(গত কয়েক দিন টুকটাক বিচ্ছিন্নভাবে ডায়েরীর মত করে কিছু হাবিজাবি লিখে ব্লগস্পটের ড্রাফটে ফেলে রেখেছি। অনেক দিন তেমন কিছু লেখা হয় না, তাই এইসব ছাইপাশই আজ সচলে তুলে দিলাম।)
তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হতো না
দুই তিন ধরে একটু সকালে উঠার অভ্যাস করছি। একটু হালকা নাস্তা করি, চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সচলায়তনে লগ-ইন করি, পড়তে থাকি। ফেসবুকে ঢুঁ মেরে হোমপেজে বন্ধুদের আপডেট দেখি। এই-ই ভালো লাগে তবু মাঝে কিছুক্ষণ রান্নাঘরের রঙীন মশলাপাতি আর চাল-ডাল-পেঁয়াজ-রসুন নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়। ভাবছি, সকালে উঠতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। প্রয়োজনের বাইরের কাজগুলো আয়েশী ভঙ্গিতে করে নেবার সময় পাওয়া যায়।
দেশ থেকে বই এসেছে অনেকগুলো, অনেক দিন পর নতুন বই হাতে নিলাম- কি যে আনন্দ! "সচলায়তন সংকলন" নিয়ে টুকটাক কিছু অভিযোগ শুনেছিলাম, ফন্ট বেশি ছোট হয়েছে, কাগজের মান তেমন ভালো নয়-এসব। আমার তো মনে হলো আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বইটা হাতে নিয়ে বসে আছি। কি চমৎকার প্রচ্ছদ। ক্ষুদ্র অক্ষরগুলো দেখে ভাবি আহা কি চমৎকার গুটি গুটি হরফে ছাপা। বইমেলা নিয়ে বরাবরই আমার উচ্ছ্বাস অনেক বেশি, এবারেরটা আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিলো, খুব কাছের মানুষদের বই ছাপা হয়েছে বলে। আর এমন কপাল, এবারই প্রথম বইমেলায় থাকতে পারলাম না। তখন থেকেই অপেক্ষায় আছি। কিন্তু "সচলায়তন সংকলন" আজিজে খুঁজে পাওয়া গেলো না, আগেই বইমেলা থেকেই যেটা কেনা হয়েছিলো সেটাই পাঠিয়ে দিয়েছে আমার বোন। এসেছে নজমুল আলবাব ভাইয়ের "বউ, বাটা, বল সাবান", আরিফ জেবতিক ভাইয়ের "তাকে ডেকেছিলো ধূলিমাখা চাঁদ", মুর্তালা রামাতের "কষ্টালজিয়া", সুমন রহমানের "গরিবি অমরতা", "সিরামিকের নিজস্ব ঝগড়া"। মাঝের থেকে কেমন করে যেন অমিত আহমেদের "গন্দম" এলো না, কেনা হয়েছিলো তো ঠিকই-মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। আহমেদুর রশীদ ভাইকে এখানে একটা বিশাল ধন্যবাদ দিতেই হবে, আমার বোন খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রশংসা করলো তার। আজিজে ঘুরে আপু খানিক হিমশিম খাচ্ছিলো এই স্পেশাল বইগুলো খুঁজে পেতে। "শুদ্ধস্বর"-এ যাবার পর বইয়ের নাম শুনে রশীদ ভাই জানতে চাইলেন কাদের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ভাগ্যিস আমি ছদ্মনামে লিখি না, তাই চিনতে পারলেন (কনফুর নাম তারেক বলাতে চিনে নাই )।
হিমালয়ের কাছের কিছু মানুষ
আমার কাজের জায়গায় দক্ষিন এশীয়দের মিলন বসে। আমি একজনই বাংলাদেশি এবং বাঙ্গালী। ভারতীয় আছে বেশ কিছু, একজন পাকিস্তানী, একজন শ্রীলঙ্কান, একজন নেপালী। খুব সম্প্রতি আরো দু'জন নেপালী যোগ দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আসতে পথে প্রথম যে ভিনদেশীর সাথে আমার পরিচয় হলো, সে ছিলো একজন নেপালী, অবধারিতভাবে ভীষন সুন্দরী (আজ পর্যন্ত যত নেপালী মেয়ে দেখেছি সবাই মারাত্মক সুন্দরী, মনীষা কৈরালাকে দিয়ে শুরু!)। এরা হিমালয়ের অনেক কাছে থাকে চিন্তা করে এই মানুষগুলোকে দেখেই কেমন এক রোমাঞ্চ হয় আমার।
বাংলাদেশ থেকে মেলবোর্ণ আসার পথে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে ৭ ঘন্টার দীর্ঘ ট্রানজিটে একলা একলা কিছু করার ছিলো না, ছোট লাগেজটায় তাই বই ছিলো দু'টো সংগী হিসেবে- অবশ্যই ছোট গল্পেরঃ একটা আবু ইসহাকের, গত বইমেলা থেকে কেনা; আরেকটা গী দ্য মোঁপাসার। আবু ইসহাকের বইটা খুলে পড়া চলতে চলতে দেখি একটা মেয়ে হন্তদন্ত হয়ে আমার সামনে এসে থেমে গেলো। আমি বসেছিলাম সি ১ গেটের পাশে, বেঞ্চিতে। ওই গেট দিয়ে নেক্সট ফ্লাইট ধরতে হবে। জীবনের প্রথম বিদেশযাত্রায় একা থেকে, কোন ভুল করে বিপদে পড়তে চাই নি। তাই প্লেন থেকে নেমেই প্রথম কাজ ছিলো ইন্টারনেটে বসে খবর পৌঁছে দেয়া, আর তারপরেই আমার টার্মিনাল খুঁজে বের করে ধারেকাছে বসে থাকা। মেয়েটা বন্ধ সি১ গেট বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করে হতাশ হয়ে আমার পাশে বসে পড়লো। গন্তব্য কোথায় জিজ্ঞেস করতে জানায় মেলবোর্ণ। এইবার আমি বেশ একটা প্রশস্ত হাসি দিয়ে বলি, আমিও। সে খানিক ভরসা পেলেও ততোধিক দুশ্চিন্তায় বলে, আমাদের টার্মিনাল গেট বন্ধ হলে যাবো কি করে। আমি ভাবি কি পরিমান সরল একটা মেয়ে। তাকে বুঝাই তখনও আরো ৬ ঘন্টা বাকি ফ্লাইটের, গেট এখনই কেন খোলা থাকবে? এবার সে খানিক শান্ত হয়। একটু একটু করে আলাপ চলতে থাকে। নাম গীতা পন্ত। আমার মত তারও প্রথম বিদেশযাত্রা। কপালে (সিঁথিতে নয়) বেশ বড়সড় লাল সিঁদুরের প্রলেপ। জানা গেলো সে নেপালী, আসবার আগে মা পূজো করে আশীর্বাদ স্বরূপ এই চিহ্ন দিয়ে দিয়েছে। এই ৬ ঘন্টা টুকটুক করে অনেক কথাই হলো, সে খুব চিন্তিত তার দুর্বল ইংরেজী নিয়ে। মেলবোর্ণ পৌঁছেই আগে ইংরেজী শেখার কোন কোর্স করবে ঠিক করেছে। এক ফাঁকে গীতা তার ব্যাগ থেকে বেশ কিছু চুড়ি বের করে আমাকে দিলো স্মৃতি হিসেবে। আমি মোটামুটি ভ্যাবলা হয়ে দেখি তাকে দেবার মত এরকম কিছুই নেই আমার কাছে। বাংলা সাহিত্য তো আর দেয়া যায় না! মেলবোর্ণ আসার পাঁচ মাস পর হঠাৎ একদিন রাস্তায় দেখা হলো আবার গীতার সাথে, ফোন নাম্বার পেয়েছি-তবু যোগাযোগ হয় না।
গীতার কারনেই নতুন আসা নেপালী মেয়েটাকে দেখে খুব খুশি হলাম। ইনিও মাশাল্লাহ সুন্দরী, আমার চেয়ে অনেক ছোট বয়সে, নাম রেটিনা। প্রথম ক'দিন খুব মন খারাপ করে থাকতো। কাজের মাঝে বিরতিতে নানাভাবে তার মন ভালো করার চেষ্টা করতে করতে বলি, এখানে আরেকজন নেপালী ছেলে আছে, মানীশ। আবার মানীশকেও বলি, নতুন একটা নেপালী মেয়ে এসেছে। শুনেই ভারতীয় ছেলেগুলো মানীশকে ক্ষেপানো শুরু করলো, মানীশ তো গার্লফ্রেন্ড পেয়ে গেলো। দু'দিন পর দেখা গেলো সত্যিই তাদের খুব ভাব হয়ে গিয়েছে। বেশ একটা আজব অনুভূতি হয়, অজান্তে দুজন মানুষের মিল করিয়ে দিয়েছি ভেবে।
মায়াবতী দিদি আমাদের
সূচেতা দিদির বাসার এলে কেমন যেন ছেলেমানুষ হয়ে যাই একটু বেশি। এখানে সবাই খুব বেশি বড় হয়ে যেতে চায়, স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েগুলোরও ইউনিফর্ম না পড়লে বয়স বুঝার উপায় নেই। আর সেখানে আমি তো জীবনের দুই যুগ পার করে আরো এগুচ্ছিই ক্রমাগত। বড় বড় ভাব নিতে হয়। নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে হয়। অন্যদের সাথেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। নয়ত আর কি?এখানে কোথায় পা'ব বাবাটাকে। কোথায় পা'ব পাশের বাড়ির প্রিয় খালাকে...কে করবে ছেলেমানুষ ভেবে অনেক বেশি আদর আর সেইসাথে শাসন? এই একজনই আমাদের, সূচেতা দিদি। এই এখন দিদির বাসায় এসে দিদি খাবার-দাবার রেডি করছে আর আমি দিদির পিসি কিবোর্ডে হাত চালাচ্ছি। অন্য যেকোন বাসায় গেলে নির্ঘাত বেশ দায়িত্বশীল ভাব নিয়ে রান্নাঘরে আর খাবার টেবিলে সাহায্য করতে যেতাম। মাত্রই দিদি খানিক ভর্তসনাও করে গেলেন কম্পিউটারে এডিক্ট হয়ে গিয়েছি বলে। এই একটুখানি বকাও যে কত ভালো লাগে! এখন বকা খাচ্ছি, একটুপরে খাবো খিচূড়ী। আহা নিজে না রেঁধে খেলে খিচূড়ীর মজা যে কতখানি বেড়ে যায়!
দিদির বাসায় টুকটুক করে কত কি সাজানো। দু'টো ঘোড়া আছে, দারুণ। একটার পিঠে আবার জিনও আছে, আছে পা রাখার জায়গা, যেন এক্ষুনি কেউ ওতে পা রেখে ওর পিঠে চড়ে বসবে, তারপর টগবগ টগবগ...। অথবা যদি ওর একটা ডানাও থাকতো পক্ষিরাজের মত! সবার অলক্ষ্যে আমি কি ঘুরে আসতে পারতাম আমার সবুজ দেশটা?
পাগলা ঘোড়া রে, কই থেইকা কই লইয়া যাস...
আমার ব্যাচের পোলাপানের মাস্টার্স শেষ হলো মাত্র ক'দিন আগে (ঢাকা ইউভার্সিটিতে-তাই এতটা সেশন জট), থিসিস-এর কাজ চলছে। ই-চিঠিতে যোগাযোগ হয় এক বন্ধুর সাথে। ভালো রেজাল্ট হবে তার সন্দেহ নেই, তাই পরামর্শ দিই মাস্টার্স-এর পরে বাইরে কোথাও পড়তে যাবার, স্কলারশীপের জন্য যেন চেষ্টা করে। সে-ও জানায় তাই ভাবছে। তারপরের লাইনটাই চমকে দেয় খুব- "অদ্ভুত তুই বাইরে গিয়ে ভাবছিস দেশে কবে আসবি আর আমি দেশ থেকে বাইরে যাবার কথা ভাবছি। এজন্যই মুজতবা আলী বলেছিলেন, বাঙ্গালীরা বড় বেইমান প্রকৃতির, কখনও দেহমনের সহাবস্থান করতে জানে না..."।
কি অদ্ভুর নিয়ম। আমরা যা ইচ্ছে তাই করছি ভেবেও আসলে কি দারুণ পুতুল হয়ে বসে আছি প্রকৃতির। প্রত্যাশাগুলোও কি ভীষন বদলে দেয় একেকটা পরিবর্তিত পরিস্থিতি। প্রবাসে কনকনে ঠান্ডায় নিজেকে নানান শীতবস্ত্রে ড়্যাপিং করে, দারুন ভালো গতির ইন্টারনেটে এখানে সেখানে ঘুরে অতঃপর নিজের পাতায় টাইপ করতে করতে লক্ষ্য করি আজ ২৯শে জুলাই। ঠিক একটা বছর হয়ে গেলো এই ভিনদেশে! দীর্ঘ ৩৬৫ টা দিন!! তবুও দেহমনের সহাবস্থান করা হলো না।
মন্তব্য
শুভ এক বছর পূর্তি। (কাষ্ঠহাসি)
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ছাতার মাথা
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কাষ্ঠহাসি টা তো ওইজন্যে দিলাম।
ছাতার মাথা-টাইপ ব্যাপারগুলোর জন্যে একটা ইমোটিকন খুঁজে বের করতে হবে মনে হয়।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কি সন্ধানে এলাম জানিনা তবে সকালে এসে প্রথমেই দেখলাম এই ব্লগ
সত্যি তুমি না লিখলে সকালটা এত মিষ্টি হতো না (তুমি সম্মোধনের জন্য মাফ চাইছি ঐ চরনে আপনি লিখলে কাব্যময়তা হারাতো )
২। কনফু'র নাম যদি নুরুল হাসান বলা হত তবুও টুটুল হয়ত চিনতো না । ছদ্ম নিক এর এই এক অসুবিধা । সেদিন আজিজ এ এক সচল সমাবেশে পরিচয় পর্বে কেউ বলছে আমি কৌশিক মানে খেকশিয়াল আরেকজন বলছে আমি জ্যোতির্মিয় বনিক মানে সবজান্তা !
৩। সত্যি অদ্ভুত নিয়মের (নাকি প্রকৃতির খেয়াল ) খাঁচায় বন্দী আমরা যা দেহমনের সহাবস্থান হতে দেয় না ।
হাসি কান্না আর দীর্ঘশ্বাস
এই নিয়ে তিথির কেটে গেল বারমাস
বিদেশ বিভুয়ে
পথদুরত্বে হয়ত দুরে
কিন্তু সচলায়তন আমদের মাঝের সব দুরত্ব মুছে দিয়েছে
সিডনির মুমু , মেলবোর্নের তারেক -তিথি
আমেরিকার ইশতি সুমন অভি
নেদারল্যান্ডের তানবীরা
জার্মানীর সুমন হিমু রুমন পুতুল
রাশিয়ার সন্যাসি
কিংবা এদেশেই বগুরার সু পা শিমুল
বা সিলেটের নাজমুল আলবাব
কাউকেই আর আজ দুরের মনে হয়না
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
A life unexamined is not worthliving.-Socrates
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সত্যিই, সচলায়তন আমাদের ছোট্ট একটা "আলাদা পৃথিবী" হয়ে গেছে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
হ্যা, আমাদের ছোট্ট পৃথিবী।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
@ নুরুজ্জামান মানিক
সন্ন্যাসী রাশিয়া নয়, ইউক্রেনে থাকে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
লেখার সময় প্রথম ইউক্রেন লিখেছিলাম পরে মনে হল ভুল হচ্ছে না তো তাই রাশিয়া লিখেছি ।
তিথির জবাবের কারনে এখন আমার ঐ মন্তব্য এডিট করাও সম্ভব নয় ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
যে,যে দেশেই থাকুক -সচলের কাউকে এখন আর দূরের কেউ মনে হয় না...
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তাই-ই তো আসলে। টুটুল ভাই, আপনাকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক সাহায্য করেছেন বইগুলো খুঁজে পেতে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
তোর লেখার হাত তো দিনদিন মারাত্মক হচ্ছেরে!!!!!!!
মূর্তালা রামাত
ধুর, এইসব ছাইপাশ দিনলিপি...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ভালো লাগলো আপনার লেখাটা... একবছর বাইরে থাকা ভীষণ কষ্টের... আমার ভাবতেই মরনদশা... দশদিন দেশবিহীন থাকার পরে মনে হইছিলো আমি এখন চৌরাস্তায় গড়াগড়ি কইরা কান্দুম।
আপনার আর কনফু'র ঢাবির ঘটনাগুলো পড়ি আর মজা লাগে... ঐ সময়টায় যদিও আমি ছাত্র না তবুও ভার্সিটিতে প্রচুর আড্ডা মেরেছি... সত্যি বলতে আমার সমসাময়িক কালের চেয়েও এই সময়টাতেই আড্ডা আর পরিচিতি বেশি ছিলো ঢাবিতে... একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে হয়তো আমি আপনাদেরকে চিনি... হা হা হা হা...
ভালো থাকুন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাই? হতেই পারে হয়ত তখন আমরা চিনতাম। তবে এখনই বা কম চিনি কিসে? সচলায়তন আমাদের সবাইকে এক পরিবারে গেঁথে দিয়েছে না?
এখন তো নাটকের সাথে জড়িত আছেন, ওই সময়টায় কি DUFS-এর সাথে কোনভাবে জড়িত ছিলেন? তাহলে দেখা হত সন্দেহ নেই।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
না... ঐ সময়ে DUFS-এর সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলাম না... তবে এর পুরান পাপী কয়েকজন আমার বন্ধু... ছানা, জাফ্রি ওরা।
আপনাদের সময়ে আমার বেশি যোগাযোগ ছিলো DUDS-এর সাথে... এর প্রায় সবাই আমার পরিচিত ছিলো তখন... পরপর তিন বছরের সভাপতি বুলবুল, খাদেমুল, দেবাশীষ কাকন, সেক্রেটারী সোহেল থেকে সঞ্জীব, দেবু কে নেই... DUDS-এর সবার সাথেই সখ্য ছিলো।
আর তখন আড্ডা দিতাম বেশি মসজিদের পিছে আইবিএতে যাওয়ার রাস্তায়...
আর প্রায়ই রাতে ঘুমাতাম জগন্নাথ হলে...
এই আর কি... হয়তো দেখা হয়ে থাকবে কোথাও...
ভালো থাকবেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুলবুল ভাইয়া, দেবাশীষ কাকন--এদের খুব ভালো করে চিনি। তবে আমি তাদের অনেক জুনিয়র বলে আমার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ কম ছিলো। এরা মূলত আমার বোনের বন্ধু ছিলো। আর কাকন"দা আর আমার বোন এক ডিপার্টমেন্টের, আপু ওর এক ব্যাচ সিনিয়র- ওরা একসাথে ডিপার্টমেন্টের অনেক অনুষ্ঠান করেছে। এখনও আপনার সাথে যোগাযোগ থাকলে "লাবনী আপু" বললেই চিনবে আশা করি। তবে আমি দুধভাত, আমাকে চিনবে না । আর আমার দৌড় ছিলো বেশি DUFS-এ।
মজা লাগছে চিন্তা করে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সারছে... আগেই বলছিলাম যে একটু ঘুটা দিলেই চিন পরিচয় বের হয়ে যাবে। হা হা হা হা... কোন লাবনী মনে করতে পারছি না... তবে কাকনদের এক লাবনী আপুর সাথে বোধহয় পরিচিতি ছিলো অল্প বিস্তর... মনে করতে পারছি না।
কাকন আমার ছোট হলেও খুব ভালো বন্ধুত্ব আমাদের। এইমাত্রই কথা হলো ফোনে... ও লাবনী আপু পর্যন্ত চিনতে পারলো আপনাকে চিনতে পারলো না... পরশুও অনেক্খন আড্ডা হলো ওর সাথে... ও তো এখন ঢাবির টিচার... আর বুলবুল তো লন্ডনে... মাঝে একবার দেশে এসে বিয়ে করে গেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালো লেগেছে খুব ।
আয়হায়, এই ডুমুরের ফুলের দেখা মিললো কোথা হইতে?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
খুব সুন্দর লিখেছ আম্মুকে রাজি করানোর চেষ্টা করছি এবার আবার দেশে বেড়াতে যাওয়ার জন্য
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
"কে যাস রে, ভাটিগাং দিয়া
আমার ভাইধররে কইয়ো নাইওর নিতে গিয়া...
কে যাস, কে যাস?"
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
পড়ে অন্য রকম একটা আরাম পেলাম...
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
মন্তব্য পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এই লেখাগুলিকে এখন ছাইপাঁশ মনে হতে পারে। কিন্তু এখন থেকে ১০-১৫ বছর পরে হয়ে উঠবে একেকটা মণিমানিক্য। এখনকার এই অনুভূতিগুলির ওপর বিস্মৃতির শ্যাওলা পড়বে হয়তো, কিন্তু লিখে রাখার কারণে তা চিরকালের জন্যে হারিয়ে যাবে না। চলুক ছাইপাঁশ লেখা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খুব সত্যি কথা। সময়কে ধরে রাখার একটা দারুণ উপায়। কিন্তু ছোটবেলার মত ডায়েরী লেখার অভ্যেসটা কেন যে আর আগের মত নেই!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ভালো লাগলো। কিছু দিন পর পর এমন ছাইপাশ পেলে মন্দ হয় না।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
পড়ে খুব ভাল লাগল। আপনার লেখায় সবসময়ই কোথাও না কোথাও একটা ইতিবাচক দিক লুকিয়ে থাকে। দেশে বেড়াতে আসেন
বিষাদ ছড়ানো লেখা।
ভালো লাগলো খুব।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
রায়হান, অতন্দ্র, সুলতানা শিমুল (আমার মাঝের নাম কিন্তু সুলতানা),
অনেক ধন্যবাদ ভাই। এইসব সাধারণ দিনলিপিতেও আমরা সচলেরা বন্ধু হয়ে রই।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
প্রতিটি কাহিনীসূত্র অসম্ভব সুন্দর। আপনার লেখা পড়তে পড়তে সত্যিই বিষাদগ্রস্ত হলাম। জমাট বাঁধা শীতল পরিবেশের বিষন্ন এক নারীকে চোখে দেখছি।
দিনলিপিগুলো সবগুলোই অসাধারণ। তবে শেষটাতে প্রচন্ড নাড়া খেলাম।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
এইভাবেই কেটে যাচ্ছে তবু সময়...সময় থেমে থাকে না, এই-ই আশ্চর্য লাগে।
মন্তব্যের কৃতগ্গতা জানবেন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বাঙ্গালীরা বড় বেইমান প্রকৃতির, কখনও দেহমনের সহাবস্থান করতে জানে না..."।
আপু, ছাইপাশই লিখেন প্লিজ। অনেক ভালো লাগলো
যার যেমন পছন্দ। আমার যেমন মনে হয়, সকালে শুতে যাওয়াটা একটা দারুণ ব্যাপার। এই মন্তব্য যখন লিখছি, তখন এখানে বাজছে ভোর পাঁচটা সাত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ঠিকই, যার যেমন পছন্দ। আমিও ভাই সারা জীবন এরকম ভোরবেলা ঘুমাতে যাবার মানুষ। ইদানিং তবু কি ভেবে যেন অভ্যেসতা বদলাতে চেষ্টা করছি, এবং অনুভব করছি আসলেই সকালের স্নিগ্ধতা কি ভীষন সুন্দর। এবং মনের ভালো লাগা ছাড়াও শরীরটাও ঝরঝরে লাগে, অনেক কাজ যেসব করা ভীষন প্রয়োজন কিন্তু করা হয় না, তার জন্য সময় পাওয়া যায়।
ধুরো বেশি প্যাচাল পাড়ছি, অনেকটা "দুইদিনের যোগী, ভাতেরে কয় অন্ন" পর্যায়ের ডায়ালগ দিয়ে ফেলেছি!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
প্রথমে যখন এখানে আসি আমার অবস্থা তো আরো খারাপ ছিল আপুনি, কোনও ইংরেজী বলতেই পারতাম না। কি যে অবস্থা হত !!!
আমার ক্লাসের কয়েকটি নেপালী মেয়ের কথা মনে করিয়ে দিলে তবে ওদের সাথে নেপালী না হলে ভাব করা একটু কঠিন আরকি ! হেঃ হেঃ। অনেক অনেক অনেক ভাল লাগল। আর তোমার দেহমনের সহাবস্থান হতে বেশী দেরী লাগবেনা আশা রাখি। সব ঠিক হয়ে যাবে হয়তো। এমন লেখা আরো চাই তিথি আপুনিটার থেকে ! আন্তরিক শুভকামনা তোমার জন্য।
--------------------------------------------------------
ভাল লাগলো খুব...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নিরিবিলি, রাফি এবং ভুঁতের বাচ্চা (এত সুইট নাম রাখার কথা মাথায় এলো কি করে?),
অসংখ্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
তিথি'র ডায়রি এখন কনফুরটার মতো প্রিয় হয়ে উঠছে।
তালিকাটা এভাবে করা যায় :
সৌরভ
অরূপ
জনাব আসাদুজ্জামান রুমন
হিমু
কনফু
কিংকু
তিথি
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হাঃ হাঃ হাঃ
আমি মানুষকে ভয় দেখাতে আসলাম আর তোমার কাছে নাকি নিকটা সুইট মনে হল ! তোমাকে আজ রাতে ভূত ধরলে কিন্তু আমি জানিনা !!!
--------------------------------------------------------
লিখলেই তো লেখা হয়। শুরু কইরা দেন আল্লাহর নাম লইয়া।
আপনেতো বিদেশ থাইকা গন্দম পরতে পারলেন না ,আমিতো দেশে থাইকাও পাইলাম না পড়ার লাইগা।
হিমালয়!! স্বপ্নের মত!! কাছ থেকে দেখে ভিতরটা খালি খালি লাগে।
খুব ইচ্ছা হয় নিজেও একটা পাহাড় হয়ে যায়...
লেখা মচেৎকার হইছে...ঘন ঘন লিখবেন।
দৃশা
হিমালয় কি দেখেছেন কাছে থেকে? কি সৌভাগ্য। আমার মা'র বড় সাধ ছিলো হিমালয় দেখবেন...আহা, সংসারের যাবতীয় পাহাড়সম জটিলতা দেখতে গিয়েই জীবনটা চলে গেলো, হিমালয় আর তার দেখা হলো না...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বুদ্ধদেব বসু দেশের বাইরে গেলেই রবীন্দ্রনাথের 'ছিন্নপত্র ' সাথে নিতেন। বাংলাদেশকে পাওয়ার জন্য।
____________________________
আষাঢ়ে ভাসানে গেলে আমি খুঁজি ভাটিয়ালি প্রেম
কৃষ্ণ খোঁজে আড়বাঁশি, মূর্খ খোঁজে সাউন্ড সিস্টেম
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
নতুন মন্তব্য করুন