ঝাঁঝালো রোদ। আকাশে মেঘের কণামাত্রও নেই। বন্দর থেকে প্রায় এক মাইল দূরে নোঙ্গর ফেলেছে জাহাজ। ভ্যাপসা গরম আর ঘামে চ্যাটচেটে হয়ে আছে শরীর। এরই মাঝে হঠাৎ তীরের দিক থেকে কুন্ডলী পাকিয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে বাতাস। চারদিক ঘোলাটে করে সে বাতাস বালিকনা বয়ে বয়ে কুন্ডলী পাকায়। তীর্যক তীব্রতায় সে বালিকণা চাবুক চালায় শরীরে। কোথাও পালানোর উপায় থাকে না। মরুঝড়ের এই কর্কশ চেহারা একবার না দেখে ধারনা করা অসম্ভব। তীর থেকে এক মাইল দুরের নোঙ্গরে থেকেও মুক্তি নেই। জাহাজের ডেকে তো বটেই, দরজা জানালা ভেদ করে কেবিনের ভেতরে ঢুকেও বালিময় করে দেয় সব। মুখের, নাকের ভেতরে কিচকিচ করে সে বালি। লোমকুপের ভেতরেও যখন জমে, মনে হয় সমস্ত ঘাম আর উত্তাপ শরীরের ভেতরে বিদ্রোহ করে দখল করবে শরীর। নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। ঝড় থামার পরও তার দাপট রয়ে যায় অনেকক্ষন।
রাতে ঘুমোতে কষ্ট হয় খুব। পিঠের নীচে চ্যাটচেটে ঘাম। বিছানায় যেনো সারাক্ষণই এক বালির আস্তরণ। বাধ্য হয়ে ঠিক করলাম, বাইরে ডেকে খোলা বাতাসের নীচেই ঘুমুবো। কিন্তু কাজের সময়টা যে ভারী বিদঘুটে আমার! দিনের বেলা বাইরে ঘুমোনো সম্ভব নয়। অসহনীয় গরম আর মাছির অত্যাচার। সন্ধ্যাবেলা অন্য নাবিকদের হাকডাকে রমরমা সারা ডেক। বাধ্য হয়ে কেবিনের ভেতরে আসহ্য গরমেই কাটাতে হয়। রাত বারোটা থেকে চারটে অবধি ডিউটির সময়। চারটের পর ঘুমোতে যাই বাইরে। কিন্তু সকাল ছ’টা থেকেই ফিকে হতে শুরু করে অন্ধকার। সাতটায় রোদ উঠলেই শুরু হয় গরম আর মাছির অত্যাচার। এসব বিড়ম্বনায় প্রায় না ঘুমিয়েই কাটাতে হলো একটি মাস। তার তাতেই চোখের কোণে যে অবসাদ আর ক্লান্তি, তাতেই নুয়ে পড়তে চায় শরীর। কিন্তু তারপরও চালাতে হবে শরীরকে। আমার ঘাড়ে তো এই জীবন কেউ চাপিয়ে দেয়নি! নিজেই বেছে নিয়েছি।
নীচে মেশিনরুমে আরো বেশী অসহ্য গরম। একটি সাদা হাফপ্যান্ট করে কাজ করতাম। তেল-কালিতে কালো হয়ে গিয়েছিল সেটি। গিজানে এসে সেটির রং আবার সাদা হয়ে গেল। শরীরে ঘাম সেখানে জমে জমে শুকিয়ে লবন হয়ে যেতো। আমাদেরকে বাড়তি লবনের ট্যাবলেট দেয়া হলো, যাতে শরীরে ঘাটতি না পড়ে।
মাঝে মাঝে দিনের ডিউটির পর বন্দরে যাবার সুযোগই একমাত্র আনন্দ। একটি ছোট্ট বোট ছিল আসাযাওয়ার জন্যে। সেখানে চারজনের বেশী জায়গা হতো না। তাই ঘন ঘন বন্দরে যাওয়াও সম্ভব হতো না। এই সৌদী বন্দর থেকেই নিজের পয়সায় প্রথম টেপ রেকর্ডার কিনলাম। সাথে জিম রিভসএর একটি ক্যাসেট। “ব্লু স্কাই- শাইনিং এট মি, ও ড্যানি বয়” বারবার শুনেশুনে মানসিকভাবে তাজা হলাম সামান্য। একদিন বন্দর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশী পতাকার এক জাহাজ নোঙ্গরে দেখলাম। আমার আনন্দ দেখে এক নাবিক দেখে ওখানে নৌকো ভিড়ালো। ওখানকার বাংলাদেশী নাবিকরা খুব আন্তরিকতার সাথে আমাকে অতিথি হিসেবে গ্রহন করলো। তাদের সাথে দেশী খাবার খেয়ে মনে হলো প্রাণ জুড়োলো। আমার বন্ধুটি ছাড়া আর কারো সাথে বাংলা বলে অভ্যস্ত নই, নিজের কানে নিজের গলায় বাংলা শুনে নিজের কাছেই অবাক লাগলো। রাতেও ওখানেই রয়ে গেলাম নিজের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে। পরদিন নিজেদের জাহাজে ফিরে ক্যাপ্টেনের ধমক খেতে হলো। মনে মনে হলোও নিকুচি করলাম তার।
এর ক’দিন পর মাঝে একটি ভয়ংকর বিপদের পর আমাদের বন্দরে যাওয়া আসাও বন্ধ হয়ে গেল। খালাসীদের বসম্যান সহ চারজন গিয়েছিলাম বন্দরে। রাত এগরোটার দিকে ফেরার পথে মরুঝড় শুরু হয় হঠাৎ। আমাদের ছোট্ট নৌকো সে ঝড়ের তান্ডব সইতে না পেরে উল্টে যায়। কিন্তু পানিতে তলায়নি বলে আমরা সে নৌকোকে জড়িয়েই ভেসে থাকতে পারলাম। একে মৃত্যুভয়, এর মাঝে চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার! একটু দুরে অন্যান্য জাহাজের আলো দেখা গেল। সাঁতরে কোন এক জাহাজের কাছে গিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে চাইলাম। যদি কেউ আমাদের চিৎকার শোনে বা জাহাজের দড়ি বেয়ে উপরে ওঠা যায়। আমাদের উদ্দেশ্য টের পেয়ে অভিজ্ঞ বসম্যান সাবধান করলো। জাহাজের আলোর কাছাকাছি নাকি হাঙ্গরের দল ভীড় করে খাবারের আশায়। আমাদের চারজনকে পেলে তো তাদের আশাপূরণে কোন ঘাটতি হবে না। ভয়ে হাত পা হিম হয়ে গেলেও নৌকো ধরে ধরেই কোনক্রমে তীরে সাঁতার কেটে এসে পড়া রইলাম চারজন। ওঠার ক্ষমতাও রইলো না আর। পরদিন লোকজন আমাদেরকে দেখে পৌঁছে দেয় বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে। তারপর থেকে বন্দরে যাওয়াই নিষেধ করে দেয়া হলো।
এর মাঝে হঠাৎই বিকল হলো আমাদের জাহাজের ঠান্ডাঘর। জামানো খাবার দাবার, মাংস নষ্ট হতে শুরু করলো। দু’দিন ধরে সারাবার পরও কিছু মাংসের টুকরো পঁচে যাওয়াতে সমুদ্রে ফেলে দিতে হলো। আমাদের মেসবয়, সোমালিয়ার আলী তার প্যাকাটির মতো হালকা শরীর নিয়ে যখন বড় বড় গরুর আস্ত ঠ্যাঙ ঠান্ডাঘর থেকে এসে সমুদ্রে ফেললো, সে দৃশ্য দেখে অতি দুঃখের মাঝেও হাসতে হলো আমাদের। মায়রার (পাঁচক) ভয়ঙ্কর তিরিক্ষি মেজাজ তখন। কোন কথা বলতে গেলেই দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তেড়ে আসে। এরই মাঝে লম্বা পাড়িপথ পেরিয়ে একই কোম্পানীর আরেকটি জাহাজ এসে ভীড়ে এই বন্দরে। তাদের খাবারও শেষ ও কোম্পানীর নির্দেশে তাদেরকে খাবারদাবার দিতে নির্দেশ দেয়া হলো আমাদের ক্যাপ্টেনকে। তাতে মায়রার মেজাজ আরো চরমে উঠলো। আলীকে নির্দেশ দিল হিমাগার থেকে একটি গরুর ঠ্যাঙ আনার জন্যে, যাতে অন্য জাহাজের লোকজন এসে সেটি নিয়ে যেতে পারে। আলী মায়রার কথা কতোটা বুঝতে পেরেছে, জানিনা। কিন্তু বিশাল একটি ঠ্যাঙ কাঁধে টলতে টলতে হাজির হলো রান্নাঘরে। তাকে রান্নাঘরে দেখে আরো বেশী রেগে গেল মায়রা। আউট, আউট বলে চিৎকার করে উঠলো। আলী ভাবলো এটাও পঁচা ঠ্যাঙ, সমুদ্রে ফেলার বদলে রান্নাঘরে আনাতেই ক্ষেপেছে মায়রা। সটান বাইরে গিয়ে ডেক পেরিয়ে ফেলে দিল ওটি সমুদ্রে। এরপর কি হলো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক সময় পানিরও ঘাটতি দেখা দিল। প্রত্যেকের জন্যে প্রতিদিন শুধুমাত্র মাঝারি আকারের এক বালতি পানি প্রতিদিনের জন্যে বরাদ্ধ করা হলো।
তিন সপ্তাহ পর শুরু হলো মাল খালাসের কাজ। হয়তো গীজান বন্দরে আধুনিক ক্রেণ ছিলনা বা আমাদের সেখানে জায়গা হয়নি। তাই খালাসের কাজে ব্যবহৃত হলো আমাদেরই জাহাজের মান্ধাতা আমলের বাষ্পীয় ক্রেণ। বয়লারে পানি গরম করে বাষ্প তৈরী করা, সে বাষ্প দিয়ে ক্রেণ চালানো। সমস্যা হতো বয়লারে পানি পাম্পের কাজটি। সেই পানির পাম্পটিও বাষ্পতেই চলতো। কিন্তু আমাদের সাথেই বৈরীতা করেই হয়তো, পাম্পটি দু’বার পাম্প করেই থেমে যেতো হঠাৎ। আমি সারাক্ষণই তেল দিতাম, এছাড়া কোন উপায়ও ছিলনা। মাঝে মাঝে হাতুড়ীপেটা করতাম, গালিও দিতাম। তাতে কাজ হতো কি না জানিনা, যন্ত্রটি হঠাৎ ধকধক করে কাজ শুরু করতো। কিন্তু এতো বেশী কাজ করতো যে, অতিরিক্ত পানি বয়লারের ঢুকে ভেতরে চাপ কমে যেতো হঠাৎ। বাইরের ক্রেনও তখন ধর্মঘট করে এক বিচ্ছিরি কান্ড বাঁধিয়ে বসতো। শুরু হতো শ্রমিকদের চিৎকার আর হৈচৈ। যন্ত্রটিকে কেউই সারাতে পারেনি। একবার চীফ ইন্জিনীয়ার এলো সমস্যা সমাধানের জন্যে। চারিদিকে বাষ্পের শোঁশোঁ আওয়াজ, উপর থেকে টপ টপ করে গরম পানি পড়ছে। ইন্জিনীয়ারে টেকো মাথায় একফোটা গরম পানি পড়তেই সে গ্রীক ভাষায় পাম্পটিকে গালাগালি করতে করতে লাফাতে লাফাতে সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।আর এমুখো হলোনা। সুতরাং আমাদের তিন মেশিনম্যনের গালাগালি, হাতুড়ী ও তৈলমর্দণ ছাড়া কোন উপায় রইল না।
কিন্তু সমস্যা যখন আসে, তখন কৈ মাছের মতো ঝাক বেঁধেই আসে। বয়লারে ছিদ্র দেখা গেলো হঠাৎ। তিনদিন কাজ বন্ধ করে সেটাকে ঠান্ডা করে, এর ভেতরে ঢুকে ওয়েল্ডিং করা হলো সারানোর একমাত্র পথ। তিনদিনের একদিন যাবার পর রাতের ডিউটিতে আমি। থপ থপ করে নিচে নেমে এলো থার্ড ইন্জিনীয়ার। আমাকে নির্দেশ দিল বয়লারের একটি ছিদ্র হুইল ঘরিয়ে খুলে দিতে, যাতে জমাট বাষ্প বেরিয়ে যেতে পারে। জানি বিষয়টি বিপদজনক, নিজের জন্যে, এমনকি জাহাজের জন্যেও। সটান নিজের অসম্মতি জানালাম।আবাক হয়ে আমার দিকে বিরক্তমুখে তাকালো থার্ড ইন্জিনীয়ার। তারপর মুখটি গোমরা করে নিজেই সিড়ি বেয়ে বয়লারে দিকে উঠতে শুরু করলো। তার পোষাক ধরে হিড়হিড় করে টেনে থামালাম তাকে। বললাম,
- খোলার আগে সেকেন্ড ইন্জিনীয়ার কিরোকে জিজ্ঞেস করো একবার।
- কেন? জানতে চাইলো সে।
- কারণটি তোমারই জানার কথা। যদি না জানো, তাহলে আমার কাছ থেকে নয়, কিরোর কাছ থেকে জানাই ভাল।আমি তোমাকে বারবারই বাঁধা দেব।
গজগজ করতে করতে নেমে এলো থার্ড ইন্জিনীয়ার। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে ছুটলো কিরোর কেবিনের দিকে।কিরোর সাথে কি কথা হলো, জানিনা। সে রাতে আর এমুখো হয়নি সে। পরদিন বাঁধা দিয়েছি বলে গালাগালি করলো কিরো আমাকে। কিন্তু গালাগালির অর্থ হলো, যে ইন্জিনীয়ার এই বিষয়টুকুও জানেনা, তাকে মৃত্যুমুখ থেকে ফেরানো আমার উচিৎ হয়নি একেবারেই।
তিনদিন পর দুই ইন্জিনীয়ারকে নিয়ে ঢুকলাম বয়লারের ভেতবে। তখনও প্রচন্ড গরম ভেতরে। দু’জন মিলে ওয়েল্ডিং করলো। প্রায় দুই ঘন্টার মতো সময় লাগলো। কাজ শেষ করে কালিতে কালো হয়ে বেরিয়ে এলাম বাইরে। বুক ভরে শ্বাস নিলাম মুক্ত বাতাসে। আমার কালো চেহারা দেখে নাইজেরিয়ান খালাসী জিমি হেসে বললো, 'নাউ ইউ হ্যভ্ দ্যা সেইম কালার লাই মি'। আমি হাসলাম, যদিও সাদা মানুষদের দলে নিজেকে কখনোই ভাবি না আমি।
আমার করুণ হাল দেখে বসম্যান আরো এক বালতি পানির বরাদ্ধ দিল। তার সাথে আরেক বালতিতে সাগরের নোনা পানি নিয়ে কোনক্রমে গোসল শেষ করলাম। পরিস্কার কাপড় পরে এককাপ কফি হাতে নিজের কেবিন থেকে একটি চেয়ার এনে বসলাম সমুদ্রের দিকে মুখ করে। স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে যাব, তখনই খবরএলো আমাদেরকে আবার ঢুকতে হবে বয়লারে। ওয়েল্ডিং এর কাজে নাকি খুঁত রয়ে গেছে তখনও। নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করতে করতে কালিমাখা হাফপ্যান্ট পরে আবার ঢুকলাম বয়লারে।
মালামাল খালাস করার পরদিন গীজান বন্দর ছাড়লো জাহাজ। সুয়েজ খাল বেয়ে আবার ফিরে এলাম পেরিয়াসে। এসে জানলাম, পরবর্তী গন্তব্য আরো দূরে। নাইজেরিয়ার ওয়ারী বন্দরে। ভুমধ্যসাগর পেরিয়ে জিব্রাল্টার প্রণালী হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়ে পশ্চিম আফ্রিকার কুল ঘেষে পড়বো নাইজেরিয়ায়। তারপর একশো কিলোমিটার নদীপথ।
চলবে....
আগের পর্বের লিংক
পর্ব এক
পর্ব দুই
পর্ব তিন
পর্ব চার
পর্ব পাঁচ
মন্তব্য
আপনার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার জন্য অন্যকে বলার গল্প হয়ে থাকবে.....
আপনি এতো সুন্দর করে লেখেন যে, সব কিছু চোখের সামনে চিত্র হয়ে ভাসতে থাকে..
কল্পনা আক্তার
................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কল্পনা আক্তার। জীবনে এই অভিজ্ঞতার কথা ভেবে নিজেও তৃপ্তি পাই খুব।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চলবে মানে? ঝেড়ে দৌড়াবে!!
--
রেটিং দেয়া যাচ্ছে না। তবু (বিপ্লব)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ। অনেক দিন পর আপনাকে দেখে আনন্দ হচ্ছে। ভালো আছেন তো?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কি অসাধারণ! আপনার জীবনটা আসলেই অনেক রোমাঞ্চকর ছিল। আর আপনার বর্ণনাও এত জীবন্ত, পড়লে মনে হয় যেন আমি নিজেই ওই জায়গাগুলোতে ছিলাম!
পরের পর্বের অপেক্ষায়...
_______________
বোকা মানুষ
অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্ব আসছে খুব তাড়াতাড়িই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কোন আনন্দ নয়, মানুষের বুকে মানুষের কষ্টের কথাগুলোই অনুরনন তুলে বলেই এ লেখাটিও অসাধারণ লাগলো।
তাহলে অভিন্ন কষ্টই কি মানুষের সাথে মানুষকে একসাথে বেঁধে নেয়ার দুঃসহ কাজটি করে দেয় ?
২
আমি এখন সচল ডট নেটে লগ ইন আছি। নেট থেকে আপনার পোস্টের ডান দিকে আপনার কোন আর্কাইভ দেখছি না। ওগুলো কি আছে ? নৌকা উল্টে আছে !
দেখুন তো চেক করে। যদিও আমি এখনো আমার ব্লগে ঢুকিনি। দেখবো পরে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমিও কোন আর্কাইভ দেখছি না। হয়তো কোন সমস্যা রয়েছে। আপনার ব্লগেও কি তাই?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বস আপনাদের জাহাজে কখনো ডাকাতি হয়নি? অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে? নাইজেরিয়ার দিকে নাকি ডাকাতি টাকাতি হয়। সেরকম ঘটনা আছে নাকি সামনে?
না, ডাকাতি কখনও হয়নি। হয়তো নাইজেরিয়ার লাওসে গেলে হতো। ওখানে নাকি প্রায়ই হয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুর্দান্ত ! দুর্দান্ত এবং শ্বাসরুদ্ধকর !!
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম ছয়টা পর্বই।
কিভাবে লিখেন তীরুদা?
চোখের সামনে এতো পরিষ্কার সবকিছু...
যেন আমিও সাথে ছিলাম। চার নম্বরটা সবচেয়ে বেশি মারাত্মক লেগেছে।
হ্যাটস অফ টু ইউ, স্যার।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ঘটনাগুলো অনেকবার বলার কারণেই চোখের সামনে এখনও সে সময়ের মতোই পরিস্কার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ !! এমন লেখা বহু বহু দিন পরে পড়লাম, সত্যিকারের ভালো লেখা কনটেন্টের হিসেবে। একজন পাঠক হিসেবে বলি, এই জাতীয় ঘটনার বর্ণনা আরো বেশি থাকলে এটি আরো সমৃদ্ধ লেখা হয়ে উঠবে।
দেশ থেকে দূরে থাকার জন্য হা-হুতাশ নিয়ে অনেক লেখা বেরোয়। কিন্তু এমন জীবন ও অভিজ্ঞতা যেহেতু খুব কম বাংলা সাহিত্যিকের হয়েছে, এই জীবন নিয়ে রচনাও তাই দুর্লভ। বড়ো মাপের পরিকল্পনা নিয়ে লিখতে থাকুন, কে জানে আমরা হয়তো পেয়ে যাবো আরেক অতীন বন্দ্যো।
আমার লেখায় "য়" বা "ড়" থাকলে তাতে "ে" বা "ি" লাগালেই এই যে ঘঁেটে যাচ্ছে, কোনো বিশেষজ্ঞ দয়া করে এর সমাধান দিতে পারেন কি? লেখার সময় কিন্তু সব ঠিকঠাক আসছে।
এ সমস্যা আমার আগে কখনো চোখে পড়ে নি।
আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
Excellent
Excellent
-razonsun
খুব ভালো লাগলো। রোমাঞ্চকর একটা উপন্যাসের মাঝখানে পড়ে গেছিলাম মনে হলো। চলতে থাকুক।
চলবে! আরো দু'টো পর্ব রয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হুম .......... সত্যি আপনার লেখা অলৌ্কিক জলযান এর কথা মনে করে দিচ্ছে আর এই ব্যাপারে মূলত পাঠক এর সাথে একমত ।
নিবিড়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
মুগ্ধতার কোথাও কোনো কমতি নেই। আপনার এই সিরিজ সচলায়তনের ভাণ্ডারকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছে। সাধু।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আপনার মতো সুধীজনের মন্তব্য আপ্লুত করে আমাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নদীর দেশের মানুষের জন্য দৈনি আধা বালতি পানি...
জাহাজে তো ক্রেন ছিলই
দেশ থেকে দুয়েকটা নদী টেনে নিয়ে গেলেই পারতেন
একবার মেঘ নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। নদীর কথা তো ভাবিনি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু দা,
একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে এই পর্বটি পড়লাম। অসাধারণ বললে কম বলা হবে।
খুব খুশী হলাম আপনার ভালো লাগছে জেনে। অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কষ্ট আর ভয় থাকলেও কেন জানি আমার মনে হয় জাহাজের জীবনটা আসলেই মজার।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
মজার তো বটেই। এখন তো কষ্ট এই ভেবে যে, আরো কয়েক বছর কেন খালাসী হয়েই থাকলাম না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পড়েই চলেছি আর অপেক্ষায় থাকছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ভালো থাকবেন সন্ন্যাসী ভাই। আপনার অনুবাদের অপেক্ষাতেও থাকি সবসময়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
"নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করতে করতে কালিমাখা হাফপ্যান্ট পরে আবার ঢুকলাম বয়লারে।"
যেন আপনাকে চোখের সামনেই গজ গজ করতে দেখছি।
খুব ভাল লাগছে। ওয়ারির অভিজ্ঞতা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
কঠিন অবস্থা দেখি !
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কী যে একখান লেখা লিখে ফেলেছেন, আপনি নিজেও মনে হয় জানেন না!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন