গলফ মাঠে ঈশ্বর আর শয়তান

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ২৬/০৮/২০০৯ - ৮:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রোববারের দিনটি গলফ খেলেই কাটান ঈশ্বর। এই একাকীত্বের মাঝে এর বাইরে আর করার কি থাকতে পারে? বারান্দায় বসে বসে এই পেজাপেজা মেঘের দিকে আর কতোক্ষণ তাকিয়ে অলস সময় পার করা যায়! কিন্তু ইদানীং গলফ খেলাতেও তেমন আনন্দ পাননা তিনি। যোগ্য প্রতিদ্বন্দী না হলে আনন্দ হবার কথাও নয়। জিবরায়েল, আজরাইল, বদরাইল, এদের কারোরই খেলাতে মন দিতে দেখা যায় না। যেনতেন হেরে, কোনক্রমে খেলা শেষ করে বাড়ীর দিকে ছুটতেই ব্যাস্ত সবাই। বউকে পাশে নিয়ে শুয়েবসে খুনশুটিতেই যেন সবচেয়ে বড় আনন্দ ওদের।

কোন এক রোববারে সকালে জিবরাইল ক্লান্ত মুখে চোখ কচলাতে কচলাতে এসে হাজির হলেন মাঠে। আজ তার পালা। এসেই দেখলেন ঈশ্বর বেজার মুখে মাঠের এককোনে দাঁড়িয়ে আছেন। খেলারও তেমন কোন প্রস্তুতি নেই। আজ রেহাই পেয়ে যাবেন, ভেবে মনেমনে খুশী হলেন জিবরায়েল। কিন্তু ঈশ্বরের সামনে এসে সে ভাবটি প্রকাশ করলেন না।
- আপনার কি শরীর খারাপ হুজুর?
- কি উল্টোপাল্টা বলছ বেয়াদপের মতো! আমার শরীর কি কখনো খারাপ হতে দেখেছ?
- না হুজুর, কখনো দেখিনি, আপনার শরীর খারাপ হলেতো থেমেই যাবে বিশ্বব্রন্মান্ড।

কোন উত্তর দিলেন না ঈশ্বর। একগু্চ্ছ মেঘ উড়ে যাচ্ছিলো পূব থেকে পশ্চিমে। সেদিকে তাকিয়ে রইলেন। খেলা শুরু করার কোন লক্ষনই দেখা গেলো না তার মাঝে। এবার কিছুটা ভাবনায় পড়লেন পেলেন জিবরায়েল। ঈশ্বরের এই ছত্রচ্ছায়াতেই তার ওই সুদৃঢ় অবস্থান। কোন কারণে সেটা টলে গেলে বিপদেই পড়বেন। আজরাইল, বদরাইলরা যেভাবে ওত পেতে আছে, তাকে ছিড়েখুড়ে শেষ করবে একেবারে। তাই নিজের অনি্চ্ছা চেপে রেখে জানতে চাইলেন,
- খেলবেন না হুজুর?
- না, তোমাদের সাথে খেলে আনন্দ পাইনা জিবরায়েল। বারবার গাধার মতো হেরে যাও সবাই!
- আপনি বিশ্বব্রম্মান্ডের মহাপ্রভু, আপনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া কি আমাদের সাজে হুজুর!

এবারও চুপ করে রইলেন ঈশ্বর। মনে মনে কি যেনো ভাবলেন অনেকটা সময় নিয়ে। জিবরায়েলও কোন কথা বলার সাহস না পেয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন পাশে। আরেকগুচ্ছ মেঘ এসে যখন ঢেকে দিল সুর্য, গলফ মাঠের একটি কোণে যখন অন্ধকার সামান্য ঘনীভুত হলো, মুখ খুললেন ঈশ্বর।
- এক কাজ করো জিবরায়েল, শয়তানকে ডাকো।

শুনেই চমকে উঠলেন জিবরায়েল। ভয়ে বুক শুকিয়ে গেলো তাঁর। ঈশ্বরের যেরকম খেয়ালী মন, কি করে বসেন, কে জানে! হয়তো কোন কারণে রেগেছেন তাঁর উপর। সে রাগের বশে যদি শয়তানকে তাঁর জায়গায় বসান, তাহলেই তো ভয়াবহ বিপদ! তাই শুকনো মুখে কাঁপতে কাঁপতে বললেন,
- শয়তানকে ডাকবো হুজুর?
- সেটাইতো বললাম। তুমি কি কানে কম শোনো জিবরায়েল?
- কিন্তু আপনি তো ব্যাটাকে একেবারেই পছন্দ করেন না হুজুর! ওকে ডেকে কি হবে?
- শয়তানের সাথে গলফ খেলবো। পছন্দ না করলেও, আমার একমাত্র যোগ্য প্রতিদ্বন্দী এই শয়তানই।
- সে যদি আসতে না চায় হুজুর?
- যোগাযোগ করে দেখো। কোন শর্ত দিলে সেটা জানাও আমাকে। এখানে দাঁড়িয়ে ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে আমাকে বিরক্ত করোনা জিবরায়েল।

গালি খেয়ে মুখ বেজার করলেও কিছুটা আশ্বস্ত হলেন জিবরায়েল। ঈশ্বরের সামনে একটু সরে গিয়ে মোবাইল ফোনটি বের করলেন জোব্বার পকেট হাতড়ে।

শয়তান তার ডেরায় এশিয়ার অতি জনবহুল একটি দেশের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় ব্যাস্ত। চরমপন্থী, নরমপন্থী, ধর্মপন্থী, মৌলপন্থী, ডানপন্থী, বামপন্থী, প্রগতিপন্থী সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আর তাদের খোসামুদে রাষ্ট্রীয় আমলারা এই আলোচনায় উপস্থিত। দেশটির সর্বময় ক্ষমতা এদেররই কূক্ষিগত। এদের হাতেই জিম্মি সে দেশের জনগন। তারপরও সে জনগনের মাঝেই প্রতিবারই সামান্য কয়েকজন হলেও, মিটিং মিছিল করে প্রতিবাদী হয়। সে দেশের বাকী জনগনকে স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও আশার ঝলক দেখায়। এই প্রতিবাদীদের প্রতিহত করার পথ খোঁজার জন্যেই শয়তানের সাথে এই আলোচনা আজ।

মিটিংএর এই ব্যাস্ততার মাঝে জিবরায়েলের ফোন পেয়ে বেশ বিরক্ত হলো শয়তান। প্রতিনিধি দলের কয়েকজন গলা মিলিয়ে কিছু বলতে চাইছিল, তাদের ইশারা করে থামিয়ে দিল সে।

- কি খবর জিবরায়েল? আমাকে ফোন! ঈশ্বর কি সত্যি সত্যিই বরখাস্ত করলেন তোমাকে?
- তোমার শয়তানী দিনদিন বেড়েই চলেছে দেখছি! ঈশ্বর আমাকে বরখাস্ত করবেন কেন? তাহলে তো তোমারই পোয়াবারো!
- তাহলে ফোন করলে কেনো? জান তো, তোমার সাথে বকবক করে সময় নষ্ট করতে চাইনা আমি।
- ঈশ্বর ডেকেছেন তোমাকে। তোমার সাথে গলফ খেলতে চান।
- আমার সাথে? কেন, তোমাদের কি হলো। তোমরা কি বুড়ো হয়ে গেছ?
- বৃড়ো হয়েছি কিনা, সেটা প্রয়োজনে সামনাসামনি প্রমান করবো শয়তান। এখন তাড়াতাড়ি আসো। ঈশ্বর অপেক্ষা করছেন তোমার জন্যে।
- আমি কি তোমাদের মতো তার চাকর নাকি, ডাকলেই সুরসুর করে চলে আসবো! এখন আসতে পারবো না, জরুরী মিটিংএ আছি। ঈশ্বরকে বলে দিও, সময় হলে খবর দেবো।
- তিনি তোমাকে এক্ষুণি আসতে বলেছেন। কোন শর্ত থাকলে তাও জানাতে বলেছেন।

শর্তের কথা শুনে শয়তানের মুখে অতি শয়তানী হাসি খেলে গেলো। ভাবলো, এবারই সুযোগটি নেয়া দরকার! ততক্ষণে নিজেদের মাঝেই বকবক শুরু করেছিল পৃথিবী থেকে আসা প্রতিনিধির দলটি। শয়তান ইশারা করে আবার থামিয়ে দিল তাদের।

- আমার একটি শর্ত আছে জিবরায়েল। সেটি পুরণ হলে এক্ষুনি খেলতে আসবো।
- বলো, কি শর্ত তোমার।
- যদি আমি জিতি, তাহলে আমার ইচ্ছেমতো এশিয়ার একটি দেশের পুরো ক্ষমতা আমার হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
- যদি হারো, তাহলে?
- তাহলে কি?
- তাহলে সে দেশ থেকে পাততাড়ি গোটাবে তুমি।
- ঠিক আছে।

শয়তান আর জিবরায়েলের মাঝে যে চুক্তি হলো, তাতে সহজেই রাজী হলেন ঈশ্বর। মাঠের নানাবিধ প্রস্তুতি সারা হলো। একটু পরই সে জনপ্রতিনিধিদের দর্শক হিসেবে সঙ্গী করে হাজির হলো শয়তান।

শয়তানের মুখের দিকে তাকালেনও না ঈশ্বর। তারপরও খেলা শুরু হলো। আঠারো গর্তের এই মাঠটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তুলে এসে ঈশ্বরের প্রাসাদের পাশে বসানো হয়েছে। পৃথিবীর বড়ো বড়ো টুর্নামেন্টে এই মাঠেই নামীদামী খেলোয়াড়রা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে গেছেন। প্রথম ছয়টি গর্তের খেলায় শয়তানকে পেছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে রইলেন ঈশ্বর। দর্শক হিসেবে জিবরায়েলকে খুব আনন্দিত দেখালেও প্রতিনিধিদের মুখ শুকিয়ে গেলো ভয়ে। শয়তানের পরাজয়ের পর ঈশ্বরকে কি ভাবে সামলাবেন, এ নিয়ে ছোট হলেও একটি অতি একান্ত আলোচনাও করে ফেললেন নিজেরা।

পরের ছয়টি গর্তে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ সমতা ফিরিয়ে এনে কিছুটা এগিয়ে যেতে সক্ষম হলো শয়তান। তাতে কিছুটা আশার আলো ফিরে এলো সেই প্রতিনিধিদের মাঝে। শেষের ছয়টি গর্তেই খেলার জয়পরাজয় নির্ধারিত হবে।

শেষের পাঁচটি গর্তে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা হলো ঈশ্বর আর শয়তানের মাঝে। আঠারোতম গর্তে নিজের খেলা শেষে এমনভাবে এগিয়ে রইলেন ঈশ্বর যে, শুধুমাত্র দুই বা এক স্ট্রোকে সে গর্তে বল ফেলতে পারলেই জিতবে শয়তান। গলফ খেলায় এই অবস্থায় বিজয়ী হওয়া প্রায় অসম্ভবই বটে। বড়জোর তিন স্ট্রোকে বল গর্তে ফেলে ড্র করা যেতে পারে। নাহলে জিতেই যাবেন ঈশ্বর।

প্রথম স্ট্রোকটি অস্বাভাবিক ভালো খেললো শয়তান। আঠারো নম্বর গর্তের প্রায় একশো মিটার আগে একটি মোটামুটি সুবিধাজনক জায়গায় গিয়ে থামলো বলটি। একটি বাঁক নিয়ে একটু ডানদিকের পুকুরের দিকে গড়িয়ে এলেও পানিতে পড়ার আগে থেমে গেলো। খুব কঠিন হলেও এই মাঠেই টাইগার উড এরকম অবস্থান থেকেও গর্তে বল ফেলতে পেরেছিলেন একবার। প্রতিনিধিদলের মুখে আশার আলো ফুটে উঠলো আরেকবার।

এবার খুব সাবধানে গর্তের ডানদিক ঘেসে মারতে হবে বলটি। একটু বা’দিক হলেই অসমতল বেয়ে গর্ত ছেড়ে গড়িয়ে পড়বে আরো অনেক দূরে। তখন ড্র করার সুযোগও থাকবে না। গলফের লাঠিটি বাছতে বেশ সময় নিল শয়তান। তারচেয়েও বেশী সময় নিয়ে বলটি মারলো সে। গর্তের সামান্য আগে একটু বা’দিকেই মাটিতে পড়লো বল। মনে হলো গড়িয়েই যাবে গর্তের বা’দিক ঘেসে। কিন্তু কি এক ঐশ্বরিক প্রভাবেই ডানদিক থেকে বা’দিকে সবে এলো সেটি। তারপর একেবারে পরিমিত গতিতে গড়িয়ে চললো গর্তের দিকে। আনন্দে হইহই করে উঠলো প্রতিনিধির দলটি। একেবারে সরাসরি গর্তে গিয়েই পড়ার কথা। কিন্তু পড়ার আগের মূহুর্তেই সেই আঠারোতম গর্ত খেকেই একটি ইঁদুর বেরিয়ে এসে গিলে ফেললো বলটি। পরপরই একটি কালো বিড়াল এসে গিলে ফেললো ইঁদুরটিকে। পাশের ঝোপ থেকে বেরিয়ে এলো একটি ছোটখাটো কুকুর। সে বিড়ালটিকে আঁচড়ে কামড়ে খেয়ে শেষ করার পরমূহুর্তেই একটি বিশাল ঈগল এসে ছো মেরে কুকুরটি ঠোঁট আর দুইপায়ে আকড়ে ধরে উড়ে গেলো আকাশে। দৃষ্টিসীমা থেকে অদৃশ্য হবার আগেই এক উড়ন্ত ড্রাগন এসে বিশাল হা করে গিলো ফেললো ঈগলটিকে। আকাশ চিড়ে বজ্রপাত নামলো আচমকা। বিকট শব্দে সবারই কানে তালা লেগে গেলো যেনো। সে বজ্রাপাতে ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর, ঈগল, ড্রাগন সব পুড়ে গেলেও বলটি টিকে রইল। তারপরই টুপ করে পড়লো গর্তে।

বিজয়ের আনন্দে হাসিমুখে সেদিকে তাকিয়ে শয়তান বললো,
- আমরা গলফ খেলতে, নাকি গোলাগুলি করতে এসেছি এখানে!

তবে শয়তানের চেয়ে আরো বেশী উল্লসিত আনন্দে হইহই করে উঠলো এশিয়ার ছোট্ট জনবহুল দেশটি থেকে আগত প্রতিনিধির দলটি।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক(অফলাইনে) এর ছবি

হুমম।

তীরন্দাজ এর ছবি

আসলেই হুম! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি

শুধুমাত্র আপনার এই লেখায় মন্তব্য করার জন্য লগইন করলাম। অসাধারণ। সমসাময়িকদের লেখা পড়ে বহুদিন এত আনন্দ পাইনি। পরেরটা কবে? চলতে থাকুক।

*********************************************
আমার আত্মা বোমায় দু'হাত উড়ে যাওয়া কোনো আফগান শিশুকন্যা।

*********************************************

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

পরেরটি সময় পেলেই লিখব। ইদানীং বেশ আকাল চলছে সময়ের!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

জটিল বর্ণনা.....

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বর্ষা! ভালো থাকবেন!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

একের পর এক বিশেষন আসছে এ গল্পের গল্পকারের জন্য! কীভাবে যে পারেন!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনি প্রতিবার আমার লেখার অকুন্ঠ প্রশংসা করেন! সেজন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বস লেখা !! ... আপনার লেখা এতোদিন মিস করছিলাম- আশা রাখি আবার নিয়মিত পাবো।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

সময় করে আবার নিয়মিত লিখতে পারলে আমিও আনন্দিত হতাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সমুদ্র এর ছবি

শেষ দৃশ্যের Chaos টার নাটকীয় বর্ণনা দারুণ হয়েছে।
খুবই ভালো লাগলো। অন্যরকম।

"Life happens while we are busy planning it"

তীরন্দাজ এর ছবি

হঠা‌তই মাথায় এসে গেলো। ভাবলাম অপছন্দ করতে পারেন অনেকে। সেরকম হলোনা বলে বেঁচে গেলাম।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনিকেত এর ছবি

তীরু দা ইজ ব্যাক!!!!

চমৎকার লাগল---গল্পের প্লট, উপস্থাপনা, সব।

বিশ লাখ তারা--!!!

তীরন্দাজ এর ছবি

প্রিয় অনিকেত! এত তারা কোথায় রাখি বলুন তো! ঠিক আছে, আপনাকে বিশ লাখ ধন্যবাদ পাঠিয়ে সে জায়গা করে নিলাম! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

ধীর ভাবে শুরু করে আস্তে আস্তে যেভাবে গল্পের কাহিনীকে বেগবান করলেন, অসাধারণ।

#ওসিরিস

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ জানাই! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার তীরুদা

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন জাহিদ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

দুর্ভগ্যক্রমে আমাদের দেশের শয়তান ঈশ্বরের চেয়ে ক্ষমতাধর।
আপনি নিপুন তা ভাবে দেখালেন।
কোন দিন আমরা শয়তানের হাত থেকে মুক্তি পাব?
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

যতোদিন না ঈশ্বর আমাদের ভাগ্যকে রাজী রেখে শযতানের সাথে দরকষাকষি বন্ধ রাখেন, ততদিন এইসব রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পারভেজ আহমেদ এর ছবি

চলুক

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তীরুদা, অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম, হয়েছেও জটিল। কিভাবে যে লেখেন!

একেবারে সরাসরি গর্তে গিয়েই পড়ার কথা। কিন্তু পড়ার আগের মূহুর্তেই সেই আঠারোতম গর্ত খেকেই একটি ইঁদুর বেরিয়ে এসে গিলে ফেললো বলটি। পরপরই একটি কালো বিড়াল এসে গিলে ফেললো ইঁদুরটিকে। পাশের ঝোপ থেকে বেরিয়ে এলো একটি ছোটখাটো কুকুর। সে বিড়ালটিকে আঁচড়ে কামড়ে খেয়ে শেষ করার পরমূহুর্তেই একটি বিশাল ঈগল এসে ছো মেরে কুকুরটি ঠোঁট আর দুইপায়ে আকড়ে ধরে উড়ে গেলো আকাশে। দৃষ্টিসীমা থেকে অদৃশ্য হবার আগেই এক উড়ন্ত ড্রাগন এসে বিশাল হা করে গিলো ফেললো ঈগলটিকে। আকাশ চিড়ে বজ্রপাত নামলো আচমকা। বিকট শব্দে সবারই কানে তালা লেগে গেলো যেনো। সে বজ্রাপাতে ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর, ঈগল, ড্রাগন সব পুড়ে গেলেও বলটি টিকে রইল। তারপরই টুপ করে পড়লো গর্তে।

এ অংশটায় তুমুল তীর বর্ষন হয়েছে, ইশ্বর বনাম শয়তানের চরম যুদ্ধ। লেখায় উত্তম জাঝা!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জাহিদ হোসেন এর ছবি

বরাবরের মতোই চমৎকার লেখা ! তবে এশিয়ার ঐ ঘনবসতিপূর্ণ দেশটির কথা জানি বলেই বুঝতে পেরেছিলাম যে খেলায় শয়তানেরই জয় হবে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

একমত তীরুদা। এই গল্পটার এটাই একমাত্র দুর্বলতা! আর বাকি সব নিদারুণ! হাসি
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের!

বাংলাদেশের রাজনৈতিক চেহারা আমাদেরকে প্রতিবার নতুন করে হতাশায় ফেলে, এটা নতুন কিছু নয়। আমার প্রতিবারই মৌলবাদী শক্তিগুলোর সাথে নানাভাবে যুদ্ধ করে তথাকথিত প্রগতিশীল দলগুলোকে এনে ক্ষমতায় বসাই। চরম হতাশার মাঝে এই যুদ্ধ আমাদের ভেতরে লুকোনো আশারই এক প্রতিফলন। গত নির্বাচনেও সেটিই হলো।

কিন্তু কি করছে আমাদের এই প্রগতিশীল দলগুলো! স্বেচ্ছাচারিতা , দু:শাসন ও দুর্নীতির চুড়ান্ত উদাহরণ রাখছে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে। আর ফলাফল হিসেবে ওদের হাতে জিম্মি আমরা। এদের কর্মকান্ডের ফলাফল হিসেবে আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী দলগুলো। ক্ষমতশীন দলের ব্যার্থতার কারণে আমরা সেই স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী দলগুলো তাদের প্রাপ্য জবাব দিতে ব্যার্থ হচ্ছি বারবার।

এই হতাশা থেকেই আমার এই গল্প। বাঙলাদেশকে একটু আড়ালে রাখতে পারলে গল্পের আবহ আরো বেশী সুন্দর বা চমকপ্রদ হতো, সন্দেহ নেই। তবে আমার পরিকল্পনা ছিল আমাদের দেশকে সরাসরি ফোকাসে আনা ও সেটই করেছি। তাতে কাহিনীবিন্যাসে যতটুকু দূর্বলতা রয়েছে, সেটা মেনেই নিয়েছি এই ফোকাসটুকুর জন্যে।

তবে গল্পটি যদি কখনো অন্য কোন পরিমন্ডলে লিখি, তখন আপনাদের প্রস্তাব অবশ্যই মনে নেব, কারন এটি আমার নিজেরও বাচনভঙ্গীর আওতায় পড়ে।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

s-s এর ছবি

শ্রদ্ধেয় তীরুদা, একটা মন্তব্য লিখবো ভাবতে ভাবতেই আপনার এ প্রতিমন্তব্য পড়ে মনে হলো যা জানার ছিলো জেনে গেলাম। ভালো লেগেছে গল্পটা।
আশার বাণী সুদূর পরাহত, তাই বলছেন, আপনিও, হে শক্তিমান কলমধারী, তাহলে আমরা কোথায় যাই? অসহায় লাগে না খুব, বারংবার এই একই খেলার পুনরাবৃত্তিতে?
ভালো থাকুন, তীরন্দাজদা।

তীরন্দাজ এর ছবি

খুশী হইলাম ধুগো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

সাইফ তাহসিন, আমি এই প্যারার প্রশংসা করার আগেই তুমি করে ফেললে অসহ্য!!! কিন্তু আমি অন্য ভাবে দেখছি ব্যাপারটা। ঈশ্বর বনাম শয়তানের চরম যুদ্ধ এর সাথে এইটা মনে হয় বোঝাচ্ছে যে আমরা বাংলাদেশীরা আসলে ঈশ্বর জিতুক সেটা চাই না!!!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, বর্ষাপু, আমি তো আপনাকে প্রায় ১২ ঘন্টা সময় দিয়েছি লেখা প্রকাশ হবার পরে, আপনে কিছু লিখলেন না দেখে আমিই লেখলাম। এত অসাধারণ ভাবে লেখেন তীরুদা, উনি লেখা দিলে না পড়ে থাকতে পারি না, পড়লে না কমেন্টায় থাকতে পারি না। আর তা ছাড়া আপনে তো ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন, কাজেই আমার সাথে কোন বিরোধ তো দেখছি না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার!

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি বেশ সাহসী লেখক, তীরুদা।

তীরন্দাজ এর ছবি

সাহসী! কি জানি ভাই, সেটা হলে তো দেশেই থাকতাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল, তীরুদা। চমৎকার গল্প।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ অতন্দ্র। ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নজমুল আলবাব এর ছবি
তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নজমুল। জানুয়ারীতে দেশে আসছি। দেখা হলে খুব খুশী হবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আকতার আহমেদ এর ছবি

চলুক

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ নিবিড়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মামুন হক এর ছবি

ঈশ্বরের কান্ধে বন্দুক রাইখা গুলি করে লাভ নাই, বরং নিজেদের কান্ধে দায়িত্ব তুলে নেয়া দরকার। আসেন আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম একটা প্রবাসী রাজনৈতিক দল গঠন করি, তিরুদারে আহ্ববায়ক বানাইয়া হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

না ভাই, রাজনীতিরে খুব ভয় পাই আমি। নিজেকে যোগ্য মনে করি না। তবে যারা নিজেদেরকে যোগ্য মনে করেন ও রাজনীতি করেন, তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা অবশ্যই আছে।

ভালো থাকবেন মামুন!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এশিয়ার একটি দেশের নিয়ন্ত্রণ চেয়েই তো গল্পটা শেষ করে দিলো ব্যাটা শয়তান মন খারাপ
একটু রাক ঢাক করা যায় না তীরুদা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

নজু ভাই! আপনার তীরটা ভালো টের পাইছি। নিজের চোখেও পড়ছে। রাখডাক করলে গল্প হিসাবে কাহিনী আরো চমকপ্রদ হইতো, তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। তয়, রাজনীতিবিদ দের কর্মকান্ডে এত বেশী হতাশ যে, রাখঢাক করতে একেবারেই ইচ্ছা করে নাই। সেজন্যে গল্পটাকেও বলি দিলাম অনেকটা ইচ্ছকৃতভাবেই!

ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পরের গল্পে এশিয়ার দেশটির প্রতিনিধিদলের সাথে খেলায় শয়তান নিজেই কেমনে কুপোকাত হলো, সেই কাহিনী চাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তীরন্দাজ এর ছবি

সেই খেলায় যে শয়তান হারবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। চেষ্টা করবো লেখার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পরের গল্পে এশিয়ার দেশটির প্রতিনিধিদলের সাথে খেলায় শয়তান নিজেই কেমনে কুপোকাত হলো, সেই কাহিনী চাই।
চলুক

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

'সেই খেলায় যে শয়তান হারবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। চেষ্টা করবো লেখার।' শয়তান এর পর ফার্মগেটে চিরুনি বিক্রি করবে, ১০ টাকার একজোড়া, একটা আবার ফ্রি-----আচ্ছা ঈশ্বর শয়তানের থিম টা কেনো একনায়কতান্ত্রিক ?

তীরন্দাজ এর ছবি

ফার্মগেটে চিরুনি বিক্রি করাটা একেবারেই অভিনব। আমার চিন্তা কখনোই এতদুরে যেত না। দেখা যাক, আপনার ভাবনাটি কাজে লাগানো যায় কি না!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তীরন্দাজ এর ছবি

অবশ্যই একনায়তান্ত্রিক! এর চাইতে বড় একনায়তান্ত্রিকতার নমুনা আর কি থাকতে পারে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার, অ্যাজ ইউজুয়াল!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাত ভুতুম ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

এনকিদু এর ছবি

গল্প খুব ভাল লাগল ।

আমি ব্যাখ্যা করতে পারবনা, কিন্তু কেন জানি আমার মনে হল ঈশ্বর নিজেও খানিকটা দূর্নীতিবাজ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তীরন্দাজ এর ছবি

অবশ্যই দূর্নীতিবাজ এই ঈশ্বর! নইলে একটি দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যকে নিয়ে গলফ খেলায় নামতো নাকি? এরপর আবার শয়তানের সাথে খেলা। আমি বলবো মহা দূর্নীতিবাজ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তানবীরা এর ছবি

একদম ফাটাফাটি !
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তানবীরা!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

দৃশা এর ছবি

আচ্ছা আপনার মাথায় এতো এতো গল্প অনুগল্পের প্লট কিভাবে গিজ গিজ করে এইটার রহস্যটা কি বলেন।
(তালিয়া)

দৃশা

তীরন্দাজ এর ছবি

অলস মস্তিষ্ক, শয়তানীর আকর!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার লেখা একেবারে তীরের মতন, শোঁ শোঁ করে উড়ে এসে একেবারে ঠিকঠাক লক্ষ্যভেদ করে!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তীরন্দাজ এর ছবি

লক্ষ্য ঠিক করতে পেরেছি জেনে খুশী হলাম! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তিথীডোর এর ছবি

গুল্লি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।