে ধন্যবাদ। ১৯৭৮ এর কাহিনী এটা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
একেবারে অচেনা একটা জগত্ , ঠিক যেন কোন মুভিতে দেখছি ৷ খুব ভাল ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমার নিজের কাছেই এখন অচেনা মনে হয়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ, প্রায় বছর ত্রিশ আগের ঘটনা মনে করে লিখছেন। ডাইরি রাখেননি নিশ্চই।
দুর্দান্ত হচ্ছে।
স্মৃতি ঘেঁটে আরো আরো বিচিত্র বিষয় সব যোগ করুন।
আপনার জন্য পাঁচতারা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনাকে ধন্যবাদ। ডায়েরী সে ভাবে নেই, তবে কিছু কিছু বিষয় নোট করা ছিল। আর এ কাহিনীর বর্ণনা তো প্রায়ই করি, তাই স্মৃতিতে এখনও পুরো উজ্জল হয়ে আছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুরন্ত ভ্রমণকাহিনী। দৌড়ে চলুক।
কিন্তু গল্প লেখা কি ছেড়ে দিলেন একেবারে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
গল্প লেখা ছাড়িনি, ছাড়তে চাই ও না। কিন্তু সময় কম ও গল্প আসছে না।
আমার বিষয়গুলো বেশ অদ্ভুত। যা আসে ঝড়ের মতো আসে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ! এ পর্বও যথারীতি দুর্দান্ত ! চলুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নাহ্... এই সিরিজ পড়লে খালি খালাসী হইতে সাধ জাগে... তীরুদারে বললাম এত কইরা আমারে একটা খালাসীর চাকরি জোগাড় কইরা দিতে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরের পর্ব পড়ার পরও যদি সেই সাধ থাকে, আর আপনের বৌ, পোলাপানের পারমিশন থাকে, তাইলে বছাবস্থা করমু! কি কন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনার শরীর এখন কেমন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আজ ভাল আছি নজরল। পরের পর্ব নিয়ে লড়ে যাচ্ছি। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেকদিন আগে একটা বই পড়েছিলাম। সী উলফ...
খুব প্রিয় বই আমার।
খুব চমত্কার হচ্ছে লেখা।
কুরুবক
সী উলফ জ্যাক লন্ডনের না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এখানে এসে নিশ্চিত যে প্রথম পর্বে যা লিখেছিলাম তা-ই সত্য। এই সিরিজটি নিঃসন্দেহে একটি এপিক হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে লেখার বর্ণনা অসাধারণ হচ্ছে। সব যেনো ঠিক সামনে সিনেমার মতো দেখতে পাচ্ছি।
আমার একটি ছোট্ট অনুরোধ আছে। প্রথম পর্বে যদি জাহাজের কাঠামোর সামান্য বিবরণ দিয়ে দিতেন তবে খুব ভালো হতো। তাহলে আপনি যেখানে থাকেন, সেখান থেকে রেডিওরুম, ডেক, কিচেন, এসব কল্পনা করে নিতে সুবিধে হতো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপানার পরামর্শের জন্যে অনেক ধন্যবাদ অমিত। বিবরণগুলো যতোটা পারি, দেয়ার চেষ্টা করবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ!!!
-----------------------------
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
অসাধারণ!
উড়ুক্কু মাছের কথায় মার্টেলের লাইফ অব পাই উপন্যাসের কথা মনে পড়ে গেল।
এলাম স্যালোনিকি... একটু পরেই সিসিলি যাচ্ছি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
নতুন মন্তব্য করুন