তৃতীয় পর্ব
হাড়ভাঙ্গা আর ঘাম-ঝরানো খাটুনি খেটে ঘাস কেটে ঘরে আনে তারা। যতটা ভেবেছিল, তারচেয়ে অনেক বেশী ফসল ঘরে আনতে পারে সবাই মিলে।
নিজেদের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারে না পশুরা। প্রথম কাজ হিসেবে খামারের পুরো সীমানা লাফিয়ে লাফিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। হয়তো কোথাও কোনো মানুষ লুকিয়ে থাকতে পারে!
২য় পর্ব
তিনরাত পর মৃত্যু হয় বুঢঢা মেজরের। ফলবাগানের এক প্রত্যন্ত কোণে কবর হয় তার।
বন্ধুরা, আমাদের জীবনের এই অসহনীয় অবস্থার জন্যে একমাত্র এই মানুষ-প্রাণীদের একচ্ছত্র আধিপত্যই দায়ী। এদের দুর করতে পারলেই তোমাদের নিজস্ব পরিশ্রমের ফসল তোমাদেরই। এক রাতের মাঝে আমরা স্বাধীন ও সম্পদশালী হতে পারি। কী করতে হবে আমাদের?
অতিরিক্ত মদ টেনে বেশ মাতাল খামার মালিক জোনস। মুরগীর খোঁয়াড়ের দরজাটি বন্ধ করলেও হুড়কোটি আটকাতে ভুলে যায়। কাজ শেষ করে আলোর বৃত্ত নাচাতে নাচাতে হারিকেন হাতে উঠোন পার হয়ে পেছনের দরজার সামনে জুতোটি খুলে ঘরে ঢোকে। ভাড়ার ঘর থেকে বিয়ার গ্লাসটি শেষবারের মতো পূর্ণ করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে শোবার ঘরে। ততক্ষণে বিছানায় গভীর শান্তিতে নাক ডাকায় তার বৌ।
একটি লোকের কথা বলি। বেশ বয়েস তার, আর সেকারণেই হয়তো কথা খুব কম বলে সে। তার চেহারায় সারাক্ষণই এক ক্লান্তির ছাপ। সে ক্লান্তি এতো প্রকট যে, সেটি ছাপিয়ে রাগ বা আনন্দ, কোনোটাই প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। লোকটি ছোট্ট একটি শহরে, একটি রাস্তার শেষ মাথায়, চৌরাস্তার কাছাকাছি একটি বাড়ীতে বাস করে। আর সবার মতোই এতোটা সাদামাটা যে, আলাদা করে চোখে পড়েনা সে। তার মাথায় একটি ধুসর টুপি, পরণে ধুসর প্যান্ট আর ...
দুবাই বিমানবন্দরে বসে একা একা। একমাসের ঢাকা, বইমেলা, ভাইবোন, যানজট সবই হঠাৎ করে স্মৃতিসহ একটি পর্দার আড়ালে। এ সময়টি একা একা কাটানো বেশ কষ্টের। মরুভুমির মাঝে এই বিমানবন্দরের শীতল বিশালতার মাঝে সে কষ্ট আরো বেশী তীব্র হয়ে ধরা দেয়। সবচেয়ে ছোট বোনটি খুব আদরের। যতক্ষণ দেশে থাকি, প্রায় আকড়ে থাকে আমাকে। আমার এই বিষন্নতার একটি বিশাল অংশে ও জায়গা করে নিয়েছে।
এবারের বইমেলা যে ভাবে উপভোগ ...
প্রায় আড়াই সপ্তাহ হলো, ঢাকায়। এর মাঝে প্রথম কয়েকটি দিন বাদে প্রায় প্রতি সন্ধ্যাতেই বইমেলাতে গিয়েছি। নিজের বইদুটোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী। সচল ও অনেক পরিচিতজনের বই প্রতিদিনই বেরুচ্ছে। বেশ সরগরম আর উৎসব উৎসব ভাব। অনেকের সাথে পরিচয় হলো। ভালো লাগছে খুব। মনে হয় নিজের কক্ষপথেই চলছি আবার।
সচলদের সাথে এভাবে পরিচয় হওয়াটা আমার জন্যে ভীষন সৌভাগ্যের। জলিল ভাই যে খুব সজ...
ছয়দিন হলো ঢাকায় এসেছি। প্রতিটি দিনই কাটছে টানা ব্যাস্ততার মাঝে। আমি আরো পঁচিশদিন থাকলেও বউ মিউনিখে ফিরে যাবে দশদিন পরই। দুজনকেই সবাই চায় বলে প্রথম দিন থেকেই দৌড়াতে হচ্ছে এদিক সেদিক। তারপরও অনেকটা জোরাজুরি করেই ক্রিকেট মাঠে গেলাম দ্বিতীয় টেষ্টের চতুর্থ দিনে। দ্বিতীয় ইনিংসএ বাংলাদেশ দলের ভালো শুরুর পরও তাসের ঘরের মতো উইকে...
হুহু করে ছুটছে ট্রেন, মসৃণ গতিতে। কোনো ঝক্কর ঝক্কর নেই, কোন কাঁপুনি নেই। সঙ্গিরা নিজেদের মাঝে জোর আলোচনায় মত্ত। সেদিকে নজর নেই আমার। নজর বাইরের জানলার দিকে। প্রতিটি ছোটবড়ো শহর, গ্রাম পেরুলেই তার নামটি জানতে ইচ্ছে করে। আতিপাতি খুঁজি, কোন সাইনবোর্ড চোখে পড়ে কি না। ছোট স্টেশনগুলো এতো দ্রুত পেরিয়ে যায় যে, নামও পড়া যায় না। বেশ হতাশ লাগে তখন। ছোটার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায় এই অপরিচিতির আ...