নদীপথ পেরিয়ে ধীরে ধীরে নাইজরিয়ার ওয়ারী বন্দরের জেটিতে ভিড়লো আমাদের জাহাজ। বন্দরের ব্যস্ততা দূর থেকেই টের পাওয়া গেলো। আমরা যেখানে জাহাজ ভিড়ালাম, তার কাছাকাছিই ঠিক একই মুহুর্তে ছেড়ে যাচ্ছে আরেকটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে। জাহাজটির নাম দেখে কেঁপে উঠলো বুকের ভেতরটি। 'এলপিদা' ! আমাদের পথসঙ্গী, চার বন্ধুর একজন, স্কুলজীবনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট শাজাহান তো কাজ নিয়েছে এই জাহাজেই। ইস্তাম্বুলে এসে পথচলার বাস্তবতায় আলাদা হয়েছিলাম আমরা। তারপর অনেক দিন পরপর চিঠি ছাড়া আর কোন যোগাযোগ ছিল না। চার বন্ধু আবার একসাথে হবো, সে সপ্ন আর শপথই প্রতিদিনের পাথেয়। হাতের কাজ ফেলে দ্রুত এসে ডেকের বাইরে দাঁড়ালাম। শাজাহানও দুর থেকে দেখলো আমাদের। আমাদের জাহাজের নাম তার চোখেও পড়েছিল নিশ্চয়ই। এতোটা হতবাক হলাম যে হাত নাড়তেও ভুলে গেলাম প্রায়। চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এলো।বুকের ভেতরের অকস্মাত শুন্যতা অসহনীয় এক ব্যথা হয়ে কামড়ে ধরলো হৃদপিন্ড। আমার বন্ধুর চেহারাতেও একই কষ্টের কালিমা। এলপিদা দূরে অদৃশ্য হবার পরপরই নিজের কেবিনে গিয়ে অন্ধকারে ডুব দিলাম। এতেদিন লম্বা ভ্রমণের পর পায়ের নীচে শক্ত মাটির আহব্বান, আবার মানুষের জগতে পদার্পণ, কিছুই আমাকে অন্ধকার থেকে আলোয় ডেকে আনতে পারলো না।
রাত এগারোটায় বেরিয়ে এলাম বাইরে। এক ঘন্টা পরই নামতে হবে মেশিনরুমে। এসেই দেখি জাহাজের চেহারা অন্যরকম। কৃষ্ণসুন্দরীদের ভীড়ে উপচে পড়ছে জাহাজ। নাবিকবন্ধুদের চোখে মুখে আনন্দের ফোয়ারা। চারদিকে কেমন এক উৎসব উৎসব ভাব। ক্যপ্টেন অফিসারদের মুখে আনন্দ ও প্রশ্রয়ের হাসি। ডেকের উপরে যে যার সঙ্গীনি খুঁজে আলাপে মশগুল। এমন দৃশ্য দেখিনি আগে, তাই অবাক হয়ে গেলাম। এসবের মাঝেও সারা জীবনের সামাজিক যে শিক্ষা নিজের ভেতরে, সেটাই বড় হয়ে উঠলো। সবাইকে পাশ কাটিয়ে তাই কিচেনে ঢুকলাম এক কাপ কফি হাতে মেশিনরুমে ঢোকার জন্যে। তক্ষুনি একটি মেয়ে এসে ঢুকলো কিচেনে। কোমর জড়িয়ে ধরে বললো,
- আমি তোমার সাথে যাব।
নিজেকে ছাড়নোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু মেয়েটি সহজ পাত্র না। ছাড়লোনা কিছুতেই। জাহজের মেসবয় সোমালিয়ান আলী কে পেছনে খিকখিক করে হাসতে দেখে পিত্তি জ্বলে উঠলো। কিন্তু তাতে কি লাভ! মেয়ের বজ্রআটুনী তো তাতে সামান্যও নরম হলো না। বললাম,
- ডিউটি আছে এখন আমার।
- কতোক্ষন ডিউটি ?
- ভোর চারটা অবধি।
- তাহলে তখনই তোমার কেবিনে আসব।
আমি কোন উত্তর দেয়ার আগেই কথা বলে উঠলো আলী।
- আমি তোমাকে তার কেবিনে পোঁছে দেব।
আলীর আশ্বাসে বিশ্বাস করেই হয়তো ছেড়ে দিল মেয়েটি আমাকে। ছাড়া পেয়েই কথা বাড়াতে চাইলাম না আর। কফির কাপ হাতে দ্রুত পালালাম জাহাজের খোলে।
নীচে গিয়ে কয়েকটা মেশিন চেক করে আবার ডুবে গেলাম এলপিদা ও আমার বন্ধুর ভাবনায়। বাইরে সবার আনন্দ আমার বিষন্নতা না কমিয়ে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি দিন বা একটি ঘন্টা যদি বন্ধুর সাথে কাটাতে পারতাম!
শব্দ শুনে উপরে সিঁড়ির দিকে তাকিয়েই বিস্ময়ে হা হয়ে গেলাম। জাহাজের থার্ড ইন্জিনীয়ার সে মেয়েটিকেই কোলে করে ধীরে ধীরে নামছে। নেমেই খুব যত্নে একটি কাপড় বিছালো কালিমাখা মেঝের উপর। সাবধানে মেয়েটিকে দাঁড় করালো সে কাপড়টির উপর। আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম।
- আনন্দ করো। মজা করো!
পরিস্কার কথা থার্ড ইন্জিনীয়ারের। তার মুখে মৃদু হাসি। মনে হলো আমাকে জব্দ করতে পেরে মহানন্দে আছে। সামান্য আগেই যে কিছু কাজ চাপিয়েছিল ঘাড়ে, সেটিও বেমালুম ভুলে গিয়েছে। কিন্তু আমি রেগে গেলাম খুব। মেজাজতো চড়ে আছে আগে থেকেই।
- একটু আগে একগাদা কাজ দিয়েছ! এখন আবার নিয়ে এসেছ একে ! ভাগো জলদী। একেও সাথে নিয়ে যাও।
আমার বিরক্তি টের পেয়ে আর কথা না বাড়ালেও বাঁকা হাসলো ইন্জিনীয়ার। মেয়েটিকে সাথে করে আবার সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। আমি হাঁফ ছেড়ে আবার ডুবলাম নিজের ভাবনায়।
ভোর চারটায় ডিউটি শেষ হবার পর উপরেই গেলাম না আর। ইন্জিনরুম থেকে জাহাজের পেছনে প্রপেলার পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। সুড়ঙ্গের শেষে একটি সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছানো যায় কেবিনে। এই সুড়ঙ্গপথেই হামাগুড়ি দিয়ে কোনক্রমে পৌঁছলাম কেবিনে। কেবিনে ঢুকে বাতি না জালিয়েই শুয়ে পড়লাম বিছানায়। ঘুমিয়েই পড়েছিলাম হয়তো। এরই মাঝে আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে আলীর সাথে মেয়েটি ঢুকলো ঘরে। বাতি জ্বাললো আলী। তার মুখে শয়তানী হাসি। মাথায় রক্ত চড়ে উঠলো। দরজার দিকে আঙ্গুল তুলে গেট আউট, গেট আউট বলে চেঁচিয়ে উঠলাম। মেয়েটি থতোমতো চোখে তাকালো একবার, কোন কথা না বলে বেরিয়ে গেল কেবিন ছেড়ে। কিন্তু এরই মাঝে ওর চোখের দৃষ্টিতে চোখ পড়লো। আমার বিষন্ন মন আরো বেশী বিষন্ন হলো তাতে।
ওয়ারীতে এক সপ্তাহ রইলাম আমরা। এখানকার বন্দরে থেকে মনে হলো, নাইজেরিয়ায় মেয়েদের মাঝে বয়প্রাপ্তির পর দুটো ভাগ হয়। এক ভাগ গৃহবধু ও আরেক ভাগ দেহপশারিনী। কথাটা এক নাবিককে বলার পর সে ভুল শুধরে বলল, এটা শুধুমাত্র বন্দরেরই চেহারা। বাংলাদেশের খুলনা বন্দরেও নাকি একই অবস্থা আরো কয়েকজন নাবিকও খুলনার কথা বললো। তাদের চোখ চকচক করে উঠলো যে, তাও দৃষ্টি এড়ালো না আমার।
জাহাজে এই একটি সপ্তাহ মেয়েদের নিয়ে তুলকালাম কান্ড চললো। এত সস্তায় এতো ভালো সেবা পাওয়া তো সহজ কথা নয়! আশি বছরের ইজিপশিয়ান মুসলিম বারবাও তাই পিছিয়ে থাকলো না। তার কেবিনে কোন মেয়ের অন্তর্বাস খুঁজে পাওয়া গেলো। লজ্জায় লুকোলো বারবা। এতে খুব মজা পেলো সবাই। কয়েকজন সেই অন্তর্বাসকে পতাকা বানিয়ে পুরো জাহাজ বারবাকে খুঁজে বেড়ালো। জাহাজে এক কার্টুন সিগারেট পেতাম দুই ডলারের বিনিময়ে। এই এক কার্টুনে সারারাতের সার্ভিস আমাদের দুজন বাদে সবাই নিয়েছে। দুদিন পরপরই সিফিলিসের প্রতিশেধক ঔষধ বিলি করা হতো। বলা বাহুল্য, আমাদের তার দরকার পড়ে নি। দরকার না পড়াতেও নিজেরাই হাসির পাত্র হয়েছি নিজেরা। অনেকে নানা সন্দেহে বাঁকা কথার বান ছুড়েছে।
আমাদের যথেষ্ট সহানুভুতি ছিল এই মেয়েদের প্রতি। যে মেয়েটিকে কঠিন ধমক দিতে বাধ্য হয়েছিলাম , তাকে এক কার্টূন সিগারেট দিলাম এমনিতেই। অন্যদের মাঝেও বিলিয়ে দিলাম কিছু। এদের প্রায় সবাই আশেপাশের গ্রামের মেয়ে। কেউ কেউ তাদের দু:সহ জীবনের বর্ণনা দিল। তাদেরই দু:খে ব্যাথিত হতে হলো নিজেকেও। দুটো গরীব দেশের মানুষ হিসেবে যতোটা একাত্মতা থাকা দরকার, তার কোন কমতি ছিল না। মেয়েগুলোও আমাদের সহানুভুতি অনুভব করেছে, আমাদের কাছ থেকে পাওয়া সন্মানে আপ্লুত হয়েছে। তাই ওয়ারী থেকে যখন বিদায় নিল আমাদের জাহাজ, নৌকো বেয়ে যতদুর সম্ভব, ততদুর এলো ওরা আমাদের সাথে। শেষ অবধি হাত নেড়ে নেড়ে আমাদের নাম ধরে ডেকে বিদায় নিল।
নাইজেরিয়া থেকে ফেরা পথটি কেমন যেন পেরিয়ে গেল সহজেই। আমি এই ভাঙ্গা জাহাজ ছেড়ে অন্য জাহাজে যোগ দিতে চাইলাম। এজেন্টকে দেবার মতো পয়সাকড়িও ততদিনে জমেছে হাতে। কিন্তু আমার অতি সাবধানী বন্ধু রাজী হলেন না তাতে। তাই জাহাজী জীবন ছেড়ে একাই কোথাও পড়াশোনার জন্যে আস্তানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পেরিয়াস পৌঁছেই কাজে ইস্তাফা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আবার একা পথে। সামনে অজানা পথ, অজানা গন্তব্য, কিন্তু তারপরও আগের চেয়ে অনেকটা আলাদা। কারণ এবার পকেটে রয়েছে দশমাসের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীতে অর্জিত বারোশ পাউন্ড।
শেষ
মন্তব্য
তীরুভাই, প্রত্যেকটা পর্ব আবার ভালো করে চেক করে এবার পুস্তকারে বের করার সময় হয়েছে। মন্তব্য করার সাহস আমার নেই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
অনেক ধন্যবাদ দেবোত্তম ভাই। ইচ্ছে আছে কোন সময় বের করার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ,
খুব ভালো লাগলো শুরু থেকে শেষ অবধি সমৃদ্ধ জলজীবনের কথা।
বই হয়ে প্রকাশিত হলে ভালো লাগবে, সুযোগ পেলে কিনবো, সাগ্রহে সংগ্রহে রাখার মতন এই মণিময় স্মৃতিকথা।
----------------------------------------------
পৃথিবী চায় নি যারে, মানুষ করেছে যারে ভয়
অনেক গভীর রাতে তারায় তারায়
মুখ ঢাকে তবুও সে-
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জীবন কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। জাহাজী জীবনের কাহিনী শেষ বটে। তবে এর আগে পরে আরো অনেক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সব মিলিয়ে আরেকটু এগুনোর ইচ্ছে আছে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- হুমম। এই সেই জাহাজী জীবন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর এখন নির্বাসিত জীবন জার্মানীর ছোট্ট এক শহরে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শেষ হয়ে গেল?
যথারীতি মনোহর বর্ণনা। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমিও বলি, বই বের করে ফেলুন।
করবো। আরো কিছু যোগ করে। আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, কেমন আছেন?
পুরা সিরিজটাই মিস করেছি আমি। এতই অভাগা! পুরোটা পড়ে ফেলতে হবে শিগ্গির।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ভালো আছি ভাই! তবে আপাতত: অফিসের কাজে দুই মাসের জন্যে নির্বাসনে। এ নিয়েও লিখবো। সময় পেলে পড়লে খুশী হবো খুব।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পড়লাম পুরোটা। আপনার লেখার ভক্ত তো আগে থেকেই... তবু এই সিরিজটা অনেকই আলাদা। অসাধারণ!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শেষ!!
আগের সব গুলো পর্ব আমি আমার ছোট ভাই/বোনদের পড়তে দিয়েছিলাম এবং তারা অনেক উপভোগও করেছে লেখা গুলো। আজ যখন শেষ পর্ব পড়লো তখন আবার নতুন আব্দার "আপু, ভাইয়াটকে বলনা সবগুলো পর্বকে একটি বই হিসাবে বের করতে"!...আমিও বলি তীরুদা এবার বই বের করে ফেলেন।
আচ্ছা, নাইজেরিয়ার (বন্দরের) বর্তমান অবস্থা কি একইরকম নাকি কিছুটা হলেও পরিবর্ত হয়েছে?
.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমি তো এখন আর জাহাজী নই। তাই তেমন কোন খোজখবর জানি না।
আপনার ভাইবোনদের আমার ভালোবাসা দেবেন। বই বের করবো। আপনাকে ধন্যবাদ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শেষ!!
আগের সব গুলো পর্ব আমি আমার ছোট ভাই/বোনদের পড়তে দিয়েছিলাম এবং তারা অনেক উপভোগও করেছে লেখা গুলো। আজ যখন শেষ পর্ব পড়লো তখন আবার নতুন আব্দার "আপু, ভাইয়াটকে বলনা সবগুলো পর্বকে একটি বই হিসাবে বের করতে"!...আমিও বলি তীরুদা এবার বই বের করে ফেলেন।
আচ্ছা, নাইজেরিয়ার (বন্দরের) বর্তমান অবস্থা কি একইরকম নাকি কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে?
.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
তীরুদা,
বই চাই, বই চাই
এমন লেখা বই আকারে না ছাপালে আমাদেরই ঠকাবেন আপনি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অবশ্যই ঠকাবো না। আমি সে তীরুদাই নই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
গোল্ডলীফ খাই কেন জানেন ..
গোল মার্কার ভেতরে ঐ জাহাজীর জন্য। আমার দুটো স্বপ্নের একটা জাহাজী জীবন। যা কখনও পুরন হবে না বোধ হয়।
আপনার জন্য ঈর্ষা ছাড়া আমার বন্দরে কিছু নেই। আর লেখাটার ব্যাপারে ..
শেষটা মানা যাচ্ছে না .. ঐ জীবনের মধ্যে আমার ধারনা, নিশ্চিত আরো মাণিক্য লুকিয়ে আছে।
গোল্ডলীফ খাই কেন জানেন ..
গোল মার্কার ভেতরে ঐ জাহাজীর জন্য। আমার দুটো স্বপ্নের একটা জাহাজী জীবন। যা কখনও পুরন হবে না বোধ হয়।
আপনার জন্য ঈর্ষা ছাড়া আমার বন্দরে কিছু নেই। আর লেখাটার ব্যাপারে ..
শেষটা মানা যাচ্ছে না .. ঐ জীবনের মধ্যে আমার ধারনা, নিশ্চিত আরো মাণিক্য লুকিয়ে আছে।
ঐ জীবনের মধ্যে আমার ধারনা, নিশ্চিত আরো মাণিক্য লুকিয়ে আছে।
নিজেও ভাবি। আরো কয়েকটা বছর কাটালে ভালোই হতো। আরো কিছু লিখতে পারতাম, সমৃদ্ধ হতো জীবন আরো বেশী। কিন্তু এখন পেরিয়ে গেছে সে সময়। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসম্ভব চমৎকার এই সিরিজটা শেষ হয়ে গেলো! দুর্দান্ত লেগেছে এই সিরিজের প্রতিটা পর্ব। তীরুদা, এক মলাটে পেলে আসলেই অনেক দারুন ব্যাপার হবে। ভেবে দেখুন, অথবা- না ভেবে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিন
বই বের করবো। দু এক বছরের মাঝেই। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসম্ভব প্রাণবন্ত একটা সিরিজ। জাহাজী জীবনের রোমান্টিকতা, নিসংগতা আর কঠিন জীবন সব একসাথে মিলেমিশে গেছে এই কাহিনীতে।
প্রিয় পোষ্টে যোগ করে রাখলাম।
----------------------------------------------------------------
এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
নিজের জীবনের কাহিনী... এত্তো বছর আগে, তবু এখনো চোখের সামনে জীবন্ত! সেকারণেই হয়তো....!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো পড়ে, আগের গুলো এখন পড়বো
...........................
Every Picture Tells a Story
পড়লে খুশী হবো খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শেষ হয়ে গেল!
আহারে কত অভিযাত্রায় পূর্ণ আপনার জীবন!
সিরিজটা ছাপার আকারে প্রকাশ করার অনুরোধ রইল।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আরো কি্ছু যোগ করে অবশ্যই বই বের করবো পুতুল! অনেক ধনছবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ...
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনার ফেলে আসা জীবনটাকে অভিবাদন আর পরবর্তী জীবনে শুভ কামনা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপাতত: নির্বাসিত জীবন জীবিকার কারণে। তাই নিয়মিত লেখা ও মন্তব্যের সময় পাচ্ছি না। কোনক্রমে এই সিরিজটা শেষ করতে পেরে আনন্দিত খু্ব। তবে এই নির্বাসন নিয়েও লিখবো। আপনার জন্যেও শুভকামনা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ একটা সিরিজ শেষ করার জন্য অভিনন্দন
শেষ ? তীরুদা আগেও বলেছি এখনো বলছি -দারুন । অনেক দিন পর লিখলেন । আবার দেখা হবে আপনার নতুন কোন লেখায় ।
নিবিড়
এতো কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছে, অথচ বন্ধুটি ধরাছোঁয়ার বাইরে দিয়েই চলে গেলো। জাহাজী জীবনে এরচেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?
শেষ হয়ে গেলো, তীরুদা। মনে হচ্ছে, আরো কিছুদিন যদি জাহাজেই থাকতেন, আমরা আরো কিছু চমতকার লেখা পেতাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমারও এখনও তাই মনে হয়। আরো কিছুদিন জাহাজে থাকলে আরো অনেক কিছু দেখতে পেতাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শ্রদ্ধেয় তীরন্দাজ
অনেক অনেক অনেক অভিনন্দন এই দুরূহ কাজটি সম্পাদনের জন্য। লেখা খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
কিন্তু শেষটা, আমার মনে হলো তাড়াহুড়ো করে শেষ করলেন, তাই কি?
আমারও তাই মনে হলো। আসলে অনেকদিন ধরে ব্যাস্ত খুব। এর মাঝেও লেখাটি শেষ করার ইচ্ছেও প্রবল। তাই .... । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পুরা সিরিজটাই ভালো লেগেছে যেটা বিভিন্ন সময় মন্তব্যে জানিয়েছি। এই পর্বটা পড়া ছিলনা সেটাও পড়া হলো। সবাই বই করার দাবি করছে, তার সাথে আমিও করছি। বই বের করলে কিন্তু লেখাটাকে আরো বাড়াতে হবে। ব্লগের মত টুক করে শেষ হয়ে গেলে হবেনা। হে হে হে ...
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক! বই বের করবো ও আরো বিস্তারিত করবো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুর্দান্ত একটা সিরিজ পড়লাম... অসাধারণ আপনার জীবনের গল্প বা অভিজ্ঞতা। আর সব থেকে পাওয়ার বিষয় অসাধারণ বর্ণনা। অসাধারণ...
নতুন মন্তব্য করুন