ঈদবাড়ি এক্সপ্রেস:
বরাবর শহরে মানুষ, ঈদপরবে গাঁয়ে যাওয়া হয়না কস্মিনকালেও! এবার নানাভাই দুম করে ঘোষণা দিলেন, ঈদ করা হবে গ্রামের বাড়িতে.. সব্বাই মিলে। মামা-খালারা সকলেই ভয়াবহ রকমের পিতৃভক্ত, টুঁ শব্দটি না করে রাজি হয়ে গেলেন!
বাচ্চারা তো সব মহাখুশি, খোপকাটা ব্যালকনিতে যারা দু-মুঠো রোদ্দুর কুড়ায় তাদের জন্য লাগামহীন মাঠ, সবজে মুখো ধানক্ষেত আর রাজহাঁস ছাওয়া শ্যাতলা পুকুর স্বর্গরাজ্য বৈকি!
আমি খানিকটা গাঁইগুঁই করেও ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারলাম না.. একা বাসায় তো আর আমাকে রেখে যাওয়া হবে না।
তাছাড়া রান্নাবান্না কিস্যু পারি না, খাবো কী?
লটবহর গোছানো চললো চরম ফূর্তিতে, প্রস্তুতি কী একটু- আধটু? গত ক'বছর ধরেই বোনেরা সব একরকম জামা জোটাই, আরো কতো কী! এবার জড়ো হচ্ছে ম্যালাদিন বাদে জ্ঞাতিগোষ্ঠি সবাই.. 'হুলুস্থুলস' যাকে বলে!
নানাভাইকে বললাম, একটা ছেলে খুঁজে এ সুযোগে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিন.. এক ঢিলে দুই পাখি।
বুড়ো বলে, যা ভাগ..
দুনিয়াতে ভাল কথার দাম নেই আসলে!
পথ হারানো দস্যিপনায়:
অনেক কষ্টে জোটানো টিকেটের বরাতে 'মহানগর গোধূলি' আমাদের বিশাল পরিবারের একাংশকে নামিয়ে দিলো 'হেণী' স্টেশনে। এখান থেকে সিএনজিতে মিনিট ত্রিশের পথ...
ঘরমুখো অসংখ্য মানুষের ভিড় আর রোজার ধকলে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে দোরগোড়ায় নামতে না নামতেই মুরগির কুশিকুশি ছানার পেছনে ছুট লাগায় পিচ্চি কাজিন 'তাহমিদ আর আদিবা'।
খুলনা থেকে খালারা এসে পৌঁছেছেন সকালে, আন্টিকে সামনে পেতেই জড়িয়ে ধরি| নানা-নানু সবাইকে কোনমতে সালামের পাট চুকাতেই সূয্যি ডুবুডুবু... আধছায়াতেই ক্যামেরাবাজি চলে।
আহ্, কদ্দিন পর গ্রামে এলাম!
গেছো মেয়ের মতো পরের দুটো দিন আমি এবং আমরা পুরো গ্রাম দাপিয়ে বেড়াই। কামরাঙা গাছে উঠে টুপটাপ ফল ছেঁড়া, পুকুরে বঁড়শি পেতে ট্যাংরাপোনা শিকার, টায়ার ভাসিয়ে ঝাঁপাঝাঁপি আর টিনের চালে দিই ছুঁড়ে ঢিল।
ঘন্টায় একবার একেকটা বিচ্ছুকে আলের ধার থেকে কাদামাখা অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়..
জমজমাট আড্ডার ফাঁকে পিঠাপিঠি মামা আর বোনদের সাথে পুরোনো দিনের মতো খেলা জমে, 'পার্থিব' কিংবা 'সেই সময়ের' মাঝখান থেকে একটা লাইন বলে.. তা নিয়েই খেলা। কিংবা ছোট্টবেলার কোন কুকীর্তি মনে করিয়ে খোঁচাখুঁচি...
এ পর্ব শুরু হলেই আমি পালাই! (নানা কেলেংকারিপূর্ণ সমৃদ্ধ শৈশব তো )
টর্চ হাতে পুকুরঘাটে পা ছড়িয়ে বসি..
বাঁশঝাড়ে শন্ শন্ করে হাওয়া বয়, দূরে জলফড়িঙের মতো কলমিলতার ডগা ছুঁয়ে জ্বলতে থাকে একটা- দুটো রাতপ্রহরী জোনাকপোকা.. অকারণ বিষাদঘোরে আমার চোখ ভিজে যায়। জানালার কোণে রেখে আসা ছোট্ট ক্যাকটাসের টবটার জন্যেও মন কেমন করে!
মাথার ওপরের বিশাল নীল চাঁদোয়ায় মাখা ঝকমকে তারাগুলোর পাশে নিজেকে আরো তুচ্ছ, আরো ম্লান মনে হয়...
যখন ভাঙলো মিলনমেলা ভাঙলো:
অসহনীয় রকমের সুস্বাদু ঈদ গলঃধরনের পর বিদায়ের টুংটাং সুর বাজে... ঘাড়ে করে বইখাতা এনেছিলাম বটে, পড়েছি তিনপাতার ঘোড়ার ডিম!
ফিরতেই পরীক্ষা আরো অনেকের'ই, তোড়জোর চলে ডেরায় ফেরায়।
সত্তুর ছুঁইছুঁই জরাগ্রস্থ দাদির হাত আড়াই মাসের 'উমাইজা'কে ছুঁয়ে দেয় শেষবারের মতন...
ঘুরেফিরে কংক্রিট শহুরে দরজায় এসে থামে ঈদবাড়ি এক্সপ্রেস!
মন্তব্য
নিজের বড় হওয়া শহরে, এখন আবার এটা নগরী হয়ে গেছে, গ্রাম জীবনে অভ্যস্থ না, তাই গ্রামে গিয়ে ঈদ করার আনন্দও পাওয়া হযে উঠেনি। ঈদের টুকটাক আনন্দময় মূহুর্তের কথা পড়ে ভালো লেগেছে, তবে লেখাটাকে একটু ছোট-ই মনে হলো।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
'সে এক বি-রাট ইতিহাস'!
ডগার কবিতাটা ঝুলছিলো আমার এফবি স্ট্যাটাসে... দুই সিলেটি সচলের সঙ্গে মন্তব্য চালাচালির ফাঁকে দড়াম করে লিখে ফেললাম, নইলে হয়তো এটুকুও লেখা হতো না।
পঠনে কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার। আপনার ঈদ প্রত্যেক বছর এমনই কাটুক।
অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দেশ ছাড়ার আগে প্রায় সবাই মিলে গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া হয়েছিল। ওই কয়টা দিন যে কি দারুণ কেটেছিল! আপনার লেখা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল।
লেখা ভাল লেগেছে।
সজল
পড়লেন বলে ধন্যবাদ রইলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন ..... তবে সবচেয়ে দারুন....
"নানাভাইকে বললাম, একটা ছেলে খুঁজে এ সুযোগে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিন.. এক ঢিলে দুই পাখি খাইছে বুড়ো বলে, যা ভাগ..
দুনিয়াতে ভাল কথার দাম নেই আসলে!" :D
তবে রে শুভ, বড় বোনের সঙ্গে ইয়ার্কি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনি আসলেই ভাগ্যবতী। এই রকম আত্মীয়-পরিজন সমেত, গ্রাম্য আবহে ঈদ কয়জনের ভাগ্যে জোটে বলেন। বলতে পারেন আপনার লেখা পড়তে পড়তে একদিকে যেমন হিংসায় হলুদ হয়ে উঠছিলাম, তেমনি করে মাঝে মাঝেই বেদনায় বেগুনী রঙও ধারন করছিলাম।
লেখা ভাল হয়েছে।
অনন্ত আত্মা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটি চমৎকার। দলবেঁধে গ্রামে যাইনা দুদশকেরও বেশী। সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
আপনাকেও অ-নেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঢাকায় ঈদ কোনমতে পার করে পরের দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঈদের লেজটা পাকড়েছি!
মামা খালা কাজিন আর বন্ধু নিয়ে দারুন দুদিন পার করে আজ সকালে উঠেছিই ফেরার চিন্তা মাথায় নিয়ে...
আজ 'বিষাদ এক্সপ্রেস' ধরার দিন!
ভাল লেখার মন খারাপ করে দেয়ার এ অসাধারণ গুণটাকে এজন্যই মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে....;-(
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার লাগল। একসাথে ঈদ করার মজাই আলাদা।
-------------------------------------
হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
ধন্যবাদ আপু!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রাঞ্জল বর্ণনা ভালো লাগলো !
রোমেল চৌধুরী
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরকম একটা ঈদ কবে যে আসবে.........
স্বপ্নদ্রোহ
"দেখিস, একদিন আমরাও...."
ধন্যবাদ জানবেন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'হেণী' - কী এক অদ্ভুত সৌন্দর্য থাকে এ নামগুলোতে...
এরকম কত কত নাম লুকোনো এ দেশের পথে - ঘাটে....
ঈদবাড়ি এক্সপ্রেসে ফের চড়ে বসো দস্যি মেয়ে,
কোন এক ক্লান্তিমাখা শহর-রঙা দিনান্তে....
------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আসলে কিন্তু জায়গাটার নাম ফেণী,
'হেণী' ওখানকার কথ্য ভাষায় বলে..
ভালবাসা রইলো পুচকি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ!
হেনী রইসে রেনী!
চট্টগ্রামে এবার ঈদ করেননি তবে...
গ্রামে প্রতি ঈদেই নিয়ম করেই যাই, কিন্তু থাকাটা আর হয়ে ওঠেনা এখন, সবাই বেলা না হতেই পাততাড়ি গুটায়...শহুরে ইট কাঠের স্তুপে ফের আস্তানা গাড়ে।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমরা চট্টগ্রামে স্থায়ী আজ প্রায় চল্লিশ বছর...
গ্রামে যাওয়া হয় কালে- ভদ্রে!
ধন্যবাদ থাকছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ফাঁকিবাজিরও একটা সীমা থাকা লাগে!!!
এভাবে ফুড়ুৎ করে পড়তে না পড়তেই লেখা শেষ???
আহা, এবার চট্টগ্রামে সচল আড্ডাটা যা জম্পেশ হলো, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ইলিয়ট, জয়েস, কাফকা, বিনয়-বাদল-দীনেশ থেকে অনেকেই এলেন। এমনকি, জাকির নায়েক পজ্জন্ত :~
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
চট্টগ্রামে সচল কয়জন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চাঁটগায় সচলশুমারি করার সময় দেখছি এসে গেছে
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সে হিসেব কষে দিতে পারি,
তবে কমিশনের রেটটা আগে ঠিকঠাক করা চাই!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরকম ধমক দিলে খেলবো না॥
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর...
আসলেই...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাংকু ভাইয়া!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবিতাটা সুন্দর, লেখা অনেক সুখপাঠ্য হয়েছে!
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সবগুলো ঈদই গ্রামে করেছিলাম। তারপর ডাইরেক্ট দেশের বাইরে। দেশে কখনো শহরে ঈদের স্মৃতি নেই।
এলাকার সব বাড়িগুলোই টিলার উপরে। টিলা বাড়িগুলোতে উঠতে নামতে পা ব্যাথা হতো। তারপরও মজা ছিলো অনেক। নামায পড়ে দলবেধে যেখানে খুশী ঘুরতে যাওয়া, মারবেল খেলা....।এখন ঈদের নামায পড়ে সময় কাটানোর কোন পথ খুজে পাই না। ঈদের দিন অফিস করবো ভাবলে ভালো লাগে না। তাই ফাও ছুটি নেই। মাঝে মাঝে লং ড্রাইভ....
আপনার জন্য সুপান্থদার আরেকটা কবিতা....
"দূরতম নদীটির পাড়ে এসে জানা গেলো, এই বাঁচা বড়ো অসহায়।
প্রবাস এমনই---
এমনই এই পর- বাস...
মৃত্যুর অধিক সে দিতে জানে বেদনা অবলীলায়!!"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এখন আর গ্রামে ঈদ করা হয় না
দেশ ও জাতির ভবিষ্যত খারাপ, ছুটিতেও মানুষ বই নেয়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কি চমৎকার! হৃদয় ছুঁয়ে গেল লেখাটি।
এবারের ঈদও স্বজনদের ছাড়াই করতে হল বলে হয়ত বেশী আক্রান্ত হলাম লেখাটিতে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
মন্তব্যে সবিশেষ কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, আজকাল তোমার লেখায় যে বাড়তি পাওয়াটুকু থাকে তা হলো চমৎকার কিছু কবিতার লাইন। খুব মজা করে ঈদ করেছো বুঝতে পারছি । সামনেই পরীক্ষা নাকি? পরীক্ষার জন্য শুভকামনা।
আর বলো না আপু, আজকাল সবাই কবিতা নিয়ে খোঁচায়!
ঈদে মজা হয়েছে ভীষণরকমের, এইবার বোঝা যাবে তার ঠেলাটা...
পড়াশোনা একটুও ভাল্লাগে না!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার বর্ণনা। পড়ে ভালো লাগলো এবং ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
সেইসব দিনগুলোকে খুব মিস করি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ধন্যবাদ পলাশ!
অপূর্ণ শখের ডালা ভরা-ই থাকে,
কেবল চোখের পলকে শৈশব- কৈশোর ফুরিয়ে যায়...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিপটেমির জন্য তীব্র দিক্কার!
গ্রামে যাই না কতদিন! খুব যে তারিয়ে তারিয়ে গ্রাম চেখে দেখা হয়েছে তোমার বেশ বোঝা যাচ্ছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
থোতোদের বকা দিতে হয় না....
এটা ছিলো আমার এ পর্যন্ত করা সেরা ঈদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তোর লেখার ভীষন ভক্ত আমি---সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই।
যেকোন আটপৌড়ে লেখাও তোর হাতের স্পর্শে আকাশে ডানা মেলে।
ঈর্ষনীয় এক লেখার ক্ষমতা নিয়ে এসেছিস তুই!
এতদিন তোর লেখাটাকে ঈর্ষা করে এসেছি, আজ থেকে তোর জীবনটাকেও ঈর্ষা করা শুরু করলাম। এরকম পরিবারের সকলে মিলে গ্রামে ঈদ করে আসতে পারে ক'জন বল? আমার জীবনটা তোর সাথে বদলে নিতে পারলে বেশ হতো---
ভাল থাকিস,
আরো ভাল লিখিস--
ইয়ে অনিদা,
এরকম বাড়িয়ে- চাড়িয়ে বললে তো কীবোর্ড হাতে গুঁজে পালাতে হবে!
অসংখ্য ধন্যবাদ!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কতদিন পর যে আবার আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে পারবো!!!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অনেকদিন পর মন্তব্য পাওয়া গেলো!
ধইন্যাপাতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বৈদেশের গ্রামীণ ঈদখান যদি একবার দেখতেন!.....এমন দৈন্যদশার ঈদ..পাঁচনগেলা যাকে বলে। তিতকুটেভাবটা একদম উধাও হলো চমৎকার জমাটি ঈদ আনন্দের কথা জেনে। এমন আনন্দেই থাকা হোক জীবনভর। কেলেংকারিয়াস শৈশব নিয়ে জলদি লেখা চাই। হিংসের সাথে বোনাস মুগ্ধতা রেখে গেলাম। শুভেচ্ছা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হৈ মিয়া, আপ্নের কিসের এত বিষাদ আর কষ্ট? হুদাই দু:খবিলাস!
লেখা ভালৈসে।
আহা কী দুঃখের কাহিনি! কীবোর্ডের কটি ফাইট্যা দুঃখ বাইর হইতেছে, মাধবকুণ্ডের ঝর্ণার মতোন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেইডাও তো কথা!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বাউলিয়ানা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হেঁইয়ো!
ধুগোদা, দিলাম বাঁধ কেটে...
দুঃখ- কষ্টের স্রোত এবার গলগলিয়ে বেরিয়ে যাবে!
ঠিকাসে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আবারো,বেশ ক'দিন পর।আবারো,বেশ অসাধারন।
আরেকটু ঘন ঘন লিখতে সমস্যা টা কী?!
ঈদের পর দিন-ই সবাই মিলে ব্রাক্ষণবাড়িয়া গিয়ে সন্ধ্যার পরপর মামা-খালা-নানু-আম্মু আর সব কাজিন দের সাথে অসাধারন কয়েক ঘন্টা আড্ডা।।আহ..মনে করিয়ে দিলেন।একরাশ ধনেপাতা..!
ভাল থাকুন(লিখতে থাকুন!),অনেক ভাল..সবসময়।।
পড়তেই বেশি ভাল্লাগে, লিখতে (ইয়ে মানে) 'আলসি' লাগে!
নিয়মিত পাঠক ও মন্তব্যকারিকে সবিনয় ধন্যবাদ ও শুভ কামনা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন