ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না একটুও আমার এই পুরোনো বাড়ি.. ১৯/৫ বি নামের এঁদো কোয়ার্টার। সেইই একই রকম ছিরিছাঁদহীন ম্যাড়ম্যাড়ে দালানগুলো, লাল সুরকির রাস্তা, টিং টং বেল বাজিয়ে যাওয়া রিক্সার দল, শ্যাওলা ভেজা পুকুরঘাট আর সন্ধে হতেই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। সব কেমন ম্লান, রঙ নেই, জৌলুস নেই, কিচ্ছু নেই!
তবে হ্যাঁ, এ কলোনির লোকজন সব্বাই কিন্তু ভীষণ'ই ভালো!
দোতলার রাজিব ভাইয়ের মা, ২১/বি'র ফাহিমাপু, গার্লস স্কুলের শুক্লাদি আর সবচাইতে সেরা হলো আমার প্রাণের বন্ধু শৈলী। এক ক্লাসেই পড়ি আমরা আর সবকিছু করিও একই সাথে। রাজিব ভাই খোঁচা দিয়ে বলে, 'মাণিকজোড়'।
যাচ্ছেতাই ছেলে একটা। দেখলেই কান টেনে দেবে নয়তো মাথায় বসাবে রামগাট্টা। খুব ভালো ছাত্র কিনা, তাই সবটাতেই সর্দারি ফলানো চাই। মাকে নালিশ করো, কাজ হবে কচুটা।
-- 'ছিঃ তিতির, ও তোর বড় না?
ইশশ্, ভারি তো আমার বড় রে!
খালাম্মা কিন্তু এক্কেবারে উল্টোটি। সেবার মায়ের অসুখের সময় উনিই তো হপ্তাভর তেলমশলা ছাড়া খাবার রেঁধে পাঠালেন হাসপাতালে। ও কদিন রাতে ফাহিমা'পু ছিলো আমাদের বাড়ি.. ঘুমুতে যাওয়ার আগে কেমন আদর করে দিতো, ঠিক মায়ের মতো।
'ধুর পাগলি, মন খারাপ করতে নেই। এইতো ক'টা দিন পরেই চাচি সেরে উঠবেন...'
পরীক্ষা চলছিলো বলে রাতুলকে কিছু জানানো হয়নি। এমনিতেই যা কড়া নিয়ম ক্যাডেটে।
শৈলীও একদিন নিজ হাতে সুপ বানিয়ে এনেছিলো মায়ের জন্য।
এই মেয়েটা যে কতোরকম রান্না জানে! সেলাইতেও এমন পাকা হাত এ তল্লাটে আর কার'ই বা? একঢাল চুল, গত নববর্ষে খেতাব পেয়েছিলো 'বনলতা সেন।' কে যেন একগোছা গোলাপের সঙ্গে কার্ডে নামটা লিখে ভোররাত্তিরে রেখে গিয়েছিলো দরজায়।
সক্কালে সেটা নিয়ে পুরো কলোনি জুড়ে সে কী হইচই!
তো মোটমাট এই তো ছিলো আমার একরত্তি পৃথিবী।
সন্ধে হয়ে যাচ্ছে দেখে দুদ্দাড় ছুটছিলাম ছাদে। যা চনচনে রোদ, সেই কখন শুকিয়ে গেছে কাপড়গুলো।
সিঁড়িতে রাজিব ভাই, কেমন খাপছাড়া হাসিটা...
--চশমিশ্, চললি তবে আমাদের ছেড়ে?
--মানে? আমি না বুঝে তাকাই।
--এখনো জানিস না! চাচা প্রমোশান পেয়ে বদলি হয়ে গেছেন যশোরে। বড় কোয়ার্টার পাবি এখন, বড্ড যে গজগজ্ করতিস.. দুঃখ মিটলো তো?
--যাও, ফি বেলা ইয়ার্কি ভাল্লাগে না।
সত্যিই চলেছি আমরা...
গত সপ্তাহের পুরোটা গেছে বাড়ি বাড়ি দাওয়াত খেয়ে বেড়ানো আর হাড়ভাঙা খাটনিতে। মালপত্তর বাঁধাছাদা, কম ঝক্কি? টুকটুক করে জমে গেছে কতোসব! রাতুলের ছোটবেলার ট্রাইসাইকেলটা কতোবছর ধরে পড়ে আছে, ওটা এখন অকেজো-- কখনো মনেই হয়নি তো! ফুটো হয়ে যাওয়া বালতিটায় ছোট্ট একটা চারা এনে পুঁতেছিলাম, কত্তোবড় হয়েছে বেলিগাছটা! শেকড় ফুঁড়ে বেরিয়ে পড়েছে চারদিকে। এত দূরের পথ, ট্রাকে তুলে নিলে নেতিয়েই পড়বে হয়তো।
ঠিক যেমনি এতোগুলো বছরের শেকড় উপড়ে চলেছি আমরা নিজেরাই।।
শৈলীটা বড্ড মন খারাপ করে আছে। গতকাল ইশকুলের আপাদের সালাম করতে গিয়েছিলাম, ফেরার সময় কেমন ভিখেরির মত আমার বাঁ হাতটা আঁকড়ে ধরেছিলো মেয়েটা-- সত্যি চলে যাবি তিতির? আর রাজিব ভাই, কেমন না চাইতেই দিয়ে দিলো তিন গোয়েন্দার অতোগুলো বই!
তোর তো খুব প্রিয় সিরিজটা, চুরি করে নিয়ে যেতিস কতোবার... নিয়েই যা, ভাইয়ার উপরে রাগ নেই তো আর?
দুজনের কাউকেই কিচ্ছু বলিনি আমি, একটি শব্দও নয়!
সাড়ে তিনটায় ট্রেন।
খেয়ালই করিনি, কখন উঠে বসেছি সিটে। আমার পাশে মা, বাবা ভারি সুটকেসটা নিয়ে অন্য রিক্সায়। কলোনির গেটের মুখটায় সার বেঁধে দাঁড়িয়ে অনেকেই, শুধু শৈলীই নেই। হাত নেড়ে কি বলছে সবাই?
আমার কানে কেবল পৌঁছায় শূন্য দীর্ঘশ্বাস।
ঝাপসা চোখে কিছু তো দেখাও যায় না ছাই....
ফিসফিসিয়ে আলতো স্বরে কেবল বিদায় দিই আমার পুরোনো বাড়িটাকে।
আমার এঁদো পচা ঘর--- ছেলেবেলা আর বড় হয়ে ওঠা বেলার সবটুকু ছেঁড়াফাটা স্মৃতিকে যে জমিয়ে রেখেছে মায়ায় আঁজলা করে। ঝুপসি দেয়াল আর ক্ষয়াটে গরাদের নকশিকাটা সিন্দুকে।
মন্তব্য
অদ্ভূত রকমের মন কাড়া গদ্য তোমার।
গল্পটা ঝিম মেরে পড়ে যেতে হয় যত না কাহিনীর টানে---তার চেয়েও বেশি গদ্যের টানে।
চমৎকার কাজ তিথী, আরো আসুক!
বাড়াবাড়ি প্রশংসা হজম করতে আপত্তি নেই, তবে ডুব দেওয়া চলবে না অনিদা...
লেখা আর গান চাই,
'নিয়মিত'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভালো লাগলো।
মায়াবতী বিকেলের মতন সুন্দর লেখা।
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহ্ তুলিদি,
আপনার মতো করে যদি লিখতে পারতাম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একে অগল্প বললেন?!
পড়তে খুব ভালো লাগছিলো। আপনার গদ্যের হাত অসাধারণ। বান্ধা পাঠক হয়ে গেলাম!
বাবার বদলির চাকরির কারণে আমারও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, কী যে কষ্ট তা বলার নয়। যেন শিকড় উপড়ে ফেলা, বারবার।
ইয়ে ভাইয়া, 'গল্প' বলি কোন সাহসে?
আমার বাড়ি বদলানোর অভিজ্ঞতা জীবনে ঐ একবার'ই, ঠিক একবছর আগে... এখনো মায়া কাটিয়ে উঠতে পারিনি|
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর লেগেছে গল্পটা, এটা জানাতেই লগ ইন করা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া,
অনেক ধনেপাতা রইলো..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লেগেছে।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাবা ব্যাংকে চাকুরী করার সুবাদে কয়েক বছর পর পরই বদলি হতেন এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। তাই বন্ধু-র কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়া আর নতুন বন্ধু তৈরী হওয়ার অনেক অভিজ্ঞতা জমা আছে... এ যেমন কষ্টের তেমনি আনন্দের নতুন নতুন বন্ধু পাওয়ার।
ভালো লাগলো।
- রোবট
আমার বাবাও পেশায় তাই
এ গল্পের 'রাজিব _ফাহিমা' চরিত্র দুটো একেবারেই সত্যি, ছোটবেলায় এদের বিস্তর জ্বালিয়েছি...
পঠনে কৃতজ্ঞতা জানবেন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আজ সারাদিন মন খারাপ, লেখাটি পড়ে আরো বেশি মন খারাপ হয়ে গেল...
অসাধারণ লিখেছেন...
''চৈত্রী''
সব্বোনাশ!
দিনরাত্তির মন খারাপ করে থাকার পেটেন্ট তো আমি কিনে নিয়েছিলাম...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন ছুঁয়ে গেলো,আলতো করে চোখের কোল ভিজিয়ে।অসাধারন।
জন্মদিনের শুরুতেই এত সুন্দর একটা লেখা,সচলে আসা সার্থক।
জন্মভুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মনে পড়িয়ে দিলেন,থ্যান্কু!
ভালো থাকুন,অনেক ভালো।সবসময়।
শুভ জন্মদিন বাউণ্ডুলে---!!
বাউণ্ডুলে থাকুন, আপত্তি নেই--শুধু বিষন্ন থাকবেন না যেন।
সামনের দিনগুলো আরো মসৃণতায় ধরা দিক আপনার কাছে সেই কামনা রেখে গেলাম---
মাভৈঃ
বিনম্র ধন্যবাদ!
অ-নেক অনেক শুভেচ্ছা জন্মদিনে... সব বিষণ্নতার মেঘ কাটিয়ে আপনার আগামি দিনগুলো হয়ে উঠুক রৌদ্রকরোজ্জ্বল!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভালো লাগল। এতদিন পরপর লেখো কেন? বেশি বেশি লিখবে।
ঠাঁয় > ঠায়
,ঘামে > , ঘামে [যতিচিহ্নের পর একটা স্পেস হবে]
সুড়কি > সুরকি
ভীষণ'ই > ভীষণই
মাণিকজোড় > মানিকজোড়
সবতাতেই > সবটাতেই [টাইপো, জানি]
কার'ই > কারই
সেকী > সে কী
ফি'বেলা > ফি বেলা
হাত নেড়ে কি বলছে সবাই?? > হাত নেড়ে কী বলছে সবাই?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ক্লাসে ছুটতে হবে, তাড়াহুড়ো করে উত্তরটা দিয়ে যাই...
মন্তব্য আর খুঁটিনাটি ভুলগুলো শুধরে দেওয়া, দুটোর জন্যেই অ-সং-খ্য ধন্যবাদ আপু!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঈর্ষাকাতর ভালো লাগা জানাই! এই ব্লগের সবাই এতো ভালো লেখেন কেনো রে!!! ঈর্ষাতুরা হতে হতে আমি তো ফতুর হয়ে যাবোওওও...অসম্ভব ভালো লাগরো রে আপু লেখাটা!!! আরো আসুক এমন মায়ায় ভরা লেখা। শুভেচ্ছা জানবেন।
এমন মন্তব্য পেলে তো 'আনাড়ি'র পোয়াবারো রে আপু, পাগলকে সাঁকো নাড়াতে বলে নাকি কেউ?
একগাট্টি ধনেপাতা রইলো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা, এই সেই আবজাব লেখা?
ভাল হইছে
হ..
থ্যাঙ্কু !
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুর্দান্ত লাগলো, সাবলীল মন-ছুঁয়ে-যাওয়া। আরো লিখুন, পড়ার প্রতীক্ষায় রইলাম।
স্বয়ং পাঠুদার এমন মন্তব্য!!
ওরে, এতো খুশি কই রাখি? (হাত- পা ছুঁড়ে নাচার ইমো)
অ-নেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারন!!! অসাধারন!!! অসাধারন!!!
আমার খুব ভাল লেগেছে গল্পটা...... পড়া ফাঁকি দিয়া এসেছিলাম গল্প পড়তে... ফাঁকি দেয়া সার্থক হল আমার...। আম্মির বকা খেয়ে মন খারাপ হয়েছিল... কিন্তু এখন ভাল লাগছে... আর একটু ঠান্ডা মাথায় পরলে গল্পে নিজেকে কল্পনা করা যেত... ইসসস... আম্মির কারনে তা আর করা গেল না......
ইয়ে মানে, রিম্মী...
শুক্রিয়া, শুক্রিয়া এবং শুক্রিয়া!!
'পড়াশুনো একটি ভ্রান্ত ধারমা'
হায়, আম্মিরা কখনোই সেটা বুঝতে চান না...
ভাল থাকুন|
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনি পুরো আম্র মনের কথাটা বলেছেন... আমি কলেজ ছাত্রী... আমকে তুমি করে বলতে পারেন...।
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লাইন দুতি চমৎকার..........................।..।..।.।।.।।.।.......।..।...।।...।।
লাইন দুটো যে 'বুড়ো'টার লেখা, তিনি না থাকলে আমাদের যে কী হতো!!!
শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্য....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার ঘরটা আমার কাছে স্বর্গের মত, এই একটা জায়গায় আমি যেকোন অবস্থায় শান্ত বোধ করি।
জানি না কি হবে যখন এবাসা ছেড়ে দিতে হবে। ১১ বছর হল এরুম আমার। বাড়ির প্রথম বাসিন্দাও ছিলাম আমরা। রঙের গন্ধ ছিল চারপাশে, ছিল অন্যরকম এক মায়া।
মন ছুঁয়ে গেছে আপু, লিখতে থাকুন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আমার নিজের ঘরটাও ছিলো ভীষণই প্রিয়!
জন্মের পর থেকে পুরো বাইশ বছর কাটিয়েছি কি না, এখনো কী যে মিস করি ঐ বাড়িটাকে...
পলাশ, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এক শব্দে বলতে গেলে............অসাধারণ!!!!!!!!!
নিজের কলোনীবাসের স্মৃতিগুলো নড়াচড়া করতে শুরু করেছে এই লেখাটা পড়ে। হারানো দিনের জন্য লাগলো কিছুটা কষ্টও।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক শব্দেই বলি.. ধন্যবাদ!!!
"স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল,
দু'হাজার বছরেও স-ব মনে রাখে..."
#পূর্ণেন্দু পত্রী
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অদ্ভূত সুন্দর আপনার লেখা।
ছেড়ে যারা না এসেছে তারা কখনোই জানবেনা শেকড় উপড়ে আসার বেদনা...!
সুন্দর লেখাটার জন্য 'উপহার' হিসেবে দিচ্ছি এ তথ্যটি- পড়া না থাকলে পড়ে নিন রমাপদ চৌধুরী'র "বাড়ি বদলে যায়"- আপনার বোধ হয় ভালো লাগবে!!
ধন্যবাদ মর্ম!
পড়েছি, রমাপদ চৌধুরী আমার প্রিয় ঔপন্যাসিকদের একজন...
ভালো থাকুন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যখন পড়ছিলাম তখন আমার আশপাশের প্রকৃতিও ম্লান ছিল। বড্ড মানিয়েছিল তোমার এঁদো পচা ঘরের সাথে।
চমৎকার।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাইজান,
আপনার গুঁতো খেয়েই কিন্তু বালিকার আবজাব ব্লগিং এর শুরু...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ! দারুণ ভাষা!
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
'বাঁশিওয়ালা' ভ্রাতঃ,
ম্যালাদিন পর...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সত্যি...
--- নুশান
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন