ধুদ ১টা ৩/-
মুরঘি ১টা ১৫/-
আঠা ১ সের...
আম্মা চোখ কুঁচকে আলোর লেখা বাজারের হিসাব পড়তে থাকেন। উর্ধ্বগামী খরচের চেয়ে বানান ভুলের প্রাবল্যই হয়ত তাঁকে বিচলিত করে বেশি। যেকোন ভুল বানান সংশোধন করাটা তাঁর প্রায় স্বভাবের অন্তর্গত হয়ে গেছে। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভা, ইংরেজী, বাংলা, অঙ্ক, ভূগোল, সাহিত্য সব বিষয়েই তাঁর পান্ডিত্য ছিল অগাধ, একাধিক বিদেশি ডিগ্রি কুক্ষিগত করেছেন অনায়াস দক্ষতায় তবুও তাঁকে দিনের শেষে বাজারের হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হয়, সংসারের অর্থনীতি চিন্তায় দিনাতিপাত করতে হয় অহর্নিশ। এই পার্থিব সংসারের চাপে অচিন পাখির মতই উচ্চাশাগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে তাঁর।
আমি সকালে ঘুম ঘুম চোখে দেখি তিনি অফিসে যাবার জন্য প্রস্তুত। দুপুরে অফিস থেকে ফিরে প্রিয় কোন বই হাতে একটু বিশ্রাম, রাতে আমাদের পড়াশুনার তদারকি আর সংসারের যাবতীয় একাউন্টিং। দামি কোন কিছু কিনতে গেলেই পিছিয়ে এসেছেন, বেশিদিন আর বাঁচবো না, পয়সা নষ্ট করে কি হবে? নশ্বরতায় এই চিন্তায় চিন্তায় কিছুই ঠিক আর কিনে ওঠা হয় নি, দেখতে দেখতে পুরানো আসবাব-পত্রে বাসা হয়ে গিয়েছে মিউজিয়াম। বেড়ানো অথবা ভ্যাকেশন? অফিসের ট্যুর ছাড়া কখন দেখিনি তাঁকে শহরের চৌহদ্দি পার হতে। এভাবেই অর্থমন্ত্রীত্ব করতে করতে কেটে গেছে প্রায় পুরোটা জীবন।
আমার বাবার বর্ণনা দেওয়ার ক্ষমতায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা ছিল, যদিও উনার সাধুভাষায় লিখিত গদ্য ছিল অতি প্রাঞ্জল। ফোনে আমাদের বাসার আসার নির্দেশনা দিতে গেলে আব্বা প্রায়ই বলতেন...
“জ্বি জ্বি...আমাদের বাসাটা তেঁজগা স্টেশনের একদম উপরেই... হাড়ভাঙার দোকানের পেছনেই...”
আব্বার এই “ডিরেকশন” শুনে আম্মার বিরক্তি বেশ চরমে উঠত। স্টেশনের উপরে কিভাবে মানুষের বাসা হয়? হাড়ভাঙার দোকান কি প্যারিসের আইফেল টাওয়ার যে সবাই চিনে ফেলবে? যেহেতু আব্বা খুব গুছিয়ে কোন কিছু ব্যাখ্যা করতে পারতেন না, তাই আমাদের বাসার পররাষ্ট্র ও গণযোগাযোগ দফতরও আমার মায়ের দখলে। কিন্তু আমরা কেউ অসুখে পড়লে এইসব মন্ত্রীত্ব বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে হঠাৎ মায়ের আবির্ভাব, চিকেন স্যুপ, পোলাওয়ের চালের নরম ভাত, অল্প মসলা দেওয়া ঝোল....যদিও আমার খেতে ইচ্ছে করত না তখন...কিন্তু শাস্ত্রে নাকি আছে ফিড আ কোল্ড এন্ড স্টার্ভ আ ফিভার...আমি ভাবতাম আমারতো জ্বর, তাহলেতো না খেয়ে থাকার কথা, কিন্তু কেন জানি আমার অসুখটা সব সময়ই “কোল্ডই” হতো, তাই জোর করেই খেতে হতো। তাছাড়া জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করতে গেলে শরীরে বল লাগবে না? এখন নিজের বুদ্ধিতেই অসুস্থ শরীরে খাবার গলঃধরণ করি কিন্তু জ্বরের ঘোরে যেন সেই অমৃতই খুঁজে বেড়াই।
আম্মার একমাত্র বিলাসিতা ছিল বই পড়া। দুপুরে বা রাতে বই না পড়লে ঘুমই আসতে চাইতো না। প্রায়ই আম্মা আমাদের গল্প অনুবাদ করে শোনাতেন, ঘুম ঘুম দুপুরে শার্লক হোমসের গল্প শুনতে শুনতে চোখের সামনে দেখতে পেতাম বেকার স্ট্রিটের বৈঠকখানা আর পরক্ষণেই আমাদের বারান্দার রোদ্দুর আর পুকুরের ধারের নারিকেল গাছের সারি তাকিয়ে আমার মনে হতো ইংল্যান্ডের চেয়ে ঢের ভালো আমাদের এই তেজগাঁ, কী সুন্দর এবং শান্তিময়, একটা জীবন অনায়াসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় আমাদের এই ২৯ নম্বর বাসভবনে। বহু বহু বছর পরে বেকার স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে কেন জানি সেই দুপুর বেলার গল্পই ফিরে এসেছিল, শার্লক হোমস নন, মায়ের মুখে শোনা অসাধারণ গল্প গুলোই ঠেলেঠুলে সরিয়ে দিল যাবতীয় সাধারণ কথামালা। শুধু অনুবাদ নয়, আম্মা নিজেও প্রচুর গল্প তৈরি করতেন, কোন কোন গল্পে তিনি নিজেই নায়িকা, এসেছেন পরীদের দেশ থেকে, কাজ শেষ হলে চলে যাবেন আবারো সেই মুলুকে, তাঁর পায়ের নিচের গোলাপি রঙ কালচে হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই ইঁট-পাথরের ময়লা দুনিয়াতে এসে। এই প্রামাণ্য দলিল দেখে বিষাদগ্রস্ত হয়েছিল মন শৈশবে, অর্ধেক জীবন শেষ করে সেই বিষাদ আজো ডানা মেলে, বেড়েই চলেছে যে সেই মালিন্য আমাদের এই দুষ্ট পৃথিবীতে এসে।
শৈশবে আমার ছিল ব্যাপক ভূতের ভয়। রাতে বাসায় জ্বলত অনুজ্জ্বল হলুদ রঙের ৪০ পাওয়ারের বাতি, তাতে মনে হয় আলোর চেয়ে অন্ধকারটাই জোরদার হতো বেশি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দেখা যেত একটু দূরের গীর্জার সাথে লাগোয়া কবরস্থানের টিমটিমে বাতি। অনেক পুরানো সেই কবরগুলো, ভূত হওয়ার জন্য অনেক সময় পেয়েছেন উনারা। এটা আমি নিশ্চিত ছিলাম যে তেনারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাড়াময়...রাতে বাথরুমের বন্ধ কল দিয়ে যে টিপটিপ করে পানি পড়ে তাতেও উনাদের হাত আছে নিশ্চয়। রাতে আমি ভয়ার্ত গলায় আম্মাকে জিজ্ঞেস করলে উনি অভয় দিতেন ওইগুলো নাকি ছোটখাটো ভূত...ভদ্র স্বভাব...কারো কোন ক্ষতি করে না।
ভূত বলে কিছু নেই এটা কেন বলেলনি -- এই প্রশ্নের উত্তর নেই, তবে ওইসব নিরীহ ভূতগুলো আসলেই কোন ক্ষতি করত না, শুধু শৈশবকে একটু বর্ণাঢ্য করার বিনোদনমূলক দায়িত্ব ছিল ওদের। আমরা ফ্ল্যাট-ট্যাট তৈরি করে তাড়িয়ে দিয়েছি ওদেরকে, আজকের এই শহরে মানুষ ধারণ করাই কঠিন, ভূততো দূরের কথা।
আমি ওই পৃথিবী ছেড়ে এসেছি অনেকদিন। যেই পৃথিবীতে এখন আমার বাস, সেটা কল্পনা থেকে দূরে, পরীদের থেকে দূরে, দুপুর বেলা শোনা গল্প থেকে দূরে, জ্বরের ঘোরে ভাত খাবার অনিচ্ছা থেকে দূরে, ভালো ভালো সব ভূতদের থেকে দূরে, সন্ধ্যার মুখে তেজগাঁর বাসার ছাদে বসে রেলের শব্দ আর পাখিদের ঘরে ফেরা থেকে দূরে, কামরাঙা গাছে বসা টিয়ে পাখির থেকে দূরে, আমার পোষা কুকুর “জো” এর থেকে দূরে, যেই জগতে আমার বেড়ে ওঠা, যেই জগতটা আমার একান্তই নিজের ছিল, সেই শৈশব থেকে বহু বহু দূরের এক পৃথিবীতে আমার বাস।
এখানে কল্পনা নেই বরং আছে ঘোরতর বাস্তব, পরীদের আনাগোনা নেই, নেই গল্প শোনার দুপুর, আছে বোকাবাক্সের বোকা বোকা গল্পকথা। বিনোদিত করার মত ভূত নেই বরং আছে বিকট সব হরর ফিল্ম, নেই শেষ রাতের রেলগাড়ির শব্দ, নেই সবুজ রঙের গাছে আরো সবুজ পাখি, বরং আছে দাঁড়বন্দি ডানার কষ্টময় ঝাপটানি। আর নেই আমার সেই বিস্ময়কর জগতের সূত্রধর, আমার মা। কর্কট রোগসহ নানান ব্যধি তাঁকে জর্জরিত করেছে, আর বিমর্ষ ও ব্যথিত করেছে আমাকে।
আজ আমরা দুই পৃথিবীর বাসিন্দা, ভৌগলিক দূরত্বের বাইরেও এই দুই জগতের দূরত্ব যেন প্রায় অনতিক্রম্য। এখান থেকে সেই জগতে ফেরাটা অসম্ভব। সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে শুধুই স্মৃতির শহর, বিনা টিকেটে, বিনা খরচে, বিনা বাধায় সেই জগতে প্রবেশ করা যায়, এইটুকু আছে বলেই আমার সেই পৃথিবীটা এখনো হারিয়ে যায়নি। স্মৃতির শহর আছে বলেই বর্তমান পৃথিবীটাকে এখনও মায়াময় লাগে।
বেঁচে থাকুক আমার এক ফোঁটা স্মৃতির শহর!
খেলাঘর পাতা আছে এই এখানে,
স্বপ্নের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে।
এখানে রাতের ছায়া ঘুমের নগর,
চোখের পাতায় ঘুম ঝরে ঝরঝর।
এইখানে খেলাঘর পাতা আমাদের,
আকাশের নীল রং ছাউনিতে এর।
পরীদের ডানা দিয়ে তৈরি দেয়াল,
প্রজাপতি রং মাখা জানালার জাল।
তারা ঝিকিমিকি পথ ঘুমের দেশের,
এইখানে খেলাঘর পাতা আমাদের।
(রূপকথা – আহসান হাবীব)
###
আগের পর্ব এইখানে, যদিও এরা ধারাবাহিক নয়, বরং স্মৃতির মতই ছন্নছাড়া।
মন্তব্য
লেখাটা পড়তে পড়তে বিষন্নতায় পেয়ে বসলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমিমা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার আব্বুও অনেকটা এভাবেই আমাদের আত্নীয়দের তার বাসার (বাড়ি নয় কিন্তু) ডিরেকশন দিয়ে থাকেন
লেখাটা বরাবরের চেয়ে অনেক বেশি চমৎকার হয়েছে।
---আশফাক আহমেদ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আশফাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভূতের কথা আর বইলেন না তাসনীম ভাই। দেশে কবরস্থানের আশে পাশে গেলে আত্মারাম হতো খাঁচাছাড়া। অথচ এখন যেখানে থাকি তার দুই দিকে আছে তিনটা বিশাল কবরস্থান! রাত-বিরোতে শীষ বাজাতে বাজাতে সেগুলোর পাশ দিয়ে ফিরি। কখনো মনে হয়, মন্দ হতো না যদি দুয়েকটা ভূত দাদুর সঙ্গে দেখা হয়ে যেতো। সুখ-দুঃখের দুই-চারটা আলাপ-সালাপ করা যেতো চুটিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভয়াবহ জায়গায় থাকো মনে হচ্ছে তবে সাহেব ভূতরা অনেক মোলায়েম হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বানান শুদ্ধি ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদটা একসাথে দিয়ে দিলাম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুমম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল্লাগছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মুর্শেদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"বেঁচে থাকুক আমার এক ফোঁটা স্মৃতির শহর!"
স্মৃতি বেঁচে থাক, বেঁচে থাক স্মৃতির শহর।
স্মৃতিকাতর করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে কামরুল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো লেখাটা তাসনীম ভাই। আমার জীবনেও মায়ের প্রভাব অনেক। তবে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবনে। এখনও সময় পেলে মায়ের পাশে বসে তার সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা শুনি। সব ময়ের জন্যে শ্রদ্ধা।
রাতঃস্মরণীয়
সব মায়ের জন্য শ্রদ্ধা...মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়। আপনার মায়ের সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতাগুলোও আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আশাকরি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ওই পৃথিবী ছেড়ে এসেছি অনেকদিন। যেই পৃথিবীতে এখন আমার বাস, সেটা কল্পনা থেকে দূরে, পরীদের থেকে দূরে, দুপুর বেলা শোনা গল্প থেকে দূরে, জ্বরের ঘোরে ভাত খাবার অনিচ্ছা থেকে দূরে, ভালো ভালো সব ভূতদের থেকে দূরে, সন্ধ্যার মুখে তেজগাঁর বাসার ছাদে বসে রেলের শব্দ আর পাখিদের ঘরে ফেরা থেকে দূরে, কামরাঙা গাছে বসা টিয়ে পাখির থেকে দূরে, আমার পোষা কুকুর “জো” এর থেকে দূরে, যেই জগতে আমার বেড়ে ওঠা, যেই জগতটা আমার একান্তই নিজের ছিল, সেই শৈশব থেকে বহু বহু দূরের এক পৃথিবীতে আমার বাস।
এক বাক্যে সব বলে দিলেন। আপনার আবেগ আর পরিমিতিবোধ মারাত্মক। সত্যিই। কিন্তু আপনারা ভাইয়া প্রবাস-অভিজ্ঞতা নিয়ে সবাই এমন ভাবে লিখেন, দেশ ছাড়তেই আর সাহস হয় না, পরে না বাকি জীবন এরকম নস্ট্যালজিক পোস্ট ছাড়তে ছাড়তেই চলে যায়।
অতিথি লেখক বিধায় লেখায় তারা সাঁটতে পারলাম না। কি আর বলব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফারাবী। তারার চেয়ে আমি মন্তব্যে নজর দেই, পুরানো লেখার মন্তব্যও পড়ি মাঝে মাঝে, এই দ্বিমুখী যোগাযোগটাই সচলের সবচেয়ে মজার ব্যাপার।
প্রবাস জীবন অনেকের জন্যই বেশ সহজ...সমস্যা হচ্ছে সবার জন্য নয়। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলে পাসপোর্টে জুড়ে দিতাম কথাগুলি:-) সব গাছ যেমন সব জমিতে বাঁচেনা, তেমনি সব মানুষও সব জায়গায় কম্প্যাটিবল নয়। ১৪ বছর প্রবাস জীবন শেষে যেটা হয়েছে- না ভালো লাগে প্রবাস জীবন, না ভালো লাগে বর্তমান ঢাকা শহর... দুই জগতের মাঝে এ এক অদ্ভুত নির্বাসন। সেই জন্যই স্মৃতির শহরে যাতায়ত।
নিজের ক্ষমতা ও অক্ষমতা যত আগে বোঝা যায় ততই মঙ্গল। তবে সুযোগ বিদেশে আসা উচিত, অন্তত উচ্চশিক্ষার জন্য হলেও।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
ধন্যবাদ ওসিরিস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রিয় তাসনীম ভাইয়ের প্রিয় সিরিজ...
আর
... চমৎকার লাগলো ভাইয়া। সত্যি। গড়গড়িয়ে সিরিজের রেলগাড়ি চলুক- স্মৃতির স্টেশন কাঁপিয়ে।
_________________________________________
সেরিওজা
অনেক ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার আম্মা তো সেই লেভেলের নারী তাসনিম ভাই! লাকি আপনে!
আসলেই
ধন্যবাদ সিরাত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অপূর্ব লাগলো আপনার আম্মার কথা পড়তে :-)।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
অনেক ধন্যবাদ হরফ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই...অনেক কিছুই যেন মিলে গেল ,সংসারের বাজার সদাই থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু...নাহ, সিরিজটা আসলেই মাস্টারপিস একটা।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অদ্রোহ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম মায়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। মায়েরা কিভাবে জানি সব পারেন। আপনার এই লেখাটা অনেক ভালো লাগলো।
সজল
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার এই সিরিজ পড়ে গত কয়েক মাস যাবত ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আমার পা পড়েছে, যেখানে গত ২০ বছরের নগরজীবনে কখনও যাবার কথা চিন্তাও করিনি।
মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি জায়গাগুলোকে, কল্পনা করার চেষ্টা করেছি কেমন ছিল কয়েক দশক আগেও।
মা'দের প্রসঙ্গে বলি, জীবনে সবকিছু বদলে যেতে পারে কিন্তু মা নয়।
চলতে থাকুক স্মৃতির শহর, সাথে আমি। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অলস সময়
বাহ...দারুণতো...তোমার অভিজ্ঞতা নিয়েও লেখা শুরু কর।
তেজগাঁতে গিয়েছিলে? জায়গাটা এখন ভয়াবহ...তবে ঘড়ির কাঁটা কয়েক দশক পেছালেই সব মলিনতা কেটে যাবে। মাঝে মাঝে মনে কয়েক দশক সামনে গেলে কী হবে?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পলাশ, তুমিও ভালো থেক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল ভাই, আপনার তবু একটা সান্ত্বনা আছে যে আপনার জন্য এখনকার ভৌগলিক দূরত্বটা একটা বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু আমার মতো যাদের জন্য ভৌগলিক দূরত্বটা ততোটা ফ্যাক্টর না কিন্তু অন্য সব ফ্যাক্টরের চাপে দূরত্বটা আপনার মতোই অলঙ্ঘনীয় হয়ে গেছে তাদের সান্ত্বনা কী? আপনাকে এ'প্রশ্ন করছিনা, নিজেই নিজেকে বলি।
বই আকারে তাসনীম হোসেনের স্মৃতির শহরের জন্য আরো একটা ইট রেখে গেলাম। এই ইট রাখা অব্যাহত থাকবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব।
হাজার কাজের মধ্যে মা-বাবার জন্য সময় রাখতে চেষ্টা করবেন। সারাজীবনই নানান ফ্যাক্টরের হ্যাপা থাকবে, কিন্তু বাবা-মা?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'জবাব' লিঙ্কটা টিপলাম বটে, তবে লেখাটা বরাবরের মতই লা-জবাব হয়েছে।
এই কথাটা আমিও শুনেছি অনেক। তখন বুঝিনি। এখন বুঝি। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই। নিরন্তর আফসোস ছাড়া।
শুধু আপনি নন, যারা ফিজিকালি এখনও একই জায়গায় আছেন তাদেরও কারো কারো মধ্যে হয়তো এই বিচ্ছেদ বেদনা, জীবন থেকে খুব মূল্যবান কিছু একটা চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি কাজ করে। আমার তো করেই। তখন "ওই পৃথিবী", জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ঐ মহামূল্যবান অংশটুকু একটা অধরা ছায়া-সুনিবিড় স্পিরিচুয়াল দারুচিনি-দ্বীপ হয়ে ধরা দেয়। হাতছানি দেয়। এই কল্পনাহীন, কঠোর বাস্তবতা থেকে পালিয়ে তখন মাঝে মাঝে ঐ দারুচিনি-দ্বীপে কিছুক্ষনের জন্য হলেও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে - ওখানে গিয়ে একটু রিকিঊপারেট করতে ইচ্ছে করে। এই সুযোগ না থাকলে মনে হয় নিজেও আশপাশের যন্ত্র আর ইট-কাঠ-পাথরের মত জড়ীভূত হয়ে যাব।
হয়তো বয়স এখানে একটা বিশাল ফ্যাক্টর। তবে যখন সমবয়সী অনেকের মধ্যেই দেখি এবিষয়ে কোনই মাথাব্যাথা নেই, তখন বুঝি 'স্মৃতির শহর' বা স্পিরিচুয়াল দারুচিনি-দ্বীপ সবার প্রয়োজন নেই।
কিম্বা কে জানে... হয়তো আছে, যা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। আমারটাই কি বোঝা যায়?
এই একদম শেষ কথাটা ভাবতে ও লিখতে গিয়েই মনে একটা প্রশ্ন আসল - আমি ঢাকায় বসে প্রাত্যহিক বাস্তবতা পরিবৃত হয়েও এই ব্লগে আসি কেন - যেখানে সম্ভবত বেশির ভাগ লেখকই প্রবাসী (অন্তত অনেকেই)? এখন মনে হচ্ছে এর কারনও বোধহয় ওইটাই - এখানে (এবং স্মৃতিচারনমূলক লেখায় বা সাধারনভাবে সাহিত্যেও) বেশির ভাগ বা অনেক লেখাতেই কোথায় যেন একটা 'স্মৃতির শহর' বা দারুচিনি-দ্বীপের আশ্রয় প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে থাকেই - হয়তো অন্য কোন নামে, অন্য কোন চেহারায়। অন্তত সেই আকাঙ্খাটুকু। বাস্তবে যে মানুষটার এমনিতে দেখলে 'স্মৃতির শহর' আছে বলে মনেই হবে না, এমন অনেকেরই হয়তো অন্য একটা মাত্রা এই ব্লগে (বা সাহিত্যে) এসে মুক্তি পায়, নামে অথবা বেনামে। সে হিসেবে ব্লগও কিছুটা হলেও এরকম একটা স্পিরিচুয়াল দারুচিনি-দ্বীপ, যেখানে আমরা একে অন্যের 'স্মৃতির শহরে' বেড়াতে পারি, শ্বাস ফেলতে পারি। কি বলেন ?
ঠিকই বলেছেন, স্মৃতির শহর বাস্তবতার বাইরে একটা রেফিউজের মত। এটার অস্তিত্ব স্মৃতির ভেতর ছাড়া কোথাও নেই, এখানে আনাগোনা শুধু একটু খানি আশ্রয় আর শান্তি দেয়...কবিতার বনলতা সেনের মতই। আপনার অপর অবসার্ভেশনটাও মনে হয় ঠিকই আছে, সবার দরকার নেই এই এক টুকরো আশ্রয়। যদিও মধ্য বয়েসী মানুষেরা তাদের "মিডলাইফ ক্রাইসিসের" সময় নানান আশ্রয় খুঁজেন বলেই আমার ধারণা, তবে সবার জন্য এর প্রয়োজন পড়ে না, এবং সবাই একই বয়েসে সমান স্মৃতি ভারাক্রান্ত হন না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এটা আমারো বাস্তবতা।
"স্মৃতির শহর" আমার খুব প্রিয় একটি সিরিজ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা পড়ার পর মনটা প্রচন্ড বিষন্নতায় ছেয়ে যায়। মনে হয়, সব ছেড়েছুড়ে চলে যাই আপন সেই শহরে যদিও জানি ফিরে গেলে হয়তো পুরোনো শহরটাকে আগের মত করে পাবো না।
পাগল মন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাগল মন।
খুব সত্য কথা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
অনেক খনের জন্য আমাকে নির্বাক করে রাখল আপনার এই লেখাটা। প্রবাসে আপনার মত এত দীর্ঘ না হলেও ১০টি বছর কাটিয়ে দিয়েছি। আপনি যেমন বলেন, প্রবাসে দীর্ঘকাল কাটানোয় আমরা না হয়েছি এই ঘাটের, না রয়েছি ঐ ঘাটে। আমার উপলব্ধি একেবারেই তাই। তবুও নিজেকে সব সময় বলি---এক সময় আমি ঠিকই ফিরব দেশে।
আমি জানি না নিজের কাছে করা এই প্রতিজ্ঞা আমি রাখতে পারব কি না। কিন্তু ভাবতে খুব ভাল লাগে---একদিন দেশে ফিরে যাব, দু' পায়ে ধুলো মেখে আমার গ্রামের স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কিছু কচি কচি মুখের দিকে তাকিয়ে বলব---স্বপ্ন দেখা কখনো থামিও না, আর থামিও না প্রশ্ন করার ইচ্ছেটা!
আমার খুব ইচ্ছে---আমার এই সাধটা পূর্ণ হোক।
ভাল থাকবেন তাসনীম ভাই--অনেক, অ--নে--ক ভাল।
অনিকেত ভাই,
আপনিতো ১০ বছর ধরে থাকেন, আর আমি ২ বছর থেকেই মনে হচ্ছে যে প্রবাসজীবন আমার জন্য না।
ইচ্ছা এখন যত তাড়াতাড়ি দেশে ফেরা যায় কিন্তু নিস্ঠুর, কঠোর বাস্তবতা সে ইচ্ছার পথে প্রধান বাঁধা। তবুও স্বপ্ন দেখে যাই, একদিন ফিরে যাবো নিজ দেশে, স্মৃতির শহরে।
পাগল মন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনিকেত।
আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই (গুড়)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গোছানো, খুব সুন্দর।
বেঁচে থাকুক স্মৃতির শহর।
অনেক ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন, অনেক ভাল। সবসময় ।
ভালো লাগাটা জানিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ বিষণ্ণ বাউন্ডুলে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লেগেছে এইটুকু ছাড়া লেখা নিয়ে আর বেশি কিছু বলবো না ...... এই গল্প প্রায় আমাদের সবারই ......
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধা। শৈশবে ফিরতে পারলে গল্পগুলো প্রায় মিলেই যায় মনে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী চমৎকার লেখা! ঝরঝরে! স্মৃতিজাগানিয়া!
কাকস্য পরিবেদনা
ধন্যবাদ দ্রোহী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অমানুষিক! কীভাবে এতো চমৎকার লিখেন তাসনীম ভাই ?
আপনার এই সিরিজের লেখাগুলি পড়ে যেন সবকিছু চোখের সামনে একটা সিনেমার স্ক্রীনে ভেসে উঠতে থাকে। আশ্চর্য এই পরিমিতি বোধটুকু। আবেগ আছে, আতিশায্য নেই। এখনো স্বদেশে, স্বশহরে বাস করেও আপনার লেখাগুলি আমাকে আপনার মতোই বিষণ্ণ করে।
আরো অনেক লিখবেন, এইটুকু আশা অন্তত করি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মাথার ভেতর স্মৃতির শহর নামের সিনেমাটা অবিরাম চলে যে ভাই, সেই জন্যই লেখাটা অনেক সহজ হয়ে যায় মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ভাল লাগল তাসনীম ভাই। প্রবাসে আছি বলে কিছুটা বিষন্নতাও ছেয়ে গেল।
অনন্ত
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভাল লাগলো।
ভালো লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ দুর্দান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পাথর হয়ে যাচ্ছি। তাই কিছু বলে আর এই লেখার অবমাননা করলাম না। একটা ই-বই করতে পারেন।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পরে মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো মহাস্থবির জাতক। ই-বই বের করার প্ল্যান আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা, তাসনীম ভাই। মুগ্ধ হলাম পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাজারের লিস্টটা দেখে বহুদিন আগের এক পোস্টে মুস্তাফিজ ভাইয়ের দেয়া খুবই রোম্যান্টিক একটা বাজারের লিস্টের কথা মনে পড়ে গেলো।
"সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে শুধুই স্মৃতির শহর, বিনা টিকেটে, বিনা খরচে, বিনা বাধায় সেই জগতে প্রবেশ করা যায়, এইটুকু আছে বলেই আমার সেই পৃথিবীটা এখনো হারিয়ে যায়নি। স্মৃতির শহর আছে বলেই বর্তমান পৃথিবীটাকে এখনও মায়াময় লাগে।"
ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো আপনার স্মৃতির শহর।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ শিমুল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজটা আসলেই অসাধারন।
- পান্ডবদা'র সাথে আমিও একমত।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ অনুপম ত্রিবেদি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাঝরাতে এই লেখাটা কেন যে পড়তে গেলাম!
খুব ভাল লাগলো। বিষণ্ণতায় পেলো যদিও, তবু, ঐ যে বলে না, বিরহ বড় ভাল লাগে...।
আরও অনেক অনেক লিখুন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আসলেই...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগল আবারও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেই অর্থমন্ত্রীত্ব সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে করে শেষ বয়সে এসে শরীরের সাথে আবার ফিল্ডমার্শাল ধরনের যুদ্ধ।
আমাদের সবার মা গুলো এরকম ছন্নছাড়া রকমের বোকা হয় কেন বলুনতো?
সারাজীবন আমাদের দেখতে গিয়ে নিজেকে দেখার ইচ্ছেটাই ভুলে যায়।
লেখা খুব ভালো লাগলো তাসনীম ভাই। সবসময়ের মতোই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ রানা মেহের, আমাদের সবার শৈশবের গল্পগুলো মনে হয় একই, তাই সেই গল্পের নায়িকারাও একই রকম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা কী অবলীলায় বলে গেলেন কথাগুলো, যেন পড়ে গেলেন স্মৃতিজাগানিয়া এক একটা কবিতা।
ভাল থাকুন সবসময়।
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ অসাধারণ একটা লেখার জন্য - এর চেয়ে বেশী কিছু বলার মত সাধ্য নেই এখন।
ধন্যবাদ অপছন্দনীয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল
প্রতিবারের মত এবারো তোমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম আর সেই সাথে বিষন্নতায় ছেয়ে গেল মন। মনে হলো আবার ফিরে যাই বালকবেলায়, আম্মার কাছে গল্প শোনার সেই অলস দুপরে। কি করে পার অবলীলায় এত সুন্দর করে লিখতে? অক্ষয় হোক তোমার স্মৃতির শহর।
ভাইয়া
স্মৃতির শহরের মন্তব্যের ঘরে ভ্রাতৃসংঘের কাউকে পেলে দারুন লাগে আমার, মনে হয় এই সিরিজটা যেন আরো পূর্ণতা পায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কতভাবেই না আমরা বন্দী হয়ে যাই, তাই না?...ইচ্ছে করলেই ছুটে যেতে পারি না । তাই এই স্মৃতির শহরের সন্ধান ।
আপনার মাকে সালাম ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ম্যান ইজ বর্ন ফ্রি বাট চেইনড এভ্রিহোয়ার...স্মৃতির শহরই পারে প্রাত্যহিক জীবনের বন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিতে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জোহরা, আপনার মাকে নিয়ে লেখাটাও মন ছুঁয়ে গেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'আম্মা' ডাকটা আমার খুব প্রিয়...
খুব সুন্দর একটা লেখা... ভালো লাগলো...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ তারানা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চাচীর কাছে গিয়ে সেই গল্পগুলো আবার শুনবার জন্য আবদার করতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া! কী মায়াময় লেখা!
আর বইয়ের দাবীতে ইটা!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দুষ্ট বালিকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সাথে আছি।
এই সিরিজটা বই হলে অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখলাম।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ রাফি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটি খুব ভালো লাগলো।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভালো লাগা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নাহত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার সব লেখাই তুলে রাখার মত।
এ লেখাটা আলাদা করে নিলাম, প্রিয়-তে রইলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক ধন্যবাদ মর্ম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল,
তোমার লেখাগুলি সাধারনত পড়ি, তবে মন্তব্য লেখার সময় হয় না অনেক সময়।
আমেরিকায় আসা অন্যান্য দেশের প্রথম প্রজন্মের অনেকেই এ রকম তাদের স্মৃতির শহরে যাতায়ত করে সময় কাটিয়েছে। দ্বিতীয় আর তৃতীয় প্রজন্মের চোখে ব্যাপারটা অন্য রকম মনে হবে। বিলাতে এই ব্যাপারটা বেশ স্পষ্ট দেখা যায়। এটার ভাল বা খারাপ কিছুই নেই - এই হচ্ছে জীবন!
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ মামা। আসলেই এটাই জীবনের বাস্তবতা, প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীরাই এতে আক্রান্ত হন বেশি। আমার কন্যাদের জন্য অস্টিন শহরই হবে স্মৃতির শহর। আমেরিকাতে বাংলাদেশিরা ব্যাপকহারে আশা শুরু করেছে ৮০ এর দশক থেকে তাই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের আধিক্য এত বেশি নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইটা সর্বশ্রেষ্ঠ এপিসোড এই সিরিজের, যদিও শহরের চেয়ে মায়ের স্মৃতিই মুখ্য এখানে। খুব ভালো লাগলো পড়ে!
ধন্যবাদ মূলত পাঠক। আপনার কলকাতা সফর কেমন হলো?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
তাসনিম, বাবা হারিয়েছি পাচ মাস আগে, মা বাক চলন শক্তিহীন, বিছানায়, ঢাকায়; আমি হাজার মাইল দুরে।। আপনার কষ্ট আমি বুঝি।........................................
নতুন মন্তব্য করুন