জাহাজী জীবনের গল্প (চার), সিসিলির পথে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শনি, ০৪/১০/২০০৮ - ৫:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'তালাতা উনুস, তালাতা উনুস' বলে চেঁচামেচি আর দরজায় ঠকঠক শব্দে ঘুম ভাঙলো। মিশরের মুহম্মদ তার ডিউটি শেষ করে ঘুমোতে যাবে, আর আমাকে ঢুকতে হবে মেশিনরুমে। মুহম্মদ ইংরেজী জানে না, শেখানোর চেষ্টা করাও বৃথা। আমাকেই তাই আরবী শিখে নিতে হয়েছে। ‚তালাতা উনুস’ মানে সাড়ে তিন, অর্থাৎ এখন সাড়ে তিনটে বাজে। সাথে সাথে বিছানা না ছাড়লেও একটু এপাশ ওপাশ করে মনে মনে তৈরী হলাম। জানি মুহম্মদ 'আরবা এল্লাতেল' বলতে বলতে পনোরো মিনিট পর আবার আসবে। তখন তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে এককাপ গ্রীক কফি হাতে ঢুকতে হবে মেশিনরুমে। একটু আগে থেকেই তৈরী থাকা ভাল। আমাদের এবারকার যাত্রা স্যলোনিকি থেকে সিসিলি।তিনদিন ধরে বন্দরছাড়া আমরা।

ঘুমের আমেজ আরেকটু ভাঙ্গার পর শুনতে পেলাম বাইরে বাতাসের শোঁশোঁ আওয়াজ। সে আওয়াজকে ছাপিয়ে গর্জে উঠছে সমুদ্র। সে বাতাস ও ঢেউএর সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে খোলামকুচির মতো দুলছে আমাদের জাহাজ। তাড়াতাড়ি বাতি জালিয়ে উঠে বসার চেষ্টা করলাম সে দোলুনির সাথে তাল মিলিয়ে। এরই মাঝে মুহম্মদ 'আরবা এল্লাতেল' বলে আরেকবার দরজায় টোকা দিয়ে গেল। আমার সাড়া পেয়ে চলে গেল আবার। জাহাজের সাথেই টলতে টলতে কোনভাবে উঠে দাঁড়ালাম। কাজের ওভারঅলটি গায়ে চড়িয়ে যখন কেবিনের বাইরে দাঁড়ালাম, তখন চারটা বাজতে দশ মিনিট বাকী। হেলতে দুলতে সিঁড়িতে টেনে তুললাম নিজের ক্লান্ত শরীরটিকে। সমুদের দিকে তাকিয়েই ভয়ে হিম হয়ে গেল রক্ত।

উন্মাদের আসুরিক ক্রোধে আছড়ে পড়ছে একেকটা ঢেউ আরেকটার উপর। মূহুর্তেই ফেনা হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে আরেকটা বিশাল ডেউএর আড়ালে। তারপর সবাই মিলেমিশে এক হয়ে আরো কয়েকগুন শক্তি আরো উন্মত্ত ক্রোধে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে আমাদের জাহাজের গায়ে। এই আসুরিক যুদ্ধজজ্ঞের মরণ ছোবলে নিজেকে পুরো সমর্পণ করে হাবুডুবু খাচ্ছে আমাদের জাহাজ। আমরা বাইশজন মানব সন্তান যে তার বুকের উপর বসে তারই উপর ভরসা করে আছি, সেটাও ভুলে গেছে একেবারে। মনে হচ্ছে সামান্য পরেই এই হাবুডুবু খাবার ক্ষমতাও থাকবে না তার। ডেকের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঢেউ, শরীরকে উড়িয়ে নিতে চাইছে শোঁশোঁ বাতাস। মেশিনরুম অবধি হেটে যাবার এলাকাটি পেরুতেই সে ঢেউএর সাথে ভেসে যাবার উপক্রম হলো। তারপরও মনে হলো, সলিল সমুদ্রের সমাধি এতো কাছে থেকে টের পাবার এতো বিরল সৌভাগ্য ক’জনের হয়! তাতেই হয়তো সাহস পেলাম। কোনক্রমে রেলিং ধরে ধরে হেলতে দুলতে আধভেজা হয়ে মেশিনরুমে পৌঁছে মুহম্মদকে মুক্তি দিলাম।

মেশিনঘর জাহাজের নীচের অংশে, দোলুনী সেখানে কিছুটা কম । তারপরও সকালের প্রথম কফিটুকু পেট সহজেই থেকে বেরিয়ে এলো। শরীরের শক্তি প্রায় নি:শেষিত হলেও দ্বায়িত্ব পালন তো করতেই হবে। মেশিনের উত্তাপ হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় উপরে ক্যপ্টেনকে খবর দিলাম। তার নির্দেশে জাহাজের গতি কমিয়ে দেয়া হলো। মেশিনের বিভিন্ন অংশে তেল মবিল আরো বেশী ঢালতে হলো। জাহাজের খোলের ভেতরের জল পাম্প করে বাইরে ফেলতে হলো। কিছুক্ষণ পর থার্ড ইনজিনীয়ার এলো হেলতে দুলতে। তার চেহারাতেও উৎকন্ঠা। আমার করুন অবস্থা দেখে স্বান্তনা দিল একটু। তারপর মেশিনরুমের এদিক সেদিক একটু ঘুরে কোন এক বাহানা দেখিয়ে বেরিয়ে গেলো বাইরে। একটি বিষয় স্পষ্ট টের পেলাম। জাহাজ এখন ডুবলে বাকী সবাই কোনভাবে বাঁচলেও এই এতোটা নীচের মেশিনঘরের অন্ধকারে আমার মৃত্যুই সবার আগে। দ্বায়িত্ব পালন ও বমির ফাঁকে ফাঁকে উপরে সিড়ির দিকে তাকালাম। একটু আলো দেখা যাচ্ছে। এই আলো কি দেখতে পাবো আর ? শেষ মুহুর্তে কতোটা সময় লাগবে উপরে উঠতে? লাইফ বোটে চড়ার আগে ওরা আমাকে ডাকবে তো? আমার বন্ধুটি আমাকে ছেড়ে নিশ্চয়ই বোটে উঠবে না! এরকম আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে ডিউটির অসহ্য চারটি ঘন্টা পার করলাম। নাইজেরিয়ার জিমি এসে আমাকে এই মেশিনরুমের বিভিষীকা থেকে পরিত্রাণ দিল। হাঁপ ছেড়ে উপরে ওঠার সিড়িতে পা দিলাম।

বাইরে এসে দেখি প্রকৃতি আগের চেয়ে আরো বেশী নারাজ, সমুদ্র আরো বেশী নির্দয় আমাদের উপর। ঢেউ এর উচ্চতা বেড়েছে আরো বেশী। প্রায় পুরো জাহাজই একবার ঢেউএর তলায়, আবার বেরিয়ে আসছে ঢেউ ফুড়ে ধুঁকতে ধুঁকতে। মেশিনের আওয়াজ ঝড় আ র ঢেউএর গর্জনে পুরো তলিয়ে গিয়ে আবারো ভেসে আসছে আর্তনাদ হয়ে। এই আর্তনাদের আওয়াজটিই আমার বুকের মাঝে বিঁধলো সবচেয়ে বেশী তীব্র হয়ে। নিজের ভেতরে দু'ধরণের উত্তেজনা টের পেলাম। প্রথমটি ভয়, দ্বিতীয়টি- সে ভয় ছাপিয়েও বিপদের সাথে যুদ্ধের টগবগে নেশা। এমনি এক ভয়াল পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয় যে মানুষ, তার জন্যে বাকী জীবন তো সচ্ছন্দ পদচারণা মাত্র! পৃথিবীকে ক'জন এই সৌভাগ্যের অধিকারী? আমি নিজেও তাদের মাঝে একজন ।

এরই মাঝে হেলেদুলে সকালের নাস্তা শেষ করেছে আমাদের মায়রা। খেতে সাহস হলো না একেবারে। মূহুর্তেই তো বেরিয়ে আসবে নাড়ীভুড়ি পাকিয়ে। তেলকালি মাখা নোংরা পোষাক পাল্টানোর জন্যে কেবিনের দিকে রওয়ানা হলাম। আকাশে তখন সকালের আলোর রেখা। কেবিনে যাবার সিড়ির আরো পেছনে রেলিংএর পাশে দাড়িয়ে প্রথম অফিসার নেফথারিও। তাকিয়ে আছে উত্তঙ্গ ঢেউএর দিকে।কিন্তু সে চাওয়ায় সামান্যও ভয়ের ছায়া নেই। তার দৃপ্ত চাহনীতে সমুদ্র আর
ঝড়ের সাথে কি এক অজানা যুদ্ধের দামামা! এই যুদ্ধের আনন্দ আর পরিতৃপ্তির ছবি ফুটে উঠছে তার চোখে মুখে, তার দাঁড়ানোর ঋজু ভঙ্গিমায়। সুপ্রভাত বিনিময় করলাম এই দুরন্ত বাতাসের মাঝেও। ঝড়ের আওয়াজের সাথে হয়তো মিলিয়ে গেল সে সম্ভাষন। ইশারায় কাছে ডাকলো। আমার চেহারা দেখে জানতে চাইলো, ভয় পেয়েছি কি না। সত্যি কথাটিই বললাম। 'জাহাজী জীবন বেছে নিয়েছ, ভয়ের এবারেই শেষ নয়, সামনে আরো আসবে'। তার কথাটি একধরণের অভয় হয়ে দাড়ালো আমার জন্যে। ‚আমরা এবারেই ডুবে মরছি না’, এমনি ভরসারই আবহ সাজালো বাক্যটি। চোখের দৃষ্টিতে অভয় জানিয়ে কেবিনে বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তী অবস্থার জন্যে তৈরী থাকতে বললো।

কেবিনে এসে কাপড় পাল্টে ক্লান্ত শরীরে গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়। ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু সম্ভব হলো না। পেটের নাড়ীভুড়ি শুদ্ধ বেরিয়ে আসতে চাইলো কন্ঠনালী পেরিয়ে। বিছানা ছেড়ে সামনের চেয়ারটায় বসে ক্লান্তিতে টেবিলে মাথা রেখে অল্প সময়ের জন্যে হলেও ঘুমিয়ে পড়লাম।

দরজায় টোকার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘড়িতে তাকিয়ে সকাল ছ'টা তখন। দরজা খুলে ঢুকল আমাদের খালাসীদের বসম্যান। জরুরী সমস্যার মোকাবেলায় ক্যাপ্টেন সবাইকে একসাথে ডেকেছেন। দ্রত পোষাক পড়ে ছুটলাম। বাইরে ঝড়ের তান্ডব আরো বেশী বেড়েছে। বেরুতেই বাতাস আর ঢেউএর চাবুক কামড়ে ধরলো শরীর। কিন্তু সামান্য ভয়ও পেলাম না এবার। দেশ ছেড়ে, বাবা মায়ের স্নেহছায়াকে নিজ হাতে দুমড়ে ভেঙ্গে জীবন নিয়েছি হাতের মুঠোয়, স্বেচ্ছায় ভাইবোন ছেড়ে এই অথৈ অনিশ্চয়তায় পাড়ি! আমার বুকের ভেতরে তখন শতশত আমি এসে বাসা গেড়েছে।এই শতশত আমার সাহস বুকে জমিয়ে পাড়ি দিচ্ছি সমুদ্র। আমার কি ভয় পাওয়া সাজে!

ব্রীজে এসে দেখি, সবাই এসে জমা হয়েছে একমাত্র মায়রা(পাঁচক) বাদে। শুনলাম ব্রীজ থেকে পেছনের হালের যে যোগাযোগ, সেটি ঝড়ের দাপটে বিকল। সেকারণে জাহাজ ব্রীজ থেকে নিয়ন্ত্রনে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাহাজের পেছনের অংশে ছোট একটি কামরা রয়েছে। সেখানে বিকল্প হিসেবে একটি হুইল ঘুরিয়ে জাহাজকে নিয়ন্ত্রনে রাখার ব্যবস্থা আছে। সেজন্যে দিকদর্শন যন্ত্র ও হিসেব নিকেশ বোঝে, এমন দু'জন লোকের বাড়তি দরকার। আমার ও আমার বন্ধুর শিক্ষাদীক্ষার খবর তারা জানেন। আমাদেরকেই তাই একাজের জন্যে যোগ্য মনে করেছেন জাহাজের কর্ণধার।অন্য খালাসীরা দু'জন করে বাইরে থাকবে। জটিল দিকনির্নয়ের হিসেব করা হবে ব্রিজে।হিসেবে করে ক্যপ্টেন ও অফিসাররা জানিয়ে দেবেন বাইরে দাঁড়ানো একজন খালাসীকে। তারপর সে নির্দেশ বিভিন্ন খালাসী হয়ে পৌঁছুবে আমাদের কাছে।

বাইরে এসে আবার ভাল করে চারিদিকে তাকালাম। প্রায় দেড়মাইল দুরে একটা ডুবো-পাহাড় দেখা যাচ্ছে। স্থলভাগ দেখতে পেয়ে সাহস আরো বাড়ল। দু'ঘন্টা বিশ্রাম নিতে পেরেছি, তাই প্রথম নতুন দ্বায়িত্ব নিলাম আমিই। ব্রীজ থেকে হিসেব করে বলা হলো, 'পয়ত্রিশ ডিগ্রী নর্থ'। একজন খালাসী সে নির্দেশ চিৎকার করে আরেকজনকে জানালো। সে পরের আরেকজনকে। সে জানালো, আমি যে ঘরে হুইল আর কম্পাস সামনে ব্যস্ত, তার দরজার সামনে দাড়ানো একজনকে। আমি তার কথা শুনে হুইল ঘুরিয়ে দিক ঠিক করলাম জাহাজের। কাজ শেষ করে বল্লাম, দ্যাকসি (অর্থ: ঠিক আছে) । আমার ‚দ্যাকসি’ তিনজন হয়ে পৌছে গেলো ব্রীজে। একটু পরই আবার নতুন নির্দেশ এলো। আমিও সেইমতো জাহাজের দিক ঠিক করলাম। এভাবে যে কতো ঘন্টা চালিয়ে গেলাম, তা জানা নেই। একসময় সেকেন্ড অফিসার আমাকে বিশ্রামে পাঠিয়ে নিজেই কাজে লাগলেন। কতোক্ষণ বিশ্রাম নিতে পেরেছি, তাও জানা নেই। একসময় আমার বন্ধুকে ঘুমোতে পাঠিয়ে আবার আমাকে লাগতে হলো। এভাবেই পর হলো দু'টো দিন দু'টো রাত। ঝড়ও আমাদের সাথে কান্তিহীন পাল্লা দিয়ে চালিয়ে গেলো তার তান্ডব নাচন।

দুদিন পর ঝড়ের প্রকোপ কিছুটা কমে আসার পর একটা বিষয় নজরে এলো আমার। এতোদিন সেদিকে নজর দেবার সময়ও ছিল না। যে ডুবোপাহাড়টি দুদিন আগে দেখেছি, বারবার জাহাজের বাঁ’ দিকে সেই একই পাহাড়? এক খালাসীকে জিজ্ঞেস করে জানলাম এই পাহাড়কে কেন্দ্র করেই ঘুরছি আমরা গত দু'দিন। যদি জাহাজডুবি হয়, তাহলে এই পাহাড়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা। তারপরও পাহাড় থেকে বিপদমুক্ত দূরত্ব রাখা জরুরী। ঝড়ের দাপটে পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লাগলেই সলিল সমাধি! বিপদের সম্যক রূপটি উপলব্ধি করে এই শীতের মাঝেও ঘাম ছুটলো শরীরে। কিন্তু এতোটা অংশ পার করেছি, আর তাতে সামান্য হলেও নিজের অবদানের কথা ভেবে আনন্দ হলো তারচে’ আরো বেশী।

আবহাওয়াদেব সদয় হলেন সামান্য। একটু শান্ত হলো সমুদ্র তার নির্দেশেই যেন। আরো দু’দিনের সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ফিরে এলাম আমরা আবার গ্রীসের সমুদ্র বন্দর পেরিয়াসে। সিসিলি যাত্রা আপাতত: শিকেয় তোলা রইল। তাছাড়া জাহাজের মেরামতির কাজ পেরিয়াসের ডকেই সম্ভব। কিন্তু ঝড়ের রেশ তখনো যতোটা রয়েছে, আমাদের আরো না ভুগিয়ে ছাড়লো না। বন্দরের ভেতরেও আমরা জাহাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম না। চারটে টাগবোটে টেনে স্থির রাখার চেষ্টাও ব্যার্থ হলো। একটি জাপানী পতাকাবাহী জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগলো সামান্য। স্বাভাবিকভাবেই আমরা বন্দরের অন্যান্য জাহাজের জন্যে বিপদজনক।বন্দর-কতৃপক্ষের নির্দেশে আবার গভীর সমুদ্রে ফিরে যেতে বাধ্য হলাম। আরো দু'দিন সমুদের একই এলাকায় ঘুরপাক খেয়ে ঝড় পুরো থামার পর ফিরে এলাম পেরিয়াসে।

পেরিয়াসে দু’সপ্তাহ ধরে মেরামতির কাজ চললো। সবার সাথে আমাকেও কঠিন পরিশ্রম করতে হলো। কিন্তু যা শিখলাম, তা এই পরিশ্রমের চেয়ে অনেক অনেক মূল্যবান। শিখলাম, জীবন মরণের সন্ধিক্ষনে সাহস কী বিশাল এক শক্তি। মৃত্যুর থাবার সামনে থেকে নিজেকে ফিরিয়ে এনে নিজের যে আনন্দ, তা বাকী জীবনকে কতোটা মূল্যবান করে আবার নিজের সামনেই তুলে ধরে। আমাদের পরবর্তী সময়ে সাথে যুদ্ধ করার শক্তি এ সাহস আরো কয়েকগুন বাড়লো। এরই মাঝে জানলাম, আমাদের পরবর্তী ভ্রমণ রুটটি বেশ লম্বা, সৌদী আরবের গীজান বন্দরে।
চলবে........

(এই সিরিজের সাথে যে ছবিগুলো দিয়েছি, সেগুলো আমার খালাসী জীবনের ছবি নয়। জীবনযুদ্ধের সে সময়গুলোতে ক্যামেরা কেনা মতো বিলাসিত করতে পারিনি। যদি পারতামও, ছবি তোলার সুযোগ এই বিপদজনক সময়ে হয়তো একেবারেই হতো না। ছবিগুলো নিজের স্মৃতির সাথে মিলিয়ে ইন্টারনেট ঘেটে জোগাড় করেছি। আঁকার ক্ষমতা থাকলে নিজেই আঁকতাম।)


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দুর্দান্ত ভাই। রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা। ছবিগুলাও বর্ণনার সাথে একাকার হয়ে গেছে।


কিন্তু সে চাওয়ায় সামান্যও ভয়ের ছায়া নেই। তার দৃপ্ত চাহনীতে সমুদ্র আর ঝড়ের সাথে কি এক অজানা যুদ্ধের দামামা! এই যুদ্ধের আনন্দ আর পরিতৃপ্তির ছবি ফুটে উঠছে তার চোখে মুখে, তার দাঁড়ানোর ঋজু ভঙ্গিমায়।

ক্যাপ্টেনের এমনই হওয়া উচিৎ।

তীরন্দাজ এর ছবি

ক্যপ্টেন নয়, ফার্স্ট অফিসার। সে যাই হোক! আমি সে মানুষটিকে আজো একই ভঙ্গিমায় চোখের সামনে দেখতে পাই। কাহিনীটি লেখার সময় ছবিটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অন্য রকম একটা কৌতুহলঃ
সেইদিন গুলোতে দেশের সাথে যোগাযোগের কি আদৌ কোন সুযোগ ছিলো ?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

ফোনের তো প্রশ্নই আসে না। চিঠি পত্রের যোগাযোগ ছিল। আমরা বিভিন্ন বন্দর থেকে পাঠাতে পারতাম। আমাদের কাছে চিঠি আসতো গ্রীসের জাহাজ কোম্পানীর ঠিকানায়। এরা পাঠিয়ে দিত বন্দরে বন্দরে। বুঝতেই পারছেন, অনেক সময় লাগতো চিঠি পেতে। একেকটা চিঠি যেন আকাশের চাঁদের চেয়েও দামী!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার যদি তেমন লেখার শক্তি থাকতো তবে এই যোগাযোগহীনতা, যোগাযোগের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লিখতাম । কারন প্রবাস জীবনে এই কষ্টই আমার কাছে সবথেকে তীব্রতর মনে হয় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

ভাল হতো, যদি একেকটা দিন একেকটা ঘন্টার সমান হতো, তাহলে দ্রুত কেটে যেত এই কঠিন সময়টি। আরো ভালো হতো, যদি একেকটি মাইল একেকটি মিটারের সমান হতো, তাহলে এক দৌড়ে বাবা-মা, ভাই বোনকে দেখে আসতে পারতাম। তবে সবচেয়ে ভালো হতো, যদি একেকটা লিরা একেকটা ডলারের সমান হতো। তাহলে সব সমস্যাই মিটে যেতো একেবারে।

ইস্তান্বুলে থাকার সময় আমার ভাবনাচিন্তার একটি ছবি। যোগাযোগের আকাঙ্খা প্রবল তো বটেই। হয়তো এ নিয়ে কোনদিন লিখবো।

'আপনার লেখার ক্ষমতা নেই', এটা আমি ভাবতে পানি না।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এ বিষয়ে একটা মৌলিক তর্ক উসকে উঠতে পারে ।
কেবল লেখার দক্ষতা কিংবা কল্পনা শক্তিতে ভর করে অভিজ্ঞতাকে উতরানো যায় কিনা?

কেবল অনুভূতি দিয়ে যতোটুকু ধরা যায় ততোটুকুর ভরসায় কোন বিষয়ে লিখার চেষ্টা করা যায় কিনা? আপনি যা অর্জন করেছেন জীবন থেকে, তার সাথে পরিচয়হীন কারো পক্ষে কি সে জীবনের গল্প লেখা সম্ভব?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

হাসান, আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, তার উত্তর দেয়া আমার পক্ষে একেবারেই সহজ নয়। থিওরেটিক্যাল চিন্তায় আমি সহজেই খাবি খেয়ে যাই। আমি চোখের সামনে যা দেখি, যা ভাবি, ভালো লাগলে বা মনে ধরলে লেখার চেষ্টা করি।

কেবল অনুভূতি দিয়ে যতোটুকু ধরা যায় ততোটুকুর ভরসায় কোন বিষয়ে লিখার চেষ্টা করা যায় কিনা? আমার মনে হয়, এটা অনেকাংশেই যে বিষয়বস্তুকে তুলে ধরা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে। তারপর নির্ভর করে লেখকের ক্ষমতার উপর। এই ভ্রমনকাহিনী (আসলে জীবন কাহিনী) আমি কখনোই নিজে সম্পৃক্ত না থেকে লিখতে পারতাম না। তবে যে গল্পগুলো লিখেছি, তার বেশীরভাগইতো কল্পনার ফসল।

এর বাইরে জানিনা, জানিনা, একেবারেই জানিনা। আরো ভাবতে হবে। আপনার কি মত?

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার নিজের ভাবনা ও কল্পনার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে । যাপিত জীবনের বাইরে কিছু নিয়ে লিখতে আমার সাহস হয়না ।
যারা পারেন তারা নিঃসন্দেহে সাহসী এবং তুখোড় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যেন আমরাও জার্নি করছি আপনার সাথে আজকের দিনে...

সবজান্তা এর ছবি

লীলেন ভাইয়ের কথাটা ঠিক। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মনে হল, আমিও কোন ঝড়ের মধ্য দিয়ে জাহাজ চালিয়ে এলাম।

দাররুন লেখা, চলুক।


অলমিতি বিস্তারেণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যেন এক দারুণ রোমাঞ্ছকর বই পড়ছি। গা শিরশির করে...
নাহ্ তীরুদা... আপনার জীবনটা ঈর্ষা করি...

খায়েশ কিন্তু এখনো যায় নাই... কিন্তু জানি, এখন আর পারবো না... আর বছর কয়েক আগে যদি আপনের সাথে পরিচয় হইতো তাইলে আর কিছুই ভাবতাম না। মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

আমিও সে জীবন পেছনেই ফেলে এসেছি। কিন্তু স্মৃতিতে আজ অবধি জলজ্যান্ত হয়ে আছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তীরন্দাজ এর ছবি

খুশী হইলাম। জীবনটাই তো একটা অভিযাত্রা। জাহাজ পাড়ির মতোই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

স্বপ্নাহত এর ছবি

তীরুদা, চলুক। দারুন উপভোগ করছি। পর্বগুলো পড়ে মনে হচ্ছে কোন বই থেকে তুলে আনা ঘটনাপ্রবাহ। এককথায় দুর্দান্ত।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু বলব দুর্দান্ত ।
নিবিড়

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার নিবিড় প্রশংসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটির ঠিক শেষে গিয়ে আমাকে বুঝতে হয়েছে যে, আমি একজনের বাস্তব জীবনের ঘটানা পড়ে যাচ্ছি!! পড়ার সময় মনে হচ্ছিল সব কিছু আমার চোখের সামনে ঘটছে....মনে হচ্ছিল আমি যেন সেই আধ ডোবা পাহাড়টার উপড়ে দাড়িয়ে সব কিছু দেখতে পাচ্ছি।

কল্পনা

...............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক বছর আগের ঘটনা হলেও আমি আজও দেখি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আরিফ জেবতিক এর ছবি

দূর্দান্ত সিরিজ ।

আহ , জীবন আপনি কতোই না ভালোভাবে দেখেছেন । ঈর্ষা হচ্ছে , কষ্ট হচ্ছে ।

আমাদের জীবন চলে গেল শুরু ভাত আর কাচামরিচ কিনতে কিনতে ।

তীরন্দাজ এর ছবি

কেমন আছেন জেবতিক আরিফ।?ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা এলে দেখা হবে কি?

আমার বউও গতকাল আমার জন্যে অনেক কাচামরিচ কিনেছে। ভাত তো প্রতিদিনই রাঁধতে হয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এতো জীবন্ত বর্ণনা! যেন নিজেই ছিলাম সেই জাহাজে!

আমি ভীতু মানুষ। সাঁতার জানলেও লঞ্চের সামান্য দুলুনিতেই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম একবার। সেই তুলনায় আপনি...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কয়েকদিন খালসীগিরি করেন, দেখবেন লঞ্চে আর ভয় পাবেন না।

তবে আমি নিজেও এখন কিছুটা ভীতু হয়ে পড়েছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুপ্তি এর ছবি

অসাধারণ লেখা! যাঁদের লেখায় সচালয়তন ঋদ্ধ, আপনি তাঁদের অন্যতম। রূপক কর্মকারকে দেয়া ইন্টারভিউয়ে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারও লেখাটির প্রশংসা করেছেন। এই কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদককে কখনও অপাত্রে প্রশংসা করতে দেখিনি। আমার ভালো লাগার সঙ্গে তার প্রশংসা মিলে যাওয়ায় নিজের পাঠরুচির ওপর ভরসা বেড়েছে।
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

তীরন্দাজ এর ছবি

এতো প্রশংসা আমার প্রাপ্য কি? আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহীন হাসান এর ছবি

তীরুদা, বলার কিছু নেই, শ্বাসরুদ্ধকর! অনেকদিন পর সচলে ঢুকে আপনার লেখাটি পড়ে মন্তব্য না করে পারি নি। ভালো লেখা।

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

দীর্ঘ পরিক্রমায় দেরি হয়ে গেল।

অ.ট: শাহীন হাসান আপনাকে অভিনন্দন।
-কই আসিলেন?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তীরন্দাজ এর ছবি

তারপরও পরিক্রমা ভাল বিষয়। শাহীন হাসানকে আপনার অভিনন্দবার্তা পৌঁছে দিয়েছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রণদীপম বসু এর ছবি

পর্বটা অনেক দেরিতে পড়লাম। নেটের বাইরে ছিলাম তিনদিন।
দুর্দান্ত !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তানবীরা এর ছবি

ভয়ংকর বিশেষ করে আমাদের মতো ভীতু মানুষদের জন্য।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনি ভীতু হতে যাবেন কেন? খুঁজলে হয়তো দেখা যাবে, আপনি জীবনের এমন সব কঠিন পথ পার করছে, যেখানে আমি বা অন্য কেউ পা বাড়াতেও সাহস পাইনি।

ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তুলিরেখা এর ছবি

দারুণ লেখা। খুব ভালো লাগলো।
আমার মতন ঘরে থাকা মানুষের কাছে বিশেষ প্রাপ্তির অনুভূতি দেয় এমন লেখা। স্বপ্নের মতন।

-----------------------------------------------
পৃথিবী চায় নি যারে, মানুষ করেছে যারে ভয়
অনেক গভীর রাতে তারায় তারায়
মুখ ঢাকে তবুও সে-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

বিশ্বাস করুন, বিভুতিভূষনের 'চাঁদের পাহাড়' পড়ে যে মজাটা পেয়েছি, ঠিক সেরকম পাচ্ছি... মনে হচ্ছে, ঝড়টা আমিও পেরিয়ে এলাম...

তীরন্দাজ এর ছবি

খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যে। ধন্যবাদ!

তারপরও বলছি, কোথায় বিভুতিভূষন,.........
.
.
.
.
.
.

আর কোথায় আমি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

কথা সত্য.... বিভুতিভূষনের সঙ্গে আপনার তুলনা কী করে করি; আপনাদের দু'জনের কাউকেই তো সামনাসামনি দেখনি!! তবে কথা কী... এডভেঞ্চার সমসময়ই আমাকে টানে (এডভেঞ্চার বলাতে আবার রাগ করেননি তো?)

তীরন্দাজ এর ছবি

রাগ করবো কেন? এডভেঞ্চারের নেশাতেই তো বেরিয়েছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অমিত আহমেদ এর ছবি

অসাধারণ! এই পর্বে এছাড়া আর কিছু বলার থাকলো না!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আবু রেজা এর ছবি

কী দুর্দান্ত! কী দুরন্ত!! কী অসাধারণ!!!
------------------------------------------------------
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

তারেক এর ছবি

পড়লাম। রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।