অণুগল্প ১:
উৎকণ্ঠায় ঘুম হারাম বনের পশুদের। সামনের তিন মাসে যেসব পশুদের সাবাড় করবে, তাদের একটি তালিকা নাকি করেছে সিংহরাজ। কাদের নাম সেই তালিকায়, জানা নেই। অথচ জানা থাকা ভলো হতো সবার জন্যে? মরার আগে মানসিক প্রস্তুতি যাতে আগে থেকেই নেয়া যায়। যাদের নাম নেই, নিশ্চিত আনন্দে বাঁচতে পারে তারা। জানতে চায় অনেকেই। কিন্তু সিংহের সামনাসামনি যাবার সাহস সহজে হয় না কারো।
বিজয়দেবী নাইক (Nike)
আমাদের গাইড এক তুর্কী মহিলা। নাম হানিফা। জন্ম এফেসাসের কাছাকাছি সেলচুক শহরে। বাবা মায়ের সাথে দেশ ছেড়ে পড়াশোনা করেছেন ও বড়ো হয়েছেন জার্মানিতে। পরে আবার আত্মার টানেই আবার ফিরে এসেছেন নিজের দেশ তুরস্কে। সদালাপি ও আন্তরিক হানিফা যদিও আট বছর বয়েসের এক সন্তানের মা, বয়েস তার চুয়ান্ন।
শেষ পর্ব:
সময় পেরিয়ে যায়। সময়ের সাথে ঋতু আসে ঋতু যায়, সেই সাথে কাটে পশুদের স্বল্পকালীন জীবন। তুলসীপাতা, বেনজামিন, কাক মোসেস ও কয়েকটি শুয়োর বাদে বিপ্লবের সেই পুরনো দিনগুলোর কথা কেউ মনে করতে পারে না।
নবম পর্ব:
অষ্টম পর্ব:
সপ্তম পর্ব:
নিদারুণ শীত এবছর! দমকা ঝড়ো হাওয়ার পর প্রথমে বরফ-বৃষ্টি ও তারপর তুষারপাত। এরপর শুধুই কঠিন বরফ, যা ফেব্রুয়ারি অবধি জমাট বেঁধে থাকে। বাতাসকল পুনর্নির্মাণের কাজে সর্বশক্তিতে খাটে পশুরা। তাদের দিকে যে নজর সবার, সেটি অজানা নয় তাদের। নির্মম সত্য এই যে, তাদের যে কোনো ব্যর্থতায় জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়বে হিংসুটে মানুষ।
ষষ্ঠ পর্ব
সারা বছর ধরে ক্রীতদাসের মতো খাটে পশুরা। কিন্তু কাজে খুব আনন্দ তাদের। কোনো ক্লান্তিই তাদের কাছে ক্লান্তিকর বলে মনে হয়না, কোনো কষ্টেই ম্রিয়মাণ হয় না ওরা। যা করছে, সবই নিজেদের ও তাদের পর নতুন যারা আসছে, তাদের জন্যে। কোনো কিছুই আলসে ও চোর স্বভাবের মানুষের করতে হয় না আর।
পঞ্চম পর্ব শীত এগিয়ে আসার সাথে তাল মিলিয়ে মলির চলাফেরা ক্রমশঃই অস্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রতিদিন সকালেই দেরিতে কাজে এসে সময়মত ঘুম ভাঙেনি বলে অজুহাত দেখায়। কারণ হিসেবে শরীরে অবিশ্বাস্য কোনো যন্ত্রণার কথা তুললেও খাবার বেলায় রুচিতে কোনো কমতি দেখা যায়না। কোনো অজুহাত দেখিয়ে ডোবার পাড়ে বোকার মতো দাড়িয়ে জলে নিজের প্রতিচ্ছবির দিতে তাকিয়ে থাকাই তার দৈনন্দিন রু
চতুর্থ পর্ব
গ্রীষ্মের শেষের দিকেই পশুখামারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। নেপোলিয়ন আর তুষারবল আশেপাশের খামারগুলোতেও কবুতরের ঝাঁক পাঠায়। তাদের কাজ হল, অন্যান্য খামারের পশুদের সঙ্গে মিশে এই বিপ্লবের কাহিনী শোনানো ও সবাইকে "ইংল্যান্ডের পশু" গানটি শেখানো।