একটি লোকের কথা বলি। বেশ বয়েস তার, আর সেকারণেই হয়তো কথা খুব কম বলে সে। তার চেহারায় সারাক্ষণই এক ক্লান্তির ছাপ। সে ক্লান্তি এতো প্রকট যে, সেটি ছাপিয়ে রাগ বা আনন্দ, কোনোটাই প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। লোকটি ছোট্ট একটি শহরে, একটি রাস্তার শেষ মাথায়, চৌরাস্তার কাছাকাছি একটি বাড়ীতে বাস করে। আর সবার মতোই এতোটা সাদামাটা যে, আলাদা করে চোখে পড়েনা সে। তার মাথায় একটি ধুসর টুপি, পরণে ধুসর প্যান্ট আর ধুসর সোয়েটার। এর উপর শীতের সময় পরা থাকে একটি ধুসর রঙ্গের ওভারকোট। তার ঘাড় শীর্ণ আর গলার চামড়া শুকনো আর কুঁচকানো। এই কাঠামোর উপর তার সাদা সার্টের কলারের ঘের অতিরিক্ত চওড়া বলে মনে হয়। বাড়ীটির একেবারে উপরের তলার ছোট্ট একটি ঘরে বাস করে সে। হয়তো একসময় সংসার ছিল তার, ছেলেমেয়েও ছিল। লোকটি কোনো একসময় নিজেও কারো সন্তান ছিল। সেটি অবশ্যই এমনি এক সময়ে, যখন শিশুরাও বড়দের মতোই পোষাক পরতো। তার দাদীমার পুরোনো এলবামের ভেতরে ছবিটিই তার প্রমাণ। লোকটির ঘরে আসবাবপত্র বলতে আছে দু’টো চেয়ার, একটি টেবিল, একটি কার্পেট, একটি বিছানা ও একটি আলমারী। তার ছোট্ট টেবিলটির উপর আছে একটি এলার্ম ঘড়ি ও তার পাশে একটি পুরোণো খবরের কাগজ ও একটি ছবির এলবাম। ঘরের দেয়ালে আটকানো একটি আয়না আর একটি ছবি।
বুড়োমতো লোকটি প্রতিদিন একবার করে সকালে বিকেলে করে হাঁটতে বের হয়। মাঝে মাঝে দেখা হয় যেতো প্রতিবেশীদের সাথে। কালেভদ্রে সামান্য কুশল বিনিময়, আর কিছুই নয়। সন্ধ্যায় টেবিলের সামনে বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তার।
এমনি অবস্থা অনেকদিন ধরেই চলে। এমনকি রোববারগুলোও কাটে এমনি করেই। সারাক্ষণই ঘড়ির সামনে বসে থাকা আর টিক্ টিক্ শব্দ শোনা।
এরই মাঝে সুন্দর একটি দিন আসে। গরম নয়, ঠান্ডাও নয়, রোদে উজ্বল একটি দিন। পাখির কিচির মিচির ডাক, লোকের হাসিখুশী চেহারা, শিশুদের খেলাধুলা আর আনন্দ, এসব মিলিয়ে দিনটি এতোই অন্যরকম যে, লোকটির ভালো লেগে যায়।
একটু হাসে সে।
“দিনবদলের সময় আজই!” ভাবে লোকটি। জামার উপরের বোতামটি খোলে। তারপর টুপিটি হাতে নিয়ে চলার গতি বাড়িয়ে দেয়। হাঁটার সময় মনের আনন্দে ঢেউয়ের মতো একটু দোলে তার শরীর। নিজের পরিচিত রাস্তা ধরেই এগিয়ে যায় সে। পথে যে সব শিশুর সাথে দেখা, সবাইকেই হাত নাড়িয়ে আনন্দে আদর জানায়। তারপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে নিজের ঘরের দরজাটি খোলে।
কিন্তু ঘরের ভেতরে আবার সেই আগের মতোই। একটি টেবিল, দু’টো চেয়ার, একটি বিছানা। চেয়ারে বসে সেই আগের মতো একঘেয়ে ঘড়ির টিকটিক শব্দ শোনা। খুব রাগ হয় লোকটির। আয়নাতেও সে তার নিজের রাগে লাল হয়ে যাওয়া চেহারাটি দেখতে পায়, দেখে তার নিজের রাগে কুঁচকে যাওয়া চোখের দৃষ্টি। ধীরে ধীরে মুষ্টিবদ্ধ করে লোকটি তার হাত। টেবিলে প্রথমে একটি ঘুষি, তারপর অনবরত ঘুষির পর ঘুষি মেরে বারবার বলে,
“একটা কিছু বদলানো দরকার!” তার কথার আওয়াজে ঘড়ির টিকটিক মিলিয়ে যায়। কিন্তু একসময় খুব যন্ত্রণা হয় তার হাতে, কথা বলার শক্তিও থাকে না আর। ঘড়ির আওয়াজ আবারও সেই আগের মতোই কানে ভেসে আসে।
“একই টেবিল, একই চেয়ার, একই চেয়ার, একই বিছানা, একই ছবি” বলে লোকটি বারবার।
“টেবিলকে বলছি টেবিল, ছবিকে বলছি ছবি, বিছানাকে বলছি বিছানা আর চেয়ারকে বলছি চেয়ার। কী দরকার? ফরাসীরা বিছানাকে বলে লী, টেবিলকে বলে টাবল, চেয়ারকে বলে শেস্। বুঝতেও কোনো অসুবিধা হয় না তাদের। চীনের লোকজনও এসব বস্তুকে আলাদা নামেই ডাকে ও বুঝতেও পারে।“
“বিছানাকে ছবি বলা যাবে না কেন?” ভাবে লোকটি ও ভাবতে ভাবতে হাসতে শুরু করে সে। তার হাসির আওয়াজ এতো বেড়ে যায় যে, পাশের ঘরের লোকটি রেগে দেয়ালে ঘুষি মেরে তার প্রতিবাদ জানায়।
“এবারই পাল্টে ফেলব সব!”, বলে সে। মনে মনেই বিছানার নাম দেয় ছবি।
তারপর বলে, “খুব ক্লান্ত লাগছে, এবার ঘুমুতে যাব ছবিতে“।
পরদিন অনেকটা সময় সে তার ছবিতে শুয়ে থাকে। এরপর চেয়ারকে কি বলা যায়, সেটি ভেবে ভেবে চেয়ারকে ঘড়ি বলবে বলে স্থির করে। এরই মাঝে সামান্য ঘুমিয়ে পড়ায় তার নতুন ভাষায় স্বপ্নও দেখে সে। তার ছেলেবেলার একটি গানও তার নতুন ভাষায় রূপান্তর করে গুনগুন করে গায়ও সে ছবিতে শুয়ে শুয়েই।
অবশেষে বিছানা ছেড়ে কাপড়জামা পরে সে। ঘড়ির উপর বসে টেবিলে ভর রাখে। কিন্তু এবার টেবিলের নাম আর টেবিল থাকে না। টেবিলের নাম হয় কার্পেট। সুতরাং লোকটি ঘুম থেকে ওঠে কার্পেটের সামনের ঘড়িটিতে বসে আরো নতুন নতুন নাম ভাবতে শুরু করে।
বিছানার নাম দেয় সে ছবি।
টেবিলের নাম দেয় সে কার্পেট।
চেয়ারের নাম দেয় সে ঘড়ি।
পত্রিকার নাম দেয় সে বিছানা।
আয়নার নাম দেয় সে চেয়ার।
ঘড়ির নাম দেয় সে এলবাম।
আলমারির নাম দেয় সে পত্রিকা।
কার্পটের নাম দেয় সে আলমারি।
ছবির নাম দেয় সে টেবিল।
ছবির এলবামের নাম দেয় সে আয়না।
সুতরাং:
সকালে অনেকটা সময় ধরে তার ছবিতে শুয়ে রইল লোকটি। ন’টার সময় এলবামে এলার্ম বাজতেই সে ছবি ছেড়ে আলমারির উপর দাঁড়ালো, যাতে তার পায়ে ঠান্ডা না লাগে। পত্রিকা থেকে নিজের পোষাক বের করে পরলো সে। দেয়ালে আটকানো চেয়ারের দিকে একবার তাকালো একবার। তারপর কার্পটের পাশের ঘড়িতে বসে মায়ের টেবিলটি দেখা অবধি আয়নার পাতা উল্টিয়ে গেলো।
এবার খুব মজা পায় লোকটি। সারাদিন ভেবে ভেবে আরো কয়েকটি নতুন নাম স্থির করে মুখস্ত করে ফেলে সে। সে নিজেও আর একজন লোক থাকে না। সে নিজে হয়ে যায় পা। পায়ের নাম সকাল আর সকালের নাম একজন লোক।
এখন আপনারাও ইচ্ছে করলে গল্পটি লিখে যেতে পারেন। লোকটির মতোই আরো নতুন নতুন শব্দ পাল্টাতে পারেন।
আওয়াজ করার অর্থ হলো দাঁড় করানো।
শীত লাগার অর্থ হলো দেখা।
শুয়ে থাকার অর্থ হলো আওয়াজ করা।
দাঁড়িয়ে খাকার অর্থ হলো শীত লাগা।
সাজানোর অর্থ হলো পাতা উল্টানো।
এবার কাহিনীটি এমনি বলা যায়,
লোকটিতে পুরোনো পা’টি অনেক সময় ধরে ছবিতে আওয়াজ করে রইল। ন’টার সময় দাঁড়ালো এলবামটি। পা’টি জমে গেলো দেখে ও পাতা উল্টিয়ে গেলো যাতে তাকে সকালের দিকে তাকাতে না হয়।
একটি খাতা কিনে সেখানে নতুন নাম লিখে লিখে খাতাটি ভর্তি করে ফেলে লোকটি। এসব নিয়ে কয়েকটি দিন এতোই ব্যস্ত থাকে যে, বাইরে খুব কমই দেখা যায় তাকে। প্রতিটি শব্দের জন্যে নতুন নাম শেখে সে। শিখতে শিখতে সে একসময় সত্যিকারের নামগুলোই ভুলে যায়। এভাবেই নতুন, তার একান্ত নিজস্ব একটি ভাষা তৈরী করে সে। কিন্তু পুরোনো ভাষা ভুলে যাওয়ায় একসময় অনুবাদ করাও তার জন্যে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অপরিচিত হয়ে যাওয়া শব্দগুলো জানার জন্যে তাকে বারবারই নীল খাতার পাতা উল্টাতে হয়। অন্যের সাথে কথা বলতেও ভয়ে কাঁপে সে। এভাবে ভেবচিন্তে সঠিক শব্দ বের করা তো সহজ কথা নয়!
তার ছবিকে লোকেরা বলে বিছানা।
তার কার্পেটকে লোকেরা বলে টেবিল।
তার ঘড়িকে লোকেরা বলে চেয়ার।
তার বিছানাকে লোকেরা বলে পত্রিকা।
তার চেয়ারকে লোকেরা বলে আয়না।
তার এলবামকে লোকেরা বলে ঘড়ি।
তার পত্রিকাকে লোকেরা বলে আলমারি।
তার আলমারি কে লোকেরা বলে কার্পেট।
তার আয়নাকে লোকেরা বলে এলবাম।
তার টেবিলকে লোকেরা বলে ছবি।
পরিস্থিতি একসময় এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, লোকেদের কথা শুনেই হাসি পায় তার।
যখন কাউকে বলতে শোনে, “কাল কি ফুটবল খেলা দেখতে যাবেন”? তাতেই হাসি পায় তার। “এবার দু’মাস ধরে বৃষ্টি হবে একনাগাড়ে” বা “আমার এক কাকা আমেরিকায় থাকেন”, এধরনের কথা শনেই না বুঝে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে সে।
খুব আনন্দের গল্প এটি নয়। কষ্টের কথা দিয়ে আরম্ভের গল্পটি কষ্টের মাঝেই শেষ করতে হলো। ধুসর ওভারকোট লোকটি কারো কথা বুঝতে পারে না, সেটি হয়তো ততোটা কষ্টের ছিল না।
তার নিজের কথা কাউকে বোঝাতে পারে না, সেটি ছিল আরো অনেক বেশী কষ্টের। বাধ্য হয়ে তাই একসময় কথা বলাই থামিয়ে দেয় সে। নিজের সাথে মাঝেমাঝে কথা বলা ছাড়া সে একেবারে চুপ হয়ে যায় লোকটি। এমনকি কাউকে সম্ভাষনও জানায় না আর।
মন্তব্য
১
চমৎকার লাগল। এটা প্রথমে বলে নিলাম। এরপর কিছু থিওরিটিকাল কচকচি।
২
সস্যুরের মতে চিহ্নায়ক ও চিহ্নিতের সম্পর্ক আর্বিটারি বা যথেচ্ছ। এবং ভাষায় যেটা দিয়ে যেটা বুঝানো হয় সেটা দিয়ে সেটাই বুঝাতে হবে; ভাষা একটা কনভেনশন বা প্রথা।
সুতরাং ধারণা করি, একক ব্যক্তির জায়গা থেকে কনভেনশনালিটি (যার ভিত্তি আবার আর্বিটারি/যথেচ্ছ) ভাঙতে গেলে, কোনো এক পর্যায়ে ভাষাকেও ভাঙা/বদলানো আরম্ভ করতে হবে।
এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটা কনভেনশনালিটিকে ভাঙা শুরুই করে এই জায়গা থেকে। এটাই আমার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।
৩
উপরন্তু গল্পটার নামের মধ্যে একটা পরিহাস বিদ্যমান। 'একটি টেবিল একটি টেবিলই'। এর মানে ২ রকম হতে পারে।
অথবা
দেখো হে, সবসময়ই একটি টেবিল একটি টেবল নয়। ব্যক্তি চাইলে, তা পাল্টাতে পারে। ফলাফল যাই হোক। এক্ষেত্র পরিহাসটা সিস্টেমের দিকে তাক করা।
আসল দ্বন্দ্বটা তো এইখানেই।
অনুবাদককে আবারও ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার এই ধারণার সাথেই বেশী একাত্মতা আমার।
তবে গল্পটির ভেতরে যে বিষণ্নতা, সেটি আমাকে ছু"য়েছে বেশী আর সেজন্যেই অনুবাদ করেছি।
পড়া আর গভীরভাবে ভাবার জন্যে আমার পক্ষ থেকেও গভীর ধন্যবাদ জানাই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারণ গল্প।
অসাধারণ অনুবাদ
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেকদিন পরে আপনার লেখা/অনুবাদ পড়লাম, অসাধারণ! আবার হারিয়ে যেয়েন না!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ, আশা করছি, আরেকটু নিয়মিত হতে পারবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনুবাদ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন, বইখাতা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেকদিন পর।
ধন্যবাদ! সময়ের সাথে যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে পারিনা মাঝে মাঝে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকারতম একটা গল্প !!!
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ! ভালো থাকুন সুহাস।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আশ্চর্য!! এইতো মাত্র কদিন আগেই আমি ঠিক লোকটির মতোই ভাবছিলাম- গতবাধা নামেই কেনো সব কিছুকে ডাকতে হবে!! মনে মনে কিছু কিছু জিনিসের নাম পাল্টে অন্য নামে ডাকার চেষ্টাও করেছিলাম!! এরকম কিছু কল্পনা করে যে পৃথিবীর অপর প্রান্তে অন্য কেউ অনেক আগেই লিখে বসে আছেন তা জানা ছিলো না। অনুবাদের জন্য অনেক ধন্যবাদ...
"চৈত্রী"
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
আসলেই অবাক হবার মতো। আমরা অনেকেই অনেক সময় একই রকম ভাবি, দেশ, জাতি আর সমাজ নির্বিশেষে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদাকে প্রথমেই বিরাট ধন্যবাদ। অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম। এই গল্পটা আমার খুবই প্রিয়। প্রথম পড়েছিলাম সুমন রহমানের অনুবাদে। আবার পড়ে আবারো ভালো লাগলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ্ ! গল্পটি আপনার পড়া ছিল জেনে আনন্দ পেলাম। ভালো সাহিত্যের বিস্তৃতি যে কতো বেশী, সেটি অনেক সময়েই জানা থাকে না আমাদের।
ভালো থাকবেন নজরুল।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসাধারন একটা গল্পের অসাধারন অনুবাদ।
অনেক শুভেচ্ছা তীরুদা। আরেকটু যদি নিয়মিত লিখতেন, তাইলে আমদের ভাগ্যে এমন কিছু পড়ার সৌভাগ্য হতো।
চেষ্টা করবো অবশ্যই। আপনি ভালো থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার লাগল।
ধন্যবাদ নৈয়াদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ঘরটির বর্ণনা থেকেই থেকেই এই ছবিটার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
তীরু'দা রকস্!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকদিন পরে তীরুদার লেখা সচলায়তনে দেখলাম। অনুবাদটা ভাল লেগেছে।
দারুণ লাগলো তীরুদা!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তত্ত্বীয় খটকায় প্রথমে পড়লেও, লেখার গুনে সেটাকে সামলে উঠতে সময় লাগেনি। বিষন্নতাবোধটাই শেষমেষ থেকে যায়, শিরোনাম কার দিকে তাক করা তা নির্বিশেষেই। আমি অনুবাদ কম পড়ি, পড়লেও অন্য ভাষা থেকে ইংলিশে বা সুযোগ পেলে (যা মোটামুটি বিরল) সরাসরি বাংলায় অনুবাদ- যার মানে হল উপায়ন্তর না থাকলে। এক পাত্র থেকে আর এক পাত্র, আবার তার থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হলে জিনিস ত অর্ধেক-ও থাকার কথা না। ত, এই পোস্টটা দেখে এত আগ্রহের সাথে পড়ার এই হল কারণ। অনুবাদ ভাল হয়েছে বলেই মনে হল, শেষ প্যারাটায় সামান্য কিছু খুঁত ব্যতিত আমার চোখে মন্দ কিছু পড়েনি। একটা প্রশ্ন, এটা কত আগে লেখা গল্প? লেখক কি পুরনো না নতুন?
নতুন মন্তব্য করুন