অণুগল্প এক:
ছোট্ট দুই পাখি বসে বসে সুখ দু:খের আলাপে মগ্ন। বাইরে আলোকিত দিনের সুন্দর আকাশ ওদের দিকে চোখ মেলে তাকালো একবার।
- এই সুন্দর দিনেও আমাদের জীবনের প্রতিপদেই বিপদ! বললো প্রথম পাখিটি।
- ঠিক বলেছো! বড় বড় পাখিরা আমাদেরকে খাবার জন্যে ওত পেতে থাকে সারাক্ষণ।
বিষণ্ন স্বরে উত্তর দিল দ্বিতীয় পাখি। তাতে প্রথম পাখির বিষণ্নতা আরো বেশী বেড়ে গেলো।
- মা হারা আমি! মাকে একদিন এক ঈগল ধরে নিয়ে গেলো! বললো দ্বিতীয় পাখি।
- আমার ভাইকে মারলো এক বাজ! তারপর থেকে একেবারেই একা!
- আমাদের জীবনই এক অভিশাপ!
- আর ভালো লাগেনা...! কিছু একটা করা দরকার!
- ঠিক বলেছো তুমি। প্রতিবাদ না করলে একদিন আমাদের বংশই থাকবে না!
খুব বিরক্ত করছে আজ পাখিদুটো! সারাক্ষণ শুধু কিচিমিচি! কাল অংক পরীক্ষা। কিন্তু ওদের চেঁচামেচিতে একেবারেই মন বসানো যাচ্ছেনা। পাথির খাঁচাটি বারান্দায় রেখে এসে আবার অংকে মনযোগ দিল ছেলেটি।
অণুগল্প দুই:
অনেক অনেক বছর আগের কথা। সাত পাহাড়ের পেছনে এক বনে সুখে শান্তিতে এক বামন বাস করতো। কোন ঝামেলা ছিলনা, গোলমাল ছিলনা, শুধু নিরবচ্ছিন্ন নীরবতা। সেটাই ভালোবাসতো বামন। কিন্তু একদিন এক অবাক ব্যাপার ঘটলো। বামন তার ঘরে ফিরে দেখে, তার সবুজ গ্লাসটি খালি। একফোটা পানিও নেই। কে যেনো তার ফুলতোলা খাবারের থালা থেকেও পুরো খাবার কে যেনো খেয়ে নিয়েছে।
- আমার গ্লাস থেকে পানি খেলো কে? আমার খাবারটুকুও শেষ করলো সে? ভাবলো সে অবাক হয়ে।
বিরক্তির একটি ভাজও পরলো কপালে। তাতে যেনো আরো বেশী ছোট হয়ে গেলো সে। শোবার ঘরে ঢুকে আরো বেশী অবাক হয়ে গেলো সে। তার বিছানাতেও শুয়ে আছে কেউ।
“আমার বিছানায় কে ঘুমুচ্ছে?” ভাবতে ভাবতে জানলার পর্দা সরিয়ে ঘর আলোকিত করতেই বিস্ময়ে থ’ হয়ে গেলো বামন। সাতজন বরফকন্যা ঘুমিয়ে আছে বিছানায় গাদাগাদি করে।
“এতো বাড়াবাড়ি ভালো লাগেনা একেবারেই” বলতে বলতে বিরক্তিতে ভ্রূ কুঁচকাতেই নড়েচড়ে উঠলো সাত বরফকন্যা। আর তাতেই দড়াম করে পায়াসুদ্ধো মাটিতে ভেঙ্গে পড়লো বামনের সুন্দর খাটটি!
মন্তব্য
বস, সাকলে উঠে সচলে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল আপনার লেখা দেখে, আপনার তীর খেয়ে মরতেও আনন্দ আছে, কী আসাধারণ গল্প দুটি। লেখায় (জাঝা)
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক ধন্যবাদ! আমারও আপনার মন্তব্য পড়ে মন ভালো হয়ে গিয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
গল্পের অর্থ ধরতে হিমশিম খাচ্ছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এখন ধরেছেন?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুই নম্বরটা বেশি মজা লাগলো। (হাসি)
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ইয়ে তীরুদা, ২য়টার মানে কী?
তেমন বিরাট মানে নেই। প্রচলিত গ্রীমের রূপকথাকে একটু উল্টে পাল্টে লেখার মাঝেই লুকোনো আসল রস।
গ্রীমের রূপকথায় ছিল সাত বামনের সাথে একজন বরফকন্যা। সাত বামন বাড়িতে ফিরে এসে আবিষ্কার করে তাকে। আর এখানে একজন বামন, সাতটি বরফকন্যা। একটু বাড়াবাড়ি নয় কি?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
প্রথমটি চলনসই, দ্বিতীয়টি খারাপ না। লিখুন।
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
চললেই হলো! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পড়লাম ভাল-লাগলো....।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ধন্যবাদ শাহীন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দ্বিতীয়টার অ্যাপ্রোচ খুবই চমৎকার লাগলো তীরন্দাজ।
তবে প্রথমটাতে সেই তুলনায় ভালোলাগা কম। এটা যদিও ঠিক নয়, তবে দুটা গল্প পর পর পড়লেই তুলনা চলে আসে।
আশা করি কিছু মনে করেননি। :)
সবকিছুই যে ভালো লাগবে, এমন কোন দাবী আমার একেবারেই নেই। নিজেকেও তেমন একজন বলে ভাবিনা।
আপনার সরল সমালোচনাই আমার কাম্য আর আমি তাতেই খুশী। মনে করবো কেন? বরং আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমার মনে হয়, অণুগল্পে ব্যাপ্তি কম থাকে বলেই শিরোনামগুলো একটু প্রচ্ছন্ন হলে ভালো। নাহলে যেমন পুরোবিষয়টা আগেই বোঝা হয়ে যায়, চমকটা প্রত্যাশিত লাগে। প্রথমটার ক্ষেত্রে সেরকমই হয়েছে মনে হয়। যেমন পরেরটা শিরোনামের কারণেই অনেক চমক ধারণ করেছে।
হাহাহা দ্বিতীয়টা মজা হইসে!
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধ্রন্র্যব্রাদ্র!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বাহ্ ! দুইটা গল্পই চমৎকার লাগলো।
________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
- আমি মনেহয় ধর্তে পারছি কিঞ্চিৎ অর্থ, তবে দ্বিতীয়টার। অবশ্য ডরে ডরে আছি, তীরুদা না আবার আমার দিকে তাক করে তোপ চালিয়ে দেন!
তীরুদা যেটা বলেন নাই সেটা হলো। 'পর্দা সরিয়ে সাতজন বরফকন্য দেখে বামুনের মাথায় মহাজনীয় ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। সেটা দমাতেই কিনা টারজানের মতো ইয়াআআআআ করে একটা লফা দিয়ে উঠলো। আর তারপরের ঘটনা তো তীরুদা নিজেই বরফকন্যার মুখে বলিয়েছেন!' :D
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকটাই ঠিক। তবে কথাটি বরফকন্যার নয়, বামনেরই! তবে এটা আমার লেখার ভেতরের অস্পষ্টতারই কারণ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু দা,
ভাল লাগল---
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ! আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন