লোকটির পরণে খাটো আলখাল্লা, মাথায় চোঙ্গার মতো উপরে উঠে ঝুলে পড়া টুপি। হাতে লম্বা এক বাঁশী। সে বাঁশী বাজিয়ে চলেছে হ্যামিলনের পথে। সে বাঁশীর এক অচেনা সুরের আকর্ষণে শহরের হাজার হাজার ইঁদুর দলবেঁধে ছুটছে লোকটির পেছনে পেছনে। নর্দমার গর্ত থেকে, অন্ধকার গলি থেকে, রান্নাঘরের পেছন থেকে দলে দলে বেরিয়ে আসছে ইঁদুর। সুরের সন্মোহনে পাগল যেনো ইঁদুরের দল। ওয়েজার নদীর তীরে এসে বাঁশী থেমে গেলো সহসা। কি এক চক্রবাঁকে যেন এক উন্মাদনা এসে ভর করলো ইঁদুরের দলে। আর সে যেনো উন্মাদনাতেই দল বেঁধে ঝাপিয়ে নদীর জলে। ১২৮৪ সালের এক উপাখ্যানে হ্যামিলনের বংশীবাদক এভাবেই ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা করলো শহরবাসীদের।
এই হ্যামিলন শহরেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বাসনে আমি। অনেক আগে একবার বেড়াতে এসেছিলাম এখানে, আর এখন উপরওয়ালার ইচ্ছায় মিউনিখে নিজের আস্তানা ছেড়ে এই ইঁদুরের শহরে। প্রতি সোমবার দক্ষিন থেকে উত্তরে সুমন চৌধুরী আর হিমুর মাথার উপর দিয়ে মিউনিখ থেকে হ্যনোভার উড়ে আসি। হ্যনোভার থেকে এখানকার লক্কর ঝক্কর ট্রেণে এক ঘন্টার পথ পেরিয়ে হ্যামিলন। সপ্তাহের দিনগুলোতে কাজের বাইরে বাকী সময়টা হোটেলেই কাটে। ক্লান্তিতে কোথাও বেরুনোর আর সখ থাকে না। বিস্যুদবার বিকেলে কাজ শেষে আবার একই পথে বাড়ী ফেরা।গত একমাস ধরে চলছে প্রজেক্ট, সামনে আরো কয়েক মাস চলবে বলে কথা শোনা যাচ্ছে।
আসলেই ইঁদুরের শহর হ্যামিলন। রেষ্টুরেন্ট ইঁদুর আর বাঁশীওয়ালার নামে, বেশ কয়েকটা মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশিল্প, দালান কোঠা ইঁদুরের নামে, রাস্তাঘাটের নামেও ইঁদুরেরই ছড়াছড়ি। রেষ্টুরেন্টে কিছু খাবারদাবারও ইদুরের ল্যাজের মেনুতে তৈরী। রেষ্টুরেন্টওয়ালারা চাইলে চোখের সামনে ভেজে দেবে কৃত্রিম ইঁদুরের ল্যাজ। রাস্তায় চলার সময় সে ইঁদুরের দেখা তেমন না মিললেও ছবি আঁকা রয়েছে। সে ছবি ধরে ধরে এগিয়ে গেলেই ইঁদুরভিত্তিক স্মরনীয় স্থানগুলোতো পৌঁছে যাওয়া যায় সহজেই। বছর বছর ইঁদুরের স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোক জমে শহরে। বাশীওয়ালাকে ঘিরে খোলা আকাশের নীচে ও নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হয় নাটক। বিভিন্ন লোক বাঁশীওয়ালা সেজে দাড়িয়ে থাকে শহরকেন্দ্রে। ট্যুরিষ্টরা তাদের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে সন্মানীর বিনিময়ে। শহরের প্রতিবছরের আয়ের বড় একটি অংশ এই ইঁদুরের কাহিনী ঘিরেই জমা হয় কোষাগারে।
গ্রীমের রূপকথার শেষাংশের করুন পরিণতির কথা ইঁদুরের হুজুগে কারোরই মনে পড়েনা আর। কাহিনী বলে, ইঁদুর বিদেয় হবার পর শহরের রাজা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখলো না। প্রাপ্য সোনাদানা তো দিলই না, আরো বরং ধমকে তাড়িয়ে দিল বাঁশীওয়ালাকে। কিন্তু বাঁশীওয়ালা তার প্রতিশোধ ঠিকই নিল। কিছুদিন পর যখন শহরের লোকজন তাদের গীর্জায় প্রার্থনারত, সেই ক্ষুব্ধ, প্রতারিত বাঁশীওয়ালা ফিরে এলো আবার। তার বাঁশীও বেজে উঠলো। কিন্তু এবার বাঁশীর একেবারেই অন্য সুর। সে বাঁশীর সুরে এবার আর ইঁদুর বেরিয়ে এলো না। বেরিয়ে এলো শহরের সমস্ত শিশুর দল। সুরের মূর্চ্ছনায় বাঁশীওয়ালার পেছনে পেছনে কোথায় যে হারিয়ে গেলো শিশুরা, সে খবর কেউ জানতে পারলো না। পিছিয়ে পড়েছিল বলে মাত্র দুটি শিশু ফিরে আসতে পারলো। তাদের একজন অন্ধ বলে জানতে পারলো না, কোথায় গেল সবাই। আরেকজন বোবা বলে জেনেও কিছ বলতে পারলো না।
গত সপ্তাহের শেষে মিউনিখে না ফিরে রয়ে গেলাম হ্যামিলনে। বউ উড়ে এলো আমার কাছে। বিমান ভাড়ার বদলে হোটেলের খরচ অনেকটাই কম। তাই উপরওয়ালাও দুদিনের হোটেল ভাড়ার দ্বায়িত্ব আনন্দের সাখেই নিল। শনি আর রোববার ঘুরে ঘুরে দেখলাম শহরটি। নভেম্বরের আবহাওয়া শীত আর বাতাসের চাবুক বসায় গায়ে। এরই মাঝে একজন গাইড নিয়ে দেখে নিলাম শহরের বিশেষ স্থানগুলো। যদিও বংশীবাদকের কাহিনী এক উপাখ্যান, তারপরও গাইডের কথা ও বিভিন্ন বর্ণনানুযায়ী একেবারে ভিত্তিহীন কোন গুজবকে ঘিরে এই কাহিনীর সৃষ্টি হয়নি। সত্যিই সেসময় ইঁদুরের আর প্লেগের উপদ্রব ছিল ভয়াবহ। সে সাথে আরো কিছু লোকও ছিল, যাদের ইদুর তাড়ানোয় খুব পারদর্শীতা উপাখ্যানের মতোই প্রচলিত। সে সময় পাশাপাশি শাউমবুর্গ নামে এক জমিদার তার প্রজাদের দিয়ে ওয়োজার নদীর তীরে হ্যামিলন ও পাশাপাশি এলাকায় বসতি স্থাপন শুরু করেন। শহরের অধিবাসীদেরকে সেসময় “শহরের শিশু” বলার প্রচলন ছিল। কোন না কোন ভাবে এক ইঁদুর মারার বিশারদ শহরের লোকদেরকে শাস্তি দিয়েছিল। সেটাই লোকের মুখে মুখে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়ে এই উপাখ্যানে পরিনত হয়েছে। গ্রীম-ভাইয়েরা সে কাহিনীকে রূপকথায় প্রকাশ করে সারা বিশ্বে পরিচিত করিয়েছেন।
ছোট্ট, সাজানো, সুন্দর শহর হ্যমিলন। জার্মানীর উত্তরাংশে অনেক বাড়ীঘরই স্থাপত্যকর্মের দিক থেকে এক বিশেষ ঐতিহ্য অনুসরণ করে। প্রথমে মোটা কাঠের স্তম্ভে খাড়া ও আড়াআড়িভাবে বাড়ীর কাঠামোটি সাজানো হয়। পরে জানালা-দরজার অংশ বাদ রেখে বাকী অংশগুলো সিমেন্টের আস্তরে বন্ধ করা হয়। কাঠের কাঠামোতে কোন আস্তর পড়ে না, মাঝে মাঝে রং করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক ছবিতে সাজানো থাকে কথনো কখনো বাইরের দেয়াল। অন্ততপক্ষে হ্যমিলনের কেন্দ্রের পুরোনো এলাকার বাড়ীগুলো সে ঐতিহ্য অনুসরণ করে চলেছে আজও। এ ক্ষেত্রে জার্মান সরকারের কঠিন নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি শহরের সরকারী ও ব্যক্তিমালিকানার অনেক বাড়ীকেই ঐতিহ্যবাহী বলে ঘোষনা করা হয়। তার অর্থ হচ্ছে, বাড়ীর মালিক তার বাড়ীর বাইরের অংশের মেরামতের কাজ কেবলমাত্র সে বাড়ীর ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রেখেই করাতে পারবেন। প্রয়োজনে সরকারী অনুদানও দেয়া হয়।
আমার হোটেলটি শহরের পুরোনো ঐতিহাসিক এলাকার ভেতরে। একশো মিটার হাঁটলেই বিশাল এক গীর্জা। তার আশেপাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরো কিছু দর্শনীয় দালানকোঠা। ছোট শহর, একদিনের মাঝেই যা দেখার, দেখে নেয়া যায়। দেখা শেষ হবার পরও একটা উত্তেজনা রয়ে যায ভেতরে। সে উত্তেজনা বুকে করে রাস্তার দুদিকের বাড়ীঘরগুলো চলতে চলতে রোমাঞ্চিত হই প্রতি সন্ধ্যায়। রাতে কোন রেষ্টুরেন্টে খেতে যাবার পথ সেদিকেই। ওয়েজার নদীর তীরে বেড়াতে গেলাম একবার। কিন্তু শীত আর হালকা বৃষ্টির চাবুকে কিছুক্ষণের মাঝেই একটি কফিশপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।
কিন্তু প্রতিদিন জার্মান খাবার খেয়ে খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বাংলাদেশী বা ভারতীয় কোন রেষ্টুরেন্ট এই শহরে আজ অবধি চোখে পড়ে নি। এই খাবার নিয়ে হা-পিত্যেস করতে করতেই হয়তো “জিলিপি’ গল্পের জন্ম। কোন দেশীও চোখে পড়লো না একটিবারও। হলে নির্ঘাত পেয়িং গেষ্টের আবেদনপত্র পাঠাতাম। আছেন নাকি কেউ? নাকি আমাকেই বাঁশী নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে! ইঁদুর না বেরুলে দেশী ভাই যদি বেরিয়ে আসেন, খারাপ হতো না। তবে নদীর দিকে যাবো না, সে কথা দিলাম।
তবে একটি কথা না বলে পারছি না। এই শহরে রোদের দেখা পেয়েছি গত এক মাসে দুদিন মাত্র। আর সে দেখার সময় সর্ব সাকুল্যে তিন ঘন্টার বেশী হবে না। বৃষ্টি তেমন না পড়লেও সারাক্ষনই এক চাপা অন্ধকার জেকে আছে শহরের শরীরে। তাতে যে বিমর্ষতার জন্ম নেয় মানুষের ভেতরে, তা চোখে পড়েছে চলাফেরার সময়। আমার নিজের ভেতরেও সে ছাপ পড়েছে অবশ্যই। সপ্তাহান্তে তাই মিউনিখে ফিরে তা কাটিয়ে নেবার চেষ্টা করি। এভাবেই তো জীবন বহমান, ভালো আর মন্দে মিশিয়ে। আমরা এর মাঝে প্রতিদিনের চলাফেরায় এদিক ওদিক চোখ মেলে নিজেদের সময়কে সহনীয় করে নিই। তবে আজ মিউনিখে বরফ আর বরফ, আর হাড় কাঁপানো শীত। তবে অন্ধকার এতো হ্যামিলনের মতো বেশী ঘন নয়। কিন্তু তাতে কি? হ্যমিলনেও বসন্ত আসবে একসময়।
মন্তব্য
রূপকথার শহরে আপনার লেখনীতে ঘুরে এসে দারুণ লাগল!
আপনাকে ভ্রমন করাতে পরে খুশী হলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
মনে আছে, ছোটবেলায় এই রূপকথা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে ছিলো কয়েকটা দিন। আপনার সুবাদে রূপকথার সেই শহরে চমত্কার ভার্চুয়াল ভ্রমণ সেরে আসা হলো। ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
খুশী হলাম! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নাহ, একবার ঢুঁ মারতে হয় তাহলে আপনি হামেল্নে থাকতে থাকতে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আইসা পড়েন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নাকি আমাকেই বাঁশী নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে! ......... দেশী ভাই যদি বেরিয়ে আসেন, খারাপ হতো না। তবে নদীর দিকে যাবো না, সে কথা দিলাম।
নতুন জায়াগায় দেশী খোঁজার এই আইডিয়াটা দারুণ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
সামনের সপ্তাতেই ট্রাই দেবো। তবে হ্যমিলবাসীরা যেনো আবার ছেলেধরা না মনে করে! তাইলে বিপদ আছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- তীরুদা, এইটা একটা কাজ করলেন?
আমি গত চার বছর ধরে আশায় আছি হামেল্ন তথা হ্যামিলন নিয়ে লিখবো! এমনকি ব্লগ লিখতে শুরু করার আগে থেকেই।
প্রতিবারই গ্রীষ্ম এলেই বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে তোড়জোর শুরু করি, "এবার যাবোই হ্যামিলন!" কিন্তু কেমন করে যেনো সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগের রবিবারটাও চলে যায়, আর ঐ বছরের জন্য "ওপেন এয়ার মিউজিক্যাল র্যাট" অনুষ্ঠানটাও শেষ হয়ে যায়। শুরু হয় পরবর্তী গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার ইন্তেজার।
হ্যামিলন এমন একটা শহর যেখানে আসলে একা গিয়ে কিছু করার নেই। সার্বক্ষণিকই মনে হতে বাধ্য "পাশে কে যেনো নেই, কি যেনো নেই।" - এটা অবশ্য আমার নিজস্ব ভাবনা এবং অবশ্যই তাত্বিক। (কিন্তু সত্যি না হলে ভাবীকে উড়িয়ে নেবার দরকার হলো কেনো বলেন!)
আপনার লেখাটা চেটেপুটে পড়েছি। হ্যামিলন শহরকে কেনো যেনো নিজের বড় আপন শহর মনে হয়। হয়তো ছোটবেলা থেকেই নামটা জানি বলে! তবে আপনি লেখাতে ভালোই হয়েছে একদিক থেকে। এতো গুছিয়ে লেখতে তো পারবো না কখনোই। অতি আপন শহরকে নিয়ে অগোছালো লেখা ভালো লাগতো না আমার, নিজের লেখা হলেও!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি লিখবেন অবশ্যই। আর সে লেখা আমার লেখার চেয়ে অবশ্যই রসালো আর উপদেয় হবে, তাতে সামান্যও সন্দেহ নেই। আপনার মতো এতো রসিক আর কজন আছে।
(কিন্তু সত্যি না হলে ভাবীকে উড়িয়ে নেবার দরকার হলো কেনো বলেন!) ও তো দরকারে আসেনি..... বিয়ে বার্ষিকী ছিল কিনা... তাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাগ কইরেন না ভাইডি! এই ভাঙ্গা গড়ার খেলার মাঝেই তো জীবন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ও তো দরকারে আসেনি..... বিয়ে বার্ষিকী ছিল কিনা... তাই!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
খেলাপী শহরের শিশুরা ভিনগ্রহে চলে গেছিলো।
এই জেঁকে বসা চাপা অন্ধকার শুনে একটু থমকাইলাম।
একটা ভুতুড়ে ম্যুভি দেখসিলাম - একটা অভিশপ্ত মৃত শহর, কুয়াশার মত ছাই পড়ে। আর দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে শহরের জীবত ব্যাক্তিরা ঐ কিম্ভুতকিমাকার মানবসন্তানগুলার হাত থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় নিত গীর্জায়। কি যেন নাম ম্যুভিটার !
তবু বিদেশ বইলা কথা! আমি যাইতাম চাই তীরুদা। টিকেট কইরা দ্যান
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হ্যামিলন কিন্তু কোন ভুতুড়ে শহর না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সেই হ্যামিলন !
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাকেও সুন্দর একটা ট্যুর উপহার দেওয়ার জন্য।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দেরীতে হলেও আপনাকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।
আপনাকে আমি বিরাট হিংসা করি... এই লেখা পড়ে তা আরো বাড়লো... সঙ্গে দীর্ঘশ্বাস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিনন্দনের জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
আমিও কতো কিছু মিস করেছি জীবনে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আহ্, রূপকথার শহর হ্যামিলন। তীরুদা'র কি-বোর্ডে তুমি এখন দৃশ্যমান।
আমার চোখেও বড় নিদারুন ভাবে দৃশ্যমান। কাল সকালেই আবার চারদিনের জন্যে যেতে হবে সেখানে।
তাপমাত্রা শুন্যের তিন ডিগ্রী নিচে। সকাল ছ,টায় ট্রেন ধরে এয়ারপোর্টে....তারপর...
বড়ই নিদারুন অবস্থা ভাইডি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ সুন্দর বিবরন আর ভালো কিছু ছবির জন্য
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু'দা, অসম্ভব ভালো লাগলো। লেখাটা অসাধারণ হয়েছে, ছবিগুলোও দূর্দান্ত!!!
আহা, এই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা পড়ে কত কল্পনাই না করেছি, কতো কিছু। রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া কতো অচেনা ফেরিওয়ালার চেহারায় হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালাকে খুঁজেছি...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার জন্যেও বিরাট এক অভিজ্ঞতা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেক জীবন্ত-প্রাণবন্ত হইছে ইঁদুর শিকার।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তারপরও শেষ হইলনা শিকার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্যে। জার্মানীর অনেক শহরেই যাওয়া হল কিন্তু হ্যামিলনে যেতে পারিনি এখনো।
আপনার খুব কাছেই ডেটমোল্ডের কাছে টয়টেবুর্গ ফরেস্টে রয়েছে হেরমান্স ডেন্কমাল ও এক্সটার্নস্টাইনে। ওগুলো দেখতে ভুলবেন না।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ বেজওয়ান। সময় পেলে আপনার পরামর্শমতো জায়গাগুলোতে যাবো। তবে ওখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ নিয়েই ব্যাস্ত। হয়তো আরো একটা উইক-এন্ডএ রয়ে যেতে হবে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছোটবেলায় গল্পটি পড়েছিলাম, "হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা"- আপনার লেখাটা এমনিতেই বরাবরের মতো দুর্দান্ত হয়েছে, কিন্তু ছোটবেলার সেই স্মৃতিটুকু মিশে ভাল লাগাটা বহুগুণ বেড়ে গেল। দারুন!
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আহারে ! উপর দিয়া যান আর আসেন। ইশ্ ! এই জীবনে একবারও কালাপানি পার হওয়া হলো না। আপনাদের ডানা দিয়েই যেটুক পারি কল্পনায় উড়ি।
ভালো হয়েছে লেখাটা। ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাই, আপনার জীবনে সামনে কতো সময় পরে রয়েছে। কামনা করি, কালাপানি, আরো কতো কিছু পার হবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খুবই মজা পেলাম আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে। ছবি গুলোও আরো প্রাণবন্ত করেছে লেখাটাকে। আস্বস্ত হলাম এই পড়ে যে উপাখ্যানটা একেবারেই কল্পনা প্রসূত নয়, ইতিহাসও তার সাক্ষ্য দেয়।
ছোটবেলায় স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পড়া "হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা" কথা এতো বছর পর আবারও মনে করিয়ে দিলেন সেই সাথে ধুলোপড়া শৈশবকেও ।
হায় শৈশব..আজ কই সব !
ধন্যবাদ তীরুদা. অনেক শুভ কামনা
ছোটবেলায় স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পড়া "হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা" কথা এতো বছর পর আবারও মনে করিয়ে দিলেন সেই সাথে ধুলোপড়া শৈশবকেও ।
হায় শৈশব..আজ কই সব !
ধন্যবাদ তীরুদা. অনেক শুভ কামনা
অনেকের মতো আমিও আপনার চোখে হ্যামিলন শহরটাকে দেখে নিলাম
..................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
হ্যামিলন নামটাই কী রোমান্টিক
লেখা সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চ ম ত কা র !
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
নতুন মন্তব্য করুন