এবার ঠিক হলো আমরা পোর্টল্যান্ডে যাব। আমরা টেক্সাসের লোক, আমাদের দৌড় ডালাস আর হিউস্টন পর্যন্ত। এই শহরগুলো যাঁরা তৈরি করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, শহরগুলো দেখতে বেশি “ইয়ে” না। বেশ জঘন্যই বলা যায়। ক্যালেন্ডারের পাতায় আমেরিকার যেসব সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখা যায় সেগুলো আমাদের এই তল্লাটে নয় সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু পোর্টল্যান্ডে যাব বললেই তো হয় না, গুগল দেখাচ্ছে আমাদের বাসা থেকে পোর্টল্যান্ড প্রায় ১৮০০ মাইল দূরে। এর সমান পথ আমি গাড়িতে ড্রাইভ করেছি আগে, কিন্তু তখন বয়েস কিছুটা কম ছিল, হুটহাট হাঁটুও ব্যথা করত না। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তখন একা ছিলাম, বর্তমানে আমি সংসার নামক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধান। এই কাজে বেতন না থাকলেও ঝামেলা প্রচুর, শেয়ার হোল্ডারদের মন জুগিয়ে চলতে হয় আর এক্সপেক্টেশন মিট না করলে বকাঝকা আর গঞ্জনাও আছে। গাড়িতে গেলে প্রচুর সময় ও শক্তির অপচয় হবে এই ভেবে উড়ে যাওয়াই সাব্যস্ত হলো। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের মাইলেজ ভেঙে অর্ধেক পথ যাওয়া যাবে আর বাকিটার জন্য আছেন মাস্টারকার্ড।
পোর্টল্যান্ডে আমার বাল্যবন্ধু কবি এহসান নাজিম থাকে ওর সাথে দেখা হওয়াটাও দরকার। নাজিম ছাড়াও আরো ৯ জন বন্ধু থাকে এই শহরে। এঁরা সবাই ইন্টেল নামক কারখানার শ্রমিক। ইন্টেলের সবচেয়ে বড় কারখানাটাও ওই শহরেই। পোর্টল্যান্ডে আমার বন্ধুরা সবাই একই পাড়ায় থাকে। আপনি যদি ওই পাড়ায় জোরে একটা ঢিল মারেন তবে যেই জানালার কাঁচটা ভাঙবে সেটাও মনে হয় ইন্টেলের কোন কর্মীর বাসা হবে। শতকরা আশিভাগ সম্ভবনা হবে সে বাসার বাসিন্দারা ভারতীয় উপমহাদেশ অথবা সুদূর চিন দেশ থেকে এসেছেন তাঁদের মেধা বেচতে। ঠিক হলো নাজিমের বাসায় পায়ের ধূলা দেব, দিনে ওর গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াবো আর রাতে আড্ডা দেব বন্ধুদের সাথে। থাকা আর খাওয়া পুরো ফ্রি, কোন কাজ নেই ঘোরাঘুরি আর আড্ডা। আমার বর্তমান জীবনের বাস্তবতায় প্রায় স্বপ্নের মত ভ্যাকেশন।
নানান ঝামেলা সেরে অগাস্ট মাসের তিন তারিখ সন্ধ্যা আটটার সময়ে আমরা পোর্টল্যান্ডে পৌঁছালাম। বড় মনোরম এই শহর। বেশি বড় নয় তাই রাস্তায় ব্যস্ততাও কম। তাপমাত্রা খুবই অনুকূল একটু ঠান্ডার দিকেই বরং। পোর্টল্যান্ডের আকাশটা প্রায়ই গোমড়ামুখো হয় আর তার সাথে টিপটিপ বৃষ্টিও হয় যদিও আমাদের যাত্রাকালে খুব বেশি হয় নি একটা। একটু দূরে পাহাড়ের নীল রেখা, রাস্তাগুলো আঁকা-বাঁকা, গাছগুলো সব উর্ধ্বমুখি আর বাংলাদেশের শরৎকালের মত নীল আকাশে সাদা সাদা মেঘ যেটার দেখা নাকি গ্রীষ্মের অল্প কয়েকটা দিনই মেলে। পোর্টল্যান্ডের কয়েকটা ছবি দিলাম নিচে।
পোর্টল্যান্ডের রাস্তার পাশের দৃশ্য-১
পোর্টল্যান্ডের রাস্তার পাশের দৃশ্য-২
আপনি যদি ভূগোলে আমার মতই একটু কাঁচা হন তাহলে আপনার জন্য বলছি, আমেরিকার উত্তর পশ্চিমের একটা রাজ্য অরিগন আর পোর্টল্যান্ড হচ্ছে সেই রাজ্যের একটা শহর। এর ঠিক উত্তরেই ওয়াশিংটন রাজ্য, সেখানকার শহর সিয়াটল বেশ বিখ্যাত, পোর্টল্যান্ড সিয়াটল থেকে মাত্র দুইশ মাইল দূরে একদম ওয়াশিংটন রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে। অরিগনের পশ্চিম পাশেই প্রশান্ত মহাসাগর যেটার উষ্ণস্রোতের প্রভাবে খুব বেশি শীত বা বরফ কোনটাই পড়ে না পোর্টল্যান্ডে। তবে প্রশান্ত মহাসাগরের পানিতে পা চুবালে আপনি কোন উষ্ণতার সন্ধান পাবেন না বরং বেশ হিমশীতলই মনে হবে একে। পোর্টল্যান্ডের কাছে সমুদ্র আছে, পাহাড় আছে, হ্রদ আছে, নদী আছে, আগ্নেয়গিরি আছে, বড় শহর আছে, অরণ্য আছে, জলপ্রপাত আছে, এত কিছু কিভাবে দেখব?
প্রথম দিন ঠিক করলাম সমুদ্র দর্শন করব। সৈকতের নাম ক্যানন বিচ, এর পাশেই ছোট একটা অরণ্য যার নাম ইকোলা স্টেইট পার্ক। পথটা মনোরম, জঙ্গল কেটে এঁকেবেঁকে বেরিয়ে গেছে ছোট একটা রাস্তা। পোর্টল্যান্ড থেকে পঁচাত্তর মাইল পশ্চিমে, যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টার মত। পথে যেতে যেতে আমার বেটার হাফ সন্দেহ প্রকাশ করলেন যে এই অঞ্চলেই নিশ্চয় twilight ছবির শুটিং হয়েছে। ছবিটা আমার কাছে তেমন পদের লাগেনি কিন্তু লোকেশনটা দারুণ ছিল নিঃসন্দেহে এবং ইকোলা স্টেট পার্কের ভেতরটা দেখে আমারো তাই মনে হচ্ছিল। পার্ক রেঞ্জারকে জিজ্ঞেস করতে উনি জানালেন যে আসলেই পার্কের ভেতরের একটা সৈকতে twilight ছবির একটা দৃশ্য নেওয়া হয়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরের এই ছোট অরণ্য আর সৈকত দেখে আমার মনে হয়েছে যে প্রশান্ত মহাসাগর হচ্ছে মেঘ তৈরির কারখানা। রোদেলা সৈকত হঠাৎই মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে আবার জোরে হাওয়া আসলে পাঁচ মিনিটেই মেঘের বিষন্নতা কেটে হাসিখুশি হয়ে যাচ্ছে জায়গাটা। মাত্র কয়েকশ ফুট উচ্চতার ইকোলা স্টেট পার্কে হাত বাড়ালেই যেমন মেঘ ছুঁতে পারবেন আর তেমনি হা করলেই মেঘ গিলতেও পারবেন। কয়েকটা ছবি জুড়ে দিলাম।
ইকোলা স্টেট পার্কের সৈকত-১
ইকোলা স্টেট পার্কে মেঘের আনাগোনা
ইকোলা স্টেট পার্কের পাথুরে সৈকত
ফেরার পথে তেল নিতে থামতে হলো। গ্যাস স্টেশনে থামতেই এক ছোকরা এসে গাড়িতে তেল ভরে দিল। জঙ্গলের ভেতর নির্জন একটা জায়গায় গ্যাস স্টেশনটা, আশেপাশে ভ্যাম্পায়ারও আছে হয়ত প্রচুর। খুন করে ফেলে গেলেও কেউ জানবে না। এই জন্যই কি এত সাবধানতা? পরে নাজিম জানালো এটাই অরিগন রাজ্যের আইন যে দেশি কায়দায় মানুষ এসে তেল ভরে দেবে গাড়িতে। কেন এই আইন? জানা গেল যে বিভিন্ন পরিবেশবাদি আইনের কারনে এই রাজ্যের টিম্বার ইন্ডাস্ট্রি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, নতুন কাজ সৃষ্টির জন্যই নাকি এই ব্যবস্থা। আমার সাতদিনের সফরে নানান দিক দিয়ে এই রাজ্যকে পরিবেশবাদি ও প্রো-সিটিজেন মনে হয়েছে।
পরের দিনের গন্তব্য পোর্টল্যান্ডের পূর্বে মাউন্ট হুড আর মাল্টিনোমাহ ফলস। এবার একটা ফ্রি-ওয়ে নিতে পারলাম, রাস্তাটা অরণ্য ঘেরা না হলেও বেশ সুন্দর। রাস্তার ধার ঘেঁষে বয়ে চলেছে কলাম্বিয়া নদী, আমাদের টেক্সাসের মত মরা নদী নয়, বরং বাংলাদেশের নদীগুলোর মত বেশ পূর্ণ যৌবনা সেই নদী। মাল্টিনোমাহ ফলস দেখে “লর্ড অব দ্য রিংস” ছবিটার এর কথা মনে হতে পারে। ছবি দিলাম কয়েকটা। পেছনে কড়া আলো থাকাতে ছবিগুলো মনঃপূত হয় নি আমার নিজেরো।
মাল্টিনোমাহ ফলস-১
মাল্টিনোমাহ ফলস-২
মাল্টিনোমাহ ফলসে দেখার মত খুব বেশি জিনিস নেই। দুপুরের মধ্যেই ঘোরা শেষ। সেখান থেকে রওনা দিলাম মাউন্ট হুড ন্যাশানাল ফরেস্ট। চারিদিকে বিশাল অরণ্য আর তার মাঝে এক দাঁড়িয়ে আছে নিঃসঙ্গ এই পাহাড়। উইকিপিডিয়া বলছে মাউন্ট হুডের উচ্চতা ১১,২৪৯ ফুট। আমি কলোরাডোতে এর চেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠেছি গাড়ি নিয়ে যদিও সেটা বেশ ভীতিপ্রদ অভিজ্ঞতা ছিল। কলোরাডোতে ১৪০০০ ফুটের পাইক'স পিকে ওঠার কয়েকদিন পরে আমি ভয়াবহ এক মাথাঘোরা রোগে আক্রান্ত হই, গিন্নি সেটা মনে করিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেন আমাকে। এদিকে আমার ক্যামেরার ব্যাটারির চার্জও প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছিল, চার্জ ছাড়া ব্যাটারি নিয়ে চূড়ায় উঠে কী লাভ? আশেপাশে ব্যাটারির দোকানও নেই। আমি মোটামুটি ২০০০ ফুটে উঠে জঙ্গলের মাঝখানে নিচের ছবিগুলো তুলেছি। তবে দুদিন পরেই জীবন্ত আগ্নেরগিরি মাউন্ট সেইন্ট হেলেন দেখতে গিয়ে বুঝলাম যে অরিগন আর ওয়াশিংটনের রাস্তাগুলো কলোরাডোর মত রাস্তাগুলোর অত খাড়া নয়, বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ও কানে চাপ দেয় না তেমন। মাউন্ট হুডে উঠলেও মন্দ হতো না।
মাউন্টহুড ন্যাশানাল ফরেস্ট-২
দু'দিন পরে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল ওয়াশিংটন রাজ্যের মাউন্ট সেন্ট হেলেন, জীবন্ত এক আগ্নেরগিরি। সাধু হেলেন ১৯৮০ সালের মে মাসের ১৮ তারিখ সকাল সাড়ে আটটার সময় ভয়াবহ এক বিস্ফোরন ঘটিয়ে ছিল, তাতে প্রাণহানি যেমন হয়েছে তেমনি হয়েছে সম্পদহানি, আর মুহূর্তের মধ্যে জায়গাটার ভূপ্রকৃতি পালটে গিয়েছে। তবে মাউন্ট সেন্ট হেলেনে সরাসরি ওঠার ব্যবস্থা নেই, যেতে হবে কাছের আরেকটা পাহাড়ে, সেখানে মাউন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাতে নিহত ভলকানোলজিস্ট ডেভিড জনস্টনের নামে একটা অবজার্ভেটরি স্থাপনা করা হয়েছে। পথে যেতে যেতে জমাট লাভা দেখা যায়, গাছের মরদেহও রাখা আছে পথের পাশে। আশির দশক ও নব্বইয়ের দশকে অনেক নতুন প্ল্যান্টেশনের ফলে জায়গাটার ক্ষতির ভয়াবহতা ঢাকা পড়েছে। ভূপ্রকৃতি পালটে একটু নতুন লেইকেরও আবির্ভাব হয়েছে সেখানে। গুগল করে দুটো ভিডিও দিয়ে দিলাম।
জনস্টন অবসার্ভেটরিতে একটা ডকুমেন্টারি ছিল মাউন্ট হেলেনের উপর, যেটা দেখলে আত্মার পানি কিছুটা হলেও শুকিয়ে যায়। ওয়াশিংটনের এক রেডিও জকি সরাসরি ধারাবর্ণনার জন্য অগ্নুৎপাতের দিন সেখানে ছিল, আর্তনাদের মত তাঁর শেষ কথাগুলো মানুষ রেডিওতে সরাসরি শুনেছে, ডকুমেন্টারিতে সেই চিৎকারটা শুনে আমার ২০১২ মুভির ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। সব আগ্নেরগিরি নাকি বিস্ফোরন ঘটায় না কিন্তু মাউন্ট সেইন্ট হেলেন ৩০০ মাইল/ঘন্টা বেগে আগুনের গোলা ছুঁড়ে মেরেছে দিকবিদিক । আগ্নেরগিরির চারিদিকে একটা অংশকে ব্ল্যাস্ট জোন বলে দাগ দেওয়া আছে, অর্থাৎ সাধু ক্ষেপে গেলে সেই অংশেই ব্রহ্মশাপ পড়বে, জনস্টন অবসার্ভেটরি সেটার ভেতরেই। ঠান্ডা মাথায় ভাবলে একটু ভয়ই লাগে, যদিও মানুষ পটাপট ছবি তুলছে। ১৯৮০ সালের অগ্নুৎপাতের আগে মানুষ এখানে ভ্যাকেশন করতে আসত, পাহাড় আর হ্রদ দেখতে আসত, আর আজ আসে আগ্নেরগিরি দেখতে অর্থাৎ এই পাহাড় দেখিয়ে আগেও ব্যবসা চলত এবং আজও ব্যবসাই চলছে। মার্কিনিদের কাছে আমাদের জিনিস বেচা শেখা উচিত। ১৯৮০ সালের অগ্নুৎপাত আগ্নেরগিরি বিষয়ক গবেষণা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে, এখন প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই নাকি অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কথা না বাড়িয়ে কয়েকটা ছবি দিলাম। দিনটা মেঘলা ছিল, আমরা গাড়ি থেকে একবার মাত্র পুরো আগ্নেরগিরিটাকে পরিষ্কার দেখেছি, ছবির তোলার সময় মেঘ ও পরে বৃষ্টি ছিল।
মেঘে ঢাকা মাউন্ট সেন্ট হেলেন
ব্ল্যাস্ট জোনে লাভা ঠেলে সবুজের উঁকিঝুকি
ব্ল্যাস্ট জোনে অগ্নুৎপাতের পর তৈরি হওয়া নতুন লেক (কোল্ডওয়াটার লেক, নামকরণ ঠিক আছে)
আগেই বলেছি যে পোর্টল্যান্ড ওয়াশিংটন রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে। বিশ মিনিট গাড়ি চালালেই ঢোকা যায় ওয়াশিংটনে এবং ঢুকলেই ভ্যাঙ্কুভার নামে এক শহর পড়বে। আমি সেইন্ট হেলেন যাওয়ার পথে এই শহর দেখে মুহূর্তের জন্য ভেবেছিলাম যে পথ ভুলে এবং ভূগোলকে আর বর্ডারের সব প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে ক্যানাডাতে ঢুকে পড়েছি হয়ত। পরে মনে হল মূলত পাঠকের এক লেখায় এই শহরের কথা আছে।
এর পর ঠিক হলো ২০০ মাইল উত্তরের শহর সিয়াটলে যাওয়া হবে ট্রেনে। আমি বহুদিন আগে এমট্র্যাকে চড়েছিলাম একবার এরপর অনেক চন্দ্রভুক অমাবশ্যা কেটে গেছে আর চড়া হয় নি। ট্রেনে চড়ার কথা উঠলেই শৈশবের কথা মনে হয়, তেজগাঁর বাসায় ২০০ গজ দূরে স্টেশন ছিল, আমার স্মৃতির শহরে অনেকটাই জুড়ে আছে সেই ছেলেবেলার রেল। যাতায়াতের জন্য ট্রেন দারুণ একটা বাহন, আমি খুব বড়লোক হলে একটা ট্রেন কিনব নিশ্চিত। পোর্টল্যান্ড থেকে সিয়াটল সাড়ে তিন ঘন্টার পথ, নিজে গাড়ি চালালে আশে-পাশের দৃশ্য বেশি একটা দেখা যায় না তাই রেলগাড়িতে উঠে মনে হলো বেশ ভালোই করেছি। কিন্তু রেলগাড়িতে একটা আরামদায়ক দুলুনি থাকে তাই চারপাশের দৃশ্য বেশি উপভোগ করা যায় না, বরং দু-চোখ জুড়ে ঘুম এসে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হলো না, একটু পরেই দেখলাম চারিপাশটা বেশ নিদ্রারাজ্যে পরিণত হয়েছে। ট্রেনের ভেতর থেকে তোলা কোন ছবি তাই দিতে পারলাম না। ঘুম ঘুম চোখে আমার মনে পড়ল প্রায় পঁচিশ বছর আগে আব্বার সাথে ট্রেনে কুমিল্লা যাত্রা, আমি মনে হয় প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম সেটার কথা। এই পঁচিশ বছর পরে কী যাদুমন্ত্রবলে আমিই বাবার ভূমিকায়, আমার সন্তানের জন্য এটাই ছেলেবেলার রেল, অনেকদিন পরে হয়ত ওরাই লিখবে এই ভ্রমণের কথা...সেই শীতের কুয়াশা ভেঙ্গে বাবার সাথে রেলগাড়িতে চড়ার কথা আমার যেমন মনে আছে, তেমনি হয়ত ওদেরও মনে পড়বে...আর না পড়লেই বা কী?
সিয়াটলের ধারেকাছে পৌঁছানোর পরে ঘুম ভাঙলো। আমরা ডাউনটাউনেই থাকবো, হাতে সময় মাত্র কয়েক ঘন্টা, তাই হোটেলে ব্যাগ-ট্যাগ রেখে এক দৌড়ে শহর ভ্রমণে বের হলাম। ম্যাপ খুঁজলে সিয়াটলের পাশেই অনেক নীল রঙ দেখা যাবে, দেখা গেল আমাদের হোটেলটা পানির থেকে খুব দূরে নয়। তবে জলভ্রমণের চেয়েও আমার ভালো লেগেছে সিয়াটলের ডাউনটাউনের পাইক'স প্লেস মার্কেট। ঢাকার গাউসিয়া হকার্স মার্কেটের মার্কিনি সংস্করণ এই বাজারের পাবেন জনসমুদ্রের মাঝে ঝলমলে পসরা নিয়ে বসা ছোট ছোট সব দোকান। সিয়াটলে তোলা কিছু ছবি নিচে দিলাম।
সিয়াটল ডাউনটাউনে স্পেস নিডল
পাইক'স প্লেইস মার্কেট
আমি শহর-টহর বেশি ভালোবাসিনা। আমার ভালো লাগে প্রকৃতি, সচলে একজন প্রকৃতিপ্রেমিক আছেন তাই ওই নিকটা নিতে পারছি না। প্রকৃতিপ্রেমিক-২ নিকটা নিলে কেমন হয়? একটু দুই নম্বর গন্ধ আছে যদিও। শহর ভালো না লাগলেও সিয়াটল বেশ ভালো লেগেছে। শহরটাতে পুরানো পুরানো একটা গন্ধ আছে, আর আছে সেটার সাথে খুব মানানসই বিমর্ষ একটা আকাশ। শুনেছি সিয়াটলে আত্মহননের ঘটনা খুব বেশি হয়। অনেক বছর আগে মিডওয়েস্টে থাকার সময় শীতকালে মনে হতো অন্ধকার আকাশটা বুকের মধ্যে চেপে বসে আছে, প্রায়ই পালাতে মন চাইতো। টেক্সাসে এসে দগদগে সূর্যটাকে তাই বড় ভালো লাগে। বাইশ ঘন্টা এই শহরে ঘুরে পাঁচ মিনিটও সূর্যের দেখা পাই নি সিয়াটলে, এই শহরে মানুষদের বিষণ্নতা বোঝা দুষ্কর কিছু নয়।
ভ্রমণকাহিনীতে লেখা ও ছবির যেই অনুপাত থাকা উচিত আমি মনে সেই অনুপাতের চেয়ে বেশি প্যাঁচাল পেড়েছি। এবার থামা উচিত, কারণ সিয়াটল থেকে পোর্টল্যান্ড ফিরেই পরদিন টেক্সাসে ফিরে আসা। এরপর অফিস, বাসা, ফেসবুকিংসহ আমাদের জীবনে যেসব বিরক্তিকর ব্যাপারগুলো আছে সবগুলোই ফিরে এসেছে তাদের আপন মহিমায়। শুধু এই আশা আছে আমি আবারো নতুন কোন পাহাড়ে যাব। পাহাড়ের চূড়ায় হাইস্পিড ইন্টারনেট, একটা স্টারবাকস কফির দোকান, আমার বিছানা আর প্রিয় বালিশটা থাকলে আমি হয়ত নিচে নামব না, কোনদিনই না। আশা নিয়েই বেঁচে আছি।
মন্তব্য
প্রকৃতিপ্রেমিকের বিকল্প হতে পারে নিসর্গনাগর।
নাগর শুনলে কেমন একটু অবৈধ প্রেম অবৈধ প্রেম মনে হয়। তাও খারাপ না, নিষিদ্ধ বস্তুর আকর্ষণ বেশি হয় সবসময়
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নিসর্গের সদস্যদের একটা নাম আছে, নিসর্গী। আপনি সেটি নিতে পারেন।
লেখা তো আগেই পড়া...
লেখা তো সবসময়ই ভালো...
ভাইয়া, নুতন আর কী?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আছে একটু নতুন কিছু...সেটা হচ্ছে এবারের লেখাতে লাইন প্রতি বানান একটু কমই ভুল হয়েছে...সেটা সম্ভব হয়েছে তোমার ও বুনোহাঁসের বহুদিনব্যাপি অক্লান্ত শ্রমে আমি তোমাদের কাছে অনেক কিছুই শিখেছি যদিও ভুল এখনো হয়, ভবিষ্যতেও হবে।
অনেক ধন্যবাদ তোমাদেরকে...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার! লেখা ও ছবি দুটোই!
কি মাঝি, ডরাইলা?
ধন্যবাদ দ্রোহী।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা, ছবি সবই খুব ভালো লাগলো।
ডাউনটাউন সিয়াটলের ছবি দেখলে গ্রেস অ্যানাটমীর কথা মনে পরে!
ধন্যবাদ ভ্রম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন থেকেই মনের বাসনা অরিগন যাবার; আপনার ছবিগুলো দেখে সেটা আরো বেড়ে গেল :দীর্ঘশ্বাস: .
বাসনা পূর্ণ হবে সুনিশ্চিত এই কামনা করছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বড় হয়ে নেই। বড় হয়ে আমিও পোর্টল্যান্ড যাবো, সিয়াটল যাবো। তারপর সিয়াটল নিয়ে একটা কল্পগল্প লিখবো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবশ্যই...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়লাদ আর দেখলাম। সিগালের ছবিটা সবচাইতে জোশ হইছে।আর ইকোলা স্টেট পার্কের সৈকত-২ এর ছবিটাও দারুন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ। তোমার ক্যানাডিয়ান রকি বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাবও মনে ধরেছে। দেখবে কোন এক সকালে হাজির...পাহাড়ে যেতে যে দারুণ লাগে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম, এই সেই ভ্রমণ যখন আপনি অন্য ভ্যাঙ্কুভারের কাছাকাছি গিয়াও আসি আসি করে আসেন নাই... যাহোক ছবিগুলি বড় সুন্দর বলে আর কিছু বললাম না...
হাতে সময় ছিল না রে ভাই...বোস্টনে এসে পোষায়ে দিব
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক বলছেন তো? কথা নিয়ে রাখলাম কিন্তু...
পুরোই ঠিক...কোন এক সকালে নিজের গাছের কাঁঠাল হাতে নিয়ে উপস্থিত হব।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটা বিষয় খেয়াল করলাম। উত্তর আমেরিকা আর কলকাতার লেখকেরা তাদের লেখায় রাস্তাঘাটের বর্ননা দিতে প্রচুর শব্দ খরচ করেন। তুলনায় ইউরোপ বা এশিয়ার অন্য এলাকার লোকেরা এটা করে না। এই পার্থক্যের কারণ কী হতে পারে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইটা লক্ষ্য করিনি। তবে আমি নিজে যেকোন জায়গায় গেলে রাস্তাঘাট মনোযোগ দিয়ে দেখি। আমেরিকানদের জন্য রাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ওদের আলোচনাও হয় রাস্তাঘাট নিয়ে, গান টানও বাঁধে ওরা রাস্তা নিয়ে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি এ্যামেরিকানদের কথা বলি নাই। এ্যামিরিকান এক্সপ্যাট্রিয়েটদের লেখার কথা বললাম। ওদিক কলকাতার স্থানীয় লেখকদের কথা বলেছি। তাদের কল্যানে আমরা কলকাতায় না গিয়েও ওখানকার অনেক রাস্তার নাম জানি। তুলনায় কলকাতার বাংলাদেশি বই পড়ুয়া পাঠক ঢাকার অতোগুলো রাস্তার নাম বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের লেখকরা উপন্যাসে রাস্তার বর্ননা কম লেখেন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অদ্ভুত সুন্দর, লেখা এবং ছবিগুলো। আমি একটা ছবি ব্লগ করতে চেয়েছিলাম, কিভাবে একটার বেশী ছবি আপলোড করা যায়,খুঁজেই পেলাম না।:(। এই ব্যাপারে একেবারে মুর্খের পর্যায়ে আমি।
আপনার ছবিগুলো দেখে তাই মন ভরে গেল।
আকাশনীলা
ধন্যবাদ আকাশনীলা, যদিও আমি নামটা পড়েছিলাম আকাশলীনা।
ছবির জন্য সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে ফ্লিকার, আর সেখান এম্বেড কোড কপি করে ব্লগে জুড়ে দেওয়া। একটা টিউটরিয়াল আছে, সময় পেলে এই মন্তব্যে জুড়ে দেব।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছবির ব্যাপারে টিউটরিয়াল এখানে পাবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আকাশলীনা বা আকাশনীলা- একটা হইলেই হইলো।
আমার এখনো অনেক কিছু শিখতে হবে আপনাদের কাছ থেকে।
আকাশনীলা
পড়লাম আর দেখলাম। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হইছে। অরিগন যাইতে মন চায়...
_________________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ধন্যবাদ ভাই, মনের আশা পূর্ণ হোক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছবি দেখেই ঘোরা হলো, মানসভ্রমণ। যখন গেছিলাম ঐ দিকে, অফিস হোটেল আর এয়ারপোর্টের বেশি কিছু দেখা হয় নি ছয় সপ্তাহেও। ভাল্লাগ্লো।
শিশুপালন অনেক দিন দেখি না, লিখবেন নাকি আরেক পিস?
ধন্যবাদ। অনেকদিন পরে মন্তব্যের ঘরে আপনাকে পেলাম, ওয়েলকাম ব্যাক।
পোর্টল্যান্ড আসলেই অসাধারণ। সময় পেলে আশেপাশে ঘুরে দেখবেন আগামী সফরে।
শিশুপালন আসবে শিগগিরই...অর্ধেক লেখা হয়ে আছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমিও।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আসলেই...পৃথিবীটা সমতল হলে খুব খারাপ হতো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খাইসে! এইখানে Twilight এর শুটিং করে থাকলে তো বই-এর সাথে আশ্চর্য রকম মিল থাকার কথা বিচের, মেঘমল্লারের (ছবি: সৈকত-১,২)! কিন্তু আমার তো সিনেমা দেখে লোকেশন সিলেকশন একদমই ভাল লাগে নাই! হুম আরেকবার খেয়াল করতে হবে (কিন্তু ঐ সিনেমা আরেকবার দেখব মনে হয় না! )।
আর মাল্টিনোমাহ ফলস-১ এর ব্রিজটা আমাকে সেই ফেলোশিপ অফ দি রিংস-এর এলভ রাজ্যে যাবার পথটা মনে করায় দিয়েছে, বলেছিলামতো আপনাকে। দেখি বড় হয়ে নেই, এইখানে ঐ ব্রিজের পাশে পাহাড়ের গায়ে বাড়ি বানায়ে না থাকতে পারি, অন্তত এল্ভিশ ফটো তোলার জন্যে হলেও আমি একদিন এইখানে যাবই!
বাড়ির নেট স্পিড দিয়ে সব ছবিই দেখতে পাচ্ছিনা, ভিডিও-র কথা ছেড়েই দিলাম! হবিটের ছবিটা দেন নাই মনে হচ্ছে। আচ্ছা, কালকে ইউনিভার্সিটি থেকে আবার দেখে বাকি মন্তব্য করব।
আপাতত মেঘের কারখানা আর মেঘ খাবার ব্যাপারটা কল্পনা করে মজা পাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পার্ক রেঞ্জারের কথানুসারে শুটিং হয়েছিল (একটা বিচ শট) ইন্ডিয়ান বিচে। এই স্পটের ছবিটা নেই এখানে। তবে বিচগুলো আমার কাছে একই লেগেছে।
ছবিগুলো সবমিলিয়ে ৩ মেগাবাইটের কাছাকাছি সম্ভবত, এইটুকু ডাউনলোড করতেও অসুবিধা হয়?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইউনিভার্সিটি থেকে কিছুতেই সমস্যা হয় না, টপাটপ হয়ে যায় সব। কিন্তু মুশকিল হল ঐখানে সময় পাই না। আর বাড়ির কথা আর বলেন না! কী যে অবস্থা! কিছুদিন একটা কানেকশন ভাল সার্ভিস দেয় তো দুই মাস পরে আর দেয় না! দুই দিন পরপর বিভিন্ন অফার চেঞ্জ করে করে দেখাটাও এক ঝামেলা।
তবে এই যে, এখন আবার সুন্দর ফট করেই সব চলে আসল দেখি! আচ্ছা ভিডিও দেখি এখন। আর বাহ্! হবিট একটা দিয়েছেনতো (ছবি-ফরেস্ট ১)! ঐটাকে আদর করে দিয়েন আমার তরফ থেকে। আর ফরেস্ট-২ আবার লর্ড অফ দি রিংস মনে করায় দিল, তবে এই বার দি টু টাওয়ার্সের পথের জার্নিটা। বইগুলা আবার রিভাইস দিতে হবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভাল লাগলো। ছবিগুলো অসাধারণ সুন্দর। একটা প্রশ্ন- আপনার লেখায় ব্যবহৃত ফন্টটির নাম কি? একটু বলবেন?
ধন্যবাদ...ফন্টটার নাম সিয়াম রূপালী।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমিও [মুর্শেদ ভাইয়ের তিন অক্ষরের মন্তব্য পুরা কপিপেস্ট- খালি স্মাইলিটা বাদে]
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওডিন। আমার জবাবটাও কপি-পেস্ট করা উচিত তাহলে
আসলেই পাহাড় ছাড়া জীবনটা অনেক পানসে হয়ে যেত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপাতত ছবি দেখে গেলাম। দারুণ সুন্দর সব ছবি। লেখা পড়তে হবে।
ধন্যবাদ পিপিদা। আশাকরি অচিরেই লেখা পড়তে ফিরবেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম। তাড়াতাড়িই ফিরলাম এবং ফিরেই পড়ে শেষ করলাম। মনে হল অনেক কম লিখেছেন। আরো পড়তে পারলে ভালো হতো।
আমেরিকার বৈচিত্র আসলেই অনেক। কিছুদিন আগে আমি কুইবেক শহরে গিয়ে ঠিক এরকমই একটা ঝরণা দেখেছি। কিন্তু আপনাদেরটা বেশী সুন্দর। যদি কুইবেক নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব লেখার সময় পাই তো সেই ছবি দিবো।
ধন্যবাদ দ্রুত ফেরা ও মন্তব্যের জন্য।
পোর্টল্যান্ড মনে হয় উইন্ডসোর আর অস্টিন থেকে প্রায় সমান দূরেই হবে, আমার জন্য অনেক দূরের দেশ। অরিগনে আরো দেখার মত জিনিস আছে, আমি আবারো যেতে ইচ্ছুক।
কুইবেক নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সিয়াটলের কথায় একটা মুভির কথা মনে পড়ে গেল, "sleepless in seattle"
যতদূর মনে পড়ে আপনার প্রথম ছবিটার মত একটা দৃশ্য ছিল। বলার প্রয়োজন নেই, ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
সৈকত-২ ছবিটা প্রচন্ড পছন্দ হয়েছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ধন্যবাদ পলাশ। ভেবেছিলাম সিয়াটলে রাতে ঘুম না আসলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই মুভির নামটা লিখব, কিন্তু সারাদিনের ঘোরাঘুরির পর রাতে হোটেলে ফিরে মোষের মত ঘুমিয়েছি
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল্লাগলো। বাড়ির পাশেই অরিগন, ক্রেটার লেক বাদে যাওয়া হয় নি আর কোথাও।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অমিত।
সময় করে ঘুরে আসুন...ক্রেটার লেকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। পোর্টল্যান্ড অনেকটা দূর বলে যাওয়া হয়নি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পাঁচ দিলাম। আপনি অনেক যত্ন নেন রে ভাইয়া!
ধন্যবাদ সিরাত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগল পড়ে। প্রায় বারো বছর আগে একবার পোর্টল্যান্ডে গিয়েছিলাম মাত্র তিনদিনের জন্য - ঐ ইন্টেল নামক কারখানায় একটা ইন্টারভিউ দিতে। তোমার মতো ওখানে আমারও অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে। তখন অরিগন-ওয়াশিংটনের সীমানা অতিক্রম করে একটা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। সৈকতটির নাম "লং বীচ" - ওখানে বড় বড় করে লেখা ছিল "ওয়ার্ল্ডস লংগেস্ট বীচ"। তখন মনে হয়েছিল মার্কিনীরা মনে হয় আমাদের কক্সবাজারের খবর জানে না। মাউন্টহুডে উঠেছিলাম। তোমার ছবিগুলো দেখে মনে পড়ে গেল। অনেকদিনই ভাবছি পোর্টল্যান্ডে বেড়াতে যাব। সংসার নামক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী হবার পর ঐ দিকটায় এখনো যাওয়া হয় নাই। তোমার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে শীগগীরই যেতে হবে। ধন্যবাদ লেখটির জন্য।
____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"
____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাস্কর ভাই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব গতি আর ছন্দ পুরো লেখা জুড়ে .......... সেই সাথে যোগ হয়েছে অসাধারণ সব ছবি.....
আপনার লেখা পড়ে দিন দিন প্রত্যাশা বেড়েই চলছে...........
অনেক ধন্যবাদ নাসিম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলে সিয়াটল নিয়ে মনে হয় এটাই প্রথম লেখা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
অনেক পরে পড়লাম আপনার এই লেখা। যথারীতি অসাধারণ লেখনী আপনার
আজ সচলায়তনে শুধু পাহাড়ের গল্প পড়ছি আর মন খারাপ করছি।
সংসার নামক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেকটর এর পোস্টে এসেছি দুই মাস হলো। আগে ভাবতাম, বিয়ে করি নিই, তারপর বর কে নিয়ে খালি ঘরে বেড়াবো মেঘ নদী আর পাহাড়ের দেশে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক অনেক কঠিন। এখন আমি জানি, আর পাহাড়ে যাওয়া হবে না আমার।আর হবে না । পঞ্চ ভূতের ফাদেঁ আটকা পড়ে গেছি।
চরম আশাবাদি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করলে যখন যাবার সুযোগ করতে পারবো, তখন ইউরিক এসিড, বাতের ব্যাথা আর অস্টিওপোলেসিস এর রোগী হয়ে যাবো। তাই সচলায়তন ই আমার পাহাড় দেখার জানালা হয়ে থাকলো।
নতুন মন্তব্য করুন