আমি সচল পড়ি অনেকদিন ধরেই। প্রথম প্রথম যাঁদের লেখা পড়তে আসতাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুহম্মদ জুবায়ের। উনার লেখা পড়েই জেনেছি যে উনি ডালাসে থাকেন। আমার শহর অস্টিন থেকে ডালাস খুব দূরে নয়, ওখানে বন্ধুবান্ধব আছে বিস্তর, মাঝেসাঝে যাওয়াও পড়ে। জুবায়ের ভাইয়ের মেয়ে ডোরা অস্টিনের ইউনিভার্সিটিতে (যেটা ইউটি অস্টিন বলে সবাই) পড়তে আসবে, জুবায়ের ভাই এটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন, যেটা এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে। তারপরেও আমার উনার সাথে দেখা বা কথা হয়নি। অন্তর্জালে বাংলা লেখা খুব জটিল কাজ মনে হত, তাই কোনদিন মন্তব্য করা হয়ে উঠিনি, আর আমার ব্যক্তিগত অন্তর্মুখিতা ভেদ করে কখনও উনাকে বলা হয়নি যে আমি উনার লেখার একজন বিরাট ভক্ত। উনার চলে যাওয়ার খবরটা আমি এই ব্লগ থেকেই পাই, গভীর দুঃখের সাথে একটা আক্ষেপও ছিল যে সুযোগ থাকার পরেও দেখা হয়নি কখনও। বাংলা লেখা এখন অনেকই সহজ মনে হয়, নিজেও টুকটাক লেখা শুরু করেছি কয়েকমাস হল।
প্রতি বছরের মত এ বছরও মার্চের ১৩ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত টেক্সাসের সবগুলো স্কুল বন্ধ, যেটাকে স্প্রীংব্রেক বলে এরা। অফিস থেকে দুইদিন ছুটি নিয়ে ধারে কাছে বেড়িয়ে আসার প্ল্যান ছিল। যাওয়ার আগে আগে একটা ছোট ই-মেইল পেলাম মেহবুবা জুবায়ের ভাবীর কাছ থেকে। উনি স্প্রীংব্রেকে অস্টিনে আসবেন মেয়ের কাছে, আমার লেখা থেকে জেনেছেন যে আমিও এখানে থাকি, দেখা হতে পারে। আমি সাথে সাথে রাজী, জুবায়ের ভাই মেয়ের কথা অনেক জায়গায় লিখেছেন, বাবাকে নিয়ে ডোরার একটা ইংরেজি লেখা সচলে এসেছিল, আমার অতিপ্রিয় পোস্ট ওটা। মেহবুবা ভাবীও সচলে লেখেন মাঝে মাঝে। দেখা গেল উনি অস্টিনে আসবেন আমি ফেরার পরে তাই কোথাও কোন অসুবিধা নেই। ভাবী আমার শিশুপালন লেখা পড়েছেন, আমি খুবই প্রীত হলাম যে উনি পছন্দ করেছেন আমার লেখা, এই লেখার দুই নায়িকা আর নায়িকার মায়ের চরিত্রের অভিনেত্রীকেও তিনি আনতে বললেন সাথে করে। আমি পার্শ্ব চরিত্রে আছি এই সিরিজে, সুতরাং পুরো ইউনিটই যাব উনার মেয়ের এপার্টমেন্টে।
আমি মার্চের ১৮ তারিখে সন্ধ্যায় সদল বদলে রওনা দিলাম ডোরার বাসায়। অস্টিন খুব বড় শহর নয়, তবে টেক্সাসের ছোট শহরও বেশি ছোট নয়, আমার বাসা থেকে ডোরার বাসায় প্রায় ২২ মাইল দূরে হবে। এই দূরত্ব কিছুই না, মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌঁছানো যায়। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম ডোরা মহলে। আমার মেয়েদের প্রিয় কার্টুন চরিত্র ডোরা দ্য এক্সপ্লোরার, ওরা ডোরা আপুকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছে। ভাবী এপার্টমেন্টের সামনেই ছিলেন, দেখা হতেই বহুদিনের পরিচিতের মত ব্যবহার করলেন। ভাবীকে দেখে আমি চিনতে পারলাম, উনার এবং জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার ২০০২ সালে একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল, ডালাসের একটা হাসপাতালে, আমার একবন্ধু অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিল। ডালাসে আমার এক বন্ধুর পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠ উনারা। ভাবী মিষ্টি বানিয়ে এনেছিলেন হাসপাতালে, যার বেশির ভাগই আমার পেটেই গিয়েছিল। আমি একজন কৃতজ্ঞ পেটুক (ভোজনরসিক বলা যায় ভদ্রতা করে), কারো রান্না পছন্দ হলে দীর্ঘদিন মনে রাখি। আমার প্রথম আক্ষেপটা দূর হয়ে গেল, জুবায়ের ভাইকে আমি মীট করেছি, যদিও লেখক হিসাবে নয়, অনেকটা বড়ভাইয়ের মত, এটাও কম কি?
ভাবী অনেক সুস্বাদু রান্না করে রেখেছিলেন, আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে সেটা সদব্যবহারে লেগে গেলাম। ডোরা কাজে ছিল কিন্তু অর্ণব বাসাতেই ছিল। অর্ণব বেশ মুখচোরা ছেলে, ভেতরের ঘরে বসে রইল। আমার কন্যারা ডোরা আপুর অপেক্ষায়, আমরা গল্প করছি অনেক বিষয় নিয়ে। ডালাসের বাংগালী সমাজ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক গল্প হল। সচলও নিয়েও অনেক আলোচনা হল, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলাপ হল, সেই আলাপে যাচ্ছি না আর। ভাবীকে জিজ্ঞেস করলাম জুবায়ের ভাইয়ের সাথে কিভাবে পরিচয় হল, ভাবী জানালেন উনি এই বিষয়ে সচলে লিখবেন, ফর দ্য রেকর্ড এটা আমি জানিয়ে রাখলাম আপনাদের।
কিছুক্ষণ পরেই ডোরা কাজ থেকে ফিরে আসল। ছোটখাট গড়নের মেয়ে, আত্মবিশ্বাসের ছাপ চোখেমুখে। এদেশে বড় হয়েও বাংলা বলে একদম পরিস্কার। বাংলা লিখতে পারে একটু একটু, পড়তেই যা অসুবিধা। অস্টিন তার দারুন পছন্দের শহর (আমার নিজেরও), ডোরা ইউটি অস্টিনের জার্নালিজম বিভাগে পড়ে, ওদের ডিপার্টমেন্ট আমেরিকার অন্যতম সেরা। ডোরার সংগে একদম সাদামাটা আর আটপৌরে কথা বলতে বলতে আমি জুবায়ের ভাইয়ের সাক্ষাত আবারো পেলাম, এবার তাঁর লেখক সত্তার, এই জুবায়ের ভাই আর বাংলায় লিখবেন না হয়ত, তবে আরো বড় একটা পাঠককুল অপেক্ষা করেছে নতুন মুহম্মদ জুবায়েরের জন্য। নাহ, জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে, যথাসময়ে উনাকে পাব আমরা। আমার আর আক্ষেপ নেই, জুবায়ের ভাই কাছেই আছেন, আমার এই শহরেই। বেশ অদ্ভুত একটা ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম, হ্যাপিনেস যে আসলেই স্টেইট অফ মাইন্ড। আমাদের শুধু দরকার সেই মনটাকেই তৈরি করা।
সেই সন্ধ্যার দুটো ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। প্রথম ছবিতে বাম থেকে -- শিশুপালনের দুই শিশু, অর্ণব, ডোরা, আমার বেটার হাফ, মেহবুবা জুবায়ের ভাবী।
(এই লেখা এবং ছবি মডারেশন কিউতে দেওয়ার আগে মেহবুবা জুবায়ের ভাবীর থেকে অনুমতি নিয়েছি)
"তিথী"
ভাইয়া, বানানটা হরদম ভুল করছেন!!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বানানটা "হারিয়ে যাননি" হবে, এই ভুল মনে হয় আগেও করেছি ধন্যবাদ ঠিক করব এখন থেকে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল, গত রাতে যখন তোমাদের সাথে বসে গল্প করছিলাম, তখন কিন্তু একবারও আভাস দাওনি এমনি একটা লেখা লিখবে। কখন এত কিছু পর্যবেক্ষণ করলে? নিজেকে তুমি ভোজনরসিক বলেছো। এই যদি সুস্বাদু রান্নার নমুনা হয়, তাহলে তুমি কতটা ভোজনরসিক সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী ধন্যবাদ, আমার খাওয়ার পরিমাণ নিশ্চয় স্বাদটাকে বলে দেয়
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- ঠিক ভাবী, তাসনীম ভাই মোটেও ভোজন রসিক নন। আপনি এখটু কষ্ট করে আটলান্টিক খালটা পাড়ি দেন। তবে হ্যাঁ, আসার সময় আপনার পরীক্ষার সরঞ্জাম সব নিয়ে আসবেন। মানে যতো পদের রান্না জানেন সব করে আনবেন আরকি! ভোজনরসিক(সমূহ) কাকে বলে একেবারে উদাহরণ সহ বুঝে যাবেন। মাশাল্লাহ, আমরা কেউই কারও চেয়ে কম যাই না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
উলে আমার সোনা লে, কী শখ রে!! কেন গো চাঁদ আপনে আইতে পারেন না খালটা ডিঙ্গাইয়া? তাও যদি বলতে, আসেন ভাবী, আমাদের এখানে, আমাদের একটু দেখে যান। উপকরণ আমরাই না হয় যোগান দিবো, আপনে শুধু একটু রাইন্দা খাওয়াইএন। তাহলেও না হয় একটা কথা ছিলো। তা না, পোলা কয় কী, সব রাইন্দা আনেন। আমি খাইয়া দেখামু।
--------------------------------------------------------------------------------
- খাল তো ডিঙ্গাইতেই চাই, কিন্তু ডর করে যে! মাগো মা, যেই বড়র বড়!!
আরে আপনি আসলে তো খাওয়াবোই। বউরে কমু, "রাঁন মাতারী। দেখোস না ঘটক কুকিল আপা আইছে"।
আর আমারে পেয়ারা মাতারী খুঁইজা দেয়ার আগে আসলে রাইন্ধা খাওয়ামু? কাভি নেহি। নিজেই রাঁনতে পারিনা গো ভাবী। আলসেমী লাগে। আজকে সাতদিন পরে চুলার কাছে গেছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
সবার একই গুন থাকে না। আপনার লেখায় যদিও নিজেকে ভোজনরসিক আখ্যা দিয়েছেন। বর্ণনায় আপনার হাত কম যায় না। নাড়িয়ে দিতে ভালো পারেন, আশায় বুক তো বাঁধতেই পারি আবার জাগবে চর বাসস্থান খুঁজে পাবে গৃহহীন অথবা ভরবে নদী জলে ভাসবে নৌকা পাল তুলে বন্দরে বন্দরে। উত্তরসূরীর আগমন বার্তায় -
নাহ, জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে, যথাসময়ে উনাকে পাব আমরা। আমার আর আক্ষেপ নেই, জুবায়ের ভাই কাছেই আছেন, আমার এই শহরেই। বেশ অদ্ভুত একটা ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম, হ্যাপিনেস যে আসলেই স্টেইট অফ মাইন্ড। আমাদের শুধু দরকার সেই মনটাকেই তৈরি করা।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ওনার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ডোরা কে দেখেছিলাম গত সচলাড্ডায়, কথা হয়নি তেমন ব্যস্ত ছিলাম বলে।
লেখা মায়াকাড়া হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি এমবেড করতে গিয়ে মনে হয় কোডে সমস্যা হয়েছে। পেজ লেআউট ভেঙে গেছে।
আমার ব্রাউজারে কিন্তু ঠিক দেখাচ্ছে। আমি মজিলা আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দুটোতে চেক করলাম। লেখা দেওয়ার আগে প্রিভিউ করেও দেখেছিলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পোস্টের মূল বডির ব্যাকগ্রাউন্ড কি আপনি গ্রে দেখতে পান? এটা সাদা হওয়ার কথা। আর ডান পাশের কলামটা আমি পাচ্ছি একদম নীচে। ফায়ারফক্স আর ক্রোমে একই রকম দেখছি।
পিপিদা, মূল বডির ব্যাকগ্রাউন্ডটা আমি গ্রে দেখছি, সাদা হওয়া উচিত যদিও। কিন্তু ফরম্যাটিং বা ছবি কিন্তু ঠিকই দেখাচ্ছে। প্রিভিউতেও একই রকম লাগছিল। মডুদের কারও নজরে এই আসলে বলব একটু চেক করতে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গ্রে হওয়া উচিত আর আপনার বাকী লেখাগুলো পেইজের একদম নিচে চলে গেছে - আগে আসেনি এরকম, এবার আমিও দেখলাম। পিপিদা ইজ রাইট।
ইমেইল পাঠান।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মডুদের চিঠি দিয়েছি, যদিও আমি এখনও ঠিকই দেখতে পাচ্ছি। ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্য গ্রে...কোন সমস্যা হয়ত আছে যেটা আমার ব্রাউজারে আসছে না।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রিপিতে লিখরত্যু'র!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে...
আসলেই...ভালো লাগলো ভাইয়া...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
- ভাবীর সাথে আমারও দেখা হবে। হতেই হবে। তিনি আমার ঘটক কুকিল আপা না! দেখা না হলে কেমনে হবে?
তখন আমিও এমনে লিখবো তাসনীম ভাই। সাথে থাকবে বিরাট একটা ফটুক। ব্র্যাকেটে লেখা থাকবে "ইনসেটে ধুগো"।
আপনার দেয়া ফটুকে কোথাও লেখা নাই, "ইনসেটে তাসনীম ভাই"। সুতরাং, মাইনাস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
সেটার জন্য সবচেয়ে ভালো আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে এখানে আসা। ভাবী অস্টিনেই আসলেন দুই বছর পরে। আর আমার নিজের ছবি...মানুষকে আর ভয় দেখাতে চাই না। তবে দিলে ভালো হত, মায়েরা বাচ্চাদের ভয় দেখায়ে ঘুম পাড়াতে পারত, আমি আবার শিশুপালনে সাহায্য করি মানুষকে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিনয় ভালো। অতি বিনয় কী ভালো?
হ্যাঁ ভাই, এইখানেই কাহানীর টার্নিং পয়েন্ট। তোমাকে না দেখে আমি আর তোমার ঘটকালী করবো না। রেনেটের মন্তব্যে ডরাইছি! "একটা ম্যারেড" এই সবের মানে কী হ্যা? রেনেট একটু ঝেড়ে কাশেন তো ভাই!!
--------------------------------------------------------------------------------
- আরে ভাবী, রেনেটের ব্যাপারটা একটু জটিল। ঘটনা হৈলো কি, সে তার চাচাতো শালীরে আমার জন্য ঠিক্কর্ছে। কিন্তু আমি নিমরাজী। শালীর চোখ ট্যারা। আমার দিকে তাকানোর নাম করে আরেক বেগানা পোলার দিকে চোখ মারে!
কিন্তু রেনেট করছে কি, আমারে না জানাইয়া সাদা কাগজে দস্তখত নিয়া ফেলছে। এখন ঐ সাদা কাগজে কী না কী লেইখা এখন রণে-বনে-জলে-জঙলায় আমার নামে উল্টাসিধা কথা কয়ে বেড়ায়!
আপনেই কন ভাবী, এইটা কি ঠিক? আর বিয়া একটা করছি তো কী হৈছে? ধর্মে চাইরটা করা জায়েজ আছে না? মাশাল্লাহ, আরও ৩টা স্লট তো বিধি সম্মত ভাবেই ওপেন আছে।
নেন ভাবী, শুভ কাজে আর দেরী কইরেন না। বিসমিল্লা বলে শুরু করেন।
তাসনীম ভাইকে আমার স্থানীয় মুরুব্বী হিসাবে নিয়োগ দিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে...
অপেক্ষায় রইলাম ।
আমি খুঁজে খুঁজে জুবায়ের ভাই এর পুরোনো বেশির ভাগ লেখাই পড়ে ফেলেছি, চুপকথা ও পড়েছি, ছেলে বেলা টা শুরু করেছি... লেখা পড়ার পর বুঝেছি সচলায়তন কেন চির স্মরণীয় লিখেছে ।
পরিচয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ভাবীর রেসিপি টেক্সাস থেকে ইউক্রেন হয়ে লুইজিয়ানাতে আসে...কিন্তু রেসিপি দিয়ে আমি কি করবো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনি তো আর খাল ডিঙগাতে হবেনা। জানালা দিয়ে একটু উঁকি দিলেই আমার উঠোন দেখতে পাবেন। এতদিন ধরে রেসিপি নিয়ে বসে আছেন কেন? চলে আসেন।
পুত্র, কন্যাদের বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা দেখে মন ভরে গেলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
লেখাটা পড়েছি, ব্যস্ততার দরুণ মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি। খুব ভালো লাগলো ডোরা, অর্ণব, ও ভাবির ছবি দেখে।
যে ধরনের 'সঙ্গে' আগে থেকেই একটা আবেগ জড়ানো থাকে তার অনুভূতি হয় বর্ণনাতীত। ছবিগুলোও শুধু কোন একজন মানুষের কথা মনে করিয়ে দেয়। এধরনের পোস্ট আমি সাধারণত মনযোগ দিয়ে পড়তে পারিনা। তাই অনেকবার ভিজিট করেও লেখা নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি।
ভাল লেগেছে শিরোনাম টি।
এই লভিনু সঙ্গ তব-
মন্তব্য
"জুবায়ের ভাই হারিয়ে জাননি, উনি রয়ে গেছেন জনান্তিকে, যথাসময়ে উনাকে পাব আমরা। আমার আর আক্ষেপ নেই, জুবায়ের ভাই কাছেই আছেন, আমার এই শহরেই। বেশ অদ্ভুত একটা ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম, হ্যাপিনেস যে আসলেই স্টেইট অফ মাইন্ড। আমাদের শুধু দরকার সেই মনটাকেই তৈরি করা।"
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"