ছোটদের মুক্তবাজারঃ
“আব্বু তুমি নিক জুনিয়র (nickjr.com) ডট কম লিখতে পারো?" একটু উত্তেজিত প্রশ্ন মেয়ের।
এটা টিভি দেখার সরাসরি ফলাফল বলেই মনে হল। বাচ্চাদের চ্যানেলগুলোতে প্রচুর বিজ্ঞাপন চলে, সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটটাও দিতে ভুলেন না উনারা। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনগুলো ছোট গল্পের মত, শেষ হয়েও হলো না শেষ, একটা ব্রাউজার বের করে ওয়েবসাইটটা উঠালে আবার সেই কেনা আর বেচার হাটবাজারে ঢুকতে পারবেন। এইভাবেই কি পুঁজিবাদ মানুষের মনে উপনিবেশ গেঁড়ে বসে এই যুগে?
আর এইটুকুন মেয়েই বা কিভাবে জানলো যে এটা ব্রাউজারে ঢুকাতে হয়? একটু বিরক্ত হয়েই আমি নিক জুনিয়র ডট কমে ঢুকি, এটা একটা কেবল টিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইট, হয়ত কার্টুন-টার্টুন বেচবে।
“এখানে গেইম আছে আব্বু ।”
দেখা গেল মেয়ের কথাই সত্য। একটু খুঁজতেই গেইম পাওয়া গেল। কোন রকম পূর্বাভিজ্ঞতা ছাড়া মেয়ে বসে গেল কম্পিউটারে এবং অবলীলায় খেলতে লাগলো। আমি জীবনে প্রথম কম্পিউটার দেখেছি এক আত্মীয়ের বাসায় ১৮/১৯ বছর বয়েসে, সেটার চেহারাও বেশ রাগ রাগ ছিল, নিঃসঙ্কোচে ওটাতে হাত দেওয়ার কথাও মাথায় আসেনি। কিন্তু এই মেয়ের জন্ম গুগল এইজে, নীলকমল আর লালকমল অচেনা হলেও ডটকমচাচু ওদের খুবই চেনা।
দেখলাম তথ্যমহাসড়কে মেয়ে দ্রুতই ঢুকে গেল। টিভি দেখে বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইটের বানান মুখস্থ করে তারপর সেটা ব্রাউজারে টাইপ করে। সাইটে যদি কোন খেলা থাকে তবে সেটা খেলে, আর না থাকলে হাল ছেড়ে দেয়। আমি মুগ্ধ করে দেখি এই প্রতিভা, মাঝে মাঝে ভুল বানান থাকলে গুগল করে ঠিক ওয়েবসাইটটা বের করে দেই।
কিন্তু কয়েকদিন পরে মেয়ের জিজ্ঞাসা শুনে বুঝলাম যে ডটকমের মহিমা বুঝে ফেলেছে। ওকে নিয়ে গেছি ওষুধের দোকান ওয়ালগ্রিনে...আমাদের কথাবার্তা তুলে দিলাম।
“আব্বু এই দোকানটার ডট কম আছে?”
“হ্যাঁ মা...”
“ওয়ালগ্রিন ডট কম?”
আমি বিস্মিত হয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দেই। একটু পরে বাইরে গিয়ে আমরা পিতা ও কন্যা একটু দাঁড়াই, মেয়ে চারিদিক দেখে জিজ্ঞেস করলো...
“আব্বু ওই দোকানটার ডট কম আছে?”
“হ্যাঁ মা...”
“সব ডট কমে জিনিস কিনতে পাওয়া যায়?”
দেখা গেল টাকো বেল, ম্যাকডোনাল্ডস, হালাল রেঁস্তোরা তন্দুরি হাট, চুল কাটার নাপিতখানা, মদের দোকান, সিনেমার লাল বাক্স সবারই একটা করে ডট কম আছে। চারিদিকের পুরো দুনিয়াই ডটকমময়, হালাল-হারাম নির্বিশেষে সবাই ডটকমের দোকান খুলে বসেছে।
এবার অবধারিত এক প্রশ্ন...
“আব্বু তোমার ডট কম আছে?”
“আমার ডট কম নেই, আমার একটা ডট ওআরজি আছেরে মা...ওখানে আমরা কিছু বেচি না, কোন গেইমও নেই” আমি আস্তে আস্তে ব্যাপারগুলো বোঝানোর চেষ্টা করি। এই বিপুল কর্মকান্ডে আমি কেন অনুপস্থিত সেটার ব্যাখাটা ওর মনঃপূত হলো না, ডটকম আর ডট ওআরজির মধ্যে মনে হলো ডটকমই জিতে গেল, একটু চিন্তা করে মেয়ে তার জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে দেয়...
“আমি যখন বড় হব, আমি একটা বিগ ডট কম কিনব, লটস অফ গেইম আর টয়স থাকবে, বেবিদের জন্য...”
আমি মুহূর্তেই যেন আমার রিটায়ারমেন্ট প্যাকেজটা দেখতে পেলাম। মেয়ে যদি ভালো সাইজের একটা ডট কম দিয়ে দিতে পারে...আহহ...চাকরির খ্যাতাপুড়ি...লেগে থাকব মেয়ের ডট কমে...ছোট বেলাতে কার্টুনে দেখতাম টাকার লোভ হলে চোখের মনিতে $$$ চিহ্ন দেখা যায়, আমার চোখগুলো সেরকম জ্বলজ্বল করতে থাকে।
আপনারা আসবেন কিন্তু আপনাদের বাচ্চাদের নিয়ে আমার মেয়ের ডট কমে, চেক আউটের সময়ে প্রোমো কোড (sachal) ঢুকালে একদম বিশ পার্সেন্ট ছাড় দিব। এই অফার শুধু সচলের পাঠকের জন্য, ছাগু ব্লগগুলোর জন্য নয়। ওদের প্রোমো কোড (chagu) ঢুকালে দাম বিশ পার্সেন্ট বাড়িয়েও দিতে পারি।
এই বিশেষ সুযোগ হারাবেন না কিন্তু।
খিদেঃ
“আম্মু এই ভাতটুকু খেয়ে নাও।”
“না আমি আর খাব না আ আ...এইটা ঝাল...”
“আর এই অল্প একটু সোনা...”
“ই ই ই...ইয়াকি লাগছে ভাতে...”
শিশুপালন না করলেও আপনি হয়ত উপরের সংলাপগুলোর সাথে পরিচিত আছে। এগুলো হচ্ছে খাওয়া নিয়ে “ঘ্যানঘ্যান” বা “ন্যাগিং”। আমরা নিজেরাও কমবেশি করেছি শৈশবে আর বাচ্চাদেরকেও করতে দেখেছি, সেটা নিজের বাচ্চাই হোক আর অন্যের বাচ্চাই হোক, মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজে খাওয়া নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করা একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার। বাংলাদেশে থেকে দূরে বসেও এই ব্যাপার প্রায় রোজই দেখি। একটা বয়েসের পরে খাওয়া নিয়ে সাধাসাধি কেউ করে না। আর প্রবাসে আসলেই আরো একধাপ বেড়ে যায় সমস্যাটা, সাধাসাধি তো দূরে থাক, ভালো খাবারের চেহারাও দেখা মাঝে মাঝে হয়ে উঠে না।
আমি যেহেতু কাজ না করে ভাবতে ভালোবাসি, সেহেতু এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক ভেবেছি। খিদে মানুষের আদিমতম অনুভূতি, অন্যগুলোর অনুভূতিগুলোর তুলনায় অনেক সহজ-সরল। ভালোবাসা নিয়ে অনেক মহাকাব্য হয়েছে ভালোবাসার সাথে জড়িয়ে আছে যৌনতার মত আরো জটিল জিনিসপত্র, সে তুলনায় খিদের জটিলতা সামান্যই। আমাদের শরীরের ডিজাইন যারা করেছে তারা খিদে নিয়ে বেশি ভাবে নি, আমার ধারণা ওই টিমে একজন প্রোগ্রামারই কোডিং করেছে, কোডের পরিমাণ পঞ্চাশ-ষাট লাইনের বেশিও নয় মনে হয়। সে তুলনায় প্রেম ও যৌনতার জন্য পুরো এক ব্যাটেলিয়ন লোক ছিল, বিশাল কোডে প্রচুর বাগ রয়ে গেছে, ঠিক লোককে তাই ভালবাসাটা আর হয়ে উঠে না। পক্ষান্তরে খিদের অনুভূতি বেশ স্পষ্ট এবং তীব্র। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য সব রিপুর তীব্রতাই হেরে যায় খিদে বাবাজির কাছে। তাহলে কেন শৈশবে এই খাওয়া নিয়ে সাধাসাধি?
প্রশ্নটার জবাব পেয়ে গেলাম সহকর্মী এরিকের বাসায় গিয়ে। মার্কিনিরা বাচ্চা নিয়ে পুতু-পুতু করার লোক নয়। আমি এরিকের সাথে যখন কথা বলছিলেম তখন কাছেই গড়াগড়ি দিচ্ছিল ওর বাচ্চাটা। বাসার পেছনের উঠান, ধূলাবালিতে শরীর মাখামাখি। আমরা বঙ্গসন্তানরা জীবানুর ভয়ে কাতর থাকি কিন্তু আমার মনে হয় ধূলাবালিতে এন্টিবায়োটিক থাকে, এরিকের বাচ্চাগুলো কদাচ-ই অসুস্থ হয়। একটু পরে সেই বাচ্চা ছুটে এসে জানালো যে তার খিদে লেগেছে। তাতেও এরিক নির্বিকার, আরেকটু লাগুক...নইলে তুই খাবার নষ্ট করবিরে মামুর ব্যাটা... (ব্লগানুবাদ)। একটু পরে বাচ্চা প্রায় হাহাকার করে উঠলো...আব্বা গো...আর ফাইরতেসিনা...তখন দেখলাম এরিক খাওয়া বের করে দিল। বাচ্চা দেখলাম বিনাবাক্যব্যয়ে ধূলিমাখা হাত দিয়েই গোগ্রাসে গিলে চলছে, কাঁটাচামচের ধারও ধারছে না।
এই জীবন দর্শন আমার বঙ্গসন্তানরা চালু করতে পারি না। খাওয়া মনে হয় আমাদের কাছে একটা ডেলিকেসি, আমরা জন্মালে খাই, আমরা মুসলমানি করলে খাই, আমরা বিয়ে হলে খাই, আমরা পরীক্ষায় ভালো ফল করলে খাই (একবার ফেলের খাওয়াও খেয়েছিলাম), আমরা মরে গেলেও সেই খাওয়াই চলে। আমাদের জীবনে খাদ্যের এত উচ্চাসনের কারণেই হয়ত আমরা খাওয়া নিয়ে এত সাধাসাধি করি।
কয়েকদিন আগে দেখি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে গোগ্রাসে খাচ্ছে, ঘ্যানঘ্যান একদম বন্ধ। নিজে থেকে চেয়ে নিয়েই খাচ্ছে, সাধাসাধি একদম অপ্রয়োজনীয়, ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্টের মতই খিদে ও খাবারের সম্পর্ক যে একদম অবধারিত সেটাই আজ প্রমাণ হলো। আপনার বাসার বাচ্চাটাকেও খিদে লাগিয়ে খেতে দিলে দেখবেন একদম কপকপ অদৃশ্য হচ্ছে খাবার, খিদে লাগলে শরীরের আহত হওয়ার সম্ভবনা নেই, আঘাত যেটুকু লাগবে সেটা আপনার মনের মাঝেই।
জয় হোক খিদের...
মন্তব্য
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
টিভি নিয়ে অন্য একটা পর্ব লিখার ইচ্ছে আছে। টিভি নিয়ে আমেরিকার ডাক্তারাও উদার নন।
কাদা-মাটির ব্যাপারে তথ্য জানতে আগ্রহী। তবে টেক্সাসকে শীতের দেশ বলা যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসিব।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার মেয়ে বড়ই সুশীল মনৈতেসে, হে হে... এই দেশের পোলাপান যেইরম ত্যাঁদড়; তার তুলনায় তো সে মনে হয় আসলেই শিশু
কথাটা পছন্দ হৈলো...
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান।
সুশীলতা কয়দিন থাকে সেটা বলা মুশকিল। তবে বিদেশের বাচ্চাদের তুলনায় দেশি বাচ্চারা বেশি পেকে থাকে এটা নিশ্চিত। আমার এক বন্ধুর ভাগ্নী প্রায়ই দেশ থেকে বেড়াতে আসতো, আমার দ্বিতীয় বাচ্চা হওয়ার সময় বিস্ময় প্রকাশ করেছিল...তোমার বউ আবারো প্রেগনেন্ট, গত বছরই না তোমাদের একটা বাচ্চা হলো?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিচ্চি মনে হয় সবুজ ছাতার আফসানা মিমির বিরাট ফ্যান
_________________________________________
সেরিওজা
একটা রিল্যাভান্ট ভিড্যু দেয়ার লোভ সামলাইতে পার্লাম না।
*মনজুর এলাহির সৌজন্যে পাওয়া।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন। ভিডিওটাতে মজা পাইলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রমজানে স্কুল বন্ধ থাকায় নাইওরি মায়ের সাথে আমার ক্যাপসুল বাচ্চাও গেছে সিলেটে। এইতো ঘণ্টা খানেক আগে ওখান সে মায়ের মোবাইলে আমাকে কল- বাপ্পী, সচলায়তনের এড্রেসটা কী ?
আরে ছেলে বলে কী ! ওখানে কে যেন সন্ধ্যায় গুগল সার্চ শিখিয়ে দিয়েছে। ঘণ্টা না পেরোতেই ছেলে সচলের এড্রেস চাচ্ছে ! আগামীকাল আবার কী চেয়ে বসে কে জানে !
বিদেশীদের চেয়ে আমাদের দেশের বাচ্চারা আজকাল আগেই পেকে যায়। যাবে না কেন ! ওই দেশে সাবালক হয় একুশে, আর আমরা হই আঠারোয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিপক্কতার বয়েস হবে বারো...
সত্যিই...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হে হে হে... মজা পাইলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মুর্শেদ...তোমার শিশুপালন শুরু হচ্ছে কবে থেকে?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশুপালন সিরিজটা ই-বুক করে রাখার সময় আইসা পর্তেছে
লেখা যথারীতি জুশ
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ উদভ্রান্ত পথিক
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার ১৫ মাসের বাচ্চাটা খাওয়া নিয়ে ন্যাগিং করে। মামুর ব্যাটার উপর অষুধ টা টেস্ট করানো দরকার। তবে ওর মায়ের জন্য এখনই হয়ত পারবো না। বড় হ' তারপর ওকে তো পাবই, একদিন না একদিন। সব কান্নাকাটি, চিৎকার চেঁচামেচির শোধ নিব
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করে দেখতে পারেন, খিদে দারুণ ওষুধ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সায়েন্টিফিক্যালিও খিদে না পেয়ে খেলে সেটা শরীরের তেমন কাজে লাগে না... আমাদের বাঙালীদের একটা মজার স্বভাব আছে... দুনিয়াদারির সব কিছুর চেয়ে মানসিক ভালোলাগাটাই আমাদের কাছে সব কিছু... মনের কাছে বিজ্ঞান টিজ্ঞান কিছু না
-----------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ধূসর স্বপ্ন। মানসিক ভালো লাগাটা আমার কাছেও অনেক বড়, মনে হয় বাঙালী বলেই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইমিউনিটি অংশটা নিয়ে আপনি যা বললেন আমার অবাক লাগল। সচরাচর মার্কিন বাপ-মা তাদের ছেলেমেয়েদের চারপাশ বড় বেশি সাফসুতরো রাখতেই অভ্যস্ত, যার ফলস্বরুপ তাদের ইমিউনিটি তৃতীয় বিশ্বের বাচ্চাকাচ্চাদের তুলনায় কমই থাকে। এই অতি-উৎসাহী বাবা-মাদের নিরস্ত করতে এখন তো নতুন থিয়োরী প্রচার হচ্ছে, যে ধুলোবালির প্রতি পরিমিত এক্সপোজার বরই বাচ্চাদের পক্ষে ভালই, ইমিউনিটি তৈরী হয়। শুনেছেন নিশ্চয়ই। হয়ত আপনার বন্ধু সে পন্থাই অনুসরণ করেন। কিন্তু বলুন, ওদের বাড়ির কার্পেট কি আসলেই তত ধুলোমাখা? দেশে থাকতে, শহরের ধুলো যতটা আমাদের বাড়িঘরে এসে বিছিয়ে বসে, তার কতটুকু ওদেশের বাচ্চারা পায়? পোলেন অ্যালার্জি ওদেশের বাচ্চাদের খুব সাধারণ সমস্যা। দেশে থাকতে কজনের বাচ্চার এইসব হতে শুনেছি? অবশ্য আজকাল শহুরে পোলাপানরাও কম যাচ্ছে না - কলকাতার অনেক বাপমা আদরযত্নে মার্কিনদেরও ছাপিয়ে যাবেন বলে পণ করেছেন শুনতে পাই...
ইমিউনিটিটার সাথে পরিবেশের একটা সম্পর্ক আছে, রোগ-জীবানু বহুল জায়গাতে মানুষের ইমিউনিটি বেশি হয়। আমার ধারণা সেই কারণে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ইমিউনিটি বেশি।
মার্কিনিদের বাড়ি-ঘর খুবই পরিষ্কার থাকে কিন্তু আউটডোরে তারা বাচ্চাদের ইচ্ছেমত খেলতে দেয়, বাচ্চাদের পার্কে গেলে এটা দেখতে পারবেন। আমি বঙ্গসন্তান বলতে এখানে প্রবাসী দেশিদের বুঝিয়েছি। তবে কলকাতার মত বাংলাদেশেও অনেকে বাচ্চাদের হেলথ নিয়ে অতি উদ্বিগ্ন থাকেন দেখেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক বলেছেন।
পার্কগুলিতে ইচ্ছামত খেলতে দেয় ঠিকই, কিন্তু সেটা পৌরসংস্থা পার্কগুলির যথেষ্ট যত্ন নেওয়ার পরই। ঘাস ঠিক মাপমতন ছাঁটা থাকবে, আগাছা ইত্যাদি থাকবে না, এসব তো আছেই, নানারকম কেমিক্যাল ও সার দেওয়া থাকবে যাতে আগাছা বা পোকামাকড় কোনোটাই না আসতে পারে। তবেই সে পার্কে যাওয়া যাবে।
বাচ্চাদের পার্কে পোলেন ছড়াতে পারে এমন গাছ কমই রাখা হয় সচরাচর। আর পোলেনের সময়টাতে পার্কে বাচ্চাদের নিয়েও যাওয়া হয় কম।
ঠিক বললাম কি?
আমি ছোটোবেলায় ধুলো নিয়ে খেলতে বড় ভালবাসতাম। কখনও জড়ো করে আতার বিচি পুঁতি নি অবশ্য। নানা রঙের ধুলো দেখতে পছন্দ করতাম। কাঠ কাটার গুঁড়োগুলো হত হলদেটে, জলে গুলে বলতাম লেমনেড। রাস্তার ধুলো আমাদের বাড়িতে জমত বাদামী হয়ে, সেগুলো জড়ো করে চকলেট হরলিক্স হত। সেসব কথা মনে পড়ে গেল আপনার লেখা পড়ে।
পুরো নিশ্চিত নই। বাসার কাছের পার্কে তো ওক গাছ ভর্তি, এর পোলেনে তো আমার অবস্থাই টাইট হয়।
ইন জেনেরাল আমার অবসার্ভেশন হচ্ছে এদেশে পুতু-পুতু কম হয়, দেখেন না ১৩ বছরের বালক এভারেস্টে উঠে গেল অথচ আমাদের বয়স্কদের উঠতে কত ঠেলাঠেলি লাগে। মানুষজন দেখি দুধের বাচ্চা নিয়ে ক্যাম্পগ্রাউন্ডে যাচ্ছে, দশ-বারো বছরে বাচ্চাদেরকে দেখেছি গার্ডেন স্নেকের লেজ ধরে পাঁই পাঁই করে ঘুরাচ্ছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি লেমোনেড আর হরলিক্স বানাতেন, আমিতো সরাসরি খেতাম! ধুলো খাওয়া নিয়ে কান্নাকাটি জেদের অনেক গপপো আছে আমার, আমি না চাইলেও সেগুলো সবাইকে শুনিয়ে দেয়া হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
+++
ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছেলেকে সিরিয়াল আর দুধ খাওয়াচ্ছিঃ
'বাবা খাবনা'
কেন বাবা এটা ইয়াম্মি না ?
'না'
'কেন?'
'এটা অন্নেক ঝাল !!!'
এইবার বুঝেন দুধ সিরিয়ালেও ঝাল!! কেমন চাপ্পাবাজ হইতাছে !!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হা হা হা...তবে বাচ্চারা দেখি যে কোন অপ্রীতিকর জিনিসকেই ঝাল বলে। আমার মেয়ে বড়দের গায়ে মাখার সাবানকেও ঝাল সাবান বলে, ওতে চোখ জ্বলে তাই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এখনো কি জ্বালাও নাকি?
বানান শুদ্ধি ও মন্তব্যের জন্য অফিসিয়াল ধন্যবাদ
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খাওয়া নিয়ে আমিও কম ত্যাদরামি করিনি। হেন খাবনা, তেন খাবনা এসব তো ছিলই, সাথে পাতে মুর্গীর সিনার নরম অংশটা বা গরুর বাছা গোশত(আমি বলতাম "সলিড গোশত") না থাকলে আমাকে খাওয়ানো দায় হত। আমার এক কাজিন তো মায় আইস্ক্রিম শুদ্ধ গরম করে দিতে বলত...
আচ্ছা,এই ন্যাগিং এর পেছনের সাইকোলজিটা আসলে কি? স্রেফ কি বাবা মার আদেখলামোই ??
অদ্রোহ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অদ্রোহ।
আমি মনোবিজ্ঞানী নই, নাদান এক বাবা মাত্র। আমার মনে হয় আদেখলামো অন্যতম একটা কারণ বৈকি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার জন্য আপনি নাহয় কুড়ি পারসেন্ট ছাড় দিলেন ('উপর মহলে' ধরাধরি করলে কি আরও একটু বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে?) কিন্তু খেলনা যার জন্য কিনবো, তার জন্য আপনার কন্যা কতো পারসেন্ট ছাড় দিবে?
আফটার অল আপনি আর আমি তো যথাক্রমে ক্রেতা আর বিক্রেতা হলেও ভুগী তো আর না!
অবশ্য বলাও যায় না। আমার আবার খেলনা টেলনার শখ ভালোই আছে। টেবিলে একটা লাল রঙের রেসিং কার রাখা থাকে সবসময়। মাঝে মাঝে ঐটা দিয়ে ভোঁ ভোঁ খেলি। একা একাই।
বাচ্চাদের ধূলায় খেলতে দেয়া নিয়ে এদেশীয় পরিচিত বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'কাহিনি কী'! জবাব পেলাম, ধূলাতে গড়াগড়ি করে ভূতের মতো চেহারা করে ফেললেও সমস্যা তো নাই কোনো। ঘরে তো পানির সাপ্লাই আছেই। ঘরে নিয়ে বাথটাবে ফেলে স্ক্র্যাবার দিয়ে দুইটা ডলা দিলেই আবার ফকফকা হয়ে যাবে। আমি তো ঠিক করে রাখছি পুলাপাইন হলে পরে তাদের সাথে আমিও পাল্লা দিয়ে ধূলা আর কাদায় গড়াগড়ি খাবো। দরকার হলে ধুগোনীরেও ধরে কাদায় গড়াগড়ি খাওয়ানো হবে। পুরা পরিবার গড়াগড়ি খাবে! তাইলে আর পুতুপুতু করার চান্স নাই।
ওডিনের দেয়া ভিডিওটা দেখে মজা পাইছি। মামুর শিশুপালন শুরু হচ্ছে খুব শীঘ্রই। ময়নাও লাইনে আছে। এরকম একটা ভিডিও তো আমরাও বানাতে পারি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তোমার জন্য ৫০%...ধূগো কোড দিলেই ম্যাজিক।
গাড়ি নিয়ে খেলতে আমারো ভালো লাগে, যদিও এখন আর খেলি না। বাচ্চাদের নিয়ে ধূলায় গড়াগড়ি করতে দারুণ মজা, আমি করে দেখেছি। ঠিকই বলেছ, বাসায় এসে পরিস্কার করে দুই মিনিটের মামলা মাত্র।
ধূগোনী পরিস্থিতি কতদূর? হিমু যেন ফেসবুকে কী বলছিল?
ময়নাটা কে?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ময়না? হে হে হে, তারে আমি আদর করে মাঝে মাঝে 'নারী' বলেও ডাকি!
সে যাই হোক, আপনি হিমুর কথা কী যেনো বলছিলেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে হে.......... দেখে নিয়েন একদিন ধুগোও...
ভালোবাসা আর ক্ষুধার কোডিংয়ের আইডিয়াটা জবরদস্ত!
কি মাঝি, ডরাইলা?
অবশ্যই, সেই অপেক্ষায় আছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দ্রোহী
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা বড়ই মজা পেলাম...
ইহার চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি তো জানতাম, ওইসব দেশে ফার্মের মুরগি বানানো হয় সব বাচ্চারে। আমার এক পরিচিত তো বাচ্চার (এবং তাঁদের জন্যেও) জন্যে গাদাগাদা মিনারেল ওয়াটার কিনে দেশে আসতেন।
তবে, হাইজিন রক্ষার সাথে বোধহয় ডানপিটেমির ব্যাপারটা পুরো মেলে না, তাই না? মানে, আপনি ওপরে যেসব উদাহরণ দিলেন, ওগুলো কিন্তু জল ও খাবারের বিশুদ্ধতা অক্ষুণ্ন রেখেই করা সম্ভব। আর, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা তো আসলেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। বেশ কিছু ভিনদেশির, বিশেষত পুরুষ, এমন অপরিচ্ছন্নতা (বা, ইন্ডিফারেন্স কি ক্যালাসনেস) দেখেছি যেটা আমরা ভাবতেই পারবো না। একটা উদাহরণ, 'সাত সমুদ্র সাতাশ নদী'-তে, নীললোহিতের একটা ভ্রমণকাহিনি, পেয়েছিলাম এক আম্রিকি ভদ্রলোক তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছেন, "ভালো করে ধুয়ে নিলে অন্যের টুথব্রাশও ব্যবহার করা যায়।" মানে, বি হাইজিনিক, নট নিট-পিকার। যাগগে, আম্রা রাস্তের ধারের তেলেভাজা, মেলার আখের রস, মাছি-বসা মিঠাই ইত্যাদি খেয়ে মানুষ। পেটের ভেতর লোহা তো লোহা নিকেল, ক্যাডমিয়াম, রেডিয়ামও কত হজম হয়ে গেলো; অপমান, লাঞ্ছনা, বেদনা-ইত্যাদি তো বাদই দিলাম।
বাচ্চারা আসলেই দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। আমারটারে খাওয়ানের চাইতে মনে হয় হাল চাষ করায় অনেক আরাম আছে। ছোটবেলা থেকেই হিন্দি গানের হুলুস্থুলুস ভক্ত। ভয়ই লাগে বড় হয়ে আদৌ বাংলা গান শোনে কি-না!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মহাস্থবির জাতক।
হাইজিন বজায় রেখেও ডানপিটেমি করা অবশ্যই সম্ভব, ধূলাবালিতে গড়াগড়ি আনহাইজিনিক নয় মোটেও।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক দিন পর পেলাম আপনার শিশুপালন, এবারেরটা হয়েছে খুবই মজার, কাজেই অপেক্ষা করা সার্থক।
অনেক ধন্যবাদ মূলত পাঠক। অনেকদিন পরে আপনাকে মন্তব্যে নিয়মিত পেয়ে আমারো দারুণ লাগছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বেশ মজা লাগল।
অনেক আগে একটা পর্ব পড়সিলাম। এরপর আজকেরটা। খুঁজে নিয়ে বাকিগুলোও পড়ে ফেলতে হবে দেখি দ্রুত।
অনেক ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী। পর্ব বেশি নয়, মাত্র আটটা লেখা হয়েছে, এটা আবার মাসুদ রানা সিরিজের মত, সব না পড়লেও চলে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুমম, আপনার টিপস প্রয়োগে আমার যথেষ্ট আগ্রহ লেখা পড়ার আগে থেকেই। মায়ের কারণে সেটা করা হয়ে ওঠে না। মায়ের মতে প্রতি তিন ঘন্টা পর পর মেয়ের খিদে লাগে, সুতরাং ন্যাগিং করুক আর যাইই করুক। খেতেই হবে।
লেখাটা খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ লুৎফুল আরেফীন ভাই। খিদে আসলেই ক্ষুধাবর্ধক, কিন্তু বাচ্চাদের খিদে লাগাতে গেলে আঘাতটা লাগে মনে। এটা দূর করতে পারলেই খাওয়া নিয়ে ন্যাগিং এর সমস্যার সমাধান হতে পারে, বাচ্চার মা-দেরকে কিভাবে বুঝানো যায় এটা?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! এখনকার কাচ্চাগুলিতো দেখি জন্মিয়েই বাবা-মার ল্যাপটপের উপর হুমড়ি খেয়ে পরে! আমার ভাইঝি মনে হয় আমার থেকে বেশি নেটাতে পারবে।
আর উপরে বললাম না, আমি ধুলোবালি খেতে বড় ভালু পেতাম। বদলোকে (ভাইঝির বাবা, আমার বড় ভাই) কয় একবার নাকি দেয়ালের চুন-কামের চলটা টেস্ট করবার সময় ধরা খাইসিলাম। তবে ফিস্ফিস করে বলি, যদ্দুর মনে পরে সমুদ্রের তীরের বালু হল নোনতা, ঘরের ধুলো নোনতা-ঝালের মাঝামাঝি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার। টিভির স্ক্রিনে জমা ধূলার টেস্ট কী সেটা আমার মেয়ে বড় হলে বলতে পারবে বলে মনে হয়
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখা কেমনে মিস করলাম?!
আপনের রিটায়ারমেন্ট প্যাকেজ পছন্দ হইল।
এই লেখা কেমনে মিস করলাম?!
আপনের রিটায়ারমেন্ট প্যাকেজ পছন্দ হইল।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুনেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইসব লেখা পড়লে ডেস্টিনির নব্য সদস্যদের ডায়ালগ মারতে ইচ্ছা করে - ''আহ্হা...আরো আগে ক্যান আইলাম না, কতো না কামান্ যাইতো''।
আপ্নের ব্লগ গুলাইন শেয়ার দিয়া বেড়াছেড়া কইরা দিতাছি কইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খাবার নিয়ে আমাকেও কম অত্যাচার করা হয়নি! আমি ধারাল ছুরি কাঁচি, বটি, দা এসব খুব ভয় পেতাম। আমার মা আমাকে বটির ভয় দেখিয়ে ভাত খাওয়াত। এসব কারণে আমার মনে হয় খাবারের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা জন্মেছে। কিন্তু বাইরে থাকি যখন, ক্ষুধা পেলেই খেয়ে নিই আগে।
আমাদের এক স্যার একটা কথা বলতেন,
কথাটা খুব সত্যি।
_____________________________________________________
রাজকন্যা
[url=আমার জীবনে গণিত]http://www.facebook.com/note.php?note_id=449526632100[/url]
আপনার জীবনের গণিত ভালো লাগলো। সচলেও লিখুন।
বটির ভয় দেখিয়ে খাওয়ানোর ব্যাপারটা আসলেই ভয়ঙ্কর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবলে তো লিখতে চাই। কিন্তু এখনো লেখা দিতে পারছি না ভাইয়া। খালি কমেন্ট করতে পারি।
আমার লেখা ভাল লেগেছে শুনে আপনাকে ।
আমার মা কোথেকে এই বিদ্যা শিখেছিলো কে জানে ! কোনদিন আমাদের দুই বোনকে খাবার জন্য জোর করে নি। সব সময় বলতো খিদে লাগলে এমনি খাবে এতো সাধা সাধির কি আছে?! আমাদের উপর এই জিনিস খুব কাজে দিতো। এমনি কি প্রচন্ড রাগ হলেও আমরা খাবার রেখে উঠে যাই না। আম্মু আর খেতে দিবে না তাহলে
নতুন মন্তব্য করুন