মিলানোর সুইজারল্যান্ড কনস্যুলেট ভিসা দিল না। শুরুতে খুব খাতির করে বসিয়ে ফর্ম এনে দিল। পূরণ করে জমা দিলাম। আধঘন্টা পরই নিজেদের অপারগতা জানিয়ে ফর্ম সুদ্ধ ফেরত দিল পাসপোর্ট। মেজাজ খারাপ হলো খুব। এতেদিন জেনেছি, পকেটে টাকা নেই বলে ভিসা দেয়া হয়না আমাদের। এখন টাকা পকেটে থাকার পরও ঝামেলা বাঁধাচ্ছে! ওদের সামনেই টুকরো টুকরো করে ফর্মটি ছিড়ে মেঝেতে ছড়িয়ে ফেলে দূতাবাস থেকে বেরিয়ে এলাম। ব্যাটাদেরকে এতো বেশী তোয়াক্কা করার ইচ্ছে হলোনা আর। তাছাড়া গ্রীসে ফিরে যাবার পথ তো খোলাই রয়েছে! এজেন্টকে দেবার মতো পর্যাপ্ত টাকাও রয়েছে পকেটে। একটি ভালো জাহাজে ভালো বেতনের চাকুরী পেতে সমস্যা হবার কথা নয়। মিলানোতে কোন কনস্যুলেট নেই বলে গ্রীসের সে ভিসার জন্যে এবার যেতে হবে রোমে, ওদের দূতাবাসে। তাতেও সমস্যা নেই। দক্ষিন ইটালীর ব্রিন্দিসি থেকে গ্রীসমুখো জাহাজ ছাড়ে। রোম হয়েই যেতে হয়। সেদিনই রোমের টিকিট কেটে চড়ে বসলাম ট্রেণে।
রোমের গ্রীক দূতাবাস ভিসা দিল কোন ঘাপলা না করেই। ভিসা পাওয়ার চেয়ে হেঁটে হেঁটে দূতাবাস খুজে বের করাটাই বরং বেশী কষ্টকর। ইটালীয়ানদের জাতের অহম খুব! ইংরেজী জানলেও সহজে বলতে চায় না। বাংলাদেশ দূতাবাসে যেতে ইচ্ছে হলো খুব। দেশ ছেড়েছি, প্রায় দেড় বছর হলো। বেশী দিন আগের কথা নয় বলেই হয়তো ইন্দ্রিয় তখনও অনেকটাই তরতাজা। মাঝে মাঝে কর্মচারীদের ব্যাবহার খারাপ হলেও দূতাবাসের ওয়েটিং রুমে বসেই বাংলাদেশের সোঁদা, সরস মাটির গন্ধ পাই। বুকের ভেতর এক চির চেনা শান্তির আবেশ নড়ে চড়ে জায়গা করে নেয়। ঠিকানা বের করে ইটালীয়ানদের বারবার জিজ্ঞেস করে এগুতেই দেখি দাঁড়িয়ে আছি সুইস দূতাবাসেরই সামনে। যদিও মিলানো থেকেই সুইজারল্যন্ডের পরিকল্পনা শিকেয় তুলে দিয়েছিলাম, তারপরও ঢুকলাম। আবারো হয়তো দেবে না ভিসা, এর বেশী আর কি! আমাকে অবাক করে পাঁচ মিনিটের মাঝে হয়ে গেল সুইস ভিসা। আমিও আনন্দে পাসপোর্ট বগলদাবা করে একটু দূরেই বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে রওয়ানা হলাম।
বাংলাদেশ দূতাবাসের লোকজন বেশ খাতির করলেও ইতালীতে পড়াশোনা সম্পর্কিত কোন ধারণা দিতে পারলেন না। নিজেও সুইস ভিসা হাতে পেয়ে ইতালী নিয়ে তেমন আর গা করতে চাইলাম না। ওখানকারই এক অফিসারের সাথে আলাপ জমলো খু্ব। আমার জাহাজী জীবনের কাহিনী ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা শুনে হয়তো ভালো লাগলো তাঁর। পাশাপশি আমার গত কয়েকদিনের খাওয়া দাওয়ার ফিরিস্তি শুনে মন খারাপ হলো ভদ্রলোকের। দুপুরের খাবার জন্যে তাঁর বাড়ীতে নিমন্ত্রণ জানালেন। আবোল তাবোল খেয়ে কাটিয়েছি বেশ কয়েকটি মাস, তাঁর দাওয়াত পেয়ে আর রসনা সংযত করতে পারলাম না। রওয়ানা হয়ে গেলাম তার সাথে।
স্ত্রী আর পাঁচ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে প্রবাসী জীবন তাঁর। সাদামাটা একটি এপার্টমেন্টে থাকেন। খুব যত্ন করে খাওয়ালেন এই নতুন পরিচিত ভাবী। আমিও হাভাতের মতোই খেলাম। খাবার পর সমাজহীন, সমবয়েসী বন্ধুহীন ওই শিশুটির সাথে আমার জমলো সবচেয়ে বেশী। দেশে থাকতে নিজের ভাই,বোন, ছোট ভাগ্নে, ভাগ্নীদের ভালোবাসতাম খুব। ওদেরকে নিয়েই ব্যাস্ত থাকতাম অবসরের অনেকটা সময়। এই শিশুটিকে দেখে আমার তাদের কথা মনে হয়ে গেলো। দুপুরের খাবার পর সারা বিকেলটা তাই ওর সাথেই কাটালাম। ও ওর খেলনার বাক্স বের করলো, আর আমি উবু হয়ে বসলাম মেঝেতে। এক বছর পর পারিবারিক পরিবেশের এই আস্বাদ পেয়ে আমার নিজের ভেতরটিও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো। বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এলো আমাদের খেলা শেষ হবার আগেই। রাতের ট্রেণেই জ্যুরিখ যাবো। আমাকে এগিয়ে যেতে হবে সামনে। এই অল্প, ক্ষণিক পরিচেয়ের পরও বাবা, মা, শিশুটি আর আমি, সবার চেহারাতেই বিষাদের ঘনঘটা। ওঁরা দুজন ছেলেকে কোলে করে খোদা হাফেজ বলে বিদায় নিলেও, ছেলেটি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইল। সহজেই বুঝতে পারলাম কারণটি। খোদা হাফেজ বলা যে সত্যিসত্যিই বিদায়, সেটা এই শিশুটিরও অজানা নয়। তাই বলতে চাইল না কিছুতেই। অবশেষে বাবা-মায়ের অনেক অনুরোধের পর একবার খোদা হাফেজ বলেই কেঁদে উঠলো জোরে। আমি একবার ওকে কোলে নিয়ে আদর করে বাবার কোলে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের চোখ মুছে বেরিয়ে পড়লাম পথে। পেছনে পরে রইলো একটি আনন্দঘন দুপুর আর বিদায় বিষাদ স্মৃতি।
একদিন পর এসে নামলাম সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ষ্টেশনে। ইউরোপীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নমুনা এই প্রথম ভালো করে টের পেলাম। ঝকঝক তকতক করছে ষ্টেশনটি। এতো পরিস্কার যে মেঝেতে পা ফেলতেও দ্বিধা হয়। তারপরও পরিস্কার করার একটি দল মুছেই যাচ্ছে সারাক্ষণ। ষ্টেশনের কাছাকাছি একটি ইয়থ হোষ্টেলে জায়গা পেয়ে গেলাম সহজেই। ভাড়ার পরিমানও সহনীয়। তবে শুধুমাত্র রাতে শোবার জন্যে। বাকী সময়টা বাইরেই কাটাতে হবে। বিছানায় কাপড়ের পরিবর্তে নরম কাগজ বিছানো, যা প্রতিদিনই পাল্টানো হয়। আমার বয়েসী অনেকেই থাকে সেখানে। জার্মানীতে যাবার আগে এখানে পড়াশোনার চেষ্টাটি ভালো করেই করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
জুরিখ ইউনিভার্সিটিতে খোঁজ নিলাম। ওখানে ভর্তি হওয়া যায়। তবে প্রতি ছয়মাসের সেমিষ্টারে ৩০০ সুইস ফ্রার মতো বেতন দিতে হবে। প্রায় দেড়শো ডলারের কাছাকাছি। অনেক টাকা! তার আগে জার্মান শিখতে হবে। সেটাও ব্যয়বহুল। স্পন্সর কেউ দিলেও আমাকেই আয় করতে হবে এই টাকা! আর ভর্তি হলেই যে কতৃপক্ষ যে ভিসা দেবে এখানে, তার নিশ্চয়তা কি? এসব নিয়ে যখন হাজারো সংশয়ের দোলায় দুলছি, জার্মানীতে চেষ্টা করবো কি না ভাবছি, তখনি পরিচয় হলো এক পাকিস্তানী ভদ্রলোকের সাথে। এখানেই স্থায়ী বসবাস তাঁর। ষ্টেশনে ঘুরঘুর করতে দেখে নিজেই পরিচিত হলেন আমার সাথে। নানা দেশের নানা ধরণের মানুষের আখড়া এই জুরিখ ষ্টেশন। বাইরে যতোই চাকচিক্য থাকুক না কেনো, ভেতরে ভেতরে অনেকেই নানা ধরণের ফন্দিফিকির করে আখের গুছানোর চেষ্টায় ব্যাস্ত। আমাকে এসবের মাঝে দেখে তার খারাপই লাগলো। আমার তো অন্য কোন উপায় নেই। হোষ্টেলে দিনের বেলা থাকা যায়না। যাবো কোথায়! আমাকে তার বাড়ীতে নিয়ে গেলেন এই সহৃদয় ভদ্রলোক। তাঁর স্ত্রীর সাথে পরিচয় হলো। কোন ছেলেমেয়ে নেই তাদের। দিনের বেলা নানা খোঁজখবর করা আর রাতের ঘুমানোর সময়টি ছাড়া ওদের সাথেই কাটলো আমার। আমাকে এখানে স্পন্সর করার জন্যেও রাজী হলেন এই ভদ্রলোক। কিন্তু একটি কথা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন। বাকী সবরকম সাহায্য করার প্রত্যাশা দিলেও আমার আর্থিক দিকটা আমার একক দ্বায়িত্ব। প্রথম একটি বছর আমার সব খরচ জমানো টাকা থেকেই চালাতে হবে। তারপর কাজের অনুমতি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু আমার হাতে যতোটা আছে, তাতে এই একটি বছর চলার কথা নয়। গ্রীসে ফিরে গিয়ে এক বছর জাহাজে গতর খেটে করে সঞ্চয়ের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে আবার জুরিখে ফেরার পরামর্শ দিলেন এই ভদ্রলোক। আমি তাঁর কথা মেনে নিলেও একটি খঁচখঁচানো রয়ে গেলো ভেতরে। মন খুব চাইছিল, একবার জার্মানী গিয়েও চেষ্টা করি। তাঁকে বললামও কথাটি। কিন্তু জার্মানীতে পড়াশোনার নিয়মাবলী আরো কঠিন, তা জানিয়ে তিনি আমাকে ওখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন। তাকে মনক্ষুন্ন না করার জন্যেই একদিন তাকে গ্রীসে ফিরে যাচ্ছি জানিয়েও মিউনিখের ট্রেণে চড়ে বসলাম।
চলবে ….
মন্তব্য
চমৎকার! চলুক!
ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বই কবে হবে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সামনের বই মেলায় আশা করছি। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, তীরের মতই আমার হৃদয় ভেদ করে গেল
ওই সময়ে এই ঘটনাটি আমাকেও স্পর্শ করেছিল খুব। বিশেষ করে ছেলেটি যে আমাকে খোদা হাফেজ বলতে চায়নি, সেটা। খোদা হাফেজ বলার অর্থই তো বিদায় দেয়া!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কত অজানারে জানাইলে তুমি - লেখাগুলো পড়লে এটাই মনে হয়। ছোট্ট বাচ্চাটার সাথে আপনার খেলার সময়টা অনুভব করতে পারি -- ---- দূরদেশে বসে অজানা অচেনা ছোট্ট একটা হাতের স্পর্শকেও কত আপনার মনে হয় -- ----
এখনও এই বয়েসে ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলা করতে ভালোবাসি। যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ওদের সাথেই আমান আনন্দ হয় বেশী।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এবারের কিস্তিটা তো অনেক তাড়াতাড়ি পেলাম
চলুক তীরু'দা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আগে থেকেই অনেকটা তৈরী ছিল, তাই। একটু সময় থাকলেই অনেক কিছু করে ফেলা যায়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
মুখিয়ে ছিলাম, তবে এত তাড়াতাড়ি ভাবিনি
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনাকেও ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভাষা নাই..
অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পড়ছি আর বিমোহিত হচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
রোমান্টিক, আবারো! তারপর?
যথারীতি দারুন ! তবে এবার তীরুদা দেখছি তীরের মত সাঁই করে আরেক কিস্তি দিয়ে দিলেন
প্রবাসী পরিবারের বাচ্চাটার কথা চিন্তা করে বেশ কষ্ট লাগল ।
পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হাতে সময় ছিল, তাই...! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, দিলেনতো মনটা খারাপ কইরা। এখন যেখানে আছি, একা একা আছি, আশেপাশে কোন বাংলাদেশী নাই..........মনটা খারাপ হইয়া যাই।
ভাল-লাগলো... তীরুদা।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
মারাত্মক ভাল লাগে এই সিরিজটা ৷ দুর্দান্ত ভাল লাগে৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অনেক অনেক ধন্যবাদ দময়ন্তী!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, খুব ভালো লাগছে, আবার আপনি এই সিরিজটা চাঙ্গা করেছেন!
ধন্যবাদ! চাঙ্গা তো করছি... তবে পরের পর্বটিই শেষ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বই পড়বো একেবারে
তাই ব্লগের কিস্তি পড়া বাদ দিয়েছি
জলদি বইয়ের মালমসলা লীলেন ভাইয়ের কাছে পাঠান
সামনের বইমেলাতেই কিনতে চাই এই বই
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সামনের বই মেলাতেই বেরুচ্ছে...! যদি বেঁচে থাকি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দু লাইনের কমেন্টে এমন দুখানা বিপরীত কথা না বললেই হচ্ছিলো না?
আপনার পরের পর্ব মিউনিখ নিয়ে তো? আপনার মেইল আইডিতে একটা ছবি এঁকে পাঠিয়ে দেব, শেষ পর্বে একটা ছবি থাকুক এই ইচ্ছা।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নতুন মন্তব্য করুন