হঠাৎ ছোট কোন কথা থেকেও জীবনের অনেক বড় পদক্ষেপের জন্ম হয়। তাতে পাল্টে যায় পুরো গতিপথ। আত্মিক বাঁধন, প্রতিদিনের দেখা কাছের মানুষগুলোর প্রতি সারাজীবনের টান হঠাৎই তুচ্ছ হয়ে পড়ে। ঢাকা শহরের কোন এক ব্যাস্ত দিনে বন্ধু শাজাহান আর আমি কাওয়াসাকিতে ঢাকা শহরেই আরেক বন্ধুর বাড়ীতে আড্ডার পথে।হঠাৎ পেছন ফিরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
- মোটর সাইকেলে একবার পৃথিবী ঘুরে বেড়ালে কেমন হয় শাজাহান?
শাজাহান আমার চেয়ে অনেক অনেক শান্ত শিষ্ট যুবক। তার প্রতিটি পদক্ষেপই গোছানো। ঘরের আলমারীতে প্রতিটি বই সমানভাবে থরে থরে সাজানো। ভার্সিটিতে শেষ বর্ষে, তারপরও যদি তাকে বলা হয়, এক মূহুর্তেই তার ক্লাশ ওয়ানের প্রশ্নপত্র খুঁজে বের করে দেবে। বেশ ভালো ছবি আঁকে, এতো সুন্দর হাতের লেখা আজ অবধি কারো দেখিনি। গান গাইতে ওস্তাদ। হারমোনিয়ামের রীডে আঙ্গুল ঝড়ের মতো চলে। ও যে আমার কথায় এতোটা লাফিয়ে উঠবে, ভাবতে পারিনি।
- খুবই ভালো হয়, আমি তো একপায়ে খাড়া। তবে খুব ভালো করে প্ল্যান করতে হবে।
শাজাহানের কথা জানি না, তবে আমার ভেতরে এমনি উদ্ভট ইচ্ছের খেলা আগে থেকেই ছিল। এক বছর আগেই জাহাঙ্গীরনগরে বন্ধু হায়দারের সাথে নৌকোয় করে আন্দামান পাড়ি দেবার সপ্নে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছি উতালপাতাল ভাবনায়। লাইব্রেরীতে বসে বসে পড়াশোনা, সমুদ্রস্রোতের গতিধারা নিয়ে নানা গবেষনা, অর্থাৎ পুথিগতভাবে যা দরকার ছিল, কিছুই বাদ রাখিনি। সবশেষে সাহস করে নারায়নগন্জ ডকইয়ার্ডে গিয়েও হাজির হলাম। অনেক অপেক্ষার পর এক কর্মকর্তার সাথে দেখা করার অনুমতি পেলাম। জানতে চাইলাম, আন্দামান অবধি পাল তুলে যেতে পারা যায়, এমনি এক ছোট নৌকো তৈরী করাতে কত খরচ পড়বে।
আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকালেন ভদ্রলোক। মুখে উপহাসের হাসি। তারপরও আমাদের পরিকল্পনার খুঁটিনাটি জানতে চাইলেন। আমরা আমাদের পুথিগত বিদ্যার যতোটা জানি, তার অনেকটাই খুলে বললাম। ওনি অনেক ধৈর্ষ নিয়ে আমাদেরকে সে সুযোগ দিলেন। আমাদের কথা শেষ হলে বললেন,
- তোমাদের হাত দুটো দেখাও তো!
আমরা এসেছি নৌকোর খোঁজে, আর ওনি দেখতে চাইছেন হাত! অবাক হবারই কথা। তারপরও হাত দেখালাম আমরা।
- কই! তোমাদের হাতো কোন নৌকোর রশি টানার দাগ তো দেখতে পাচ্ছিনা। তোমরা কি কখনোই নৌকো চালাও নি। দাঁড় বেয়েছো কখনো?
- গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে বেয়েছি। বললাম আমি।
- ছোটবেলায় আমাদের একটি কোষা নৌকো ছিল, সেটা নিয়ে বাজারে গেছি অনেকবার, বলল বন্ধু হায়দার।
এবার আমাদের চোখের দিকে সরাসরি তাকালেন ভদ্রলোক। একটু হাসলেন। কিন্তু এবার উপহাস নয়, বরং পরামর্শের সুরেই বললেন।
- এখন বাড়ী যাও। দুবছর ধরে অনেক নৌকো রশি টেনে টেনে যখন দাগ পড়বে দুহাতে, তখনই আসবে আবার। আমি তোমাদেরকে আন্দামান যাবার নৌকো বানিয়ে দেবো। তবে তিন লাখ টাকা আনতে ভুলবে না। কমপক্ষে এটুকু তো লাগবেই।
আমরা কিছু না বলে বেরিয়ে এলাম। বলা বাহুল্য, আমাদের আন্দামান অভিযানের সমাপ্তি এখানেই। হাতের দাগ যেভাবেই করি না কেনো, তিন লাখ টাকার পরিমান আমাদের কাছে তখন মাউন্ট এভারেষ্ট ছাড়িয়েও অনেক অনেক উঁচুতে।
আসল প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি আবার। শাজাহান আর আমি উঠে পড়ে লাগলাম। আমার মোটর সাইকেলের কাগজপত্র খুঁজে জাপানের কাওয়াসাকি কোম্পানীকে চিঠি পাঠালাম। „আমরা তোমাদের মোটর সাইকেলে চড়ে বিশ্বভ্রমণ করতে চাচ্ছি। এতে তোমাদের বিজ্ঞাপণ হবে। আমরা গরীব ছাত্র, আমাদেরকে এ ব্যাপারে আর্থিকভাবে সাহায্য করলে, আমাদের সপ্নপূরণ হবে, আর লাভ হবে তোমাদের।… ইত্যাদি… ইত্যাদি।„
কাওসাকী জবাবও দিল বেশ দ্রূত। লিখলো- „তোমাদের চিঠির জন্যে ধন্যবাদ। কিন্তু তোমাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারবো না বলে খুব দুঃখপ্রকাশ করছি। তোমরা তোমাদের দেশের কাওয়াসাকির এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করো। ওরা যদি কোন সাহায্য করে, করবে। এটা ওদের ব্যাপার, আমরা তোমাদের সাফল্য ও শুভকামনা করি“। জানা কথা বাংলাদেশের কাওয়াসাকীর কাছে গিয়ে পাত্তাও পাবো না। তাই সে চিন্তা বাদ দিয়ে এবার কি করা যায়, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হলো আমাদের।
বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকাপয়সা যোগাড় চেষ্টা করা কথা একেবারেই বাদ দিয়ে দিলাম। তাঁরা চান, মাস্টার্স শেষ করে কোন স্কলারশীপের চেষ্টা করি। আর যা করতে যাচ্ছি, তাতে তাঁদের একেবারেই মত নেই। এদিকে নিজেদের ভেতরে নিজের ক্ষমতায় কিছু করার চেষ্টার প্রাবল্য। সে সাথে মাথায় এডভেন্চারের নেশা এতো বেশী চেপে বসেছে যে, কারো কোন কথাই শুনতেই রাজী নই। মায়ের চোখের জল, বাবার থমথমে চেহারা, ভাইবোনের প্রতি টান, কিছুই কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারলো না।
এসব সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমাদের পরিকল্পনার ছক পাল্টাতে বাধ্য হলাম। বিক্রী করলাম প্রিয় কাওয়াসাকী। শাজাহান বিক্রী করলো তার সাধের হারমোনিয়াম। বড়ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করলো। পথসঙ্গী যোগ হলো আরো দুজন। আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধু পান্না, ও আমার এক বন্ধুর বড়ভাই সাদরুল। বন্ধুর বড়ভাই হিসেবে যেটুকু দূরত্ব, সেটা অনেকদিনের চলাফেরার কারণে অনেকটাই কমে গিয়েছিল। সাদরুল ভাই রাজনীতি ও পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন। জীবনের দৈনন্দিন পথে চৌকোশ মানুষ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে দলে টানা আমাদের পরিকল্পনাকে সমৃদ্ধ করবে, সন্দেহ নেই। আর পান্না ছেলেবেলার বন্ধু, ওকে একা রেখে যেতে চাইলাম না। আরেকজন খুব সহযোগিতা করলেন আমাদের। মোস্তফা জব্বার। সবেমাত্র আনন্দ ট্রাভেলার্স নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সী খুলেছেন। আমরাই তার প্রথম খদ্দের। নামমাত্র লাভে দিল্লী হয়ে কাবুল অবধি টিকিট কেটে দিলেন। ভারত, আফগানিস্থান, তুরস্ক, ইটালী ও গ্রীসের ভিসা লাগিয়ে দিলেন আমাদের পাসপোর্টে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাসপোর্টে পাঁচ বৃটিশ পাউন্ড এনডোর্স করা হলো। এভাবেই আমাদের যাত্রার সময়ও ঘনিয়ে এলো।
বুকের ভেতরে ভয় আর এডভেঞ্চারের শিরশিরে অনুভুতি। তাকে ছাপিয়ে বারবারই জেগে ওঠে প্রিয়জনকে ছেড়ে যাবার বেদনা প্রবল প্রতাপে। মাঝে মাঝে অন্ধকার দেখি চোখে। মা বাবার সামনে সবসময় হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করি, এ ফুঁয়ে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করি নিজের ভেতরের সংশয় আর কষ্ট। কিন্তু তারপরও নিজের প্রতারণা নিজেই টের পাই, যখন দেখি বাবা মা চোখের দিকে সরাসরি চোখ রাখেন না। আমার নিজের চোখও এই ফাঁকিতে অন্যদিকে নিবদ্ধ হয় বারবার। ভাইবোনদের সাথে কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি সহসা। মা পছন্দের খাবার রান্না করেন, আর আমার গলা দিয়ে ভেতরের কান্নার দমকে এক বিন্দুও নামতে চায়না। কিন্তু বাইরে হাসি মুখ। ভাবখানি, পৃথিবীটা যেনো এক্ষুনিই আমার হাতের মুঠোয়।
এমনি করেই ঘনিয়ে এলো আমাদের রওয়ানার হবার আগের দিনটি। আমাদের চারজনের বাড়ীতেই নানা প্রস্তুতি চলছে। আমিও নিজের ঘরে বাকসো প্যাটরা গোছানোয় ব্যাস্ত। সকাল এগারোটা বাজে তখন। পরের দিন দুপুর আড়াইটায় দিল্লীর ফ্লাইট। হঠাৎ এসে হাজির হলো জাহাঙ্গীরনগরের তিন বান্ধবী। হাসি, রেহানা ও শিউলি। এসেই কোন কথা নয়, মায়ের কাছে সরাসরি।
- নান্টুকে নিয়ে যেতে চাই আমরা।
- ওকে এখন কোথায় নিয়ে যাবে। ওতো এখন লাগেজ গোছাতে ব্যাস্ত। তাছাড়া বন্ধুরাও আসবে একটু পরে।
- তা ও পরেও গোছাতে পারবে। বন্ধুরাও অপেক্ষা করতে পারে। আমাদের সাথে একে এক্ষুণিই যেতে হবে।
আমার ঘরে এসে হাজির হলো তিনজনে। অন্য কোন কথা নয়, কোন কুশল সংবাদ নয়, শুধুমাত্র একটিই কথা,
- নান্টু, চলো!
- কোথায়?
- তা পরে জানবে, এখন বাকসো রেখে চলো।
কোন উপায় না দেখে ওদের সাথে রওয়ানা হলাম রিক্সায়। যাবার সময় মায়ের দিকে তাকিয়ে হাসলাম একটু। শান্তিনগরে হাসিদের বাসা। ওখানেই আড্ডা জমলো। ওদের নিজেদের হাতের রান্না। বেশ বড় আয়োজন। তারপর গানবাজনার আসর বসলো একটা। আমার খুব ভালো লাগলো। কেমন যেনো এক স্বাভাবিকত্ব ফিরে এলো নিজের ভেতরে। আগামী দিনের পথচলাকে সামনে রেখে নিজের উপর ভরসাও ফিরে এলো আবার।
বাসায় ফিরে দেখি আমার বন্ধুবা আমার উপর রেগে টং! দরকারী পরামর্শের সময় পায়নি, তাতে রাগবারই কথা। বিশেষ করে সাদরুল ভাই। „এতো কাজ আমাদের, কতো বিষয় নিয়ে আলাপআলোচনা দরকার! সেদিকে কোন খবর নেই, বান্ধবীরা এসে ডাক দিল, আর ওনি ছুটলেন সেদিকে!“ আর আমি কোন কথা না বলে শুনে গেলাম সব। ভেতরে পরিপূর্ণতা এলে অনেক কথাই গায়ে লাগেনা তেমন। তাছাড়া তাদের কথা যে যুক্তিহীন, এ কথা বলার উপায় ছিলনা একেবারেই।
পরদিন আমাদের চার বন্ধুর পরিবার ও আমাদের বন্ধুবান্ধবদের মিলিয়ে প্রায় একশোজনের একটি দল আমাদের তুলে দিল „থাই ইন্টারন্যশনালের“ একটি বিমানে। পৃথিবী অনেকটাই আমাদের চোখের সামনে খুলে গেলেও সামনের অনিশ্চিত ভবিস্যতকে ভেবে মনে হলো আলো থেকে অন্ধকারের রাজ্যে পা রাখলাম আমরা। আমার পরনে ঢোলাঢালা কর্ডের প্যান্ট, গায়ে খয়েরী রংএর মোটা কাপড়ের সার্ট। তাতে পকেটের সংখ্যা অগুনতি। গ্লোব ট্রটারের চেহারা তো এমনই হয়! যখন তেঁজগা বিমানবন্দর ছেড়ে আকাশে উড়লাম, মনে হলো পৃথিবীর প্রান্তর ছেড়ে কোন এক অজানা গর্তে নামছি দ্রুতগতিতে। থাই এয়ার হোষ্টেস এসে খাবার দিয়ে গেল। কতটুকু খেলাম, জানিনা। পরে শুনলাম, ওটা শুয়রের মাংস ছিল। আড়াই ঘন্টা পর এসে নামলাম দিল্লীতে।
দিল্লীতে একটি ইয়থ হোষ্টেলে ওঠলাম আমরা। সাদরূল ভাই এখানকার কোন এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে কথা বলে বুক করিয়ে রেখেছিলেন। তিনিও সন্ধ্যায় আমাদের সাথে দেখা করতে এলেন। কিন্তু আমার সে সময়ের কোন কথা মনে রাখার উপায় ছিল না একেবারেই। প্রচন্ড মাথাব্যথা একেবারে বিকল করে দিল আমাকে। ওরা চারজন বসে নানা গল্পে মত্ত, আর আমি যন্ত্রনায় কাতর। শাজাহান মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। এসপিরিন সাথে আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। শুধু একটি কথাই মনে আছে। ডরমেটরীর মতো ছিল হোষ্টেলটি। একটি বড় ঘরে প্রায় কুড়িটি বিছানা পাশাপাশি পাতা। পান্নার বিছানার পাশে যখন এক ইওরোপীয়ান ললনা সব পোষাক ছেড়ে অন্তর্বাসটুকু রেথে রেখে শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, কাঁদো কাঁদো হয়ে আমার কাছে এগিয়ে এলো সে। „নান্টু, তুমি ওখানে গিয়ে শোও, আমি পারবো না।„ আমি তার কথা রাখলাম, মাথা ব্যথার প্রকোপে সে ললনার দিকে একটি বার তাকানোরাও সুযোগ পেলাম না।
পরদিন ভোরে „এরিয়ানা আফগানের“ একটি ফ্লাইটে রওয়ানা হলাম কাবুলের দিকে। সাদরুল ভাইয়ের সাংবাদিক বন্ধু আমাদের পৌঁছে দিলেন এয়ারপোর্টে। রাতে বৃষ্টি হয়েছিল দিল্লিতে। ভেজা রাস্তার জমা পানিতে সরসর আওয়াজ তুলে সে সাংবাদিকের গাড়ি আমাদেরকে নিয়ে চললো এয়ারপোর্টে। জানিনা, সে সকালটি আলাদা কোন সকাল ছিল কি না। কিন্তু আমার অনুভুতিতে সে সকালটি কোন না কোন ভাবে তার রূপ, গন্ধ আর কথা নিয়ে আমার স্মৃতিতে আজও আলাদা একটি জায়গা দখল করে আছে। চোখ বন্ধ করলে এখনও সে সকালে ফিরে যেতে পারি। মাথাব্যাথার প্রকোপ তখনও কমেনি। প্লেন ওড়ার পর আফগানি এয়ার হোষ্টেসের কাছে ট্যাবলেট চাইলাম। এয়ার হোষ্টেস তিনটি ধমক দিয়ে হলেও দুটো ট্যাবলেট এনে দিল। সেগুলো খেয়ে আধঘন্টার মতো ঘুমিয়ে অবশেষে যন্ত্রণাহীন মাথা নিয়ে নামলাম কাবুল বিমান বন্দরে।
মন্তব্য
মায়ের চোখের জল, বাবার থমথমে চেহারা, ভাইবোনের প্রতি টান, কিছুই কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারলো না। ......
সুলিখিত জীবন !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
অনেক ধন্যবাদ শাহীন। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুন প্রাঞ্জল লেখা। খুবই ভাল লাগল।
শেষ পর্যন্ত আর কখনোই কি নৌকায় চড়ে আন্দামান যান নি? যাযাবর দিনের গল্প আরো পড়তে চাই।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
না ভাই, আন্দামন আর যাওয়া হয়নি। তবে খালাসীগিরি করে ঘুরেছি অনেক। "জাহাজী জীবনের গল্প", এই ব্লগেই লিখেছি। আরো কিছু লিখবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ লেখা ! ভালো লাগলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদীপম! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পড়ছি ! লেখতে থাকুন তীরুদা !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ! অবশ্যই লিখবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমার জীবনে আমি কোনোকিছুই হতে চাইনি... এইম ইন লাইফ প্রতিটা মুহূর্তে আনন্দে থাকা।
মোটামুটি ৯৫ পার্সেন্ট সফল আমি। আমার জীবন নিয়ে আমার কোনো দুক্ষবোধ তাই নেই। থাকেনা।
কিন্তু অল্প কিছু সময়ে মনে হয় আমার জীবনটা বড়ই বিফল...
আর সেই মুহূর্তগুলোর অনেকটারই জন্ম দেন আপনি।
আপনাকে যে কী পরিমান ঈর্ষা আমি করি তা আপনি কোনোদিন জানবেন না... বুঝতে পারবেন না।
আমার এটাই ব্যর্থতা যে আমি অনেক সাধনা করেও বা অনেক বড় হয়েও তীরুদা হইতে পারবো না।
আপনার প্রতিটা পোস্ট আমার জীবনটাকে ঝামেলায় ফেলে দেয়।
তবুও বিরক্তি নিয়া বলি- এই পোস্টের শেষে চলবে টাইপ কোনো শব্দ নাই ক্যান?
তীরুদা... কসম কইতেছি... আপনি দেশে আসলে ভীন্ন কথা... না আসলে আমি টাকা জমায়া হইলেও একবার জর্মানীতে যাবো স্রেফ আপনার সাথে দেখা করতে...
আর যাবো ইউক্রেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনেরে কষ্ট দিয়া মনটা খারাপ হইয়া গেল। গত কয়েকমাস মিউনিখ-হ্যমিলন করতে করতে জান কাবাব! সোমবার সকালে যাওন, আর বিস্যুদবার ফেরত। এই মেইলটাও হ্যনোভার এয়াপোর্টে বসে পোষ্ট করেছি। হোটেলে ইন্টারনেট নেই, তাই সবাইকে উত্তর দিতে পারিনা। এখন জানুয়ারী অবধি ছুটি।
আপনার সাথে আমারও খুব দেখা করার ইচ্ছে। বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই যোগাযোগ করবো। তখন আমার বয়েস দেইখ্যা হিংসা কইম্যা যাইব। আপনার তো অনেক জীবন সামনে পড়ে আছে। আমার আর তেমন বেশী নাই।
আর জার্মানীতে যদি আসেন, আনন্দের কথা। সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাতে আমি নিজেও ভালোবাসি। আইস্যা পড়েন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বিজ্ঞানের পাছায় লাত্থি মেরে সত্যি যদি কোথাও পুনর্জন্ম থাকতো....
এক্কেবারে আমার মনের কথাটা কইছেন... আমি আমার গোটা জীবনের বদলে হইলেও তীরুদার জীবনটা চাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পুনর্জন্মের বিষয়টা আমার জন্যেও বেশ জরুরী হয়ে পড়েছে লীলেন ভাই। সময় তো আর হাতে বেশী নাই! কোন সমাধান জানা আছে কি? তাহলে বিজ্ঞানের মাথায় দুজনে মিলেই লাথি মারতাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগতাছে, উত্সাহ পাইতাছি
...........................
Every Picture Tells a Story
বার হইয়া পড়েন। পথের অভাব নেই। সাহসই সবচেয়ে বড় সম্বল!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এত ভালো লাগল যে প্রকাশ করতে পারছি না।
এটাকে প্লীজ সিরিজ আকারে নিয়ে আসুন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। এর পরের অনেক কাহিনী এই ব্লগেই প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। আরো কিছু আসবে। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারিনি বলে দু:খিত!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তুলনাহীন! লা-জবাব! কিন্তু এখানেই ঘটনার শেষ! শেষ কই? উর্ধ্বশ্বাসে টেনে এনে কাবুল বিমান বন্দরে নামিয়েই চলে গেলেন?
না ভাই, আরো চলবে। এর পরে অনেক কাহিনী এই ব্লগেই প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চলুক। ছবি পাইসেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
চলবে, পাইছি, ধন্যবাদ। হ্যমিলনের প্রজেক্ট গতকাল শেষ হলো। হোটেলে ইন্টারনেট ছিলনা। হ্যানোভার এয়ারপোর্টের এক কাফেতে "ওয়ারলেস লানে" সংযোগ পেয়ে এই পোষ্টটি পাঠিয়েই মিউনিখের পথে।
এখন বাড়ীতে, কয়েক মাসের দৌড়াদৌড়িতে ভয়াবহ ক্লান্ত।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হিংসা হইতেছে খুব
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
দ্যেখেন, যেন পেট খারাপ না হয়! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ! প্রতি মুহূর্তে জীবন নতুন করে শুরু করতে প্রস্তুত! চলুন, যাই আন্দামান!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আর না ভাই! এখন একটু আরাম করেই ঘুরি। বয়েস তো কম হলোনা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যাযাবর তীরন্দাজের লেখা পড়লাম অনেকদিন পর। শ্রদ্ধা।
ভালো লাগলো, কিন্তু আবারও ---- শেষ হয়ে ও হইলো না শেষ।
কেন?কেন? কেন?
এটা তো ছোটগল্প নয়, ভ্রমণকাহিনী জার্ণাল, তাই না?
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
এর পরের পর্ব তো আগেই লিখে ফেলেছি। কাবুলের কাহিনী, বারী ভাইয়ের গল্প, আশা করি পড়েছেন। তার পর আরো কিছু কাহিনি আসবে, তারপর জাহাজী জীবনের গল্প। জাহাজী জীবনের গল্পগুলোও ব্লগে প্রকাশ হয়েছে।
আমি ধারাহিকতা বজায় করে লিখতে পারিনা। অনেক দিন আগের কথা। যখন যে সময়টা মনের ভেতরে বেশী মোচড় দিয়েছে, সেটা নিয়েই শুরু করেছি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনারা সবাই-ই জুল ভার্নের গল্পের নায়ক।
প্রাঞ্জল বর্ণনা, ভালো লাগলো, তবে মাথা ব্যথা আসার আর সময় পেলো না!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আরে ভাই কইয়েন না আর! মাথা ব্যথার দু:খটা এখনও যায় নাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তাহাদে..........
হুম...... তীরুদা আপনার লাইফে আসলেই এমন সব অভিজ্ঞতা আছে যাতে হিংসা না করে উপায় নাই । গল্প দেন না একটা এইবার ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনার লেখা মানেই সুখপঠন।
আরো আসছে নিশ্চয়ই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ভাইরে
এমন কিছু কি আছে জীবনে যে আপনি করেননি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন