কলিক পেইনঃ
"শোন প্রায় নয়টা বাজে, এখন ফোন রাখতে হবে।"
"কেন কেন, নয়টার সময় কি হবে?"
"বাচ্চা কাঁদতে শুরু করবে"।
"বলিস কি...আজব তো...ঠিক নয়টার সময় কাঁদবে কেন?"
"এইটাকে বলে কলিক পেইন...যন্ত্রণার আরেক রূপ, ঘড়ি ধরে বেদনা"।
"আশ্চর্য, জীবনে প্রথম শুনলাম...কি ওষুধ দিব বাচ্চার এইটা হলে?"
"ওষুধ হচ্ছে...জোরে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা টিভি ছেড়ে দেওয়া"।
"আরে...এতো আরো আজীব..."।
"রোগ আজব আর তার চিকিৎসা অদ্ভুত হবে না? শোন ফোনটা রাখছি, এবার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ছাড়তে হবে, কলিক পেইন গুগল করে দেখ"।
ফোন রেখে আমি দ্রুত ভ্যাকুয়াম নিয়ে আসি, নয়টা বাজতে আর একটু বাকী।
আমার জীবনের বেশিরভাগ অদ্ভুত জিনিস ঘটেছে বাবা হওয়ার পরে। বাচ্চাদের কলিক পেইন নিশ্চিতভাবে তার একটা। ঠিক রাত নয়টায় তারস্বরে বাচ্চার কান্না শুরু, কিছুতেই থামছে না দেখে ঘাবড়ে গিয়ে আমি নার্সকে ফোন দেই। সব শুনেটুনে উনি বললেন এটা কলিক পেইন হতে পারে, কলিক হলে তেমন কিছু করার নেই, ওষুধে বেশি কাজ হবে না তুমি বরং জোরে শব্দ হয় তেমন কিছু ছেড়ে দাও। ভয়ের কিছু নেই, নির্দিষ্ট সময় পরে এটা আপনা থেকে ঠিক হয়ে যাবে।
প্রথমে ছাড়লাম শিমুল মুস্তাফার আবৃত্তি, কিন্তু "আকাশলীনা" সেই ব্যথাকে মোটেই কাবু করতে পারলো না, বনলতা সেনও ফেল মেরে গেলেন, গাঁক গাঁক করে ইংরেজী বলা ল্যারি কিংও কোন সাহায্য করলেন না। শেষ পর্যন্ত ভ্যাকুয়ামটাকে হাই স্পীডে ছাড়তে কিছুটা শান্তি ফিরে এল। দশটা বাজতেই ম্যাজিক, ভোজবাজীর মত ব্যথা উধাও।
নতুন একটা জিনিস শিখলাম...সেই দোলনা থেকেই শিখছি...কবে শেষ হবে বুঝতেই পারছেন।
ভর্তি পরীক্ষাঃ
এগিয়ে আসছে ভর্তি পরীক্ষার দিন। বাংলাদেশের টিভিতে দেখি যে উদ্বিগ্ন বাবা মা ভর্তিচ্ছু সন্তানের স্কুলের সামনে ভোররাত থেকে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদেরও বোধহয় সেদিন চলে আসল। আমরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য মেয়েকে প্রস্তুত করাই।
"আম্মু টিচার তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে কি বলবে?" ওর মায়ের জিজ্ঞাসা।
"চুপ করে থাকব"।
"ভেরি গুড মা...এবার বলো টিচার তোমার আব্বুর নাম জিজ্ঞেস করলে কি বলবে"...আমি এবার একটা ট্রিকি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেই।
"চুপ করে থাকব আব্বু"।
বাহ, বাহ, বাহ...দারুন হচ্ছে মা। আমরা দুজনেই প্রীত মেয়ের প্রিপারেশন দেখে।
একটু চিন্তায় পড়লেন...উলটো দেশের গল্প নাকি আবার?
ব্যাপারটা খুলে বলি। এদেশে স্কুলের প্রথম শ্রেনীটা হচ্ছে প্রি-কিন্ডারগার্টেন, অনেক জায়গায় এই ক্লাসটা দেওয়া হয় সেসব বাচ্চাদের যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি না। ভর্তি পরীক্ষাতে সেটাই যাচাই হয়, বাচ্চা ইংরেজি জানে কিনা। ইংরেজি জানলে এই ক্লাসে বাচ্চাদের নেওয়া হয় না। অর্থাৎ পরীক্ষায় পাশ করলে আসলে সেটা ফেল, আর ফেল করলে সেটা আসলে পাশ। আমরা বংগসন্তানরা প্রাণপণ চাই যে আমাদের সন্তানরা ফেল করুক এতে এবং সেই মোতাবেক প্রস্তুত করি শিশুদের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের গুনেই ফেল করে কেননা বাচ্চারা বাসায় শুধু বাংলাই বলে।
বাচ্চার মাও অনেক উৎকন্ঠা নিয়ে বসে ছিলেন স্কুলের সামনে...না মেয়ে আমাদের হতাশ করেনি...বরং মুখ উজ্জ্বল করেছে...ডাহা ফেল...স্কুলে ভর্তি হওয়া গেল তাহলে। আমাদের দেশে মনে হয় ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতে গেলেও পন্ডিত হতে হয়। আমার মেয়ের কাজিন ঢাকায় ক্লাস ওয়ানে ভর্তির কোচিং এর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বলেছিল, আম্মু আমাকে বিষ এনে দাও। হয়ত সিনেমা দেখেই শেখা ডায়ালগ, কিন্তু কষ্টটা খুবই সত্য। পড়াশুনার চাপ, খেলার জায়গার অভাব, ভিডিও গেমের উৎপাতে চুরি হয়ে গেছে শৈশব ।
শিশুশিক্ষাঃ
সারা জীবন দেখে এসেছি ইংরেজী শেখানো হয় “এ” ফর এপেল, “বি” ফর ব্যাট কায়দায়। কিন্তু এই ইংরেজী বলা দেশে ইংরেজী শেখানো হয় অন্য তরিকায়। কায়দাটা হচ্ছে ফোনেটিক, আমাদের এই অভ্রের কী-বোর্ডের মত। “এ”, “বি”, “সি”, “ডি” এদের উচ্চারণগুলো শিখিয়ে দেওয়া হবে বাচ্চাকে আর এরপর বাচ্চারাই আপনাকে বলে দিবে “ডগ” আর “ক্যাট” কি দিয়ে শুরু হয়।
তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে, “এ” ফর “এহ”, “বি” ফর “বাহ”। স্কুলে টীচার শেখাবেন আর বাসায় আমরা। সমস্যা হচ্ছে আমরা বলি “কাউ” এরা বলে “খ্যাও” এর মত কিছু একটা । আপনি আচারি ধর্ম অপরকে শিখাও, যে বিদ্যা নিজেরাই জানি না সেটা অন্যকে কি করে শেখাই ? উপায়ন্তর না দেখে সবগুলো বর্ণের শুদ্ধ ফোনেটিকগুলো গুগল থেকে পেড়ে নেই । ভাগ্য ভালো গুগল সাহেব ছিলেন, বিনামূল্যে, বিনা প্রহারে আর কারো কাছ থেকে এত কিছু কোনদিন শিখি নি।
ফোনেটিক পদ্ধতির শিক্ষা বেশ কঠিন মনে হল আমার।
"মা, রেইন কি দিয়ে শুরু?" হিন্ট দেই একটা "রহহ"...
"এক্স" চিন্তাভাবনা করে মেয়ের জবাব।
"উঁহু, প্রায় ঠিক যদিও, আচ্ছা বয় কি দিয়ে শুরু...বাহহ"
"কিউ" কন্যার উল্লসিত জবাব।
আমি হাল ছেড়ে স্ত্রীকে শিশুশিক্ষার এই গুরুদায়িত্বের পুরোটা ছেড়ে দেই। আশ্বস্ত করি এই বলে যে সেকেন্ড অর্ডার ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন শেখার সময় আসলে আমি সর্বাত্মক সহায়তা করব। আপাতত উনিই এক সদস্যের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির প্রধান। তবে ঘটনা ঘটল আজব, অতি দ্রুত তিনি কন্যাকে সুশিক্ষিত করে তুলেন, মেয়ে এখন শব্দ শুনলেই সেটা কি দিয়ে শুরু তা বলতে পারে। ফোনেটিক ব্যবহার করে করে ছোটখাট বানানও করতে পারে। ব্যাট, ক্যাট, র্যাট, ম্যাট বানান সম্ভব এখন, আর এম্বিডেক্সটারাসের মত খতরনাক শব্দের শুরুটাও আর অজানা নয়। এই রেটে চললে মেয়ে ক্লাস টুতে উঠলেই আমার ইংরেজী বিদ্যাকে ডিফিট দিয়ে দিবে। ইস, ওদের স্কুলে যদি আমাকে নিত ।
আর এই বিদ্যা যিনি ঘরে বসে শিখাচ্ছেন ? তিনিও নমস্য, সাধে কি আর বউকে ইংরেজীতে বেটার হাফ বলে?
[শিশুপালন-২ এইখানে, যদিও এটা মাসুদ রানা সিরিজের মত, অন্য পার্ট না পড়লেও কোন ক্ষতি নেই]
###
মন্তব্য
প্রথম মন্তব্য করার উদ্দেশ্যে এতক্ষণ লগড ইন হইয়া ছিলাম...
হাসিতে হাসিতে পপাত ধরণীতল!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য আর ফার্স্ট হওয়ার জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশুপালন আর দিয়েন না তো, খালি বাপ হইতে মঞ্চায়।
শুভাশীষ, অনেক ধন্যবাদ। তা ভাই বাবা হতে মন চাইলে তাই হয়ে যাও, আমরাও কেক টেক খাই। জীবন কিন্তু ভালোই হবে খারাপ নয়। হেলাল হাফিজ তো বলেই দিয়েছেন, উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়...(যুদ্ধে এখনই যাওয়া উত্তম)।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুরুব্বীদের দোয়া থাকলে আপনারও অবশ্যই হবে
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- তাইলে মুরুব্বীদেরকে কইষ্যা মাইনাস! এতোদিনেও আমার কেনো হলো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি একদম আমার মনের কথা বলেছেন। এই তাসনীম ভাই, মামুন ভাই, নজরুল ভাই, আর সম্প্রতি শাফক্বাত আপু আমাদের 'কাটা ঘা-য়ে নুনের ছিটা' দিচ্ছে, সেটা কি বুঝিনা?
ভেরি ব্যাড। তেব্ব পেত্তিবাদ ঝানাই।
এখানে হচ্ছেটা কী? পিচ্চি সমাবেশ নাকি?
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
- নাহ, "সুযোগ দাও প্যারেন্ট হবো সংঘে"র সুধী সমাবেশ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল বলেছেন। নিচে তাকিয়ে দেখেন না, সাইফ ভাই আর শাফক্বাত আপু মিলে কেমন জ্ঞান দিচ্ছে। হেহ, যেন বাচ্চার বাবা-মা হয়ে জ্ঞানের পেটেন্ট নিয়ে নিয়েছে একেকজন
আমরাও দেখিয়ে দেব। সময় আসুক খালি একবার। "সুযোগ দাও প্যারেন্ট হবো" জিন্দাবাদ!!
হে হে, ''সুযোগ দাও প্যারেন্ট হবো সংঘ'', ভাল ভাল। তো ফাওন্ডার ও সিইও জনাব ধুগো, আমি ডিরেক্টার (প্ল্যানিং) পদে দাঁড়াইলাম। এখন সদস্য যোগাড় করা শুরু করেন গুরুজনের নাম নিয়া!
- শরতশিশির -
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তুমি কি সদস্য হতে চাও নাকি?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পা_গোল না পেট খারাপ????
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কোনো সমস্যা?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
১১টি ইন্ডি- পিন্ডি কাজিনকে পেলেপুষে বড় করে শখ মিটে গেছে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধুসর গোধূলি বাহে,
"সুযোগ দাও প্যারেন্ট হবো সংঘে" র মেম্বারশীপ পাওনের নীতিমালা কি?
ফেসবুক এ গ্রুপ হইতাছে ইনভাইটেশন পেয়ে যাবেন, নীতিমালা সহ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বুয়েট থেকে পাস করার সময় হয়ে যাচ্ছে তাও এ বস্তু শিখতে পারি নাই
আপনার লেখা সবসময় অনেক মজা নিয়ে পড়ি। এ পর্বটাও ভালো লাগলো
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার ধারনা ছিল সেকেন্ড অর্ডার ডি-ইকুয়েশন ফার্স্ট অর্ডারের চেয়ে সোজা, ই টু দি পাওয়ার এম এক্স বসালেই সমাধান।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেইই তো, একেবারেই সোজা। একটা ই-এর উপরে এম এক্স বসালেই তো হয়ে যায়!!
আপনি ভাবিকে জটিল কাজটা দিয়ে নিজে সোজা কাজ ঝুলিতে ভরলে তো হবেনা ব্রাদার!! ভাবিও জেনে যাবে কিভাবে ই টু দি পাওয়ার এম এক্স বসাতে হয়
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
হাহাপগে। কোনটা রেখে কোনটা কোট করব বুঝতে পারছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য বুনোহাঁস।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাহা! খুব মজা প্লাম ।
আমারে স্কুলে ভর্তি করার সময় ভালু গিয়ানজাম হইছিলো । ৫ বছর বয়সেও ঔ ঠিকমত লিখতে পারি না , ৫ বছরে কেজিতে
আমার বড় বোন ৪ বছরেই ওয়ানে পড়ছে ।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ৫ বছর বয়েসে লেখা শিখে ফেললে স্কুলের কাজটা আর কোথায়?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরো লেখাটাই খুব মজার, কিন্তু এই অংশটা পড়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসলাম
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য স্নিগ্ধা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব মজা লাগলো লেখা!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিয়া শাদি হয় নাই, কিন্তুক বাচ্চা নিয়া অনেক সুখ কল্পনা ছিল। আপনার এই সিরিজ পইড়া সেসকল সুখ কল্পনা শূণ্যে মিলিয়ে যাচ্ছে ।
(একলা একলা থাকি তাই ঘর কাঁপায়া হাসলেও কেউ চমকে উঠে না, বাঁচোয়া .. )
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শিশুপালন কাজটা মজার কিন্তু, একদম ভয়ের কিছু নেই
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাহাহাহাহ... আমার পরিচিত পিচ্চিদের স্কুলে ভর্তি হবার আর স্কুলের কাহিনী বলতে মঞ্চাইতেসিলো... কিন্তু কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি...মন্তব্য না হয়ে পোস্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে লিখলাম না...
হাসতে হাসতে শেষ তাসনীম ভাই... কোট করার মতো লাইনেরও অভাব নাই দেখে ঐটাও বাদ দিলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
দেশে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির কাহিনীও জানতে চাই, সময় করে লেখা দিয়েন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মজা লাগলো খুব।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশু পালন নিজের অস্থি মজ্জায় টের পাচ্ছি। কিন্তু ভালও লাগে।
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার এই দিকটা বড় মর্মান্তিক!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমারও। আপনার সন্তানের জন্য শুভকামনা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার শিশুপালন গুলো পরে কোন একদিন খুব কাজে দিবে, আপনি বই না বের করলে পিডিএফ আকারে প্রিন্ট করে তখন বাসায় রাখা লাগবে।
কারো কাজে লাগলে আমার লেখা সার্থক হবে। আবারও অনেক ধন্যবাদ অচেনা একজন। এরপরে আপনার নিজের নামটা উল্লেখ করেন। আর ই-মেল করলে আমিই আপনাকে পিডিএফ পাঠায়ে দিব। আমার ই-মেল
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাবছিলাম সবগুলো পোষ্ট থেকে কপি করে ও্যার্ডে পেষ্ট করবো। পিডিএফ আছে জেনে খুশি লাগল। একটা পাব কি প্লিইইজ?
আমিও এক নাদান ভুক্তভোগী... এই সিরিজটা খুবই মজার । ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
বুঝতে পারি রে ভাই, আপনার কষ্টটা, ডবল মজার সাথে ডবল বাট যে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ লেখা। ★★★★★
আপনার লেখা পড়তে বেশ আরাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দ্রোহী।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ! তাসনীম ভাই যা শুরু করলেন, এরপরে লেখা দিলে সেটা কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর অপচেষ্টা বলে মনে হবে। পুরাই হাহাপগে
সবচেয়ে মজা পাইছি আপনার ফুটনোটে, মাসুদ রানার মত!
একঘণ্টা মেয়েটারে কষ্ট না দিয়ে ঢাকা থেকে এক বোতল সিমেথিকোন আনায় খাওয়ায় দিলে পারতেন, তাহলে কলিক হইত না। কলিক এড়ানোর অন্য আরেকটা উপায় হইল খাওয়ানোর পরে ভালো করে ঢেকুর তুলানো, তাতে পেটের ভেতরে গ্যাসের পরিমাণ কমে। জানি এখনি সবাই আমার গলা চিপা ধরবেন, ব্যাটা ফাজিল, মেয়েকে বেয়াদবি শিখাবো? তাহলে বাচ্চাদের সেকশনে গিয়ে একটু দেখেন ঢেকুর তুলানোর জন্যে কত পদের বালিশ, আর তোলার পরে মুখ মোছানের জন্যে কত পদের ন্যাকড়া বেচে
অফ টপিকঃ ভাবীর সাথে ঝগড়া হয়েছে নাকি? মনে হইল উনার রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা চালাইতেছেন মাইন্ড খাইয়েন না, রসিকতা করলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি অবশ্য বাংলা পদ্ধতিতে শেখা মা-শাশুড়ীর কমন ট্রিক্স দিয়ে গ্যাসের প্রব্লেম সলভ করসি সবসময়। ছোট থেকেই বাচ্চাদের পেটের উপর উপুড় করে শোয়ানোর অভ্যাস করালে ওভাবেই তারা ঘুমাতে আরাম পায় আর পেটে যা-থাকে সেটা সময়মত বের হয়ে যায়। আমার দুই মেয়ের ব্যাপারে এটা পরীক্ষীত।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
সাবাশ শাফক্বাত, এইটা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম আর এইটা সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি, সামারাকে এভাবে না শোয়ালে ঘুমাতো না। একটা বিরাট সমস্যা আছে এই পন্থায়, সিডস ( সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রম) এর কারনে এখন শিশু বিশেষজ্ঞরা পিঠ দিয়ে বাচ্চাদের শোয়াতে বলেন, কারন ছোট বাচ্চা ঘুমের মাঝে শ্বাস আটকে মারা যেতে পারে এবং যাচ্ছে, তাই সারা রাত আতংকের মাঝে থাকতাম ১ বছর পর্যন্ত, তবে এই আতংকের চেয়ে হয়ত কলিকের কান্নাকাটিই ভালো।
তবে আমার কাছে কান্নাকাটির চেয়ে পেট চেপে শোয়ানো ভালু।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি নিজেও পেটের উপরে শুই এবং এটাই ভাবি যে আমি যদি দরকার মত মাথাটা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে আরামের পজিশনটা বেছে নিতে পারি এবং দম আটকে মারা না-যাই তবে ওদেরও সেটা হবেনা।
যতদিন পর্যন্ত বাচ্চারা নিজে ঘাড় ঘুরাতে না পারতো (ধরো ছয় সাতমাস?) ততদিন টেনশন করা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সুবিধাটা হলো তুমি একঘন্টা ঘাড়টা বাঁদিকে ঘুরিয়ে শোয়াবে ফের এক ঘন্টা পরে ডান্দিকে হেলিয়ে দেবে। ওরা যেহেতু তখন নিজে নিজে মাথা ঘুরাতে পারেনা, রিস্ক থাকেনা।
আরে বাংলাদেশের তাবত বাচ্চা এইভাবেই ঘুমাইতেসে। আমার বোনের বাচ্চারা এখন দামড়া হয়েও উল্টা হয়ে ঘুমায়। আরাম বলে কথা!!
আরেকটা কথা, প্রথম এক বছর বাচ্চাদের উপুড় করে শোয়ানোর সময় একদম বালিশ দিবানা। ফ্ল্যাট বিছানায় শোয়াবা। নো-ফোমি বেড!! তাইলে আর কোনও রিস্ক থাকেনা। এইটাও মুরুব্বিদের কাছ থেকে শিখা বাংলা স্টাইল কিন্তু খুবই কাজের।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
সিডস কিন্তু আসলেই বিপদজ্জনক, বিশেষত এই দেশে বাচ্চার দেখভাল করার লোক যেহেতু কম। আমার চেনাজানার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমারো মনে হয় পিঠ দিয়ে শোয়ানোই ভালো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ।
সিমেথিকোন দিয়েছিলাম, ব্যথাটা গ্যাসের সাথে রিলেটেড সন্দেহ ছিল না কিন্তু ওষুধে কাজ দিলও না। খাওয়ার পরে ঢেকুর তুলানো ছোট বাচ্চাদের জন্য মাস্ট কাজ কিন্তু কোন থেরাপিই আমার বাচ্চার কাজে দেয় নাই ওই ভ্যাকুয়াম ছাড়া
অটঃ মন্তব্য করে আর বিপদ বাড়ায়ে লাভ নাই
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাহাহা ফোনেটিকের কথা আর বইলেন না। প্রথমদিন সেই টুইংকেল টুইংকেল এর সুরে সুরে আমার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে এসে গাওয়া শুরু করলো "অ্যা-বা-খা-ডা-এ-ফা-গা, হা-ই-জা-কা-লা-মা-না..." আমার তো আক্কেল গুড়ুম। এর আগে তো আমি জাইনাকে শিখিয়েছি এ-বি-সি-ডি। এখানেই শেষ নয়। প্যারেন্টস টিচার মিটিং এ আমাকে বলা হলো আমি তাকে আগে ভাগে এ-বি-সি-ডি শেখানোর অপরাধে(?) আমার মেয়ে কনফিউসড। বোঝেন!! তবে ফোনেটিকের কল্যাণে আমার মেয়ের পঠনশৈলী আসলেই বেশ সাবলীল। বানানে যদিও এখনও সে কনফিউসড। বিশেষ করে ইউ(U) কে ওরা কখনো আ বলে কখনও উ বলে। আবার BLACK বানান করে বা-লা-অ্যা-সি-কা কিন্তু ক্যাট এর বেলায় খা-অ্যা-টা।
ছোট-জাইবা তো এখন থেকেই বড়বোন কে দেখে দেখে অ্যা-বা-কা-ডা বলে...
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
ফোনেটিকই নাকি উচ্চারণ আর বানান শেখার সঠিক উপায়। বাংলাদেশে এটা এখন ফলো করে জেনে ভালো লাগল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা হা
দারুন মজার পোষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজটার ক্যাটেগোরি হওয়া উচিত হড়ড়। পড়লেই বুকের রক্ত পানি হয়ে যায়। এ জন্যই একসাথে দুইটা বিয়ে করতে চাই।
একসাথে দুইটা বিয়ের অনেক উপকার আছে, দুই বউ দুই দিক সামলাতে পারবে। চারটা বিয়ে করা আরো বিজ্ঞানসম্মত হতে পারে, ওয়ার্কফোর্স একদম চারগুন।
তবে বউ যদি ফারুকীর মুভি স্টাইলে দুই জামাই রাখতে চায়?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঐসব ফালতু সিনেমা আমার বৌরা দ্যাখে না!
একসাথে তাহলে কয়টা বাচ্চা হিমু ভাই?
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, অর্থাৎ কয়েন টস করে ঠিক করা হবে, বউ নং ১ আর বউ নং ২ এর মধ্যে কে বাচ্চা নং ১ আর কে বাচ্চা নং ২ নিবে। এইসব ঢেঁকুর তোলানো, ঘুমানোর সময় ঘাড় ঘুরানো ইত্যাদি হাবিজাবি ২ বউ যৌথভাবে করবে। আমি সচলে তাদের এই সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ে একটা সচিত্র পোস্ট সিরিজ লিখবো। বাচ্চাও বেঁচেবর্তে পড়েশুনে মানুষ হবে, বৌদের ঘাড়েও পার ইউনিট ভ্যাজাল কম পড়বে, আমিও টিকে থাকতে পারবো।
তবে বাচ্চা বাচ্চা করে কাহিল না হওয়াই ভালো। এমনিতেই দেশটা গিজগিজ করছে মানুষে। বাচ্চা নির্মাণের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাচ্চা নির্মাণপ্রক্রিয়ায় নিয়মিত রবি-মঙ্গল-বৃহস্পতি আর শনি-সোম-বুধ বেসিসে অংশগ্রহণ করা।
এই রে, এতো দেখি পুরোই হেজেমোনি! সুয়োরাণী আর দুয়োরাণীর গপ্পো!
তাসনীম ভাই, শিগগির 'সূর্য্যের হাসি' আর 'সুযোগ চাই মানুষ হবো' ১.১, বুঝিয়ে দিন। বড়ো ভাই হিসেবে এটা আপনার অবশ্যিদায়িত্ব এবং কর্তব্য।
- শরতশিশির -
ছুটোবেলায় এই হিসাবে স্যারের কাছে পেরাইভেট পড়তে যাইতাম!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
শুক্কুরবারে কি ছুটি নিলেন নাকি? না অন্য কেউ আছে পাশের ফ্ল্যাটে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নিজের 'রেস্ট' লাগে না তেল-মোবিল; দুধ-কলা এট্টু আয়োজন... এই আর কি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হাহাহা অনেক অনেক মজার লেখা! খুব ভালো লাগলো!
এই সিরিজগুলো দারুন হচ্ছে, তাসনীম ভাই। সুদূর ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
===অনন্ত ===
সিরিজের সবকটাই ভালো লেগেছে।
খুবই চমতকার করে লিখেন আপনি, তাসনীম।
'বেদনা মধুর হয়ে যায়' টাইপ...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ ভ্রম, অনন্ত এবং শিমুল। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি তথ্যবহুল মজার লেখা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই মজা পেলাম। আমার সুযোগ আছে অবশ্য, তবে সময় নাই, মানে পালার আর কি
ধন্যবাদ।
জীবনে সুযোগ আর সময় কখনো একসাথে আসে না, করে নিতে হয়
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ১৯৮৯ সালে Play Pen নামে একটা school এ পড়াতাম ঢাকায়, তখনই ওখানে phonetics use করত বানান করার জন্য।
ফোনেটিকই ঠিক উপায়, ছোটবেলায় বাংলা মিডিয়ামে পড়ার কারণে বুঝনি। দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পাঠ্যসূচি সম্বন্ধেও কোন ধারনা ছিল না। এখন দেখলাম ওদের শেখানোর পথটাই ঠিক।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ মজা পেলাম।
ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাংলায় ফোনেটিক নাই?
আপনি-আপনাদের পোস্ট সমুহ দেখে শুনে পড়ে গিয়ে মনে মনে বলি...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
দু'বাচ্চা নিয়ে সে রকমই আছি। বহুত কিছু শিখলাম বিদেশে বাবা হয়ে। আমার প্রথম জন দেশে হয়েছিল। কোন কিছু টের পাইনি। তারপর নয় মাসের কন্যাকে নিয়ে বিদেশে এসে টের পেলাম কত ধানে কত চাল। কলিক, পড়াশুনা, খাবার , ভাইরাল জ্বর সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি । আপনার সিরিজ মজা পাচ্ছি। সাথেআছি।
ধন্যবাদ স্বাধীন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, আপনার লেখা এই সিরিজটা দুর্দান্ত হচ্ছে। আপনার রসবোধ চমৎকার, নতুন বাবামা বন্ধুদের পড়ালাম, তারাও খুব মজা পেলো। পরের পর্বের আশায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ পাঠকদা। শিশুপালন এই পৃথিবীর জটিলতম কাজগুলোর একটা, বেতন নেই তবু সবচেয়ে আনন্দের। শিশুপালনের মধ্যে হাস্যরসের ব্যাপার থাকে সেই সাথে কঠিন ব্যাপারও থাকে, দুটো এসপেক্টই ধরার জন্য আমার এই অপচেষ্টা। আমার নিজেরও মজা লাগে বেশ এটা লিখতে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি সম্ভবত আপনার এই সিরিজের একটাতেও মন্তব্য করিনি।
বাচ্চা-কাচ্চা খুবই পছন্দ করি, আমাদের বাসার সবাইও। আমার আব্বুর কাছে যেকোনও বাচ্চা না চিনলেও এমনি এমনি চলে আসে, এত্তো মজা পায়! খাওয়ানো, গোসল করানো, বাথরুমের অভ্যাস করানো - ভালই পারি - আমার কাজিন আর ফ্রেন্ডদের বাচচা-কাচ্চা সব আমার কাছে রেখে যেত/ যায়, যেহেতু আমি সামলাতে পারি। কাজেই নিজের না হলেও আমি জানি আপনি কীসের মধ্যে দিয়ে যান। উপরন্তু, আপনি ভাল, সেনসিটিভ বাবা। বাবা হওয়াটা খুব ইজি কিন্তু সেটা পালন করা, মা-কে হেল্প করা বড় করতে, 'মানুষ' বানানো - ইজ নট ইজি! কিন্তু আপনি ভাল বাবা - আপনার অনুভূতি থেকে সেটা বোঝা যায়।
আপাততঃ আমি আমাদের পরিবারের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্য, ওকে নিয়ে বিজি। আমার চোখের সামনে, এই নিউইয়র্কে ও হলো, একদিন সারা বিকেল-সন্ধ্যা (ওর মা-বাবা জার্সীতে ইউটু'র কন্সার্ট দেখতে গিয়েছিলো) আমি বেইবিসীট করলাম ওকে, তারপর ২৮ দিনের মাথায় আমাকে কাঁদিয়ে ও ঢাকায় মা-বাবার সাথে চলে গেলো। এখন ও একটু বড় হয়েছে মাশাল্লাহ্, হামা দেওয়া, বসতে পারা আর আওয়াজ করা, ''দা দা'' বলা - সব চলছে। আমি যে কী মিস্ করি, বলে বোঝাতে পারবো না। খালি ছবিটা দিয়ে গেলাম - আমার বাচ্চাটা, আমার বাবাটা এখন এত্ত বড় ৭ মাসের বেইবি, আলহামদুলিল্লাহ্!
ভাল থাকবেন - আপনার মেয়েগুলোকে অনেক, অনেক আদর!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
অনেক কিউট বাচ্চা।
আমি ছোট বাচ্চা কোলে নিতে ভয় পাই। মনে হয় এই বুঝি পড়ে গেলো। কিন্তু বাচ্চারা কেন জানি আমার কোলে আসতে চায়। একমাত্র ব্যতিক্রম নজু ভাইয়ের মেয়ে নিধি। এই মেয়েটা আমাকে দুই চোখে দেখতে পারেনা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওরে গুব্লু বাচ্চাটা!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ও কিন্তু আমাদের বাচ্চা - হলিক্রস বেইবি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
হা হা হা, তোমার দেওয়া সার্টিফিকেট বাঁধায়ে রাখব।
সেনসিটিভ কিনা বলতে পারব না, বেটার হাফ ভালো বলতে পারবে। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানোটা আমি এনজয় করি বেশ। দুনিয়ায় এরচেয়ে নির্মল আনন্দ আর নেই। ওদের মাকে সামান্য সাহায্যই করি, উনিই মূল ধাক্কা সামলান, আমি পার্শ্ব চরিত্রে আছি। এইদেশে এইটুকু করা উচিত।
তুমি বেশ এক্সপার্ট দেখছি, অস্টিনে থাকলে বেবি সিটিং এর কাজে লাগায়ে দিতাম।
বাচ্চাটার ছবি দেখে ভালো লেগেছে, কে এটা?
এদেশে অন্তঃসত্তা মায়ের প্রতিটি চেকআপ থেকে শুরু করে লেবার রুমে বাবাকে থাকতে হয়। সিজারিয়ান অপরেশনের সময়ও বাবার অপরেশন থিয়েটারে থাকা বাঞ্ছনীয়। জিনিসটা আতঙ্কের হলেও দরকার, পুরুষদের মেয়েদের প্রতি একটা দৃষ্টিভংগী পালটাতে পারে এতে।
আমি বড় হয়েছি পুরুষবহুল পরিবেশে এখন ঠিক তার বিপরীত অবস্থা। নিজের দুটো মেয়ে হওয়ার পরে পুরুষতন্ত্রের টিমে খেলা বন্ধ করে দিয়েছি। নিজের মেয়েদের কথা ভেবেই মনে হয় তোমাদের টিমে আছি এখন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জনাব 'পার্শ্ব চরিত্রের নায়ক' উরফে 'ম্যানি দ্য আইস এইজ ম্যামথ' :
হে, হে - আল্লাহ বুঝেশুনে আপনাকে আমাদের স্কুলের আশেপাশে রাখসিলেন - এখন আপনি ঢাকায় থাকলে আমাদের স্কুলেই মেয়েকে ভর্তি করতেন! সো, ঠিকই আসে, নিজেই বুঝে যে রণে ভঙ্গ দিসেন আর আমাদের টিমমেইট হয়ে গেসেন, হাজার শোকার।
পুচ্চিটা আমার ফুপাতো বোনের ছেলে। এটা চিটাগাং-এ তোলা - ওর মা, আপনাদের বুয়েট থেকেই পাশ করা, আর আমার ক্লাসমেটও। মায়ের অফিসিয়াল ট্যুরে ও যখন ক'দিন আগে গেলো, তখনকার ছবি।
ভাল থাকবেন, আর মেয়েদের জন্যে অনেক, অনেক আদর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
লেখাটার মত এই লেখার কমেন্টগুলো অনেক কাজের। ভবিষ্যতে খুব কাজে লাগবে এই জ্ঞান।
মুগ্ধ হয়ে পড়ছি আপনার এই সিরিজটা।
নতুন মন্তব্য করুন