বোতলের জন্য ভালবাসাঃ
“শোন, তোমার মেয়ের এক বছর হয়ে গেছে, এখন এই দুধের বোতল ওর ছাড়া উচিত”। প্রায় অমোঘ নিয়তির মতই শোনাল ডাক্তারের ঘোষণা। শিশুপালন আগে কখনো করিনি, উনি যা বলেন তাই করতে চেষ্টা করি। উনার কথা প্রায় অন্তর্যামীর মামাতো ভাইয়ের মতই সত্য হয় দেখেছি।
“কি হবে না ছাড়লে?” ভয়ে ভয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা।
“একটা ইমোশনাল এটাচমেন্ট হয়ে যেতে পারে। শরীরের একটা অংশের মতই বোতলের জন্য ভালবাসা জন্মে যেতে পারে”। ডাক্তার তাঁর শংকা জানিয়ে দেন।
“আর কিভাবে ছাড়াবো এই বোতল?”
“বাসায় একদিন একটা বাই-বাই বোতল পার্টি করবে। ছোটখাট উৎসব করে বোতলগুলোকে সব ফেলে দেবে।”
বড়দের বোতলের ভালবাসা খুবই কালান্তক ব্যধি। দেবদাস ভাইয়াতো এটা করেই মরলেন, আর আমাদের মধ্যবিত্ত মাথায় ঢুকিয়ে দিলেন যত্তসব সংস্কার। উনার পরেও কম দেখিনি বোতল বিপর্যয়, মানুষ কমাতে কমাতে বোতল বছরে মাত্র দুই দিনে নামিয়ে এনেছে, ভেজা দিন আর শুকনো দিনে, তাও ছাড়তে পারেনি। কিন্তু তাই বলে বাচ্চার হাত থেকে কেড়ে নেব দুধের বোতল? ক্যালসিয়াম আর পুষ্টির খনি!!
“আচ্ছা বোতলে দুধ খেলে অসুবিধা কি?” আমি শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাই।
“বাচ্চার দাঁতের সেটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর দুধ বেশি খেলে অন্য খাবার কম খাবে। দুধ খেতে হবে কিন্তু একটা লিমিটেড পরিমাণে এবং গ্লাসে করে, বোতলে নয়।”
নাহ, ডাক্তারের কথা অনেক শুনেছি। আমি বেকুব ঠিকই কিন্তু পাষন্ড নই। আর না, বোতল যেখানে আছে সেখানেই থাকবে, সামটাইমস এ ম্যান গটা ডু হোয়াট এ ম্যান গটা ডু...পরিবারে সিইও হিসাবে আমিই সিদ্ধান্ত নেই।
বোতল চলতে থাকল এবং এর প্রতি ভালবাসা গাঢ় থেকে গূঢ়তর হতে লাগল। খেলার সময় বোতল, খাওয়ার আগে বোতল, রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে বোতল, আর বেশি মজার প্রত্যাশায় বোতল। গ্যালন গ্যালন দুধ উজাড় হল, আমি বঙ্গদেশের মানুষ, “দুধে কান্তি বাড়ে” শুনে বড় হয়েছি, বড় ভাল লাগে এই দৃশ্য দেখে। ডাক্তারের নজরেও পড়ল ব্যাপারটা। উনিও প্রেমিকের গোঁয়ার মাতার ভূমিকা না নিয়ে মেনে নিলেন ব্যাপারটা। আমাদের দুগ্ধপ্রীতির কালচারও কিছু বুঝতে পারেন উনারা। মেয়ের মুখ থেকে শুনে চার্টের মধ্যে লিখে নিলেন “ডু ডু”।
কয়েকদিন পরে গিয়েছি টিকার জন্য। এই জিনিস শিশুদের জীবনে বিভীষিকাময় এক কালো অধ্যায়। আমাদের ছোটবেলাও কেটেছে টিকাওয়ালির আতঙ্কে। ডাক্তারের অফিসের বিভিন্ন কুঠুরি থেকে ভেসে আসছে নানান মাপের আতর্নাদ। এখানে আসলে জালিমেরও বুক কেঁপে উঠবে আর আমিতো এক বাবা মাত্র। হাত-পা চেপে ধরে কন্যাকে শুইয়ে দিয়ে উনারা ডার্টবোর্ডে গুলি মারার দ্রুততায় সুঁই চালালেন মাপ মতো। প্রবল কান্নায় উপচে উঠল ঘরদোর। নার্সের পাশে দাঁড়ানো ডাক্তার নিমিষে চার্টের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত ভাবে বললেন...
“ডু ডু কোথায়, ওকে ডু ডু দাও” প্রায় হুঙ্কারের মত শোনাল ওটা। সারাদিন খোঁচাখুঁচি করতে উনারও ভালো লাগে না সেটা আমিও নিশ্চিত। ডুডুর গুনটা উনিও জানেন মনে হয়, মুখে না মানলেও।
বোতলের ডুডু তৈরিই ছিল। কষ্টের পরে যেমন ভালবাসা মিলে তেমনি মিলল সেটা। পরক্ষণেই ম্যাজিক, কান্না একদম বন্ধ।
জয় হোক তোমার ডু ডু, বেঁচে থাক বাবা। বেঁচে থাকুক বোতল বন্দি ভালবাসা।
প্রতিবাদের ভাষাঃ
পৃথিবী ধ্বংস হতে আর অল্প কিছু সময় বাকি। মাটিগুলো ফেটে ফেটে চৌচির, উপচে পড়ছে সমুদ্র স্রোত। আরেকটু পরে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সবকিছু, কেবল নূহ নবীর স্টাইলে তৈরি করা বিশাল জাহাজের যাত্রীরাই রক্ষা পাবেন এই প্লাবন থেকে। সেই জাহাজের কন্ট্র্যাক্ট পেয়েছে চীনদেশ, গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ এগিয়ে চলছে তার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত ঠিক করেছেন নিজ দেশের জনগনের সাথেই মরবেন যদিও তাঁর কন্যাকে তিনি পাঠিয়েছেন জাহাজে। বোয়িং বিমানে করে একদল আমজনতা নর-নারী-শিশু চেষ্টা করছে জাহাজ ধরার...
“আব্বু, দুদু খাব।”
পৃথিবীর ধ্বংস প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ায় একটু বিরক্ত বোধ করি।
“একটু পরে মা, ছবিটা শেষ হতে আর বাকি নেই, দেখছ না আমরা ব্যস্ত...”
“এখনইইই...”
চেয়ে দেখি মেয়ের চোখ ছলছল করছে, কিন্তু চোখের চেয়েও বেশি সজল মেঝেটা। সেই জল গড়িয়ে গড়িয়ে আসছে আমাদের দিকে, পৃথিবীকে সমুদ্রের জল খেয়ে ফেলার আগেই আমাদের পরিস্কার করতে হবে এগুলো। একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমরা “পজ” দেই মুভিটা, পৃথিবীর ডুবে যাওয়া আরেকটু অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু মেয়েতো “পটি ট্রেইনড”, তাহলে কেন করে দিল কাজটা অজায়গায়?
কারণটা আর কিছুই নয়, প্রতিবাদ। বয়স্ক মানুষ নানান ভাবে প্রতিবাদ জানাতে পারেন; গাড়ি ভাঙ্গা, ধর্মঘট, অনশন, গালাগালি, ফ্রি সফটওয়্যারকে চোরাই বলে অপবাদ দিয়ে আমরা জানাতে পারি যে আমরা “হ্যাপি” নই। শিশুদের ভোকাবুলারি খুব স্ট্রং নয়, ওদের সরল জীবনের প্রতিবাদের ভাষাটাও খুব সরল। যত্রতত্র মূত্রত্যাগের মাধ্যমে অনেক সময় ফুটে উঠে ওদের দুর্বার অনাকাঙ্খা ।
প্রতিবাদের জন্য এই ভাষাটাও মন্দ নয়। সংসদের ফার্স্ট বেঞ্চে বসে কথা বলতে পারছেন না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আয়োজনে গাত্রদাহ হচ্ছে? ইলেকশনে কারচুপি করে লাড্ডাগুড্ডা বানিয়েছে ইসি হারামজাদা? রাস্তা আটকে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে মানুষকে কষ্ট না দিয়ে নতুন যুগের এক আন্দোলনের সূত্রপাত করতে পারেন এই মূত্রপাতের মাধ্যমে। অদ্য বিকাল পাঁচ ঘটিকার সময় ঐতিহাসিক পল্টনের জনসভায় প্রচুর পানি “খেয়ে” করে দাঁড়িয়ে যান এক নতুন দিনের সূচনায়...
এই বন্যায় কোনদিন অন্যায় ভেসে যেতেও পারে।
শিশুপালন-৪ এইখানে, যদিও এটা মাসুদ রানা সিরিজের মত, অন্য পার্ট না পড়লেও কোন ক্ষতি নেই
###
মন্তব্য
হা হা হা
আমি পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত দুদু খেয়েছি! মেরে, ধরে, অত্যাচার করেও কেউ আমার অভ্যাস ছাড়াতে পারেনি।
হিসু শুধু প্রতিবাদের কাজে না। জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। আপনার গাড়িতে তেল নেই? চিন্তা কী? গ্যাস ট্যাংক খুলুন, নল ঢোকান, হিসু করুন, তারপর নিশ্চিন্তমনে গাড়ি নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন (উদাহরণ: Gamer)।
আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বিরক্তিকর ছবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে ২০১২! ☺
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হিসুর নানাবিধ ব্যবহার জানতে পেরে মুগ্ধ হচ্ছি
২০১২ মন্দ লাগেনি, যদিও বেশি বড় ছবিটা। আর দেখায় বাধা পড়েছে সেটাতো দেখতেই পাচ্ছেন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি আর আমার ভাই অবশ্য আম্মুকে খুব জ্বালিয়েছি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, কাজেই নিজেদের মিনি-ভার্শন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে মনে হয়।
আমার ভাই-এর খুব মজার মজার 'হিসু' হিস্ট্রি আছে। মেয়েদের মনে হয় আগেই কন্ট্রোল করাটা রপ্ত হয়ে যায় কিন্তু ছেলেদের ''ফর অভিয়াস রিজন'' ছাড়ার পর্বটা দেরীতে হয়। এখন ও নিজেই দাঁত বের করে বন্ধুদের নিজের কেলেঙ্কারীর গল্প বলে।
মজার হয়েছে লেখাটা, হাসতে হাসতে শেষ! '২০১২' আমার কাছেও ভাল লাগেনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
হুম, ইটস এ টু ওয়ে রোড।
মেয়েদের মনে হয় সারাজীবন কন্ট্রোল করতে হয়। আমরা বুয়েটে পড়ার সময় ইলেক্ট্রিক্যাল বিল্ডিং কোন মেয়েদের বাথরুম ছিল না। আমাদের ব্যাচ আর আমাদের সিনিওর ব্যাচের মেয়েরা সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে বাথরুম আদায় করে নেয়।
ভেবে দেখ অবস্থা।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ঢাবি-তে একদমই যেতাম না, গেলে আইবিএ-তে নাইলে কমার্স ফ্যাকাল্টিতে। আর আমাদের সময় কলা ভবনে মাত্র চারতলা মেয়েদের কমন রুমটা হয়েছিলো দেখে অনেকক্ষণ থাকতে হলে এক-দু'বার গেছি, তাও নিজেরা ওয়েট টিস্যু/ মিনি সোপ ক্যারি করতাম। আমি একবার হ্যান্ড ওয়াশ-ও দিয়েছিলাম সবার ব্যবহারের জন্যে, তারপর পরদিন দেখি গায়েব! আর নীচতলায় একটা বড় কমনরুম আর সাথে লাগোয়া কয়েকটা ছিলো কিন্তু একবার বাথরুমে টাইলস লাগাবে বলে কয়েক মাস বন্ধ ছিলো - কী কষ্ট হয়েছে তখন হাজার হাজার মেয়ের যে বলার না!
বাংলাদেশে যে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (সব ধরনের বিল্ডিং-এ আসলে) ছেলে-মেয়েদের আলাদা আলাদা রেস্টরুম আর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকাটা কতটা জরুরি, সেটা মনে হয় লোকজন এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। খুবই দুঃখজনক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
হুমমম, ইএমই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় মেয়েদের একটা কমন রুম খুলে কেবল সেখানে একটা টয়লেট। নিচের দুই তলায় দেখিনাই। চার তলাতেও দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
টয়লেটের জন্যেও আন্দোলন করতে হয় মানুষরে! আজব জাতি!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কমনরুমের খালা তো মহারানি। উনি হেলেদুলে আসতেন বেলা এগারোটার দিকে। তার আগে প্রকৃতি ডাক দিলে যেতে হতো মেকার টিচার্স টয়লেটে। বাইরে আবার একজন পাহারায় রাখতে হতো অযাচিত প্রবেশ ঠেকাতে। মেয়েরা যে পথেঘাটে বসে পড়ে না এটা কর্তৃপক্ষের খেয়াল থাকে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মেয়েদের জন্য তিনতলার এই কমনরুম কাম বাথরুমটা ছিল না আগে, আমরা ফোর্থ ইয়ারে পড়ার সময় ছাত্রীদের চাপে তৈরি করা হয়েছে। ভিসির অফিসে স্মারকলিপি পর্যন্ত দিতে হয়েছে এর জন্য!!
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেটাই বলি, আজব জাতি! বিচিত্র দেশ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
শিশুরা বোধহয় এমনই হয়!
আমাদের কন্যাদ্বয়ের "ডু ডু" প্রীতির আধিক্য নিয়ে সাতকাহন লিখা যাবে! বড়টিকে ইতিমধ্যেই ডেন্টিস্টের অফিসে দৌড়াতে হয়েছে কিন্তু যেই লাউ সেই কদু...সযত্নে যে অভ্যাসটি তারা লালন করে এসেছে, তা তো বিসর্জনের নয়!
আপনার রাজকন্যাটির জন্য শুভকামনা রইলো!
মন্তব্যের এবং শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ অগ্নিবীণা।
লিখে ফেলুন, আমরাও পড়ি। শুভেচ্ছা রইল আপনার পরিবারে জন্য।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন যে আমার প্রবল হাস্যরোলে ঘরদোর উপচে পড়ছে, এবার কি হবে? এমন ফ্যাসাদেও ফেলতে পারেন আপনি!
দুদুর বদভ্যাস তাহলে দেখছি একা আমারই নয়!
কৌস্তুভ
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই মজারু
আনুশা এবং সামারা... রাজকন্যাদের জন্যে অনেক আদর!!
[ গূঢ়তর >গাঢ়তর
দুঃখিত ভাইয়া, আগে চোখে পড়েনি.. ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অফলাইনে বানান ভুল ঠিক করে দেওয়ার জন্য এখন অফিসিয়াল ধন্যবাদ।
"গূঢ়তর" ইচ্ছে করেই লেখা
আদর পৌঁছে দিলাম যথাস্থানে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালো প্রকাশ। শিক্ষণীয়।
আডি- শাফি উদ্দীন
guest_writer
Password: guest
Email: md.shfiuddin#gmail.com
ধন্যবাদ শাফি উদ্দীন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শাফি ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে কেন জানি এই লেখাটার কথা মনে পড়ে গেল!
২০১২ দেখতে দেখতে বারবার মনে হচ্ছিল, শেষ হয়না কেন, শেষ হয়না কেন!!
লেখা বরাবরের মতই উপাদেয়! বাচ্চাদের জন্য আদর।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহিম।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার শিশুপালন পড়ে ক্রমেই বুঝতে পারছি যে কাজটা মোটেও সোজা নয়। তাছাড়া দেশে বাবামায়েরা শিশুর মানসিক গঠন নিয়ে এতো ভাবেনও না বোধ হয়। সেটা ভালো না খারাপ বলা মুশকিল।
লিখতে থাকুন!
এই দেশে সমস্যাটা হচ্ছে বাবা-মা বহুবিধ ভূমিকায় থাকতে হয়। দেশে রোল গুলো বেশ ডিফাইন্ড; যেমন মামা কাকা স্পয়েল করবে, বাবা-মা শাসন করবে, দাদা, দাদী, নানা, নানি গল্প শোনাবে, অভিমান ভাংগাবে...এদেশে ওনাদের পাব কই? তাই নিজেকেই নানা ভূমিকা নিতে হয়। আমরা কখনো ডক্টর জেকিল, কখনো মিস্টার হাইড।
সাপোর্ট সিস্টেমটা নেই দেখে শিশুর ডাক্তার নানান খুঁটিনাটি দিকগুলো দেখতে বলেন। মার্কিনিরা বাচ্চা মানুষ করে খুব সেট রুল অনু্যায়ী, সেই জন্য প্রোডাক্ট কিছুটা ইউনিফর্ম হয়, মানুষের চরিত্রের বৈচিত্র্য এদেশে একটু কম মনে হয় আমার এখানে। আবার রুল ব্রেক করলে বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে জীবন অতীষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা আছে।
কাজটা কঠিন নিঃসন্দেহে। কিন্তু একই সংগে রিওয়ার্ডিং ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার প্রতিমন্তব্যও এতো চমৎকার যে আরেকবার মুগ্ধ হলাম।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজের অন্যগুলোর মতই মজা পেলাম আপনার এই লেখাটা পড়ে।
প্রতিবাদের ভাষাটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগল।
একটা ঘটনা মনে হল। কলেজে পড়ার সময় চিটাগাং এ এক বিয়ে বাড়িতে অনেক লোকজনের মধ্যে আমরা তিন কাজিন/বন্ধুর রাতে ঘুমানোর জায়গা হল নীচ তলার বিশাল বৈঠকখানায় (লিভিং রুম বা ড্রইং রুম যেটাই বলেন)। মিউজিক সেন্টার সহ চমৎকার আয়োজন, শুধু রাতে কোন বাথরুমে যাওয়ার উপায় নেই (গেস্ট রুমে অন্য ভিআইপি)। ঢাকার বন্ধু খুব সহজ সমাধান দিল – মেঝে থেকে শুরু করে পিছনের বিশাল গ্রীল দেয়া জানালা তো আছেই। কিন্তু প্রথম রাতেই ‘প্র্যাকটিস করার সময়’ বাইরে পাহারায় থাকা বিশাল দুই অ্যালসেশিয়্যান কুকুরের একজনের ভয়াল মুখ খুব কাছেই দেখতে পেয়ে তার ‘বন্ধ’ হয়ে গেছল।
‘ফরাসী জানালা’ থিওরী কাজ করল না। পরের দিন রাতে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে সে ঘোষণা করল পানিতে ভেজানো মানি-প্ল্যান্টের পানি জানলা দিয়ে ফেলে দিয়ে ‘ফ্রেস পানি’ দিয়ে বদল করে দেবে...।
মজা পেলাম। ধন্যবাদ নৈষাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুধের নেশার সাথে মনে হয় দুধ-দাঁতের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে। শুনেছি গুঁড়াকালে আমাকে দুধ-ছাড়া করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। অথচ এখন দুধ আমার দুই চোখের বিষ। "বাই-বাই বোতল পার্টি "র বুদ্ধিটা কেন যেন বেশ ফলপ্রসূ মনে হচ্ছে আমার। আনুষ্ঠানিকভাবে একটা মাইলফলক বসিয়ে দেওয়ার মতো: দিস ইজ হোয়্যার উই ডিপার্ট!
মূত্র-সূত্রে-প্রতিবাদের ব্যাপারে নিজের তেমন কোনো স্মৃতি নেই। তবে আমার পিচ্চি কাজিন হিসুপ্রতিবাদের বয়েসে প্রায়ই ভয় দেখাত- তার দাবি না মানলে বারান্দার গ্রিল দিয়ে বাইরে হিসু করবে। আর রাস্তাঘাটে পূর্ণবয়স্কদের প্রকাশ্যে মূত্রবিসর্জন করতে দেখলে প্রতিবারই আমার অদম্য বাসনা জাগে পশ্চাদ্দেশে পাদুকাস্পর্শে প্রতিবাদ জানাতে।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দুধের নেশাটা খুব খারাপ কিছু নয়। আমি ছোটদের বাই-বাই বোতলের বিরুদ্ধে। বরং বড়রা একটা বাই-বাই বোতল পার্টি করতে পারেন নেশা ছাড়ানোর জন্য
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উদ্ধৃতি
"বড়রা একটা বাই- বাই বোতল পার্টি করতে পারেন নেশা ছাড়ানোর জন্য"
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেন রে ভাই আমাদের পেটে লাথি দেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাইরে, বাই-বাই বোতল করলে আমারো পেটে লাথি পড়বে...কমায়ে দিয়ে দুই দিনে নামায়ে নিয়ে আসেন...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- পড়লাম, বেশ লাগলো, নিজের স্মৃতি মনে হলো। মাকে অনেক জ্বালাইছি ডুডু প্রীতি নিয়ে।
মন্তব্যের কয়েক জায়গায় দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষের বাথরুম করার দিকে নজর নেই, এমনকি নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও। আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষের সদয় অবগতির জন্য আপনার কন্যার মতো একটা সম্মিলিত প্রতিবাদের আয়োজন করা যেতে পারে। মানে হিসু থেরাপি আরকি!
পুরো বারান্দা জুড়ে বন্যা বইয়ে দেয়া। বিশেষ করে যারা নীতিনির্ধারক, তাদের খাস কামরার সামনের বারান্দা হলে আরো বেশি ভালো হয়। এক সপ্তার মধ্যে বাথরুম না হয়ে যাবে কই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাসতে হাসতে .....দিলাম।
একেবারে ধগ-মার্কা মন্তব্য।
তবে, সাফল্য সুনিশ্চিত।
---মহাস্থবির---
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রতিবারের মতই মজার লেখা। খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভ্রম।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ছোটভাইয়ের এইরকম হইছিলো- খুবই ভালোবাসতো সে তার বোতলটাকে। মোটামুটি আড়াইবছর বয়স পর্যন্ত দুপক্ষের টানাহেচড়ার পরেও কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছিলো না। তবে একদিনেই ব্যপারটার সমাধান হয়ে গেছিলো।
সে ওইটুকু বয়সেই পেপার 'দেখতে' খুব পছন্দ করতো। একদিন পত্রিকায় একটা বাচ্চাদের হাসপাতালের ওয়ার্ডের ছবি এসেছে (মোস্ট প্রবাবলি আইসিডিডিআরবি-র), অনেকগুলো বাচ্চা লাইন ধরে শোয়ানো- স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। সে পেপার টেনে নিয়ে গেলো বাবার কছে- ঘটনা কি তা জানার জন্যে, আর বাবাও তাকে বানান করে করে পড়ে শোনালেন (?) - আমার এখনো মনে আছে- দুধের বোতলে বিষক্রিয়া-
সেই যে সে দুধ খাওয়া ছাড়লো- এখন আমার থেকেও বড় দুগ্ধবিদ্বেষী সে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুগ্ধবিদ্বেষ ভালু না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওডিন।
আমিও বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার সপক্ষে যদিও আমি নিজে দুগ্ধজাত কোন খাবার খেতে পারিনা
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- আপনের ছোট ভাইয়ের পেপার টানাটানিতে নিজের স্মৃতিতেও টান পড়ে গেলো। হাসলাম কয়েক পশলা। আমার বাবুদের সব কাজকর্মেই ব্যাপক হাসি পায়। একেবারে প্রাণখুলে হাসি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার ছোট ভাইয়ের, পেপার-প্রীতি পড়ে আমার নিজের ছোট ভাইয়ের পেপার-প্রীতি মনে পড়ল। এতটাই আগ্রহী পাঠক ছিল আমার দু'বছরের ভাই, যে সে গরম গরম টাটকা নিউজপেপার গিলতে (আক্ষরিক অর্থেই!) ভালবাসত খুব। একদিন সকালে দেখা গেল কেউ খেয়াল করবার আগেই হকারের ফেলে যাওয়া পেপার কুড়িয়ে নিয়ে অর্ধেকটাই গলধঃকরণ করে ফেলেছে।
তাসনীম ভাই, আপনার মেয়েদের দুধের বোতল প্রীতি মজার লাগল। আমার নিজের এই বাতিক শুনেছি বছর তিনেক পর্যন্ত চলেছে, তবে স্কুলের শেষে মা'র আনা বোতল বেঞ্চ-এ বসে গলধঃকরণের সময় অন্য বাচ্চাদের টীটকারিতেই চলে গেছিল মনে হয়। আর আমার ভাইয়ের সত্যি বোতলে বিষক্রীয়া টাইপ ঘটনার ফলে শিশু-হাসপাতাল দৌড়ুনোর ঘটনাও ঘটে যাবায় বোতল ছাড়িয়ে চামচে আর পরে কাপে দুধ শুরু করান হয়েছিল অনেক বাচ্চা বয়সেই। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস আসলেই ভয়ঙ্কর হতে পারে! বোধহয় ঐ বোতল অ্যাডিকশন না হওয়াতেই তার নিউজপেপার অ্যাডিকশন হয়েছিল। কিছু একটা অ্যাডিকশন মনে হয় থাকতেই হয়! এ প্রসঙ্গে মনে পড়ল, ভাইয়ের ডাক্তারেরই বলা এক ঘটনা - অন্য এক বাচ্চার শঙ্কিত বাবা-মা ডাক্তারকে জানিয়েছিল বাচ্চা কাগজ খেতে পছন্দ করছে, তাতে বাচ্চা প্রতিবাদ করেছিল, "আমি দামী ম্যাগাজিন খাই না তো! খালি নিউজপ্রিন্ট খাই!"
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হিসু নিয়ে আমার কোন হিস্ট্রি আছে কীনা সেটা কিন্তু বলব না!!! লেখা ভালো লেগেছে বরারবরের মতই ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ বোহেমিয়ান।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই মজা পেয়েছি তাসনীম ভাই। কিছু জায়গায় তো সেরকম হাসলাম।
অটোমেটিক প্রিয় পোস্টের তালিকায় চলে গেছে।
সিরিজ অব্যাহত থাকুক - এই আশা করছি!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধন্যবাদ কাকুল কায়েশ। চেষ্টা করব সিরিজ চালু রাখতে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশে বড় হয়েছে। কানাডায় যখন আসে তখন ২ বছর। ছোটবেলা থেকে অভ্যেস ছিল ঘুমের মধ্যে দুধ খাবার। জেগে থাকলে কারো সাধ্যি ছিলনা ওকে দুধ খাওয়ানোর। এখানকার ডাক্তার বলল ওটা ছাড়তে হবে, সমস্যা আছে। প্রথমে কিছুদিন ঝামেলা করলেও এখন দিব্যি গ্লাস আর স্ট্র দিয়ে খাচ্ছে। তবে ঝামেলা হচ্ছে মাঝে মাঝে স্ট্র মুখে দিয়ে বসে থাকে, ভাব ধরে যে খাচ্ছে কিন্তু আসলে খাচ্ছেনা।
সিরিজ ভাল চলছে তাসনীম ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ। এদেশের ডাক্তাররা বোতলে দুধ খাওয়া পছন্দ করেন না, অনেক ক্ষেত্রেই বেশি দুধ খাওয়াও উনারা নিরুৎসাহিত করেন এতে নাকি অন্য খাবার কম খাওয়া হয় এবং অপুষ্টি হতে পারে। আমি পুরো মানতে পারি নি এই তথ্য।
তবে বোতল ছেড়ে গ্লাসে দুধ খাওয়ার অভ্যাসটা আসলেই ভালো। কিন্তু এটা করলে আবার দুধ কম খাওয়া হয়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছোটবেলায় বোতলপ্রীতি ছিল নাকি মনে নেই। তবে গোলাপি একটা প্লাস্টিকের গ্লাস ছিল, ঢাকনায় চুষনি ছিল, সেটায় করে "মাম" (পানি) এবং অন্যান্য তরল খেতাম। আর ছিল ছোট্ট একটা পিতলের বাটি, কিছু খেতে দিলে আমাকে ঐটায় দিতে হত, নাহলে খেতাম না।
ক্লাস ফাইভ/সিক্সে পড়ার সময় পাশের বাসার শয়তান বুড়ি (সে তার নাতির জন্য প্রতিদিন গোয়ালার থেকে দুধ কিনত) আম্মাকে বুদ্ধি দিল, "আপনার ছেলেকে দুধ খাওয়ান, ব্রেইন হবে (!!!), রেজাল্ট ভাল হবে।" উফফফফ! এর পরে একটা বছর (বা তার বেশি, মনে নেই) প্রতিদিন সন্ধ্যায় কপালে আর কিছু না থাকুক, থাকত এক মগ বিস্বাদ দুধ। উপরে সর ভাসত, মুখের ভিতর সড়াৎ সড়াৎ করত। চিল্লাচিল্লি করি বলে স্বাদ করার জন্য তাতে পরে মেশানো হল চিনি, হরলিক্স আরও বহু কিছু। মোটামুটি বিদ্রোহ-অনশন করে তারপর বন্ধ করেছি।
বুয়েটে আমার এক রুমমেটের কথা ছিল, "ফ্রি খাইতে দিলে আলকাতরা পর্যন্ত নামতে পারব, এর নিচে না।" আমার লেভেল বোধ হয় তার অনেক উপরে এক গ্লাস দুধে আটকে গেছে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার রেজাল্ট কেমন হয়েছিল? বুয়েটে যখন পড়েছেন তখন নিশ্চয় ভালোই ছিল তাহলে দুধের গুণ কিন্তু আছে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রেজাল্ট দুধের অত্যাচার বন্ধ হওয়ার বহু পরে ভালো হয়েছিল, তবে সেটা মারে ভয়ে। বুয়েটে এসে আবার খারাপ, (তখন আর কে মার দেবে?) খারাপ বলেই আম্রিকা এসে প্রফেসরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে ২ মাস।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
মাইরের উপর ওষুধ নাই।
আপনার কথায় মনে পড়ল, আমাদের সময় ভিসি স্যার (শাহজাহান) কয়েকবার ছাত্রদের চড় থাপ্পড় দিয়েছিলেন শুনেছি। উনি গেইট আটকানো দেখলে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে চলে আসতেন আর ব্যাপক বকাবকি করতেন।
অটঃ আপনি আম্রিকাতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন?
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
University of Tennessee - Knoxville
মাইরের উপরে ওষুধ নাই - কথা সত্য। কিন্তু এইটার খারাপ সাইডএফেক্ট আছে, মাইরের ভয় নাই বলেই আমার বুয়েটের রেজাল্ট খারাপ। কোর্সওয়ার্ক অসহ্য লাগে, কিন্তু আকাইম্যা সার্কিট বানাতে হেব্বি মজা!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
যারা এই একই প্রসেসের মাঝে দিয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য এই সিরিজ বাড়তি আনন্দের খোরাক দেয়। আর যারা এখনো যায়নি তাঁদের জন্যেও ইশারা রয়েছে এর মাঝে (চোখটিপি)। আমি বলি যে একদিন সবাইকেই এই প্রসেসের মধ্যে দিয়েই যেতে হবে, একটু আগে অথবা পরে।
আমি দেখতে পাচ্ছি যে আপনার সিরিজ মোটামুটি বইয়ের আকার ধারণ করছে। চিন্তা করে দেখতে পারেন। আমার অগ্রিম শুভ কামনা রইল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সত্য, সবাইকেই এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে। আশাকরি সবার যাত্রাই মসৃণ হবে।
বই করার জন্য প্রকাশক পাব কই?
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতোই চমৎকার লেখা
হিসুর কথায় একটা জিনিস মনে পড়লো- প্রতিদিনই ঢাকা শহরের অনেক "অন দ্য রোড" বস্তির পাশ দিয়ে যাই, বিশেষত পরিবাগ বস্তির সামনে দিয়ে। আমি প্রতিদিনই ভাবি, এতো লোকজন তাঁদের এই আবশ্যক কর্মটুকু করেন কোথায় ? প্রায়ই যে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারি না, তার জন্য দোষ কি এঁদেরও দেওয়া যায় ?
আপাতদৃষ্টিতে খুব তুচ্ছ এই ইস্যুটা কিন্তু আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
২০১২ সিনেমাটা বেশ বিরক্তিকর - অতিরিক্ত সিনেমাচিত হওয়ার কারণে। ডিজাস্টার মুভিগুলির সব একই প্যাটার্নও যথেষ্ট বিরক্ত লাগে- সেই তুলনায় দ্য ডে আফটার টুমরো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। তবে ২০১২ এর মূল বৈশিষ্ট্য সম্ভবত এর স্পেশাল ইফেক্ট- রাত চারটার সময় দেখা শুরু করেছিলাম। বাকি সময়টুকু বন্ধ করি-করছি করেও, শুধু মাত্র স্পেশাল ইফেক্টের জোরেই বন্ধ করতে পারি নি।
(পুরা চব্বিশ ঘন্টা পর মন্তব্যটা প্রকাশ করলাম। গতকাল এই সময়েই মন্তব্য করতে নিয়েছিলাম। লোডশেডিং এর কারণে মন্তব্যটা টেক্সট ফাইলে সেভ করে রেখেছিলাম। পুরা একদিন পর মন্তব্যটা প্রকাশ করার সময় পেলাম !! )
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা।
দোষ দেওয়া যায় না। উপরের মন্তব্যে দেখবেন বুয়েটের মত জায়গায় ইলেক্ট্রিক্যাল বিল্ডিং মেয়েদের কোন বাথরুম ছিল না, আমাদের পরিকল্পনাকারীরা বাথরুমের মত নোংরা ব্যাপার নিয়ে মনে হয় ভাবেন না।
এই এক্সট্রা খাটনির জন্য আপনাকে এক্সট্রা ধন্যবাদ
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার পিচকুরা বড় হয়ে যখন পড়বে এই লেখাগুলো
বিশাল মজা পাবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পিচকুদের বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে দিন দিন, বড় হওয়ার পর মনে হয় এগুলো ইংরেজীতে অনুবাদ করতে হবে
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাই-বাই বোতল পার্টি করার ব্যাপারটা তো দারুণ!
আর ভালো লাগার কথা আর কতোভাবে বলা যায়, বলেন।
বুইঝা নিয়েন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হেইডাই!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটা ইমোশনাল এটাচমেন্ট হয়ে যেতে পারে। শরীরের একটা অংশের মতই বোতলের জন্য ভালবাসা জন্মে যেতে পারে ।
আমার ছেলে পণ করেছিল জন্মের পরে এক টান বোতলের দুধ খাবে না । মাতৃভক্ত (মাতৃদুগ্ধভক্ত?) এই ছেলে প্রায় আড়াই বছর এমন করে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকল যে মনে হত ও আমার শরীরেরই একটা অংশ । এখন মনে হয় মন্দ ছিল না দিনগুলি…
প্রতিবাদের ভাষা পড়ে ব্যাপক আনন্দ পেলাম ।
আপনার স্মৃতির শহরের কী খবর? অপেক্ষায় আছি ।
………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। স্মৃতির শহর আসিতেছে, চোখ রাখুন ব্লগের জানালায়...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
''চৈত্রী''
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি বোতলে ডুডু খেতাম না কখনোই। ডুডু খেতাম বাটিতে করে কিন্তু পানি খেতে পারতাম না। পানি খেতাম বোতলে করে। সেই বোতল আমার এতো প্রিয় ছিলো যে সেটা কখনো কোল থেকে নামাতাম না। কিভাবে জানি খেলতে যেয়ে বোতলটা হারিয়ে ফেলি। বাসায় আসার পর আম্মু বলল, বোতল হারিয়ে ফেলেছো! এখন তো তোমাকে গ্লাসে করে পানি খেতে হবে। আমি কি বুঝলাম কে জানে আর কোনদিন তারপর থেকে আর বোতলের জন্য কান্না করি নি।
প্রতিবাদের ভাষাটা খুব মজার। আম্মু বলে এটা আমার খুব বাজে অভ্যাস ছিলো। জিদ করে কিছু আদায় করতে হলে আমি এইসব করতাম। তাও আবার যেখানে সেখানে না। সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা বিছানায়!
নতুন মন্তব্য করুন