“আব্বু উইঠা পড়, সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে ।”
“হুমমম...”
“আব্বু ক্লাস মিস কইরা ফেলবা।”
“হুমমম...”
“উঠে পড়... ”।
গাঁইগুঁই করতে করতে আমি বাথরুমে যাই। বেসিনের পাশেই রাখা গরম পানির কেতলি। সকালে ঠান্ডা পানি লাগলে আমার আবার হাঁচি হয়। বাথরুম টাথরুম সেরে খাওয়ার টেবিলে গেলেই নাস্তা রেডি। ভাবছেন আমি স্কুলে যাচ্ছি? উহুঁ হলো না, আমি রীতিমত দামড়া ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। সকালে যুদ্ধ করে আমাকে উঠাচ্ছেন আমার বাবা। আমাকে ঠেলেঠুলে নানান কৌশলে তড়িৎকৌশলী বানানোটা অনেকটাই তাঁরই অবদান। অধীর আগ্রহ নিয়ে আমাকে ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছেন যদিও আমার কোন তাড়া নেই প্রকৌশলী হওয়ার জন্য, ক্লাসে গিয়ে গেট আটকানো দেখলে ক্যাফেতে বসে নরক গুলজার করি, যত ব্যগ্রতা শুধু আব্বার।
আমি তাঁর সর্বশেষ সন্তান, ততদিনে উনি রিটায়ার করেছেন, নানান কাজে ব্যস্ত রাখেন নিজেকে, এর মধ্যে আমাকে ঠেলাঠেলি অন্যতম। সকালে বাজার করেন নিষ্ঠার সাথে, দরাদরি (উনি বলেন মুলামুলি) ছাড়া মানে জিনিস কেনা মানেই তো ঠকা। বাসায় ফিরে দিনে অন্তত একবার সাদা ছোট আলমারিটা খোলা হয়। বেশ কড়া সিকিউরিটি সেটার। ভেতরে কি আছে? টাকা-পয়সা নয়, দুনিয়ার তাবৎ অকাজের জিনিষ। আমাদের পাশের বাড়ির আপা আমাদের বাসা নিয়ে একটা রচনা লিখেছিল, সেটা ভাঁজ করা আছে সযতনে। আছে কিছু ডায়েরী যেখানে বাবা ধরে রেখেছেন আমাদের শৈশবসহ আরও অনেক অ-দরকারি গল্প। একটা ওয়াটার গান পাবেন, আমিই আমেরিকা থেকে নিয়ে গিয়েছিলাম, এই ভয়াবহ স্টার ওয়ার্সমার্কা অস্ত্র দিয়ে উনি গাছে পানি দিয়েছেন, তাও মনে হয় বেশি দিন নয়। এই স্মৃতির শহরের কয়েকটা পার্টও হয়ত খুঁজে পাবেন সেখানে, অফসেটে প্রিন্ট করা হার্ড কপি। কয়েকটা পুরানো টাকার ফাঁকে ফাঁকে আরো কিছু অতি পুরানো জিনিস খুঁজে পাবেন যেখান থেকে শুধু স্মৃতির গন্ধই ভেসে আসে। আচ্ছা স্মৃতির গন্ধ কি ন্যাপথালিনের মত?
আব্বার উপদেশগুলোও আলমারির জিনিসগুলোর মতই অকাজের। মাথা ধরা, জ্বর, সর্দি, কাশি, দাদ, হেপাটাইটিস, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজিজ যাই হোক না কেন, উনার উপদেশটা কি শুনবেন? “প্রচুর পানি খাইবা”। নিজেও ওই জিনিস বিস্তর “খাচ্ছেন”, অন্যকেও “খেতে” অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। আরও জটিল কোন রোগ যেমন ডিপ্রেশেন অথবা পিত্তথলির প্রদাহে আক্রান্ত হলে আরেকটা দুটো এক্সট্রা উপদেশ পাবেন, “একটু রেস্ট আর লাইট এক্সারসাইজের দরকার”। অসুখ নিয়ে উনার সামনে গেলে আপনিও এইসব প্রেসক্রিপশন পাবেন নিশ্চিত। তবে সমস্যা কি জানেন, ইদানীং আমারো একই অবস্থা, আমার কাছে আসলে আমিও একই উপদেশ দিতে পারি। ভাগ্যিস আমি ডাক্তার নই!!! জীবন নিয়েও উনার উপদেশ বেশ সাদামাটা, “কারোটা খাইবা না”, বেশ ভালো একটা উপদেশ নিঃসন্দেহে। পিতার থেকে পাওয়া এই অল্প কয়েকটা উপদেশ কাঁধে নিয়ে বেশ চালিয়ে যাচ্ছি, অর্ধেক জীবন শেষে নিজে আরো গোটা দুয়েক যোগ করেছি এর সাথে। দেখা হলে সব একসাথে দিয়ে দেবো, মোটামুটি পাঁচ মিনিটের ব্যাপারই তো।
বসার ঘরে আব্বা যেই চেয়ারটায় বসে আছেন, ওটার বয়স আব্বার চেয়ে বছর ত্রিশেক কম হবে। আমার উচিত ঈদের দিন সকালে চেয়ারটাকেও সালাম করা। আব্বা এই সকালে উঠে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পত্রিকা পড়ছেন সেখানে বসে আর মাঝে মাঝে স্বগতোক্তি করছেন...”চোরেরা”...এইটা কাদের বলা বুঝলেন তো? চোরদেরকে বলা, যেই চোরগুলো চুরি করছে আমাদের অতীত থেকে শুরু করে ভবিষৎ পর্যন্ত সবকিছু। আব্বার জামার বোতামগুলোর দিকে আপনার নজর পড়েছে বোধহয়? বাদ দেন ভাই, অনন্তকাল ধরে উনি উল্টোপাল্টা লাগাচ্ছেন ওগুলো, মনে হয় এরকমই চলবে।
ডেন্টিস্টদের কাছে যেতে আমার ব্যাপক ভয়, সেই শৈশব থেকে শুরু করে আজ অব্দি। বুঝলেন ধাড়ি হওয়ার পরেও আব্বা সাথে নিয়ে গেছেন ডেন্টিস্টদের কাছে, তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন ব্যাটাদের উপর। আজকে এই আমাকে একা পেয়ে ওরা ইচ্ছেমত বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে আমার দাঁতের, আর কিছু হলেই লম্বা লম্বা বিল...চোরেরা।
আব্বার শখটা কি শুনবেন? ম্যাজিক, উনি আসলেই একজন ম্যাজিশিয়ান। জুয়েল আইচের মত না হলেও কম নয়। আপনি দড়ি কাটা আর তাসের ম্যাজিক দেখতে পাবেন আমাদের সেই বাসভবনে। খালি খাতা হঠাৎ আঁকিবুঁকিময় হয়ে যাবে উনার যাদুর লাঠিতে। তবে আপনার বয়েস যদি দশের আশেপাশে হয় তবে উপভোগ করবেন সবচেয়ে বেশি। তবে উনার আসল যাদু মনে হয় বাগান কর্মে, যে কোন পতিত জমি উনি কি মায়ামন্ত্র বলে সবুজ করে দেন, এই বিদ্যা আমার এখনও অজানা। আমি গাছ লাগালেই যেন ওঁত পেতে থাকে হাজার সমস্যা, নিজেকে মনে হয় বৃক্ষহন্তারক!
এখন এখানে সকালে বিকট স্বরে ডাক দেয় একটা এ্যালার্ম ঘড়ি, নাছোড়বান্দা হলেও একদম স্নেহ নেই তার গলায়। সকালে বাথরুম থেকে বের হয়ে নিজেই বানিয়ে নেই চা আর কিছু অখাদ্য। তারপর দেশের টিভির নিউজ দেখতে দেখতে মনে হয় আমার ছিয়াশি বছরে যুবক বাবাও হয়ত দেখছেন একই পচনশীলতার খবর, উনার সেই বিরক্তি আজ আমিও ধারন করি। মোটা ফ্রেমের চশমা, সাধারণ একটা জামা আর লুঙ্গী পরণে, বসে আছেন প্রাগৈতিহাসিক চেয়ারে। আমিও দূরে নেই, এইতো একদম প্রায় পাশেই। ভৌগলিক দূরত্ব ভেদ করে সেই বনস্পতির ছায়ারা যেন পৌঁছে যায় এই শহরে। নীরব ও নির্জন এই সকালে ভালোই কেটে যায় সময়টা। স্মৃতির শহর কিন্তু মন্দ নয়, কি বলেন?
স্মৃতির শহর -৫ এখানে, যদিও এরা ধারাবাহিক নয়, লেখাগুলো স্মৃতির মতই ছন্নছাড়া
###
মন্তব্য
বরাবরের মতোই, স্মৃতিমেদুর আর মায়ামাখা। আপনার লেখার জন্য যে অপেক্ষা করে বসে থাকি, সার্থক।
ওত পাতা হবে, ওঁত না।
অনেক ধন্যবাদ মূলোদা।
এরপর থেকে ওত পেতে থাকব, ওঁত নয়
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাথা পেতে দিয়ে জানাচ্ছি, এ পোস্টে বানানের ব্যাপারে সমস্ত দায়ভার এই অধমের!!
লেখায় যথারীতি
দু- একটা জায়গায় সামান্য বদলেছেন মনে হলো...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, একটু পাল্টেছি লেখাটা তুমি বানান শুধরে দেওয়ার পরে, বানান ভুলটা আমারই দোষ। প্রুফ রিডার ছাড়া এক লাইন লিখলে ৩ টা ভুল হয়ে যায়
মন্তব্য এবং বানান শুদ্ধির জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
" স্মৃতির গন্ধ কি ন্যাপথালিনের মত?"--- আমার কাছে মনে হয় স্মৃতির গন্ধ পুরানো বইয়ের মতো।
এবারেরটা বাবাকে নিয়ে, তাই না। আমি আপনার মাকে নিয়ে আরো স্মৃতিচারণ পড়তে চাই।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ বর্ষা। মাকে নিয়েও লিখব।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটানে পড়ে ফেললাম। খুবই ভাল লাগলো। শীতে আসলে আপনি, আপনাদের বাসায় যাবো। বাসাটা কি এখনো আছে হলিক্রস কলেজের কাছে?
আর, দয়া করে বড় গল্প/ নভেলা লেখা শুরু করেন, আগেও বলেছি। তারপর একসময় উপন্যাস লেখাও হয়ে যাবে! ইয়্যু হ্যাভ দ্য গিফট!
ছোটগুলো আসলে বড় ভাইবোনদের দেখে শিখে, আহ্লাদটাও বেশী পায়, তাই না? সেজন্য অবসার্ভেশান পাওয়ার ছোটদের একটু অন্যরকম হয় বোধহয়। যে কথাগুলো পরম মমতায় বেঁধে আপনি বলতে পারছেন, সেটা হয়তো বা আপনার বড় ভাইদের চোখে আরেকটু অন্যরকম। অথবা তাদের উপর শাসন, বড় হওয়ার স্ট্রাগল, আর দেশের পরিবর্তিত অবস্থার ধকল মিলিয়ে দেখার চোখটা অন্যধাঁচের (হয়তো বা জাজমেন্টাল-ও) হয়ে যায়। আমার তাই মনে হলো, আমার ছোট ভাইটার সাথে নিজের চিন্তাভাবনারও কিছু অমিল দেখি। তাই কি?
ভাল থাকবেন। কথা হবে। মেয়েদের অনেক, অনেক আদর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
অনেক ধন্যবাদ শরতশিশির। বাসাটা এখনো আছে যদি আমাদের পরিবারের কেউ আর সেখানে থাকেনা।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো পড়তে।
ইদানিং বাবাকে খুব মনে পড়ে। আপনার লেখা পড়ে আরো বেশি করে মনে পড়লো। আমার বাবাও পানি খাওয়ার উপদেশ দিতেন। শুধু তাই না, কিছুক্ষণ পর পর পানির গ্লাস হাতে পড়ার টেবিলের পাশে এসে দাঁড়াতেন। এসব খুব মিস করি।
ভালো থাকুক আপনার বাবা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাবারা মনে হয় একই রকম হয়। আপনার বাবার জন্য শুভকামনা রইল।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্মৃতির কি গন্ধ আছে আদৌ?
মাঝে মাঝে কোন গন্ধ যখন নাকে এসে ধাক্কা দেয়, খুব চেনা চেনা ঠেকে। অচিন কোন ফুলের গন্ধ, ফেলে আসা পথের গন্ধ অথবা পুরোনো কাপড়ের গন্ধ। ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় টঙের দোকান থেকে ভেসে ফুটন্ত চায়ের গন্ধও অন্যরকম লাগে কখনো কখনো। নেহাত চায়ের গন্ধ নয় যেন, বরং কোন এক প্রিয় আড্ডার গন্ধ। এগুলোই বোধহয় স্মৃতির গন্ধ।
লেখা যথারীতি স্মৃতির আদরমাখা।
আপনার ছানাপোনারা কেমন আছে? শিশুপালন লিখছেন না অনেকদিন হলো।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শিশুপালন আসছে শিগগিরি, চোখ রাখুন ব্লগের জানালায়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই ভাল লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দময়ন্তী।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দূর মিঁয়া, দিলেন তো মনডা খারাপ কইর্যা?
ল্যাখা ভালা হইসে...
কৌস্তুভ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কৌস্তভ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মূলত আপনার এই লেখাটিতে মন্তব্য করতেই লগইন করা হলো। পড়তে পড়তে খুব ভয়ে ছিলাম না জানি কোন খারাপ খবর শুনতে হয়। বাবা ভালো আছেন শুনে নিশ্চিন্ত হলাম। আমার বাবাকে নিয়েও ইদানিং খুব ভাবি, বাবার সাথে কাটানো ছোটবেলার সময়গুলো খুব মনে পড়ে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোন কোন লেখায় মন্তব্য করে আসলে ঠিক বোঝানো যায় না নিজেকে...
সিরিজটার বর্ননা আমার খুব পছন্দের। এই লেখাটাও চমৎকার লাগলো...
_________________________________________
সেরিওজা
কিছুই বলার নেই শুধু মাত্র সুহানের কথা গুলো পুনরাবৃত্তি করা ছাড়া
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অনেক ধন্যবাদ সুহান ও নিবিড়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার স্মৃতিমেদুর আর মায়াময় লেখা পড়ে আবার-ও খুব ভাল লাগল তাসনীম। ধন্যবাদ।
-----------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হরফ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো। আমি হলে ছিলাম বলে সকালে ঘুম থেকে তোলার কাজটা বন্ধুরা করতো। কিন্তু যে অল্প কয়দিন বাসায় থাকতাম এমন একটা গা ছাড়া ভাব লাগতো।
ভোর বেলা পানি ওষুধ সহ বাবা মশারির ভিতরে এসে খাওয়ায় দিয়ে যেত। ঘুম ভাংলেও ইচ্ছা করে উঠতাম না। বাবা তো আসবেই। ওষুধ খাওয়ার ঠ্যাকা কি আমার নাকি? একলা থাকলে ঠিকই সব নিজে করি। মাথার উপর থেকে ছায়াটা সরে রোদ লাগলে পরে বোঝা যায় ছায়াটা ছিলো।
মেয়ে
সত্যি, ছায়া সরে গেলে বোঝা যায় ছায়াটা কত কোমল ছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মেয়ে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, বাবাকে নিয়ে এই লেখাটি এত মন ছুঁয়ে গেল যে আপনাকে আমার ভাল লাগা জানাতে হচ্ছে । আমার বাবা চলে গেছেন পাঁচ বছর । ছোটবেলায় বাবা আমার পিঠে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে ঘুম পাড়াতেন (সারাদিনের টইটই এর পরে ধুলোমাখা পিঠ নিয়ে যখন বিছানায় যেতাম তখন এমনিতেই ঘুম আসার কথা, তবুও বাবা হাত বুলাতেন), সেই হাতের ছোঁয়াটা, এখনো লেগে আছে আমার পিঠে …এখন যখন রাতে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে যাই, ঠিক ঠিক ওর পিঠে হাত চলে যায় ।
সব রকম রোগে আমার বাবার প্রেস্ক্রিপশন ছিল “আদা খাও” । জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথা,…সবকিছুতে । সব সময় বলতেন, “শারীরিক পরিশ্রম কর”, তাহলেই শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না । প্রচুর হাঁটতেন । ভীষন মিতাচারী মানুষ ছিলেন । আমার বাবাকে মনে পড়লেই মনে হয় কত অল্পতে একজন মানুষ কত সূখী হতে পারেন, আমার বাবা ছিলেন তারই প্রমান ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
তাসনীম, আমার বাবাকে নিয়ে লেখা একটি পুরনো লেখার লিঙ্ক দিচ্ছি, পড়ে দেখতে পারেন ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জোহরা। আপনার বাবাকে নিয়ে লেখাটা কবিতাটাও খুব ভালো লেগেছে। আপনার বাবাকে নিয়ে সচলেও লিখুন।
বাবারা ভালো থাকুন স্মৃতির শহরে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখককে অভিনন্দন!
--আরিফ বুলবুল,
ধন্যবাদ আরিফ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ!!!! এক নিশ্বাসে পরে ফেলার মত! বর্ণনার সাথে সাথে শব্দের যথাযথ ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে. এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম, এখন থেকে নিয়মিত প্রতিক্ষায় থাকতে হবে পরবর্তী লেখার জন্য...................
ধন্যবাদ নাসিম।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার!! সুপাঠ্য
প্রতি অনুচ্ছেদ মনে হয়েছে আড্ডায় বসে শুনছি ।
ধন্যবাদ শারিফ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাইয়ের এই সিরিজটা শুধু পড়িইনা , কখনো কখনো মনে হয় সেটা নিজে ধারণও করি। যেন আমাদের কথাগুলোই গল্পের মত করে বলে দিচ্ছেন একের পর এক।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাবা!না আমি ডাকতাম বাপি। অনেক কষ্ট করেছেন জীবনে তিনি। আপনার লেখা পড়ে অনেক অনেক কথা মনে পড়ে গেল। কয়েকদিন পরই বাপির মৃত্যুবার্ষিকী। বিশ্বাস হয়না বাপি নেই। মাঝে মাঝে বাপিকে স্বপ্নে দেখি। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠি বাপি তখন অনেকদিন পরে হেসেছিল। আমি তার কোন কাজে আসিনি, কিছু করতে পারিনি। বিশ্বাস করুন চোখ ভিজে এসেছে আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে। বাবার শেষ কথাও ছিল আমাকে উদ্দেশ্য করে। বাপি আমাকে খুব ভালবাসতো, খুব। ভাল থাকবেন। আপনার বাবাকে আমার সালাম জানাবেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
বাবা!না আমি ডাকতাম বাপি। অনেক কষ্ট করেছেন জীবনে তিনি। আপনার লেখা পড়ে অনেক অনেক কথা মনে পড়ে গেল। কয়েকদিন পরই বাপির মৃত্যুবার্ষিকী। বিশ্বাস হয়না বাপি নেই। মাঝে মাঝে বাপিকে স্বপ্নে দেখি। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠি বাপি তখন অনেকদিন পরে হেসেছিল। আমি তার কোন কাজে আসিনি, কিছু করতে পারিনি। বিশ্বাস করুন চোখ ভিজে এসেছে আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে। বাবার শেষ কথাও ছিল আমাকে উদ্দেশ্য করে। বাপি আমাকে খুব ভালবাসতো, খুব। ভাল থাকবেন। আপনার বাবাকে আমার সালাম জানাবেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আপনার মন্তব্য মন ছুঁয়ে গেল। আপনার বাবার স্মৃতি অক্ষয় থাকুক। ভালো থাকবেন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাবাকে নিয়ে কোনো লেখা পড়লেই আমার পরবর্তী কয়েক ঘন্টার দফারফা। এখনো হইলো মনে হয়...
http://www.sachalayatan.com/nazrul_islam/9063
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার লেখাটা আগে পড়িনি, এই এখনই পড়লাম। মনটা খারাপ হোল।
বাবার স্মৃতি বেঁচে থাকুক অন্তহীন কাল।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি যে কী চমৎকার লিখেন ! সত্যি সত্যিই আমি এই সিরিজের লেখাগুলির জন্য অপেক্ষা করি। আপনার মতো চমৎকার লেখকদের গুণেই সচলায়তনের মান এতো উঁচু, অনন্য।
অপ্রাসঙ্গিক কি না জানি না, বাবাকে নিয়ে লেখা হিমু ভাইয়ের চমৎকার দু'টি লেখার লিঙ্ক দিলাম। আগে না পড়ে থাকলে, সময় করে পড়ে দেখতে পারেন।
অন্ধকারে সিগারেট
রৌদ্রকরোজ্বল দিনে মন খারাপ
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হিমুর অসাধারণ দুইটা লেখা পড়েছি আগেই, বুক মার্ক করা আছে, এখনো পড়ি মাঝে মাঝে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজের লেখাগুলো আগেও দেখেছি। সময়াভাবে কিংবা অলসতা করে খুব বেশি ঢোকা হয়নি। প্রথম পড়ি স্মৃতির শহর-৩। তখন সবে সচলে উঁকি মারতে শুরু করেছি; কমেন্ট করা হয়নি, কিন্তু লেখাটি লেগেছিলো অসাধারণ!
এর পরে আজকে এটি পড়লাম। মনে হলো আগের লেখাগুলো না পড়ে কী মিস টাই না করেছি! অনেক ভালো লাগলো লেখা। একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে গেলো! অনেক ধন্যবাদ।
বাড়ি ছেড়েছি আজ প্রায় ১০ বছর, অবশ্য দেশেই আছি। ভার্সিটি লাইফে এবং তার পরে এখন চাকরীতে বেশির ভাগ সময়ই আমি অধম বাসায় ফোন করতে ভুলে যাই, কিন্তু বাবা ঠিক-ই নিয়ম করে রেগুলার ফোন দেন; কখনো ভোলেন না! ছুটিতে যখন বাড়ি যাই, রাতে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ফিরতে দেরি হলে প্রায়ই বাবা, মা বসে থাকেন। ঢাকা ফেরার সময় আসতে নিষেধ করলেও প্রায়ই বাবা বাস কাউন্টারে আসেন বাসে তুলে দিতে। কিছুদিন আগে ছোটবোনের ইন্টার পরীক্ষা উপলক্ষে বাড়ি গিয়েছিলাম। বরাবরের মত এবারো প্রথমদিন তিনি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যান পরীক্ষা হলে। একদিন বাজারে গেলাম বাবার সঙ্গে, বাজারের ব্যাগটিও তার হাত থেকে নিয়ে নিতে বেগ পেতে হলো। ......
বাবা/মা'দের কে নিয়ে লেখার আসলে শেষ নেই। বাবা/মায়ে'রা আসলে বাবা/মা'ই। তাদের তুলনা কখনো কোন কিছু দিয়ে মনে হয় দেয়া যাবে না।
আপনার লেখাটা পড়ে আনমনা হয়ে গেলাম। স্মৃতির পাতায় ভীড় করতে চাইছে অনেক কিছু। মনটাও যে একটু খারাপ হলো না তা না।
এরকম মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখার জন্যে আবারো ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকবেন। আর
ভালো থাকুক সকল বাবা'রা, সকল মা'য়েরা।
-----
অচল পয়সা
এরকম মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার সুরেই বলি...
ভালো থাকবেন। আর ভালো থাকুক সকল বাবারা, সকল মায়েরা।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তিনি বৃদ্ধ হলেন
বনষ্পতির ছায়া দিলেন...
সেই বুড়ো গাছের, পাতায় পাতায়
সবুজ কিন্তু আজও মাতায়, সুঠাম ডালে...
"মালিক, তুমি তাঁদের সেইভাবে প্রতিপালন করো, যেমনটি তাঁরা আমায় করেছেন"
রণ তোমার মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুমন চাটুজ্যের এই গানটা কারও কাছে থাকলে দয়া করে পাঠাবেন
গানটা পাবেন এইখানে
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন খারাপ করে দেয়া লেখা।
মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ। আমি নিজেও মন খারাপ নিয়েই লিখেছিলাম, লেখার পর মনটা বেশ ভালো লেগেছে। স্মৃতির শহরের এটাই সুবিধা, যখন তখন হানা দেওয়া যায়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কদিন আগেই টাইফয়েডে পরেছিলাম, আম্মাও অসুস্থ ছিলেন, আব্বা আমার আর আম্মার খেয়াল যে কিভাবে রাখলেন তা লিখে বোঝানো যাবে না। একবার আমার শরীর গামছা দিয়ে মুছে দেন, আবার দৌড়ান আম্মার মাজায় ছ্যাক দিতে। সপ্তাখানেক পুরা নিজে রান্না করে মা - ব্যাটাকে খাওয়ালেন। আব্বা জীবনের পুরোটা সময় এভাবেই আগলে রেখেছেন। ম্যালাদিন হলো আব্বাকে জড়িয়ে ধরিনা, আজ বড় ইচ্ছে করছে।
ভালো থাকুক সকল বাবা-মা ।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
বাবাদের কথা মনে হয় লিখে বোঝানো যায় না।
ভালো থাকুক সকল বাবা-মা, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার এই সিরিজটা আর মর্মের 'মিঁয়াও' পড়লে আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। সব বর্ণনাতেই নিজেকে দেখি, নিজের আপনজনকে দেখি, নিজের ভালোবাসাকে খুজে পাই। আপনার বাবাকে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন।
অটঃ আপনার এই সিরিজের কোন একটাতে তেজগা'র কথা পড়েই কিন্তু আমার 'শৈশবের ঢাকা' লেখার অনুপ্রেরনা।
-লাবণ্য-
ফাহ_বেগম@ইয়াহু
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার লেখাটাও খুব ভালো লেগেছে। ঢাকা নিয়ে লেখা পড়ার মজাই আলাদা আর যদি সেটা পেছনে অনুঘটকের ভূমিকায় আছি জানলে তো ডাবল আনন্দ
পারলে ঢাকা নিয়ে লেখা মুনতাসীর মামুনের লেখা বইগুলো যোগাড় করে পড়তে পারেন, ভালো লাগবে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আব্বাকে নিয়ে অসাধারন এ লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাইয়া।
এটা তো হুবহু আমার বাবার সাথে মিলে গেল!
খুব ভালো লাগলো পড়তে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়ে....
আমিও না আপনার বাবার মতো সবাইকে পানি খাবার উপদেশ দেই
আবারো বলছি
আপনি এত ভালো লেখেন কেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হা হা হা, আপনি শুধু নন, আমিও দেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্মৃতির শহর মন্দ নয়? সেই রকম সুন্দর!
এই সিরিজ শতায়ু হোক । (ইয়ে শতায়ু কি শত বছর বুঝায়? শত পর্ব বুঝানোর জন্য বলছি কিন্তু! )
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বোহেমিয়ান। চেষ্টা করব চালু রাখতে এই সিরিজ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার লাগলো, যথারীতি
অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধা
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ!!!
আপনার মেয়েদের নিয়ে লেখা ব্লগগুলো পড়লে বোঝা যায় আপনি
নিজেও বাবা হিসেবে অসাধারণ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আনন্দী। আমি বাবা হিসাবে কেমন সেটা পুরো বুঝতে হলে অপেক্ষা করতে হবে অনেকদিন, ওরা বড় হয়ে যখন স্মৃতির শহর লিখবে তখন বোঝা যাবে
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"স্মৃতির শহর" সবগুলোই পড়লাম। স্মৃতিকথা কম বেশী সবাই লিখে। কিন্তু এই যে পাঠককে সঙ্গে নিয়ে স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে দেখা, এই ধরণটা দারুণ। আমার কাছে একদম নতুন মনে হলো। তোমার হবে! চালিয়ে যাও।
--------------------------------------------------------------------------------
নিজের স্মৃতিকথা নিজের কাছে অনেক দামি কিন্তু অন্যের কাছে সেটা বোরিং লাগতে পারে, এই জন্যই গল্পের স্টাইলে লিখতে চাইছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাবী।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তিনি বৃদ্ধ হলেন....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন