• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ছোটগল্প: স্বপ্ন বলেই আছি!

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ০৯/০৩/২০০৯ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্ন বলেই আছি। নইলে কোথায় মিলিয়ে যেতাম, কে জানে! একটু শিশির ঝরলেই বিন্দু বিন্দু জল পড়ে পাতার শরীরে। সে বিন্দু জমে জমে পাতার অনাঘ্র শরীরে ফোঁটা হয়ে থমকে দাঁড়ায় ক্ষণিকের জন্যে। সেদিকে তাকিয়ে বারবারই বুদ হয়ে নিজের ভেতরে প্রবেশ করি ক্ষণিকের জন্যে। সপ্নগুলো সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে জানলার পাশে। কখনো বন্ধ করে দিই জানলা। পর্দাগুলো টেনে টুনে অন্ধকারে আকড়ে ধরি নিজেকে। কিন্তু ওরা তারপরও আসে, আসবেই! আমাকে চেনে ওরা। আমিও তো আগের একই, স্বপ্ন বলেই আছি।

বাঁ’পাশে এঁকে বেঁকে বয়ে চলা একটি নদী। একটা দু’টো নৌকা চলে, কোথাও এপার ওপার হয় কিছু মানুষ। তীরে সামান্য সমতল রেখে বিশাল পাহাড় আকাশকে বন্ধু করেছে। সে তীর ঘেসেই কারো কারো বাড়ীর আঙ্গিনা পেরিয়ে এগিয়ে গেছে সামনের পথ। আঙ্গিনায় ঢোকার কাঠের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় রাতে। সকালবেলা একের পর এক খোলা হয় দরজা। যে যার পশরা কাধে গ্রাম পেরোয় পথিকের দল।

সকাল হবার কিছুটা আগে আমরা তিনজন সে পথে। আগে থেকে কেউ কাউকে চিনি না। পথেই পরিচয়। আমাদের মাঝে একজন টাকামাথার শান্তু শিষ্ট মানুষ। হয়তো দূরের বাজারের কোন দোকানী পশরা কাঁধে বাজারে ফিরছে। ভালো লাগলো ওকে, নির্ভর মনে হলো। স্বপ্নের পেছনে পছনে অনেক পথ পেরিয়েছি। একটু নির্ভরতা খোঁজ পেলে আকড়ে ধরতে চাই বারবারই। তাই শান্তকেই কাছাকাছি রাখতে চাইলাম বারবার। আরেকজন যে আমাদের সঙ্গী, তার উস্কোখুষ্কো চুল, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চোখের চাউনীতে ধূর্ততা, চেহারায় লাম্পট্যের উগ্র ছাপ। পরণের প্যান্টটি ছিড়ে ছিড়ে হাঁটু অবধি উঠে এসেছে প্রায়। দেখেই মনে হলো এই পথে আমাদের দুজনের একজনকেই শিকার হিসেবে বেছে নিয়েছে সে। সেটা টেরও পাওয়া গেল বেশ। একবার শান্তকে আরেকবার আমাকে কাছে টেনে নানা কথায় পাগল করে ফেললো। সকালের নরম রোদের আরামও ওর জ্বালায় বিরক্তিকর হয়ে উঠলো।

আমি শান্তকে একপাশে রেখে অশান্তকে ঝেড়ে ফেলার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে এগিয়ে চললাম পথে। রোদের আলো অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠলেও মনে হলো এখানকার মানুষদের ঘুম যেনো একটি দেরীতেই ভাঙ্গে। কাঠের দরজাগুলো খোলা হয়নি। একজন দু’জন জেগে উঠলেও অলস শরীরে বসে আছে বারান্দায়। কেউ কেউ বাগানো ছোটখাটো কাজ শুর করলোও দরজা দিকে নজর দেয়নি এতো সকালে। আমরা সাবধানে দরজার আগল খুলে সামনের জন্জাল সরিয়ে নিজেরাই পথ করে নিলাম। ওরা আমাদের দিকে বিরস আর বিরক্ত মুখে তাকালেও কোন কথা বললো না। আমরা এগিয়ে চললাম। সকালের শিশিরে তখনো ভিজে আছে পথ। বাঁ’পাশের নদীর শরীরে ভালোবাসার মতো লেপ্টে আছে কুয়াশা। আমরা একের পর একেকটি ভারী আধভাঙ্গা দরজার সামনের জন্জাল সরিয়ে এদের বিরস দৃষ্টিকে গায়ে মেখে এগিয়ে গেলাম। স্বপ্ন বলেই আছি, নইলে কোথায় মিলিয়ে যেতাম, কে জানে!

অশান্ত এসে হাত রাখলো কাঁধে। নিজের ভাবনায় ডুবে ছিলাম। চমকে উঠলাম তাই। কোমরের বেল্টে বাঁধা জীবনের বাকী সময়ের পাথেয়র কথা ভেবে ভয় হলো খুব। শান্ত ওর দিকে বিরক্তমুখে তাকিয়ে আরো বেশী নদীর দিকে সরে গেলো। আশান্ত সেদিকে একবার তাকিয়ে আমার দিকে মুচকি হাসলো। এরই মাঝে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি পাথরে হোঁচট খেতে খেতে আমার মুখের দিকে তাকাতে তাকাতেই নিজেকে বাঁচিয়ে নিল কৌশলে। কিন্তু পাথরটিকে নোংরা এক গালি দিতে ভুললো না। তারপরই বললো,

- আমার সঙ্গে যাবে তুমি?
- তোমার সঙ্গে কেনো যাবো? নিজের পথ আছে, জীবন আছে, সেদিকেই যাবো।
- আমার সাথে চলো। সপ্নরা সবসময় আমার সাথেই যায়।

ভেতরের ভয়কে সামাল দিয়ে মনে মনে নিকুচি করলাম অশান্তের। খুব ইচ্ছে হলো, যাতে দরজার সামনের জন্জাল গুলোর মতোই সরিয়ে দিই ওকে। কিন্তু সে সাধ্য হলোনা আমার। জোঁকের মতো লেপ্টে রইলো সে আমার শরীরে শরীরে, ছায়ার বিভিন্ন ভাঁজে। চোখের সন্ধানী চাউনীতে বিজয়ের হাসি, মনে হয় যেনো পুরোটাই পড়ে ফেলেছে আমার ভেতরের আমিকে। পালানোর চেষ্টা করলাম বারবার। পারলাম না। অশান্ত পথের নানা পাথরের গায়ে হোঁচট বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে আমার সাথেই এগিয়ে চললো।

- তোমার নাম কি?
- তোমাকে নাম বলতে যাবো কেনো? পথে দেখা, পথে পরিচয়, পথেই শেষ! নাম জেনে কি হবে।
- না বলতে চাইলেও তোমার নাম জানি আমি।
- জানো? তো বেশ করেছো! আবার জানতে চাইছ কেনো?
- এমনিতেই। তোমার সাথে কথা বলতে বেশ ভালো লাগে আমার।
- আমার তো ভালো লাগেনা! যাও, শান্তর সাথে গিয়ে গল্প করোনা কিছুক্ষণ। আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দাও!
- ওর সাথে কথা বলবো কি? ওতো নেই!
- নেই মানে? একটু আগেও তো দেখলাম ওখানে!
- নেই! পালিয়েছে।

শুকনো মুখে এদিক সেদিক তাকালাম আমি। একটু ভরসা ছিল, দু’জনে মিলে সামলাবো এই ঠককে। এখন সে ভরসাটুকুও মিলিয়ে গেলো বুদবুদের মতো। ভেতরে ভয় চুড়ান্ত সীমায় উঠলো এবার। কোমরের বেল্টটি আঁকড়ে ধরলাম আবার। অশান্তুর প্রায় হাঁটু অবধি ছেড়া প্যান্টের পকেটে একটি পিস্তলের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠলো আমার চোখের সামনে। বুঝলাম, আমার আর আমার সপ্নের শেষ এখানেই।

পৃথিবীটা যেদিকে ঘোরার সেদিকেই ঘোরে। এর সাথে সপ্নের কোন সম্পর্ক নেই। চোখের সামনের খালি মদের বোতল আছড়ে সহজেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা যায়। কিন্তু জোড়া দেয়া যায়না। আমরা আমাদের সপ্নে যা ভাঙ্গে, সহজেই জুড়ে ফেলি আবার। আমাদের ঘরের বন্ধ জানলা পেরিয়ে সপ্নগুলো একের পর এক এসে ঢুকে পড়ে আমাদের ভেতরে। আমরা শুন্য থেকে মহাশুন্যেও অনায়াসে নিজেদের অস্তিত্বকে নিজ হাতে ছুঁয়ে বিষ্ময়ে বুদ হয়ে থাকি।

অশান্তের সাথে যখন দেয়ালঘেরা ভূতুড়ে বাড়ীটির সামনে এসে দাঁড়ালাম, তখন দুপর অনেকটা পথ গড়িয়ে গড়িয়ে থমকে এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। এর মাঝে একদিন, দু’দিন- ক’টা দিন অশান্তের সাথে নদীপড়ের এই পথ পেরিয়েছি, তা বলতে পারবো না। হতে পারে, একটি মাত্র দিন, হতে পারে অনন্ত কোন সময়। ভাঙ্গা ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছমছমে ভয়ের এক অনুভুটি টের পেলাম ভেতরে। না খুলে ভাঙা ফটকের ফাঁক দিয়ে ঢুকলাম ভেতরে আমরা দু’জন। বাইরের ছায়া ছায়া রোদে সোডিয়ামের রং ধরেছে মাত্র।

বাড়ীটির চারপাশে শুধু গাছ আর গাছ। বেশ অযত্নে বেড়ে উঠলেও এক ভালোবাসার ছাপ চোখে পড়ে যায়। বর্গাকার দেয়ালঘেরা সীমানায় হাজারো গাছের মাঝে লুকিয়ে আছে দোতালা বাড়িটি। দোতালায় পুরোনো, ভাঙ্গা কাঠের রেলিং ঘেরা বেশ বড় এক বারান্দা। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে সেই বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম দু’জনে। সামনে বেশ পুরোনো, কিন্তু দামী কাঠের এক টেবিল ও চারপাশে কয়েকটি হাতল লাগানো চেয়ার। আমাকে সেখানে বসতে ইশারা করে অশান্ত বাড়ীর ভেতরে ঢুকলো। কিছুক্ষনের মাঝেই বেরিয়ে এলো এক পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের এক মহিলাকে সঙ্গে করে। সাধারণ পোষাকের এক মহিলা। হয়তো দুপুরের রান্নাবান্নার কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। কাপড়ে মশলা ও জলের স্পর্শ। তবে হাসিখুশী চেহারার মাঝে যতটুকু গাম্ভীর্য, তা স্পষ্ট জানান দিল, এই বাড়ীর কত্রী এই মহিলাই। আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন ওনি। কিন্তু এই হাসির মাঝে কোথাও কোন এক রহস্যের উপস্থিতি ষ্পষ্ট হলো আরো।

- আমার মেয়েটিকে নেবে তুমি? ও তোমার কাছে ভালো থাকবে!

চমকে মহিলার দিকে তাকালাম আমি। বাইরের শুকনো পাতার মড়মড়ে আওয়াজ আরো বেশী শুনতে পেলাম। এরই মাঝে ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের হাত ধরে দাঁড়ালো দশ-এগারো বছরের একটি মেয়ে। খালি পা, পরণে ফুলতোলা ফ্রক। মায়ের কাছে দাঁড়িয়েই আমার দিকে তাকালো পরম নির্ভরতায়। এতোটা নির্ভরতার উৎস কি, বোঝার ক্ষমতা হলোনা আমার। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে, মায়ের হাত ছেড়ে রেলিংএর অন্যদিকে দাঁড়িয়ে নীচের কাউকে কি যেন বললো জোর আওয়াজে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে থেকেও সে কথা শুনতে পেলাম না।

- মেয়েটিকে নেবে তুমি? রাখবে আমার অনুরোধ?
- আমি! আমি কেনো তোমার মেয়েকে নিতে যাবো?
- ও তোমাকে সেজন্যেই খুঁজে বের করেছে। লোক চেনায় ওর কোন ভুল হয়না কখনো।

বলেই অশান্তের দিকে তাকালেন মহিলাটি। অশান্তের মুখে মৃদু হাসি। কিন্তু সে হাসিতে আমার সংশয় আরো বেশী বেড়ে গেলো। নিজের ভেতরে অনিশ্চয়তাকে চেপে রেখে মহিলার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম,

- তোমার মেয়েকে আমি নেবো! ..... কিন্তু তুমি কোথায় যাবে?
- ক’দিন পরই আর থাকবো না আমি, এই বাড়ীও থাকবে না।
- কেনো?

কোন উত্তর না দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন মহিলাটি। তার চোখ বেয়ে যে মিনতি ঝরলো, তা বিদ্ধ করলো আমাকে। কোন প্রশ্ন করার সাধ্য রইল না আর। বাড়ীর আরো কিছু বাসিন্দার সাথে মিলে মিশে দুপুরের খাবার সারলাম সবাই। মহিলাটি নিজে কতটুকে খেতে পারলেন জানিনা, মনে হলো তদারকিতেই ব্যাস্ত রইলেন সারাক্ষণ। খাবার শেষ হবার সামান্য পরেই যে যার কাজে চলে গেল বাড়ীর সীমানার ভেতরেই। চারপাশের সবার কথা শুনতে শুনতে একসময় চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম হয়তো। ঘুম যখন ভাঙ্গলো, তখন অনেকটাই গড়িয়েছে বেলা। দেখি, কেউ নেই টেবিলে। খাবারের বাসনপত্রও সরানো হয়ে গিয়েছে। বাইরের রোদে সোডিয়ামের রং আরো স্পষ্ট হয়ে লেগেছে। সে রোদের হালকা প্রকোপেও আমার শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘাম। বুকের ভেতরের কাঁপন জমে জমে এক অস্থরতা ছড়ালো মগজের কোষে কোষে। তার প্রভাবেই হয়তো টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। দাঁড়িয়েই এই একাকীত্বের সুযোগ নেবার কথাটি মাথায় এলো চকিতে। সিড়ি বেয়ে বেয়ে নি:শব্দে নেমে এলাম নীচে। কেউ আমার দিকে তাকালো না। গেটের কাছে অশান্তর মুখোমুখি পড়ে ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু আমাকে কিছুই বললো না ও। আমাকে অবাক করে একবার তাকিয়ে মৃদু হাসলো মাত্র। ভাঙ্গা ফটকের ফাঁক গলে আবার বেরিয়ে এলাম পথে। এক বুক নি:শ্বাস ছেড়ে এগিয়ে গেলাম সামনে দিকে।

এবার আমার আপন পথে আমি একা। কোন ভয় নেই, কোন সংশয়ের আভাসমাত্রও নেই। পথের দরজার সামনে জন্জাল সরানোর ভার আর নেই। কারো কোন বিরস দৃষ্টি আমাকে বিদ্ধ করেনা আর। আমি এক মুক্ত মানুষ। কিন্তু কোথাও কোন এক ছন্দপতন আমাকে জড় করে দিল। সপ্নের রেলগাড়ি, বাস, নৌকো প্রতিবারই আমাকে রেখেই তাদের পথে পাড়ি দেয়। আমার পায়ের পাতাগুলো প্রতিদিনই আরো বেশী ভারী হতে শুরু করলো। আমার ঠিকানার দূরত্ব প্রতিদিনই আরো বেশী বেড়ে চললো। তারপরও পথ আর প্রান্তর পেরিয়ে এগিয়ে গেলাম আমি। কতো দিন আর কতো অনন্ত সময়, তার কোন হিসেব নিকেশের ক্ষমতা রইলো না আমার। কোন এক সকালে দেখি সেই বাড়ীর ভাঙ্গা ফটকের সামনে আবার দাঁড়িয়ে আমি। পা যেন আটকে গেল মাটিতে। একেবারেই চলতে পারলাম না। এমনকি বাড়ী ভেতরেও ঢুকতে পারলাম না। অক্ষম, অসাড় শরীরে দাঁড়িয়ে রইলাম বাড়িটির সামনে।

একসময় ছোট্ট একটি হাত এসে পরম নির্ভরতায় জড়িয়ে ধরলো আমার অবশ বাহু। সে ছোট্ট হাতের মানুষটি আমার চোখের দিকে তাকালো একবার। তার পরণে শোকের কালো পেষাক, মুখে বিষন্ন হাসি। তারপর বললো,

- চলো যাই!

আমিও হাত রাখলাম তার কাঁধে পরম মমতায়। সংশয়হীন মনে ধীরপায়ে এগিয়ে গেলাম সামনে। বাড়িটি পড়ে রইলো পেছনে কোন এক স্বপ্নের আবাস হয়ে। স্বপ্ন বলেই আছি। নইলে কোথায় মিলিয়ে যেতাম, কে জানে!


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঠিক বুঝিনি, তীরুদা। (মনখারাপ)

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তীরন্দাজ এর ছবি

স্বপনটি এভাবেই দেখেছি, সে স্বপ্নের ঘোরেই লিখেছি! বোঝাব কি, এখনো সে ঘোরেই আছি। ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমি অল্প অল্প বুঝেছি (হাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তীরন্দাজ এর ছবি

বাঁচা গেলো ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হিমু এর ছবি

সপ্নকে স্বপ্ন করার জোর দাবি উত্থাপিত হলো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তীরন্দাজ এর ছবি

সংশোধনী প্রস্তাব সানন্দে ও আন্তরিক ধন্যবাদের সাথে গ্রহন করিলাম হিমু!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বর্ণনা ভঙ্গিটা খুব ভালো লাগলো...
তীরুদা বস...
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের অপেক্ষায় আছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

আমিও সে অপেক্ষায় নজরুল ভাই। ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

দময়ন্তী এর ছবি

আমার বেশ ভাল লাগল৷
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তীরন্দাজ এর ছবি

খুশী হলাম জেনে। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- স্বপ্নের মজার ব্যাপারটাই হলো এখানে। কোনো প্রচলিত ঘরাণার সেলুলয়েডে ফেলা যায় না একে। অথচ কী সুন্দর, ঘটনাময় হয়ে চলমান থাকে সে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তীরন্দাজ এর ছবি

ঠিক! খুশী হইলাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নাজনীন খলিল এর ছবি

পৃথিবীটা যেদিকে ঘোরার সেদিকেই ঘোরে। এর সাথে সপ্নের কোন সম্পর্ক নেই। চোখের সামনের খালি মদের বোতল আছড়ে সহজেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা যায়। কিন্তু জোড়া দেয়া যায়না। আমরা আমাদের সপ্নে যা ভাঙ্গে, সহজেই জুড়ে ফেলি আবার। আমাদের ঘরের বন্ধ জানলা পেরিয়ে সপ্নগুলো একের পর এক এসে ঢুকে পড়ে আমাদের ভেতরে। আমরা শুন্য থেকে মহাশুন্যেও অনায়াসে নিজেদের অস্তিত্বকে নিজ হাতে ছুঁয়ে বিষ্ময়ে বুদ হয়ে থাকি।

এই লেখাটি সত্যিকার অর্থেই 'ভয়ংকর'ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই দারুন লাগলো!!
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম

শাহীন হাসান এর ছবি

গল্পে এটাই চরিত্র। একটাই চিন্তা। একটাই দর্শন। একটাই মানুষ। একটাই ভয়! লেখাটির ভেতরে ভেতরে পরোতে পরোতে কাঠিন্য আছে এবং তা ভেদ করে ক্রমশ লেখাটির ভেতরে তিনজন মানুষের জন্ম হয়েছে অসাধারণ ভাবে। জন্ম হয়েছে দ্বদ্বের। সংশয়ের। এই আমাকে মনস-াত্বিক ভাবে তিনখণ্ডে ভাগ করে ফেলা? অতি-নিপুণ শৈলী । আর সর্বপরি এটাই গন্তব্য। সে হলো : ‌‌‌‌' হতে পারে একটি মাত্র দিন, হতে পারে অনন- সময় ' ঐ অনন্ত সময়ের পথে, মৃত্যুর ওপারে স্বপ্নের ভেতরে গল্পের নায়ক রওনা হয়েছিল বলে রক্ষা? ....

(আমিও হাত রাখলাম তার কাঁধে পরম মমতায়। সংশয়হীন মনে ধীরপায়ে এগিয়ে গেলাম সামনে। বাড়িটি পড়ে রইলো পেছনে কোন এক স্বপ্নের আবাস হয়ে। স্বপ্ন বলেই আছি। নইলে কোথায় মিলিয়ে যেতাম, কে জানে)!

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহীন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সত্যিই এটি স্বপ্নে দেখেছেন,
সে থেকেই লিখেছেন?
দারুণ তো! :O

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তীরন্দাজ এর ছবি

স্বপ্নটি দেখার পর সাথে সাথেই নিখতে বসে গিয়েছিলাম। আসলেই মজার। এমনি বেশ কয়েকটি গল্প স্বপ্নের কল্যানেই লিখতে পেরেছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।