এক সপ্তাহের ছুটিতে এতো দূর পথ পাড়ি! ইন্টারনেটে ইটালীর এলবা দ্বীপে বাংলো, আর ফেরির টিকিট বুক করে দূরত্ব হিসেব করে কিছুটা চিন্তাই হলো। কিন্তু “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”। গত শীতে ঝিমিয়ে আছি এখনও। বছরের এই সমটিতে যতো বেশী দক্ষিনে যাওয়া যায়, উষ্ণতা পাবার সম্ভাবনা ততোই বাড়ে। উড়োপথে আরো দক্ষিণে পাড়ি দেয়া গেলেও নিজের গাড়ীতে করে যাওয়াটাই ভালো লাগে বেশী। মালপত্র গুছানোর সময় থেকেই ছুটি
ছুটি অনুভব এসে ভর করে। তখন পুরো যাত্রাপথেই বেড়ানোর আনন্দ ঘিরে থাকে। জার্মানরা কিন্তু অন্যরকম। তারা হাইওয়ে ধরে চালিয়ে সোজা গন্তব্যস্থলে পৌঁছুতেই অভ্যস্ত। তারপর শুরু হয় তাদের ছুটির আমেজ। আমি ছোট ছোট রাস্তা ধরে ধীরে সুস্থে শহর, গ্রাম দেখতে দেখতে এগুতে ভালোবাসি।বউ জার্মান হলেও আমার এই ছন্দের সাথে ভালোই তাল মিলিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এবার আমাদেরকে হাইওয়ের শরণাপন্ন না হওয়া ছাড়া গতি নেই। পিওমবিনোতে ফেরী সময়মতো ধরতে পারা দরকার। আটশো কিলোমিটারের পথ! এর আগে সিসিলি আর দক্ষিন স্পেন উড়েই গিয়েছিলাম। ওড়া বেশ আরামদায়ক হলেও ছুটির আমেজ তেমন একটা পাইনা।
রওয়ানা হলাম শনিবার ভোর সাড়ে তিনটায়। দিনের বেলাই গাড়িতে মালপত্র তুলে রেখেছিলাম। তাই এই হাড়কাট্টা সকালে এককাপ কফি খেয়ে রওয়ানা
হওয়াটাই মূল কাজ। বেশীরভাগ ইওরোপীয়ান দেশের হাইওয়েতে আলো থাকেনা। ঘুটঘুটে অন্ধকার! ঘুম কম হওয়ার আলস্যে বেশ সমস্যাই হলো গাড়ী চালাতে। অন্য গাড়ীর আলো চোখে পড়লেই মনে হয়, যেনো সাঁতার কাটছি এই আলো আধারীর ঢেউয়ে। বেশ বিপদজনক ব্যাপার! জার্মানীর হাইওয়েতে কোন গতিসীমা নির্ধারণ করা থাকে না বলেই গতির তারতম্য গাড়ী চালানোকে আরো বেশী বিপদজনক করে তোলে। আমি একশো পঞ্চাশে চালালোও হুশ করে কেউ
একজন দু’শোরও বেশী গতিতে আমাকে ওভারটেক করবে। তাই নিজে যদি কাউকে ওভারটেক করি, খুব সাবধানে করতে হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরই ভোর হচ্ছে, সেই আনন্দে চালিয়ে যেতে পারলাম। বউ পাশে বসে সাবধান থাকলো, নানারকম গল্প করলো, যাতে আমি যেনো চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে না পড়ি।
জার্মানীতেই আল্পস পর্বতমালা শুরু হয়। দেড় ঘন্টার মাঝে জার্মানী পেরিয়ে অস্ট্রিয়ায় পৌছে গেলাম। সেখানে পাহাড় আরো উঁচু, চলার পথ আরো বেশী
বন্ধুর। হাইওয়েতে রাতে গতিসীমা একশো দশ, দিনে একশো তিরিশ।‘ব্রেনার পাস’ পেরিয়ে পৌঁছাবো ইটালী সীমানায়। বিশাল উঁচু উঁচু ব্রিজ বানিয়ে পাহাড়ের পর পাহাড় জোড়া লাগানো হয়েছে। সবচেয়ে উঁচু অংশটি সমুদ্রসীমা থেকে ১৪০০ মিটার। প্রায় সত্তুর কিলোমিটার অস্ট্রিয়া পেরুনোর পর ঢুকলাম ইতালীতে। তখন সুর্যের রঙ লেগে একটু একটু আলো ফুটছে আকাশে।
ইটালীর হাইওয়েতেও একশো তিরিশ গতিসীমা। পাহাড়ী এলাকাগুলোতে ওরা ব্রীজের পর ব্রিজ ও অসংখ্য লম্বা লম্বা টানেল বানিয়ে সুগম করেছে পথ। বেশ
সাবধানে চালাতে হয় গাড়ী। আমাদের সামনে তখনও প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটারে পথ। হাইওয়ের পাশে ফিলিং ষ্টেশন আর রেষ্টুরেন্ট রয়েছে তিরিশ চল্লিশ কিলোমিটার পরপর। সেখানে থেমে কফির কাপ সামনে নিয়ে কিছুটা বিশ্রাম নেবার পর চালকের দ্বায়িত্ব নিল বউ। আমি কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে আবার হাল ধরবো।
ফ্লোরেন্স পেরিয়ে, পিজা আর লুকার পাশ ঘেসে, লিভোর্নের উপকূল ধরে যখন পিওমবিনো এসে পৌঁছলাম, তখন দুপুর একটা। ইটালীর এই এলাকাটির নাম তসকানা। সমুদ্র থেকে কিছুদুর পেরিয়ে মধ্যউচ্চাতার পাহাড়ের কোলে ছোটবড় শহর। এখানকার জলপাই, লাল মদ ও জলপাই তেলের রুটির বেশ নামডাক।
বেড়ানোর জন্যে আদর্শ জায়গা। আর এখানকার চলন বলন আর সংস্কৃতির সাথে মিলে মিশে এক হয়ে যেতে পারলে আরো ভালো। শিল্প আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রমান হিসেবে ফ্লোরেন্সের ক্যাথিড্রাল, ডেভিডের মুর্তি আর পিজার বাকানো চুড়ো তো পৃথিবী বিখ্যাত। আগেও কয়েকবার গিয়েছি এসব শহরে, তবে এবার আমাদের যাত্রা অন্যদিকে। তারপরও পিজার পাশ কাটিয়ে যেতে বেশ খারাপই লাগলো।
পিওমবিনো থেকে এক ঘন্টার পথ ফেরীতে। শান্ত সমুদ্র। এলবার প্রধান সমুদ্র বন্দর পোর্টাফেরায়ওতে এসে থামলো আমাদের ফেরী। ওখান থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দুরে কাপোলিভেরি নামে ছোট্ট এক শহরে আমাদের বাংলো।
নেভিগেটর থাকলেও সহজে পাওয়া গেল না। পাহাড়েরর গায়ের রাস্তাগুলো বের করায় অনেক সময়েই ভুল করে নেভিগেটর। একবার ভাঙ্গাচোড়া এক রাস্তা বেয়ে পাহাড়ের চুড়োই এমনি এক জায়গায় পৌঁছলাম, সেখান থেকে নেমে আসার জন্যে ইঞ্চি ইঞ্চি হিসেব করে গাড়ী ঘোরাতে হলো। বউয়ের তো ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া! আমারও, তবে তা বউকে না জানানোই ভালো।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় একশো মিটার উঁচুতে পাহাড়ের কোল ঘেসে বাংলোটি। বুক কাঁপানো চড়াই উতরাই, আর আঁকাবাকা সরু পথ পেরিয়ে পার্কিং লটে এসে থামলাম। বাংলোটি দেখেই ভালো লেগে গেলো। ছিমছাম সাজানো, বারান্দায় বসে সামনে খোলা সমুদ্রের দিকে চোখ পড়ে। দূরে একটি ডুবো পাহাড় তিমি মাছের মতো নীল জলে পিঠ ভাসিয়ে সাতার কাটছে। তিনটি বাংলো পাশাপাশি। আমাদের পাশেরটায় আরেক জার্মান পরিবার ওদের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে আজই এসেছে। শিশুদের ভালোবাসতে দেরী হয়না আমার, তাই আমার সাথেই খাতির হয়ে গেলো মেয়েটির।
অনেকগুলো পাহাড় নিয়ে সাজানো ছোট্ট এক দ্বীপ এলবা। ইটালীর মূল ভুমি থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে। লম্বায় কুড়ি কিলোমিটারের মতো, চওড়ায় গড়ে পাঁচ কিলোমিটার। সবচেয়ে উঁচু পাহাড়টি উচ্চতা ১১৫০ মিটার। প্রায় প্রতিটি
রাস্তাই পাহাড়ের কোল ঘেষে ঘেষে সাপের মতো একেবেঁকে ওঠে আবার নেমে গেছে অন্যদিকে। রাস্তা কখনো এমন ভাবে সমুদ্রের দিকে নেমেছে যে, মনে এক্ষুনি গাড়ী শুদ্ধই ঝাপিয়ে পড়ছি জলে। খুব বিপদজনক এক একটি বাঁক, গাড়ী চালানোয় দক্ষ না হলে যথেষ্ট বিপদের সম্ভাবনা। আমি এ ধরনের রাস্তায় চালাতে অভ্যস্ত ও পছন্দ করি বেশ। বউও আমার উপর ভরসা করতে পারছে বলে মনে হলো।
ইতালী দ্বীপগুলোর মাঝে আকারে তৃতীয় বৃহত্তম প্রায় ৩২০০০ লোকের বাস।গ্রীস্মের ছয়মাসে এই লোকসংখ্যার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ট্যুরিস্ট আসে
এখানে ছুটি কাটাতে। আমরা যখন এলাম, তখন গ্রীস্ম শুরু হয়েছে মাত্র। মনে হলো, এলাবাসীরা তখনো শীতের ঘুম থেকে পুরো জাগেনি। রেষ্টুরেন্টের বেশীরভাগই খোলার জন্যে ঘসেমেজে সাজানো হচ্ছে মাত্র। সাগর সৈকতে লোকজনের আনাগোনা একেবারেই কম। সেটাই ভালো হয়েছে আমাদের জন্যে। ট্রাফিক জ্যামের ঝামেলায় পড়তে হয়নি। ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতে পেরেছি। রাতে ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা আরামদায়ক আবহাওয়া।
অনেকটা মাছের দেখতে এলবা। এক সপ্তাহ চষে বেড়ালাম ইচ্ছেমতো। প্রতিদিন নতুন এলাকা, পাহাড়ের চুড়োয় দাড়িয়ে অজানা গাছ আর ফুলের জানলা পেরিয়ে
সাগরের নতুন অবয়ব। প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এক অফুরন্ত সমারোহ। খুব তাড়তাড়িই কেটে গেলো একটি সপ্তাহ। একদিন জাহাজে করে দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম অংশ ঘুরে বেড়ালাম। বেশ মজার জাহাজ। খোলের বেশ বড় একটি অংশ শক্ত কাঁচের তৈরী। একটি পুরোনো ডুবন্ত জাহাজের ধ্বংসস্তুপের কাছে এসে থামলো। পানিতে
মাছের খাবার ছুড়ে ফেলা হলো। হাজার হাজার মাছ জমে গেলো চারপাশে। আমরা জাহাজের খোলে বসে বসে সাগরের নীল জলে মাছের জীবন দেখে মোহিত হলাম।
এলবা নিয়ে আর বেশী লিখে বিরক্ত করতে চাইনা। এক সপ্তাহ পর আবার ফেরী ধরলাম। ফিরে এলাম আবার শীতল জার্মানীতে। কিছু ছবি দিলাম। আশা করছি, ভালো লাগবে আপনাদের।
মন্তব্য
ছবি, বর্নণা, সব মিলিয়ে চমৎকার একটি ভ্রমন কাহিনী।
আফোসোস হয়, এখন আর আগের মত আপনার সাথে বেরুতে পারি না!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
হ্যা, সংসারের জ্বালা বড় জালা! আপনের বউরে আবার কইয়েন না, মাইরা ফালাইব আমারে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ উপভোগ করলেন ! ছবিগুলো তো আরো জোশ্ !
আচ্ছা তীরু দা', আপনার ছবিগুলো সবই সচলায়তনে আপলোড করা দেখছি ! আমার তো একটার বেশী ছবি আপলোড হয় না। আপনার আপলোড পদ্ধতিটার রহস্য জানাবেন কি ? ছবি নিয়ে বড় সমস্যায় আছি ! আমি শিখতে চাচ্ছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সচলায়তনে ছবির একটি ডেটাবেজ আছে। ব্লগ লিখার পর, লেখার নীচে, ছবি যোগ করার যে "+ছবি" চিহ্নটি রয়েছে, সেখানে ক্লিক করলেই ডেটাবেজে ছবিটি যোগ করার বিভিন্ অপশন সহ একটি উইন্ডো খুলবে। সেখানে ছবির ডাইরেক্টরী, ক্যাপশন ইত্যাদি দেবার পর সংরক্ষন করলেই ছবিটি আপনার বলগের পাতায় যোগ করার আরেকটি উইন্ডো খুলবে। সেখানে ছবির আকার, পজিশন ইত্যাদি দিয়ে "যোগ কর " ক্লিক করলেই ছবিটিট লিংক আপনার ব্লগে দেখা যাবে। এভাবে একটি পর একটি আলাদা আলাদা ছবির লিংক তৈরী করে ব্লগ সংরক্ষণ করলেই আপনার ব্লগে ছবিগুলো দেখা যাবে।
এটা আমার পদ্ধতি। হয়তো অন্য কোন ভালো পদ্ধতিও থাকতে পারে। হিমু ক'দিন আগে একজনকে বলেছিল, সাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ টেবল করে ছবি যোগ করে আপলোড করা যায়। সেটা হিমুকে ভালো করে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে।
শুভকামনা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছবি গুলা দেখেই ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আসলেই এই সৌন্দর্য অতুলনীয়। আমি বড় বড় শহরে ঘুরতে কেমন একটা ভালোবাসি না, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সেখানেই ছুটি বারবার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কঠিন লাগলো। আমি সড়কপথে একবার কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ভেরবানিয়া গিয়েছিলাম। অতি সুন্দর একটা লেক পরেছিল পথে। আর সেই উঁচু উঁচু পাহাঢ় সঙযোগকারী সেতূ তো ছিলোই।
আপনি কি ভেরোনার কথা বলছেন? রোমিও জুলিয়েটের শহর? ওখানে একটি আম্ফি-থিয়েটারও আছে। প্রতিবছর "আয়িদা" ওপেরা দেখানো হয়।
ভেরোনা যাবার সময় "গারডা লেক" পড়ে। খুব সুন্দর লেক উচু পর্বতমালার মাঝে। প্রায় সাতাশ কিলোমিটারের মতো লম্বা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নাহ্ ভেরোনায় যাওয়া হয় নাই, যাবার কথা ছিলো। বলছি ভেরবানিয়ার কথা। সুইস বর্ডারও দেখা যায় ওখান থেকে।
ভেরবানিয়া দেখলাম এইমাত্র গুগল ম্যাপে। খুব সুন্দর বলে মনে হচ্ছে। বিশাল এক একটা লেক।
অবশ্যই যেতে হবে!
আপনাকে হঠাত অতিথি হিসেবে দেখে অবাক হলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ!
ইতালিয়ান পিৎজার ছবিও দেখতে মঞ্চায়...
তবে এইডা জার্মানীর ইটালীয়ান পিতসার ছবি। এলবারটা ভালা না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
উপভোগ্য
ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
লং ড্রাইভে যাওয়ার খুব শখ আমারো, কিন্তু গাড়িটা ছোট হওয়াতে সাহস করতে পারিনা। জাপানিজ লাইসেন্স পেয়েছিও বেশিদিন হয়নি (বছরখানেক)। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো- একটা ট্রাই দিতেই পারি তাহলে এবার।
আমার গাড়ী বড় হলেও পুরোনো। সাহসটাই বড় কথা। বেরিয়ে যান, দেখবেন ভালো লাগবে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমি একবার এলবা গিয়েছিলাম ১৯৯৮ সালে তবে কয়েক ঘন্টার জন্য। যতদুর মনে মনে পড়ে ওখানে একটি চকলেট বানানোর কারখানায় গিয়েছিলাম এবং পাহাড়ের উপড় কোন এক পুরোনো প্রাসাদ দেখতে গিয়েছিলাম।
একই সময়ে ভেরোনা যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। জুলিয়েটের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে সবই এখন ইতিহাস.....আবার যাইতে মঞ্চায়
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
গরম পড়সে, আর সবাই খালি ঘুইরা বেড়াইতেসে। দেইখা হিংসায় জ্বইলা যাই।
লেখা আর ছবি সেই রকম হইসে।
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ঘুরে এলাম ইটালীর এলবা দ্বীপ
বেশ লাগলো লেখাটি ...!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
আমি শুধু ইটালীর শহর দেখেছি, দ্বীপে এখনো যাই নাই। রোমে গেলে মনে হয় গুলিস্তানে গেছি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
জীবনে কখনো যাওয়া হয়তো হবে না, তাই আপনার চোখেই দেখে নিলাম এলবা দ্বীপ। লেখা, ছবি - সবই দুর্দান্ত।
বরারবরের মতই সুখপাঠ্য আপনার লেখার। আরো ভ্রমন আর লেখা হোক।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন