সব মানুষেরই মনে হয় একটা পরিসীমা থাকে। আমাদের সকল দৈনন্দিন আর পার্থিব জগতের দূরত্বগুলো মাপার জন্য আছে নানান পরিমাপ, আছে নানান দ্রুতগামী আর শ্লথ সব বাহন। জাগতিক সবই কিছুই আমরা করি এক পরিসীমার ভেতরে থেকে। শুধু স্মৃতির শহরেই এসব কিছুর বালাই নেই, সেখানে স্থান-কাল-পাত্র সবকিছুই অর্থহীন, পার্থিব সবই মূল্যহীন। একটা মিমি চকোলেটের জন্য আক্ষেপও শেয়ার মার্কেটে কোটি টাকার হারানোর বেদনার চেয়ে বেশি হতে পারে। আমরা যতই বড় হতে থাকি বাস্তব জগতটা ততই হানা দিতে থাকে আর তার থাবায় দূরে সরে যেতে থাকে এক স্মৃতিময় শহর। কিন্তু তাও স্থানে-অস্থানে নাছোড়বান্দা শৈশব হানা দেয় আর ফিরে ফিরে আসে সেই শহর। চলুন আজ ঘুরে দেখি আমার সেই নগরী, একটা সিটি ট্যুর নিলে আজ মন্দ হয় না, স্মৃতির শহরে কখনোই যানজট হয় না, আজ দিনটাও মন্দ নয়, এই মেঘ এই বৃষ্টি, এই রোদ, এই গরম, এই ঠান্ডা, এই শহরের মানুষজন আছে ভালোই।
আমাদের তেজগাঁকে প্রায় গ্রামই বলা চলে। স্টেশন রোডে বাড়ি মাত্র পাঁচটা। মানুষ মতিঝিলে গেলে বলে টাউনে যাচ্ছি। আর বলবে নাই বা কেন? এটা পুরোদস্তুর একটা স্টেশন, সাদা সিমেন্টের দেওয়ালের জ্বলজ্বলে কালো অক্ষরে লেখা আছে স্টেশনের নাম। টিটিকে ম্যানেজ করে অনেক দুষ্ট লোকই বিনা টিকেটে টুক করে নেমে যায়, পরের স্টেশন হচ্ছেই কমলাপুর, ওটাই ঢাকার আসল স্টেশন, ওখানে ফাঁকি মারা একটু কঠিনই মনে হয়। একটা বইয়ের দোকান আছে, সেখানে পাওয়া যায় প্রগতির বই আর রাশান ম্যাগাজিন স্পুটনিক। আরও আছে একটা চায়ের দোকান তাতে টিমটিমে একটা বাতি জ্বলে দিনরাত, পিঁপড়ে মাখা শুকনো কিছু বাটারবন আর সস্তা বিস্কুট এইটুকুই সম্বল। এছাড়াও ভিখিরি, ভাসমান পতিতা, নেশারু, দালাল, তাসের আড্ডা, খোলা নর্দমা, বিশ্বসেরা আরামবাগ রেস্তোঁরা...সব মিলিয়ে জায়গাটা কিন্তু মন্দ নয় একদম, এত কিছু একসাথে আর পাবেন কোথায়?
স্টেশনের হালই বলে দেয় যে এখানে মালদার লোকেরা পদধূলি দেন না, যদিও বেলা-অবেলায় তেজগাঁয় ভীড় লেগেই থাকে। আমাদের তাও গর্বের শেষ নেই, বড় পুরানো এই উপশহর, আমরা কয়দিন আগেই রানী জপমালা গির্জার ৩০০ বছর পূর্তি নিয়ে সপ্তাহব্যাপি উৎসব করেছি। প্রখ্যাত অধ্যাপক মুনতাসির মামুন তাঁর “স্মৃতি-বিস্মৃতির শহর” বইতে তেজগাঁ নিয়ে বলেছেন...
১৭৮৯ সালের কোম্পানীর এক নথিতে জানা যায়, তেজগাঁয় ইংরেজ কুঠি কাপড় ধোয়ার (মসলিন) জন্য বড় একটি পুকুর খনন করেছিলো। মিশনারী রেভারেন্ড রবিনসন ১৮৩৯ সালে লিখেছিলেন , ঢাকা হতে ছ'মাইল দূরে তেজগাঁ একটি গ্রাম। ঢাকা থেকে তেজগাঁ যেতে হলে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পেরুতে হয়...সেই জঙ্গল পেরুবার সময় সতর্ক থাক বাঞ্ছনীয় কারণ বাঘের উৎপাত আছে। তেজগাঁর গীর্জা 'জপমালা রাণীর গীর্জা', হিসাবেও পরিচিত। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পর্তুগীজরা। তাঁরাই ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রথম যাঁরা প্রচার করেছিলেন খ্রিষ্টান ধর্ম। মোহাম্মদ শামসুল হক বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা ও স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য দেখে এর প্রতিষ্ঠা সময় নির্ণয় করেছেন যা যুক্তিযুক্ত। তিনি এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করেছেন ১৬৭৭ সাল বলে, যখন শায়েস্তা খান ও পর্তুগীজদের মধ্যে যুদ্ধ ও শান্তিচুক্তি হয়েছিলো।
একটা রিকশা ধরে শহরে ঘুরবেন নাকি একটু? দাঁড়ান রশীদ ভাইকে বলি। উনি এখন স্থায়ীভাবে স্মৃতির শহরেই থাকেন, আমাকে যাঁরা ভালোবাসতেন তাঁদের মধ্যে উনি একদম সামনের দিকে সারিতেই আছেন। কাজ করেন আমার আব্বার অফিসে...রোগা, গালভাঙ্গা, পরণে একটা সাদা শার্ট আর লুঙ্গি । আমি সাত বছরের বালক, সাথে রশীদ ভাই থাকলে ভালোই হবে।
রিকশা স্টেশনটা ছাড়িয়ে ফার্মগেটে যাওয়ার পথে পাবেন আমাদের ডাক্তার সাহেবের দেখা, ডঃ অমরচাঁদ রায়, এমবিবিএস, এফসিপিএস (অধ্যয়নরত)। এই পঞ্চাশ বছর বয়েসেও উনি এফসিপিএস অধ্যয়ন করেই চলছেন, পাশ করা আর হয়ে উঠেনি কস্মিনকালেও। তাতে কী? ওনার এন্টিবায়োটিক খেলেতো রোগ সারে তাই না? তাছাড়া এমবিবিএস থাকলেই ডাক্তার, আর বাকিগুলো সব ফাউ ডিগ্রি।
রিকশা ফার্মগেট পার হয়ে বন্দুকের গুলিতে ছুটে চলেছে এয়ারপোর্ট রোড ধরে। ফার্মগেটে আর থামলাম না। আপনাদের তো নিয়ে গিয়েছি ফার্মগেটে, মনে আছে? এখন রশীদভাইয়ের হাত ধরে বসে থাকাই শ্রেয়। আপনি যদি সেদিনের ছোকরা হন, তাহলে একটু অবাকই হবেন। এটা ভিআইপি রোড, রিকশা এখন আর চলে না। কিন্তু স্মৃতির শহরে মনে হয়ে ভিআইপিরাও রিকশা চড়তেন তাই ওখানে রিকশা চলতে কোন বাধা নেই।
রাস্তার মাঝখানের আইল্যান্ডে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি দেখে অবাক হচ্ছেন? চুপিচুপি একটু ভবিষ্যতবানী করি...এই শহরে এক নতুন শাসক এসেছেন, উনি আর কিছুদিন পরেই এই গাছগুলোকে মৃত্যুদন্ড দিবেন। তবে জীবননাশের আশঙ্কায় ওরা ভীত নয়, নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে আর কিছু বড় সম্পদ নেই, সেটা সেই বিপ্লবীর মত এই গাছগুলো মনে হয় জানে।
একটু সামনে গেলেই দেখবেন জলাভূমি, দুধারেই। এগুলো মনে হয় ঢাকার বর্জ্য পানি বের করে দেয়, একটু দূরে বেগুনবাড়ি খাল, সেটা আরও বড় জলাধার। আমার ভবিষ্যতবানী হলো, এখানে জলাভূমি ভরাট করে আমরা হোটেল, শপিং মল, অফিস আর রেস্তোঁরা বানাবো নিকট ভবিষ্যতেই, আমরা যে আত্মঘাতী বাঙালি, আমাদের ভবিষ্যত দেখতে বেশি দূরদৃষ্টি লাগে না। যদি সম্ভব হতো আমরা মহাশূন্যও মাটি দিয়ে ভরাট করে “বসুন্ধরা-২” বানাতাম।
কাবাব আর পরোটার গন্ধ নাকে আসছে না? ওটা আসছে দারুল কাবাব থেকে। বাংলা মোটর আর কয়েক কদম দূরে, এই জায়গা কাবাবের সুরে আর ছন্দে ভরে থাকে দিনরাত। ওদের চিকেন টিক্কা আর পরোটা খেলে পরজন্মেও মনে থাকবে এর কথা। “রায়তা” নামে যে এক বস্তু আছে সেটাতো ওদের কাছ থেকেই আমার শেখা। আশির দশকে ওদের দোকান উঠে যাওয়ার পর থেকে ওরাও আজ শুধুই স্মৃতির শহরেরই বাসিন্দা।
বাংলামোটর-পরিবাগ পার হওয়ার সময় কিছু দোকান-পাট দেখবেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র খুঁজে লাভ নেই, ওটা এখনও আমাদের সময়ের সবচেয়ে আলোকিত মানুষের স্বপ্নেই আছে। উনি হয়ত এখন ইন্দিরা রোডের বাড়ির ভাড়া নিয়ে দরদাম করছেন, স্বপ্নের যাত্রা শুরু হলো বলে। একটু এগুলেই কিছু দামি সরকারি কলোনি আর তারপরেই আমাদের সবেধন নীলমনি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল। শেরাটন গ্রুপ ওটা কেনার কথা হয়ত মাত্র ভাবা শুরু করেছে। রেস্তোঁরা কাম বার সাকুরা একদম পাশেই, দীর্ঘদিন ধরে সুখাদ্য আর পানীয় বেচে বেচে ওরা এই তিলোত্তমা শহরের এক সিম্বল হয়ে গিয়েছে। কাছের রমনা পার্কও সমাজবিরোধীদের দখলে যায়নি, ওটাও বেশ পারিবারিক জায়গা, মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে আমাদেরও বেশ ভ্রমণ হয় সেখানে।
শাহবাগের মোড়ে এসেছেন? মোড়ের হাসপাতালটা লোকে পিজি হাসপাতাল বলে, ওটার নাম যে এককালে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হবে সেই ধারনা রাস্তার কোনও লোকেরই নেই। বছর দুয়েক আগে বঙ্গবন্ধুর নিথর দেহ পড়েছিল তাঁর স্মৃতিময় দোতলা বাড়ির সিঁড়ির ঘরে, কাছেই শুয়ে ছিলেন তাঁর অতি প্রিয়জনেরা, শুয়ে ছিল আমার থেকে একটু বড় ভয়ার্ত এক বালক। এই নিষ্ঠুর ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা তখনো নিজেদের বিপ্লবের নায়ক ভাবছে, ভাবছে জার নিকোলাসকেওতো সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, রুশ বিপ্লবের নায়কেরা কি খলনায়ক হয়েছে? আমার শহর সেই গ্লানিবহন করে চলেছে তখনো। শহরে কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা পাওয়া যাবেনা। শাহবাগের কাছেই একটা বিলবোর্ডে ঘষে ঘষে ওঠানো হয়েছে শেখ মুজিবকে। ভালোমত লক্ষ্য করলে চেনা যায় তাঁকে। মুজিবকে এই শহরে পেতে হলে দৃষ্টি নয়, অর্ন্তদৃষ্টি থাকতে হবে, তিনি নির্বাসিত এখান থেকে, পুরানো ময়লা টাকা ছাড়া আর কোথাও নেই তিনি। নেই তাঁর স্মৃতি বিজড়িত রেসকোর্স, তাঁর বাসভবনে আছে কবরের নির্জনতা, রাষ্ট্রের প্রহরী সেখানে পাহারা দেয় অষ্টপ্রহর। কয়েক বছরের পুরানো সিনেমার কোর্ট সিনে দেখতে পাবেন জজসাহেবের পেছনটা ঘষটানো, ওখানে মুজিবের ছবি ছিল যে। মানুষকে কি এত সহজে মুছে ফেলা যায়?
রিকশা চলছে এলিফ্যান্ট রোড দিয়ে, কাঁটাবন পেরিয়ে। মনোহারি জিনিসের দোকানটা কী বস্তু সেটা আমার মাথায় ঢুকতো না, কিন্তু এলিফেন্ট রোডের দোকানগুলো মনে হত আসলেই মনোহারি জিনিসের দোকান। বিয়ের কুলো, পায়ের জুতো, বিদেশি প্যান্ট, বেল্ট, লাইটার কী নেই? কে বলবে এই রাস্তায় একসময়ে হাতির যাতায়ত ছিল। আবার তুলে ধরছি “স্মৃতি-বিস্মৃতির শহর” বইয়ের পাতা।
ঢাকায় এক সময় হাতির আধিক্য ছিল খুব। সরকারি পিলখানা ঢাকায় থাকাও এর একটি কারণ হতে পারে। নদীতে হাতি গোসল করানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা ছিল না। ১৮৬৪ সালে, পৌরসভা স্থাপনের আগে, লেফটেন্যান্ট গভর্ণর ঢাকায় এলে, ঢাকা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছিলেন, হাতিরা শহরে সৃষ্টি করছে “সিরিয়াস ন্যুইসেন্সের”। এ পরিপ্রক্ষিতে খুব সম্ভব বিস্তীর্ণ রমনা এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল হাতি চরাবার জন্য। পিলখানা থেকে রমনায় হাতি নেওয়ার জন্য যে পথটি ব্যবহৃত হতো কালক্রমে তাই পরিচিত লাভ করেছিল এলিফ্যান্ট রোড নামে।
এসে গেছি সাইন্স ল্যাব, আমার দ্বিতীয় বাসভবন। আমার জন্ম এর থেকে দূরে নয়, দূরে নয় স্কুলের মাঠ, দূরে নয় কলেজের চত্বর, দূরে নয় বড় হওয়ার গল্পগুলোও। এখানে আমি একদম সপ্রতিভ, জলের মধ্যে মাছের লেখাজোখার মতই সাবলীল আমি। রশীদ ভাইয়ের হাতটা ছেড়ে দিলেও আমি হারিয়ে যাবো না। আর হারালেই বা কী, সামনেই দেখতে পাচ্ছি সাইন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্স। টুক করে ঢুকে পড়ে বাসায় ফোন দিয়ে দেব।
রিকশা কি ধানমন্ডি যাচ্ছে? আমরা তো বলিনি কিছু। স্মৃতির শহরের রিকশাওয়ালারা আবার অন্তর্যামী। ওরা জানে কোথায় যেতে হয়। পার হয়ে গেছি ধানমন্ডি মাঠ, এই দুপুরেও সেখানে খেলা চলছে। আট নম্বর রোড দিয়ে ঢুকে ব্রিজটা পেরুতেই ধানমন্ডি লেক, দুপাশে সবুজ ঘাসের গালিচা। ইতঃস্তত ঘোরাঘুরি করছে কিছু স্বাস্থ্যপ্রেমী মানুষ। কী আশ্চর্য, আজ রিকশাওয়ালা আমাকে ঘুরিয়ে এনেছে আমার শৈশবের পরিসীমা, আমার সীমাবদ্ধ জগতটাকে। এই লোক কি পিসি সরকারের কেউ হয় নাকি?
একটু বাতাস নেই লেকের। পানিতে প্রচুর সাপ আছে। আমি আমার নানার সাথে বেড়াতে যেতাম লেকের ধারে। সাপ দেখে আঁকড়ে ধরতাম তাঁর হাত। উনি অভয় দিতেন, এগুলো নাকি ঢোড়া সাপ, কোন উচ্চবাচ্য নেই ওদের। কথাটা ঠিকই, আজ লেক থেকে উৎখাত হয়েছে ওরা সমূলে। হরলিক্স খাওয়া বাচ্চার মত স্বাস্থ্যবান সাপ খুঁজে পাওয়া বড় দুষ্কর। অল্প কয়েক বছর আগে লেকের পাড়ে একটা আধমরা সাপ দেখে আমার রীতিমত দুঃখ হয়েছিল সেই শৈশবের ভীতিপ্রদ প্রাণীদের জন্য। বেচারারা নির্বিষ ছিল দেখেই কি নির্বংশ হলো?
ফিরবেন বাসায় নাকি থেকে যাবেন লেকের পাড়ে? আপনার ইচ্ছা। তবে শৈশবের শব্দ, গন্ধ আর ছবি বুকে মেখে নিয়ে ফিরে আসতেই হবে এই পোড়া পোড়া গন্ধওয়ালা বাস্তবে, ফিরলেই ঘিরে ধরবে নানান ধান্ধা আর যাবতীয় মিথ্যা সব কাজ। কিন্তু এরপরও বুকের মাঝে যেই চিনচিনে ব্যথাটা লাগছে, সেটা কিন্তু ব্যথা নয়, একটুকরো আনন্দ। ওইখানটাতেই আছে আপনার স্মৃতির শহর। শীতের পাতা ঝরা দিন অথবা বসন্তের ঝলমলে সকাল, অথবা ঝমঝম বর্ষা সবই পাবেন দশ মিনিটের সফরে, বেড়ানোর এমন জায়গা কি আর কোথাও আছে? কী আশ্চর্য স্মৃতির শহর!!!
মন্তব্য
এই পর্বটা অদ্ভুত সুন্দর...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বানান শুদ্ধি ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জঙ্গল পেরুবার সময় সতর্ক থাক বাঞ্ছনীয় কারণ বাঘের উৎপাত আছে।
"টাইপো"!
ঠিক করে মন্তব্যটা মুছে দিও ভাইয়া...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ বালিকা। আরও কিছু বানান সংশোধন আছে, সব একসাথে ঠিক করব।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইস এই স্মৃতিগুলোকে যদি মুভির মত করে আবার দেখানো যেত !!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেই মুভিতো প্রায়ই দেখছি ভাই মাথার ভেতরে
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার স্মৃতির শহরে মনে হয় আমার এই প্রথম পদার্পন---আর এতেই আমি মন্ত্রমুগ্ধ। অসম্ভব রকমের ভাল লাগল তাসনীম ভাই।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
স্মৃতির শহরে স্বাগতম এবং সদয় মন্ত্যবের জন্য অনেক ধন্যবাদ অনিকেত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মত অনবদ্য লেখা তাসনীম ভাই। তবে এই পর্বটা একটু অন্যরকম, বাড়াবাড়ি হৃদয় ছোয়া। আপনার স্মৃতির শহর পড়তে গেলে নিজেই স্মৃতি বন্দি হয়ে যাই এমন এক শহরে যেথায় বোধকরি আমার জন্মদাতারা তাদের যৌবনের স্মৃতি গড়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ জুনেব। আমিও নিজেও দারুণ আনন্দ পাই এই সিরিজটা লিখে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহ বড় ভাল লিখেছেন আজ তাসনীম। মন ভাল করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, বেশ ঘোরা হল আজ আপনার শহরে
------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
অনেক ধন্যবাদ...এবার মন্তব্যের ঘর থেকে ব্লগের পাতায় চলে আসুন, আমরাও ঘুরে দেখি আপনাদের শহর
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বা রে আমি তো জান্তুম আপনি কলকাতায় গেছেন নতুন করে আর কি বলবো? আমার স্মৃতির কলকাতা (গড়িয়াহাট) অবিশ্যি আপনার তেজগাঁ/ঢাকার মতোই আজ স্রেফ ওয়াশ-আউট ঝাপসা ছবি, ফ্লাইওভারের নীচে চিড়েচ্যাপ্টা।
তা যা বলছিলাম আমি স্যর লেখায় দড় নই, দড়ির এ পারে দাঁড়িয়ে কমেন্টাতেই ভালু পাই
--------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
কলকাতায় গিয়েছি বৈকি...কিন্তু সেতো ট্যুরিস্টের চোখ দিয়ে দেখা।
একদিন কি-বোর্ড নিয়ে বসেই দেখুন না...হয়ত দেখবেন এক্সপ্রেস ট্রেনের মতই লেখা আসছে
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একদম আনন্দ পেলাম না, কষ্টই পেলাম কখনোই এমন শহরের বাসিন্দা হতে না পেরে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন। এই শহরের বাসিন্দা আগে পরে সবাইকেই হতে হবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন লাগছে আপনার স্মৃতি শহরে ভ্রমণ করতে। কী ছিল ঢাকা শহর!
অনন্ত
আসলেই...আশা হয় একদিন ঢাকা তার হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাক।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ ভ্রমন্থন। স্মৃতির শহরের নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে মুগ্ধতাটুকুন ফের জানান দিয়ে গেলাম।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল,
লেখাটা পড়ে রশীদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ল, কি একটা মজার মানুষই না ছিলেন। কি অদ্ভূত অদ্ভূত গল্প বলতেন- বাঘ নাকি লাফ দেয় বাইশ হাত আর হরিণ লাফ দেয় তেইশ হাত, এইজন্যই তো বাঘ হরিণ ধরতে পারে না।
তোমার মনে আছে কিনা জানি না- আমাদের বাসায় প্লানচেট করলে সব সময় পর্তুগীজ ভূত আসতো, কাছাকাছি জপমালা রাণীর চার্চের পুরানো কবরস্তান থেকে!
ধানমন্ডি লেকে এখনো কিছু ঢোড়াসাপ আছে, সেদিন দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ে সাপ দেখে মহা উত্তেজ়িত, সাথে মা ছিল, মা-ই মনে হলো ভয় পেয়েছে।
একটা জিনিস যোগ করি, পুরাতন এলিফেন্ট রোড ঢাকা শহরের একটা প্রাচীন রাস্তা। হাতির নামের রাস্তাটার দিকে তাকালে দেখি এটির আগাগোড়া হাতিময়, এটা শুরু হচ্ছে পিলখানা (আরবীতে ফিল মানে হাতি) নিউ মার্কেট থেকে গাউসিয়া আর হকারস মার্কেট এর মাঝ দিয়ে হাতিরপুল (আবারো হাতি), পরিবাগ হয়ে সোজা রমনা থানার দক্ষিণপাশ দিয়ে ঘুরে মগবাজার ওয়ারলেস পার হয়ে হাতির ঝিলে শেষ হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে যে পিলখানা থেকে হাতি হেঁটে হেঁটে এতদুরে হাতির ঝিলে গোসল করতে যেত সেটা আন্দাজ করা যায়। এই রাস্তার অনেকটুকুই এখনো পুরাতন এলিফেন্ট রোড নামেই পরিচিত, google earth তাই বলে।একটু পন্ডিতি করার লোভ সামলাতে পারলাম না। ঢাকা যে অনেক পুরান শহর, এখনো যে অনেক চিনহ রয়ে গেছে ট্রাফিক জ্যামে পড়ে আর নতুন নির্মাণের ভিড়ে তা মনে করার সুযোগ আর সময় কই!
ধন্যবাদ ছোটবেলায় ফিরিয়ে নেবার জন্য, স্মৃতির শহর থেকে ঘুরিয়ে আনার জন্য। আর দারুল কাবাবের গন্ধ পেয়েছি।
তাহসীন
মন্তব্যে ভ্রাতৃসংঘের দ্বিতীয়জনকে পেয়ে আমি দারুণ পুলকিত। ভাইয়াও মাঝে মাঝে মন্তব্য করে আমার ব্লগে।
বাঘ আর হরিনের গল্পটা বাচ্চাদের বলতে হবে। রশীদ ভাই আসলেই একজন রিমার্কেবল মানুষ ছিলেন।
হাতিময় এই শহরের কথা এখন মনে হয় ভাবাও কঠিন। এলিফেন্ট রোডের ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো। মুনতাসির মামুনের বইটাতে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আছে।
প্ল্যানচেটের কথা মনে করায়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলেই বিদেশি ভূত আসতো, একদম শেষ প্ল্যানচেট করেছিলাম আমি, জুনায়েদ আর শিপু...জুনায়েদ মিডিয়াম ছিল, সেবারও সাহেব ভূত
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একদম আমার বাসার আশপাশ দিয়েই ঘুরলেন। ছোটবেলা থেকে এই বড়বেল অব্দি যে জায়গাগুলিতে ঘুরি ফিরি, সেগুলি দিয়েই ঘুরলেন।
ভীষণ চেনা লাগলো তাই, ভীষণ ভালো লাগলো তাই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সবজান্তা। আমার এখন হয় ভার্চুয়াল ঘোরাঘুরি, ঢাকা অবশ্য মনে হয় ভার্চুয়াল ঘোরার জন্যই ভালো
অটঃ আপনার বাসাটা কোথায়?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহ! একেবারে ছোটবেলা ঝাপাৎ করে সামনে চলে এলো। আমার শৈশব কেটেছে সেন্ট্রাল রোড, এলিফেন্ট রোড আর আজিমপুরে। কী দূর্দান্ত সুন্দরী ছিলো তখনকার ঢাকা!!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহিম।
তুমিও তো ল্যাবরেটরি আর ঢাকা কলেজ তাই না?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনিম ভাই, আমি ল্যাব আর নটরডেম... একটু অদ্ভূত কম্বিনেশন, সন্দেহ নেই!!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
হুম...অত দূরে যাওয়ার দরকার কী ছিল? রাস্তার ওপারেই তো ঢাকা কলেজ ছিল।
তাছাড়া নটরডেমের স্যারের মারধোর করে দেখলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কপালের ফের!
তবে এটাও কথা সত্য, লেখাপড়া কিভাবে করা উচিত, এটা নটরডেমেই শিখেছি। এই কারণে আমি নটরডেমের কাছে চিরদিন ঋণী।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমার বাসা বরাবরই সেন্ট্রাল রোডে। এখানেই কেটে গেছে জীবনের ১৯টি বছর।
প্রতিটা রাস্তায়, অলিতে গলিতে অসংখ্য স্মৃতি। ছাড়তেই চায় না।
ভালো লাগলো, তাসনীম ভাই।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ধন্যবাদ পলাশ।
পালাতে চাই যত সে আসে আমার পিছু পিছু।
ভালো থেক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্রেফ মুগ্ধ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ সেটা জানিয়ে দেওয়ার জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই চমৎকার সিরিজটা চালিয়ে যাবার জন্য আপনাকে
এবারে আপনার উপস্থাপনাটা একটু অন্যরকম হয়েছে। ভালই লাগল।
আপনাকেও ...এটা দেখতে সুন্দর, গন্ধও ভালো
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাঝে মাঝে নিজেকে ভয়ানক ভাগ্যবান মনে হয় [ আমি আসলেই তাই ] যে আমাকে ঢাকাকে নিজের শহর বলে কখনো পরিচয় দিতে হয় নাই। দিতে হলে আমি খুব কষ্ট পেতাম, নিজের শহরকে ধীরে ধীরে মৃত্যুনগরীতে পরিণত হতে দেখে!
আমি গ্রামের ছেলে। অগ্রহায়ণের শেষ বিকেলের শেষ শীতল রোদ্দুর গায়ে মেখে মেখে বড় হয়েছি। বাতাসের গন্ধ এখনও নাকে এসে লাগে। চোখ বুজলেই সেই সময়ের হলুদ সর্ষেক্ষেতগুলো আমার সামনে চলে আসে। আর আমি সেই হলুদ ক্ষেতের আল ধরে দৌঁড়াতে থাকা ৮-১০-১২ বছরের এক অস্থিরচিত্ত কিশোরকে দেখি মুগ্ধ হয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগো...মনে দাগা দিলে। তবে কথাটা সত্য...ঢাকা এক মৃতপ্রায় শহর, গত অল্প কয়েক বছরেই আমরা একে ছিবড়ে ফেলেছি। নিজ প্রিয় ভূমির মৃত্যু প্রত্যক্ষ করার চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।
দশ বছর অস্টিন শহরে থেকে থেকে শুধু এর উন্নতিই দেখলাম...আর মেজাজটা গরম করলাম। যদি আমরা ৮০ এর দশকের ঢাকাকেও আবার তৈরি করতে পারতাম...
সেই ছবি আঁকা শুরু কর...আমরাও কিশোরের চোখ দিয়ে দেখি আবার...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঢাকার সড়ক দ্বীপের গাছগুলো কাটা নিয়ে তো আপনি বলেছেন। আমিও দেখেছি কিছু কিছু তার। অথচ এইসব দেশের শহরের প্রধান সড়কের মাঝখানেই থাকে গাছপালার সারি। গলি রাস্তার কথা তো বাদ-ই দিলাম। ঢাকার অলিতে গলিতে শত-হাজার পানি প্রবাহের ড্রেন আছে। সেগুলো দিয়ে মনুষ্যবর্জ্য পর্যন্ত নাচতে নাচতে পরিবাহিত হয়। অথচ এখানে দেখি সেই ড্রেন সদৃশ পানির প্রবাহকে টলটলে রাখার কী সর্বাত্মক চেষ্টা এদের। কতো জায়গায় এই ড্রেনকেই তারা নদী নামে চেনে।
গত দশ বছর, সামনের দশ বছর এবং তার পরের দশ বছরেও তাই আপনি অস্টিনের কিংবা আমি জার্মানীর কোনো শহরের উন্নতিই দেখবো। পাশাপাশি আমাদের ঢাকার দেখবো অবনতি, মৃত্যু! কষ্টটা লাগে এখানেই তাসনীম ভাই।
ছবি তো আঁকতেই চাই। কিন্তু দ্বিধা কাজ করে। আমি তো আঁকিয়ে ভালো নই। আপনি যতোটা যত্ন আর সুন্দর করে ছবিগুলোতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন, এর সিকিভাগও আমার দ্বারা সম্ভব হবে না। তাই ক্ষান্ত দিয়ে রেখেছি আরকি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এমিল,
খুব ভাল লাগলো তোমার লেখাটা। এই ঢাকাটাকে মনে হলো চিনি।
ফার্ম গেট, মনিপুরি পাড়ার এক মাঠে ফুটবল খেলেছি - সময়টা ১৯৬৪ [ইশ, আমি কি এখন এতটা বুড়া হয়ে গেছি...]
ফাহিম, পলাশ এরাও সেন্ট্রাল রোডে থাকতো। কি আশ্চার্য - আমিও তো স্বাধীনতার ঠিক আগে এবং পরে সেখানেই ছিলাম। প্রথমে আইডিয়াল কলেজের উল্টা দিকে 'এলিট পেইন্টের' দোতালায়, তারপর স্বাধীনতার পরে সেন্ট্রাল রোডে ঢুকতে হাতের বা'দিকের দ্বিতীয় বাড়ীতে, যেখানে শিল্পী মোস্তাফা মনোয়ার থাকতেন। কত বিস্মৃত প্রায় স্মৃতি তুমি মনে করিয়ে দিলে। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে সেজন্যে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
সাইফ মামা,
অনেক ধন্যবাদ আপনার নিজের স্মৃতিচারণের জন্য। আপনার কাছেও আপনাদের সময় নিয়ে একটা সিরিজের দাবি করা যায়।
বিশেষ করে সেদিন যে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের কথা বলছিলেন, ওই সময়টা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আপনাকেও ...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা, মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম শুধু।
পুরাই টাশকি ! আমি নিজে ফার্মগেটের আশেপাশেই থাকি, ফার্মগেটকে আমার মনে হয় পৃথিবীর হকারদের রাজধানী, অথচ একদিন কতই না সুন্দর ছিলো নিরিবিলি !
তেজগাঁ গ্রাম, এই যুগের পুলাপান এটা জীবনেও বিশ্বাস করতে পারবে না !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ধন্যবাদ জাকির। বর্তমানে ফার্মগেটে দাঁড়ালে কল্পনাও করা যাবে না ত্রিশ বছরের আগের দৃশ্য। ঢাকা শহরের মত অন্য কোন শহরের এত পরিবর্তন (খারাপ দিকে) হয় নি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা অদ্ভূত মায়াবী। গত দশ বছর ওই শহরেই ছিলাম, প্রতিবার ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার সময় মনে হত নরকে ফিরছি। কিন্তু কেমন জানি একটা বোঝাপড়া ও হয়ে গিয়েছিল। তাই এখন নাগরিক স্বর্গে পৌছে অনেক মিস করি ফেলে আসা নরক--ঢাকাকে।
সজল
ধন্যবাদ সজল।
আপনার নতুন লেখা কই? আমেরিকায় আসার পরে লেখা কমে গেছে নাকি?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাত্র আসলাম তো। এখনো হা করে বিল্ডিং এর তলা গুনছি । গা থেকে "নতুন আইছি" গন্ধটা একটু ঝরুক
সজল
কথা ছিল ভোরে উঠে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার, কিন্তু বড় বাজে অভ্যাস হয়েছে নীড়পাতায় নতুন কী যোগ হল দেখার। আর ব্যস! অনেক্ষণ ধরে এ পাতা খুলে বসে আছি! এত চমৎকার হয়েছে এ পর্বটা যে আমার বলবার কিছু নেই। খালি (গুড়) (নতুন ইমো এখানেই দিলাম প্রথম)।
আমার প্রথম ঢাকার স্মৃতি ৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে, তার পর ৮০-র শেষ আর ৯০-এর শুরু। ৬ বছর বয়সী আমার স্মৃতিতে যে জিনিসটা জ্বলজ্বল করে তা হল সুপ্রশস্ত রাস্তা, গুলশান লেক ভরাট করে আরো রাস্তা হচ্ছে (এটা অবশ্য পরে ৯০-এর শেষে) বিজয় সরণীর ফোয়ারা, বেড়াবার জন্যে ক্রিসেন্ট লেক, লেকের ফোয়ারাটা আমি হাঁ করে দেখতাম যতবার ওর ধারে কাছে যেতাম, অনেকটা আপনার ধানমন্ডি লেকের ফিলিংস, যানজটহীন ১০ মিনিটে তেজগাঁ হয়ে ইস্কাটনে স্কুলে পৌঁছুনো। তারপরের ঢাকা হল অসহ্য। ২০০০ এর শুরুতে ঢাকা গেলে মনে হত দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বায়ুদূষণে আর ময়লা আবর্জনায় টেকা দায়, কখন পালাবো সেই দিন গুনতাম। আর এই দশকের শেষে, প্রথমে খুব কষ্ট হত মানিয়ে নিতে আবার এই শহরে, কিন্তু এটাতো আমার আরেক শহর, ইচ্ছা করলেও একে ছাড়া যায় না, মায়ানগরী, ধীরে ধীরে দেখি কখন আবার ভালবাসতে শুরু করে দিয়েছি, নিজের অজান্তেই। ইচ্ছা করলে কি ফেরান যায় না আবার শহরটাকে তার হারান ঔজ্বল্য? ডিসেন্ট্রালাইজেশন দরকার জরুরি ভিত্তিতে, তিলোত্তমা ঢাকা আর পারছে না এত ভার বইতে।
এই শহরটা নিয়ে এভাবে লিখে যাবার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার।
এই প্রশ্নটা আমিও ভাবি প্রায়ই। খুবই কি অসম্ভব এটা? অনেক শহরই তার সমস্যাগুলো সমাধান করেছে। আশা রাখি একদিন ঢাকাও তার ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পরীবাগ থেকে শাহবাগ হয়ে যাওয়ার সময় বড় বড় গাছের ডালে ডালে যে বাঁদর (নাকি উল্লুক?)-গুলিকে লাফালাফি করতে দেখেছিলেন তাদের কথাতো বললেন না ? এটাতো ওদেরও শহর ছিল একসময় নাকি - আর আপনি ওদের কথা ভুলে গেলেন ? বড় অভিমানী ওরা, আমাদের মানুষদের অত্যাচারে কোথায় যে চলে গেছে...
পিজির পূর্ব-দক্ষিন কোনের গেইটে এক লোক ফাটাফাটি মজাদার কিমা পরটা বেচত মাত্র দেড় টাকায়। আর এতে সত্যি সত্যি ভরপুর কিমাও থাকতো। এখন ৬০-৭০ টাকায়ও এর কাছাকাছি কিছু পাওয়া যায় না - বড়জোর পিয়াঁজ ভর্তি থাকে। খেয়েছেন ঐ দেড়-টাকার কিমা পরটা? এখনো জিভে জল আসে না ?
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাবের দিকে যেতে যেতে এ্যারোপ্লেন-মসজিদটা চোখে পড়েছে ? কেন জানি না স্বপ্নের মধ্যে এই মসজিদের এ্যারোপ্লেনটা বারবার ঘুরেফিরে আসে। আর সেই সাথে সাথে আগুন, বন্দুক, মিলিটারি, হ্যান্ডস-আপ - কি কি সব যেন ছুটকো-ছাটকা মিলিসেকেন্ডস্থায়ী স্ন্যাপশটের মতো দুঃস্বপ্ন ছলকে উঠে মুহুর্তের জন্য। তারপর...
ধানমন্ডি...আহ সেই ধানমন্ডি! এমনকি আশির দশকেও যে কি ছিল এখন তা কল্পনা করতে গেলেও শরীরে কাঁপুনি আসে। লালমাটিয়ায় তখনকার বাসা থেকে প্রতি বিকেলে যেতাম চরকি মারতে পদযুগল ভরসা করে। ২৭ নম্বর থেকে শুরু করে এই গলি থেকে সেই গলি হয়ে, মধ্যে মধ্যে বন্ধুদের বাসায় ঢু মারতে মারতে এবং কাউকে কাউকে সঙ্গে নিয়ে, লেকে একটু আড্ডাবাজি করে, ২ নম্বর ঘুরে আবার ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন সেই ধানমন্ডির ভেতর দিয়েই। প্রায় ফাঁকা রাস্তা, খালি ফুটপাথ, নিরিবিলি পরিবেশ, দুপাশে গাছের সারি - বাড়ির ভেতরেও, বাইরে রাস্তাতেও, লন/বাগান-ফুলফল গাছে ভরা বা নিদেনপক্ষে সামনে অনেকখানি খোলা জায়গা ফেলে রাখা একতলা-দোতলা বাড়ির সারি -- এসব এখন কল্পনারও বাইরের বিষয় বর্তমানের নরকমন্ডিতে। এখন এর বেশির ভাগ জায়গা দিয়ে হাটা বা রিক্সা/গাড়ি কোনভাবেই যাওয়ার কথা স্বপ্নে ভাবলেও জ্বর আসে গায়ে। এখন প্রান বাঁচানোর ঠেকা ছাড়া আর কোথাও যাই না ঢাকা শহরে। বেড়াতে চাইলে ঢাকার বাইরে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। বেড়ানো মানে যদি আপনার কাছে নরকযন্ত্রনা হয়, তাহলে অবশ্য আলাদা কথা। তো যেটা বলছিলাম, ধানমন্ডি থেকে লালমাটিয়া হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ফার্মগেটে যাওয়ার পথে সংসদের (তখনও 'সেকেন্ড-ক্যাপিট্যাল' বলতো এলাকাটাকে তাই না?) সামনের সেই বড় রাস্তাটার কথা আপনার মনে আছে ? তখন অবশ্য এত বড় অর্থাৎ প্রশস্ত ছিল না - কিন্তু দু'ধারে, এবং শুধু দু'ধারেই না মধ্যখানেও সেই প্রায় আকাশছোঁয়া বিশাল গাছগুলির সারির কথা মনে আছে যেগুলি উপর দিকে পরস্পর আলিঙ্গন করে মাথার উপর একটা চাঁদোয়া তৈরি করতো ? পরে কোন এক সানগ্লাস এদের গনহত্যা করলো অদৃশ্য আততায়ীর ভয়ে। হয়তো এদের অভিশাপেই... গাছেরও তো প্রান আছে তাই না ?
তো এরপর এখনকার খামারবাড়ি আর ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের মাঝখানের রাস্তা দিয়ে পৌঁছে গেলাম আবার ফার্মগেটে। মাঝখানে একটা লাল রঙের বাড়ি ছাড়া আর কিছুর কথা মনে পড়ছে না - যেটা নাকি কোন এক গুজবীয় আঙুল-কাটা যাওয়া ধনী ব্যক্তির বাড়ি ছিল।
তো তাসনীম ভাই, আমাকে যেখান থেকে তুলে নিয়েছিলেন সেই ফার্মগেটে আমরা আবার পৌঁছে গেছি। এখানেই নেমে যেতে হবে আমাকে। বাসা কাছেই।
খুব ভালো লাগলো আপনার সাথে এক বিকেল স্মৃতির শহর - নস্টালজিয়ার শহর - ঢাকা পরিভ্রমন। আবারো দেখা হবে হয়তো কোনদিন, আবারো এইভাবে একসাথে ঘোরা হবে এ-শহর, হবে স্মৃতিচারন -- যেদিন আমরা আমাদের সেই স্মৃতির শহর ফিরে পাবো বাস্তবে আর মহাসুখে-ফুরফুরে মনে দুঃস্মৃতিচারন করবো বর্তমানটার। ততদিন পর্যন্ত -- । ভাল থাকবেন।
মন্তব্যে লাইক। তবে বানরগুলোর বংশধরেরা কিছু আছে মনে হয়, গুলশান আর বারিধারা ডিওএইচেসের পার্কে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনি আরো কিছু স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিলেন, বিশেষত কিমা পরোটা আর এ্যারোপ্লেন-মসজিদটার কথা...পরের একটা পর্ব আমার স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে লিখব সেখানে কাজে লাগবে।
আপনার মন্তব্যটা দারুণ পছন্দ হয়েছে, পরে আরেকটু বড় করে জবাব দেব। এখন দৌড়ের উপর আছি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোন অসুবিধা নাই - Take your time. তাছাড়া আমাদের স্মৃতির শহরটা অনেক ধীরলয়েরই তো ছিল। তবে বোধহয় অনেক বেশি অজটিল আর সহৃদয়ও ছিল, কি বলেন ? কিম্বা... কে জানে, স্মৃতি হয়তো সবসময়ই সোনালি।
তবে, আপনাকে আরো কয়েকটা জিনিষ মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনি কি "ন্যায্যমূল্যের" দোকানে (বিশেষ করে সেগুনবাগিচায়) বিভিন্ন রাশান ও পূর্ব-ইউরোপের প্রোডাক্ট পেয়েছেন ? আমার এখনো মনে আছে, আমার আর আমার বন্ধুদের খুব প্রিয় ছিল "রাশান বুট" (আসলে খানিকটা বুটজুতার মত দেখতে লাল রাবার সোলের কেডস্ জাতীয় জিনিষ)। বাটা, ইপসি আর 'হকি শু'-এর চেয়েও এগুলি বেশি প্রিয় ছিল। আমার আরো প্রিয় ছিল রাশান স্প্যাঘেটি আর বুলগেরিয়ান মার্মালেড। ঢাকায় তখন বিদেশি জিনিষ বলতে বোধহয় এগুলিই ছিল তখন।
রাশানদের আরো একটা জিনিষ আমার খুব প্রিয় ছিল। সেটা হলো তাদের প্রগতি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বাচ্চাদের জন্য হরেক রকমের রাশান রূপকথার বাংলায় অনুদিত বই। বিশেষ করে 'রুশদেশের উপকথা' ছিল সবচেয়ে প্রিয়।
তখন প্রচুর ডোর-টু-ডোর ফেরিওয়ালা/বিক্রেতারা আসতো যারা এখন প্রায় বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া কোয়েলাকান্থ। মেয়েদের জন্য বাড়ি বাড়ি আসতো একদল বোরকাওয়ালি তাদের নানারকম মেয়েলি পসরা সাজানো কাঁচের ঢাকনিওয়ালা বাক্স নিয়ে। কাঁচের চুড়ি, পুতি, লেস-ফিতা, নকল মুক্তা, চিরুনি - আরো কত কি। বাড়ির মেয়ে/মহিলা/মা-খালারা অবসর অলস দুপুরে মনে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিত ঐগুলি দামদস্তুর করতে করতে। ছিল পাওরুটিওয়ালা, দুধওয়ালা, আমাদের এলাকায় - বাকরখানি আর সুতিকাবাবওয়ালা, নাপিত, দর্জি, লেপ-তোষকের কারিগর, আরো কত রকমারি মানুষ যারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাদের সেবা/পণ্য ফেরি করতেন যাদের এখন আর দেখি না। ছিল 'বায়োস্কোপ-ওয়ালা'। আর সবার উপর ছিল বাচ্চাদের ফেভারিট 'কটকটিওয়ালা' ! আসলে এরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরনো কাগজ/লোহালক্কড় কিনতো - 'কটকটি' নামক মিষ্টি জাতীয় জিনিষ রাখতো বাচ্চাদের লোভ দেখিয়ে বাসা থেকে একটু ভালো কোন জিনিষ চোরাপথে বের করে আনার জন্য। এদের ফাঁদে যে কতবার পা দিয়েছি! এই ব্যাটারা ছিল (অপ্রয়োজনের সময়) মা-মাসিদের দু-চক্ষের বিষ। আপনি কখনো কটকটিওয়ালাদের পেছনে দৌড়েছেন ? মজার না, কটকটি্র পেছনে ফ্ল্যাশব্যাকে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতেই এখন হঠাৎ ফাস্ট-ফরোয়ার্ডে অস্টিনে দৌঁড়াচ্ছেন ?
তখন আমরা প্রচুর ঘুড়ি (ঘুড্ডি) ঊড়াতাম। এক পাড়ার সাথে আরেক পাড়ার ছেলেদের এই ঘুড়ি দিয়ে কাটাকাটির সেকি প্রতিযোগিতা চলতো। আর চলতো ঘুড়ির সুতা অন্য পাড়ার থেকেও মজবুত করার জন্য সুতা 'মাঞ্জা' মারার টেকনিক নিয়ে বিপুল গবেষনা আর কর্মোদ্যম! আপনি এই ঘুড়ি-গবেষনা করেছেন কখনো ?
ঢাকায় তখন মেয়েদের গাড়ি চালানো একটা দারুন অভিনব ব্যাপার মনে করা হতো। মনে আছে, সেসময় নাট্যকার সাঈদ আহমদ সাহেবের স্ত্রী 'পারভীন আন্টি'কে গাড়ি চালানো শিখতে দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল। এনিয়ে প্রমীলামহলে অনেক ইর্ষাকাতর গুজগুজ-ফুসফুস হয়েছে! ও হ্যাঁ, সাঈদ আহমদ সাহেব বেশ কিছুদিন হলো প্রয়াত হয়েছেন। পেপারে তার মৃত্যুসংবাদ দেখেও, যাব যাব করেও, স্নেহশীলা 'আন্টি'কে যার কাছে একসময় অনেক প্রশ্রয় পেয়েছি, তাকে দেখতে যাওয়া হয়নি এখনো - ভয়ঙ্কর ট্রাফিক ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে। অনেককাল দেখা নেই, তবু... যে ঢাকা আমাকে মানুষ করেছিল, সেই ঢাকাই কি এখন আমাকে অমানুষ করে দিচ্ছে ? আগে হলে...। আপনি অস্টিনে গিয়ে বেঁচে গেছেন...মানুষ আছেন এখনো। উইকএন্ডে কয়েকশ' মাইল ড্রাইভ করে আপনাদের অনেকেই তো অন্য শহরে বাঙালী বন্ধু/আত্নীয়দের বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দেন, তাই না ? আমি কয়েক মাইলও যেতে চাই না। কয়েক বছর আগেও আমার যে বন্ধুরা প্রায় প্রতিদিনই আমার বাসায় আসতো, তারা এখন আসতে চায় না। আমিও যেতে চাই না। কে সাধ করে ট্রাফিক জামে আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা নরকযন্ত্রনা ভোগ করতে চায়? এইতো এখন ঢাকা। আমরা সবাই কত কাছে...অথচ তারপরও কত দূরে।
তাই আপনার স্মৃতির শহর নিয়ে লেখাটা পড়ে হঠাৎ করেই অনেকদিনের ধামাচাপা পড়া আমার সেই একটু গ্রামীন (?) ও লেইড-ব্যাক, কিন্তু অনেক বেশি মানবিক, স্মৃতির শহরের স্মৃতিগুলি ছলকে বেরিয়ে আমাকে বোধহয় বেশ প্রগলভ করে দিল। আশা করি এই প্রগলভতা অসহনীয় পর্যায়ে যায়নি। তবে এই শেষ। স্মৃতিচারন করতে আর ভালো লাগছে না - বরং ঢাকা ছেড়ে পালাতে ইচ্ছা করছে। ভাবছি অস্টিনে না পারি -- কেওকারাডং, নীলগিরি, সেন্ট মার্টিন্স, টাঙুয়ার হাওর বা এমন কোন জায়গায় পাকাপাকি চলে যাব।
আপনার মন্তব্যে অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। পড়তাম ল্যাবরেটরি স্কুলে, থাকতাম তেজগাঁয় রিকশায় যেতে সময় লাগত ২০/২৫ মিনিটের মত।
এই বিশ পঁচিশ মিনিট আমার দারুণ ভ্রমণ হতো, ভিআইপি রোডে রিকশা চলত তখন, একেক দিন রিকশা একেক দিক দিয়ে যেত। আমি মুগ্ধ চোখে এই
প্রাচীন শহর দেখতাম। সেই মুগ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। যেই ঢাকা আমার মনে ভেতর আছে, তার আর কোন অস্তিত্ব নেই...কোথাও নেই।
চিটাগং হোটেলের পুরু আসল কিমা পরোটা, ঢাকা স্ন্যাক্সের সমুচা, মৌলির চটপটি, মহানগরী সব্জী ঘরের কোন আইক্রিম...স্মৃতির শহরে প্রায়ই যেতে হয়।
বন্ধুদের অনেকেই ধানমন্ডি আর লালমাটিয়া থাকত, ২৭ নম্বরের লেক পাড় দিয়ে একটা সরু পায়ে চলা পথ ছিল, এক সন্ধ্যায় ভূতের ভয় ভোঁ দৌড় দিয়েছিলাম আমরা। শুধু বানর নয়, ভূতদেরও তাড়িয়ে দিয়েছি এই শহর থেকে।
প্রগতির বই, ন্যায্য মূল্যের জুতো, লেসফিতা ওয়ালা, কটকটিওয়ালা, শন পাপড়িওয়ালা, ঘুড়ির মাঞ্জা...আমাদের সব যাত্রাই আসলে পেছন দিকে, সেটা আপনি অস্টিনে থাকুন আর নীলগিরিতেই থাকুন...ইউ ক্যান টেক আ বয় আউট ফ্রম দ্য সিটি, বাট ক্যান্ট টেক দ্য সিটি আউট ফ্রম দ্য বয়।
আপনার প্রথম মন্তব্যে আমার যাত্রা সম্পন্ন করে দিয়েছেন...ধানমন্ডি থেকে মানিক মিয়া হয়ে ফার্মগেট...পথে আবার বিশাল সেই গাছ...তাদের হন্তারক সানগ্লাস পরা নেতা...সবাই আজ বিস্মৃতিতে...
অনেক ধন্যবাদ...সাথেই থাকুন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আঃ, প্রগতি প্রকাশনের বইগুলো সত্যিই চমৎকার ছিল। আপনার আছে এখনও?
ঢাকার দারুল কাবাবের কথা কখনো শুনি নি। আমাদের চট্টগ্রামেও একটা দারুল কাবাব আছে- স্টেডিয়ামের নিচে, সার্কিট হাউজের উল্টো দিকে। আমার কাবাব বিষয়ক হাতে খড়ি এইখানেই
পোস্টে (গুড়)
সক্কালবেলা দারুল কাবাবের কথা করিয়ে দিলেন?
ঠিক পাশের দোকান 'রয়েল হাটে'ও দারুণ দহিবড়া আর ফুচকা পাওয়া যায়!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যেমন দুর্দান্ত স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট, তেমনি মন্তব্যগুলো!
বিশেষত, অতিথি 'মনমাঝি'র মন্তব্যে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডু্প্লি কলঙ্ক ঘোচাতে এই মন্তব্যটা কেমন বেখাপ্পা হয়ে গেলো না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কহেন যাহা গুরুজনে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনাকেও (গুড়)...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল ভাই, একটা দাবী জানাচ্ছি, আমার ধারণা আরো অনেক পাঠক আমার সাথে একমত হবেন। শামসুর রাহমানের 'স্মৃতির শহর'-এর পর তাসনীম হোসেনের 'স্মৃতির শহর' বই আকারে পড়তে চাই। একজন ত্রিশ-চল্লিশের দশকের কথা বলে গেছেন, আরেকজন সত্তর-আশির দশকের কথা বলে যাচ্ছেন। খসড়াটা এভাবেই সচলে চলতে থাকুক। টুকটাক জিনিষ যেগুলো ভুলে গেছেন বা লেখার সময় মনে পড়ছেনা সেগুলো আমার মতো আপনার কাছাকাছি বয়সীরা মনে করিয়ে দেবে। তিল তিল করে এই শহরটার মরে যাওয়ার সাক্ষী আমরা। এই সাক্ষ্যের লিখিত রূপ থাকা দরকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তীব্র সহমত!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড়সড় সহমত।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
সব্বোনাশ...এতো বিরাট কাজ
স্মৃতির শহর মূলত আমার আত্মকথন, শৈশব আর কৈশোর ধরার অপচেষ্টা। আমাকে যারা গভীর ভাবে স্পর্শ করেছে, সেই সব মানুষ, স্থান আর ঘটনা নিয়েই এই আত্মকথন। ঢাকা শহর এর মধ্যে আছে, সর্বাগ্রে...যেহেতু সব ঘটনাই ঘটেছে তার বুকে।
লেখাটা বেশি টানবো না...প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছি আমরা। তবে শেষ হলে পার্টগুলোকে একসাথে করে একটা ই-বুক বের করব ভাবছি, যেটা নিচে একটা মন্তব্যে লিখেছি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অপার মুগ্ধতায় এক নিশ্বাসে পরে গেলাম, অসাধারণ!
ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুত সুন্দর এই স্মৃতির শহর!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ বুনোহাঁস।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একরাশ মুগ্ধতা।
হায় ঢাকা!
কাকস্য পরিবেদনা
ধন্যবাদ দ্রোহী।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার কেন জানি মনে হয় এই লেখাগুলো ঢাকায় বসে আপনি বা আর কেউ লিখতে পারতেন না এভাবে। অস্টিনে বসেই লেখা সম্ভব?
কি জানি।
আপনার স্মৃতির শহর, আমার ঢাকা। ফারাক আছে, আবার নেই।
ঢাকায় ঘুরলে স্মৃতির শহর খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিরাত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুল কাবাব আর ধানমন্ডি লেকের ঢোঁড়া সাপগুলোকে মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ইদানিং টেলিভিশনে লন্ডনের কলাপাতা রেস্টুরেন্ট এর বিজ্ঞাপনের মেনুতে বলছে সেখানে নাকি 'দারুল কাবাব' পাওয়া যায়। মূর্খের দল।
--
শীতের সন্ধায় দারুল কাবাবের সেই মাটির সানকিভরা ঘি টলমল মুরগির ঝালফ্রাই আর ভাপ ওঠা গরদের মত স্বচ্ছ রুমালী রুটি ডুবিয়ে খাচ্ছি, মাঝে মাঝে হেলাফেলায় এক এক চা-চামুচ সবুজ-সাদা রায়তা, এটা আমার একটি অতি প্রীই দিবাস্বপ্ন।
--
দলবেধে গামছা হাতে ধানমন্ডি লেকে চলে যেতাম। কয়েক লাখ না হলেও হাজার খানেক শিশু তেলাপিয়ার হন্তারক আমরা ক'জনা। রুপবান টিনের টুকরোর ওপর কলাপাতা রেখে তাতে তেল-নুন-লেবু রস দিয়ে শিশুমাছের অবিশ্বাস্য পাঁতুড়ি হয়। লেকের ধারের গন্ধরাজ ঝোপ আর সুবিশাল বেল গাছের নিচে বসে চড়ূইভাতি। লেজ ধরে বন-বন ঘুরিয়ে তারপর আধলা ইঁটে ছেচে আর ঢোঁড়া সাপ মেরেছিলাম একটি। ক্ষমাপ্রার্থী।
মন্তব্য ও স্মৃতিচারণের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের দিবাস্বপ্নে বেশ মিল আছে দেখছি
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখনো পর্যন্ত এটা বেস্ট অফ তাসনীম ভাই...
এবং বই আকারে এই চমৎকার স্মৃতি পড়তে পান্ডবদার সাথে আমরাও আগ্রহী...
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান...সিরিজ শেষ হলে একটা ই-বুক করতে পারি...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অতি অবশ্যই এই সিদ্ধান্তে ভুট দিলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও এই দাবিতে ভুট দিলাম।
অনন্ত
সাব্বাস দোস্ত।
থ্যাঙ্কস দোস্ত...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, সাতাশ নম্বর আর সাতমসজিদ রোডের অবস্থা গত পাঁচ বছরেই যেভাবে বদলেছে, লোকজন মোটামুটিভাবে একুশ শতকের প্রথম দশক নিয়েই দুইহাজার পনেরো সালে আরেকটা স্মৃতির শহর লেখা শুরু করে দিতে পারবে। চিরচেনা রাস্তাগুলোতেও আজকাল হারিয়ে যাবার দশা হয়।
ইবুক এর সিদ্ধান্তে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
২৭ নম্বর রোডের অবস্থা মতিঝিলের রাস্তার মত। অফিস, স্কুল আর শপিং মলের চাপে চেনা দায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওডিন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এক্কেবারেই অফ টপিক কিন্তু:
আজ শারদীয়া সংখ্যা কেনার পর আপনার কথা মনে হল। একবার আপনার সাথে এই বিষয়ে কথা হয়েছিল না? বাংলালাইভ ডট কম বেশ ভদ্র দামে (রিলেটিভলি) শারদীয়া সংখ্যা বেচছে, ইচ্ছে হলে কিনতে পারেন। আমার পুত্র-কন্না ফিইনালি গপ্প শোনার ব্যাপারে ধৈর্য ধরছে আজকাল (মিনিট ১০-এক এর জন্য তাই লোভে পড়ে শুকতারা-ও কিনে ফেলতে পারি এ বছর
আপনার মেল আইডি জানিনা তাই সচলের শরন নিলাম। এটা নীতিমালা লঙ্ঘন করছে কি? তাহলে সরিয়ে দেবেন।
--------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ধন্যবাদ।
আমার ই-মেইল tmhossain এট জিমেইল ডট কম। প্রোফাইলেও পাবেন। কোন সংখ্যাগুলো ভালো সেগুল আপনার কাছে জেনে নিতে হবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাহলে অপেক্ষা করেন তাসনীম। মাসখানেক বাদে কমুনে মেল আইডির জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
আপনার লেখা পড়ি আর আপনাকে হিংসে করি
সবই অভ্রের গুন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সিনেমা দেখলাম মনে হলো!
[তোমার লেখা পড়ে এখন আমারও লিখতে ইচ্ছা করছে! কী সব্বোনাশ!]
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ।
[লিখে ফেলো ]
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্য করতে অনেক দেরি করলাম। পড়েছিলাম যদিও আগেই। আর কতো প্রশংসা করা যায়, বাদ দ্যান।
হা হা হা...পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ...এটা বাদ দেওয়া যায় না কোন মতেই
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল্লাগ্লো, তাসনীম! এর আগের পর্বটা বই নিয়ে ছিলো না? দাঁড়ান, ঐটা পুরাটা পড়া বাকি, পড়ে নিয়ে বলতেসি
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা। অনেক দিন পরে...ঢাকায় ফিরে সচল ভুলে গেলেন নাকি? আশাকরি উপভোগ করছেন সময়।
অটঃ সচল খুব স্লো মনে হচ্ছে...সার্ভার ভায়ার রিবুট লাগবে নাকি? মুর্শেদ তো শিশুপালন করছে, সার্ভার পালনের দায়িত্ব এখন কার?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল
তোমার লেখা পড়ি আর ভাবি কি ভাবে আমরা একটা সুন্দর শহরেরে অপমৃত্যু ঘটালাম এতটা অল্প সময়ে। আমার চির চেনা ঢাকা বেচে থাকুক তোমার অসাধারণ লেখায়।
মন্তব্যে এই প্রথম দুই ভাইকে পেয়ে আমি দারুণ আনন্দিত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শুভ বিজয়া তাসনীম। আচ্ছা এই যে আ্যাদ্দিন হয়ে গেল আপনি লিখছেন না এটা কি উচিৎ কাজ হচ্ছে বলুন? শারদীয়া আনন্দমেলা পড়ছি, ভালই লাগছে। পুরোনোদের সদস্যদের মধ্যে অর্জুন আর কাকাবাবুই আছেন কেবল বাকিরা স--ব নতুন। আর এর মধ্যে আমার প্রিয় হলেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য-র মিতিন মাসি (দিব্ব গোয়েন্দা আর লেখায় তথ্য প্রমাদ প্রায় নেই)।হাতে পেলে পড়েই ফেলুন আনন্দমেলা, মনে হয় খারাপ লাগবে না
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
শুভ বিজয়া হরফ। আপনার মন্তব্যটা এইমাত্র চোখে পড়ল।
সময়ের অভাবে লেখা দিতে পারছি না, তবে স্মৃতির শহরে পরের পার্ট এই মাত্রই দিলাম, প্রায় একমাস হয়ে গেছে এরমাঝে!!!
জোগাড় করতে হবে আনন্দমেলা পূজাসংখ্যা দেখছি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুত...মন্ত্রমুগ্ধ...
নতুন মন্তব্য করুন