ভ্রমণ কাহিনী শোনাবার কখনোই কোন ইচ্ছা ছিল না আমার। আমি লিখে আনন্দ পাই মানুষ ও জীবনের ঘটনা। কিন্তু সিরাতের সাথে কয়েকটা ই-মেল চালাচালি করে আমারও ইচ্ছা হোল একটা আধা খেচড়া ভ্রমণকাহিনী লিখতে। আমি টেক্সাসে থাকি, সিরাতের টেক্সাস খুবই পছন্দের জায়গা, ওকে কথা দেওয়ায় এই লেখা, মনে হয় এটা পড়ে ওর টেক্সাস প্রীতি কিছুটা কমবে।
ভ্রমণ কাহিনী লিখতে হলে ভ্রমণ করতে হয়, যেখানে থাকি সেটা নিয়ে কি ভ্রমণকাহিনী হয়? ঢাকায় যে থাকে, সেকি লিখতে পারে "আমার ঢাকা ভ্রমণ"? টেক্সাসে আমি এসেছি ঠিকই, কিন্তু এখনো ফেরা হয়নি, সুতরাং এ কাহিনী যে অর্ধেক সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আরেকটা জিনিস, টেক্সাসকে বিদেশ বলে মনে হয় না আমার, প্রতিদিন সকালে কাজে আসা, বাড়ি ফেরা, ঘর পরিস্কার করা, সন্তান পালন, স্ত্রীর সাথে রাগ প্রধান আলোচনা এগুলো করলে আর বিদেশের ভ্রমণ হয় না। আমি অন্য স্টেটে বেড়াতে গেলে মাঝে মাঝে বন্ধুদের বলি আমেরিকা যাচ্ছি ঘুরতে।
প্রবাস জীবনের ধারাবাহিক কাহিনী লেখার ইচ্ছে ছিল, শুরু করলাম এটা দিয়ে।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কার করার ৫০০ বছর পর আমার আগমন এখানে। এর মাঝে অনেক জ্ঞানী গুনীজন এসে ঘুরে গেছেন এদেশ, তাদের লেখা ও কথায় খুব অচেনা না এই মুল্লুক। সুতরাং ১৯৯৬ সালে যখন টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনে পদার্পণ করি আমি, তখন আমেরিকার হালচাল অনেকই জানা। অস্টিনে আগমন করলেও আমার গন্তব্য টেক্সাসের লাবাক (Lubbock) শহর, যেখানে আমি মাস্টার্স করব বলে এসেছি। অস্টিনে আমার শৈশবের বন্ধু মঈন (নকল নাম) থাকে, সে আমাকে সিক্সথ স্ট্রীট নিয়ে যাবে - লোভ দেখিয়ে তার কাছে এনেছে। অস্টিনের সিক্সথ স্ট্রীট বেশ বিখ্যাত জায়গা, লাইভ মিউজিক আর পার্টির জন্য অনেকেই এর নাম জানে।
অগাস্ট মাসের যে দিন আমি বিমান থেকে অস্টিনে নামলাম সেদিন মাথায় চাবুক মারছে দুপুরের প্রখর রৌদ্র। মঈন জানাল তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট, আমি মিনিট খানেক সময় নিয়ে সেটা কনভার্ট করলাম মেট্রিক এককে...তারপর মনে হোল অনেক গরমতো!!! কিন্তু মেঘহীন দারুন একটা বিশাল একটা আকাশ মাথার উপর জ্বলজ্বল করেছে...যা দেখে আজো মুগ্ধ হই। আমার টেক্সান বন্ধু মাইককে একবার টেক্সাসের আকাশের প্রশংসা করেছিলাম, কিন্তু সে খুব উচ্ছ্বসিত হোল না, তার ধারনা মাটিতে বেশি সুন্দর কিছু নেই বলে আকাশটাই নাকি ভালো লাগে।
এই মুল্লুকে আসার দুই দিন পরে গেলাম সিক্সথ স্ট্রীটে, সন্ধ্যার পর পর। রাস্তা বন্ধ করে পার্টি চলছে পাব ও বার গুলোতে। সেই সংগে গান ও উত্তাল নাচ। জায়গাটা দারুন জীবন্ত। টেক্সাসে প্রচুর সুস্বাদু ককটেল পাওয়া যায়। আমাকে খাওয়ানো হোল "হ্যান্ড গ্রেনেড" নামে একটা ভয়াবহ ককটেল, খাওয়ার সময় টের পাই নি...একটু পর টের পেলাম যে এটা জটিল জিনিস। একদম মৃতসঞ্জীবনী সুধা । সাত আট ঘন্টা কাটানোর পর বাসায় এসে আমি পুরো বেহুশ। সিক্সথ স্ট্রীটের খুব কাছেই ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ক্যাম্পাস, খুবই নামি একটা বিশ্ববিদ্যালয়...পাশে এরকম পার্টি করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ছাত্ররা এত জ্ঞানী হয় সেটা আমার আজো মালুম হয়নি।
হাতে সাতদিন সময় ছিল, ঘুরে বেড়ালাম আসে পাশে...অস্টিনের একপাশ পাহাড়ি, তার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে কোলোরাডো নদী। পাহাড়গুলো খুব উঁচু না কিন্তু অনেকখানি জায়গা জুড়ে, টেক্সানরা বলে "হিল কান্ট্রি"। টেক্সাসের অন্য বড় শহরগুলোর তুলনায় অস্টিন বেশ ছোট কিন্তু বোধহয় সবচেয়ে সুন্দর ও গোছানো। ডালাস, হিউস্টন আমার কাছে একই রকম লাগে, প্রানহীন বড় নগরী। অবিস্মরনীয় জুবায়ের ভাইয়ের একটা লেখা আছে ডালাস নিয়ে, অকপট সত্যদর্শনের মত নির্মোহ বিচার। অস্টিনের পরই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আসবে স্যান এ্যন্টানিও শহরের নাম, অন্ততঃ আমি যদি বিচারক হই। বেশ ঐতিহাসিক শহর, এদের ইতিহাস যেহেতু নতুন আপনাদের কাছে হয়ত বাচ্চা বাচ্চা লাগবে এদের ঐতিহাসিক স্থাপনা। আমার এসব ইতিহাস ফিতিহাস ভালো লাগে না, আমার ভালো লেগেছে এ শহরের রিভার ওয়াক, অর্থাৎ নদী পারের হণ্টন রাস্তা, যদিও এই নদীর চেয়ে ঢের বড় এবং পরিস্কার খাল ঢাকা শহরে একসময় ছিল। রিভার ওয়াকের পাশেই তাবৎ রেঁস্তোরা এবং একটা আধুনিক শপিং মল। এ জায়গার চেয়ে ভালো মেক্সিকান খাবার আমি খুব কমই খেয়েছি। মানুষের ভীড়ে সবসময় গমগম করে জায়গাটা।
টেক্সাসের পূর্ব অঞ্চলে ডালাস, হিউস্টন, অস্টিন, স্যান এন্টানিও অর্থাৎ সবগুলো বড় শহর...পূর্ব টেক্সাসের ভুপ্রকৃতি কিছুটা হলেও সবুজ এবং মোলায়েম পশ্চিম টেক্সাস থেকে। পশ্চিম টেক্সাসে তেমন বড় শহর নেই, দুই আড়াই লাখ লোকের শহর লাবাকেই বড় শহর বলা যায়। পশ্চিমের টেক্সাস অনেকটাই রুক্ষ, অনেকটা সিনেমায় দেখা ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টের মত।
মঈনের সাথে অস্টিন থেকে লাবাকে যাওয়ার সময় (প্রায় ৪৩০ মাইল দূরে) এই পরিবর্তন ব্যাপক ভাবে চোখে পড়ল। টেক্সাসে যেকোন শহরের বাইরে মাইলের পর মাইল ফাঁকা মাঠ, অনেক র্যাঞ্চ চোখে পড়বে, ঘোড়া এবং গরু কোন দুর্লভ বস্তু নয়। কিন্তু অস্টিন থেকে যতই পশ্চিমে যেতে থাকলাম আমরা ফাঁকা মাঠ এবং র্যাঞ্চ চোখে পড়ল ঠিকই কিন্তু মাঠগুলো আর সবুজ রইল না, ধীরে ধীরে কেমন লালচে আর রুক্ষ হয়ে গেল...আর সে মাঠের উপর দিয়ে ধেয়ে আসা প্রবল বাতাস...উড়ছে গোল করা খড়ের স্তুপ...এই প্রথমবারের মত মনে হোল আমার প্রিয় ঢাকা শহর বহুদূরে, এই নৈঃশব্দ ভেদ করে তেড়েফুড়ে আসে তার কলরবময় স্মৃতি...ঝাপসা চোখে দেখা প্রবাসভূমি। সত্যি সত্যি আমি পরবাসী হলাম।
লাবাক জায়গাটা পড়াশুনা করার জন্য খুবই ভালো, সত্যি বলতে কি, আর বেশি কিছু করার মত এখানে কিছু নেই। ঘরের ঠিক বাইরে যে দৃশ্য, ঘর থেকে পঞ্চাশ মাইল দূরে একই সেই দৃশ্য। তবে আমি বেশ ঘুরে বেড়িয়েছি সেই প্রায় মরুভূমির মত ওয়েস্ট টেক্সাস। লাবাকের কাছে পাওলোডুরো ক্যানিয়নে ঘোড়া করে ভ্রমন আমার কাছে এখনও সেরা স্মৃতিগুলোর একটা। এছাড়া নিউ মেক্সিকো, কোলোরাডো খুব দূরে নয়, দুবার সবান্ধবে ছুটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সাউথ ডেকোটা, মন্টানা, ওয়াইওমিং। ছোট একটা গাড়িতে সাত জন আরোহী, হোটেলের পয়সা দিতে হবে দেখে সবাই পালা করে দিন রাত গাড়ি চালানো না পারলে একরুমে গাদাগাদি করে রাত কাটানো...অনেক ব্যালান্স জমা আছে স্মৃতির একাউন্টে।
টেক্সাসের স্টেক অতি সুস্বাদু, লাবাকের থেকে কিছু দূরের শহর এ্যমারিলো, সেখানে আছে বিগ টেক্সান স্টেক র্যাঞ্চ যেটা আসলে একটা রেঁস্তোরা। মজাটা হোল আপনি যদি ওদের ৭২ আউন্স স্টেক (২ কেজি) এবং আনুষাঙ্গিক খাবার এক ঘন্টায় শেষ করতে পারেন, তবে খাবারটা হবে একদম মাগনা এবং আপনি ওদের উপহার নিয়ে ফিরবেন। না পারলে আপনাকে পয়সা দিতে হবে খাবারের। বুয়েটে থাকতে খাদক প্রতিযোগিতা দেখেছি, এ দেশে তার আন্তর্জাতিক রূপ দেখলাম। বিশ্বাস হচ্ছে না...ভিসিট করুন
মরুভূমির মত জায়গা যেমন আছে, টেক্সাসে সমুদ্রও আছে। ম্যাপ বলছে উপসাগর কিন্তু সমুদ্রের পাশে গিয়ে দাড়ালে প্রশান্ত মহাসাগর আর আমাদের গালফ অফ মেক্সিকোর পার্থক্য আপনি ধরতেই পারবেন না। বড় না ছোট, ওগুলো মানচিত্রের মাপ জোকের ব্যাপার, স্প্রিং ব্রেকে (মার্চের মাঝামাঝি) সাউথ পাদ্রে আইল্যান্ডের বীচে চলে যান...মনে হবে কক্সবাজারের মতই মনোরম এবং তার সাথে উপরি হিসাবে থাকছে স্বল্পবসনা সুন্দরীদের হাট। এ বিষয় যদি বউ বা বান্ধবী বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে উপভোগ করুন টেক্সাসের জাতীয় ফুল ব্লু বনেটের শোভা, মনে হবে যেন নীল রঙের প্রলেপ বুলিয়ে দিয়েছে কেউ সবুজ ঘাসের বুকে। মার্চ এবং এপ্রিলে শুধু কয়েক সপ্তাহ থাকে এর সমারোহ।
মেক্সিকান (স্প্যানিশ) প্রভাব সারা টেক্সাস জুড়েই...সম্ভবত এই মিশেলের জন্য আমার কাছে টেক্সাসের মেয়েদেরকেও দারুন সুন্দরী মনে হয় আমেরিকার অন্য অঞ্চলের থেকে। সেই জন্যই কি রয়ে গেলাম এই মুল্লুকে?
তবে একটা কথা, আপনি যদি সিরাত না হন, অর্থাৎ টেক্সাস নিয়ে যদি কোন অবসেশন না থাকে, তবে পকেটের পয়সা খরচ করে এখানে আসার প্রয়োজন নেই, মাইকের কথাই মনে হয় সত্যি, সবচেয়ে সুন্দর টেক্সাসের আকাশ...যেটা আপনি বাসার ছাদে উঠলেও দেখতে পাবেন।
[ছবি ছাড়া কথা দিয়েই ভ্রমণকাহিনী সারলাম, জুড়ে দেওয়ার মত ভালো কোন ছবি পেলাম না... ]
###তাসনীম###
মন্তব্য
ঝরঝরে ষ্টাইলের লেখা পড়তে বড্ড আরাম!
আমি খুব হোমসিক মানুষ, প্রবাস নিয়ে বিন্দুমাত্র অবসেশান নেই তাই... বিদেশ বিভুঁই এ বছরের পর বছর কি করে থাকেন বলুন তো ?
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও হোমসিক মানুষ, ঢাকা ছেড়ে বেশিদিন থাকলে কষ্ট হোত, প্রথম প্রথম খুবই খারাপ লাগত, আস্তে আস্তে মানুষ বোধহয় সবকিছুই মানিয়ে নেয়।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগল। কিছু ছবি সংযোজন করে দিন। ভালো না মন্দ সেটা আমরাই বলব'নে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
তবুও যেতে ইচ্ছা করে, ঘুরতে অবশ্যই... [ কি ঘুরবো তা জানিনা...মাঠে চরতে ভালো লাগবেনা বোধহয়!]
লেখা ভালো লাগলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঠে চরতে ভালো লাগবেনা বোধহয়
খুব অল্প কথায় সারমর্ম বলে দিয়েছেন
আপনার "নিক" (দুষ্ট বালিকা) ভালো লেগেছে, কেমন স্কুল পালানো একটা গন্ধ আছে।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি কক্ষনো স্কুল পালাইনি! প্রমিস!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তাই নাকি?
তবে কখনো আমেরিকা বেড়াতে গেলে মণ্টানার আকাশ দেখতে যাবার প্ল্যান আছে। একটা গান ছিলো না ওয়াইল্ড মন্টানা স্কাইজ? কার ভুলে গেছি অবশ্য। নীল ইয়ং এর মনে হয়।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মন্টানার আকাশ ও মাটি দুটোই সুন্দর। এই স্টেটের দক্ষিনে ওয়াইওমিং, সেখানে আছে ইয়েলোস্টোন ন্যাশানাল পার্ক...a must see.
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- এ্যামারিলোতেই যেতে হবে দেখছি। বিগ টেক্সানের আশেপাশে অবস্থান করে, রাজ্যের ক্ষুধা নিয়ে সেখানে হামলা চালানো হবে প্রতিদিন। এনশাল্লাহ, ভ্রমনকালীন সময়ে খাদ্যবাবদ কোনো খরচ হবে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুর্দান্ত আইডিয়া, যখন ওইখানে ছিলাম কেন যে মাথায় আসেনি
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর করে সেই মুহুর্তের কষ্টকে তুলে এনেছেন। এখনও ঝাপসা চোঁখে সেই স্মৃতিকে খুজি...।
তবে আপনার ওখানে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে, বিশেষ করে টেক্সাসের মেয়েদের কথা পড়ে :-)B
===অনন্ত===
ধন্যবাদ এবং মোস্ট ওয়েলকাম, টেক্সাসের নারীকুল আসলেই দ্রষ্টব্য
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গান'স আপ! তাসনীম ভাই
আপনার ৬-৭ বছর পরে আমিও ওই জায়গা চষে বেড়িয়েছি। লাবাকের কোথাও একটা আলাদা চার্ম আছে। ফিরে যেতে চাইনা কখনো। তবু মনে পড়লে ভালো লাগে।
গান'স আপ তানভীর।
আমার লেখায় "টেক্সাস" ট্যাগ করার পরে আপনার লেখাগুলো পেয়েছি, ভালো লেগেছে।
আমিও যেতে চাই না লাবাকে ফিরে...একটা গান আছে অনেক পুরানো...Happiness is Lubbock Texas in my rear view mirror
লাবাকের সুখ মনে হয় শহরটা ছেড়ে যাওয়াতে...লাবাক নিয়ে লিখব, আপনিও আরও লেখা দিয়েন।
ধন্যবাদ।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়লাম, ভাল্লাগলো।
আপনার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইসে, টেক্সাসের প্রতি আমার আগ্রহ বাড়সে বই কমে নাই!
লেখা খুব সুখপাঠ্য।
মেঘমুক্ত দিনের আকাশ, আর রাতে?
------------------------------------------------------
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ।
রাতের আকাশ তারকা খচিত ঝকমকে...সচরাসচর মেঘ থাকে না দিনে বা রাতে।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মেঘমুক্ত ঝকঝকে লেখা... ভালো লাগলো।
লিখতে থাকুন... ততক্ষণে আমি ছাদে উঠে টেক্সাসের চাঁদটা দেখে আসি .... চাঁদটা টেক্সাস থেকেই এদিকে বেড়াতে এসেছে কি-না
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ।
মজার ব্যাপার...আমার মেয়ে বাংলাদেশে গিয়ে চাঁদ দেখে মন্তব্য করেছিল অস্টিনে নাকি ওটা একটু বড়। সে থেকে আমারো একটু বড় বড় লাগে এখানের চাঁদকে, বলা যায় না ভাই, এটা টেক্সাসের জাতীয় সম্পদ হতেও পারে
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টেক্সাসে যারাই থাকে, তারাই খুব নিন্দা করে দেখেছি৷
আপনার লেখাটা পড়তে অবশ্য দিব্বি চমত্কার লাগল৷ ঝরঝরে তরতরে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকায় যারা থাকে তারাও সুযোগ পেলে ঢাকার বদনাম করে, কলকাতার লোকও তাই করে দেখছি, আমার ধারনা এটা ঢাকা, কলকাতা বা টেক্সাসের দোষ না, আমরা বাঙ্গালীরাই বড় ছিদ্রান্বেষী
টেক্সাসে দর্শনীয় তেমন কিছু নেই কিন্তু বাস করার জন্য নিঃসন্দেহে দারুন জায়গা। অন্য স্টেটের তুলনায় সস্তা, স্কুল গুলো বেশ ভালো...চার্ম বেশি না থাকলেও অনেক কাজের।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার কিওয়ার্ডে 'টেক্সাস' দেখেই মনের ভেতরে কেমন চিনচিন করে উঠলো। সুখ-দুঃখের তিনটা বছর কাটিয়েছিলাম সেখানে। ভ্রমণপাগল দেখে আরো ভালো লাগলো - মন্টানায় যেতে খুব মন টানে! সেটা এখনো পারিনি, তবে দুই বছর আগে পশ্চিমে (এরিজোনা, নিউ মেক্স, নেভাডা) একটা দশদিনের রোড ট্রিপ আমার জীবনের সেরা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে।
এই রকম আরো লেখা চাই।
PS - বিগ টেক্সানের লিংক দেখে বিশাল মজা পাইলাম - ঐটার সামনে দিয়ে কয়েকবার গেছি বন্ধুদের সাথে ড্রাইভ করে , কিন্তু ভিতরে এখনো যাওয়া হয় নাই। নেক্সট টাইম...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধন্যবাদ আপনাকে...আপনি কি ডালাসে থাকেন এখনও?
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
না ভাই, সাত বছর আগে নিখোঁজ হইসি। দুই বছর অন্তর অন্তর যাওয়া পরে যদিও।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুন্দর লেখা। লং হর্ণের ছবিটা দিতে পারতেন
ধন্যবাদ...অন্য কোন লেখায় লং হর্ণের ছবি জুড়ে দেব
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালোলাগানিয়া লেখা
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অস্টিনে ছিলাম দেড় বছরের মত, ঐটা আসলে টেক্সাসের সবচেয়ে সুন্দর শহর। আর আমার দেখা পৃথিবীর জঘন্যতম দুইটা শহরও টেক্সাসে। ডালাস আর এল প্যাসো। তবে অস্টিন থেকে ফিনিক্স এর ড্রাইভটার কথা এখনও মনে পড়ে। ঐরকম ১২০-১৩০ মাইল স্পিডে চালানোর সুযোগ আরেকবার পেয়েছিলাম মোহাভে ডেজার্টে।
অস্টিন থেকে ফিনিক্স হয়ে লাস ভেগাস ড্রাইভ আমিও করেছি একবার। আপনি, আপনি সম্ভবত I-10 ধরে গিয়েছিলেন, আমিও তাই। ভালো স্পীড তোলার সুবন্দোবস্ত আছে
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন