বেশ দেরী করেই বিছানায় গেলাম সবাই। অনেকটা পথ হেটে আসার ক্লান্তি ছিল, তাই তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়তে চাইলাম। কিন্তু ঘুম এলোনা। গ্রামীন রাতের মসৃন নি:স্তব্ধতা খানখান করে দুর থেকে একটা আর্তচীৎকার ভেসে আসছিল বারবার। প্রতিবারই এক বুক ফাটা আর্তনাদ দিয়ে শুরু , আর শেষ হয় কান্না আর ব্যাথাতুর গোঙ্গানীতে। এক একটি আর্তনাদ শেষ হবার পরও সে কান্না রাতের নীরবতাকে জড়িয়ে থাকে অনেকক্ষন। সে রেশ শেষ হতে না হতেই আবার আর্তনাদ।
সোহেলও শুয়ে পড়েছিল পাশের ঘরে। দরজায় টোকা দিয়ে ওকে ডেকে তুলতে আনলাম । ও ঘুম জড়ানো কন্ঠে সংক্ষেপে বালু আখন্দের কাহিনীটা জানালো । প্রতি পূর্ণিমা রাতেই তার এ ধরণের চীৎকারের রোগ। গ্রামের সবারই গা’সওয়া হয়ে গেছে।
- মাসের বাকী সময়ে সে কি সুস্থ থাকে ?
- হ্যা। আমাদের ক্ষেতেই তো কাজ করে বালু। কাজেকর্মে খুবই ভাল। শুধু একটু চুপচাপ, দরকার ছাড়া মুখ খোলেনা সাধারনত:। কিন্তু চলাফেরায় পাগলামো আছে বলে একেবারেই মনে হয়না। অথচ প্রতি পূর্ণিমের রাতে পুরোপুরি উন্মাদ!
- কোন আত্মীয়-স্বজন নেই ওর?
- চারকুলে কেউ আছে কি না জানিনা। জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়েছে। মায়ের হাতেই বড় হয়েছে বারো তেরো বছর বয়েস অবধি। তারপর তার মা মারা যায়। পাশের গ্রামে নাকি এক মামা আছেন তার, বালু মাঝে মাঝে সেখানে যায় বলে শুনেছি।
পূর্ণিমার আলোয় যেনো ঝলসে আছে চারপাশ। তারপরেও গাছপালা ও ঘরের ছায়াগুলো থেকে একটা ছমছমে ভয় ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের আশেপাশে। গা শিউরে উঠলো। বালু আখন্দের চীৎকার শোনা গেলো আবার। আর সে চীৎকারের সাথে জোৎস্নাও যেনো কেঁপে উঠলো শঙ্কায়। শিহাব যে কখন পাশে এসে দাঁড়ালো, টেরই পেলাম না।
- কি রে, ঘুমোবি না আজ ?
- ঘুম আসছে না রে। চীৎকার শুনতে পাস নি? ভয়ংকর! সোহেলকেও ঘুমোতে দিলাম না।
- আমিও পারছি না চোখ বন্ধ করতে। আওয়াজটা যেন এসে বিঁধছে মগজে। তোদের কথা শুনে তাই বেরিয়ে এলাম।
নিজের মাথার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলল শিহাব। গ্রামের পাশের ক্ষেতে কয়েকটা শেয়াল আওয়াজ তুললো হুয়াক্কাহুয়া শব্দে । সে আওয়াজ শুনে গ্রামের কুকুরগুলো ডেকে উঠলো এক সাথে আমাদের চারপাশের নিঃস্তব্ধতাকে খান খান করে ভেঙ্গে । আর সে চীৎকারের সাথে বালু আখন্দের চীৎকার মিলে মিশে একাকার হয়ে লম্বা প্রতিধ্বনি হয়ে রইল। আমাদের বুকের ভেতরে ভয়ের শিহরণও মিশে রইল সে প্রতিধ্বণির সাথে।
- ও কি একা একাই থাকে? বিয়ে’থা করেনি ?
- করেছে। দু’বার। কিন্তু প্রথম বউ ভয় পেয়ে ছেড়ে গিয়েছে ওকে। তারপর গ্রামের মুরব্বীরা ধরে আবার বিয়ে দিয়েছে।
- দ্বিতীয় বউ আছে এখনও?
- আছে। বালু প্রতিমাসে পুর্ণিমার রাতে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি খুব ভাল। আমাদের বাড়ীতেই কাজ করে। এখন মায়ের ঘরে শুয়ে আছে মেঝেতে।
উঠোনের উল্টোদিকের ঘরটির দিকে আঙ্গুল তুললো সোহেল। আমরা সেদিকে তাকালাম। জানালার ফাঁক দিকে মৃদু আলোর রেখা দেখতে পেলাম। বোঝা গেল, সেখানেও ঘুম এখন অবধি বাসা বাঁধতে পারে নি। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো জোছনার আলোয় সে ঘরের ছায়ার শরীর বেয়ে বেয়ে।
- মারধর করে বউকে? প্রশ্ন করলাম আমি।
- একেবারেই না। । এক অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করে। কেউ সামলাতে পারে না। মুখে ফেনা জমে যায়। এ দৃশ্য দেখাটাই ভয়ের!
- এমনি করে সারারাত চীৎকার করবে ও ?
- না। চাঁদটা ডুবে গেলেই চুপ হয়ে যাবে আবার।
কিছুটা সময় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকলাম আমরা তিনজন। কি কষ্ট নিজের ভেতরে লুকিয়ে রেখে মানুষ তার প্রতিদিনের জীবনকে আগলে ধরে রাখে! সময়ের বুকে সাঁতরে এগিয়ে যায় সামনে। সারা মাসের জমিয়ে রাখা যে যন্ত্রণা বালু আখন্দের, তা একটি দিনে কোন এক প্রাকৃতিক বা মানসিক আকুলতার প্রভাবে আর্তনাদ হয়ে বেরিয়ে আসে। হয়তো এটা তার বাঁচারই আর্তনাদ, নয়তো বুক ফেটে মরেই যেতো সে।
কিছুক্ষন বালুকে নিয়েই কথা বলে বিছানায় গেলাম আমরা আবার। মইনের নাক ডাকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বালু আখন্দের কোন আর্তনাদ ও শুনেছে বলে মনে হলোনা। আমার আর ঘুম এলোনা। বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতেই কেটে গেল রাত। মোরগের ডাক ও পাখির কিচির মিচির শুরু হবার আগেই তাত বোনার ঠকর ঠকর আওয়াজ শুরু হয়ে গেল। ক’বার ছন্দময় আওয়াজের পর সামান্য সুতো বদলের বিরতি। তারপর আবার সে ছন্দ অন্য ছকে, আবার বিরতি। তার একটু পরেই আজানের আওয়াজ শোনা গেল। এর মাঝে মিলিয়ে গেল বালু আখন্দের আর্তনাদের রেশটুকু। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে সোহেলের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাংলো। পাশের বিছানায় অকাতরে ঘুমাচ্ছিল মইন। সে ও উঠে গেলো সাথে সাথে। সোহেলের গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে এসে এমনি এক রহস্যের মুখোমুখি হবো, ভাবতে পারিনি। বসার ঘরের টেবিলে সকালের নাস্তা নিয়ে এল বালু আখন্দের বউ। আধহাত লম্বা ঘোমটার আড়ালে চেহারা গেল নি, কিন্তু নড়াচাড়ার ধাঁচ দেখে নিতান্তই অল্পবয়েসী বলে মনে হলো। নাস্তা খেতে খতে মইনকে খুলে বললাম সব। এ শুনেই লাফিয়ে উঠলো।
- চল, আজই বালুর মামার ওখানে যাই।
ঘুমের সময়টা ছাড়া বাকী সময়গুলোতে নানা বিষয়ে মইনের আগ্রহের কমতি নেই। ঘুমের সময় এলেই সে যেন অন্য গ্রহের জীব হয়ে যায়।
- কিন্তু শুনেছি অনেক বয়েস এই লোকের। অনেকদিন ধরে নাকি অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন কিনা, সেটাই সন্দেহ!
- কথা না হলে ফিরে আসবো। আমরা তো এখানে ঘুরে রেড়াতেই এসেছি।
- কিন্তু দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে হবে। নইলে মনখারাপ করবে মা।
এরই মাঝে দুপরে বালু আখন্দের সাথে দেথা হয়ে গেলো আমাদের। সোহেলদের বাড়ীতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ ছিলো। বালু এসেছে সেখানে কামলার কাজ নিয়ে গ্রামের আরো অনেকের সাথে। সোহেল দুর থেকে দেখিয়ে দিল আমাদের। সাধারন চেহারার তিরিশ-বত্রিশ বছরের জোয়ান। কাজে ফাঁকে অন্যদের সাথে দুপুরের ভাত খেতে এসেছিলো। চোখ ফোলা ফোলা, চেহারায় রাত জাগার ক্লান্তি। কপালের একটা অংশে আচড়ের দাগ দেখা গেল। আমাদের সামনে পড়ায় সমীহের সাথে পাশ কাটিয়ে গেল। কোন কথা বললো না।
দুপুরের ভুড়িভোজন শেষে সমান্য বিশ্রাম নিতেও ইচ্ছে করলো না। মন পড়ে রয়েছে পাশের গ্রাম কালন্দীতে। খাওয়া সেরেই চারজন মিলে পাশের গ্রামের দিকে রওয়ানা হলাম। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম বিকেল তিনটার কাছাকাছি এসে থেমেছে কাটা।
ছোট গ্রাম কালন্দী। মনে হল, গরীব লোকেরই বাস। গ্রামের অনেকটা ভেতরে বালু আখন্দের মামার কুড়েঘর। শহুরে লোক আমরা, তাই উৎসাহীর অভাব হলোনা। তারাই দেখিয়ে দিল ও নিজেরাও সেই ঘরের সামনে এসে আমাদের সাথে ভীড় করল।
খক্ খক্ কাশির আওয়াজ শোনা গেল কুড়েঘরের ভেতরে। কিন্তু আমরা ডাক দেবার পরও সে ঘর থেকে কেউ বেরিয়ে এলো না। একটু ইতস্তত; করে আমরা নিজেরাই ঢুকলাম ভেতরে। দেখলাম একজন শীর্নকায় লোক তেলচিটচিটে কাঁথা গায়ে শুয়ে আছে ঘরের কোনার একটি চৌকিতে। চৌকির কাছে মাটিতে একটি ময়লা এনামেলের বাসন ও তার পাশে একটি পানিভর্তি টিনের মগ। বোঝা গেল, বেশ বয়েসী বালু আখন্দের মামা,। অসুস্থ, তাই অন্যের সাহায্যের উপর ভরসা করেই বেঁচে থাকা তার। আমাদের দেখে অনেক কষ্টে পাশ ফিরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকালেন। শহুরে পোষাকে আমাদেরকে দেখে একটু সমীহের ভাব ফুটে উঠলো তার চেহারায়। সোহেল পাশাপাশির গ্রামের ছেলে, তাই তাকেই এগিয়ে দিলাম সামনে।
- আমরা পাশের গ্রাম রতনদিয়া থেকে এসেছি।
রতদিয়ার নাম শুনেই চমকে উঠলেন বৃদ্ধ। তার চোখ মুখ উজ্জল হয়ে উঠলেও উৎকন্ঠার মেঘ এনে নিভিয়ে দিল সে ঔজ্জল্য।
- কাউলকা ত পূর্ণিমা আছিল। বালুর ত অসুখের রাইত। খারাপ কিছু অইছে?
বলেই উঠে বসার চেষ্টা করলেন। মইন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাকে বসতে সাহায্য করলো। এর মাঝে উত্তর দিল সোহেল,
- না বালু ভাল আছে। ও তো আমাদের বাড়ীতেই কাজ করে, আজও কাজ করছে।
- বেশী পাগলামী করছে পোলাডা? আমি বুড়া মানুষ! কি করি কন্ ?
- না না, বেশী আর কি। প্রতিবারের মতোই..।
- তাইলে? আপনেরা আইছেন ক্যান্? কি অইছে?
বলেই প্রশ্নবিদ্ধ চোখে আমাদের দিকে তাকালেন বৃদ্ধ। তার চেহারার উৎকন্ঠা আরো বেশী বেড়ে উঠলো তাতে। কাশি শুরু হলো আবার। তার দমকে কেঁপে উঠলো শীর্ণ শরীর। মইন পানির মগটা এগিয়ে দিল। সে পানি খেয়ে কিছুটা শান্ত হলেন বৃদ্ধ। এবার এগিয়ে গেলাম আমি।
- আমার বালু অসুস্থতা সম্পর্কে কিছুটা জানতে এসেছি। ও এমন করে চীৎকার কেন করে, বলতে পারবেন?
- হেইডা কেমনে কমু বাবারা? আমরা মুখ্যু সুখ্যু গরীব মানুষ! আমাগ তো রোগ বালাই থাকবই।
- ওর মা তো আপনার বোন হতেন, তাইনা?
- হ আমার বইন, বড় আদরের বইন। বিয়ার পরই বালুরে পেডে রাইখ্যা জামাইডা মইরা গেল। বইনের কইলাম, চইলা আয় আমার এহানে। আইল না, জামাইএর ভিটামাটি কামড়াইয়া পইরা রইল। ভিটামাটি থাকলেও খাওন ত লাগব! সারারাইত পরের বাড়ীতে ধান বানতো।
- বালুকে দেখাশোনা করতো কে?
- গরীবের আবার দেখাশোনা কি। মা’য় ধান বানতো আর পোলা মাটিত শুইয়া শুইয়া চান্দের দিকে চাইয়া খেলত। একবারও কানতে শুনি নাই। চান্দের থাইক্কা বড় বড় চউখ কইরা চান্দের দিকে চাইয়ি খিল খিল কইরা হাসতো। হাসি শুইন্না মায়েও ডরাইত, রক্ত হিম আইয়া যাইত। কত কবিরাজ দেহাইল, তাবিজ দিল, পানিপড়া দিল, কাম অইল না। মা মরল তার বার বছর বয়েসে। তারপর থাইক্কাই সবগুলান পুর্ণিমার রাইতে এই চিক্কাইর। এমুন ভালামানুষ পোলাডা হেইদিন পাগল অইয়া যায়। মোল্লাসাব কয়, হেরে নাকি চান্দের জ্বিনে ধরছে। কয়, আবার ছাড়াইতে পারে না! আমি গরীব বুড়া মানুষ, আমি কি করমু? আপনেগো গাওএর মাইনসে মিল্লা হেরে মাইরধরও করছেন। কিছু অইছে? এইডা অইল গরীবের ভাগ্যের লিখন সাহেবরা, ভাগ্যের লিখন! পোলাডা চিল্লাইতে চিল্লাইতে মরবো!
একসাথে এতগুলো কথা বলে এই বলে আরো বেশী কাশতে থাকলের বৃদ্ধ। আমরা তাকে সালাম জানিয়ে বিদায় নিলাম। গ্রামের ছেলে ছোকরার দলও ছুটলো আমাদের পিছু পিছু। গ্রামের সীমান্ত অবধি তারা আমাদের পিছ ছাড়লো না।
অনেক ভাবনা মাথায় এলো। বালু আখন্দের চন্দ্রাসক্তি জড়িয়ে আছে তার ভাগ্যের সাথে। এ ভার তাকে সারাজীবনই বইতে হবে। এর কোন চিকিৎসা আছে কি? ক্ষুধার কোন চিকৎসা আছে। সারাটি পথ আমাদের মন ভার হয়ে রইল।
ফিরতে ফিরতে সন্ধ্য ঘন হয়ে এলো অনেকটা। কোন বাড়ীতের মাটির পিদিম জালানো হলেও তাতে যেন সন্ধ্যার অন্ধকার আরো বেশী ঘনিভুত হলো। সেহেলদের বাড়ীতে যাবার পথের পাশেই বালু আখন্দের খড়ের ছাউনী দেয়া ঘর। তার পাশ দিয়ে যেতে যেতে গতরাতের কথা ভেবে কিছুটা শিউরে উঠলো শরীর। কিন্তু সে ঘরের ভেতর থেকে হঠাৎ শোনা গেল বালু আখন্দ ও তার বউএর আনন্দোজ্জল হাসি। তাতেই সে ভয়ের শিহরণ কেটে গেল সহসা।
(অনেকদিন পর আবার এলাম আপনাদের মাঝে। আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাই সবাইকে)
মন্তব্য
স্বাগতম!
অনেকদিন পর যখন এসে পড়েছেন তখন অনেক দিন থাকুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ হিমু! আশা আছে সেরকমই। সময় বেশ বাগড়া না দিলেই হলো।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
স্বাগতম তীরন্দাজ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ হাসিব! শুভেচ্ছা জানাই..।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু ভাই,সচলায়তন আপনাকে মিস করছিলো ।
লেখাটা কি এখানেই শেষ? কোন পরিনতি,কোন সম্ভাবনা?
আপনার দুর্দানত অনুবাদের ঝাঁপি সহসা খুলুক ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেকদিন পর তীরন্দাজ!
গল্পের বিবরণ ভালো লেগেছে, যদিও কাহিনী অস্পষ্ট মনে হলো।
নিয়মিত পাবো, সে অপেক্ষায় - - -
যাক, তীরুদা সচল হলেন ...আমি ভাবলাম আপনি গেলেন কই?
চমৎকার লেগেছে গল্পটা.... ফিনিশিংটা খিদে রেখে দিয়েছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনাদের ধন্যবাদ। গল্পটির সমাপ্তি এখানেই। বালু আখন্দের আর্তনাদের কারণের মাঝেই লুকিয়ে আছে গল্পের আসল রহস্য। সব রহস্যের সমাধান আছে কি?
বালু আখন্দের চন্দ্রাসক্তিরও কোন সমাধান নেই। এটা তার বাপ মা হারা দারিদ্রতাপীড়িত জীবনের ভাগ্য।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ ভাই আছেন মাথা ঠুকাঠুকি করি। আমি আর আপনি একি সাথে সচল হ্লাম।
দারুন হয়েছে
_____________________________
টুইটার
আমি অনেক আগে থেকেই কাগজে কলমে সচল ইরতেজা। তবে সময়াভাবে অচল ছিলাম।
আসেন, শুরু করি মাথা ঠোকাঠুকি! আমার কান্তু বেশ শক্ত মাথা। সাবধান!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বালু আখন্দের অমীমাংসিত রহস্যের গল্প পড়ে বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের "আরণ্যক" উপন্যাসের কথা মনে পড়লো। কত অজানা রহস্যগল্প ছড়িয়ে আছে পল্লীজীবনে, আমাদের শহুরে-যান্ত্রিক জীবনে যার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই হয়তো। যে গল্পের মূল্য সন্ধ্যাবেলা, কূপির আলোতে গ্রামের বাড়ির উঠোনে গা ছমছমে পরিবেশে বসে করে শুনলে বোঝা যাবে।
ভালো লাগলো অনেক। ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
তিরন্দাজ গল্প ভাল লেগেছে, তবে বালুর কষ্টের কারণটা আরো স্পষ্ট হতে পারত।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তীরন্দাজকে দেখে ভালো লাগলো। আবার হাওয়া হইয়েন না...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
বালু আখন্দের রহস্য অমীমাংসিত ছিল না। বালু আখন্দের শৈশবের অমানবিক জীবন তার এই চন্দ্রাসক্তির কারণ। এর কোন চিকিতসা নেই, সমাধান নেই।
আমরা সবাই আমাদের শৈশবের অনেক অভিজ্ঞতা এখনও বয়ে বেড়াই। কারো কাছে তা সারা জীবনের জন্যে আলো দেখিয়ে থাকে, কারো বেলায় বাকী জীবনের জন্যে অভিশাপ হয়ে থাকে।
বালুর বেলাতেও তার শৈশব তার সারা জীবনের অভিশাপ। এ অভিশাপকে স্বীকার করে নিয়েই এ গল্পের অবতারণা।
পাঠকদের ধন্যবাদ!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
দুর্দান্ত, অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকলাম আপনর লেখাটার দিকে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন