শুরু:
কীর্তিনাশার ছবি পোষ্ট, ‘ঘুরে এলাম তেরমুখ’ দেখে প্রেরণা পেলাম। ঘরের কাছাকাছি চোখ রেখে যে পোষ্ট দিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ। সে সাথে ভাবলাম আমিও লিখি ঘরের কাছে চোখ রেখে। আমার ঘর তো এখানেই, মিউনিখে। তিরিশ বছর ধরে আছি এই শহরে। জীবনের অর্ধেকেরও অনেকটা বেশী সময়ে এখানাকার হাওয়াতেই নি:শ্বাস নিলাম। শিকড়ও গজিয়েছে। আমার ঘর তো এখানেই! সেটি মনে রেখেই ‘মিউনিখ-কথন’ নামে এই সিরিজটি শুরু করলাম।
অক্টোবর ফেস্ট:
প্রতিদিন বউকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিয়ে নিজের অফিসে আসি। Theresienwiese শহরকেন্দ্রের কাছাকাছি বিশাল এক মাঠ। সেটিকে পাশে রেখেই যেতে-ফিরতে হয়। জুলাইয়ের মাঝ থেকেই সে মাঠে কর্মব্যাস্ততা তুঙ্গে। অক্টোবর ফেস্টের প্রস্তুতি! বিশাল বিশাল হলে ইচ্ছেমতো বিয়ার খেতে আসে দূর দূরান্ত আর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধরণের মানুষ। সে হলগুলো রং-বেরংএর চেহারা নিয়ে দখল করেছে মাঠ। এর বাইরে নানা ধরণের আমোদ-প্রমোদের উপকরণ। মনে হয়, ডিজনী ল্যান্ডকেই যেনো কেউ তুলে এনেছে এখানে।
এক লিটারের বিয়ারের গ্লাসকে মাস (Mass) বলে এখানে। আকন্ঠ পানে শহরে বিয়ার লাশের (Bier Leiche) শহরে পরিণত হবে মিউনিখ। মাতালদের আনন্দ-উল্লাস আর বমির চিহ্নে ভরে যাবে এখান রাস্তাঘাট আর যানবাহন। বিশেষ করে ইটালীয়ানেদর ক্যাম্পিং গাড়ীর ভীড়ে ভরে উঠবে শহরের প্রতিটি পার্কিংএর জায়গা।
একসময় অক্টোবর ফেস্ট আকর্ষণ করতো, এখন বিরক্ত হই। পরে সেটি কমে গেলেও ছেলেকে নিয়ে যেতে হতো। এখন বড় হয়েছে ছেলে। নিচের বন্ধুদের নিয়েই যায়। বাইরের অতিখি না এলে সাধারনত: যাই না সেখানে। এবার ১৭ সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। দু’সপ্তাহ চলবে। হিমু, সুমন, ধুসর’রা আসবে বলেছে। এলে ওদের সাথেই একবার যাবো। তবে বিয়ার হলে বসার সুযোগ পাবো না। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাইরে বসতে হবে। আজকাল ভেতরের প্রতিটি বসার জায়গাও বাজারজাত করা হয়। কোলনের কোন এক এজেন্ট নাকি তিনশো ইউরোর বিনিময়ে এক সন্ধ্যয় দুজনের বসার একটি জায়গা বিক্রী করেছে বলে খবর এসেছে পত্রিকায়। তারপর রয়েছে বিয়ার আর মুরগীর দাম। নীচের ছবিগুলো ২০০৬ সালের অক্টোবরফেস্টে তোলা।
বিয়ার হলে এক Mass বিয়ার হাতে প্রোস্ট (চিয়ার্স)
গ্রীষ্মবিদায়:
আজ রোদ উঠলেও গ্রীষ্মের বিদায় ধীরে ধীরেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একটু বাতাসেই শীতের চাবুক লাগে শরীরে। প্রতিদিনই গাছের পাতায় হলদেটে তুলি আঁকছে কেউ। এবারের গ্রীস্মকে প্রাণভরে উপভোগ করেছি। যখনই সময় পেয়েছি, সাঁতার কেটেছি কাছাকাছি কোন লেকে। সেকারণেই হয়তো এবারের গ্রীষ্ম-বিদায় বুকে বাজবে বেশী। ২০০৬ সালে শরতকালে তোলা অনিম্পিক পার্কের কিছু ছবি।
মন্তব্য
পাঁচতারা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যাওয়ার জায়গাগুলা সবসময় দূরেই থেকে গেল
অনেক সময় গিয়েও শেষ হয়না যাওয়া!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দেখারও সুখ আছে দাদা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দেখাতেও সুখ ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কয়েকটা ভালো ছবি পড়ে গেছে সূর্যের বিপরীতে
উপায় ছিলনা। নইলে মোটিভই বাদ পড়ে যেতো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
গ্রীষ্মবিদায়ের ছবিগুলো দেখতে একেবারে ছবির মতো সুন্দর!
বেশ যত্ন করেই তুলেছিলাম। নইলে আমার ছবির হাত তথৈবচ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অলিম্পিয়া পার্ক তো ভয়াবহ রকম সুন্দর মনে হচ্ছে!! ছবিগুলো দুর্দান্ত হয়েছে!
পার্কের যে টিলাগুলো দেখছেন, সব কৃত্রিম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই শহরের যা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, সব এর নীচে লুকোনো। তার উপরই গড়ে উঠেছে এই অলিম্পিক পার্ক। ভাবা যায় না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শেষের চারটা ছবি এই পৃথিবীর মনে হচ্ছে না, তীরুদা।
ওখানে কোনো শব্দও কল্পনা করতে পারছি না।
অদ্ভুত অদ্ভুত অদ্ভুত লাগছে...
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকদিন পর দেখে আমার কাছেও অনেক তেমনি মনে হচ্ছিল।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছবিগুলো এক কথায় ফাটাফাটি!
ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অক্টোবর ফেস্টে গেলে মনে হয় নভোচারীর পোষাক পরতে হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার নভোচারীর পোষাক নেই?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো, ছবি আর লেখা দুটোই।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই! এদিকে আসছেন তো?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
যাদের লেখা পড়ার জন্য সবসময় উদগ্রীব থাকি আপনি তাদের একজন। লেখা যথারীতি উপাদেয় । ভাল থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! আপনিও ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
মারাত্মক সব ছবি। আপনাদের শরত অনেক বর্নীল সুন্দর। এর টানেই আসতে হবে একবার। তবে এবারের ফেস্ট আমার ভাগ্যে নেই। আমার পক্ষ থেকে এক মাস আগুস্টিনার। আচ্ছা বানায় নাকি এখনো আগুস্টিনার ডুঙ্কেল্স্?
আগুষ্টিনার ডুঙ্কেল খাইনি কখনো। খেলে ফ্রান্সিসকানার ডুঙ্কেল খাই। এক মাস আগুষ্টিনার এর জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। ওটা অবশ্যই পাওয়া যাবে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ওলিমপিয়া ষ্টাডিওনের চারপাশটা দেখে নস্টালজিক লাগছে। এইবার গেলে আল্টে পিনাকোঠেকেতেও একখান চক্কর মেরে আসবো।
সময় নিয়ে এসো, তাহলে সব হবে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সেই ছোট্টবেলায় বই পড়ে জানতে পারার পর থেকে জীবনে অন্তত একবার অক্টোবর ফেস্ট দেখার ইচ্ছা জন্মেছিলো! কবে যে যাওয়া হবে ...
ভালো লাগলো!
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চলে আসুন দুষ্টু!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অক্টোবরের চারে বোধহয় শেষ হবে এবারের ফেস্ট? সাত তারিখ মিউনিখে আধারাত কাটাতে হবে, ট্রেন বদলের আগ পর্যন্ত। ইচ্ছা থাকলেও ফেস্টের মধ্যে মিউনিখে থাকতে পারলাম না। হবে হয়তো আগামী বছর। যদিও বিয়ার আমি তেমন ভালো পাই না
"Life happens while we are busy planning it"
নতুন মন্তব্য করুন