আরদেশ নদীর মোহনী বাঁক থেকে ভুমধ্যসাগরের নীল জল একশো আশি কিলোমিটারের পথ। ভুমধ্যসাগরের তীরে Cap de Agde ট্যুরিষ্টদের স্বর্গ। সমুদ্রপারের একটি বাংলো ভাড়া করেছিলাম আগেই। নেভিগেশনের কল্যানে সেটি খুঁজে পেতেও তেমন দেরী হলোনা। এবার একটি সপ্তাহ্ বিশ্রামের পালা। আবহাওয়া সদয় থাকলে সমুদ্রে সাঁতার আর পারে শুয়ে বসে সময় কাটবে, যদি উল্টোটি হয়, তাহলে কাছাকাছি শহরগুলো ঘুরে দেখা হবে। বাংলোতে রান্না বান্না করার পুরো বন্দোবস্ত আছে। রান্না ও খাওয়ার সরন্জামেরও কোন অভাব নেই। একটি সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করে সে রাতেই দেশী মশলার শিশিটি কাজে লাগালাম। বেশ ঝাল ঝাল মুরগীর ঝোল আর বাসমতি চালের ভাত হাতে খেয়ে শান্তি পেলাম অবশেষে।
ভূমধ্যসাগরের বুকে বিকেলের রোদ
Cap de Agde এর বেলাভুমি যতোটা ভেবেছিলাম, তারচেয়ে অনেক বেশী সুন্দর আর পরিষ্কার। হয়তো গ্রীস্মের শুরু বলেই। একসময় ট্যুরিজমের চাপে হয়তো বদলে যাবে চেহারা। মিহি বালুকণার উপর ঢেউএর ফেনা। তাবে সে ঢেউএর আকার আমাদের কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরের ঢেউএর তুলনায় নিতান্তই সামান্য। ফ্রান্সের সমূদ্র সৈকতে সেরকম ঢেউ একবারই দেখেছিলাম কয়েক বছর আগে। তখন বইছিল মিসট্রাল, এক ধরণের সামুদ্রিক ঝড়। গ্রীস্মকালীন সময়ে প্র্রায়শ:ই এধরণের বাতাস বয় এখানে। একবার শুরু হলে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে। তখন আর সমুদ্রপারে যাবার উপায় থাকে না। বালির কণা তীরের মতো গায়ে ছুরি বসায়। কেউ কেউ বলে, সেই বিরতিহীন ঝড়ের আওয়াজে হতাশা জন্মায়। তার প্রকোপে সমুদ্রের এলাকাগুলোতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। আমাদের এবার কপাল ভালো, মিসট্রালের প্রকোপে পড়তে হলো না।
ইউরোপের প্রতিটি শহরেই, ঐতিহাসিক দর্শনীয় ও ছুটি কাটানোর জায়গাগুলোতো ছড়ানো ছিটনো রয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পিং প্লেস। সেখানে নিজস্ব তাবু খাটিয়ে থাকার পাশাপাশি বাংলো ও ক্যারাভান ভাড়াও করা যায়। হোটেলের চেয়ে খরচ কিছুটা কম। বাংলোগুলোতে টয়লেট আর গোসলের ব্যাবস্থা থাকে। নিজস্ব তাবুতে যাদের বাস, তাদেরকে সেখানকার গন-টয়লেট আর গন-গোসলখানার উপর ভরসা করতে হয়। সেক্ষত্রেও এখানকার মানুষের নিজস্ব সচেনতার কারনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোন সমস্যা দেখিনি। আমাদের ভেতরে সে সতেনতা নেই। বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতার অভাব লক্ষ্য করেছি নিদারুনভাবে। কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটির মোটামুটিভাবে ভালো হোটেলেও কখনোই ধোয়া বিছানার চাদর বা বালিশের ঢাকনা দিতে দেখিনি। কেউ একজন ব্যাবহার করে গেছে, সেটিকেই আবার টেনটুনে সমান করে দেয়া হয়। এখানকার একেবারে কমদামী হোটেলেও নতুন অতিথি এলে বি্ছানা নতুন করে পাতা সহ টয়লেট ও ঘরকে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। আমাদের বাংলোতে আমরা একপ্রস্থ বিছানার চাদর ও বালিসের কভার পেলাম। গোসলখানায় পেলাম এক সপ্তাহের জন্যে ধবধবে সাদা তোয়ালে। রান্নাঘরে থালা, বাসন, চামচ, ডেকটি সব পরিস্কারভাবে সাজানো। এরকম পরিস্কার করে বাংলোটি ছেড়ে যাবার দ্বায়িত্বও আমাদের হাতে।
প্রতি গ্রীস্মেই ফ্রান্সের এই ভুমধ্যসাগর উপকুল ট্যুরিষ্টে গিজগিজ করে। অনেক ট্যুরিষ্ট আটলান্টিকে উপকূলের দিকেও যায়। তবে সেখানে গ্রীস্মের স্থায়িত্ব ও ভালো আবহাওয়া নিশ্চয়তা কম বলে এদিকটাতেই ভীড় বেশী। এবার আমরা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক কম ট্যুরিষ্ট দেখলাম এখানে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক মন্দা অনেককেই নিজ বাড়ীতে ছুটি কাটাতে বাধ্য করেছে। আমাদের জন্যে তা শাপে বর হলো! বী্চে, রেষ্টুরেন্টে বা রাস্তাঘাতে, কোথাও আটকে থাকতে হলো না।
চরিত্রগতভাবে গ্রামের ফরাসীরা যতোটা রক্ষণশীল, শহরে এলে ততবেশীই উদার হয়ে যায়। পোষাক আসাকের আধুনিকতায় এদেরকে ইউরোপে অগনী বলা যায়। জার্মানদের তুলনায় ফরাসীরা জীবন ও সময়কে বেশি করেই উপভোগ করে বলে মনে হয়। দুপুরের সময়টা ওদের বিশ্রামের। তখন প্রায় সমস্ত দোকানপাঠ বন্ধ রাখা হয়। রাস্তাঘাটে প্রায় ফাঁকাই থাকে। খাবারের ব্যাপরে এরা বেশ বিলাসী। সাধারণ জার্মানদের মতো উদরফূর্তি করেই ওরা সন্তুষ্ট নয়, বেশ কয়েকটি পদ একটার পর একটা উপভোগ করে। মোটামুটি ভাবে সাধারন জার্মান ও ফরাসীদের মাসিক আয়ে তেমন তারতম্য নেই। তারপরও ওদের রেষ্টুরেন্টগুলোতে খাবারের যা দাম, তাতে ওদের কিভাবে চলে, ভেবে অবাক হই। হয়তো আমাদের ট্যুরিষ্ট হিসেবে ভালো ও সুলভ রেষ্টুরেন্টের খবর জানা নেই বলেই এরকম ভাবি।
কারকাসন এর শহরকেন্দ্রে শীতল বেদানার রস
আমাদের বাংলোর সৈকতের একশো মিটার ডানেই নগ্নদের সৈকত। মাঝখানে একটি সাইনবোর্ডে সীমানা চিহ্নিত করা আছে। সে সীমানা অগ্রাহ্য করে এদিক সেদিক চালাচলে কোন পক্ষেরই কোন আপত্তি দেখলাম না। ফরাসীরা এসব প্রশ্নে বরাবরই উদার। আমার নিজেরও কোন সমস্যা হয়না। ওদের ইচ্ছে হলে ওরা আসবে, তাতে আমার কি? তারপরও এক জার্মানকে দেখে মজা পেলাম খুব। বালির উপর এই গরমের মাঝেও পায়ে মোজা আর স্যান্ডেল। আর কোনো সুতো নেই শরীরে। বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে সৈকত ভ্রমন করতে করতে সীমানার দিকে নজর রাখেনি আর। এটা জার্মানদের স্বভাব। খুব গরমেও মোজা ছাড়া চলবে না ওদের। মজা পেলেও জানি এই লোকটিই ছুটি শেষে দেশে ফিরে সততার সাথে তার নিজ কর্তব্যে মনোযোগী হবে। আর আমরা? অপেক্ষায় থাকি, কে কার ঘাড়ে কখন চড়ে বসতে পারবো!
এর মাঝে একদিন সামান্য মেঘলা থাকায় বীচে নাগিয়ে কারকাসন নামে একটি (Carcassonne) ঐতিহাসিক শহরে ঘুরে এলাম। স্পেনের সীমান্তের কাছাকছি এই শহরটি। খ্রীষ্টপূর্ব একশো শতাব্দীতে পাহাড়ের চুড়োয় দুর্গ সাজিয়ে এর গোড়াপত্তন করা হয়। এটি ইউরোপের সবচেয়ে অক্ষত অবস্থায় থাকা দুর্গের শহর। একসময় তিন থেকে চার হাজার লোকের বাস ছিল উপরের দূর্গ এলাকায়। এখন সেখানে ২৩০ জন স্থায়ীভাবে বাস করেন। এর বাইরে যারা আছে, তারা পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত ও স্থায়ীভাবে কারকাসনের অন্য এলাকায় বাস করেন। শহরের এই অংশে যানবাহন নিষিদ্ধ। অনেক পর্যটকের ভীড় এখানে। এসব ভীড় ছাড়িয়ে কোন এক নির্জন এলাকায় বসে সে যুগের মাঝে ডুবে আত্মগত থাকা তৃপ্তিই আলাদা।
কারকাসন: প্রাচীন শহর
কারকাসন: প্রাচীন শহরের প্রাচীর
আরেকদিন সেট (Sète) নামে ভুমধ্যসাগরের পাড়ে আরেকটি শহর ঘুর এলাম। স্থলভুমির লাগেয়া একটি দ্বীপের মতো এই শহরটি। সমুদ্র থেকে সৃষ্ট একটি চওড়া খাল বয়ে গেছে শহরের বুক চিড়ে। সেখানে ছোট ছোট জাহাজ নোঙ্গর করা। খালের উপরে বারোটি সেতুতে শহরের দু’পাশের যোগাযোগ রাখা হয়। তার মাঝে পাঁচটি সেতু একটু বড় জাহাজের জন্যে ওঠানো যায়। শহরকেন্দ্রে ঘুরে বেড়িয়ে নিজের ভেতরেও শান্তির আমেজ পেলাম। ভুমধ্যসাগরীয় উষ্ণতা যেন এ শহরের বাসিন্দাদের বুকের ভেতরটিও আলোকিত করে রেখেছে। শীতপ্রধান দেশের বাসিন্দা হিসেবে মানুষের ভেতরে প্রতিনিয়ত শীতলতা দেখে অভ্যস্ত হলেও শান্তি পাইনা। সে শান্তিটুকু পাবার জন্যেই দক্ষিনের উষ্ণতা খুজি বারবার।
সেট: শহকেন্দ্র আর খাল
পরিকল্পনা অমুযায়ী একটি সপ্তাহ বেশ অলসভাবেই কাটালাম। এবার আবার পথে নামতে হবে। যাবার আগে ঝেড়েমুছে পরিস্কার করলাম আমাদের সাতদিনের বাসস্থান। তারপর Cap de Agde কে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পথে।
চলবে ….!
মন্তব্য
তীরুদা, অপূর্ব। ছবিগুলো দারুন ঝকঝকে, দেখে মনে হলো আবহাওয়া বেশ ভালো ছিলো তখন।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ্যা, আবহাওয়া সত্যিই খুব ভালো ছিল। কারকাসনে যখন গিয়েছিলাম, তখন সামান্যে মেঘলা ছিল আকাশ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সিরিজটা ভালো লাগছে।
শীতের দেশে থাকি বলে এই কথাটার ব্যপ্তিটা ভালো করে অনুভব করলাম।
আমার বউ বারবার বলার পর এইবার উত্তর জার্মানীতে গিয়েছিলাম। ভালো লাগলেও ইটালী, ফ্রান্স বা স্পেনের তুলনায় কিছুই নয়। না, বছরে একবার দু'বার দক্ষিনের দিকে পা না বাড়ালে চলেনা একেবারেই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যথারীতি ভালো লাগলো। এবার বার্সেলোনা ঘুরে আসি।
স্পেনে গেলেও বার্সেলোনা যাইনি। আসলে বড় বড় শহরের দিকে আমার তেমন নজর নেই। ভালো লাগে প্রাকৃতিক বৈচিত্র। তবে একসময় বার্সেলোনাও যাবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- আপনার কাছে তো আর মনমতো ছবি চাইলেও দিবেন না তাই লেখার সুনামটাই করে যাই। তবে মনে রাখবেন ফটুকের জন্য মাইনাস না দিলেও প্লাস ও দিতে পারলাম না তীরুদা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনোমত ছবি কি ধুগো...। কও না একবার। তবে নিজের সংকোচের কারণেই অনেক ছবি তুলিনি...!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছবি তোলার হাতের প্রশংসা না করে পারলাম না। লেখার হাতের প্রশংসা না করলে মন খারাপ হবে? না, মন খারাপ করার কোন কারন নেই, মন দিয়েই পড়েছি।
না ভাই, ছবি তোলার ব্যাপারে আমি এখনও একাবারেই আনাড়ী। যতটুকু হয়েছে, তা জায়গার আর ক্যামেরার গুনে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এমন 'তীরন্দাজিয়' আরাম-আয়েশ করতে মঞ্চায়!
এটা আসলে একাবারেই বিশেষ কোন ব্যাপার নয়। পড়াশোনার সময় যখন হোষ্টেলে থাকতাম, তার পেছনেই ছিল আইনগত ভাবে নগ্নদের রোদ পোহানোর মাঠ ও সবার বারবিকিউ করার যায়গা। বাংলাদেশ সমিতি ও বন্ধুরা মিলে অনেকবারই বারবিকিউ করেছি সেখানে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছবিগুলো খুব সুন্দর এবারও, প্রথম দুটি সবচেয়ে! জায়গাগুলোও জানলাম। কিন্তু এখন বেদানার রস খেতে মন চাইছে যে!
একেবারে তাজা রস নয় কিন্তু! রস থেকে বানানো সিরাপের বোতল পাওয়া যায়। পরে ঠান্ডা পানির সাথে মেশানো হয়। কিন্তু আপনাকে কিভাবে খাওয়াতে পারি বলুন তো?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
প্রথম পর্বটা মিস করেছি। যাই গিয়ে পড়ে আসি।
সিরিজ চমৎকার হচ্ছে তীরু'দা ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ! পরের পর্বেই শেষ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দারুণ লাগছে।
ঈদে আমিও পশ্চিমে আসছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
হিমুর কাছেও শুনলাম। আসুন না মিউনিখে! খুব ভালো লাগবে। আল্পসে ঘুরিয়ে আনবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনারে ইর্ষা করতে করতে এখন সেইটা ভুতা হয়্যা গেছে তীরুদা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ইর্ষা করেন! আমি যে ঘুর্তে ঘুর্তে ফতুর হয়া গেলাম, তার খবর কি?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আচ্ছা বেদানার রসটাকে পুরো ভদকা উইথ রাস্পবেরি বলে মনে হলো, কি বেদানা ?
ভদকা উইথ রাস্পবেরি হলেও ক্ষতি ছিলনা। কি বেদানা, বলতে পারবো না, তবে আসলেই বেদানার সিরাপ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
প্রতিটি পর্বই মন দিয়ে পড়ছি, দেখছি।
ঝড়ের গতিতে চলুক!
ভালো থাকবেন মামুন! শুভেচ্ছা জানাই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পরের পর্বের অপেক্ষায়
অফিসে ফ্লিকর ব্যানড থাকায় ছবিগুলি দ্যাখবার পারলাম না; কাজ থাকায় লেখাও স্কিম। পরে বাসায় গিয়ে একসময় দেখবো, সচলের সব ভাল পুরান লেখাই পড়ার ইচ্ছা।
আপনার প্রতি ব্যাপক হিংসা আর কৃতজ্ঞতা। চালিয়ে যান।
অনেক ধন্যবাদ ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
পিরেনিজ-এর গাইডবই দেখলাম আপনার টেবিলে, সেখানে যেতে চাই। জিরোনা বিমানবন্দর থেকে যখন বার্সা যাবার বাসে উঠছিলাম, তখন দেখি যে আরেক কোচ যাচ্ছে ফ্রান্সে, পার্পিনিয়ান-এ। ওটা নাকি আরো কাছে! কারকাসোন যাবার ইচ্ছাও বহুকালের - ঢাকায় আলিঁয়সে বসে দেপারদিউ'র একটা ছবি দেখেছিলাম একবার, কারকাসোনের দৃশ্য ছিল।
আপনার মত এত ব্যাপক ভ্রমণকারী আমাদের দেশীয়দের মধ্যে বিরল। আপনার লেখা পড়ে ঈর্ষাও হয়, আবার খুব ভালোও লাগে। মনে হয় যে না, তীরন্দাজের মতোই ঘুরে দেখতে হবে এই বিশাল পৃথিবী!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
পার্পিনিয়ানও গিয়েছিলাম সামান্য সময়ের জন্যে। একটি দূর্গ দেখলাম। শহর কেন্দ্রে বসে কফি খেলাম। বেশ ভালো লাগলো। ওখান থেকেই কারকাসোন যাবার তাড়ায় বেশীক্ষণ রইলাম না আর। আমার যে এলাকায় ছিলাম, তার নাম লংডক। পিরোনিজের পাশাপাশি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার বর্ণণা। আপনার ছবি তোলার হাত অনেক ভালো।
----------------------------------------
বাসে অনেক ঘুম জমে
ভিতরে ভুলে যাই শস্যের চমক
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ জায়গা, লেখা ও ছবি। ৩ নম্বর ছবিটা কিসের তীরুদা?
অপ্রাসঙ্গিক প্যাঁচালঃ প্যারিস যাচ্ছি ঘুরতে সামনে। ৩ দিনের জন্য। আপনার কোন বিশেষ পরামর্শ দ্রষ্টব্য স্থান ও ভ্রমণ সম্পর্কিত থাকলে জানাবেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
তিন নম্বর ছবিটি আসলে Arles এ তোলা ছবি। তিন নম্বর পর্বে আসার কথা। ভুলে দিয়ে ফেলেছিলাম। তাই কিছু বলিনি।
প্যারিসে ভালো সময় কাটুক, এই কামনা করছি। অনেক আগে দুবার গিয়েছিলাম। প্রতিবারই ভালো করে তেমর খুটিয়ে দেখার সুযোগ পাইনি। লুভ মিউজিয়াম, আইফেল টাওয়ারের কথা তো সবারই জানা। পারলে ভার্সাই ঘুরে আসবেন। আপনি নিশ্চয়ই খোজখবর করেই যাবেন। আমার ছেলের সাথে গিয়েছিলাম একবার, তখন তো ডিজনিল্যান্ড নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে হয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনাকে আর কতো হিংসা করবো?
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্টু বালিকারা কি হিংসাই করতে জানে?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চালান যেভাবে চালাচ্ছেন, আমরা অন্তত ঘোলের স্বাদ তো পাচ্ছি লেখা পড়ে। ধন্যবাদ!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আপনাকেও ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ, তীরুদা, অসাধারণ! কী দারুণ ছবিও তোলেন আপনি! খুব ভালো লাগল।
চলুক।
নতুন মন্তব্য করুন