একুশের ভোর, শহীদ মিনার আর এক কাপুরুষের কাহিনী

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০০৯ - ১:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এতোটা ভীতু হলে চলে কি করে? যেমন হালকা শরীর, তেমনি ছোটখাটো মানুষটি। রোগাপটকা চেহারা। মনে হয় একটু বাতাসেই এলিয়ে যাবে সীমগাছের কঁচি ডগার মতো। ছেলেমেয়েরাও বাবাকে নিয়ে হেসে অস্থির! ভাইবোনে মিলে কারণে অকারণেই হঠাৎ চেচামেচি শুরু করে, আর আরিফ ‚কি হলো, কি হলো’ বলতে বলতে ছুটে যায় পাগলের মতো। খিলখিল করে হেসে দুই ভাই বোন একজনের উপর আরেকজন গড়িয়ে পড়ে। আরিফও ওদের সাথে হাসতে হাসতে মিলে মিশে এক হয়ে যায়। বেশ মজার একটা খেলা যেনো পেয়েছে ওরা!

রুবী হাসতে পারে না একেবারেই। বরং ওর রাগ হয় খুব। কি এই লোকটা! জোর কেন আওয়াজ হলেই চুন হয়ে যায় চেহারাটি। সারাক্ষণ শুধু সাবধানতা আর ভয়! রাস্তাঘাটে চলতে ভয়, নতুন কিছু করতে ভয়, অফিসে নিজের কথা বলতেও ভয়! এতো ভয় পেলে কি এগুনো যায় সমাজে? কদিন ধরেই অফিসে নাকি ছোট একটি ঘাপলা চলছে। অথচ যোগ্যতার গুনেই ওখানে মোটামুটি ভালো একটি অবস্থনে আরিফ। অন্যদেরকে নিয়ে যা ই করুক না কেনো, নিদেনপক্ষে অধস্থনদের একটু জোর গলায় কিছু বললেই হয়! ওরা তাতেই কুই কুই করে গুটিয়ে যাবে পোষা কুকুরের মতো। সেটা না করে মিনমিন করে সারাক্ষণ। কিছু বললেই বলে,

- আমি এতো জোর গলায় কিছু বলতে পারিনা। অযথা অন্যদের বিব্রত করে কি লাভ?
- কিন্তু ওরা যে তোমার আড়ালে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, সেটা দেখতে পাচ্ছ না? দুদিন পর তো তোমার পেছনেই লাগবে। সেজন্যে আগে থেকে সাবধান হওয়া ভালো না?
- সাবধান বলেই তো চুপচাপ থাকি।
- এই হলো তোমার সাবধান থাকা! তোমার নীচের পোষ্টে থেকেও হালিম সাহেব সবাইকে পটিয়ে পটিয়ে ডাইরেক্টরের পোষ্টটি নিয়ে নিলেন! একটু মুখ খুললে সে পোষ্ট তো তোমারই পাবার কথা!
- তাতে কি? আমরা তো ভালোই আছি।
- এই তোমার ভালো থাকা? সোবহান সাহেব বাড়ী কিনে ফেললেন, আর আমরা এখনও এই ভাড়াটে বাড়ীতে পঁচে মরছি। একে কি ভালো থাকা বলে?

বলে আরো বেশী রেগে যায় রুবী। তখন আর কোন কথা বলতে পারে না। কিন্তু আরিফের জন্যে তখন ঝগড়ার আপাতত:সেখানেই সমাপ্তি। নানা কথায় আর খোশামোদে রুবীকে আবার না হাসিয়ে ছাড়ে না কিছুতেই। এই বিষয়ে লোকটা যে বেশ পটু, হাজারো রাগের মাঝেও রুবীকে ভেতরে ভেতরে হলেও তা স্বীকারই করে নিতে হয়।

ছুটির দিন সকালে যখন রুবী রান্নাঘরে বুয়াকে নিয়ে সকালের নাস্তা বানাতে ব্যাস্ত, আরিফ তখন গোসলখানায়। অনবরত কাপড় কাঁচার শব্দ ভেসে আসছে। ঐ আরেকটা স্বভাব জনাবের! নিজের কাপড় চোপড় কখনোই কাউকে কাঁচতে দেবে না। বুয়াকে তো নয়ই, নিজের বৌকেও নয়। তার নাকি পছন্দ হয়না। অপছন্দ না লজ্জা, কে জানে! একেকটা কাপড় আধঘন্টা লাগিয়ে আস্তে আস্তে কাঁচে। একই গতিতে, একই মৃদু আওয়াজে ছপছপ আওয়াজ ভেসে আসে কলঘর থেকে। এতোটা নজর দিয়ে, এতো বেশী আদর দিয়ে আর কাউকে কাপড় কাঁচতে দেখেনি রুবী। এরই মাঝে শোনা গেল কলিং বেলের আওয়াজ। বুয়া দৌড়ে গিয়ে খুলে দিল দরজা। ফিরে এসে জানালো, বাড়ীওয়ালা এসেছেন। শুনে তড়িঘড়ি করে গোসলখানা থেকে বেরিয়ে এলো আরিফ। একটি সার্ট গায়ে চাপিয়ে ঢুকলো বসার ঘরে।

বাড়ীওয়ালাকে চা খাইয়ে বিদায় করে যখন রুবীর সাথে নাস্তার টেবিলে আরিফ, বেলা তখন অনেকটাই গড়িয়েছে। ছেলেমেয়ারা পাশের ঘরে লুডো খেলায় ব্যাস্ত। রান্নাঘরের গরম থেকে এসে রুবীর কপালে তখন মৃদু মৃদু ঘাম। বগলের দিকটা ভিজে হালকা ব্লাউজের ভেতর থেকে শরীরের মসৃণ অংশের রূপোলী চমক। সেদিকে তাকিয়ে হাসে আরিফ। কিন্তু তাতে গলে না গিয়ে কঠিন গলায় প্রশ্ন করলো রুবী,

- বাড়ীওয়ালা কেনো এসেছিল?
- এমনিতেই দেখা করতে এসেছিল।
- মতলব না থাকলে বাড়ীওয়ালা এমনিতেই আসে বুঝি? গোসলখানার পাইপ ভেঙ্গে পানি পড়লো ক’দিন আগে, তখন তো বারবার বলে কয়েও আনাতে পারিনি। আর এখন এমনিতেই এসেছে! ভাড়া বাড়ানোর কথা বলেছে?
- হ্যা, সামান্য কিছুটা।
- কতো সামান্য?
- সামনের মাস থেকে চারশোর মতো বেশী দিতে হবে।
- তিনমাস আগেও তো বাড়ালো একবার। আবার এখন? তুমি কি সুরসুর করে রাজী হয়ে গিয়েছ?
- না হয়ে কি করবো বলো! নইলে তো নিজের ছেলেকে, পাড়ার ছেলেকে লেলিয়ে হুমকি দেবে।
- একবার রাজী না হয়ে দেখো না।
- পাশের ভাড়াটে বশির সাহেব একবার বাড়াতে চাননি, তাকে যে কি হেস্তনেস্ত করেছিল পাড়ার মোড়ে, সে কথা শোননি?
- শুনেছি, কিন্তু ভাড়া বাড়াতে পারেনি।
- কিন্তু আমার এসব ভালো লাগেনা। তোমার বা ছেলেমেয়েদের কিছু হোক, সেটা আমি একেবারেই চাইনা।
- সেটা চাইবে কি করে, তুমি তো একটা ভীতুর ডিম। কাপুরুষ কোথাকার!

কথাটি শুনে মালিন্য আর বেদনার একটি গভীর কালো ছায়া পড়লো আরিফের মুখে।কিছু না বলে চুপ হয়ে গেলো একেবারে। সেদিকে তাকিয়ে খুব মায়া হলো রুবীর। কিন্তু মায়া হলেও কি করবে সে? যেই যা বলে, যা চায়, তাতেই রাজী হয়ে যায় আরিফ। পাড়ার ষন্ডারা চাঁদা চাইতে এলে যতোটা চায়, ততটাই দিয়ে দেয়। কোথাও ভীড় দেখলে তা কাটানোর জন্যে একমাইল ঘুরতেও আপত্তি নেই তার। বাজারের সবচেয়ে খারাপ মাছটি সবচেয়ে বেশী দাম দিয়ে কিনে আনবে প্রতিবার। রিকশাওয়ালা যা চাইবে, তাতেই রাজী সে। এভাবে চলে নাকি জীবন? বাড়ীওয়ালার জ্বালায় একবার নিজেরাই একটা বাড়ী কিনে ফেলবে বলে ঠিক করেছিল। সেখানেও ভয় আরিফের। যদি কেউ ঠকিয়ে দেয়! তারপরও সবাই মিলে বলে কয়ে রাজী করিয়েছিল। বেশ ক’টি বাড়ীও দেখেছিল। সেখানেও সমস্যা। বাড়ী যদি পছন্দও হলো, দাম আকাশচুম্বী। যদি দাম কম হয়, তাহলে সে বাড়ী বাসেরই অযোগ্য। তাছাড়া অফিসের কাছাকাছি একটা ভালো এলাকা হলে সুবিধে হয়।অনেক খুঁজে অবশেষে দেখলো একটি। এলাকাটিও ভালো। যা দাম, কিছু ধার দেনা করে সেও যোগাড় করা যেতো। কথাবার্তা যখন প্রায় ঠিকঠাক, কোত্থেকে উড়ো ফোন এলো একটি। ফোন পেয়ে আরিফ সে বাড়ী আর কিছুতেই কিনতে চাইল না। আর কোন খোঁজখবরও নিল না। আরিফের ভয় দেখে এতোই রেগে গেল রুবী যে, বাড়ী কেনার কথা আর মুখেই তুললো না। আরিফও তা নিয়ে আর ভাবে বলে মনে হয়না।

এবার ছেলেমেয়েরা একুশের ভোরে প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে যাবে বলে বায়না ধরেছে। এর আগেও অনেকবার চেয়েছিল, কিন্তু বাবাকে কিছুতেই রাজী করাতে পারে নি। ছেলেমেয়েরা বড়ো হচ্ছে ধীরে ধীরে। দেশ, সমাজ, পারিপার্শ্বিকতাকে ঘিরে নতুন নতুন বোধের জন্ম হচ্ছে ওদের ভেতরে। সে বোধটুকু বিস্তারিত না হতে দিলে ওরা চলবে কি করে এই সমাজে? পরে তো নিজেদের বাবার মতোই নেতিয়ে থাকবে সারাটা জীবন। রুবী নিজেই কথাটি তুললো তাই। বিকেলে সোফায় বসে পত্রিকা পড়ছিল আরিফ, রুবীকে দেখেই পাশে রাখা পত্রিকার পাতাগুলো সরিয়ে জায়গা করে দিল। রুবী বসলো পাশে। পত্রিকার বাকী অংশ টেবিলে রেখে ওর মুখের দিকে তাকালো আরিফ।

- ছেলেমেয়েরা কাল শহীদ মিনারে যেতে চাইছে।
- না না, ওখানে যাবে কেন! ভীড় হয়, মারামারি হয়! ওখানে যাওয়া চলবে না একেবারেই।
- সবাইতো যায়, ভীড় হয়, ধাক্কাধাক্কি হয়, আবার ফিরেও আসে সবাই। তোমার এতো ভয় কোনো?
- ভয় নিজের জন্যে নয়, তোমাদের জন্যে। আর আমার এসব হইচই ভালো লাগেনা।
- ঠিক আছে। তুমি যেয়ো না। আমি একাই যাবো ওদেরকে নিয়ে।
- না না! তুমি একা যাবে কেনো? সবাই মিলে ছুটির দিনটা বাড়ীতে কাটালে হয়না? তাছাড়া টিভিতেও দেখা যায় পুরো অনুষ্ঠান।
- তুমি বসে বসে দেখো অনুষ্ঠান। আমরা এবার যাবো বলেই ঠিক করেছি।

কোন কথা না বলে চুপ হয়ে রইল আরিফ। রুবীর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইলেও আবার চুপ করে গেলো। রুবী সামান্য বসে থেকে চলে গেল পাশের ঘরে।

সকালে আরিফই ডেকে তুললো সবাইকে। ছেলেমেয়েরা বাবার এই আয়োজন দেখে একেবারেই অবাক। আর রুবী তো বিশ্বাসই করতে চাইল না। তারপরও কোনভাবে নাস্তা সেরে কালো ব্যাজ লাগিয়ে চারজন মিলে খালি পায়ে রওয়ানা হলো শহীদ মিনারের দিকে। ভাইবোনে মিলে সুর ধরলো, আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী …..। রুবীও সুর ধরলো গলায়। পাড়ার আরো আরো কিছু ছেলে বুড়োর সাথে মিশে গেলো ওদের ছোট্ট দলটি।

শহীদ মিনারের কাছাকাছি এসে এতো মানুষের ভীড় দেখে ঘাবড়ে গেলো আরিফ। লাইনেও দাঁড়াতে চাইল না। বাড়ী ফেরার জন্যে তাগাদা দিতে শুরু করলো বারবার। দু’ ভাই বোনই ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে এসেছে। ওদের আর রুবীর কঠিন মুখের দিকে তাকিয়ে অগত্যা দাঁড়ালো সেও। কিন্তু এখানেও যে কেউ আগে এসে দাঁড়াতে চাইলেই, নিজের জায়গা ছেড়ে দেয় আরিফ। কিন্তু তাতে পেছনের লোকগুলোর আপত্তি টের পেয়ে আবার নিজেই সাবধান হয়ে গেলো। এভাবেই ওরা এগিয়ে গেলো বেদীমূলের কাছাকাছি। যারা সিঁড়ি বেয়ে উঠছে তাদেরকেও দেখা গেলো। ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে শহীদ মিনারের চারপাশ। সে ফুলের ফাঁকে ফাঁকে পথ করে এগিয়ে যাচ্ছে শ্রদ্ধাবনত হাজার হাজার মানুষ। সেদিকে তাকিয়ে এক স্বর্গীয় আত্মিক অনুভুতিতে শিউরে ওঠে শরীর।

কিন্তু হঠাৎ কেউ যেনো বিশাল এক পাথর ছুড়ে সেই আত্মিক অনুভুতির নরম শরীরকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিল। কোন এক স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী দলের পান্ডাকে ফুল হাতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখে দুয়ো দুয়ো চীৎকার আর প্রতিবদে উন্মত্ব হয়ে উঠলো জনতা। সিঁড়ির কাছাকাছিই হাতাহাতি শুরু হলো জনতা আর মোল্লাদের মাঝে। ধাক্কাধাক্কিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে লাইন। চারজনেই ছিটকে পড়লো এদিক সেদিক। রুবী শক্ত হাতে ধরে ছিল ছেলেমেয়েদেরকে। সেভাবেই ওদেরকে ধরে দৌড়ে গিয়ে বেদী থেকে আরেকটু দূরে কিছুটা নিরাপদে দাঁড়ালো। সামনে নিরাপত্তা পুলিশের হুইশেল বাজিয়ে দৌড়াদৌড়ি। আরিফকে কাছাকাছি কোথাও না দেখে কেঁপে উঠলো বুক। ভীড় আর বিশৃঙ্খলার মাঝে খোঁজাখুজি না করে আরেকটু নিরাপদ জায়গা খুঁজে ওর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলো সবাই মিলে। ছেলেমেয়েরা পাংশুমুখে বাবার খোঁজে এদিক সেদিক তাকালো বারবার। তিন্নির চোখে জল দেখে স্বান্তনা দিল রুবী।

একসময় কিছুটা শান্ত হলো জনতা। রুবী ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেদীর কাছাকাছি গিয়ে আরিফের খোঁজে বিপন্ন চোখে এদিক ওদিক তাকালো। কিছুক্ষণ পর রনির ডাকে চমকে উঠলো বাকী দু’জন। ওদের থেকে কিছুটা দুরে আরিফ পাগলের মতো খুঁজছে ওদেরকে। দৌড়ে গেলো সেদিকে মা আর ছেলেমেয়ে মিলে। সবাইকে পেয়ে আলো ফিরে এলো আরিফের মুখে। ওর চুল উস্কোখুস্কো, গায়ের পান্জাবীটা ছিড়ে একাকার, জায়গায় জায়গায় ময়লা হয়ে আছে। কোন কথা না বলে বাসাতেই ফিরে এলো চারজন। তারপরও এসব বিপদ আর বিড়ম্বনার মাঝে সেই শিরশিরে নরম অনুভুতি আলো হয়ে জড়িয়ে রইল ওদেরকে।

পরদিন একটু দেরী করেই ঘুম থেকে উঠলো রুবী। আরিফ তখন কলঘরে গোসল সারছে, একটু পরেই অফিসে যাবে। ছেলেমেয়েদেরাও ঘুমিয়ে। স্কুল খোলা, তাই একটু পরই বিছানা থেকে তুলতে হবে ওদেরকে। কাজের বুয়া আসায় বসার ঘরের দরজাটি খুলে দিতেই সকালের পত্রিকাটি চোখে পড়লো ওর। প্রথম পাতাতেই শহীদ মিনারে ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত খবর দেয়া হয়েছে। পাশে বিরাট এক ছবি। ছবিটি দেখেই চমকে উঠলো রুবী। তাতে দেখা গেলো আরো কয়েকজন প্রতিবাদী লোকের সাথে সেই মৌলবাদী নেতাকে শহীদ মিনারের সিড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাচ্ছে আরিফ!


মন্তব্য

বুনো জারুল এর ছবি

উপসংহারটা দা-রু-ন।

একটা ভালো গল্পের জন্য ধন্যবাদ।

******************************************
Everyone thinks of changing the world,
but no one thinks of changing himself.
******************************************

*****************************************************
Everyone thinks of changing the world,
but no one thinks of changing thyself.
*****************************************************

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

বাউলিয়ানা এর ছবি

এবার বোঝ.‌‌.....কেন আমরা সবাই তীরুদা'র লেখার ভক্ত।
গল্প এক কথায় অসাধারন।

তীরন্দাজ এর ছবি

ইদানীং সময়ের অভাবে লিখতে পারিনা। তবে আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে যে করেই হোক সময় করতে হবে। ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

তীরন্দাজ এর ছবি

খুশী হলাম খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষে এসে অনেক ভালো লাগলো।

তীরন্দাজ এর ছবি

আমিও যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম, কেমন যেনো অন্যরকম করে ফেল্লাম!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অসাধারণ মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। দারুণ, তীরু'দা!

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ আনোয়ার সাদাত। আপনার লেখাও আমার ভালো লাগে খুব!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

খেকশিয়াল এর ছবি

অনেকদিন পর আবার পড়লাম আপনার গল্প, অসাধারন! জয়তু তীরুদা!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তীরন্দাজ এর ছবি

জয়তু খেকশিয়াল ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তবে আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে যে করেই হোক সময় করতে হবে।

মনে থাকে যেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

অবশ্যই নজরুল ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন তীরুদা! খুব খুব ভালো লাগলো চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশী।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

এনকিদু এর ছবি

ভাল লেগেছে চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিঝুম এর ছবি

আপনার গল্প সমগ্র বের হবে কবে ?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তীরন্দাজ এর ছবি

এবার সময়ের অভাবে কুলিয়ে উঠতে পারলাম না ভাই। বেঁচে থাকলে, সুস্থ থাকলে অবশ্যই সামনের বইমেলায় বের করবো।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তারেক এর ছবি

সুন্দর হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুব, খুব ভাল লাগলো। আপনার গল্প নেটে পড়তে কেমন যেন লাগে। শক্ত বাঁধাইয়ের বই হলে আরাম পেতাম। চোখ টিপি

তীরন্দাজ এর ছবি

সামনের বছর পাবেন ইশতিয়াক... । ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাল্যবান এর ছবি

আমিও যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম, কেমন যেনো অন্যরকম করে ফেল্লাম!

কিভাবে লিখতে চেয়েছিলেন ? বলবেন কি ?
গল্প টি ভালো হয়েছে। তবু, একুশে ভোরের অংশে প্রবেশ করবার সময়েই মন তৈরী হয়ে গিয়েছিলো যে আপনি তাকে দিয়ে অসমসাহসী কিছু করাবেন। ফলে খুব চমকিত হয়ে পড়িনি। আপনার অন্য ভাবনাটা তাই জানতে ইচ্ছে করছে।
আরো একবার এই ভালো গল্পটির জন্য ধন্যবাদ।

আপনার গল্প আরো পড়বার প্রতীক্ষায়

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। শেষটা আমি এভাবেই করার পরিকল্পনা রেখেছিলাম।

সমস্যা, শব্দগঠন এ বাচনভঙ্গী নিয়ে। যে ভঙ্গীতে শুরু করছিলাম গল্পটি, শেষটা সেরকম রইল না। ধরুন, আপনি একজন শিল্পী, সেতার বাজান। ভালো বাজান। একটি বাজনা শুরু করলেন রাগ ভৈরবীতে, শেষের দিকে হঠাত রাগ জয়জয়ন্তী বাজিয়ে শেষ করলেন। এটা কখনোই হয়না, একজন ভালো বাদক কখনোই এমন করতে পারেন না।

আমার মনে হয়, আমি তেমনি কিছু একটা করে বসেছি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

চমকটা কোথা থেকে আসবে সেটাই ভাবছিলাম..
খুব ভালো হয়েছে।

তীরন্দাজ এর ছবি

চমকাতে পারলাম তো! ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আলাভোলা এর ছবি

চলুক

===================
আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।

তীরন্দাজ এর ছবি

খুশী হলাম খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ফাহিম এর ছবি

চমৎকার লাগলো। চমৎকার...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ঝরাপাতা এর ছবি

এতো অসাধারণ গল্প শেষ কবে পড়েছি মনে করতে পারছি না। সম্ভবত অনেক আগের এটা


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

তীরন্দাজ এর ছবি

এতো বিশাল প্রসংশা আপনার! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যথারীতি তীরন্দাজীয়। মানে দুর্দান্ত!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার মন্তব্যে খুশী হলাম! অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

s-s এর ছবি

একদম ছোটগল্প ! শেষটা খুব চমক বলবো না, আমার কাছে মনে হলো মিষ্টি , খুব মিষ্টি ভালো লাগে এমন অনুভূতি! কিন্তু শেষ হয়েও না হইলো শেষ এর স্বাদটা পাইনি আসলেই, যে কারণে গল্পটিকে চমকদার হিসেবে নয় , বরং আশা জাগানিয়া হিসেবে দেখতে আমি আগ্রহী। শ্রদ্ধেয় তীরন্দাজদা কে একুশের চেতনার সময়োপযোগী একটি দারুণ গল্প দেবার জন্য শ্রদ্ধা সম্মান আর ধন্যবাদ জানাই।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ, তীরুদা! চলুক

তীরন্দাজ এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার কথায়! ভালো থাকবেন ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তানবীরা এর ছবি

এই কনক্লুশনটা কেনো জানি শুধু গল্পে আর ফিল্মে হয়

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তীরন্দাজ এর ছবি

একুশের দিনে যদি একটু আশার আলোক দেখা যায়, সেই ভরসাতেই.....! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।