নানাভাই খুব সামাজিক হলেও আড্ডাবাজ ছিলেন না মোটেও। অফিসের পর পারতপক্ষে বাড়ির বাইরে সময় কাটাতেন না। খুব অস্থির স্বভাবের ছিলেন, এখনও তাই!
আফসোস, উত্তরাধিকার সুত্রে তাঁর এই একটি গুণই (!) আমি পেয়েছি! এমন অধৈর্য চরিত্রের হয়েও কি করে অতো বড় পদে কাজ করেছেন সেও এক রহস্য বৈকি।
পুরুষদের খুব কমন দুটো ব্যাপার 'তাস' এবং 'সিগারেট' নানাভাই ছুঁয়ে দেখেননি কস্মিনকালেও। একটা প্রশ্নের উত্তরই তিনি খুব অল্প সময়ে দিতে পারেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আমিই তাঁর সবচেয়ে স্নেহের পাত্রী! একটি জেদি, রগচটা, মেধাহীন বালিকা আজন্ম একজন মানুষের কাছে প্রশ্রয় পেয়ে গেছে অকাতরে, অকারণে।
ছোটবেলায় নানাভাই ছিলেন আমার ইচ্ছাপূরণের ঝুলি। ইশকুলের ক্লাসপার্টি, আর্টকলেজে ছবি আঁকা কিংবা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা; মায়ের কড়া সুরে বলা 'না' পাল্টে যেতো এক নিমিষেই যখন নানাভাইয়া সুপ্রিম কোর্ট হয়ে 'গ্রান্টেড' সিলটা মেরে দিতেন! ব্যস, আমাকে আর পায় কে?
শুধু এইটুকু?
উঁহুঁ.. ওই যে, টুংটাং বেল বাজিয়ে আসছে হকার... পত্রিকার সঙ্গে মাসকাবারি দিয়ে যাবে টইটম্বুর, ছোটদের কাগজ, শিশু আর কিশোরপত্রিকা। সামনের বাড়ির ব্যলকনিতে ঝোলে খাঁচাসমেত একঝাঁক মুনিয়া, ঠিক অমনটি আমারো চাই.. এক্ষুণি!
হাজির।
ক্লাস ফোরে তখন, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বেড়াতে গেছি ঢাকায় খালার বাড়ি। ছয় ছেলেমেয়ের কাউকেই পুতুল কিনে দেননি কখনো, তবে সে যাত্রায় আমি মস্ত টেডিবিয়ার বগলদাবা করে ঘরে ফিরেছি!
নাহ্, বায়না করে নয়.. না চাইতেই
মা বলতেন, আব্বা এই মেয়েটাকে লাই দিয়ে দিয়ে একেবারে মাথায় চড়িয়েছেন!!
ভালুকছানাটা এখনো আছে, নষ্ট হয়নি একরত্তিও।
একবার আমার খুব শরীর খারাপ করলো। জ্বর, ঘুষঘুষে কাশি, খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ। অথচ হপ্তাখানেক পরই প্রি টেস্ট শুরু হবে! নানাভাইও তখন হাসপাতালে, বাইপাস সার্জারির পর একটু সুস্থ হয়েই তিনি সব্বার আগে তিনি জানতে চাইলেন; তিথীর ব্লাডটেস্টে খারাপ কিছু ধরা পড়েনিতো?
একটা নীল অপরাজিতা গাছ ছিলো আমার, বাগান করার ভীষণ শখ ছিলো একসময়.. তখন বীজ পুঁতে লাগিয়েছিলাম। দড়ির শিকলি বেয়ে সে একসময় লতিয়ে উঠেছিলো বাড়ির ছাদ অবধি। নীলচে ফুলগুলো জোনাক পোকার মতো মিটমিটিয়ে জ্বলতো...
বিকেলবেলা কাঁধের ব্যাগ আর চুলের অবিন্যস্ত বেণি ঝুলিয়ে ইশকুল থেকে ফেরার পথে দূর থেকে চোখে পড়তো, একটা সাদামাটা তেতলা বাড়ি আর তাকে আঁকড়ে ধরে আছে একশো একটা তারার পিদিমলতা!
আমার নানাভাই ঠিক অমনি একটা শক্তপোক্ত বাড়ি, হাতে তাঁর কাশফুল রঙ ভালবাসার ঝাড়বাতি। যিনি বাড়তি কথার জৌলুস ছাড়াই ফিসময় ভরসা জোগান--
নানুভাই, মনখারাপ করতে নেই...
দেখো, সব ঠিক হয়ে যাবে!
মন্তব্য
ঈশ... বড়ই ভাগ্যবান আপনি তিথী আপা, এমন একজন নানাভাই পেয়েছেন...
কৌস্তুভ
সত্যিই তাই...
ধন্যবাদ কৌস্তুভ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথিডোরাপু, খুব আবেগী একটা পোস্ট। কাছের মানুষগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা আমরা বুঝে উঠি দূরে যাবার পর। তখন খুব মিস করতে থাকি তাদের আর মনে মনে ভাবতে থাকি, কবে যাব ফিরে...
লেখাটা ছুঁয়ে গেল।
---- মনজুর এলাহী ----
কাল মাঝরাতে নেহায়েত ঝোঁকের বশে লেখা...
ভাল্লেগেছে জেনে আমারও ভাল্লাগলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পরীক্ষাজনিত আপতকালীন আর দশটা ব্লগের মত এটাও ভাল হয়েছে
আমি আমার নানাকে দেখিই নাই। দাদা-দাদীকেও না। আবার দূরে থাকার কারণে নানীকেও জ্ঞান হবার পর খুব একটা কাছে পাই নাই। তার উপর জন্মের পর উনার হাতে সরিষার তেলের মালিশ খেতে খেতে আমার গাত্রবর্ণের এই হাল হয়েছে বলে শুনতে পাই। এইসব তিক্ত অভিজ্ঞতা বা অনভিজ্ঞতার কারণেই বোধহয় আমি বুড়া মানুষ ভাল পাই না। পান-জর্দা খাওয়া বুড়ো হলে তো আরও একশ হাত দূর দিয়া...
আসলেই,পরীক্ষার ঠিক আগের রাতে ভাব আসে কেনু??
দাদি মারা গেছেন অনেক ছোটবেলায়,দাদা চলে গেছেন সেও বেশ কবছর আগে...
বুড়োদের আমিও অবশ্য খুব একটা ভালু পাইনা,কিন্তু তাঁরা আমাকে বেশ ভালু পান!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নানা-নানীকে দেখিইনি কখনো।
তবে তোমার এই রাজপুত্রের মতো নানাভাইকে খুব পছন্দ হলো।
সেইসাথে লেখাটাও।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক অনেক ধনেপাতা শি'পু!!
রাজপুত্রকে খবরটা জানিয়ে দেবো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীপু,
লেখাটা খুব ভালো হইছে...আমার মুঠোফোনে বাংলা নেই...লেখাটা মন ছুয়ে যাওয়ায়,মন্তব্য করতে সাইবার ক্যাফে আসতে হলো।
শুক্রবারের সকালটাই কেমন জান্যরকম লাগছে লেখাটা পড়ে..নানার কথা মনে পড়ছে খুব।
আমার জীবনে দেখা সবচাইতে ভালো মানুষ,নানার সাথেই আমার শৈশব থেকে বেড়ে উঠা।
নানা নেই বছরদেড়েক হয়ে গেলো,এখনো মনে হয়না নানা নেই।আমাদের ব্রেইন আমাদের মন কে জীবনের খুব দু:খের স্মৃতির হাত থেকে সযত্বে বাচিয়ে রাখতে চায়।তাও মাঝে মাঝে একেকটা টুকরো স্মৃতি কাপিয়ে দিয়ে যায় বুকের ভেতরটা,খালি খালি লাগে শুধু সবকিছু...।
ভালো থাকুন।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
অসংখ্য, অসংখ্য এবং অসংখ্য ধন্যবাদ!
আপনিও ভালো থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
[সকালে লগ ইন করিনা, এ লেখা বাধ্য করলো।]
আপনার নানার একটি ছবি দিলেও পারতেন কিন্তু। এ লেখাটি যারা পড়েছেন তাদের ভালোবাসা কি মানুষটিকে পৌঁছে দেবেন একটু মনে করে?
নানাদের বিকল্প শুধু নানারাই হন।
নাইনে যখন পড়ি তখন এক নাম না জানা রোগে পড়লাম। আমার দুই ডাক্তার আত্মীয় পরে বলেছেন, এ রোগে বাঁচে ১০০০০ জনে একজন!
ঢাকা ঘুরে গেছি। অল্প পাওয়ারের ঔষধি শরীর হজম করতে পারেনা, অবস্থা আরো খারাপ হলো। হোমিওপ্যাথির শরণ নেয়া হলো।
সব খাবার দাবার বলতে গেলে বন্ধ। নিজে নিজে দুই পা হাঁটতে পারিনা। সবাই নিজেদের শক্ত রেখে আমাকে সাহস দেয় আর আড়ালে কাঁদে।
নানা কখনো কখনো পাশে এসে বসেন, কিছুই বলেন না, মাথায় বুকে পিঠে হাত বুলিয়ে দেন, ভালো লাগে আমার, ঘুমিয়ে পড়ি।
কী অদ্ভূত সময়। এ অসুখেরই সূত্র ধরে অনেক স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি, কাজেই খুব বেশী কিছু মনে করতে পারছিনা।
সুস্থ হয়ে আবার একা একা বেরোবার আগে কেটে গেছে মাস চারেক।
অনেক পরে জেনেছি, আমার নানা নাকি তখন দোআ করেছিলেন, "আমার আয়ুর অর্ধেকটা দিয়ে হলেও আমার নাতিটিকে বাঁচিয়ে দাও..।"
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে অসুখ পূর্ববর্তী আর পরবর্তী জীবনটা মেলাই- অনেক ফারাক, চমকিত হ ই।
দুনিয়ার সব অসাধারণ নানাদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার আম্মাজানকেও নাকি আব্বাজানের চেহারা-সুরত দেখেই পাত্রি হস্ত করেছিলেন নানা-নানী। পরবর্ততিতে উনাদের হায়-হুতাশ অনেক শুনতে হয়েছে।
নানাকে জীবনে অন্তিমশায়ান্নে হাসপাতালে একমাস সেবা করার ফুসরত মিলেছিলো। টয়লেট পরিষ্কার থেকে শুরু করে সবই করতে হয়েছে।
নানী তো আরো এক কাঠি সরেশ। দেশে গেলে উনার জ্বালায় ওজন মোটামুটি ৭/৮ কিলো বেড়ে যায় রাতারাতি।
উনাদের এতো ভালোবাসাগুলো যে কোথা থেকে আসে??
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নানার অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। নানা মারা যান আমাদের বাসাতেই। আমার বয়েস তখন আট। আমার খাতায় আমার উদ্দেশে অনেক কিছু লিখে দিয়েছিলেন। সে খাতাটা হারিয়ে গেছে। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোসগুলোর একটা। অমন আহ্লাদে মাথাখাওয়া নানা থাকা খুব জরুরি।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কাল রাতে তাড়াহুড়ো করে কেন যেন আবজাব কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হলো খুব..
সকালে এক্সাম আছে বলেই হয়তো!
ভুল ধরিয়ে দেয়ায় অনেক ধনেপাতা!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। হৃদয়স্পর্শী লেখা।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ধন্যবাদ পলাশ !
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হইছে এইবার। আপনি কেডা গো আফা?? ব্যাফক চিন্তায় ফালাই দিলেন ছোটবোনের কথা জিঞ্জেস করে।
তবে আছে ভালোই। স্কুল ফাইনাল চলছে। সামনে গিমনাজিউমে যাত্রা। এইটা চাই, ঐটা চাই, এতো চাই-চাইয়ের আমরা কাইত। সাথে বকবক বেড়ে যাবে
হাঃহাঃ... ঘাবড়াবেন না, আপনি আমার চেনা কেউ নন|
আমার এক পোস্টের মন্তব্যে বোনের গল্প করেছিলেন, সেটা মনে রেখে দিয়েছি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগল ।
(আপনিও গাছ লাগিয়েছিলেন ?! খাইছে! সচলরা দেখি সব পরিবেশ বাদী থুক্কু প্রকৃতিপ্রেমিক! আমি খালি গাছে ঝুলছি , লাগানো/পরিচর্যা...কিছুই করি নাই )
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধইন্যাপাতা!
এককালে বড়সড় বাগান ছিলো বাসায় আর আমার হাতে কখনো গাছ মরে না...
বৃক্ষরোপণ বা পরিচর্যার জন্যে থিতু হয়ে বসা চাই তো, নিকটাই যে 'বোহেমিয়ান'!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, নানাভাইয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম যে!
………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভালো লেগেছে...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থেঙ্কু ভাইয়া...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাবা-মার সাথের সম্পর্কেও অনেক টানাপোড়েন চলে, কিন্তু এ এক অদ্ভুত বোঝাপোড়া প্রাচীন মানুষগুলোর সাথে, শুধুই আদর, আর কিচ্ছুনা।
লেখা ভাল লাগল তিথী
মাঝেমাঝে বকুনিও খেতে হয় বৈকি, সেটাও তো আদরের মতোই...
ভাল থেকো দিদি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব খুব খুব ভালো লাগলো।
মনে পড়ে গেল আমার প্রিয় মানুষটাকে, কবে চলে গেছেন তিনি কিন্তু রয়ে গেছেন গভীরে কোথাও।কত হাজারো স্মৃতি ভীড় করে এলো। মনে পড়ে গেল তার সাথে সাথে উঠানের একপাশে ছোটো মৌরীক্ষেত করা, যখন গাছগুলোতে ফুল এলো সে যে কী আশ্চর্য হয়ে যাওয়া আমার! মনে পড়ে গেল লাউমাচা, মনে পড়ে গেল বেড়ার কাছ ঘেষে সেই নারকেল গাছ, বন্যার বছরে সেটা খুব ছোট্টো ছিলো, জলে ডুবে ছিলো পুরো দিন, কিন্তু বেঁচে গেছিলো, মরে যায় নি। বড় হয়ে সে গাছে ফল ধরতে অনেক দেরি হলো, ফুল শুকিয়ে শুকিয়ে মরে যেতো। তারপরে শেষ অবধি যখন একঝোরা ফল হলো কয়েকটা ডাব অবস্থাতেই নামিয়ে দেখা গেল সেই জল খুব মিঠা। কচি শাঁস বাড়ীর আর সব নারকেলের শাসের থেকে অনেক মিঠা।
মনে পড়ে তার লাগানো হলুদ গাছের ক্ষেত, সারি সারি করে লাগানো গাছগুলো।
মনে পড়ে রাঙা আলুর লতা ভরে ফেলেছে জমিটুকু, তাতে টুকুন টুকুন ফুল! গেটের দু'ধারে স্থলপদ্মের গাছ, সেও তার লাগানো! টগর, দোপাটি, গন্ধরাজ, শিউলি নয়নতারা সেসব অবশ্য সবাই মিলেই লাগানো।
কোথায় সব চলে গেছে, স্মতিটুকু সম্বল! যাযাবর জীবনে কোথায় বা নিজের মাটি! তবু রয়ে গেছে বাগানের সাধটুকু! সবুজ সতেজ পাতা, স্নিগ্ধ সুন্দর ফুলের গন্ধ, তাজা ফল। পাখিরা প্রজাপতিরা ভোমরারা আসে যায়! এই জীবনটুকু আমার মধ্যে বুনে দিয়ে চলে গেছেন তিনি, আমার দাদিমা।
দ্যাখো দেখি সাতকাহন খুলে বসেছি! আসলে বলতে চাইছি অনেক অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা। এমন লেখা আরো চাইতে ইচ্ছে করে।
-------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এত অদ্ভুত সুন্দর লেখার সুর তোমার তুলিদি!
এমন একটা মন্তব্যের লোভে আমি ফের কীবোর্ড গুঁতোতে রাজি...
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে ডোরাপু, আমার পিচ্চিকালের ভালুকছানা গুলোও তো এখনো আছে, যাই একটু আদর করে আসি । ওহ্ , তার আগে নানাভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো ।
পিচ্চিকাল??
আমার তো এখনো হলমার্কস কিংবা আর্চিসে ঢুকলে মাথাখারাপ হয়ে যায়!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে আপু, সেটা তো আমারো হয় !!
''চৈত্রী''
নানা আর নাতনি দুজনেই ভালো থাকুক।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
তুমিও ভাল থেকো ভাইয়া!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভাল্লাগসে!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধইন্যাপাতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা খুব ভালো লেগেছে তিথী। কেন জানি মনটা খারাপও হয়ে গেল খুব। নানা আর দাদা দুজনকেই হারিয়েছি খুব ছোট থাকতেই। তাঁদের নিয়ে তেমন কোনো স্মৃতিই নেই আমার। অল্প কয়েকটা ঝাপসা ছবি নাড়াচাড়া করি মনে মনে, কখনো কখনো।
আর হ্যাঁ, আপনার নানাকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে আমার।
আর বলো না আপু, বেকার মানুষ... সারাদিন মনটন খারাপ করে বসে থাকি| রাতদুপুরে ভূত চাপলো মাথায়, আবজাবখানা পোস্ট করে দিলাম!
ভাল্লেগেছে? শুক্রিয়া!
কিন্তু 'আপনি' শুনতে ভাল্লাগেনা যে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালুকছানা গুলোকে অনেকদিন পর অনেক আদর করে আসলাম । ডোরাপু, আপনার এই পোস্টটাতে আবারো ফিরে আসার কারণ অবশ্য এটা না, কারণটা হচ্ছে- লেখাটা পড়ে অনন্ত ঘুমের দেশে থাকা আমার নানাভাইকে খুব মিস করছি । ধন্যবাদ, যান্ত্রিক এই আমাকে তাঁর কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ।
''চৈত্রী''
অনেক ধন্যবাদ !
কিন্তু "ডোরা" কেনু?
আমি কি বাঘ??
যান্ত্রিক চৈত্রীর জন্য এ ক'টা লাইন:
"ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন, ফুটবে তুমি দেখবো/
তোমার পুষ্পবনের গাঁথা মনের মত লিখবো/
সবে তো এই বর্ষা গেলো, শরত এলো মাত্র/
এরই মধ্যে শুভ্র কাশে.. ভরলো তোমার গাত্র/
তোমার হাতে বন্দি আমার ভালোবাসার কাশ/
তাইতো আমি এই শরতে, তোমার ক্রীতদাস!"
#কাশ ফুলের কাব্য: নির্মলেন্দু গুণ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না, আদুরে পিচ্চু ভালুক !! মজা করলাম, রাগ কইরেন না তিথী'পু ।
আর আপু, লাইন গুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
''চৈত্রী''
ভাল্লাগসে লেখাটা। রাজপুত্রকে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে খুব। সম্ভব?
ধনেপাতা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর লাগল লেখাটা।
-----------------------------------------
ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর ...
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
ধন্যবাদ!
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোর,
আমি ক্লাস ফোরে পড়বার সময় আমার নানা মারা যান। এখন মনে পড়ে, তিনি আমাকে কতটা আদর করতেন!
চমৎকার লেখার জন্য সাধুবাদ
- মুক্ত বিহঙ্গ
মুক্ত বিহঙ্গ
অনেক ধন্যবাদ!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমরা যতগুলো কাজিন, আমার নানার কাছে সবচেয়ে আদরের ছিলাম আমি।
তোমার মত, তাইনা তিথীডোর?
নানাভাই মারা গেলেন আড়াই বছর।
এবার পহেলা বৈশাখে আমাদের পাশের বাড়ির এক আপু তার মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এলেন। দেখি পিচ্চিটা তার নানাভাইয়ের হাত ধরে ঘুরতে বেড়িয়েছে। দেখে আমার নানা ভাইয়ের জন্যে এত্ত মন খারাপ লাগলো...!!
মন খারাপ হয়ে গেলো আমারো...
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ তাজিন!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন হলো নতুন কিছু লিখছেন না।অপেক্ষায় রইলাম।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
নতুন মন্তব্য করুন