ভাবছিলাম, যত লেখক তত লেখা। এবং উপকরণও কি ততই? অথবা একই বা ভিন্ন উপকরণকে ঘিরে ভিন্ন সময় এবং ভিন্ন পরিবেশ কতখানি প্রভাব ফেলে লেখনীতে? আরেকটু সহজ করে উদাহরণ দিয়ে বললে, দেশে এবং প্রবাসে থেকে যারা লিখছেন তাদের লেখার বিষয়বস্তু কতখানি ভিন্ন এবং এই ভিন্নতা কতটা সার্থক হয়ে ওঠে একটি গল্পে বা অন্য কোন লেখায়? এই বিষয়টি নিয়ে মেইল এবং জি-টকে সচলায়তনের সমসাময়িক ক'জন লেখককে আলাপ করতে দেখছি ক'দিন ধরে- কনফুসিয়াস, অমিত আহমেদ এবং আনোয়ার সাদাত শিমুল। তাদের আলাপ এবং চিন্তাভাবনার কিছু অংশ সচলবাসীদের সাথে সরাসরি ভাগ করে নেয়াই এই পোস্টের উদ্দেশ্য। অন্য সব সচলের মতামত নিয়ে এই প্রসংগটি আরো পরিষ্কার হবে আশা করি।
--------------------------------------------------------------------
আনোয়ার সাদাত শিমুলঃ আমরা দেশের বাইরে থেকে পড়ার রিসোর্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
লেখার উপকরণ থেকেও কি?
মানে আমাদের লেখার মানুষগুলো যদি আমাদের দেশের হয়, চেনা শহরের চেনা ভীড়ের চেনা মুখ হয়; তাহলে আমাদের একটানা দেশের বাইরে থাকা কি এ চরিত্র নির্মাণে প্রভাব ফেলছে? আগে ঢাকায় বাসে চড়তে কতো রকম মানুষ দেখতাম, ফাস্ট ফুডে, আর্চিসে, ট্রাফিক জ্যামে, কতো রঙের মানুষ। ভাবলে প্রতিটা মানুষকে নিয়ে একটা গল্প হয়, কিংবা সবাইকে নিয়ে আরেকটা গল্প। এখন বিদেশে সেরকম মানুষ তো দেখিই না।
আমি গত ৩ বছর বাংলাদেশের উঠতি তরুণ-তরুণী, কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনি। এখনকার ইয়াং কাপলরা কিভাবে কথা বলে সেটাও জানি না। কারণ, গল্পের প্রেমের শহর ঢাকা থেকে আমি অনেক দূরে। মনে হচ্ছে, আমি লিখতে গেলে সেটা বেশি কাল্পনিক হয়ে যাবে বা বাস্তব থেকে দূরের জিনিশ থাকবে।
আপনারা কিছু ভাবছেন কি?
কনফুসিয়াসঃ কথা সত্য। এটা একটা সমস্যাই বটে।
দেশ থেকে দুরে থাকার নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কোন বয়সে প্রবাসে আছে, সেটার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। দেখা যায় পড়ালেখা বা জীবিকা নিয়ে নানা ব্যস্ততায় দেশের একদম সাম্প্রতিক লেখাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পড়া হয় না। হয় অনেক পরে, লেখাটা বিখ্যাত বা কুখ্যাত হয়ে গেলে। নতুন লেখা পড়বার যে একটা তরতাজা বা চায়েগরম অনুভুতি, সেটা মিস হয়ে যায়।
তো, লিখবার জন্যে যেহেতু পড়াটাও জরুরি, আর তারচেয়ে বেশি জরুরি সেই অবস্থা বা পারিপার্শ্বিকের মধ্যে অবস্থান করাটা- তো এই ক্ষেত্রেই প্রবাসে থেকে ঝামেলায় পড়তে হয়। সমসাময়িক লেখার উপাদান অন্য লেখা থেকে ধার করে নিতে হয়। এবং সেই লেখাটা হয়তো ঠিক সময়ে হাতে আসে না। যদিও কল্পনার কোন লাগাম নাই, কল্পনার ঘুড়ি নিয়ে অনেক কিছু ভেবে টেবে নেয়া যায়, তবু, এটাকে এক রকমের "লস"-ই বলতে চাই আমি।
আবার এখন যেখানে বসবাস, সেই জায়গাটাও কম প্রভাব ফেলে না। এখানকার পরিবেশ, মানুষজন এবং এখানকারই সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, এসবের সাথেই যেহেতু সংশ্লিষ্টতা বাড়ে, এগুলোও ভাবনায় চলে আসে। সর্বশেষ "ইঁদুর" বা "প্রতিবিম্ব" গল্পের চেহারা সুরত এইরকম বৈদেশী টাইপ হবার কারণও এটাই।
তবে শিমুলের গল্পগুলো পড়লে কিন্তু একেবারেই বোঝা যায় না যে আপনি বাইরে থাকেন। একদম তরতাজা জিনিসপাতি তুলে নিয়ে আসেন এই সময়ের। পর্যবেক্ষণ খুব ভাল না হলে এটা সম্ভব নয়।
সবশেষে আমি বলবো- গল্প বা উপন্যাসের কাহিনির বুননের জন্যে এটা হয়তো শেষ মেষ বড় কোন ক্ষতি করতে পারে না। বর্তমান সময়ের লেখা-জোকা, নিউজপেপার আর সর্বোপরি- ব্লগে খানিকটা উঁকিটুকি মারলেই ব্যাপারটা অনেকাংশে কাটানো যায়।
মানে, আমার সেরকমই ধারণা আর কি!
আনোয়ার সাদাত শিমুলঃ অস্বীকার করবো না - কনফু'র "ইঁদুর" কিংবা অমিতের 'বিক্ষিপ্ত চিন্তাসূত্রে সাম্যতার তান' এবং এরকম কিছু লেখা আগেই মনে পড়েছে এ প্রসংগে। টিভি পেপার ব্লগ পড়ে দেশের উপকরণ আপডেট রাখা যায়, তবে ৩ টাকা মিনিট নাকি আড়াই টাকা মিনিট মোবাইলের দোকান, কাস্টমার যখন ফোনে কথা বলে তখন দোকানদার শুনে কি শুনে না, নাকি অন্য কিছু করে - এরকম হাজারো জিনিশ বিদেশে পাওয়া যায় না। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, বিদেশে গিয়ে নতুন মানুষ দেখে লেখার নতুন উপাদান পাওয়া যায়; তবে আমি এইসব জিনিশ নিয়ে লিখতে আরাম বোধ করি না।
অমিত আহমেদঃ আমি সম্পূর্ণ ভাবে একমত যে বিদেশে থাকলে আমাদের অনেক সীমাদ্ধতা আসে। যেমন -
1. লোকেশন নিয়ে ঝামেলা (কেউ যদি একটা গল্পে লিখে- সাম্প্রতিক সময়ে 'রিক্সায় করে নবরুপায় গেলাম', পাঠক একটু খটকা খাবে কারণ সে রাস্তায় আর রিক্সা চলে না)
2. মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার গতিপথ নিয়ে বিভ্রান্তি (আগে মধ্যবিত্ত চাকুরে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যেতো কিংবা ভরসা ছিলো ভাত-গোশত-বিরিয়ানীর রেস্তোরা। এখন সব চাইনিজ রেস্তোরায় লাঞ্চ প্যাক দেয় - মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই - সেটাই সবচেয়ে জনপ্রিয়।)
3. প্রাত্যহিক আলোচনা নিয়ে দ্বিধা (টক অব দ্য টাউন কি - আলু? মতি রাজাকারের গ্রেফতার? আমেরিকার নির্বাচন? বাংলাদেশের নির্বাচন? নাকি চারদলের সংলাপ?)
4. উপরের তিনটি কারণে প্লটের সীমাবদ্ধতা (যেমন একটা প্লট ভাবা যাক যেখানে, x প্রতিদিন y রাস্তা দিয়ে যায় আর রাস্তার ধারে একটা ছিন্নমূল মহিলা z-কে আলুথালু অবস্থায় দেখে, যে কিনা তিনটা গ্যান্দা বাচ্চার মা। প্রতিদিনের রুটিন। লোকটার প্রতিদিন উত্তেজনায় থাকে আজ ওকে কিভাবে দেখা যাবে। একটা সময় তার সারাদিনের কাজে মেয়েটা একটা বড় প্রভাব রাখে। এখন এই x, y, z এর সম্পর্ক এমন ভাবে সাজাতে হবে যেখানে মধ্যবিত্ত x, আর নিন্মবিত্ত z এর সহবস্থান y এর মাধ্যমে যোগসূত্র মানানসই হবে। উদাহরণটা নিচু স্তরের হলেও তোমরাদেরকে বুঝাতে পেরেছি মনে হয়?)
সীমাবন্ধতা গুলোকে কি কাটানো যায়ঃ সম্পূর্ণ ভাবে কাটানো সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। তবে কিছু চেষ্টা করা যাতে পারে। আমি দেশে গেলে সারাক্ষণ বাইরে থাকি। এখানে যাই ওখানে যাই, এটা করি ওটা করি, এই খাই সেই খাই, এতে কিছুটা সাহায্য হয়, তবে পুরোটা নয়। এই যে পরবর্তি উপন্যাস "বৈদর্ভী যাত্রার শেষে" (প্রাথমিক নাম) লিখতে গিয়ে এই সমস্যাটা হচ্ছে। তবে দেশে থাকলেও যে আমি হুট করে লিখে ফেলতাম তাও না। তবে সুযোগ থাকতো লোকেশনে স্বশরীরে যাবার।
আমি নিয়মিত বাংলা সংবাদপত্র পড়ি না, ম্যাগাজিন পড়ি না, সচলায়তন বাদে অন্য কোনো ব্লগেও বেশি যাতায়াত নেই, দেশ থেকে বাংলা বই আনতে পারি না - তাই একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে ধীরে ধীরে। এবং আমি প্রথম বুঝতে পারি ব্লগে লিখতে শুরু করার পর থেকে। তখন থেকেই এই গ্যাপ পূরণ করার চেষ্টা করছি বাংলা পড়ার অভ্যেসটা ফিরিয়ে এনে। আরেকটা কাজ করে এই গ্যাপটা পূরণ করা যায়, সেটা হচ্ছে মেসেঞ্জার। একটা সময় কোনো ভাবে আমার মেসেঞ্জারে কিছু টিনেজ মেয়ে ঢুকে পড়ে। ব্যাপারটা হয় শাপে- বরের মতো। ওদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যাওয়ায়, নতুন জেনারেশনকে যেভাবে চিনতে পেরেছি সেটা হয়তো কেবল পত্র-পত্রিকা-ব্লগ পড়ে সেভাবে পারতাম না। মেসেঞ্জারে দেশে ফেলে আসা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলেও অনেক কিছু জানা যায়, বোঝা যায়।
লেখায় বিদেশের প্রভাবঃ এটা আমি মানতে রাজি না। আমার মনে হয় একদম "ভুদাই" না হলে অজান্তে কারো লেখায় এটা আসবে। আমি যখন "না বলা কথা" লিখেছি তখন পিটারব্রো, কানাডার একটা ছোট্ট শহরকে মাথায় রেখে লিখেছি। সে লেখায় একটা বিদেশি ছাপ থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। নুরুল যেমন "ইঁদুর" ওর শহরের ছবি মাথায় রেখে লিখেছে। এটা ইচ্ছাকৃত।
বিদেশের পটভূমিতে আমার কিছু লেখা আছে। ইনফ্যাক্ট খেয়াল করলে দেখবা আমার ব্লগে প্রথম দিকের সব গল্পই কানাডার পটভূমিতে। বিদেশের পটভূমিতে লিখতে গেলে আমি কিছু সমস্যায় পড়ি -
* বিদেশের অনেক জিনিসের সাথে বাঙালি অজানা, এখন সেগুলো কি বর্ণনা করবো? এতে আবার গল্পের মানহানি হয়।
* বিদেশী মানুষের জীবনযাত্রার সাথে বাঙালি অপরিচিত। তাই যেসব এখানে অতি সাধারণ ঠিক তাই তাঁদের কাছে অসামান্য মনে হতে পারে।
* বিদেশীদের সাথে একাত্ম হতে না পারার ব্যাপারটাও আছে।
এসব কারণে বিদেশী পটভূমিতে আমার প্রধান পাত্রপাত্রী বাঙালিই ছিলো। সেসব বাঙালি যারা কানাডার প্রধান স্রোতের সাথে পুরোপুরি মিলে যায় নি। অনেক গল্প আমি লিখতে পারিনি এই সমস্যার কথা চিন্তা করে। আরো একটা ব্যাপার আছে, ব্যক্তি জীবনে দেখেছি বাঙালি অন্য বাঙালির অ্যাডাপটেবিলিটি পছন্দ করে না, কিংবা হিংসা করে। তাই এ ধরণের গল্প লিখলে সবাই বলবে "দুই দিনের কানাডিয়ান, ভাতকে বলে রাইস!" ব্যক্তিজীবনে আমি এসব পাত্তা দেই না, কিন্তু লেখালেখিতে আমি সে ঝুঁকিতে যেতে চাই না।
আনোয়ার সাদাত শিমুলঃ একজন ব্লগার দেশে থেকে যত সহজে দেশের সমাজ/মানুষকে নিয়ে ব্লগরব্লগর কিংবা গল্প লিখতে পারেন, ঠিক তিনিই যদি দেশের বাইরে থাকেন একটা লম্বা সময়, তবে কি আগের মতো সাবলীলভাবে লিখতে পারেন? ব্লগ পড়ে আমার তো প্রায়ই মনে হয়, কোনো না কোনো ভাবেই প্রবাসের ছায়া তাঁদের লেখায় চলে আসছে।
'সার্বজনীনতা'র ব্যাপারটা আরেকটু বলি, শব্দটা মনে হয় অন্য কিছু হবে।
আমি বলতে চাইছিলাম, একটা গল্প এমন হবে যেন মনে হয় এটা গতকালের ঘটনা। কিংবা গত বছরের, আবার ১০ বছর আগেরও হইতে পারে।
আমি যদি গল্পের মধ্যে একটা লাইন দিই - 'আমার মিসকল ধরলি কেনো? সাতটাকা ফেরত দে'; পাঠক বুঝে যাবে এইটা ২০০৩ এর আগের গল্প। কারণ, মোবাইল কোম্পানীগুলা এর পরে পালস চালু করছে বিল কমছে। আবার যদি লিখি - "কে এফ সি'তে খাইতে গেছিলাম", তাইলে এটা সাম্প্রতিক বছরের ঘটনা, এটাকে মিলেনিয়াম উদযাপন বা নাইন ইলেভেনের আগের রাত বানানোর উপায় নাই।
তোমরা বিরক্ত না হইলে, আমার ১টা গল্পের কথা বলি। একটা গল্পে আছে - রোজার মাস আর পূজা এক সাথে আসছে, সরকার বলতেছে - তারাবীর নামাজ, ইফতার, আর সেহেরীর সময় ঢোল বাজানো যাবে না। এখন মাঝরাতে মাইকে হুজুরদের ডাকাডাকি, এলাকার পোলাপাইনের গেইট পিটাপিটি নিয়ে সংখ্যালঘু বোধ এর এই গল্পের আবেদন ২০০৪-২০০৬ এর মধ্যে শেষ। গত বছরও রোজা পূজা একত্রে হয় নাই। এরকম টাইম মিলতে ২৫-৩০ বছর লাগবে। ২০০৬ এ যখন আমি এটা লিখি, টাইমের সাথে পুরা পার্ফেক্ট। কিন্তু, ২০০৭/০৮ এ এসে পাঠক এই গল্পে কিছু পাবে কিনা আমি নিশ্চিত না।
বিপরীতে কনফুর 'সমান্তরাল', তিথির 'রাহেলা', অমিতের 'না বলা কথা' -কে যদি ধরি; এই গল্পগুলো সব সময়ের জন্য পাঠ্য হইতে পারে। সময় ফ্রেমে বন্দী হওয়া নিয়ে জটিলতা নাই।
-------------------------------------------------------------------
এই ছিলো অমিত-শিমুল-কনফু'র আলাপের সারবস্তু। এবার অপেক্ষা বাকিদের মতামতের। তো শুরু করুন!
মন্তব্য
যেকোন ক্ষেত্রেই বিশেষ করে গল্পে দুটো সময়কে আমরা ধারণ করতে চাই। সমকালীনতা, চিরায়ত। উপরের আলোচকরা প্রথমোক্ত সমকালীনকে গুরুত্ব দিয়েছেন নিঃসন্দেহে। অবশ্য একটা ঝাঁঝালো গল্পে এটাই হওয়া উচিৎ। সময় প্রতিবেশ ফ্যাক্টর তো বটেই। তবে এই সীমাবদ্ধতা কি কৌশলে কাটানো যায় না ?
সেই কৌশলটাই বোধ করি দায়ে পড়ে শাপে বর লাভের মতো চিরায়তের মর্যাদা নিয়ে আসতেও পারে !
অবস্থান ও সময়ের গ্যাপ আপনি কাটাবেন কী করে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@শিমুল
পেইন্টিং পোট্রেট আর স্টিল ফটোর মধ্যে কিন্তু তফাত আছে
স্টিল ছবি ধরে রাখে যা আছে তা। যেখানে বসন্তের দাগ আছ সেখানেই সে তা ধরে
কিন্তু মুখের যেখানে তিল দরকার তা সেখানে বসায় পেইন্টিং
দূরে থাকলে কারো পক্ষে দৈনিকের কলাম লেখা সম্ভব না হতে পারে
কিন্তু সাহিত্যে কোনো ক্ষতি হয় বলে মনে হয় না আমার
কারণ সাহিত্যে যা যা দরকার তা লেখক তৈরি করেন
জেমস জয়েস তার লেখক জীবনের পুরোটাই ডাবলিনের বাইরে কাটিয়ে সারা জীবন ধরে শুধু ডাবলিনই লিখে গেছেন...
@কনফুসিয়াস
দেশের সাম্প্রতিক লেখা হয়তো কম পড়া হয়
কিন্তু কাউকে কাউকে বোধহয় বাইরের সাম্প্রতিক লেখাগুলোর নির্যাসও দেশীয় সাহিত্যে সম্প্রসারণ করা দরকার
আর বাংলা সাহিত্য এখন একেবারেই একটা জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে
প্রায় বন্ধ্যা সময় পার করছে
সুতরাং এখানেও লস দেখি না পড়তে না পারলে
@অমিত
অমিতের জন্য একটু বেশিই বিপদ
অমিতের লেখাগুলো বড়ো বেশি স্থানিক আর কালিক
এটা বোধহয় ছাড়তে হবে লেখার কথা ভেবেই
টাকার সংখ্যা না বলেই মিসকল কাটার গল্প বলতে হবে
নাহলে সমূহ বিপদ অমিতের জন্য
এরশাদ পড়ে যাবার পর মোহন রায়হানের কবিত্ব নাই হয়ে গেছে
কারণ তার কবিতাগুলো পড়তে গেলে এরশাদকে মনে মনে প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়ে পড়তে হয়
কিন্তু চিলে কোঠার সেপাই একটা ক্লাসিক
বাহ! আপনেও জয়েসের ফ্যান তাইলে? এই প্রথম এইহানে কারোরে পাইলাম... এই লোকের 'এরাবী' অনুবাদ করা নিয়া কত ঘটনা... আমি আমার ব্যপক সীমাবদ্ধতার পরেও এর 'ফিনেগানস ওয়েক' অনুবাদ করবার জন্যে তৈয়ার হইসিলাম। শুরু করবার পর বুঝলাম, নাহ, আপাততঃ মার্ক স্ট্র্যান্ডরে লইয়াই থাকি। জয়েসের এই বি দশ বছর পর আবার ধরব।
'ডাবলিনার্স' এর মতো শ্রেষ্ঠ গল্পের সংকলন আমি আর পাই নাই...
ধুরো, উলটা গ্যাজাইতেসি...
- বস, জেমস জয়েসের ডাবলিন আর আমাদের ঢাকা (কিংবা বাংলাদেশের উন্নয়নশীল যেকোন শহর) মোটেও এক না। ডাবলিন যে চেহারায় আছে তার চোখে ধান্দা লাগার মতো পরিবর্তন হতে লেগে যাবে গোটা পঞ্চাশেক বছর। এবং সেটা হবে খুব ধীরে। পক্ষান্তরে আমাদের ঢাকা কিংবা অন্য যেকোনো শহর কিংবা মফস্বলের এই পরিবর্তনটা হয় অনেক তড়িঘড়ি। মাত্র ছয় মাসের ব্যাবধানে সেখানে এমন কিছু পরিবর্তন আসে যেখানে ঠিক ছয় মাস আগের কিছু অংশ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে।
খুব স্বল্প সময়ে আমাদের চোখের সামনে আমূল পরিবর্তন এসে যায় আমাদের শহরের। সেখানে দুই থেকে চার বছর ধরে যাদের দেশের সঙ্গে, নিজের শহরের সঙ্গে দৃশ্যতঃ কোনো যোগাযোগ থাকেনা তাদের জন্য ঐ শহরের সঙ্গে, ঐ শহরের বিভিন্ন ইলেমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।
খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই।
আমি যে রাস্তা ধরে স্কুলে যেতাম সেই রাস্তাটা ভিডিও তে দেখলাম সেদিন। খুব বেশিদিনও হয়নি শেষবার যখন ঐ রাস্তাটায় হেঁটে এসেছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো আমি সেই এক কিলোমিটার রাস্তাটার কোনো গলি, কোনো মোড়ই চিনতে পারছিলাম না। আর পক্ষান্তরে সেই তুলনায় খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা সিডনী শহর কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটা রাস্তার বাঁক সহ মনে আছে। বিভিন্ন সাবার্বের অলিগলিও বলে দিতে পারি এখনো। কোথায় কোন মোড়ে কোন দোকান আছে, কোথায় ৮৪৩ নাম্বার বাসটা থামে। সবই পুংখানুপুংখ বলে দেয়া যায়।
ঠিক এই ঝামেলার কারণেই অনেক সময় বাইরের জীবনের সাথে দেশের জীবন মার্জ করে কোনো লেখা লিখতে ইচ্ছে করলেও সেটা আর হয়ে ওঠে না। সীমিতি সামর্থ্যে প্রবল ইচ্ছে থাকার পরেও হাত গুটিয়ে কেবল বৈদেশিক ব্যাপারগুলোই টেনে নিয়ে যেতে হয়, একটা একপেশে লেখা লিখে যাওয়ার ক্ষেত্রে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পড়লাম। ভাল লাগলো। সীমাবদ্ধতাগুলোর সাথে একমত। দেশে নিয়মিত যাওয়া-আসা না থাকলে এগুলো থেকে উত্তরণের পথ নেই তেমন একটা। ভাল লাগলো পোস্টের বিষয় ও বক্তব্য।
খুব ইন্টারেস্টিং টপিক, কিন্তু নতুন কিছু যোগ করার পাচ্ছি না। খুব বেশিদিন হয়নি দেশ ছেড়ে এসেছি, সে কারণেই হয়তো। তবে নিজের অভিজ্ঞতা, বা খুব নিবিড় পরোক্ষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু লেখা মুশকিল আমার পক্ষে, সেটা জানি। আজ যদি দেশকে নিয়ে কিছু লিখতে বসি, দু'হাজার সাতের মাঝামাঝিতে এসে সে গল্প শেষ হয়ে যাবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনারা পরস্পরের সঙ্গে এমন ভাষায় আলোচনা করেন?
তাব্দা হইয়া গেলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- বাহ্ বেশতো!
চলুক আলোচনা তার নিজস্ব গতিতে। তিন বস লোকের কাছ থেকে অবশ্যই এরকম আলোচনা আশা করতে পারি আমি।
তিথিকে অনেক ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার মতে লেখার উপকরণের অভাব কোথাও নেই —সে দেশেই হোক আর প্রবাসেই হোক। আমি লিখতে জানি না —শুধুমাত্র আমার চারপাশে যেসব ঘটনা ঘটে। যদি লিখতে জানতাম তাহলে সেগুলো লিখেই দুই/চারজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক পয়দা করে ফেলতে পারতাম!
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী ভাই এর সাথে আমি পুরাপুরি একমত। লেখার উপকরনের কোন অভাব নেই। একজন লেখক শুধু তার কল্পনা দ্বারা সীমাবদ্ধ! আর কিছুই না....
তা সে যেখানেই থাকুক।
শুধু জনপ্রিয়ই না কালজয়ী সাহিত্যও করা সম্ভব।
মজার ব্যপার হল একটা ফাকা ঘর কেও নিবীড় পর্যবেক্ষণ করা যায়। খুজে নেওআ যায় লেখার অনেক উপকরণ। কল্পনাটাই আসল এখানে।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার তো উপকরনের চেয়ে ইচ্ছের সংকটটাই তীব্র
আলোচনায় চোখ রাখি ,দেখি সংকট উত্তরনের কোন পন্থা পাওয়া যায় কিনা?
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একচোটে আমি সর্বোচ্চ বিদেশ থাকছি দশদিন... সিঙ্গাপুরে। তো আমার পক্ষে আসলে আন্দাজ করা কঠিন ভীনদেশে অনেকদিন থাকলে সেইটা লেখার উপকরণ সঙ্কটে কত্টুক ভোগায়।
আর এই যে আমি তাদের পরিস্থিতিটা এখন আন্দাজ করতে পারতেছি না সেইখান থেকে চিন্তা করলে মনে হয় সঙ্কট বুঝি হইতেও পারে।
তবে সাহিত্যের ক্ষেত্রে কত্টুক ঝামেলা হবে? সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কথা বলা যায়...
কালকেই কথা পরম্পরায় হাসান আজীজুল হকের সাক্ষাৎকার পড়তেছিলাম... সেইখানে তিনিও বলতেছিলেন যে সশরীর অভিজ্ঞতাকেই প্রধানতম অভিজ্ঞতা বললে অভিজ্ঞতার ধারণাটিকে খুব সীমিত করা হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এরা তো দেখি গুগল টকে ঝড় তুলসে।
আমি লেখক না, তাই মন্তব্য করতে ভয় পাইলাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
*এটি একটি প্রস্তাবনা মাত্র। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।*
________________________________________
কিছুরই প্রয়োজন নেই- তা সত্য কেবল নির্জলা সাহিত্যের জন্য। কিন্তু কেউ একজন যখন একটি প্রবন্ধ লিখতে চেষ্টা করবেন কিংবা একটি তথ্যমূলক নিবন্ধ লিখতে চেষ্টা করবেন, তখন কিন্তু তার কিছুটা হলেও উপকরণ চাই। একজন নিবন্ধকার বা প্রবন্ধকার একক চিন্তা-ভাবনা দিয়ে লেখাটি শেষ করতে পারেন না। যদিও লেখাটিতে কোনো রেফারেন্স ব্যবহার ছাড়া সেটি শেষ হয় তাহলে ভেতরকার দৈন্য কিন্তু গোপন থাকে না। যার ফলে পাঠক মাঝ পথেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে, আমাদের যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকে, তাহলে আমরা একটা পিডিএফ লাইব্রেরী করতে পারি। যা সচলায়তনের সদস্যরাই ব্যবহার ও ডাউনলোড করতে পারবে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমেদের মত রচনা দিয়ে সংগ্রহের বিশাল পাহাড় তৈরী করে ফেললে উদ্দেশ্য এবং আয়োজন দুটোই ব্যার্থ হয়ে পড়বে।
ঢাকায় বা ভারতে আমাদের যে বন্ধুরা আছেন কিংবা আমাদের কাছে যে সমস্ত গবেষণা ও তথ্যমূলক বই আছে, তার পিডিএফ করেই আমরা শুরু করে দিতে পারি আমাদের সংগ্রহশালা। তা ছাড়া যে পাঠকের যে বিষয়টি ভালো লাগলো অনলাইনে হোক আর পত্রিকার কপিই হোক পিডিএফ করে পাঠাতে পারেন সচলায়তনেই। মডারেটর যারা আছেন তারা সেগুলো সামলানো এবং আর্কাইভ তৈরীর গুরু দায়ীত্বটা পালন করতে পারেন। ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
@জুলিয়ান সিদ্দিকী -
বইয়ের কপিরাইটের ব্যাপারটি ভুলে গেলেন?
একটু ভয়ে ভয়ে বলছি, তাহলে বাংলা বুক ডট কম এবং মূর্ছনা ডট কম চলছে কেমন করে?
আপনি আইন ভাঙার ভয় দেখাবেন তো? কিন্তু আমি যদি স্ক্যান করে আপলোড করি, তাহলে সেটা আমার সম্পদ। যেহেতু সেই বইটিই আমি দোকান থেকে বা বইমেলা থেকে কিনেছি। গ্রন্থস্বত্ত্ব আইনে পিডিএফ করে বিলানো যাবে না বলা নেই। সেটা ফটোকপি করা নয়। বা পূণর্মূদ্রণ নয়। তবুও সম্মিলিত ভাবে আরেকটু ভাবতে অনুরোধ করছি।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
বাংলাবুকডটকম-মূর্ছনা সাইট এবং এ জাতীয় যারা লেখকের অনুমতি ছাড়া স্ক্যান করে বই আপলোড-ডিস্ট্রিবিউশন করে; তাদের কাজকর্ম মোটেও আইনসিদ্ধ নয়। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কেনো নেয়া হচ্ছে না, সেটা আইনের প্রয়োগ বিষয়ক দূর্বলতা বা ব্যর্থতা। ঐসব সাইট চলছে বলে, বইয়ের স্বত্ত্ব মালিকের অনুমতি না নিয়ে স্ক্যান করে, বই বিতরণ মোটেও জাস্টিফাইড হয় না।
এই কথা আপনি কোথায় পেলেন?
হাতের কাছে পেলাম ২০০০ সালে প্রণীত এবং ২০০৫ সালে সংশোধিত বাংলাদেশের কপিরাইট আইন। এর ৪ নম্বর ধারায় বলা আছে - " আলোকে চিত্রানুলিপি" অর্থ কোন কর্মের ফটোকপি বা অনুরূপ অন্য মাধ্যমে প্রণীত অনুলিপি; কপিরাইট আইনের লংঘন বলে বিবেচিত হবে।
অনেক বিদেশি বইয়ে সরাসরি লেখা থাকে - any type of unauthorized distribution আইন বিরোধী হবে।
তাহলে?
এইটা তো আগে জানা ছিলো না। তাইলে কি কোনোই রাস্তা নাই?
খুবই হতাশ হইলাম!
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ।
আমি বহুদিন ধরে প্রবাসী। খুব সম্ভবতো বাকী জীবনটাও প্রবাসীই থেকে যাব। নিজের ভেতরে 'ডগমা' নিতান্তুই কম। চোখের সামনে যা দেখি, তা নিয়েই লিখতে চাই। পেরে উঠি না। মন দেশেই পড়ে থাকে, লেখাতেও তাই দেশের কাহিনীই প্রাধান্য পায়। তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। কোন নির্দিষ্ট পথ বা সীমারেখার দিকে তাকিয়ে লিখি না আমি। লেখার শরীরে হয়তো বাইরের পোষাকে ছোপছাপ টের পাওয়া যায়। তাতেও আমার আপত্তি নেই। বিবর্তনকে অনেকে স্বীকার না করলেও স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমি বাধ্য হবার আগেই স্বীকার করে নেই। তবে কোন সংঘাতের ভয়ে নয়, নিজস্ব স্বভাবশতই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তিথিকে ধন্যবাদ, বিক্ষিপ্ত কথাগুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
রনদীপম, লীলেন ভাই, তীরু'দাসহ বাকীদের বলা কথাগুলো খুব কাজে লাগবে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
প্রথমত তিথিকে ধন্যবাদ আমাদের আলোচনা সুন্দর করে সাজিয়ে এখানে তুলে দেবার জন্য। কাজটি সহজ ছিলো না।
মাহবুব লীলেন ভাইয়ের মন্তব্য আমার অসাধারণ লেগেছে। আমার কিছু লেখা আসলেই বেশি স্থানিক ও কালিক। তবে সমস্যা হলো কিছু লেখা আবার স্থানিক-কালিক না করলে তেমন জমে না।
দ্রোহী ভাইয়ের সাথে একমত। আসলেই প্লট পাওয়া ব্যাপার না। তবে আমাদের কথা হচ্ছিলো সীমাবন্ধতা নিয়ে। আমার মাথায় একশো প্লট থাকতে পারে। কিন্তু দেখা যাবে এর মধ্যে নিদেনপক্ষে ১টি হয়তো আমি লিখতে পারবো না কারণ দেশের পটভূমিকাতে লিখতে গেলে যে তথ্য দরকার তা আমার নেই। এটা হবে লীলেন ভাইয়ের পরিভাষায় "স্থানিক-কালিক" গল্পে।
গল্প লিখতে গেলে ফার্স্টহ্যান্ড অভিজ্ঞতা লাগে তা আমিও বিশ্বাস করি না। জুলভার্ন নাকি নিজের শহরের বাইরেই কখনো যাননি। কিন্তু আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা লাগেই - সেটা সেকেন্ডহ্যান্ড হোক কিংবা থার্ডহ্যান্ড।
সবার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন