স্মৃতির শহর -২: ইচ্ছে হয় কান পেতে থাকি
ঝকঝকে একটা দিন, জ্বালা ধরানো নয় বরং বেশ শান্ত ও সুশীল টাইপের রোদ উঠেছে। উত্তাপহীন রৌদ্রকরোজ্জ্বল এই দিনে আকাশটাও বেশ ঘন নীল, খুঁজলে কিছু সাদা মেঘও পাওয়া যাবে। এই রকম দিন আপনি বাস্তবে বেশি না পেলেও স্মৃতির দিনগুলো হরহামেশাই এই ধরনের হয়। আমি মাঝে মাঝে এখনো দেখতে পাই এই রকম একটা দিনে আমাদের বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে আমি আর তিথী মুগ্ধ চোখে রেলগাড়ি দেখছি। আর একটু দূরে তাকালেই তেঁজগা শিল্প এলাকার বিষন্ন চিমনীগুলো দেখা যাবে, যেখান থেকে সাদা বা কালো ধোঁয়া বের হয় দিনরাত। আমরা দুজনেই একমত যে এই ধোঁয়াগুলোই আকাশে গিয়ে মেঘ হয়ে যায়, তাই মেঘগুলো সাদা আর কালো।
আমার খুবই পছন্দের বাহন এই রেলগাড়ি। যদি সম্ভব হোত তবে আমার সব চলাফেরা হোত রেলগাড়িতেই। মানুষ খুব বড়লোক হয়ে গেলে প্লেন কিনে শুনেছি, আমার যদি অনেক টাকা হয় কোনদিন তবে আমি কিন্তু প্লেন কিনব না বরং আমার একটা ট্রেন কেনার ইচ্ছা আছে। আমার বাবারও রেলগাড়ি খুব পছন্দের জিনিস ছিল এবং এই একটি কারণেই নিজের বাসা তিনি এমন জায়গায় বানিয়েছেন যেন ঘর থেকে রেলগাড়ি দেখা যায়। এখনো গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে দূরে রেলগাড়ির শব্দ শুনলে ছেলেবেলার সেই রেলগাড়ির কথা মনে পড়ে...আধোঘুম আধো জাগরণে মনে হয় দূর থেকে নয় মনে হয় অতীত থেকেই আসছে সে শব্দ। ফ্রান্সে মধূসূদনের হোমসিকনেসের ব্যাপারটা আজকাল ভালোই বুঝি।
তিথীকে চিনলেন না তো? ওরা আমাদের বাসায় ভাড়া থাকত। আমাদের বাসাটা তখনও পুরো দোতলা হয়নি, বলা যায় পৌনে দোতলা। আমাদের একতালায় থাকে তিথীরা, আমি আর তিথী প্রায় সমবয়সী। ওদের অনেকগুলো ভাইবোন লিথি, যূথি, সাথী। আমরা কেউ তখন স্কুলে যাই না। তিথীর সাথে আমি খেলি যদিও ওরা দলে ভারি দেখে আমার বেশি পাত্তা মেলে না। হাঁড়ি পাতিল খেলাতে আমি প্রায়ই চাকর-বাকরের ভূমিকা পাই। খুশি মনেই সেই রোল মেনে নেই। যেটা পাওয়া যায় সেটাতেই আমি খুশি, পরবর্তী জীবনে দেখেছি চাওয়া কম থাকলেই জীবনে যা পাওয়া যায় তাই নিয়ে খুশী হওয়া যায়।
যাহোক তিথী আমার জীবনের প্রথম বন্ধু। গার্লফ্রেন্ড দিয়েই জীবন শুরু, কয়জনার থাকে এই ভাগ্য? আমার সাথে অনেক ভাব ছিল তার। সুতরাং ওরা যখন আমাদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলল, আমি বেশ মুষড়ে পড়লাম। সত্যি সত্যি একদিন তিথীরা আমাদের বাসা ছেড়ে কাছেই আরেকটা বাসায় চলে যায়। তিথীরা চলে যাওয়ার পর পর আমি কঠিন জ্বরে পড়ি, এখন আমার ধারনা এটা হয় সেপারেশন এংজাইটি থেকে, আমার বয়স তখন পাঁচ টাচ হবে হয়ত। কাছেই থাকত ওরা, আমার বিরহ জ্বরের কথা শুনে সপরিবারে আমাকে দেখতে আসে ওরা, নিমন্ত্রণ দেয় ওদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার। আমি সুস্থ হওয়ার কয়েকদিন পর ওদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে দেখি তিথী নতুন বন্ধু নিয়ে মশগুল, আমাকে পাত্তাও দিল না। বেশ দুঃখ নিয়ে আমি বাসায় ফিরি, আমার রেকর্ড বুকে সেটাই প্রথম মেয়েদের কাছ থেকে পাওয়া বড়সড় আঘাত। সেই শেষ, আর তিথীর সাথে দেখা হয়নি কখনো যদিও ওরা কাছেই থাকত এবং আমার বাবার সাথে ওর বাবার অনেকদিন যোগাযোগ ছিল।
মেয়ের সাথে বন্ধুত্বে কি আঘাত অনিবার্য?
আমার একটা জন্মত্রুটি ছিল যেটা ঠিক করতে আমার জন্মের পর পর দুইটা অপরেশন হয়। ছয় বছর বয়েসে আবার তৃ্তীয় অপরেশন হয়, যেগুলোর ধাক্কায় আমার ছেলেবেলাটা একটু অন্যরকম হয়েছে। আমি একটু রোগাসোগা ছিলাম, হাঁটতেও পারতাম না ঠিকমত। আব্বা আমাকে প্রচুর পায়ের ব্যায়াম করাতেন, আমি বয়সকালে তার সুফল পেয়েছি অনেক। কিন্তু রোগাপটকা এবং কিছুটা প্রতিবন্ধকতার কারনে স্কুলে বা বাসায় শাসন একটু কমই ছিল। আমার মা বাবা দুজনেই চাকরি করতেন, আমি থাকতাম আমার মত। স্কুলে গেলেও কেউ কিছু বলে না, না গেলেও অসুবিধা নেই। স্কুল কামাইয়ের অভ্যাস আমার জীবনেও যায়নি, স্কুলের পর কলেজ, তারপর বুয়েট সবকিছু কামাইয়ের রেকর্ড আছে আমার। মাঝে মাঝে মন চায় অফিস ফেলে পালিয়ে যেতে।
প্রায় একই সময় সাত সমদ্দুর তের নদী পারের দেশ আমেরিকাতে একই সমস্যা নিয়ে আরেকটা মেয়ে জন্ম নেয়। মিয়্যা হ্যাম নামের সেই ছোটখাটো মেয়েটা সেই সমস্যা অতিক্রম করে বিশ্ব জয় করে ফেলেছে ফুটবল খেলে, আর সময় মত বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা আর ব্যায়ামের জোরে তৃতীয় বিশ্বের আমিও সম্পূর্ন একটা স্বাভাবিক জীবন পেয়েছি। ঘটনাক্রমে মিয়্যা হ্যাম আর আমি আজকে একই শহরে থাকি। সেই ছোটবেলায় আরও দুই একজনের কথা শুনেছি যারা ছোট বাচ্চার অপরেশন করতে হবে বলে বাচ্চার চিকিৎসা করাননি, মোটামুটি প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ জীবন উপহার দিলেন সন্তানকে।
আমার হাঁটাচলায় অসুবিধে থাকলেও আমি চঞ্চল ছিলাম। একদিন আমি বাসা থেকে হারিয়ে যাই। খুব বেশি দূরে যাই নি। বাসার দোতলার কাজ তখন চলছে, আমি মিস্ত্রিদের ভারা বেয়ে ছাদে উঠে গেলাম এক ছুটির দিন সকালে। নামার আর সাহস নেই, সেদিন বোধহয় কাজ বন্ধই ছিল। অনেকক্ষন পরে আমাকে ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায়। আমি কেন চেঁচাইনি সেটা এখনো একটা বিস্ময়।
সামান্য প্রতিবন্ধকতা নিয়েও স্কুলে ভর্তি হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় বাচ্চাদের। সেই তুলনায় আমার সমস্যা কমই হয়েছে, স্কুলে স্যাররা একটু প্রশ্রয় দিতেন; তুলনা মূলকভাবে অন্য বাচ্চারাও "হার্ড টাইম" দিত না আমার হাঁটাচলার সমস্যা নিয়ে। আমার বাবার অফিসের পিওন রশিদভাই আমাকে স্কুলে আনা নেওয়া করতেন, উনিও নজর রাখতেন আমার দিকে। রশিদভাইয়ের সাথে রিকশা করে স্কুলে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় ভ্রমণকাহিনী, তেজঁগা থেকে ল্যাবরেটরি স্কুল অনেকটা পথ, রিকশায় প্রায় ২৫/৩০ মিনিট লাগতো। একেক দিন একেক পথ দিয়ে রিকশা যেত; কোন দিন ফার্মগেট হয়ে গ্রীন রোড দিয়ে অথবা কোন দিন হাতিরপুল হয়ে এলিফেন্ট রোড দিয়ে অথবা কোন কোন দিন বোকা রিকশাওয়ালা শাহবাগ হয়ে ঘুরে যেত। তীরের গতিতে রিকশা ছুটছে আর রশিদভাই আমাকে শক্ত করে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন...বিস্ময় নিয়ে আমি দেখছি শৈশবের ঢাকা। প্রাণশক্তিতে পূর্ণ মায়াময় এক সুপ্রাচীন যুবক শহর, অনেক বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ রাস্তার আইল্যান্ডে, মানুষের কোলাহল চারিদিকে, তার মাঝে মাঝে রিকশার টুং টাং ঘন্টি, ঝলমল করছে চারিদিক... কি ইন্দ্রজালে ঢাকা শহর রয়ে গেল আজো অমলিন আমার স্মৃতিতে, শৈশবের ফেলে আসা শব্দে আর গন্ধে।
সেই থেকে রেলগাড়ির মত রিকশাও আমার দারুন প্রিয় একটা বাহন আমার। ঢাকায় কোনদিন ফেরা হলে আমি একটা প্রাইভেট রিকশা কিনব। হাতিরপুলের রাস্তায় একটা খুব সরু কালভার্ট ছিল, যার তলায় একটা খাল (ড্রেনের বিকল্প বোধহয়), রিকশাওয়ালা রিকশা থেকে নেমে খুব আস্তে আস্তে জায়গা পার করতো...আমি আতঙ্কে কাঠ হয়ে রশিদভাইকে ধরে আছি, এখনো স্পষ্ট মনে আছে। ভয়ে কাতর সেই শৈশবের আমাকে জড়িয়ে রশিদভাই আস্তে আস্তে বলছেন..."ভয়ের কিছু নেই ভাইয়া"...আজ এতোগুলো বছর পর একা একা পথ চলতে মনে হয় এখনো একটা রশিদভাই থাকলে বেশ হোত, ভয় পেলে আমার হাতটা ধরে বলত..."ভয়ের কিছু নেই ভাইয়া"...
অকস্মাৎ দুপুরে চিলের ডাকে আমার শৈশব ফিরে আসে
শ্লেট, চকখড়ি আর বাদামি রঙের
ব্যাগ হাতে। গলিতে আবছা কন্ঠস্বর। আরো কিছু
প্রিয় স্মৃতি আলোড়নকারী শব্দ শোনার আশায়
ইচ্ছে হয় কান পেতে থাকি।
(ইচ্ছে হয় একটু দাঁড়াই; শামসুর রাহমান)
স্মৃতির শহর -১ এখানে, যদিও এরা ধারাবাহিক নয়, লেখাগুলো স্মৃতির মতই ছন্নছাড়া
মন্তব্য
তিথী আপা কি ব্লগায়? নাকি ভাবি ব্লগে আছেন?? আপনাকে তো নিতান্তই আলাভোলা বলেই ভেবেছিলাম...তলে তলে দেখি আপনি অনেক ইতিহাস করে ফেলেছিলেন!!
separation anxiety...খুক খুক...৫ বছরেই এতো??!!
কৌতুক বাদ দিয়ে বলি, আপনার লেখার ধরণ টা খুবই ভাল। একেবারে চোখে দেখে ফেলেছি আপনি যা-যা বলেছেন। (তিথী আপা কেও...)
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
ধন্যবাদ শাফক্বাত...তিথী আপা ব্লগে থাকলে ভালোই অভিযোগ জানানো যাবে সরাসরি। ভাবী অবশ্য ব্লগের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখেন
আমার বেশি হাহাকার রশিদ ভাইয়ের জন্য...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাবি ব্লগের দিকে নজর রাখেন বলে এখন রশিদ ভাইয়ের সাফাই গাওয়া হচ্ছে??
হাহাকার যে কোথায় সেটা তো পড়েই বুঝা যাচ্ছে, ঠিক আছে ব্যাপার না...আমরা কাউকে বলবোনা
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
অসাধারণ!
তাসনীম ভাই,
লোপামুদ্রা মিত্রের "মনে পড়ে সেই" গানটা শুনেছেন?
"খেলার বয়স পেরুলেও একা ঘরে/
বার বার দেখি বন্ধুরই মুখ শুধু..."
দূর্দান্ত হচ্ছে সিরিজটা, সত্যি!
অফটপিক: এইহপ্তায় দু দুটো ব্লগে "তিথীদের" আর্বিভাবে বিমলানন্দিত!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুই ক্ষেত্রেই তিথীদের ভূমিকা এক
ধন্যবাদ, আমি নিজেও বিপুল আনন্দ পাচ্ছি এটা লিখে। লিখতে গেলেই মনে হয় আমি এখনো শৈশবেই আছি এবং জীবনের যাবতীয় ঝামেলা থেকে দূরে...শৈশবে থাকলে এই সুবিধা, ঝামেলা হলে আব্বাকে ডাকা যায়।
লোপামুদ্রা মিত্রের গানটার লিঙ্কত থাকলে শেয়ার করতে পার।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেটাই তো দেখছি...
লিংকটা খুঁজতে হবে, ওয়েটান!
টেকনিক্যাল খুঁটিনাটিতে আমাকে মহিষমূর্খ বলা চলে...
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সিরিজটা কখনো বই হিসাবে আসলে আমাকে একটা অটোগ্রাফ দিয়েন...
অটোগ্রাফ??? সর্বনাশ বিপদে ফেললেন...বই হিসাবে আসলে প্রকাশকের লালবাতি জ্বলবে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দ লেগেছে। আমি নিজেও দারুন আনন্দ পাচ্ছি শৈশবে ফিরতে পেরে।
ধন্যবাদ অচেনা একজন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল লাগে স্মৃতির শহর।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ পুতুল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছন্নছাড়া, অন্নকাড়া আমি, আমরা এখন অন্যপাড়ায়।
আপনার তিথী'র জন্য একটা গান বেঁধেছে পিংক ফ্লয়েড। শুনেছেন নাকি!
এখন, সেই শৈশব থেকে অনেকগুলো বছর পর, যখন তেঁজগা থেকে রিক্সায় চেপে শান্ত ঢাকা নগরীর রাস্তায় চলবেন তখন গানটা শুনতে হবে ব্যাকগ্রাউন্ডে। গানটার নাম পিংক ফ্লয়েড রেখেছে "wish you were here"।
শুনেছেন বোধ'য়। আজকে আবার শুনে দেখেন। চেয়ারে হেলান দিয়ে। চোখ বুজে। তিথী না আসলে ফেলে আসা ঢাকা ঠিকই ফিরে আসবে, সাথে সেইসব দিনের ঘ্রাণ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুনেছি অনেকবার...আজকে আবার শুনব আপনার পরামর্শ অনুযায়ী। ঢাকা শহর আসলেই যথেষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ ধূগো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ হচ্ছে, পরের পর্ব চাই শিগগির।
ধন্যবাদ পাঠকদা...চেষ্টা করব অবশ্যই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বস্, বানানটা তিথি ......
লেখা ভাল লাগল।
ধন্যবাদ শুভাশীষ। বানানটা আমি তিথিই লিখেছিলাম, আরেকটা ব্লগ দেখে শুধরিয়েছি
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ! দ্রুত পরের পর্ব চাই।
আমার একটা অভ্যাস আছে, কোন বই বা গানের সিডি কিনলে আমি সাধারনত তারিখ লিখে রাখি। কয়েকদিন আগে মাইকেল ক্রাইটনের কংগো রিভাইস করতে গিয়ে দেখি তারিখ লেখা ১৯.০৮.১৯৯৬। ঝট করে মনে পড়ে গেলো বংশাল থেকে রিক্সা করে মোহাম্মদপুর ফেরার সময় কলাবাগানে ওয়ার্ল্ড বুক ডিস্ট্রিবিউশন থেকে কিনেছিলাম- মাত্র চোদ্দ বছর আগে। আর এখন ওইপথে রিক্সায় যাওয়ার কথা কল্পনাও করা যায় না। দুই বছর কোন না কোন কারনে ধানমন্ডি সাতাশে যাওয়া হয় নাই, সেইদিন গিয়ে দেখি চেনাই কষ্ট! ঢাকা শহরটা বদলাচ্ছে সবসময়ই, তবে একজন ঢাকাইয়া হিসেবে আমার অভিমত- দুই হাজারের পর থেকে বদলানোটা একেবারে ওয়ার্প স্পীডে হচ্ছে।
অফটপিক কথাবার্তা - ক্লাব ফুট আমার রিসার্চ টপিক। বাংলাদেশে এখন বাবামা রা কিছুটা সচেতন, কিন্তু তারপরেও দুর্ভাগ্যবশত অনেকে অনেক দেরি করে ফেলেন। যেহেতু আপনি এই ঝামেলার মধ্যে দিয়ে গেছেন আশা করি আপনি আপনার আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের দ্রুত চিকিৎসা শুরুর ব্যপারটা সবসময় বুঝিয়ে বলেন। যখন বাচ্চা হাঁটা শুরু করে দেয় তখন পা ঠিক করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আজকাল কিন্তু বাচ্চার জন্মের দিন দুইয়েকের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করে ফেলা হয়।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন।
আমার নিজের চিকিৎসাও জন্মের পর পর শুরু হয়। এর পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চিকিৎসা বন্ধ ছিল।স্বাধীনতার কয়েক বছর পরে আবারো শুরু হয় চিকিৎসা। তখন অপরেশনের ধকল ছিল মারাত্মক, ছয় বছর বয়েসে আমি বহুদিন হাসপাতালে ছিলাম। এই সময় আমাদের চেনা আরো দুইটা পরিবারের কথা শুনেছি যারা ধকলের ভয়েই অপরেশন করাননি।
কনজেনিটাল এনোমালি নিয়ে আমি একটা প্রজেক্টে কাজ করি যেটা অপরেট করেন ঢাকা মেডিক্যালের পেডিয়াট্রিক সার্জারির কয়েকজন ডাক্তার। আমার ব্যক্তিগত কিছু প্যাশন আছে এটা নিয়ে, আমার নিজের শৈশবের সমস্যা এবং সেটা থেকে উওরনের গল্প আমি খোলাখুলিই করি মানুষের সাথে, আমি যদি এটা অতিক্রম করতে পারি তবে সবাই পারবে। মার্কিন ডাক্তারদের অভিমত সত্তরের দশকে ঢাকার করা আমার পায়ের সার্জারি ছিল বিশ্বের যেকোন দেশের সমতুল্য।
ধন্যবাদ আপনাকে এই লাইনে কাজ করার জন্য। স্বাধীনতার পর বেশ কষ্টকর ছিল চিকিৎসক পাওয়া। আজকাল চিকিৎসাও ধকলপূর্ণ নয়, মানুষের সচেতনাও বেড়েছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তোর পা নিয়ে এত ব্যাখ্যানায় আমার এখন মনে করাবার চেষ্টা করছি, কি ছিল না ছিল। মনে হ্য়না আমাদের কারো খুব একটা মাথা ব্যআথা ছিল এ নিয়ে।
তোর রিকশার কথায় মনে হল, আজিজের রিকশা খেয়াল আছে? গম্ভীর মুখে বসে আসত, পেছনে লেখা 'প্রাইভেট'।
আছা এই লেখায় কী করুন কিছু আছে? কান্না চলে আসলো মনে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন