ডাক্তারদের প্রতি আমার অনেক ঋণ । ছোটবেলায় পায়ে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সারাতে বেশ কয়েকটা অপরেশন করতে হয়েছে। নানান ধরনের ব্যায়াম করে করে এবং বিশেষ ধরনের জুতা পরে পরে যখন বড় হয়ে গেলাম, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম পায়ের সমস্যা আর আমার বলতে গেলে নেই। পায়ের সেই ব্যাপার ছাড়া আরও একবার ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বুয়েটে পড়াকালীন, সেবার হয়েছিল টাইফয়েড। সে যাত্রাও ডাক্তারাই বাঁচালেন আমাকে।
আমেরিকাতে এসে প্রথম কয়েক বছর ডাক্তারদের ধারে কাছেও যাইনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বীমা নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না তখন, পয়সা বাচানোর জন্য আমি এবং আমার চেনা অনেকেই তখন বীমা করি নি। ঈশ্বরই আমাদের দেখভাল করতেন, আপনারা নিশ্চয় জানেন ওনার বীমা সব সময় ফ্রী, মাঝে মাঝে উনাকে ডাকলেই উনি রিনিউ করে দেন সবকিছু। উনার কৃপায় ভালোই ছিলাম। ছোটখাট অসুখ বিসুখ হয়েছে, টাইলেনল নামক জ্বরের ওষুধ খেয়ে শুয়ে থাকলে শতকরা আশি ভাগ অসুখই সেরে যায়। আমিও তাই করতাম।
ধূমপানের সুবিধাঃ
চাকরি শুরু করার বছর দুয়েক পর প্রথম যাই ডাক্তারের কাছে। স্বাস্থ্য বীমা আমার আছে তখন, চাইলে হার্ট, কিডনী, লিভার সব বদলে ফেলতে পারি, এই বল বুকে আছে। ডাক্তার নিলাম বীমার ওয়েব পেজ দেখে; আমি অলস মানুষ বাসার সবচেয়ে কাছে যিনি আছেন তাকেই নিলাম। একটু চেক আপ করা দরকার, আর সামান্য শ্বাসকষ্ট হয় মাঝে মাঝে...এটা দেখান দরকার।
নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত তার চেম্বারে, যাকে ক্লিনিক বলে এরা। ভিতরে ডাক পড়ল যথাসময়ে, সুন্দরী নার্স এসে ব্লাড প্রেসার মেপে নিল, শ্বাসকষ্টের কথা জানালাম। তিনি জানালেন ডাক্তার এসে শুনবেন এগুলো।
ডাক্তার ঢুকলেন ঘরে...মাশাল্লাহ...উনি লম্বায় আর চওড়ায় সমান...পর্বতের মত প্রকান্ড। থলথল করছে শরীর। আরেকটা ব্যাপার উনি হাঁপাচ্ছেন একটু একটু করে...অর্থাৎ উনারও শ্বাসকষ্ট আছে এবং আমার চেয়ে কয়েকগুনে বেশি মাত্রায়। কিভাবে উনি আমার রোগ সারাবেন, উনি নিজেও একই রোগে আরও বেশি মাত্রায় যে আক্রান্ত!!!
ডাক্তার সাহেব সময় নিয়ে শুনলেন আমার সমস্যা, জিজ্ঞেস করলেন আমি সিগারেট খাই কিনা। আমি সম্মতিসূচক উত্তর জানালাম। একটা শ্বাসের পরীক্ষা নিয়ে উনি জানালেন মোটামুটি সবঠিক আছে, সিগারেট ছেড়ে দাও এবং একমাস পরে আবার এসে শ্বাসের পরীক্ষা দিয়ে যাও।
আমারও ইচ্ছা ছিল সিগারেট ছাড়ার, আমি এক মাস ধূমপান থেকে বিরত (পুরো না) থাকলাম এবং ফেরত গেলাম, ততদিনে আমার শ্বাসকষ্ট প্রায় ঠিক হয়ে গেছে কিন্তু ডাক্তার সাহেবের অবস্থা তথৈবচ। শ্বাসের পরীক্ষাও ভালো আসল।
আমি হঠাৎ বুঝলাম যারা ধূমপান করেন তাদের একটা বিরাট সুবিধা, এটা ছেড়ে দিলে অনেক সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। অধূমপায়ীদের সে সুবিধা নেই। ধূমপায়ীরা ডাক্তারের কাছে গেলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ পান, তাতে অনেক কিছু সেরেও যায়, কিন্তু এই প্রেসকিপশনতো যে সিগারেট খায় না তাকেতো দেওয়া যায় না।
এটা কি বলা যায় যে ভাই আপনি কিছু দিন সিগারেট খেয়ে দেখুন, তারপর ছেড়ে দিন দেখবেন অনেক প্রব্লেম সলভড্!!!
ব্যথা মাপুনঃ
সাত/আট বছর আগের কথা। বেশ রাত করে বাসার এসেছি অফিস থেকে। ফিরেই ভাত আর ধুনফুন চিকেন দিয়ে আহার সম্পাদন। এরপর যেইনা সিগারেটে (মাঝে মাঝে খাই) একটা টান দিয়েছি, হঠাৎ করে বুকে প্রবল ব্যথা। আঃ আঃ করতে করতে শুয়ে পড়লাম। ব্যথাটা হার্ট যেখানে থাকে সেখানে নয় বরং পেট আর বুক যেখানে মিশেছে সে জায়গায়। আমার রুমমেট বাসায় ছিল, সে এসে ধরাধরি করে বিছানায় শুইয়ে দিল। একই সংগে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিল যে বুকের ব্যথা অবহেলা করা ঠিক না, ব্যথা বাড়তে বাড়তে অবহেলার পর্যায় ছাড়ায়ে গিয়েছিল তাই রুমমেটের সহায়তায় রাত বারোটার সময় হাসপাতালে গেলাম। রাতের বেলায় এমারেজন্সি রুম ছাড়া কোন উপায় থাকে না, তাই সেখানেই যেতে হোল।
মিনিট পাচেকের মধ্যে একজন নার্স এসে ব্লাড প্রেসার, পালস্ ইত্যাদি মেপে একটা ইসিজি করে নিশ্চিত করল যে এটা হার্টের সমস্যা নয়। কিন্তু ব্যথা কমছে না। আমার সামনেই পুলিশের প্রহরায় স্ট্রেচারে করে এক গুলি খাওয়া মানুষ ঢুকলো, যেটা দেখে আমার ভিমরি খাওয়ার জোগাড়। আমি ব্যথা চেপে বসে আছি যে কখন ডাক্তার আসবেন। কিন্তু না...আরেকজন নার্স এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল...
"তোমার ব্যথাকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে কত দিবে, যদি ১০ সর্বোচ্চ ব্যথা হয়?"
আমি মোটামুটি স্তম্ভিত, বলে কি এরা? ব্যথা ভুলে আমি চিন্তা শুরু করলাম যে কত নম্বর দেওয়া যায় এটাকে। স্কুলে ভাবসম্প্রসারন খুব ভালো লিখলে আব্দুল করিম স্যার দশে ছয় দিতেন, আমি খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েও বাংলায় কোনদিন ষাটের বেশি পাইনি। ছয় তাহলে বেশ ভালো নম্বর।
আমি ঘোরের মধ্যে বললাম "ছয়"।
"তোমার কি পেটে গ্যাস হয়?"
"হয়, মাঝে মাঝে"।
"কোন দিক দিয়ে গ্যাস বের হয়?"
এই প্রশ্নের কি উত্তর হতে পারে? আমার মনে হোল তামাসা করছে এরা...যাই হোক নার্স চলে যাওয়ার পর দেখি রুমমেট কটমট করে তাকায়ে আছে আমার দিকে।
"ইডিয়ট, কি করলি এটা?"
"কি করলাম?" ব্যথার ঘোরে আমার জিজ্ঞাসা।
"এই যে ১০ এ ৬ দিলি, দেখলি না এই হাসপাতালে গুলি খাওয়া রুগি আসছে...আরে শালা...এখন কি ওদের ১০ এ ৬ রোগী দেখার সময় আছে?"
"তাহলে কি বলা উচিত ছিল?"
"গাধার বাচ্চা গাধা, বলবি ১০ এ ১১...সাথে সাথে ডাক্তার হাজির হবে, ১০ এ ৬ পাওয়া গ্যাসের ব্যথা নিয়ে এদের কোন মাথাব্যথা নেই, এরা ডাক্তার এইটা এদের অফিস, তোর অফিসে যেমন জরুরী কাজ আগে করিস তেমনি এরাও তাই করে...এক ঘন্টা পরে ডাক্তার এসে একটা ব্যথার ওষুধ দিবে"।
কি করব এখন, নাম্বারতো দিয়ে ফেলেছি, এখন বাড়াবো কি করে?
ঠিক একঘন্টা পর ডাক্তার সাহেব এসে, গম্ভীর মুখে আমাকে দেখলেন।
"সিরিয়াস কিছু না, গ্যাসের চাপ, একটা ব্যথার ইঞ্জেকশন দিচ্ছি...সাথে একটা ঘুমের ওষুধ..."
গুঢ় একটা বিদ্যা শিখলাম...যদি কোনদিন হাসপাতালে ব্যথা নিয়ে যান, ১০ এ ১১ দিতে ভুলবেন না, সাথে সাথে সেবা পাবেন।
পরিশিষ্টঃ
এরপর নানান কারনে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে, বয়েস বাড়ছে...স্রষ্টা যেই ওয়ারেন্টি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন সেটা এক্সপায়ার করছে বলেই আমার ধারনা। গাড়ি পুরানো হলে টুকটাক সমস্যা হয়, মানুষের বয়স বাড়লে একই সমস্যা। গাড়ির যেমন মেকানিক, মানুষের তেমনি ডাক্তার। ভালো মেকানিক পাওয়া যেমন দুষ্কর, ঠিক তেমনি কঠিন ভালো ডাক্তার পাওয়া। আপনার হার্টের ভাল্ব বদল, হাটু বদল, বোন ম্যারো বদল এবং আরো জটিল জটিল অপরেশনের জন্য আমেরিকা খুবই ভালো জায়গা, কিন্তু ছোটখাটো রোগ দেখে চট ওষুধ দেওয়ার মত বেশি ভালো মেকানিক আমি দেখিনি, এই দিক দিয়ে আমাদের দেশের ডাক্তাররা ঢের ভালো।
গাড়ির সাথে মানুষের একটাই পার্থক্য...পুরানো গাড়ি বদলানো যায়, কিন্তু এই পোড়া শরীরটা বদলাব কি করে, তাই একজন ভালো মেকানিক খুঁজছি। কৃষ্ণ যে ব্যাকুলতা নিয়ে রাধাকে খুঁজে, সেই একই ব্যকুলতা নিয়ে...গাড়িতো ভাই চলতে চায়না...
মন্তব্য
খুব ভাল বলেছেন তাসনীম। কলকব্জা পূরোনো হয়ে গেলে তো সমস্যা করবেই। তবু নিজের পার্টস বদলাবেন কিভাবে? গাড়ি মাঝে মাঝে খারাপ মেকানিকের পাল্লায় পড়লে তারাও ভালোই বারোটা বাজায়। সেরকম কেইসে আবার আমাদের বাংলাদেশের ডাক্তারদের সুস্থ শরীরকে লঝঝরে বানানোতে জুড়ি নেই।
এই দেখুন না, আমার এক খালা শাশুড়ি ডাক্তারদের ভুল প্রেসক্রিপশনের শিকার হয়ে এখন ব্রেইন স্ট্রোক করে আইসিউ তে যুদ্ধরতা।
-শাফক্বাত আনোয়ার
ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা করছি আপনার এক খালা শাশুড়ি দ্রুত আরোগ্য পাবেন, শুভ কামনা রইল।
ভুল চিকিৎসা সবদেশেই কিন্তু হয় কেবল বাংলাদেশ নয়।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইজান---------
বেশকিছু টাইপো চোখে পড়লো, তাড়াহুড়ো করে পোস্টানো লিচ্চয়ই????
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি লেখার প্রুফ রিডিং বেশি করি না, আমার কোন বাংলা অভিধানও নেই যে বানান চেক করব। বাংলা লিখছি অনেক বছর পরে।
টাইপো হতে পারে, আমার নিজের ভুলও হতে পারে, একটু ধরিয়ে দিবেন কি ভুল গুলো?
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া,
যতদূর মনে পড়ছে আপনি HSC-88 Batch, আমার জন্ম ছিয়াশিতে!
তুমি সম্বোধন করলে খুশি হবো!
বাপরে.. অতো দুঃসাহস নেই,
বাংলা কোন স্পেলচেকার হলে বোধহয় সহজ হয়, লিংক খুঁজছি...
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তোমাকে আমার বয়সটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য
বিলক্ষন, আমি ১৯৮৮ উচ্চ মাধ্যমিক, লেখাতে লিখিনি কিন্তু বয়স লুকাবো কেমনে
"তুমি" সম্বোধনের অনুমতির জন্য ধন্যবাদ। ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারো কোনো হেসিটেশন (বাংলা কি হবে এটার?) ছাড়াই। বাংলা লেখার শুরু করেছি সবে দুই মাস, ভুল থাকাই স্বাভাবিক।
ভালো থেক।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ ..."ধুগো"। সাধারন বাংলাই ভুলে বসছি...অফিস যাওয়ার পথে প্রায়ই গানটা শুনি তাও কাজের সময় মনে পড়ল না
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনলাইন বাংলা অভিধান দিয়ে গুগলে সার্চ দিলে কাজ চালানোর মত একটা অভিধান পাবেন।
"এমন দিনে তারে বলা যায়" আমার খুব প্রিয় গান। আপনার প্রতিটা মন্তব্যের শেষের রবীন্দ্রোক্তি পড়ে পড়ে এখন মাথায় গানটা গুনগুন করে ঘুরছেই শুধু। তাই ধন্যবাদ আমার প্রিয় গানটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে।
অভিধানের জন্য এখানে দেখতে পারেন।
পারেনও বটে !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসলেই এখানে বাড়িয়ে না বললে ডাক্তার, নার্স কেউ ফিরেও তাকায়না।
মাসখানেক আগে ২ মাসেরও বেশি সময় ঠান্ডায় ভুগেও সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম । বললাম টাইলেনল আর অ্যাডভিল নিয়েই বেঁচে আছি। ঘন্টাখানেক বসিয়ে রেখে 'টাইলেনল আর অনেক পানি খাবা' বলে ছেড়ে দিল।
পরের দিন ঐ ক্লিনিকেরই আরেক ডাক্তারের কাছে সোয়াইন ফ্লু, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, হার্ট ডিজিস আর ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ মুখস্থ করে গেলাম। সে দয়া করে বিভিন্ন টেস্ট আর অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেছি। দেখা গেল আসলেই ব্রংকাইটিস আর অ্যাজমা।
আপনার লেখা খুব ভাল্লাগলো। জীবনে যতরকম অসুখে ভুগেছি সব মনে পরছে
ধন্যবাদ আপনাকে। ছোটখাটো অসুখ এদেশের ডাক্তাররা বেশি পছন্দ করেন না, বড় কিছু হলে উনার দারুন দ্রুততায় সারিয়ে ফেলেন।
ভালো থাকবেন।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ডাক্তারদের সাথে আমার কখনোই ভালো সম্পর্ক ছিলো না। ছোটবেলায় হাতপামাথা ভেঙ্গে অনেকবারই এই দুষ্টলোকদের পাল্লায় পড়তে হয়েছে। খুব যন্ত্রণাময় শৈশব। আর এখন এই বুড়োবয়সেও শান্তি নেই।
এইরকম সমস্যা আমারো! কয়েকবছর পরপরই অ্যাটপিক অ্যালার্জি নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়- যেটার শেষ হয় শ্বাসকষ্টের মধ্য দিয়ে। ওদের নিজেদের একজন হলেও ডাক্তাররা পাত্তা দেয় না। গোটাকয়েক ইনহেলার গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
শুরু করবো নাকি সিগারেট??
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দেখতে পারেন খেয়ে, তবে না খেলেই ভালো
এই সমস্যাটা আমারো আছে মনে হয়, শ্বাসকষ্ট হয় মাঝে মাঝে।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- আম্রিকায় কেমন চিকিৎসা হয় জানি না, কিন্তু জার্মানদের চিকিৎসা নিয়ে সন্দেহ করার মতো এখনো কিছু খুঁজে পাইনি। আম্রিকাতে নিজের অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়দের নিজেদের বর্ণনা শুনে মাঝে মাঝে মনেহয়, এইসব দিক দিয়ে স্বর্গেই আছি মনেহয়।
ধূমপানের সুবিধা আছে বটে। প্রতিবছরই ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে আমার একবার করে ডাক্তারবাড়ি যাওয়ার নিয়ম। গতরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এর নড়চড় হয়নাই বিগত বছরগুলোতে। কিন্তু অফিসিয়ালি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয়ার পর ডিসেম্বর-জানুয়ারী গিয়ে ফেব্রুয়ারী চলে আসলো। ডাক্তারবাড়ি যাওয়ার কোনো লক্ষণ খুঁজে পাচ্ছি না! হায়রে, কী সুন্দর সুন্দর, পুতুল পুতুল বালিকা এসে রক্ত নেয়, প্রেশার মাপে, মিষ্টি কী জানি খেতে দেয় (সিরিঞ্জ দেখলে চিক্কুর মারি দেখে)!
প্রথম যখন এই দেশে আসি, ঠান্ডায় আমার টনসিল বেমক্কা আকার ধারণ করে ফেলে। দিন দুই দেখে টেখে পরে আর সহ্য করতে না পেরে হানা দেই এক সন্ধ্যায়। যথারীতি ইমার্জেন্সী। নামধামআতাপাতা লিখে কিছুক্ষণ পর এক বালিকা এসে নিয়ে গেলো একটা কক্ষে। ভাষাটাষা পারি না বলে সাথে ছিলো এক বন্ধু। আমার গলার অবস্থা এতো করুন যে কথাই বের হয় না গলা দিয়ে। তো আমাকে যখন আলোচ্য কক্ষে নিয়ে গেলো তখন তো ডাক্তারকে দেখেই আমার রোগ আধেক ভালো হয়ে গেলো। বেজায় সুন্দরী, জানতে পারলাম (পরে) সবে পাশ করা। আমার সাথে আংরেজীতেই কথা বললো। আমিও মন খুলে দুইটা সুখ-দুঃখের কথা বললাম। এবং শেষমেশ সিরিঞ্জের গুঁতায় ক্ষত হওয়া পাছা ডলতে ডলতে বেরিয়ে এলাম। সুন্দরী ডাক্তারের সাথে ভালো করে আলাপ জমাতে পারলামই না গলার কারণে, উপরন্তু পাছা ব্যথা! এখানেই শেষ নয় কাহানী ঘর ঘর কি...
সেই বন্ধু এরপর যার সাথেই দেখা হতো তারেই বলতো, "এই বেরাইম্যারে নিয়া গেলাম হাসপাতালে, ডাক্তার দেইখাই বেরাইম্যা পুরা ফিট। আমারে "উঁ...উঁ" কইরা কয় বাইরে যাইতেগা"।
তো অন্যরা যখন জিজ্ঞেস করে, "উঁ...উঁ" করলো ক্যানো? তখন বন্ধু কয়, আর কি কইবো, হালার গলা দিয়া কথা বাইরাইলেতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ডাক্তার ভাগ্য দেখছি খুব ভালো, আমি সবসময় বুড়ো ডাক্তার পাই যারা আমার প্রস্টেট চেক করার চেষ্টা করেন। ইঞ্জেকশন কেন পাছাতে দেয়, এটা আমার কখনও বোধগম্য হয়নি।
সিগারেট ছাড়ার সুবিধা আসলেই আছে, দেখা যাচ্ছে আমি ছাড়াও অনেকে এর সুফল পেয়েছেন।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ডাক্তার আর উকিল ভয় পাই!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভয়ের কারনও আছে...নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ডাক্তার উপকারি প্রানী। তবে ডাক্তারের মেয়েরা আরো বেশী উপকারী। এরা এক একজ্ন জন্মসূত্রে ডাক্তারী পাশ। আমাদের বাসায় একটা আছে তো, তাই এইসব প্রেশার দেখা, গ্যাসের সমস্যা, সিগারেট, এগুলা শুধু গল্পেই শুনলাম। খালি এরা যখন ঝাড়ী মারবে, তখন মুখ বুজে থাকতে হবে, নাইলে মহা মুসিবত।
খুব মজা পাইলাম, শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম, দিলেন মনে হয় লুঙ্গি ধরে টান, হাসতে হাসতে কাহিল হয়ে গেছি। আপনাকে ব্যাথা মাপার সময় চার্ট দেখায় নাই? সেই চার্টটা দেখলে আমার হাজার ব্যাথার মাঝেও পেট ফেটে হাসি পায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটা জিনিস এখন দেশেও শুরু করছে। আমার কাছে কেনো জানি এইটা ফাইজলামি মনে হয়।
একবার ভাবেন ব্যপারটা- অ্যাকিউট এমআই এর পেশেন্টের সামনে নার্স বা ডাক্তার এই চার্টটা নাড়াইতেছে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
- সুন্দর চিত্রকর্ম তো! ঘরের দেয়ালে টাঙাইয়া রাখার মতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না, আমারে এই চার্ট দেখায় নাই, তবে এই চার্ট আমি পরে অন্য জায়গায় দেখছি। যাক আপনারা ডাক্তারাও স্বীকার করছেন যে এইটা একটা বিরাট ফাইজলামি।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন