বেশ জ্বালাতন করে বুড়িটি। পুরো আন্ডারগ্রাউন্ড ষ্টেশনটি যেন তারই দখলে। পত্রিকা নিয়ে যেই দাঁড়াবে এখানে, বুড়িকে তিরিশ মার্ক দিতেই হবে তার। মাঝে মাঝে বুড়ির দরকারও পড়ে। সপ্তাহের তিনটি দিনে তো বটেই! সে তিনদিনের একদিন চাকুরীর খবরাখবর থাকে পত্রিকায়, বাকী দু’দিন বাড়ী ভাড়ার বিজ্ঞাপণ। লোকজন হন্যে হয়ে থাকে কেনার জন্যে। তখন বুড়িকে লাগে। সে নীচে ষ্টেশনের ভেতরে দাঁড়ায়, আমাদেরকে শীতের মাঝেও বাইরে দাঁড়িয়ে বরফ হয়ে যেতে হয়। এই তিনদিন বাদ দিলে একদিন ছুটি, বাকী তিনদিন বিক্রি কম। সে যতোই কম হোক না কেনো, বুড়িকে তার টাকাটি দিতেই হবে।
আরেকটু খোলাসা করছি। এদেশে পড়াশোনার প্রস্তুতি হিসেবে ভাষা শেখা শুরু করেছি মাত্র। ভার্সিতে বেতন না দিতে হলেও ভাষা শেখা বেশ ব্যায়সাধ্য। ভাষা শেখার সময়টিতে পত্রিকা বিক্রি ছাড়া আর কোন কাজের অনুমতি দেয় না এখানকার বৈদেশিক দপ্তর। জার্মানীর নামী পত্রিকার একটি, “স্যুডডয়েচে ট্সাইটুং” এর সান্ধ্যকালীন সংষ্করণ বিক্রি করার দলে যোগ দিলাম এক বন্ধুর পরামর্শে। এদেশীয় ছাত্রছাত্রী সহ প্রায় পঁচিশ জনের একটি দল মিউনিখের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে সে পত্রিকা। কেউ কেউ বড় বড় পাতালষ্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, বাকীরা সাইকেলে করে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে ঘুরে ঘুরে। কে কোন ষ্টেশনে দাঁড়াবে বা কোন এলাকার রেষ্টুরেন্টে বেঁচবে, সেটি মোটামুটি ভাবে আগে থেকেই নির্ধারিত। মাঝে মাঝে মন্দ এলাকা থেকে ভালো এলাকায় প্রমোশন হয়। পরিচালক হিসেবে আরো তিনজন ছাত্র এই দলে রয়েছে। তাদের কাজ, প্রতিদিন একজন করে পালাক্রমে পুরো গ্রুপটি চালানো। এরা দিন ও সময় বুঝে প্রয়োজনীর পত্রিকার সরবরাহ নিশ্চিত করে। রাতে বিক্রেতারা ফিরে এলে হিসেব নিকেশ করে টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয়। শহরের সবচেয়ে ভালো ও ব্যাস্ত এলাকা, “মারিয়েন প্লাট্স” প্রত্রিকা অফিসের কাছাকাছি। সপ্তাহের তিনটি ভালো দিনে সেই লাভজনক জায়গাটি এই পরিচালকদের হাতেই। বিক্রেতাদের পত্রিকা ভাগ করে দেবার পর পরিচালকদের একজন সেখানেই দাঁড়ায়। আর দলটির সর্বময় কর্তা এক জার্মান ইন্জিনীয়ার, সন্ধ্যায় কাজের শুরুতে একবার আসেন।
ভাষা শেখা শেষ করে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর আমিও প্রথম বিদেশী হিসেবে পরিচালকদের দলে যোগ দিলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ সুবিধাজনক কাজ। সপ্তাহে দু’দিন দল চালাতে হয়। সেইসাথে একদিন “মারিয়ান প্লাট্সে” বিক্রির আলাদা সুবিধা। এখানেই অবাধ রাজত্ব বুড়ির। সেখানেই ওর সাথে যোগাযোগ।
আশি থেকে নব্বুইয়ের মাঝে তার বয়েস। সঠিক নাম জানা নেই কারো, সেও বলেনি কখনো। আমরা তাকে ওমা বলে ডাকতাম। জার্মান ভাষায় দাদীকে ওমা বলা হয়। ওমার তিনকুলে কেউ আছে কি নেই, সে ও জানা নেই কারো। কতোদিন ধরে এখানে পত্রিকা বিক্রি করছে, সেটিও জানেনা কেউ। হালকা পাতলা চেহারায় সার্বক্ষণিক বিরক্তির প্রলেপ। গালাগালি ছাড়া হেসে কথা বলতে দেখেনি তাকে কেউ। পত্রিকা অফিসের পরিকল্পনায় ওমাকে তাড়ানোর জন্যে ষ্টেশনের উপরে ও নীচে দু’জন বিত্রেতাকে পাঠানো হলো একদিন। ওমা নীচের জনকে ছাতাপেটা করে আবার সে অফিসে ফেরত পাঠায়। পরে ওমার প্রতি সাধারন লোকদের সহানুভূতিক কথা ভেবে ওমাকে কেউ ঘাটায়নি আর।
পড়াশোনার সাথে সাথে এই কাজটিই সুবিধাজনক হওয়াতে সেটিই চালিয়ে গেলাম। বছর তিনেক পর একবার বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লো ওমা। তারপরও আসতো। কাছাকাছিই একটি সরকারী দাতব্য এপার্টমেন্টে থাকতো। ঘন্টাখানিক পর আমরাই তাকে তিরিশ মার্ক দিয়ে ধরে ধরে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে আবার কাজে ফিরে আসতাম। তখন তার চেহারায় কৃতজ্ঞতা দেখলেও হাসিমুখ দেখিনি কখনো।
একসময় অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আসা বন্ধ হয়ে গেলো তার। আমার এক জার্মান বন্ধু ও পরিচালকদের একজন- কার্ল ও আমি যথাসম্ভব ওমার দেখাশোনার দ্বায়িত্ব নিলাম। নিজে রান্না করে খাবার ক্ষমতা পুরোপুরি ছিলনা তার। বাইরে থেকে খাবার কিনে নেবার পাশাপাশি নিজেরাও রান্না করে নিয়ে যেতাম। কিন্তু একমাস পর ওমা এতো বেশী অসুস্থ ও দূর্বল হয়ে পরলো যে, সার্বক্ষণিক দেখাশোনা ছাড়া তার দিনাতিপাত অসম্ভব হয়ে পড়লো। আমরা দু’জনে মিলে তাকে তারই পরামর্শে খুঁজেপেতে একটি দাতব্য ওল্ড হোমে ভর্তি করার ব্যবস্থা করলাম। সেখানেও প্রতি সপ্তাহেই দেখাশোনা করতে যেতাম। আমরা এলেই খুব খুশী হতো বুড়ী, মাঝে মাঝে যেনো হাসতেও দেখা গেলো তাকে।
এভাবেই চললো কয়েকটি মাস। ওমাকে দেখাশোনা করাটি আমরা আমাদের একটি দ্বায়িত্ব হিসেবেই মেনে নিয়েছি। ওর মুখে হাসি দেখে আমাদের আনন্দ হতো, পরিতৃপ্তি পেতাম এই কঠিন সময়ের মাঝেও। ততদিনে আমার স্ত্রী ক্রিষ্টিয়ানে ও কার্লের বান্ধবী ডানিয়েলা যোগ দিলো আমাদের এই দাতব্যকর্মে।
এর মাঝে ওমার অবস্থার অবনতি ঘটলো আরো। একদিন আমরা চারজনে মিলেই দেখতে গেলাম তাকে। আমাদের সাথে অনেক গল্প করলো ওমা, সামনের জীবনের জন্যে নানা পরামর্শ দিল। বিদায়ের সময় একটি ছোট্ট ব্যাগ দিল আমার আর কার্লের হাতে। বললো, এই ব্যাগে তার জমানো টাকা আছে। আমরা যেনো তার পছন্দের কবরস্থানে কবর দিয়ে বাকী টাকাটা নিজেদের জন্যে রেখে দিই। তার সাথে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম তার ঘর ছেড়ে। কার্ল পরামর্শ দিল, আমরা যাতে ওল্ড হোমের পরিচালিকার সামনে টাকাগুলো গুনে নিই। এমনও হতে পারে, সুস্থ হয়ে উঠবে ওমা। তখন তার দাবী কি হয়, কে জানে। সেকারণেই একজনকে সাক্ষী করে সাথে সাথেই গুনে নেয়া ভালো। আমরাও সবাই কার্লকে সমর্থন জানালাম।
পরিচালিকা আমাদেরকে তার অফিস ঘরে নিয়ে গেলেন। আমরা ব্যাগটি টেবিলে রেখে খুললাম। প্রথমে পুরোনো কিছু কাগজপত্রের ভাঁজে ভাঁজে পাঁচ ও দশ মার্কের নোট বেরুলো কয়েকটি। সব মিলিয়ে দু’শো মার্কের মতো। তারপর আরো কয়েকটি খামে কিছু পঞ্চাশ ও একশো মার্কের নোট। কিন্তু একটু পরই ব্যাগের ভেতরেই দু’টো প্লাষ্টিকের ছোট বাক্স খুলে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো আমাদের। সেখানে থরে থরে সাজানো পাঁচশো আর একশো মার্কের নোট। সব যখন গোনা শেষ হলো, ওমার সারা জীবনের একশো আশি হাজার মার্কের সঞ্চয় আমাদের সামনে। একটি অশরীরি আবহ তৈরী হলো ঘরে। কী কষ্ট আর দারিদ্রের মাঝে জীবন কাটিয়ে এই সঞ্চয় তার! এখন অন্যের হাতে তুলে দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায়ের দিন গুনছে। আমরা পাঁচজন বেশ কয়েক মিনিট কোন কথাই বলতে পারলাম না। শুধু একেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম টেবিলের চারপাশে। আমাদের সামনে একটি ব্যগ, দু’টো সস্তা প্লাষ্টিকের বাক্স, কিছু ছেড়া কাগজপত্র ও একশো আশি হাজার মার্ক।
পরিচালিকা এবার আমাদের সামনে বাস্তব অবস্থাটি তুলে ধরলেন। যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়েছে ওমা, সত্যিকারের আর্থিক অবস্থা বিচারে, এসবের কোনটাই তার প্রাপ্য নয়। যে এপার্টমেন্টে কয়েক বছর ধরে রইল, এখনকার এই ওল্ড হোম, চিকিৎসার জন্যে ডাক্তার, প্রত্যেককেই পুরো খরচ কড়ায়গন্ডায় মিটিয়ে দিতে হবে। এমনকি জামানো টাকার ট্যাক্সও শোধ করতে হবে। তারপর যদি কিছু বাকী থাকে, সেজন্যে যদি ওমা আইনগতভাবে আমাদেরকে উত্তরাধিকার ঘোষনা করে ও আমরা তা গ্রহন করি, তাহলে সে বাকী টাকার প্রায় চল্লিশ শতাংশ সরকারকে উত্তরাধিকার জনিত ট্যাক্স হিসেবে দিয়ে বাকীটা পেতে পারি আমরা। আমরা পরিচালিকার পরামর্শ মতো একজন উকিলের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে পুরো টাকা জমা রেখে বাড়ী ফিরে এলাম।
দু’দিন বাদে যখন কার্ল আর আমি আবার ওমাকে দেখতে গেলাম, তীব্র গালাগালির মুখোমুখি হলাম। তার সারা জীবনের সঞ্চয় সে আমাদের হাতে তুলে দিতে চাইল, আর আমাদের ভুলের কারণে নষ্ট করলাম সব। আমরা তাকে নানা ভাবে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। একসময় শান্তও হলো ওমা। তবে তা আমাদের চেষ্টার প্রভাবে না তার অসুস্থতার প্রভাবে, তা বলতে পারবো না। তবে বিদায়ের সময় তার মুখে ক্ষীণ হাসি আর আশীর্বাদের ছাপ দেখলাম। হয়তো বলতে চাইল, “তোদের এই সততা নিয়ে ভোগান্তি আছে তোদের জীবনে”!
তার প্রায় এক সপ্তাহ পর কার্ল আর আমাকে তার টাকার আইসঙ্গত উত্তরাধিকার ঘোষনা করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল ওমা। হঠাৎ যেন এক শূন্যতার মাঝে ডুবে গেলাম আমরা। তার শেষকৃত্যের ব্যাবস্থা সেভাবেই করলাম, যেভাবে সে চেয়েছিল। তার মরদেহকে আগুনে পোড়ানো হোক, সেটা চায়নি ওমা। খরচ ও পরিবেশের কথা ভেবে সাধারণত: এটিই করানো হয় এখানে। পোড়ানোর পর যা অবশিষ্ট থাকে, তা একটি পাত্রে পুরে মাটিকে কবর দেয়া হয়। ওমার মরদেহকে না পুড়িয়ে মাটিতে কবরের ব্যাবস্থা করলাম। তাতে খরচ বেশী হলো বটে, কিন্তু তার শেষ ইচ্ছে পুরণের ব্যাবস্থা তো নিজেই করে গিয়েছে সে!
ওমার মৃত্যুর প্রায় মাস ছয়েক পর ছ’হাজার ছ’হাজার করে বারো হাজার মার্ক উত্তরধিকার দপ্তর থেকে জার্মান সরকারের নির্ধারিত আইনকানুন রক্ষা করেই কার্ল ও আমার একাউন্টে জমা হলো।
মন্তব্য
প্রথমে ট্যাগ দেখি নাই, গল্প মনে করে পড়ে শেষ করলাম ... তারপর বের হয়ে দেখি ট্যাগে লেখা সত্য ঘটনা ...
এখন আকশো আশি হাজার মার্কের দুঃখে ঘুম আসতেছে না
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
না, আমার ঘুম আসে। অনেক আগের কথা, হয়তো সে জন্যেই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনাদের সততায়
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
অনেক ধন্যবাদ পান্থ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এই হল জীবন,
মানুষ কষ্ট করে কার জন্য সঞ্চয় করে? একদিন চলে যেতে হয়, সবাই চলে যায়।
ধন্যবাদ।
যারা চলে গেছেন, তাদের কথা যদি ভাবি, নিজের কথাও যদি ভাবি, কতোটা ক্ষণিক এই সময়, তাহলে কী হবে টাকাপয়সায়?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বৈদেশিক দপ্তর। = পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বা এই জাতীয় কিছু ভাল হতো?
গল্পটা লিখেছেন দেখে ভাল লাগল।
কতো অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ আপনার জীবন!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ পুতুল। লেখার সময় মনে হয়নি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আহারে।
উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে সবারই একটু জানাশোনা করা দরকার। সেদিন কানাডার আইন সম্পর্কে যা জানলাম তা অনেকটা জার্মানীর মতই। এখানে আমি মারা গেলে আমার কোনকিছুই পরিবার পাবেনা। আমার সবকিছুর মালিক হবে সরকার। পরিবার সেগুলো নিতে চাইলে ৪০% ট্যাক্স দিয়ে তারপর নিতে হবে। কিন্তু এর সহজ সহজ সমাধানও আছে। আমি যদি উইল করে দিয়ে যাই যে এগুলো আমার ধর্মীয় বিশ্বাস-মতে বন্টন হবে, তাহলে কানাডীয় আইন ওভাররাইড করবে-- আমার পরিবার হবে তার উত্তরাধিকারী।
গল্প ভালো লেগেছে। শিক্ষনীয় ব্যাপারটা দেখেন-- যখন জানতে পারলো যে বুড়ির অনেক সম্পদ আছে, তখন কিন্তু সব হিসাব পাই পাই করে মেটাতে হলো। এমনটাই তো হওয়া উচিত। নিয়ম নিয়মের মতোই থাকা উচিত।
আমার আর উত্তরাধিকার আইন জেনে লাভ হবে না। নিজের কিছুই নেই। দেশে বিদেশে ঘুরেই শেষ করেছি সব, এখন ছেলেকে শিক্ষাটুকু দিয়ে যেতে পারলেই খুশী।
ওমার কাছে যা জমানো টাকা ছিল, সেটা দিয়ে সে বেশ ভালো জীবন যাপণ করতে পারতো। নিজের তো কেওই ছিলনা, যার জন্যে এতো কষ্টে চলা দরকার ছিল। সে কারণে ওমার জন্যেই কষ্ট হয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সুন্দর করে লিখেছেন তীরুদা। ওমাকে যেন দেখতে পেলাম চোখের সামনে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ধন্যবাদ রেশনুভা! ওমার কথা আমারও খুব মনে হয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বাংলাদেশের এখানে সেখানে থাকা 'ওমা'দের জন্য আমরা যদি কিছু করতে পারতাম।
আপনার সততা আর পরপকারী মনভাবকে আমি কুর্নিশ করি।
/ভন্ড_মানব
তার পুরস্কারও আমরা ওমার উদ্দেশ্য দেখেই পেয়ে গিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সুন্দর লিখেছেন অভিজ্ঞতা!!
ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ নাহার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কতরকমের মানুষ যে থাকে! আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি সত্যিই সমৃদ্ধ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অভিজ্ঞতা! ওই একটাই জমেছে জীবনে, আর কিছু নয় ভাই! ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো পড়ে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ বর্ষা! .... বর মিলেছে?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
, টাকাটা কি কাজে লেগেছিলো তীরুদা?
লেগেছিল তো বটেই! অর্ধেক দিয়ে UNIX শিখেছিলাম। বাকী অর্ধেক বউ আর ছেলেকে নিয়ে ফ্লোরিয়া ঘুরে শেষ করেছি। এইতো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বাঃ, এই তো চেনা তীরন্দাজী লেখা, পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার জীবনেই এতো গল্প, আপনি কেন যে সে সব ছেড়ে ফিকশন লিখতে যান! এগুলো তো আগে লিখে ফেলুন, তারপর বাকি সব হবে। আমরা যারা এমন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নই, গালগল্প লেখা তাদেরই সাজে।
কিন্তু, ভাই, আমার যে বড্ডো বেশী খাই!
যখন যা পাই, লিখতে চাই..
....... ....
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আরে, হিমু আমার বাড়ীতে! কী সৌভাগ্য!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
জীবন যুদ্ধের কাহিনীর জন্য ধন্যবাদ। ওমা'র স্বর্গ প্রাপ্তি হোক।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এইটুকু বলতে পারি মুগ্ধ হইতে গিয়া থমকাই নাই।
মহসীন রেজা
ধন্যবাদ রেজা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- কতোকিছুই না ঘটে জীবনে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি খবর ধুগো? কেমন আছ?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আউফ ওমা! উন্ড এণ্ডলীশ আউফ দাস টোডমুইডে লেবেন ..............
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
Auf Om! Warum soll das Leben Todmüde sein? was ist los?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা আপনার জীবনটা এত অভিজ্ঞতায় ভরা যে মাঝে মাঝে হিংসে হয়।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাকিদের মতন সততার ব্যপারটা ধরতে না পারলেও, আপনাদের আন্তরিকতায় আর মানবিকতায় মুগ্ধ হয়েছি।
নতুন মন্তব্য করুন